নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"কর্পোরেট_ফ্যাক্ট_১০"
টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস সেক্টরে কমিউনিকেশন স্কিল আপনার ৫০% কাজের পার্ফোরমেন্স দখল করে থাকে। আপনারা জব সার্কুলারগুলোতে লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রত্যেক জব রিকোয়্যারমেন্টে "সুড হ্যাভ স্ট্রং ইন্টারপার্সোনাল রিলেশনশিপ উইথ আদার ডিপার্টমেন্টস" লেখা থাকে। তারমানে কম্পানি চায় আপনি প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টের সাথে ভাল কমিউনিকেশন মেইনটেইন করুন। এটা যে শুধুমাত্র কম্পানির চাহিদা সেটা নয়। বরং এটা আপনার পার্সোনালিটিকে রিপ্রেজেন্ট করে। কাজের খাতিরে কোন কোন ক্ষেত্রে অবশ্য রাফ বিহেভ করতে হয়। কিন্তু এটা মনে রাখবেন আপনার প্রথম আচরন হতে হবে বিনম্র। তবে অন্য ডিপার্টমেন্টের সাথে রাফ ব্যবহার না করেও কাজ উদ্ধার করা যায় যদি আপনার ধৈর্য্য শক্তি স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশী থাকে।
একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। একটা ডিপার্টমেন্টের সাথে আমাকে দুই একদিন পরপর কাজ করতে হয়। প্রথম কিছুদিন তারা খুব সহজে আমার কাজ করে দিত। যখন দেখল তাদের কাছে আমাকে প্রায় যেতে হচ্ছে তখন তারা এটাকে একটা যন্ত্রনা হিসাবে দেখতে লাগল। একদিন গেলাম বলল আপনার কাগজেতো ইনচার্জের সাইন নেই। অথচ দীর্ঘ দুইতিন মাসে একবারও তার মনে হয়নি যে, এখানে ইনচার্জের সাইন লাগে। আসলেই ইনচার্জের সাইন দরকার নেই। কিন্তু ফরমেটে ইনচার্জের সাইনের অপশন আছে তাই এই প্রশ্ন। আমি এই মুহূর্তে ইচ্ছা করলে আমার পজিশনের ব্যবহার খাটিয়ে তাকে বাধ্য করতে পারতাম সাইন ছাড়া কাজটা করিয়ে নিতে। কিন্তু আমি বিনম্রতাকে বেছে নিলাম। আমি পরেরদিন থেকে ইনচার্জের সাইনসহ কাজ করাতে লাগলাম। এবং এখন পরিস্থিতি আবার আগের মতই বরং আগের চেয়ে ভাল। গেলেই বলে এই ভাইয়ের কাজটা আগে করে দে।
বিশ্বাস করুন আপনার ব্যবহার, মুখের মিষ্টতার দুনিয়ার সব কিছু করিয়ে নিতে পারবেন। চট্টগ্রামে পতেঙ্গা মাদ্রাসায় পড়াকালিন আমাদের সেলিম জাহাঙ্গীর হুজুর চিটাগাং এর ভাষায় একটা কথা বলেছিলেন আমাদের। বাক্যটা চট্টগ্রামের প্রবাদ বাক্য। বাক্যটা ছিল, " কতায় গু হালাইত্তারে।" বাংলা করলে দাঁড়ায় "কথায় গুও ফেলে দিতে পারে।" মানে আপনার কথায়, আপনার ব্যবহারে মানুষ আপনার ময়লাও পরিষ্কার করে দিতে পারে। শুধু দরকার ধৈর্য্য।
আল্লাহর নির্দেশঃ‘তোমরা মানুষের সঙ্গে উত্তম ও সুন্দর কথা বলো।’ (সূরা বাকারা : ৮৩)"
আল্লাহর নির্দেশের পরেও কি আর কোন অপশন থাকে যে, কাজ উদ্ধার করার জন্য আপনাকে রুড হতে হবে?
এবং রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যার আচার-ব্যবহার সুন্দর, সে আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয় এবং আমার সবচেয়ে কাছে থাকবে।’ (সুনানে তিরমিজি)।
বিঃদ্রঃ- আজকে দশম পর্ব লিখে ফেললাম। চিন্তা আছে ইন-শা-আল্লাহ এই দশ পর্ব নিয়ে একটা সুন্দর পিডিএফ তৈরী করব। আপনারা কমেন্টে জানান পিডিএফ করব কিনা? আপনাদের মতের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিব।
লেখাটা যদিও টেক্সটাইল গার্মেন্টস এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তবে আমার মনে হয় লেখাটা সকল সেক্টরের চাকুরীজীবীদের জন্য প্রযোজ্য।
২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৪
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: সহমত
২| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
টেক্সটাইল /গার্মেন্টস'এ আপনি কি পজিশনে আছেন?
২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৫
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: প্রশ্নের উত্তরটা কি পোস্টের সাথে কোনভাবে প্রাসঙ্গিক?
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৪
নতুন বলেছেন: অন্য ডিপাটমেন্টের লোকের সাথে সম্পর্ক ভালো থাকলে অনেক কাজ অল্প সময়ে করিয়ে নেওয়া যায় যেটা পজিসন/অর্থরিটি দিয়ে করাতে বেগ পেতে হয়।