নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘটনা:-১
নাইলা (ছদ্মনাম) বাসে উঠেছে। পাবলিক বাসেই ধরে নেই। আজকে ক্যাম্পাসে র্যাগ ডে। গত সন্ধ্যায় বাসার বাইরে থাকায় সকালে বাবার সাথে একচোট ঝগড়া হয়েছে। বাবার কথা, "তুই মেয়ে মানুষ সন্ধ্যার পরে কেন বন্ধুর বাসায় থাকতে হবে?" রাগে গজগজ করতে করতে নাইলা উত্তর দিয়েছে, "তোমরা সেকেলেই থেকে গেলা আজীবন। এখন ছেলে মেয়ে আলাদা আছে নাকি? এখন ছেলে মেয়ে সমানে সমান। তোমরাই নারীকে ঘরে বন্দি করে সমাজের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছো।" অর্ধশিক্ষিত বাবা কন্যার যুক্তিতে পরাস্ত। তিনি হিসাব মিলাতে পারছেননা তার আমলেতো নারীরা ঘরেই থাকত, তখনতো খাওয়া, পড়া, থাকায় কখনও মনে হয়নি যে, তারা পিছিয়ে আছে কিংবা নারীরাওতো ভাবেনি যে, তাদেরকে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে। নারীরাতো বাচ্চা, স্বামীকে আগলে রেখেই সুখী হয়েছে!
যাইহোক নাইলা বাসে উঠার পর সামনের মহিলা আসনে চোখ পড়তেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল। পুরুষ মানুষের কি কমনসেন্স নাই? উপরে বড় বড় করে লেখা মহিলা আসন তারপরও ওখানে বসে আছে? রাগে ইচ্ছা করছিল কিছু কথা শুনিয়ে দেয়। রাগ কিছুটা সংবরন করে পিছনের দিকে একটা সিটে এসে বসে পড়ল।
ঘটনা:-২
সিটে বসার কিছুক্ষন পর এক মধ্য বয়ষ্ক লোক তার সিটের পাশেই দাঁড়াল। অন্য কোন সিট খালি নেই যে, তিনি বসবেন। দেখেও কিছুটা দুর্বল রোগাক্রান্ত মনে হচ্ছিল। বাস চলা শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই ব্রেক করল এবং নাইলার পাশে দাঁড়ানো লোকটির সাথে তার একটু ধাক্কা লাগল। নাইলা এতক্ষনের কষ্ট করে চেপে রাখা রাগ মধ্য বয়ষ্ক লোকটির উপর উগড়ে দিল। বাসের যাত্রী আর যায় কোথায় সটান মেয়ের পক্ষ নিয়ে লোকটাকে বাস থেকে বেরই করে দিল।
ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে দেখল থমথমে একটা পরিবেশ। অবাক হতে হোল নাইলার। এরকমতো হওয়ার কথা না? কি ঘটেছে! কোন কারনে র্যাগ ডে'র প্রোগ্রাম ক্যান্সেল নাকি? এত সুন্দর করে র্যাগ ডে উপলক্ষে সাদা টি-শার্ট পরেছে আর মেকাপ করে এসেছে। সব কি ভেস্তে গেল নাকি? যেই গেটে ঢুকেছে আর অমনি এক বালতি লালচে পানি তার শরীরে উপচে পড়ল। নাইলা বলে চিৎকার দিয়ে তার বন্ধুরা তাকে রঙিন পানি দিয়ে পুরো ভিজিয়ে দিল। যতটা না আতংক ছিল তারচেয়ে বেশী আনন্দে একে অপরকে রঙ ছিটাতে লাগল। রাফসানতো (ছদ্মনাম) এক বালতি পানি দিয়ে পুরো শরীর ভিজিয়েছে নাইলার। এবার শুরু হোল লেখালেখি। একজন আরেকজনের টি-শার্টে যা ইচ্ছা হয় লিখে দিচ্ছে। নাইলা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওর পুরো টি-শার্টে সবাই লিখে ভরিয়ে ফেলেছে৷ নিলয় (ছদ্মনাম) বলল, "কিরে আমি কোথায় লেখব?"
--ওহ! তাইতো বাদদে তোর লেখতে হবেনা।
--আমি তোর বেস্ট ফ্রেন্ড আর আমার জন্য তোর টি-শার্টে জায়গা নেই?
--আছে আছে তোর জায়গাতো আমার মনে।
বলেই, নাইলা তার বুকের দিকে ইঙ্গিত করে বলল, "এখানে লিখে দে।"
১৮০ ডিগ্রী পল্টি মারা একটা শব্দ আমরা ভার্সিটিতে ব্যবহার করতাম। যেটাকে বইয়ের ভাষায় "হিপোক্রেসি" বলা যেতে পারে। এরকম ১৮০ ডিগ্রী পল্টি মারা বহু নারীবাদী আপনার আশেপাশেই দেখতে পাবেন।
১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৩
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: মিচকি হাসির ইমো হবে। তবে এটাকে দুষ্টুমি না বলে নোংড়ামি বলুন।
২| ১৩ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: সেক্সচুয়াল ব্যাপারে সবাই পল্টি খায়, ওখানে পুরুষ আর নারীবাদী বলে আলাদা করা যায় না।
১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৩
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: এটা ঢালাও মন্তব্য হয়ে গেল।
৩| ১৩ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ এরকমই হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:১৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নাইলা মেয়েটা দুষ্টু আছে।