নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জমি জমা সংক্রান্ত বিড়ম্বনা - আর না আর না ।

সার্ভেয়ার/আমিন সাব

সরকারী সনদ প্রাপ্ত সার্ভেয়ার/আমিন।

সার্ভেয়ার/আমিন সাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বামী স্ত্রী যৌন সম্পর্ক বা সহবাস!!! রমযান মাসে করনিও (কুরআন হাদিসের আলোকে)।

২৪ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

রোজায় যে জিনিসগুলো থেকে বিরত থাকতে হয় তার মধ্যে একটি হচ্ছে যৌন সম্পর্ক বা সহবাস। কেউ যদি এই কাজটি রোজার দিন করে বসে তবে রোজা ভেঙ্গে যাবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন “রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে”। [আল-বাকারাঃ ১৮৭] এই আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে রোজার দিনে সহবাস হালাল করা হয়নি।

যৌন সম্পর্ক বলতে বোঝানো হচ্ছে পুরুষাঙ্গের সাথে স্ত্রী-অঙ্গের মিলন। এক্ষেত্রে বীর্যপাত শর্ত নয়। অর্থাৎ এই দুই অঙ্গ সংস্পর্শে আসলেই রোজা ভেঙ্গে যাবে, বীর্যপাতের ঘটনা না ঘটলেও। শায়খ সালেহ ইবন আল-‘উসায়মীন এই মতটিই ব্যক্ত করেছেন। যৌন মিলনের দ্বারা কেউ রোজা ভাঙলে সেই রোজা পরবর্তীতে কাযা করতে হবে এবং “ভারী কাফ্‌ফারা” দিতে হবে।

কোনো স্বামী যদি জোর করে স্ত্রীর সাথে যৌনসম্পর্ক করেন সেক্ষেত্রে স্বামীর রোজা ভেঙ্গে গেলেও স্ত্রীর রোজা ভাঙবে না।
‘আব্বাস বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করেছেনঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ আমার উম্মতের ওপর থেকে ত্রুটিবিচ্যুতি, ভুলে যাওয়া ও জোর করিয়ে করানো কাজকে মার্জনা করেছেন”।

১. শারীরিক স্পর্শ বা চুম্বন
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কামনাবসত শারীরিক স্পর্শ যেমন স্রেফ চুমুর কারণে রোজা ভাঙবে না। তবে এর ফলে যদি বীর্যপাত ঘটে সেক্ষেত্রে রোজা ভেঙ্গে যাবে। তাই রোজার সময় এগুলো পরিহার করাই উত্তম। চুম্বন যদি কামনাবশত না হয় সেক্ষেত্রে ক্ষতি নেই।

২. স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বীর্যপাত ঘটানো
যদি কেউ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজের বীর্যপাত ঘটান সেক্ষেত্রে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। যেমন নিজে হস্তমৈথুনের মাধ্যমে অথবা স্ত্রী কর্তৃক হস্তমৈথুনের মাধ্যমে যদি বীর্যপাত ঘটে তাহলে রোজা ভাঙবে। কোনো ব্যক্তি যদি যৌনউত্তেজক কোনো কিছু দেখে, শোনে বা পড়ে – এক্ষেত্রে বীর্যপাত ঘটলে তার রোজাও ভাঙবে। এক্ষেত্রে অর্থাৎস্বতঃপ্রণোদিত ভাবে করা কোনো কাজের ফলে বীর্যপাত ঘটলে রোজা ভাঙবে।
এভাবে রোজা ভেঙ্গে গেলে কাযা করাই যথেষ্ট, যৌনমিলনের ক্ষেত্রে যে ভারী কাফ্‌ফারা দিতে হয় সেটি দিতে হবে না। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ঘটানো বীর্যপাতের ফলে যে রোজা ভাঙবে তার প্রমাণ হচ্ছে হাদীস কুদসীতে আল্লাহ বলছেনঃ “সে (বান্দা) আমার জন্যই খাদ্য, পানীয় ও কামনা-বাসনা পরিত্যাগ করে”। [বুখারী]

তবে বীর্যপাত যদি স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে না হয় সেক্ষেত্রে রোজা ভাঙবে না। যেমন স্বপ্নদোষের ফলে রোজা ভাঙবে না। কোনো ব্যক্তির চিন্তায় যদি আচমকা কোনো যৌন ভাবনা এসে উদয় হয় বা কোনো যৌন উত্তেজক চিন্তা চলে আসে যা সে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মাথায় আনেনি এবং এর ফলে যদি বীর্যপাত ঘটে সেক্ষেত্রে রোজা ভাঙবে না।

৩. মাযী ও মানীর মাঝে পৃথকীকরণ
বীর্যপাত প্রসঙ্গে আমাদের দুটি তরলকে আলাদা করতে হবে। এদের একটি হচ্ছে মাযী । এটি একটি স্বচ্ছ পিচ্ছিল পদার্থ যা চূড়ান্ত বীর্যপাতের আগে নিঃসরিত হয় ফোঁটায় ফোঁটায়। মাযী নিঃসরণের ফলে রোজা ভাঙে না (যদি না সেটা যৌনমিলনের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, যেক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গের সাথে যোনির মিলনই যথেষ্ট রোজা ভাঙার জন্য)। শুধু মাযী নিঃসরণের ফলে যেহেতু রোজা ভাঙে না, কাযারও প্রশ্ন আসছে না। যদিও ইমাম মালেকের একটি বর্ণনা অনুযায়ী তিনি মাযী নিঃসরণকে রোজা ভাঙার কারণ হিসেবে দেখেছেন, কিন্তু অধিকাংশ ‘উলামা একে রোজা ভাঙার কারণ হিসেবে দেখেন না।
মানী হচ্ছে যাকে বাংলায় বীর্য। মানী বের হয়ে আসে চূড়ান্ত বীর্যপাতের সময় দফায় দফায়। এটির সাদা থিকথিকে একটি পদার্থ। মানী বের হলেই কেবল রোজা ভাঙবে উপরেল্লিখিত কারণগুলোতে। এ ব্যাপারে কোনো ইখতিলাফ নেই।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:১২

আব্দুল্যাহ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট, কিন্তু কেউ মতামতই দেয়নি।
হয়তো লজ্জায়!

২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

সার্ভেয়ার/আমিন সাব বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ, এটাতো জানার বিষয়, লজ্জার বিষয় নয় ।

২| ২৫ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৬:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: "সুন্দর পোস্ট, কিন্তু কেউ মতামতই দেয়নি।
হয়তো লজ্জায়!"---আব্দুল্যাহ

২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

সার্ভেয়ার/আমিন সাব বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন আপনাকে ধন্যবাদ, এটাতো জানার বিষয়, লজ্জার বিষয় নয় ।

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: শিক্ষনীয় পোস্ট।

২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

সার্ভেয়ার/আমিন সাব বলেছেন: শিক্ষনীয় পোস্ট, উক্ত মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, ।

৪| ২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভাল লিখেছেন । লেখাটি পড়ে আমার মনে হলে - রোজা রাখা অবস্থায় যৌন মিলনের উদ্দেশ্যে স্ত্রী কাছে গমন করলেও রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে । কেননা রোজা কিছু হক রয়েছে । একজন রোজাদারকে সেগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে । এ প্রসঙ্গে একটি হাদিস উল্লেখ করি, একদিন মুহাম্মদ ( স: ) কাছে এক বৃদ্ধ ব্যক্তি এসে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রসুল রোজা রাখা অবস্থায় আমি আমার স্ত্রীকে চুম্বন করতে পারবো কিনা ? আল্লাহর রসুল মুহাম্মদ ( স: ) বললেন পারবেন । লোকটি খুশি হয়ে চলে যাবার পর একজন যুবক এসে একই প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রসুল রোজা রাখা অবস্থায় আমি আমার স্ত্রীকে চুম্বন করতে পারবো কিনা ? হুজুর ( স: ) উত্তরে বললেন, না পারবে না ।

একই প্রশ্নের দুই রকম উত্তর দেখে সাহাবি গন অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রসুল আপনি একই প্রশ্নের দুই রকম উত্তর দিলেন কেন ? উত্তর হুজুরে পাক ( স: ) উত্তরে বললেন, দেখ দুজনের বয়স দুরকম । একজন যৌন শক্তি হারিয়েছে, সে তার স্ত্রীকে শুধু চুমু দিয়েই ক্ষান্ত থাকবে । কিন্তু অন্যজন যুবক তার পক্ষে স্ত্রীকে শুধু চুম্বন খেয়ে থেমে যাওয়া সম্ভব না ও হতে পারে ।

সুতরাং রমজানের হক আদায়ের জন্য রোজা রেখে স্ত্রীকে চুম্বন না খাওয়াই উত্তম । আপনি যে, মাজির ব্যাপারে বলেছেন, সেটা মেনে নিতে পারছি না । যেহেতু রোজা রেখে চুম্বনই খাওয়া যাবে না সেহেতু কারো শরীর থেকে যেকোনো উপায়ে মাজি নির্গত হলে তার জন্য গোসল ফরজ হয়ে যাবে । এ ব্যাপারের ও একটি হাদিস রয়েছে । মাজি নির্গত হলে কেউ যদি গোসল না করে নামাজ আদায় করতে যায় তার ব্যাপারে হযরত আলী ( র: ) হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন সাবধান । এবং হুজুরে পাক ( স: ) হযরত আলী ( র: ) কে সমর্থন করেছেন । উলামাগন যদি মনের খায়েশ মেটাবার জন্য কোস্তাকোস্তি করে মাজি নির্গত হওয়ার পরে তার পক্ষে ফতুয়া দেয় তা হলে বুঝতে হবে তারা মানুষকে ভ্রান্ত পথে পরিচালিত করছে । এদের সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত ।

২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

সার্ভেয়ার/আমিন সাব বলেছেন: সাখাওয়াত হোসেন বাবন আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
তবে আপনার কথায় একটি বিষয় আমি বুঝতে পারছি না মাজি বাহির হলে গোসল ফরজ হয়, তাই তাকে গোসল করে পবিত্র হতে হবে, আপনি ঠিকই বলেছেন ।
কিন্তু মাজি নির্গত হলে রোজা ভাঙ্গে না, রোজা ভাঙ্গে যাওয়া আর গোসল ফরজ হওয়া এক কথা নয়,দুটি সম্পর্নূ ভিন্ন।

বীর্যপাত প্রসঙ্গে আমাদের দুটি তরলকে আলাদা করতে হবে। এদের একটি হচ্ছে মাযী । এটি একটি স্বচ্ছ পিচ্ছিল পদার্থ যা চূড়ান্ত বীর্যপাতের আগে নিঃসরিত হয় ফোঁটায় ফোঁটায়। মাযী নিঃসরণের ফলে রোজা ভাঙে না (যদি না সেটা যৌনমিলনের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, যেক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গের সাথে যোনির মিলনই যথেষ্ট রোজা ভাঙার জন্য)। শুধু মাযী নিঃসরণের ফলে যেহেতু রোজা ভাঙে না, কাযারও প্রশ্ন আসছে না। যদিও ইমাম মালেকের একটি বর্ণনা অনুযায়ী তিনি মাযী নিঃসরণকে রোজা ভাঙার কারণ হিসেবে দেখেছেন, কিন্তু অধিকাংশ ‘উলামা একে রোজা ভাঙার কারণ হিসেবে দেখেন না।

বিঃ দ্রঃ- আমি এক হক্কানি আলেম, মূফতি মসজিদের ইমামের নিকট থেকে প্রশ্ন করে জেনেছি, কারন আমি আলেম না। আপনি অথবা যদি কোন আলেম কোরআন হাদিসের দলিলসহ বিস্তারিত জানান তাহলে উপকৃত হব।



৫| ২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৫১

মামুন ইসলাম বলেছেন: ভালো

২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

সার্ভেয়ার/আমিন সাব বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ।

৬| ২৫ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র ভাই।

মাযী নির্গত হলে গোসল ফরজ হয় বা রোযা ভেংগে যায়, এটাই বাবন ভাই এর মাধ্যমে প্রথম শুনলাম ! অনেক সময় কোন কারণে শুধু উত্তেজিত হয়ে পড়লেও কিন্তু মাযী নির্গত হয় ! আর ফরজ গোসলের সাথে ওলামাগণ মানী বা বির্যপাত এর সম্পর্কে রেখেছেন বলেই জানি ! যাহোক, আমাদের যাদের এ ব্যাপারে বিভ্রান্তি আছে তারা ওলামাগণের কাছে গিয়ে জেনে নেই, সেটাই উত্তম হবে।

২৭ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

সার্ভেয়ার/আমিন সাব বলেছেন: উত্তম পরামর্শ আপনাকে ধন্যবাদ ।

৭| ২৫ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

দুষ্টু ছেলেটি বলেছেন: শিক্ষনীয়, ধন্যবাদ

২৭ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

সার্ভেয়ার/আমিন সাব বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৮| ২৫ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

কাবিল বলেছেন:


শিক্ষনীয় পোস্ট, ভাল লাগলো।

২৭ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

সার্ভেয়ার/আমিন সাব বলেছেন: আপনার কমেন্স আমারও ভাল লাগলো, আপনাকে ধন্যবাদ ।

৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

মুহাম্মদ রেজাউল হাসান বলেছেন: রোজার সময় হলে আরো গুড হত। তবে আপনাকে ধন্যবাদ।

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

বিজন শররমা বলেছেন: এমন সব চমৎকার জিনিস ধর্মে আছে, জানতে পেরে অন্য ধর্মের মানুষ হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরবে ।

১১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:৫০

বিজন শররমা বলেছেন: ধর্ম গ্রন্থের উধৃতিও দেয়া হয়েছে । তাই বিশ্বাস করতেই হচ্ছে । না হলে তো অন্য ধর্মের মানুষের বিশ্বাসই হতো না এসব জিনিস কোন ধর্মগ্রন্থে থাকে ।

১২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

বিজন শররমা বলেছেন: বীর্যপাত প্রসঙ্গে আমাদের দুটি তরলকে আলাদা করতে হবে। এদের একটি হচ্ছে মাযী । এটি একটি স্বচ্ছ পিচ্ছিল পদার্থ যা চূড়ান্ত বীর্যপাতের আগে নিঃসরিত হয় ফোঁটায় ফোঁটায়। মাযী নিঃসরণের ফলে রোজা ভাঙে না (যদি না সেটা যৌনমিলনের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, যেক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গের সাথে যোনির মিলনই যথেষ্ট রোজা ভাঙার জন্য)। শুধু মাযী নিঃসরণের ফলে যেহেতু রোজা ভাঙে না, কাযারও প্রশ্ন আসছে না। যদিও ইমাম মালেকের একটি বর্ণনা অনুযায়ী তিনি মাযী নিঃসরণকে রোজা ভাঙার কারণ হিসেবে দেখেছেন, কিন্তু অধিকাংশ ‘উলামা একে রোজা ভাঙার কারণ হিসেবে দেখেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.