![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষের জন্যভালো কিছু করতে পারার মধ্যে অনেক স্বার্থকতা
আচ্ছা আমার মত কি আর কারো জানতে ইচ্ছা হই ,যে নিজ এলাকার নাম যেমন আমাদের রাজশাহীর কথায় বলি, রাজশাহীর নাম কেনো, কিভাবে কবে থেকে রাজশাহী হলো । রাজশাহী না হয়ে তো অন্য নাম ও হতে পারত এর পিছনের ইতিহাস টা কি জানা যাবে না । খুব ইচ্ছা হোত জানতে কিন্তু কি করে জানব ।
হঠাত ভাবলাম আমিতো এখন ভার্চুয়াল জগতের বাসিন্দা ( মানে যতক্ষণ লাইন-এ থাকি
) আমি যা ইচ্ছা তাই জানতে পারব, অবশেষে রাজশাহীর নামকরণ টাও জানা হলো ।
আসুন জানি রাজশাহীর নামকরণ যেভাবে হলো
রাজশাহী নামটির উৎপত্তি সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলেই কয়েক শতাব্দী পূর্বে ফিরে যেতে হয়। এ শহরের প্রাচীন নামটি ছিল মহাকাল গড়। পরে রূপান্তরিত হয়ে দাঁড়ায় রামপুর-বোয়ালিয়া থেকে রাজশাহী নামটির উদ্ভব কিভাবে হলো এর সুস্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা নাই । ব্রিটিশ আমলের প্রাথমিক যুগের ইতিহাসেও রাজশাহী নামক কোন জনপদ বা স্থানের উল্লেখ নাই । অনেকে মনে করেন, এই জনপদ একদা বহু হিন্দু, মুসলিম, রাজা, সুলতান আর জমিদার শাসিত ছিল বলে নামকরণ হয়েছে রাজশাহী। ঐতিহাসিক ব্লকম্যানের (Bolch Mann) মতে, খ্রিষ্টীয় ১৫শ শতকে গৌড়ের মুসলিম সালতানাত এই জেলার ভাতুড়িয়ার জমিদার রাজা গণেশ কতৃর্ক আত্মসাতের সময় থেকে রাজশাহী নামের উদ্ভব হয়েছে। তিনি দাবী করেন, গৌড়ের সুলতান মাহমুদ শাহ বারবাক শাহ প্রভৃতির নামানুসারে যেমন রাজশাহীর আশে পাশে মাহমুদ শাহী, বারবাকশাহী পরগনার উদ্ভর হয়েছে। একইভাবে মুসলিম মসনদে আরোহণকারী হিন্দু রাজা শাহ বলে পরিগণিত হওয়াই এই এলাকার নামকরণ হয়েছে রাজশাহী। হিন্দু রাজ আর ফারসী শাহী এই শব্দ দুটির সমন্বয়ে উদ্ভব হয়েছে মিশ্রজাত শব্দটির। কিন্তু ব্লকম্যানের অভিমত গ্রহণে আপত্তি করে বেভারিজ (Beveridge) বলেন, নাম হিসেবে রাজশাহী অপেক্ষা প্রাচীন এবং এর অবস্থান ছিল রাজা গণেষের জমিদারী ভাতুড়িয়া পরগনা থেকে অনেক দূরে। রাজা গণেশের সময় এই নামটির উদ্ভব হলে তার উল্লেখ টোডরমল প্রণীত খাজনা আদায়ের তালিকায় অথবা আবুল ফজলের আইন-ই-আকবরী নামক গ্রন্থে অবশ্যই পাওয়া যেত। ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টারের মতে, নাটোরের রাজা রামজীবনের জমিদারী রাজশাহী নামে পরিচিত ছিল এবং সেই নামই ইংরেজরা গ্রহণ করেন এই জেলার জন্য। এনেকে এসব ব্যাখাকে যথার্থ ইতিহাস মনে করেননা। তবে ঐতিহাসিক সত্য যে, বাংলার নবাবী আমল ১৭০০ হতে ১৭২৫ সালে নবাব মুশির্দকুলী খান সমগ্র বাংলাদেশকে রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য ১৩ (তের)টি চাকলায় বিভক্ত করেন। যার মধ্যে ‘চাকলা রাজশাহী' নামে একটি বৃহৎ বিস্তৃতি এলাকা নির্ধারিত হয়। এর মধ্যে প্রবাহিত পদ্মা বিধৌত ‘রাজশাহী চাকলা' কে তিনি উত্তরে বতর্মান রাজশাহী ও দক্ষিণে মুর্শিদাবাদের সঙ্গে অপর অংশ রাজশাহী নিজ চাকলা নামে অভিহিত করেন। প্রথমে সমগ্র চাকলার রাজস্ব আদায় করতেন হিন্দু রাজ-জমিদার উদয় নারায়ণ। তিনি ছিলেন মুশিদ কুলির একান্ত প্রীতিভাজন ব্যক্তি। যে জন্য নবাব তাকে রাজা উপাধী প্রদান করেন। দক্ষিণ চাকলা রাজশাহী নামে বিস্তৃত এলাকা যা সমগ্র রাজশাহী ও পাবনার অংশ নিয়ে অবস্থিত ছিল, তা ১৭১৪ সালে নবাব মুর্শিদকুলী খান নাটোরের রামজীবনের নিকট বন্দোবস্ত প্রদান করেন। এই জমিদারী পরে নাটোরের রাণী ভবানীর শাসনে আসে ও বহু অঞ্চল নিয়ে বিস্তৃতি লাভ করে। রামজীবন প্রথম নাটোর রাজ ১৭৩০ সালে মারা গেলে তার দত্তক পুত্র রামকান্ত রাজা হন। ১৭৫১ সালে রামকান্তের মৃত্যুর পরে তার স্ত্রী ভবানী দেবী রাণী ভবানী নামে উত্তরাধীকারী লাভ করেন। অনেকের মতে, প্রথম রাজা উদয় নারায়ণের উপর প্রীতি বশত এই চাকলার নাম রাজশাহী করেন নবাব মুশিদকুলী খান। কিন্তু ঐতিহাসিক অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়র মতে, রাণী ভবানীর দেয়া নাম রাজশাহী । অবশ্য মিঃ গ্রান্ট লিখেছেন যে, রাণী ভবানীর জমিদারীকেই রাজশাহী বলা হতো এবং এই চাকলার বন্দোবস্তের কালে রাজশাহী নামের উল্লেখ পাওয়া যায়।
[sb]হজরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) এর মাজার ও ইতিহাস
বহু পীর সাধকের পুণ্যভুমি রাজশাহী মহানগরী। যখন এই জনপদের মানুষ কুসংস্কার আর অপপ্রথার নিবিড় অন্ধকারের অতল গহ্বরে ডুবে থেকে নানান কুকর্মে লিপ্ত ছিল, দেব-দেবীর নামে নরবলি দেয়া হতো, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ছিল প্রকট, তখন থেকেই এ সকল পীর সাধকের আগমন ঘটতে থাকে সুদূর মধ্য প্রাচ্য ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে। তারা অবোধ মানুষের মাঝে জ্ঞানের শিখা ছড়ানোর মহৎ উদ্দেশ্য ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতিজ্ঞায় ও মনুষ্য সম্প্রদায়ের কল্যাণে জীবনের সব সময়টুকু ক্ষয় করে দেন। তাদের ডিঙ্গাতে হয় নানা প্রতিকূলতার দেয়াল। এমনকি প্রাণ বিসর্জনও দিতে হয় কাউকে কাউকে। এ সকল মহৎ প্রাণের অন্যতম পদ্মা পাড়ে চিরশায়িত হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ)।
কাজী রওশ আলী সম্পাদিত বিভাগ গাইড রাজশাহী গ্রন্থে ও হজরত শাহ মখদুম (রহঃ) দরগাহ পাবলিক ওয়াকফ এস্টেট ট্রাস্টি বোর্ড প্রকাশিত ইতিহাস ও ঐতিহ্য গ্রন্থে অধ্যাপক মুহম্মদ আবু তালিব একখানি প্রাচীন বাংলা গ্রন্থের কলমী পুথি। হজরত শাহ মখদুম (রহঃ) এর জীবনী তোয়ারিখ প্রবন্ধে হজরত শাহ মখদুম (রহঃ) এর প্রকৃত নাম হজরত সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে প্রবীণ লেখক অধ্যাপক এবনে গোলাম সামাদ তার রাজশাহীর ইতিবৃত্ত গ্রন্থে বলেন, "এই পীরের (হজরত শাহ মখদুম রহঃ) আসল নাম কি ছিল, তা নিয়েও আছে বিতর্ক। তিনি সাধারণভাবে রাজশাহী বাসীর কাছে বাবা মখদুম নামেই পরিচিত।" তিনি আরো উল্লেখ করেন, মখদুম শব্দটি আরবী। শব্দগত অর্থে শিক্ষক, জ্ঞানী অথবা পরিচালক। তবে তিনি আধ্যাত্মিক সাধক, জ্ঞানী, কামিলিয়াত ছিলেন এই বিষয়ে কেউ দ্বিমত প্রকাশ করেনি। বিভিন্ন গ্রন্থে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায়, হজরত শাহ মখদুম (রহঃ) ছিলেন বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর পৌত্র এবং আজাল্লা শাহ্ এর ২য় পুত্র। তিনি ৬১৫ হিজরীর ২ রজব বাগদাদে জন্ম গ্রহণ করেন। রুপোশ তার উপাধী। শব্দটি ফারসী। যার অর্থ মুখ আবরণকারী। তার উপাধি থেকে একথা বোঝা যায় যে, সাধারণ মানব বৈশিষ্ট্য ছাড়াও তার মধ্যে অসাধারণ ক্ষমতা লুকায়িত ছিল। হজরত শাহ মখদুম (রহঃ) এর রাজশাহী
আগমনের অন্তরালে আছে এক বিস্তৃত ইতিহাস।
১২৫৯ খ্রিষ্টব্দে মোধল বীর হালাকু খান বাগদাদ আক্রমণ করলে বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর বংশধরগণ বাগদাদ থেকে কাবুল, কান্দাহার, পারস্য ও পাক ভারতের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করে। হযরত শাহ্ মখদুম রুপোশ (রহঃ) এর পিতা আজ্জালা শাহ্ দিল্লীতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তার উন্নত চরিত্র ও গুণাবলীর প্রতি মুগ্ধ হয়ে দিল্লীর সম্রাট ফিরোজ শাহ্ তার কাছে বায়েত হন। পিতার সহচার্যে তিন পুত্র সৈয়দ মুনির উদ্দীন আহমেদ (রহঃ), হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ), ও সৈয়দ আহমদ তম্বরী (রহঃ) অধ্যাত্মিক সাধনায় সমৃদ্ধ লাভ করেন। হালাকু খানের মৃত্যুর পর শাহ আজ্জালা বাগদাদে ফিরে গেলেও তার পুত্রগণ ইসলামের বাণী প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে হেদায়েতের উদ্দেশ্যে অনুচরবর্গসহ বাংলায় আগমন করেন। তখন রাজশাহীর নগরীর নাম ছিল মাহকাল গড়। এখানে মাহকাল দেও এর বিখ্যাত মন্দিরে নরবলি দেওয়া হতো। তার স্মৃতি এখনও হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) এর পবিত্র দরগা শরীফে রক্ষিত আছে। মহাকাল গড়ে সে সময় বহু রকম দেও এর প্রতিমূর্তি ও মঠ-মন্দিরে পূর্ণ ছিল। হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) রাজশাহী আগমনের ১০ বছর পূর্বে হযরত তুরকান শাহ্ ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১২৭৯ খ্রিষ্টাব্দ মহাকাল গড়ে আগমন করেন। ঐ সময়ে রাজ্য শাসন করতেন অংশুদেও চান্তভন্ডী বর্মভোজ ও অংশুদেও খেজ্জুর চান্দ খড়গ বর্মগুজ্জুভোজ। মুসলিম বিদ্বেষী এই রাজাগণের দ্বারা তুরকান শাহ্ ও তার অনুচরগণ শহীদ হন। তার মাজরও দরগা পাড়ায় আছে। তুকান শাহ্ 'র আগমনের পূর্বেও কতিপয় মুসলমান ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে মহাকাল গড়ে আগমন করেন এবং শহীদ হন। এসকল হত্যাকন্ডের প্রতিশোধ ও ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) ১২৮৯ খ্রিষ্টাব্দে এ দেশ আগমন করে বাঘা নামক স্থানে উপস্থিত হন এবং ইসলাম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি যে স্থানে কেল্লা নির্মাণ করেছিলেন তা মখদুম নগর নামে খ্যাত। বাঘা ছিল তৎকালীন সময়ের প্রসিদ্ধ নগরী। এই নগরীর সাথে সুলতানগণের প্রশাসনিক যোগসূত্র ছিল। গৌড়ের সুলতান হোসেন শাহ্ র পুত্র নসরৎ শাহ্ ৯৩০ হিজরিতে বাঘা শরীফ পরিদর্শন করেন এবং একটি মসজিদ ও একটি পুকুর খনন করার নির্দেশ দেন। দিল্লীর বাদশাহ শাহজাহান মখদুম নগরীতে অবস্থিত মখদুম দরগাহ সংরক্ষণের জন্য ৪২টি মৌজা দান করেছিলেন। হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) কর্তৃক মহাকালগড় দখল সম্পর্কে বেশ লোমহর্ষক ও রহস্যময় ঘটনা শোনা যায়। কথিত আছে মহাকাল গড়ের এক নাপিতের ৩টি পুত্র সন্তান ছিল। তন্মধ্যে দুটি নরবলি হওয়ার পর শেষ পুত্রটিও নরবলি দেবার সিদ্ধান্ত হয়। একথা জানার পর নাপিত দম্পতি দুঃখে শোকে ব্যাকুল হয়ে পড়েন এবং নিরুপায় হয়ে গোপনে মখদুম নগরে উপস্থিত হন। হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) বিস্তর ঘটনা শোনার পর বলেন, যাও তোমার সন্তানসহ নদীর ধারে অপেক্ষা কর আমার সাক্ষাৎ পাবে।
এই নির্দেশ পাওয়ার পরে বেশ কদিন নাপিত দম্পতি নদীর তীরে অপেক্ষা করেও হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) সাক্ষাৎ না পেয়ে বলি হবার পূর্ব রাতে ডুবে মরার ইচ্ছায় পদ্মার পানিতে নামতেই হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) পদ্মায় কুমিরে চড়ে আবির্ভূত হন এবং নাপিত দম্পত্তির সাথে কিছু কথা বলেন এবং পুত্র বলি না হওয়ার ও দেওরাজ ধ্বংস হওয়ার আশ্বাস দিয়ে কুমিরে চড়েই অন্তর্ধান হন। হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) এর জীবনী তোয়ারিখে উল্লেখ আছে, মহাকালগড়ের মন্দির প্রাঙ্গণে প্রাচীর বেষ্টিত যাদুকুন্ড কূপ ছিল। দেও রাজাদ্বয় তা দ্বারা যাদুবিদ্যা পরিচালনা করে অসম্ভব অলৌকিক কার্য সফল করে নিজেকে ঈশ্বর হিসেবে দাবি করত। হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) ঐ নাপিতের কাছে সন্ধান নিয়ে যাবার কালে ঐ স্থান পরিদর্শন করে ঐসব যাদুগুণ নষ্ট করে যান। পরে ঐ যাদু স্থান উৎঘাটন করা হয়। তার তলদেশ হতে বিভিন্ন দেও পুতুল, নানা প্রকার জিনিস, অস্থী এবং ১টি জলীয় বৃক্ষ বের হয়েছিল। বর্তমানে ঐ স্থান পুকুর রুপে রয়েছে।
রাত অবসানের পর সকালে নাপিত পুত্রকে বলি দেবার জন্য দেও মন্দিরে আনা হলো। কিন্তু খাড়ার ঘাতে নাপিত পুত্র বলি হওয়া তো দূরের কথা বিন্দুমাত্র কষ্টও অনুভব করল না। বরং মহাকাল প্রতিমা পড়ে যাবার মত লেতে শুরু করল। দেওরাজের নিকট এ সংবাদ পৌছালে সে ছুটে এসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এই নরে দোষ আছে বলে নাপিত পুত্রকে ছেড়ে দেয়। এর কয়েক দিন পর হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) দেওরাজ্যের বিরুদ্ধে মহাকালগড় জয়ের উদ্দেশ্যে মওলাং ফকির, দরবেশ, গাজি দল পাঠিয়েছিলেন। পর পর তিনবার যুদ্ধ করার পর হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) মহাকালগড়ে নরবলি প্রথার পরিবর্তে ইসলামের ঝান্ডা উড়িয়েছিলেন। প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল বর্তমান ঘোড়ামারায়। এই যুদ্ধে দেও ধর্মাবলম্বীসহ অনেক ফকিরগণও মারা পড়েছিলেন এবং তাদের ঘোড়াও শহীদ হয়েছিত। ঘোড়া শহীদের কারনেই স্থানটির নামকরণ হয় ঘোড়ামারা। দ্বিতীয় যুদ্ধে হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) সাহেব মওলাং ফকির দরবেশকে গাজী প্রেরণ করেছিলেন এবং তিনি স্বয়ং বহু মওলাং ফকির সঙ্গে করে মহাকালগড়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। যুদ্ধে বহু দৈত্য ধর্মাবলম্বী ধরাশায়ী হয়েছিল।
অনেক মঠ-মন্দির ভেঙ্গে চুরমার ও লুণ্ঠিত হয়েছিল। দৈত্যরাজ স্বপরিজনে পালিয়েছিল এবং হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) বিজয়ী হয়ে মখদুম নগরে প্রত্যাগমন করেছিলেন। এরপর বনবাসী দৈত্যরাজের দৈত্য ধর্মাবলম্বীরা পুনরায় সমবেত হয়ে তীর্থস্থান উদ্ধারের জন্য মাহাকালগড়ে উপস্থিত হয়েছিল। এই সংবাদ পেয়ে হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) পুনরায় মহাকালগড়ে আগমন করে সমবেত প্রতিপক্ষ দলকে পাক পায়ের মাত্র ১ পাট খড়ম ছুড়ে ধরাশায়ী করেছিলেন। অবশেষে পরিজনসহ দেওরাজ তার পায়ে পড়ে আত্মসমর্পণ করেছিল ও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) মহাকাল দেও মন্দিরেই আস্তানা স্থাপন করেছিলেন। পানি পথে তার ছিল কুমীর বাহন, শুন্য পথে বসিবার পীড়ি আসন বাহন, শুস্ক পথে সিংহ ও বাঘ্র বাহন। তার অলৌকিক ঘটনা, বোজর্গী কেরামত দেখে অনেকে ঈমান এনে মুসলমান হয়েছিল। অনেকে সভ্য হিন্দু সমাজে নীত হয়েছিল ও অনেকে তাকে বড় যাদুগরী বলে প্রচার করেছিলন।
হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) বাংলায় দেওজাতিকে ইসলামের সমহান আদর্শে দিক্ষীত করার উদ্দেশ্যে ১২৮৯ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী বা সেকালের মহাকালগড়ে আগমন করে সফল নেতৃত্ব দান করে ১৩৩১ খ্রিষ্টাব্দে পরলোক গমন করেন। তার মৃত্যর পরও দরগা শরীফকে কেন্দ্র করে ইসলাম প্রচারের কাজ চলতে থাকে। তার শিষ্য ও অনুসারীগণের মধ্যে অন্যতম হিসেবে যাদের নাম পাওয়া যায় তারা হলেন- হযরত শাহ্ আব্বাস (রহঃ) (মখদুম নগরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তার মাজার বিলীন হয়ে গেছে), শাহ্ রকম আলী (রহঃ) (পুঠিয়া-বিড়ালদহ), হযরত দিলাল বোখারী (রহঃ) (আলাইপুর, বাঘা), হযরত শাহ্ সুলতান (রহঃ) (সুতানগঞ্জ, গোদাগাড়ী)
আমাদের রাজশাহীর কিছু ছবি
পদ্মার বালুচর
আলোকিত রাজশাহী ভদ্রা স্মৃতি অম্লান
বড় কুঠি পদ্মার পাড়
আলোকিত রাজশাহী রেল স্টেশন
রিভার ভিউ পদ্মা পাড়
শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার লেক
রাজশাহী-র ঐতিহবাহী টমটম গাড়ি
রাজশাহী রেল স্টেশন ভিতর
পুরাতন মঠ, সপুরা
রাজশাহী শহর
আগামী পর্বে থাকবে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২০
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া,
আমরা রাজশাহীতে আপনার অপেক্ষায় আছি আপনি আসলে
আবার আমরা কয়েক জন ব্লগার মিলে পদ্মা পারে মিলিত হব ।
ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ পর্বে বিষয় টা রাখব ।
ভালো থাকবেন
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫১
চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: ২০০১ সালে গিয়েছিলাম। পুটিয়া রাজবাড়িতে। অদ্ভুত সুন্দর আর ভুতুড়ে জায়গা। তথ্যবহুল পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শেষ ছবিটায় সারি সারি দালানকোঠা দেখে হতাশ হয়ে গেলাম। সবখানে নগরায়ন শুরু হয়ে গেছে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৪
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই
পুটিয়া রাজবাড়ি সম্পর্কে আমার আগের পোস্ট
Click This Link
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০২
সবুজ সাথী বলেছেন: চমৎকার লাগল। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৫
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন
৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট
লাগল ভাল
দেখে হল
মন ভাল
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৭
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু ভাই
ভালো থাকবেন সবসময়
৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৭
সিডির দোকান বলেছেন: ভালা অইছে রে..
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৩
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: মন্তব্য ভালা অইছে রে..
অনেক ধন্যবাদ @ সিডির দোকান ভাই
ভালো থাকবেন সবসময়
৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৪
আমিনুর রহমান বলেছেন: দারুন পোষ্টে।
আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৮
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: ভাইরে স্যালুট
ভাই তোমরা রুশানের জন্য যা করছ এক কথায় অসাম
ভালো থাকবা ভাইডি
৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৭
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । রাজশাহীর ইতিহাস তুলে ধরার আপনার উদ্যোগে স্বাগত।
রাজশাহী কলেজ লাইব্রেরীতে একটা বই আছে যেখানে আপনি এ সম্পর্কে অনেক তথ্য পেতে পারেন। আনেক দিন আগে পড়া বইয়ের নাম মনে করতে পারছি না, খুব সম্ভবত "রাজশাহীর ইতহাস"।
ছবি গুলোর জন্য আবারও ধন্যবাদ, সব ছবিতে ক্যাপশন দিলে ভালো হতো।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩১
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: ধন্যবাদ বাবু> বাবুয়া > বাবুই ভাই
ছবিতে ক্যাপশন দিলাম
ভালো থাকবেন সবসময়
৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৩
ভািটবাংলা বলেছেন: রাজশাহীর অনেক অজানা তথ্য জেনে ভাল লাগলো । জীবনের ৮টি বছর রাজশাহীতে কাটিয়েছি । রাজশাহীকে খুবই ভাল বাসি । আলোকময় শহর দেখে সেদিন আরো ভাল লাগছিল ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০২
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: আপনার কথা শুনে খুশি হলাম ভাই
এখন থাকেন কোথায় ?
৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৭
প্রিয়তমেষূ বলেছেন: রাজশাহী যাইতে চাই, ভালো লাগছে!!!!!!!!!!
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৫
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: চৈলা আসেন আপু
আওয়ার ডোর ইস অল ওয়েস ওপেন টু ইউ
অনেক ধন্যবাদ
১০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৫
পীর বাবা বল িছ বলেছেন: খুব মনে পরে রাজশাহী'কে। চার বছর থেকেছি । আমার জীবনের সেরা সময় সেই চার বছর। খুব যেতে ইচ্ছে করে কিন্তূ হ্রদয় হীন সময় খুবি বিট্রে করে--
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০০
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: ভাই মনের সাথে বিট্রে করে ঘুরতে
আসুন আপনার প্রিয় সৃতি বিজরিত শহরে
ভালোলাগা রইলো
১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২০
শূন্য পথিক বলেছেন: ভালো লাগা।। +
আমি নাটোরের ছেলে।। রাজশাহীতে ছিলাম ৩-৪ বছর।।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০১
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: ধন্যবাদ শূন্য পথিক
ভালো লাগা রইলো
১২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩
মুশাসি বলেছেন: ভালো লাগলো রিংকু ভাই।
চলুক, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুশাসি ভাই পাসে থাকার জন্য
আপনারে আমি ভালা পাই
পরের পর্ব: ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ
১৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩০
রীতিমত লিয়া বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট। পরের পর্বের জন্য অনুসরণে রাখলাম
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৭
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: ধন্যবাদ রীতিমত লিয়া
জেনে খুশি হলাম ভালো থাকবেন
১৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩২
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: রিঙ্কু ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। চালিয়ে যান। আমাদের রাজশাহীকে সকলের সামনে নতুন ভাবে উপস্থাপন করবেন এই কামনাই রইল। পোষ্টে +++
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫১
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
ভাই পাসে থাকার জন্য
১৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৫
ভিয়েনাস বলেছেন: বুল্লে আবার বুলবেন্ন যি বুলছে ... রাজশাহীর ইতিহাস আগেই জানতাম রাজশাহীতে থেকেছি অনেক বছর। বিকেলের পদ্মা পাড়ের অনেক স্মৃতি। ছবি গুলো দেখে নস্টালজিক হয়ে পড়লাম।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৬
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: সময় করে একদিন আসুন প্রিয় সৃতি বিজরিত রাজশাহীতে
ভালো থাকবেন সবসময়
১৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩০
খোলাচোখে বলেছেন: প্রিয়তে ভাল
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৭
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: @খোলাচোখে অনেক ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন সবসময়
১৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২২
Jummon Mahmud বলেছেন:
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৪
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন:
১৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৮
বীরেনদ্র বলেছেন: রাজশাহী আমার জন্মস্থান নয় তবে কর্মসুবাদে থেকেছি প্রায় বছর পাঁচেক। কেমন যেন একটা টান অনুভব করি রাজশাহীর প্রতি। অনেক স্মৃতি রাজশাহীর, কিছু ভাল কিছু ,কিহু মন্দ, কিছু সুখের, কিছু দুঃখের।
১৯৭৬ সালে প্রথম দেখা রাজশাহীকে। আমার সবচে বড় দুঃখ সেই ১৯৭৬ সালের প্রমত্তা পদ্মা আর এখনকার পদ্মা। মনে হয় রক্তের অভাবে যেমন মরে শুকিয়ে যায় শরীরের অংগ, তেমনিভাবে পদ্মার অভাবে মরে শুকিয়ে যাচ্ছে রাজশাহী।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
ভালো থাকবে
১৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:২৯
ভিয়েনাস বলেছেন: শুধু সময় না, অসময়েও রাজশাহী যেতে হয়
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: একদিন আসুন আড্ডা দেই
২০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:০৪
অরোন্য বলেছেন: রিংকু ভাই আপনি তো একটার পর একটা চমক দিয়েই যাছ্ছেন।
অনেক ভাল লাগল।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: পাসে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ অরোন্য
অনেক ভাল লাগল।
২১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: জটিলস পোস্ট তো রিংকু ভাই ! এত অজানা ইতিহাস ! পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: পাসে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ মিলন ভাই
ভালো থাকবেন সবসময়
২২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭
অ্যামাটার বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ!
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: পাশে থাকার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ
২৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫০
ভুলো মন বলেছেন: পোষ্টে +
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৩
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ
২৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
তন্ময় চক্রবর্তী বলেছেন: আমার জীবনের ২২ টা বছর কেটেছিলো রাজশাহীতে। পোস্টে দেওয়া ইতিহাস আমি পড়ি নাই। শুধু ছবি গুলো বার বার করে দেখলাম। জায়গা গুলো, আড্ডাগুলো মনে পড়ে গেলো। হায়রে রাজশাহী, জীবনে একটা ইচ্ছা ছিলো, কখনো রাজশাহী ছাড়বো না। সেটা আর হলো কই। মাঝে বার কয়েক গিয়েছিলাম। মিউজিয়ামের সামনের রাস্তাটার অসাধারণ লাইটিং এর জন্য আরসিসি কে ধন্যবাদ। বাকি গুলো দেখলাম ছবিতে। সত্যিই সুন্দর করেছে। প্রতিটি সড়কে লাইটিং আর বিলেতী রঙ্গিন বাতি দেখে মনে হয় যেনো প্রতিদিনই শহরটি কোন কিছুকে উদযাপন করছে। আশা করি রাজশাহীবাসী এগুলোর যত্ন নিবে। রাজশাহীর রাস্তা-ঘাট সবকিছুর সৌন্দর্যই রাজশাহীবাসীর হাতে। সবাই মিলে এর যত্ন নিলে এগুলো টিকে থাকবে।
রাজশাহী এখনো অপরিকল্পিত নগরী নয়। এখনো রাজশাহীর ড্রেনেজ সিস্টেম থেকে শুরু করে বিবিধ নাগরিক সুবিধা সাবলীল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে রাজশাহীতে গ্যাস আসবে, শিল্প-কারখানা আসবে, মানুষ বাড়বে (এসব কিছুই আমি চাই, কারণ রাজশাহীর অর্থনীতি এখনো অনেক দূর্বল) তখন জনসংখ্যার চাপ রাজশাহীকেও অপরিকল্পিত নগরীতে রূপান্তরিত করতে পারে। তাই আপনারা যারা এখনো রাজশাহীতে আছেন তাদের উচিত হবে নিজ নিজ এলাকার খেলার মাঠ, পুকুর এসব সংরক্ষণে প্রতিবাদী হওয়া। পুকুরতো সব চলেই গেছে, অন্তত খেলার মাঠ গুলোকে বাঁচিয়ে রাইখেন।
অসাম প্লেস রাজশাহী। মিস ইউ......
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১১
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: @ তন্ময় চক্রবর্তী ভাই মিস ইউ
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
যেখানেই থাকেন ভালো থাকবেন সবসময়।
২৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
আমি বাঁধনহারা বলেছেন:
রাজশাহী আমার মহিয়সী মা
শুধু মা নয় যেন স্বর্গের প্রতিমা!
রাজশাহীবাসি সব চেয়ে সুখী
কারো মনে নাই বিরহ জমা।
রাজশাহীর মায়াবী রূপ ও গুনের
নাই কোন শুরু ও শেষ সীমা।
রাজশাহীর আম হলো সব চেয়ে মিষ্টি
রাজশাহী যেন বিধাতার অপরূপ সৃষ্টি!!
প্রমত্তা পদ্মার শান্ত তীরে
কত পাল তোলা তরী ভীড়ে,
যা দেখে মন হারিয়ে যায় বহুদূরে।
ভালো লাগল।অসাধারণ পোস্ট।++++++++
ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: বাঁধনহারা ভাই আমাদের মাঝে আবার ফিরে আসেন
মিস ইউ
যেখানেই থাকেন ভালো থাকবেন মনে রাখবেন
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৬
মিলটন বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। প্রিয়তে রাখলাম।
রাজশাহীর আছে ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস।
বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনার (অস্থায়ী) তৈরী করা হয় রাজশাহীতে। যদিও সেটা কয়েক ঘন্টা স্থায়ী ছিল। পাকবাহিনী সেটা ভেঙ্গে ফেলে।