নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারনের মাঝেও অতিসাধারণ

মার্ক টোয়েন

মনের অনুভূতি প্রকাশ করে যাই বিক্ষিপ্ত কিছু শব্দমালায়।

মার্ক টোয়েন › বিস্তারিত পোস্টঃ

উমর ইবনুল খত্তাব (রাঃ) [পর্ব-১]

০১ লা মে, ২০২১ রাত ৮:১৫


পৃথিবীর বুকে খুব কম মানুষ আছে যে মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ) এর নাম শোনেনি।পৃথিবীতে ন্যায় পরায়ণ শাসক দের যদি তালিকা করা হয় তবে উমর ইবনুল খত্তাব (রাঃ) এর নাম অগ্রভাগে থাকবে।কিন্তু ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পূর্বে এবং পরে তার জীবন এক রকম ছিলো না।

রাজা আব্রাহা যখন হস্তি বাহিনী নিয়ে মক্কা আক্রমণ করে তার প্রায় ১৩ বছর পর(৫৮৪ খ্রিঃ) হযরত উমর (রাঃ) বনু আদি গোত্রে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম আল খত্তাব ইবনে নুফায়েল এবং মাতার নাম হানতামা বিনতে হাসিম ইবনে আল-মুঘিরা।ঐতিহাসিক দের মতে তার মাতা আবু জাহেল ইবনে হিসামের চাচাতো/ ফুপাতো বোন ছিলেন।তার বংশের ধারা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় তার এবং হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বংশের ধারা একই যা কা'ব ইবনে লু'আই ইবনে গালিব হতে এসেছে।

ছোট বেলায় হযরত উমর (রাঃ) খুব কস্টের শিকার হয়েছেন।তিনি কোনো আভিজাত্যের মধ্যে বড় হন নি।ছোট বেলায় তার পিতা আল খত্তাব তার ঊট পালনের জন্য তাকে বাধ্য করে।তার পিতা কঠোর প্রকৃতির লোক ছিলেন এবং কাজের জন্য তার সাথে বিভিন্ন সময় খারাপ আচরন করতেন এমন কি তাকে প্রহার করতেন।তার পিতার অত্যাচার তার উপর খারাপ প্রভাব ফেলে যা তিনি কখনো ভুলতে পারেনি। ঊট পালনের পাশাপাশি তিনি মাঝে মাঝে জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করতেন।এমনকি তিনি তার ফুপু বানু মাখজুমের ও পশু পালন করতেন।

পশু পালনের মাধ্যমে তিনি ক্ষমা,ধৈর্য,বলিষ্ঠতার মত গুন অর্জন করে।পশু পালনের পাশাপাশি তিনি কুস্তি,সমরবিদ্যা,ঘোড়া সওয়ারের মত খেলায় পারদর্শী ছিলেন।কবিতার প্রতি তার আগ্রহ ছিলো এবং তিনি কবিতা লিখতেন।ইসলাম প্রতিষ্ঠার পূর্বে মক্কায় তখন গুটিকয়েক লোক পড়তে এবং লিখতে পারতেন তার মধ্যে হযরত উমর (রাঃ) একজন।তিনি কিশোর বয়সে পড়া-লেখা শেখেন।

ইতিহাসের প্রতি তিনি আগ্রহ ছিলেন বিশেষ করে বিভিন্ন গোত্রের, তাদের মাঝে সংগঠিত বিভিন্ন যুদ্ধের এবং আরবের প্রাচীন ইতিহাস।ততকালীন আরবে ইতিহাসের চর্চা হতো বিশেষ করে 'উকাজ' 'মিজান্নাহ' 'দুল-মাজাজ' নামে বিখ্যাত মেলা হতো।সেই সকল মেলায় আরব সমাজের ইতিহাসবিদরা সাহিত্য আকারে ইতিহাস সকল গোত্রের সামনে বর্ননা করতেন।হযরত উমার (রাঃ) সে সকল মেলায় অংশগ্রহণ করেন এবং ব্যবসার পাশাপাশি ইতিহাস বিষয়ক জ্ঞান লাভ করেন।

ব্যাক্তি জীবনে তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।ব্যবসায় জন্য তিনি গরমকালে সিরিয়া এবং শীতকালে ইয়েমেনে যেতেন।ব্যবসায়ী সফলতার কারনে তিনি সম্পদশালী আরবদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন ।

হযরত উমর (রাঃ) একজন জ্ঞানী ব্যাক্তি ছিলেন।তিনি সুবক্তা এবং স্পষ্ট ভাষী ছিলেন।যখন তিনি কথা বলতেন পরিস্কারভাবে বলতেন।জাহিলিয়াতের যুগে তিনি একজন সমাজ প্রবর্তক ছিলেন।তার দাদা নুফায়েল ইবনে আব্দুল-উজ্জার মত তিনিও কুরাইশ গোত্রের বিভিন্ন বিচার কার্য পরিচালনা করতেন।মূলত বনু আদি গোত্র বিচার কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো।

ব্যক্তিত্বের দিক দিয়ে তিনি যেমন বলিষ্ঠ ছিলেন শারীরিক দিক দিয়েও তিনি ছিলেন আকর্ষণীয়। তার উচ্চতা অরবদের গড় উচ্চতার চেয় বেশী ছিলো।তার গায়ের রঙ লাল ফর্সা ছিলো।তার গাল, চোখ, নাক আকর্ষনীয় ছিলো। তিনি সুঠাম দেহের অধিকার ছিলেন।তিনি যখন হাটতেন দ্রুত হাটতেন, তাকে দেখে পর্বত সওয়ারী মত মনে হতো।

শারীরিক গঠন, চারিত্রিক গুনাবলী, জ্ঞান,প্রজ্ঞা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং বংশগত ঐতিহ্যের কারনে তিনি ততকালীন মক্কার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিনত হন।তিনি কোরাইশ গোত্রের দূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।অন্য গোত্রের সাথে যুদ্ধ বা ঝামেলা হলে তাকে কোরাইশদের প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করা হতো।

(চলবে)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ৯:১১

কামাল১৮ বলেছেন: পৃথীবির কোন মিউজিয়ামে চার খলিফার শাসন আমলের আর্কিওলজিক্যান প্রমান নেই,এমন কি মুদ্রাও নেই। তার বহু আগের শাসকদের বহু মুদ্রা ও পাথরে খোদাই করা লেখা আছে।
মদিনার উত্তরে সালেহ নবীর বিরাট শহর মাদা’য়েন সালেহ এখনো বর্তমান।পেট্রার পরে ওটাই বিরাট স্থাপনা আর চার খলিফার কোন স্থাপনা থাকবেনা।ইহুদি খৃষ্টানদের বহু স্থাপনা তারো আগের এখনো বর্তমান।অল্প কিছুদিন পরে মুসলমানদের বহু স্থান আজো বর্তমান আর চার খলিফার কিছুই থাকবেনা।ইরাক ইরান মিসর নিয়ে যাদের সাম্রাজ্য তাদের কোন মুদ্রা ছিল না এটা কি সম্ভব।

২| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:৫৫

জটিল ভাই বলেছেন: চলুক.......

৩| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১০:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ভাল লাগলো পড়তে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.