![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহুম্মা সাল্লা আলা সাইয়্যেদেনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলেহি ওয়া আসহাবীহি ওয়া আজওয়াজিহি ওয়া আহলে বাইতিহি ওয়া বারেক ওয়া সাল্লাম ।
পরম দাতা-দয়ালু আল্লাহর নামে
বিধানানুযায়ী আল্লাহর অসংখ্য প্রশংসা করিতেছি ।
সাক্ষ্য দিতেছি , খোদাদ্রোহী কাফেরের বিরূদ্ধে আর তা হইল --- আল্লাহ ছাড়া মাবুদ নাই , তিনি একক --- লা -শরীক । আরো সাক্ষ্য দিতেছি আমাদের নেতা , নবী ও মাওলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসুল , যিনি সৃষ্টিকুলের সেরা সম্মানিত মানুষ ।
আয় আল্লাহ ! আমাদের নেতা ও মাওলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ও তাঁর প্রানপ্রিয় বংশধর এবং দীপ্ত-ললাট সাহাবিদের উপর অনুগ্রহ , শান্তি ও করুনা বর্ষণ কর ।
হে আল্লাহর বন্দারা ! মিথ্যা শ্রবণ ও কথন থেকে দুরে থাক । আর তোমাদিগকে নিষেধ ও সাবধান কৃত বিষয়ে থেকে বিরত থাক ।
মনে রাখ ! আল্লাহ এমনি কাজের আদেশ দেন , যা তিনি নিজে শুরু করিয়া ফেরেশতাগনে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনার নির্দেশ দেন । পরে মানব ও দানবের মু'মেনদিগকে নির্দেশ দেন ।
অনন্ত আদেশ ও সংবাদের ভংগিতে আল্লাহ বলেন :
আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাকুল নবীর পরে দরূদ প্রেরণ করেন ! হে মু'মেনরা , তোমরাও তাঁর পরে দরূদ -সালাম পেশ কর ।
আয় আল্লাহ ! আমাদের নেতা । নবী ও মাওলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম যিনি মক্কা-মদিনার ঈমাম ও দু'বার হিজরতকারী আর তাঁর বংশধরদের পরে অনুগ্রহ , শান্তি ও বরকত দান কর ।
হে নবীর শাফাআত আকাংখী !
তাঁর পরে তোমরাও দরুদ-সালাম পাঠাও ।
খোদা ! হৃদয়-জ্বোতি ও চক্ষু-তৃপ্ত আমাদের নেতা , নবী ও মাওলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের আর তাঁর বংশধরদের পরে অনুগ্রহ, শান্তি ও বরকত প্রেরণ কর ।
তাই তাঁর নুর দর্শনাকাংখী হে মানব !
তোমরাও তাঁর পরে দরূদ-সালাম প্রেরণ কর ।
বিশেষতঃ
সাহাবীদের সেরাবংশোম্ভব কোহাফ তনয় আমিরুল মু'মিনীন সায়্যেদিনা আবু বরক ছিদ্দিক রাজি আল্লাহু তায়ালা আনহু ;
অতিশয় ধর্মভীরূ , ন্যায় ও স্পষ্টবদী খাত্তাব তনয় আমিরূল মু'মিনীন সাইয়্যেদিনা ওমর রাজি আল্লাহু তায়ালা আনহু ;
কোরআনে সংগ্রাহক , লজ্জাশীল ও দৃঢ় বিশ্বাসী আফফান তনয় আমীরুল মু'মিনীন সাইয়্যেদিনা হযরত ওছমান গনী রাজি আল্লাহু তায়ালা আনহু ;
আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিজয়ী ব্যাঘ্র রাসুল জামাতা আবু তালেন তনয় আমিরুল মু'মিনীন হযরত আলি রাজি আল্লাহু তায়ালা আনহু পরে দরুদ ও সালামের ধারা যেন বিরাজ থাকে ।
তা ছাড়া হযরত আলি (রাঃ) শান্তির প্রতিক পুত্রদ্বয় সাইয়্যেদেনা আবু মুহাম্মদ হাসান ও আবু আবদুল্লাহ হোসাঈন রাজি আল্লাহু তায়ালা আনহুমা এবং তাদের মাতা সাইয়্যেদেনা হযরত ফাতেমাতুজ্জোহরা রাজি আল্লাহু তায়ালা আনহা এর উপর ;
আর হযরতের মহান দই চাচা যাঁরা আল্লাহর ও মানুষের নিকট সম্মানিত , আবিলতা ও অপরিচ্ছন্নতা থেকে পবিত্র , সে আবু ওমারাতা হামজা এবং আবুল ফজল আব্বাস রাজি আল্লাহু তায়ালা আনহুমার উপর দরূদ - সালাম ।
বেহেশতের সুসংবাদ প্রদত্ত দশজন নিশিষ্ট সাহাবাবৃন্দের পরে কেয়ামত পর্যন্ত যেন দরূদ-সালামের ধারা অব্যহত থাকে ।
আল্লাহ ! ইসলাম ও মুসলমানদের বিজয়ী কর আর লজ্জিত -পরাস্ত কর কাফের, ফাসেক , সব শ্রেনীর বিরুদ্ধেবাদীদের ।
খোদা ! আমাদের দেশ ও সকল ইসলামী দেশ কে স্থায়ী কর এবং তাঁর রাষ্ট প্রধান , মন্ত্রী-মন্ডলীকে তোমার সরল পথে চালাও , আর বিশ্ব-জাহানে, মানব সমাজে শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার তওফিক তাদের দান কর ।
আল্লাহ ! তাদের ও তাদের সেনাদিগে বিজয়ী কর ; বিশেষতঃ তাদের বিজয় ও নিরাপদ রাখ ,আর তাদের চেষ্টায় বিদ্রোহীদের পরাভুত কর । ইহ-পরকালের চাবীকাঠি তোমার ই হাতে ।
আয় আল্লাহ ! আমাদের আলেমদিগকে সম্মান দাও , ধর্ম-সেবায় তাদের নিয়োজিত রাখা ছাড়াও তোমার জন্য রাখ নিবেদিত । আর তাদের ভ্রান্ত উদ্দেশ্য এবং আভন্তরীন রোগের ময়লা দুর কর ।
আল্লাহ ! আমাদের সাধারন মানুষকে তোমার ও তোমার রাসুল এবং নেতাদের অনুসারী হওয়ার তওফিক দাও । আর তারা যেন ভ্রান্ত নৈতিকদের অনুসারী না হয় , সে জন্য তাদের প্রকৃত গেয়ান দাও ।
আল্লাহ ! আমাদের নেতা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের ধর্মের সাহায্যকারীদের বিজয়ী কর , আমাদের কে তাদের অনতর্ভুক্ত কর ।
কিন্তূ আমাদের নেতার ধর্ম যারা হীন করতে চাহে , তাদের দলভুক্ত আমাদের করিও না ।
আল্লাহ ! সকল মুসলমানদের ঘরে ঘরে শন্তি ও মার্জনা লিখিয়ে দাও আর লিখ আমাদের ক্ষমা-শান্ত-নিরাপত্তা আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের উম্মতের তোমার সকল বান্দার উদ্দেশ্যে ।
খোদা ! ইহলোক ও পরলোকে আমাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল দান কর এবং মু'মেন নর নারীর জীবিতদের ও যারা মারা গিয়াছে তাদের গুনাহ মার্জনা করিয়া দাও ।
হে প্রধানতম অনুগ্রহকারী ! বিশ্ব-প্রভুর যাবতীয় প্রশংসা ।
বিতাড়িত শয়তান হইতে আল্লাহ পানাহ চাই ।
ইনছাফ, সদাচার ও ঘনিষ্ঠদের দানের জন্য আল্লাহ তোমাদিগকে আদেশ এবং নিষেধ করেন অশ্লিল, অন্যায় ও অবাধ্যতা হইতে , যেন তোমরাও উপদেশ প্রপ্ত হও ।
আল্লাহকে স্মরণ কর , আল্লাহ তার প্রতিফল দিবেন । তাঁকে ডাক , তিনি তার প্রতিদান দিবেন ।
সত্য আল্লাহর জিকির উচ্চ , উত্তম,সম্মানিত, সর্ববৃহৎ, প্রয়োজনীয় এবং পুর্ণতম শ্রেষ্ট ।
খোতবায়ে-ইবনে নোবাতার বঙ্গানুবাদ
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০০
খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: খোতবা র প্রতিদিনে বিষয় গুলো নি্যে খাতিব সাহেব বাংলায় আলোচনা করে থাকেন । তার পর যারা আরবি অংশের অর্থ জানতে চাইবে তাদের একটু কস্ট করতেই তো হবে পড়তে হবে । জানতে হবে । ইহার মাধ্যোমে আরো বরকত ময় বিষয় গুলো ও জানা জাবে ।
আমরা নামাজে সুরা কিন্তু আরবি তে পড়ি । কারন এটাই নিয়ম । তাই বলে যারা আমরা াসলেই জানতে চাই তাদের জন্য বাংলায় তরজমা পাওয়া যায় । সাধারনের জন্য সকল সুবিধা দিয়ে লাভ নেই ভিতরের খবর বিশেষরা ই পেয়ে থাকে ।
" মাথায় ঘিলু থাকলে " সম্মানিত পাঠক আমি এ সকল ভাষায় অভ্যস্ত নই । দয়া করে কি ইসলামিক এই বল্গে একটু সাধারন সুন্দর ভাষায় আপনার মতামত করা যায় না । দয়া করে এই বিষয়টা একটু চিন্টা করে দেখবেন ।
আমি বল্গে ইসলামিক এই বিষয় গুলো সেয়ার করছি আমার নিজের তাসাল্লির জন্য । আমি দেখেছি ব্লগে আনেক ধরনের মানুষ ই বিচিত্র সকল বিষয়ে নি্যে খুব সুন্দর সুন্দর বিষয় তুলে আনে । কিন্তূ ইসলামিক আকিদাত এর বিষয়ে এদের বেশির ভাগ ই গুমরাহিদের মতাদর্শে বিশ্বাসি যা আমার কাছে খুব কষ্টের .. আমার এই কষ্ট থেকে বেরুতেই আমার এই চেষ্টা । জানি ২০১১ এর এই জামানায় মানুষ কত বিচিত্র বিষয় গুলো নিয়ে চিন্তা করে ,আমার ভাল লাগে আধুনিকতা । সুন্দর আধুনিক বিষয় গুলো আমাকেও খুব আলোড়িত করে ।
এই সময় ইসলামের এই গুরুগ্মভির তথ্য মানুষ খুব যে এপ্রিসিয়েট করবে তা আশা করছি না । তবে বিষয় গুলো খুবই গুরুত্ব পুর্ন বিধায় আমাদের মধ্যে থেকে কাউ কে না কাউ কে এই বিষ্যে আসতে হবে ।
আপনি কিছুটা দুঃখ নি্যে কথা গুলো বলেছেন এ বিষয়টা আমি বুঝতে পেরেছি ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৭
নিষ্কর্মা বলেছেন:
আপনার কৃত খুতবার বাংলা অনুবাদটা অনেকে বোলোগ থেকে পড়বে, এবং বাংলাদেশের আপামর মুসলমান জনগোষ্ঠী এ থেকে উপকৃত হবে, এই ভেবে মনটা পুলকে ভরে যাচ্ছে।
কিন্তু খামোশ, মসজিদে মসজিদে একটি বারও প্রতি শুক্রবার বাংলা খুৎবা পড়ার জন্য কোন দাবী করবা না। সেইটা শরিয়তের বিরুদ্ধাচারন হবে। কেননা, সুন্নাত হল আরবীতে খুৎবা পড়া। এবং আমাদের কেউ তা না বুঝলেও সেই সুন্নাত মেনে চলতেই হবে। ইজমা-কায়েস করে কোন কিছুই যুগোপোযোগী করা যাবে না কিছুতেই।
মাথায় ঘিলু থাকলে নিজের দেশের উপযোগী খুতবার জন্য দাবী করুন, বোলোগে এইসব অনুবাদ লিখে নিজের সময় নষ্ট কইরেন না।