নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উড়াল খাতা

ইয়া সোহীবাল জামালে ওয়া ইয়া সাইয়্যেদার বাসার , মিন ওয়াঝ-হিকাল মুনিরে লাকাদ নাওয়ারাল কামার , লা ইয়ামকানুস সানুউ কামা কানা হাক্কাহু , বাআদাজ খোদা বুজুর্গ তুই কিস্ছাহ মুখতাছার ।

খাজা মুহাম্মদ মাসুম

আল্লাহুম্মা সাল্লা আলা সাইয়্যেদেনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলেহি ওয়া আসহাবীহি ওয়া আজওয়াজিহি ওয়া আহলে বাইতিহি ওয়া বারেক ওয়া সাল্লাম ।

খাজা মুহাম্মদ মাসুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইলমে গায়্‌ব নবী করীমের নুবুয়তের অন্যতম দলীল ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫৩

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

প্রিয় সুহৃদ

আসসালামু আলাইকুম



ইলমে গায়ব বিষয়ে আনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে , সে কারনে এই বিষয়ে কোরআন শরীফ থেকে ও সহীহ বুখারী শরিফ ও ( মুত্তাফাকুল আলাই )হাদিস নি্যে মুল পোস্ট টি সাজান হয়েছে । যারা জানতে চান কেবল তাদের জন্য । আর যারা সত্য জানবেন কিন্তূ কক্ষিন কালেও মেনে নিবেন না কোরআন হোক আর সহীহ হাদিস হোক নবী জি কে ছোট করা যাদের ধর্মে পরিনত হয়েছে কোরআন বা হাদীস কোন বিষয় নয় তাদের ব্যাপারে আমার কিছু বলার নাই । আল্লাহই তাদের জন্য যথেষ্ট ।





হযরত আমর ইবনে আখতাব রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্নিত , তিনি বলেন , আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহয় তা'আলা আলাইহিস সালাম একদিন আমাদেরকে নিয়ে ফজরের নামাজ পড়লেন । অতঃপর মিম্বরে আরোহন করলেন এবং আমাদের উদ্দেশে দীর্ঘ বক্তব্য প্রদান করলেন ; এমন কি যোহরের নামায পড়ালেন ।অতঃপর আবারো আরোহন করলেন মিম্বরে , আর বক্তব্য দেওয়া শুরু করলেন ,এমন কি আসরের নামাযের সময় উপস্থিত হল । অতঃপর মিম্বরে হতে নেমে আসরও পড়লেন । পুনরায় মিম্বরে আরোহন করে বক্তব্য দিতে দিতএ সুর্য অস্তমিত হয়ে গেল । সে দিন নবী করীম অতীতে যা কিছু এবং ভবিষ্যতে যা কিছু হবে সকল বিষয়ে আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন । আমাদের মধ্যে যাঁদের স্মরণশক্তি অধিক তাঁরা সেসব (অদৃশ্য) সংবাদ বেশী মনে রাখতে পেরেছেন ।



( সুত্র : বুখারী শরীফ হাদিস নম্বর ৬২৩০ কিতাবুল কদর , মুসলিম শরিফ হাদিস নম্বর ২৮৯১ কিতাবুল ফিতান , তোরমিযী শরীফ হাদিস নম্বর ২১৯১ কিতাবুল ফিতান , আবু দাউদ শরীফ হাদিস নম্বর ৪২৮ কিতাবুল ফিতাম , মিসকাতুল মাসাবিহ : কিটাবুল ফিটাম ৪৬১ পৃষ্ঠা )



প্রসঙ্গিক আলোচনা



মহান রাব্বুল আলামীন পৃথিবীর বুকে মানবজাতির হিদায়াতের জন্য যত নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন সবাইকে তাঁদের নুবুয়তের দলিল হিসাবে কতিপয় মু'জিযাও দান করেছেন ।

অন্যান্য নবীগনের ক্ষেত্রে ঐসব মু'জিযার সীমিত থাকলেও আমাদের প্রিয়রাসুল সাইয়্যিদুল মুরসালীন সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম -এর ব্যাপার ছিল সম্পুর্ন ভিন্ন । অন্য নবীগনের যাবতিয় মু'জিয়া একত্রিত করলে যা হয় তাঁর সবক'টি তো বটে; বরং এরপরেও আরো কত মু'জিযা দান করেছেন তা গননা করা যাবে এমন হিসেবের খাতা নীল আকাশের নিচে খুজে পাওয়া যাবে না ,

গননা বাইরে যে সব মু'জিযা রয়েছে এর একটি হল ইলমে গায়েব বা "অদৃশ্যজ্ঞান "। এই ইল্‌মে গায়েব মহানবীর অতুলনীয় বৈশিষ্টাবলীর অন্যতম আর মহান আল্লাহর অনুগ্রহ । যেমন কোরআনে পাকে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন ।





এই আয়াতের শেষ অংশে " ওয়া আল্লামাকা মালাম তাকুন তায়'লাম ও কানা ফাদ'লুলাহি আলাইকা আযিমা '

অর্থাৎ আপনাকে যা জানা ছিল না তিনি আপনাকে সবই শিক্ষা দিয়েছেন এবং টা ছিল আপনার উপর আল্লাহর মহা অনুগ্রহ ।



পবিত্র ক্বোরআনের ভাষায় বলা যায় - নবীপাক সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য মহান আল্লাহ অজানা কিছুই রাখেন নি ; হোকনা তা অতীত কিংবা ভবিষ্যত । কিয়ামত পরবর্তি বেহেশত-দোযখের সংবাদ পর্যন্ত যেখানে লুকায়ে থাকতে পারেনি ।তাই তো তিনি উপস্থিত আনেক লোকের মনের খবর বলে দিয়েছেন , মুনাফিক্বেদের অন্তরে আবৃত অন্ধকার কুঠুরিতে লালিত কপটতা প্রকাশ করে মসজিদ থেকে তাদের অনেককে বের করে দিয়েছেন । এমন কি অনেক সাহাবীর আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বংশ তালিকা নিখুঁত ভাবে বলে দিয়েছেন এ গুলো কি প্রমান করে না নবীপাকের ইলমে গায়েব বিতর্কের উর্ধ্ধে একটি স্বীকৃত বিষয় ?



আল্লাহর রাসুলের বাল্যবন্ধু নয় কেবল সারাজীবনের একান্ত সঙ্গী ইসলামের প্রথম খলিফা এবং নবীগনের পর যিনি শ্রেষ্ট মানুষ , সিদ্দিকে আকবর হযরত আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ইসলাম গ্রহনের প্রক্কালে নবী করীমের কাছে তাঁর নুবুয়তের পক্ষে দলিল কি আছে জানতে চাইলে নবী করীম উত্তর দিতে গিয়ে ভ্রু কুঁচকে ফেলেন নি বরং দু'শ ভাগ দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে বলে দিয়েছিলেন কেন গত রাতে তুমি যে স্বপ্ন দেখেছ , আকাশের চন্দ্র-সুর্য তোমার কোলে এসে হাজির । আর সিরিয়া যাত্রাপথে সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যাকারী তোমাকে যা কিছু বলেছে তাইতো আমার নুবুয়তের পক্ষে দলিল ।

এমন আশ্চর্যজনক তথ্যপ্রদানের অবস্থ হচ্ছে সিদ্দিক-ই-আকবরের স্তম্ভিত ! তিনি শতভাগ নিশ্চিত হলেন যে , এই অদৃশ্যজ্ঞানের সংবাদদাতা (নবী) কষ্মিণকালেও মিথ্যুক হতে পরেন না ।



তিনিই মহান আল্লাহর সত্য নবী । সন্দেহাতিত ভাবে তাঁর নবুয়ত প্রমানিত ।

তদ্রুপ হযরত আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কথা শোনা যাক । বদরের যুদ্ধের বন্দিদের কে মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ হলে অন্য বন্দীরা যথারীতি মুক্তিপণ আদায়ে ব্যস্ত । এ দিকে চাচা হযরত আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও ঐ যুদ্ধবন্দীদের একজন । তিনি ভাতিজার কাছে এসে আবেদন করলেন বাবা ! আমি তো গরিব মানুষ ! মুক্তিপন দেয়ার মত আমার কাছে কোন সম্পদ নেই ।উত্তরে নবী করীম বললেন " কেন চাচা ! আপনি যুদ্ধে আসার পুর্বে আমার চাচীর কাছে যে স্বর্নালন্কার লুকিয়ে রেখে এসেছেন সে গুলো কোথায় ? হযরত আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহূর সে গোপন সংবাদ তো দুনিয়ার বুকে অন্য কেউ জানার কথা নয় ! কিন্তূ তাঁর ভাতিজা কিভাবে সুস্পস্টভাবে বলে দিলেন । তা রীতিমত বিষ্ময়ের ! না! এ ধরনের অদৃশ্য সংবাদদাতা কোনদিন মিথ্যুক হতে পারেন না । তাঁর কপালও চমকে উঠল । নবীজীর হাতে নিজেকে সঁ'পে দিয়ে বলে উঠলেন হে আল্লাহর রাসুল ! আমাকে ইসলামের কালেমা শরীফ পড়িয়ে মুসলমান বানীয়ে দিন । আমি এতদিন ছিলাম গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত। এবার আলোতে আসতে চাই । নবীজি তাঁকে কালেমা পড়িয়ে নিজ হাতে বায়াত করে মুসলমান বানালেন । এ ভাবে একজন জাহান্নামী মুহুর্তে বেহেশতী হয়ে গেলেন । শুধু কি তাই ? নবীর পরশে শ্রেষ্ট সোনার মানুষে রুপান্তরিত হলেন ।

এ ভাবে হাজারো দৃষ্টান্ত রয়েছে যদ্বারা স্পস্ট প্রমাণিত হয় -মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবীব কে ইলমে গায়েব দান করেছেন ।

এখন আরো কয়েকটি সহিহ হাদীসের উদ্ধৃতি পেশ করব যাতে সহীহ হাদীস ছাড়া অন্য কিছূ মানিনা বলে যারা গলার পানি শুকিয়ে ফেলে তারা বিষয়েটি শজে বুঝতে পেরে হিদায়াত লাভ করে ।



হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত , তিনি বলেন একদা হুজুর নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম আমাদের সামনে দন্ডায়মান হলেন অতঃপর সৃষ্টিজগতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তথা বেহেশত বাসীরা বেহেশতে এবং দোযখনাসীরা দোযখে প্রবেশ করা পর্যন্ত সবকিছু আমাদের সামনে বলে দিলেন । আমাদের মধ্যে যারা মুখস্ত রাখতে পেরেছে তারা মুখস্ত রেখেছে ; আর যারা ভুলে যাবার তারা ভুলে গেছে ।

[ বুখারী : হাদীস নং ৩০২০ : কিতাবু বাডয়িল খালক্ব ]



হযরত হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত । তিনি বলেন রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সামনে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করলেন- সে দিন থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে টার কোন বিষয়েই তাঁর বক্তব্যে বাদ দেননি । শ্রোতাদের মধ্যে যে মুখস্থ রাখার সে মুখস্ত রেখেছে আর যে ভুলে যাবা সে ভুলে গেছে ।

( বুখারী শরীফ হাদীস নং ৬২৩০ কিতাবুল কদর । মুসলিম শরীফ হা:নং২৮৯১ কিতাবুল ফিতন )



হযরত আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আহু হতে াপর এক হাদীস শরিফে দেখা যায় । তিনি বলেন একদা নবীপাক সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মাঝে তাশরীফ আনলেন তখন সয়র্য পশ্চিমাকাশে দিকে ঝুঁকে পড়েছিল ( অর্থাৎ যোহরের নামাযের সময় হয়ে গিয়েছিল ) অতঃপর নবী করীম যোহরের মানায পড়লেন আর সালাম ফিরানোর পর মিম্বরে আরোহন করে ক্বিয়ামতের আলোচনা রাখলেন এবং ক্বিয়ামতের পুর্বেকার কতিপয় বড় বড় ঘটনা বর্ননা দিলেন আর উপস্থিত সাহাবিদেরকে সম্বোধন করে বললেন , খোদার কসম তোমরা আমার কাছে যা কিছু জানতে চাইবে আমি এই মজলিসেই সব প্রশ্নের উত্তর দেব ।

হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন হুজুরের বানীর এমন দৃঢ়তা দেখে আনসারী সাহাবাদের মধ্যে আনন্দের কান্নার রোল বয়ে গেলো । আর নবীপাক বারবার বলে যাচ্ছেন - তোমরা আমাকে প্রশ্ন কর , প্রশ্ন কর । অতঃপর এক ব্যক্তি দাড়িয়ে প্রশ্ন করল - হে আল্লাহর রাসুল ! পরকালে আমার ঠিকানা কোথায় হবে ? নবীপাকে বললেন জাহান্নাম । অথপর আবদুল্লাহ ইবনে হুযাফা বললেন -ইয়া রাসুল লাল্লাহ ! আমার পিতা কে ? নবী করীম বললেন - তোমার পিতা হুযাফা । নবীপাক আবার ও জোর তাগিদ দিয়ে বললেন , তোমরা প্রশ্ন কর , প্রশ্ন কর ।

অথপর ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নবী করীম বরাবর সামনে গিয়ে বসলেন আর বললেন -আমরা সন্তস্ট আল্লাহ কে রব হিসাবে পেয়ে , ইসলাম কে ড্বীন হিসাবে আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে রাসুল হিসেবে পেয়ে । তিনি এসব কথা বলার সময় নবী করীম চুপ রইলেন । অতঃপর বললেন -সেই সত্তার কসম ! যার হাতে আমার প্রান , আমার এ দেয়ালের সামনে এই মাত্র বেহেসত ও দোযখ হাজির করা হয়েছে , যখন আমি নামায পড়ছিলাম , আজকের মত কোন ভাল-মন্দকেও দেখিনি ।

(সুত্র বুখারী শরীফ হাদীস নং৬৮৬৪ কিতাবুল ই'তিসাম , বিল কিতাবে ওয়াস সুন্নাহ :, মুসলিম শরীফ হাদিস নং ২৩৫৯ )

এ ভাবে অসংখ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় রাসুলে আকরম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া ষাল্লাম ইলমে গায়েবের অধিকারী ছিলেন । অবশ্যই তা আল্লাহ প্রদত্ত ।

আর সত্তাগত আলিমুল গায়েব হলেন একমাত্র আল্লাহ । আর আল্লাহর রাসুলের ইলমে গায়েব আল্লাহ্‌ প্রদত্ত । যেমন এ পসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে -

'' মা কানাল্লাহু লি উতলিয়াকুম আলাল গাইবে ওয়া কিন নাল্লাহা ইজতাবিয়ু মির রুসুলিহু মাইয়া সায়ু ''

অর্থাৎ হে সাধারাণ লোকগন ! আল্লাহ তা'আলার শান নয় যে , তিনি তোমাদেরকে ইলমে গায়েব দান করবেন , তবে হ্যাঁ রাসুলগনের মধ্য হতে তিনি যাকে চান তাকে অদৃশ্যজ্ঞানের জন্য মনোনীত করেন ।( সুরা আলইমরান ১৭৯)

রসুলগণের মধ্য হতে যদি আল্লাহ পাক কাউকে নির্বাচিত করেন। তাহলে সর্বপ্রথমে কাকে নির্বাচিত করবেন টা সহজেই অনুমেয় ।

আরেক জায়গায় ইরশাদ হয়েছে ;

তিনি স্বীয় গায়েবের বিষয়ে কাউকে ক্ষমতাবান করেন না । কিন্তূ রাসুলদের মধ্য যার উপর তিনি সন্তষ্ট হন ( তাকেই ক্ষমতা বান করেন )

(সুরা জিন- আয়াত ২৬-২৭ )



আল্লাহ তায়ালা ইরশদ করেছেন ' আল্লামাকা মা লাম তাকুন তা'আলাম " আর্থাৎ ' তিনি আপনাকে এমন জিনিস শিক্ষা দিয়েছেন যা আপনি জানতেন না "

( সুরা নিসা আয়াত ১১৩)

এ আয়াতে ব্যাখা করতে গিয়ে প্রসিদ্ধ গ্রন্থ জালালাইন শরীফে বলা হয়েছে " আউযয়ু মিনাল আহকামে ওয়াল গাইব '' অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহিস সালাম কে শরীয়তের যাবতিয় হূকুম ও গায়েব সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছেন ।

উপরে বর্নিত আয়াত এবনহ জালালাইন শরীফের ব্যাখ্যা দ্বারা বুঝা গেল

আল্লাহ রাব্বুল আলামিনন তানন হাবীব সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম কে ইলমে গায়েব জানাইয়াছেন । তাই আমরা বলি রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম ইলমে গায়েব জানেন । অসংখ্য হাদিসে মাধ্যমে জানা যায় যে রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম স্পস্ট বলে দিয়েছেন -কে কখন মৃত্যুবরন করবে ? কোন জায়গায় কে মারা যাবে এবং কার গর্ভে ছেলে সন্তান অথবা মেয়ে সন্তান রয়েছে ইত্যাদি।

যদি রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম এ সব বিষয়ে গয়েব না জানতেন , তাহলে সম্স্ত গয়েবের সংবাদ কি ভাবে দিলেন ?

তাফসীরে সাভার ৪র্থ খন্ডে ২৭৫ পৃষ্টা রয়েছে

"ইনণাহু সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম লাম ইয়াখ রুজু মিনাদ দুনিয়া হাত্বা আ'লামাহু ল্লাহু বি জামইহি মুগি বাতিদ দুনিয়া ওয়াল আখেরাহ "

অর্থাৎ আল্লাহর দুনিয়া এবং আখেরাতের সমস্ত গায়েব না জানানো পর্যন্ত রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম দুনিয়া থেকে ইনতেকাল করেন নি ।

তাফসিরে খায়েন ৪র্থ পারায় রয়েছে ;

" মা কানা ল্লাহু লি ইয়াজ রাল মুক মিনিনা আলা মা ানতুম আলাইকুম "

উক্ত আয়াতের ব্যখ্যাু উল্লেখ করা হয়েছে - রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম এরশাদ করেন , আমার কাছে আমর উম্মতকে তাদের নিজ নিজ মাটীর আকৃতিতে পেশ করা হয়েছে যেমন ভাবে আদম আলািহিস সালাম এর কাছে পেশ করা হয়েছিল । আমাকে জানানো হয়েছে , কে আমার উপর ঈমান আনবে ? কে আমাকে অস্বিকার করবে ? যখন এ খবর মুনাফিকদের কাছে পোছলো তখন তারা ঠাট্টা করে বললো -কে তাঁর উপর ঈমান আনবে আর কে তাকে অস্বিকার করবে তাদের কে তাদের জন্মের পুর্বেই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম জানতেন বলে বলেন । অথচ আমরা তাঁর সাথেই আছি - কিন্তু আমাদেরকে চিন্তে পারেন নি । এ খবর যখন রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম -এর নিকট পৌছলো । তখন তিনি মিম্বরের উপরে দাড়ালেন এবং আল্লাহর প্রসংসা করে ইরশাদ করলেন

(" কালা মা বালআকওয়ামে তায়ানু ফি ইলমি লা তাসআলু নি আন শাঈন ফিমা বাইনাকুম ওয়া বাইনাস সাআতি ইল্লা আনবাইতুকুম বিহ্‌")

অর্থাৎ " এসব লোকেদের ( মুনাফিকদের) কি যে হলো আমার জ্ঞান নি্যে তারা বিরূপ সমালোচনা করছে । তোমরা এখন থেকে কেয়ামত পর্যন্ত যে কোন বিষয় সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসা করো আমি াবশ্যই উহা তোমাদের কে বলে দিবো"

(তাফসীরে খয়েন )





বুখারী শরীফের ' বাদ্‌য়ু খালকে " শীর্ষক আলোচনায় ও মিশকাত শরীফের বাদয়ু খলকে ওয়া জিকরুল আমবিয়া শীর্ষক াধ্যায়ে হযরত উমর ফারূক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহূ থেকে বর্নিত অর্থাৎ হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন -- " রাসুল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আনহু এক জায়গায় আমাদের সাথে অবস্থান করছিলেন । সে খানে তিনি আমাদের সৃষ্টির সুচনা তজেকে সংবাদ দিচ্ছিলেন - এমন কি বেহেস্তবাসী দোযখবাসী নিজ নিজ ঠিকানায় যাওয়ার াবধি পরিব্যাপ্ত যাবতিয় আবস্থা ও ঘটনা বলী প্ড়দান করেন ,যিনি ওসব স্মরণ রাখতে পেরেছেন তিনিতো স্মরণ রেখেছেন ; আর যিনি রাখতে পারেন নি তিনি ভুলে গেছেন । ( মেশকাত শরীফ ৫০৬)

মেশকাত শরিফের আল-ফিতনা অধ্যায়ে বুখারী ও মুসলিম শরীফ বরাত দিয়ে হযরত হুয়াইফা রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্নিত হয়েছে

অনুবাদ : রাসুল সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহিস সালাম সে স্থানে কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে সব কিছুর খবর দিয়েছেন । কোন কিছুই বাদ দেন নাই । যারা মনে রাখার তারা মনে রেখেছেন, আর যারা ভুলে যাওয়ার তারা ভুলে গেছেন ।( মিশকাত)

এ সমস্ত হাদীস শরীফের মাধ্যমে জানা গেল রাসুল সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহিস সালাম সৃষ্তির শুরু থেকে কেয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে উহা জানতেন এবং উহার সংবাদ সাহাবাদের দিয়েছেন ।







মুলত গবেষণা করলে দেখা যায় , নবীজীর বরকতময় জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে রয়েছে বিশ্বমানবতার জণয় শিক্ষনীয় বিষয় । আর অধিকাংশ গুরুত্বপুর্ণ মর্মসুচিতে দেখা যায় , ইলমে গায়েবের প্রভাব । পবিত্র ক্বোরআন-হাদীসের আলোতে সংক্ষেপে এতটুকু আলোচনা করলাম ।

আল্লাহ আমাদের উক্ত আলোচনা থেকে প্রকৃত ইলম জানার ও বোঝার তৌফিক দান করূন - আ-মিন ।





( বিস্তারিত জানার জন্য দেখতে পারেন হা-আল-হক্ব : প্রথম খন্ড )





মন্তব্য ১১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৬

শাহ আলম৬৭ বলেছেন: তাহলে বলেন তো--আয়েশা (রাঃ) কে মুনাফিকরা তুহমত দিলে নবীও তা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলায় দিশেহারা হলেন কেনো যদি গায়েবই জানতেন? আর নবী হিসেবে তার এমন মানবীয় দুর্বলতার কারণেই বা মা আয়েশা থেকেও তিনি দূরে থাকলেন কেন এতদিন--?

আল্লাহর ঘোষনায় তুহমত মিথ্যা প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত নবী কেনইবা বলতে পারলেন না যে, আয়েশার প্রতি আরোপিত অভিযোগ মিথ্যা ছিল? আর আয়েশাও বা নবীর ওপর অভিমান করে কেনই বা বললেন যে, আপনিওতো বিশ্বাস করেছিলেন এই তুহমত এবং তিনি নবীর সাথে কথাও বলতে চান নি অভিমানে??

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩০

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনি একটি মুল্যবান কথা বলেছেন । হযরত আইশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সে দিন কার বিষয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকল কিছুই জানতেন । তিনি আল্লাহ পাকঁকের আদেশের অপেক্ষা করছিলেন মাত্র । আনেক সময় হুজুর জানলেও আল্লাহর ওহির অপেক্ষা করতেন কারন এর মাধ্যমে একটি আয়াত নাজিল হবে একটি হুকুম পরম করুনাময়ের কাছ থেকে আসবে এবং আমরা মহান আল্লাহ বানী জানবো । কোন দিন ও আল্লাহর রাসুল এই বিষয়ে জানতেন না মত পোষন করা উন্নত উম্মতের লক্ষন নয় ।
সাহাবাই কেরাম কে আল্লাহর রাসুল কখন কিছু জানতে চাইলে তারা বলতেন " আল্লাহ ও আল্লাহ রাসুলই এই ব্যাপারে ভাল জানে " এই আদব টাই প্রকৃত মুসলমানদের আদব । যারা এই মত পোষন করে তিনি কিছুই জানতেন না , যদি জানতো তবে তা'য়েগের ময়দানে তিনি এত নিষ্ঠুড় ভাবে আহত হতেন না বা উহুদের যুদ্ধে তাঁর দানদান শহীদ হতো না । এটা নিছক দুষ্ট লোকের ই কাজ । আল্লাহ তাদের কাছ থেকে মুসলমান দের হিফাযত করূন ।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪১

জহির উদদীন বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২০

হিতৈষী বলেছেন: মূর্খতা আর কাকে বলে! এই সহজ কথাটা বুঝলেননা যে, নবী সাঃ গায়েব এর ততটুকুই জানতেন যা আল্লাহ উনাকে জানিয়েছেন। তাই বলে এ কথা বলা যাবেনা যে, তিনি ইলমুল গায়েব এর অধিকারী ছিলেন এবং সব গায়েব এর খবর জানতেন। নবী জীবনের হাজারো ঘটনা তার সাক্ষী। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ "" হে নবী আপনি বলে দিন,আমি আমার নিজের কোন উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতা রাখি না,তবে আল্লাহ যা চান।
আর আমি যদি গায়েব জানতাম তাহলে অধিক কল্যাণ লাভ করতাম এবং আমাকে কোন ক্ষতি স্পর্শ করত না। আমিতো শুধুমাত্র একজন সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য।" ( সুরা আ'রাফ/ ১৮৮)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আমি ও তো বলছি আল্লাহ হুজুর সাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালামকে সৃষ্টির প্রথম থেকে কিয়ামত পর্যন্ত সকল বিষয়ের ইলম দান করেছেন । তাই তিনি সকল বিষয়ে আল্লাহর হুকুমেই অবগত হয়েছেন । ( আপনার যদি নবী কে ছোট করে দেখবার ইচ্ছা হয় ) তাতে নবীকে আপনি ছোট কারবার সুযোগ নাই উপরে উল্লেখিত হাদীস দ্বারা প্রমানিত তাঁর মোবারক ইলম সম্পর্কে ।

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: অন্যান্য নবীগনের ক্ষেত্রে ঐসব মু'জিযার সীমিত থাকলেও আমাদের প্রিয়রাসুল সাইয়্যিদুল মুরসালীন সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম -এর ব্যাপার ছিল সম্পুর্ন ভিন্ন । অন্য নবীগনের যাবতিয় মু'জিয়া একত্রিত করলে যা হয় তাঁর সবক'টি তো বটে; বরং এরপরেও আরো কত মু'জিযা দান করেছেন তা গননা করা যাবে

আপনার ধারনা জ্ঞান খুব সিমিত। আপনি অন্য নবী রাসুলদের খাটো করছেন কিন্তু কোরআন তা বলেনা। মুহাম্মাদ (সাঃ) কেবল অন্য নবী রাসুলের মত একজন রাসুল বইত নয়। আসুন সূরা হা-মীম সেজদাহ ৪১ আয়াত ৪৩ দেকি কি বলেঃ
مَا يُقَالُ لَكَ إِلَّا مَا قَدْ قِيلَ لِلرُّسُلِ مِن قَبْلِكَ إِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍ وَذُو عِقَابٍ أَلِيمٍ
অর্থঃ আপনাকে তো তাই বলা হয়, যা বলা হত পূর্ববর্তী রসূলগনকে। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার কাছে রয়েছে ক্ষমা এবং রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
আপনি বরেছেন আল্লাহ তাকে মুহাম্মাদ (সাঃ) কে ইলমে গায়েব বা অদৃশ্যজ্ঞান দিয়েছে্ তার মানে দাড়ায় তিনি বর্তমান ও ভবিষ্যত জানতেন বা বলতে পারতেন? আপনার ধারনা কেবল হাদীস মতে ঠিক কিন্তু কোরআন একটু ভালো করে মনযোগ দিয়ে পড়ুন। আসনি দেখি সূরা আল আ’রাফ৭:১৮৮আয়াত কি বলেঃ
قُل لاَّ أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعًا وَلاَ ضَرًّا إِلاَّ مَا شَاء اللّهُ وَلَوْ كُنتُ أَعْلَمُ الْغَيْبَ لاَسْتَكْثَرْتُ مِنَ الْخَيْرِ وَمَا مَسَّنِيَ السُّوءُ إِنْ أَنَاْ إِلاَّ نَذِيرٌ وَبَشِيرٌ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
অর্থঃ আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য।
সূরা আহক্বাফ ৪৬:৯ আয়াতঃ
قُلْ مَا كُنتُ بِدْعًا مِّنْ الرُّسُلِ وَمَا أَدْرِي مَا يُفْعَلُ بِي وَلَا بِكُمْ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ وَمَا أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ বলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী বৈ নই।

দেখুন রাসুল বলছে "আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে (আল্লাহ্) কি ব্যবহার করা হবে।" তবে রাসুল তাহলে কিসের ভবিষ্যত জানে?

দেখলেন কোরআন কি বলে। অন্য নবীদের সাথে আপনি রাসুল কে সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলতে চাচ্ছেন। আপনি কি জানেন আল্লাহ স্বয়ং তাঁকে আলাদা করেনী। আসুন দেখি কোরআন কি বলে
সূরা বাকারা২:১৩৬ আয়াতঃ
قُولُواْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
অর্থঃ তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে, তৎসমুদয়ের উপর। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী।

আপনি লিখার আগে আরও ভালো করে কোরআন পড়ুন এবং জানুন তারপর লিখালিখি করলে ভালো লিখবেন। কেবল হাসীদ পড়ে সব সমাধান সম্ভব নয়। কোরআন হচ্ছে সেই কিতাব যা সত্য মিথ্যার মিমাংশাকারী। আগে কোরআন জানুন তারপর অন্য চর্চা । আল্লাহ্ সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করুন----আমেন

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৮

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনি কোরআন বোঝেন তো ! তাই কেবল আপনার মত অতিসয় পন্ডিতব্যাক্তির জন্য নিম্নের লিন্কটি
এখনেই দেখুন

এখানেও দেখুন

এখনেও দেখুন

উক্ত লিন্ক গুলোতে কেবল কোরআন শরীফে হইতেই আলোচনা হয়েছে ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪২

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আল্লাহ বলেন " আললাহ তোমাদের কাউকে গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন না কিন্তূ রাসুলদের মধ্যে যাকে নির্বাচিত করেন তাঁকে ( গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন ) সুরা আলইমরান ১৭৯

আল্লাহ ইরশাদ করেন ; তিনি স্বীয় গায়েবের বিষয়ে কাউকে ক্ষমতা বান করেন না । কিন্তূ রাসুলদের মধ্য যার উপর তিনি সন্তষ্ট হন ( তাকেই ক্ষমতাবান করেন )

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৪

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনি আমার কোড করা কোরআনের আয়াত বিষয়ে বলেন আমার কোড করা মুত্তাফাকুন আলাই হাদীস বিষয়ে আপনার মতামত বলুন । পুরো কোরআন নিয়ে আলোচনা পরে করি ।

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: অর্থাৎ আপনাকে যা জানা ছিল না তিনি আপনাকে সবই শিক্ষা দিয়েছেন এবং টা ছিল আপনার উপর আল্লাহর মহা অনুগ্রহ ।
আপনি কি এই আয়াত থেকে নিচের কথাগুলি লিখেছেন?
পবিত্র ক্বোরআনের ভাষায় বলা যায় - নবীপাক সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য মহান আল্লাহ অজানা কিছুই রাখেন নি ; হোকনা তা অতীত কিংবা ভবিষ্যত ।

আমার তো মনে হয় উক্ত আয়াতে নিরক্ষর নবীকে প্রচুর জ্ঞান দান করেছেন আল্লাহ, সেই বিষয়ের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। গায়েব তো ভিন্ন জিনিষ। নবী রসুলদের ক্ষেত্র বিশেষে (আল্লাহ যেখানে দরকার মনে করেছেন সেখানে) ইলমে গায়েব থাকবে সেটি অস্বাভাবিক কিছু না, কিন্তু কোরআনের এই আয়াত তো ইলমে গায়েব ব্যাখ্যা করে না।

সব রসুলদের অনেক মুজেজা আল্লাহ দান করেছেন, সেগুলিও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সুলাইমান আঃ পশুপাখির কথা বুঝতেন, আইয়ুব আঃ তিমির পেটে ছিলেন ৩ দিন, মুসা আঃ লাঠিকে সাপ বানিয়েছেন, ইসা আঃ ছুঁয়ে দিলে কুষ্ঠ রুগী ভাল হয়ে গেছেন/ মৃতকে জীবন দিয়েছেন, সবই আল্লাহর ইশারায়/সাহায্যে। মুহাম্মাদ সাঃ এর এমন একটি মজেজার কথা বলুন তো আপনি।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৫

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: দেখুন ইলমে গায়েব জানা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জন্য কোন বিরাট গটনা নয় । ইলমে গায়েব কোন কোন সময় কুকুর ও জানে । পশু পাখিকে আল্লাহ এই বিষয়ে ধারনা দিয়ে থাকেন । আবোহাওয়া অফিস কি করে বলেন তো ? একটি চোম্বুকের সাহায্যে এর গতি ও অন্যান্য সকল বিষয়ে অবগত হয়ে একটি সম্ভাব্য ভবিষ্যত বলে থাকে । যা আপনি ও চেষ্টা করলে পারবেন । বিপদ আপদে র বিষয়ে ইলম অর্জন আল্লাহর ই পবিত্র কিছু নামের জিকিরের মাধ্যমে চেষ্টা করলে আপনি এই বিষয়ে জানতে পারবেন । এখন বিষয় হচ্ছে মহা নবী সাল্লাল্লাহু তায়ালা যদি ইলমে গায়েব জানেন তবে সমস্যা ?

তাহলে বলতে বাধ্য হচ্ছি জুলুম করছেন তাঁর প্রতি যাঁর মাধ্যমে আল্লাহ্‌কে চিনেছেন ! যিনি আপনাকে আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত করলেন তাঁকেই আন্ডার এসটিমেট করছেন ।

আমাকে বলেন তো আল্লাহ কোন ইউনিভর্সিটিতে পড়ছে ? যদি আল্লাহর কোন ইউনিভার্সিটতে না পড়ে থাকেন তবে কেন মহা নবী কে নিরক্ষর বলবেন ।
নির্বোধ যদই নবীকেই না সম্মান কর তো তোমার আল্লাহও নাই কোন ধর্মও নাই ।

১।হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু লাইহি ওয়াসাল্লাম চন্দ্র কে দু'ই খন্ড করেছেন ।
২।হযরত মুহামদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম-এর কোন ছায়া ছিল না ।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম সকল আলমের জন্য নবী , অন্যান্য রা ছিল তাঁদের কওমের জন্য আর মহা নবী ছিলেল দো-জাহানের জন্য নবী ও রহমত সরুপ।
৩। মহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম মজেজার কোন সীমা ছিল না তিনি অতি মাত্রায় মাজেজা নি্যে সর্ব কালের শেরা হিসে বে ছিলেন আছেন থাকবেন ।
ইনশা আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম-এর মুজেজা বিষয়ে একটি পোস্ট খুব শিগ্রই লিখবো । ইনশা আল্লাহ ।

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শিকদার বলেছেন: এই সব তথ্যের বিভ্রান্তি কর ব্যাখ্যা না দিলে ইসলামের অনেক উপকার হবে ইনশাল্লাহ্‌ তা'আলা। এই গুলো থেকে বিরত থাকুন।

রাসূল (সাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম) গায়েব জানলে জিব্রাঈল (আঃ) এর দরকার হত না।

আল্লাহ পবিত্র কোর'আনে বলছেন, "বলে দাও গায়েবের কথা আল্লাহই জানেন। আমি ও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় রইলাম।" (Yunus: 20)


দয়া করে ইসলাম থেকে নিজেকে খারিজ করবেন না, আর মুসলমানদের ধ্বংস করার অস্ত্র শত্রুদের হাতে তুলে দিবেন না।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৫২

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: কোরআন ও স হীস বুখারি ও মুসলিম মুত্তাফাকুন আলাই হাদীস আপনাকে বিভ্রান্ত কড়েছে ? কি বলছেন দাদা ?

৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৪

শিকদার বলেছেন: কলসি কিছু খালি করেন বুঝেছেন, ভরা কলসিতে পানি ভরা যায় না।

মারেফতের জ্ঞান আর ইলমে গায়েব এক নয়। গায়েব হল যা কারও সাহায্য ছাড়া আপনি জানতে পারবেন। আর এটা তো মানেন যে কোন জ্ঞান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া জানতে পারবেন না। তাহলে এটা গায়েব হল কিভাবে। আল্লাহই তো জানি্যেছেন। যেখানে আল্লাহ বলছে কেউ গায়েব জানেনা সেখানে আপনি কে????

একে মারেফত বলা হয়। খাজা সাহেব।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৪

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: সকলেই খুব মনোযোগ দিয়ে পড়বেন ।
পবিত্র কোরআন থেকে কোড করছি ;

আল্লাহ বলেন " আললাহ তোমাদের কাউকে গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন না কিন্তূ রাসুলদের মধ্যে যাকে নির্বাচিত করেন তাঁকে ( গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন ) সুরা আলইমরান ১৭৯

আল্লাহ ইরশাদ করেন ; তিনি স্বীয় গায়েবের বিষয়ে কাউকে ক্ষমতা বান করেন না । কিন্তূ রাসুলদের মধ্য যার উপর তিনি সন্তষ্ট হন ( তাকেই ক্ষমতাবান করেন )

কোরআন থেকে দলিল দিলাম হাদীস থেকে দলিল দিলাম তার পরও জানি যারা মানবে না তাদের কে কোন দিন ও মানান যাবে না । চির হতভাগা সম্প্রদায় কে করার আছে ?

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৭

হিতৈষী বলেছেন: খাজা বাবা, মাথায় গোবর থাকলে তো বুঝবেননা যে, কিসে নবী কে ছোট করা হয় আর কিসে বড় করা হয় । নবীর উপর অবতীর্ন কুরআনের বিরোধিতা করলে আর আল্লাহর সাথে নবীকে শরীক করলে কি নবী (সাঃ) কে শ্রদ্ধা দেখানো হয় , নাকি অপমান করা হয় ? উপরে আমার কমেন্টে যে আয়াত উল্লেখ করেছি তার তো কোন জবাব দিলেননা বাবাজী। তা না করে উল্টা পাল্টা যুক্তি দিয়ে নিজের মূর্খতার পরিচয় বাড়িয়ে কি লাভ আপনার? আসুন তাওবা করে খাটি মুসলমান হয়ে যান। ভালো হইতে পয়সা লাগেনা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২০

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: কোরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমানিত বিষয়ে আপনি গোড়ামি করছেন । নিজ ভাবনা ভাবুন ।হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম ইলমে গাইব বিষয়ে প্রকৃত মুসলমানের কোন সন্দেহ নাই । কোন দলিলের প্রয়োজন নাই মেনে নিতে তবুও .. কারন ঈমান ই তো তিনি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম । তাকেই তো বিশ্বাস করেছি মেনেছি বলেই জেনেছি আল্লাহ এক । তিনি জানিছেন তাকেই মেনেছি তিনি সত্য ইহাই ইমান । আপনার মত কমজোর নই ।

দলিল কোরআন থেকে আশা করি মেনে নিবেন অযথা তর্কে যাবেন না ..
সকলেই খুব মনোযোগ দিয়ে পড়বেন ।


আল্লাহ বলেন " আললাহ তোমাদের কাউকে গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন না কিন্তূ রাসুলদের মধ্যে যাকে নির্বাচিত করেন তাঁকে ( গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন ) সুরা আলইমরান ১৭৯

আল্লাহ ইরশাদ করেন ; তিনি স্বীয় গায়েবের বিষয়ে কাউকে ক্ষমতা বান করেন না । কিন্তূ রাসুলদের মধ্য যার উপর তিনি সন্তষ্ট হন ( তাকেই ক্ষমতাবান করেন )

কোরআন থেকে দলিল দিলাম হাদীস থেকে দলিল দিলাম তার পরও জানি যারা মানবে না তাদের কে কোন দিন ও মানান যাবে না । চির হতভাগা সম্প্রদায় কে করার আছে ?

৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩২

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: ঐ মিঞা আমি নবী সাঃ কে আন্ডার এসটিমেট করেছি? আমি বলেছি আপনি অন্যান্য নবীদের সবার সাথে কেন তুলনা করেছেন? অন্য নবীগনের যাবতিয় মু'জিয়া একত্রিত করলে যা হয় তাঁর সবক'টি তো বটে; বরং এরপরেও আরো কত মু'জিযা দান করেছেন তা গননা করা যাবে এমন হিসেবের খাতা নীল আকাশের নিচে খুজে পাওয়া যাবে না । একজন নবীর সাথে একজনের তুলনা কাম্য নয়। সবাই সেরা, সবাই তখনকার এবং সে অঞ্চলের নবী ছিলেন, মুহাম্মাদ সাঃ ছিলে সর্বকালের সারা পৃথিবীর নবী। এটি তো আমি জানি এবং মানি।

আমাকে বলেন তো আল্লাহ কোন ইউনিভর্সিটিতে পড়ছে ? যদি আল্লাহর কোন ইউনিভার্সিটতে না পড়ে থাকেন তবে কেন মহা নবী কে নিরক্ষর বলবেন । এটি কেমন কথা বললেন? আমি তো বলেছি নিরক্ষর নবী সাঃ কে আল্লাহ মহাজ্ঞানী করেছেন। কিন্তু সেই জ্ঞানকে গায়েবের জ্ঞান বলে আপনি পাকিয়ে ফেলেছেন। আপন কি সেলিম জাহাঙ্গীরের কমেন্ট দেখেছেন? ওনার দেয়া ৩ টি আয়াতের উত্তর আমি চাচ্ছি।

আর অন্য নবীদের মজেজার সাথে নবীর মজেজার তুলনা করে পাকিয়ে ফেলবেন না। সবাইকে আল্লাহ আল্লাহর ইচ্ছা মত মজেজা, ইলমে গায়েব দিয়েছেন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪১

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: সরল সহজ ভাবেই কোরআনের আয়াত দ্বারা ও বুখারী ও মুসলিম মুতাফাকুন আলাই হাদীস দ্বারা সাবেত কড়েছি মহা নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া ষাল্লাম ইলমে গায়েব জানতেন ।
আপনি পাকাচ্ছেন ? মহা নবী -তো মহানবী তিনি ইমামুর মুরসালিন । তিনি সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ট ।


২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৬

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: ঐ মিঞা কি ? আমি কি আপনার মিঞা ভাই নাকি ?

১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৫

হিতৈষী বলেছেন: মূর্খ খাজা দেখছি এবার কুরআনের মনগড়া ব্যাখ্যা দেয়া শুরু করেছে । কুরআনে বর্নিত গায়েব দ্বারা কী অতীত - ভবিষ্যতের সমস্ত গায়েবের কথা বুঝানো হয়েছে? ওরে গন্ড মুর্খ! এই আয়াতের পুরাটা পড়লেই তো বুঝা যায় এখানে কোন গায়েবের কথা বুঝানো হয়েছে। অবশ্য আপনার মত মুর্খের তা না বুঝারই কথা। তাফসীর রুহুল মাআনী , ইবনে কাসীর সহ অন্যান্য তাফসির দেখুন, কুরআন বুঝার মত জ্ঞান থাকলে বুঝবেন এখানে কোন গায়েব বুঝানো হয়েছে। পুরা তাফসীর আমি এখানে উল্লেখ করতাম কিন্তু ভাবছি 'উলুবনে মু্তা ছড়ানো' ' হয় নাকি তাই উল্লেখ করলামনা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৩

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: কথা বার্তার ই আদব জানেন না । কোরআন হাদীস বুঝবেন কিভাবে । আদব ছাড়া কোরআন হাদীসে ইলম জানা যায় না । আপনার প্রতি পরামর্শ হচ্ছে ভালো একজন উস্তাদ রেখে আগে আদবের ক্লাসটা ভাল করে করেন এর পর কোরআন হাদীস এর বিষয়ে বোঝাতে আইসেন ।
তফছির না পড়ে কি এখানে আসছি ।
আপনাকে সতর্ক করছি উদ্ভট আচরন থেকে ।

দয়াকরে বলুন কি কি তফশির আপনি পড়েছেন বা আপনার সামনে আছে ?
আমি এখন পুরো তফসির আলোচনা করবো সব গুলো কিতাবে
বিশেষ করে জালালাইন শরীফ ।
আদবের সাথে আসুন কথা বলি ।

১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৬

হিতৈষী বলেছেন: পুরা তাফসীর আমি এখানে উল্লেখ করতাম কিন্তু ভাবছি 'উলুবনে মক্তা ছড়ানো' ' হয় নাকি তাই উল্লেখ করলামনা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৩

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আমি আলোচনা করি আপনি পড়ুন এবং চুপ থাকুন ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৪

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা ইরশদ করেছেন ' আল্লামাকা মা লাম তাকুন তা'আলাম " আর্থাৎ ' তিনি আপনাকে এমন জিনিস শিক্ষা দিয়েছেন যা আপনি জানতেন না "
( সুরা নিসা আয়াত ১১৩)
এ আয়াতে ব্যাখা করতে গিয়ে প্রসিদ্ধ গ্রন্থ জালালাইন শরীফে বলা হয়েছে " আউযয়ু মিনাল আহকামে ওয়াল গাইব '' অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহিস সালাম কে শরীয়তের যাবতিয় হূকুম ও গায়েব সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছেন ।
উপরে বর্নিত আয়াত এবনহ জালালাইন শরীফের ব্যাখ্যা দ্বারা বুঝা গেল
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনন তানন হাবীব সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম কে ইলমে গায়েব জানাইয়াছেন । তাই আমরা বলি রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম ইলমে গায়েব জানেন । অসংখ্য হাদিসে মাধ্যমে জানা যায় যে রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম স্পস্ট বলে দিয়েছেন -কে কখন মৃত্যুবরন করবে ? কোন জায়গায় কে মারা যাবে এবং কার গর্ভে ছেলে সন্তান অথবা মেয়ে সন্তান রয়েছে ইত্যাদি

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৫

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: যদি রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম এ সব বিষয়ে গয়েব না জানতেন , তাহলে সম্স্ত গয়েবের সংবাদ কি ভাবে দিলেন ?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৫

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: তাফসীরে সাভার ৪র্থ খন্ডে ২৭৫ পৃষ্টা রয়েছে
"ইনণাহু সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম লাম ইয়াখ রুজু মিনাদ দুনিয়া হাত্বা আ'লামাহু ল্লাহু বি জামইহি মুগি বাতিদ দুনিয়া ওয়াল আখেরাহ "
অর্থাৎ আল্লাহর দুনিয়া এবং আখেরাতের সমস্ত গায়েব না জানানো পর্যন্ত রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম দুনিয়া থেকে ইনতেকাল করেন নি ।

২। তাফসিরে খায়েন ৪র্থ পারায় রয়েছে ;
" মা কানা ল্লাহু লি ইয়াজ রাল মুক মিনিনা আলা মা ানতুম আলাইকুম "
উক্ত আয়াতের ব্যখ্যাু উল্লেখ করা হয়েছে - রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম এরশাদ করেন , আমার কাছে আমর উম্মতকে তাদের নিজ নিজ মাটীর আকৃতিতে পেশ করা হয়েছে যেমন ভাবে আদম আলািহিস সালাম এর কাছে পেশ করা হয়েছিল । আমাকে জানানো হয়েছে , কে আমার উপর ঈমান আনবে ? কে আমাকে অস্বিকার করবে ? যখন এ খবর মুনাফিকদের কাছে পোছলো তখন তারা ঠাট্টা করে বললো -কে তাঁর উপর ঈমান আনবে আর কে তাকে অস্বিকার করবে তাদের কে তাদের জন্মের পুর্বেই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম জানতেন বলে বলেন । অথচ আমরা তাঁর সাথেই আছি - কিন্তু আমাদেরকে চিন্তে পারেন নি । এ খবর যখন রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম -এর নিকট পৌছলো । তখন তিনি মিম্বরের উপরে দাড়ালেন এবং আল্লাহর প্রসংসা করে ইরশাদ করলেন
(" কালা মা বালআকওয়ামে তায়ানু ফি ইলমি লা তাসআলু নি আন শাঈন ফিমা বাইনাকুম ওয়া বাইনাস সাআতি ইল্লা আনবাইতুকুম বিহ্‌")
অর্থাৎ " এসব লোকেদের ( মুনাফিকদের) কি যে হলো আমার জ্ঞান নি্যে তারা বিরূপ সমালোচনা করছে । তোমরা এখন থেকে কেয়ামত পর্যন্ত যে কোন বিষয় সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসা করো আমি াবশ্যই উহা তোমাদের কে বলে দিবো"
(তাফসীরে খয়েন )

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৩

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: ৩।
বুখারী শরিফের আলোচনায় যাই এবার ।

বুখারী শরীফের ' বাদ্‌য়ু খালকে " শীর্ষক আলোচনায় ও মিশকাত শরীফের বাদয়ু খলকে ওয়া জিকরুল আমবিয়া শীর্ষক াধ্যায়ে হযরত উমর ফারূক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহূ থেকে বর্নিত অর্থাৎ হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন -- " রাসুল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আনহু এক জায়গায় আমাদের সাথে অবস্থান করছিলেন । সে খানে তিনি আমাদের সৃষ্টির সুচনা তজেকে সংবাদ দিচ্ছিলেন - এমন কি বেহেস্তবাসী দোযখবাসী নিজ নিজ ঠিকানায় যাওয়ার াবধি পরিব্যাপ্ত যাবতিয় আবস্থা ও ঘটনা বলী প্ড়দান করেন ,যিনি ওসব স্মরণ রাখতে পেরেছেন তিনিতো স্মরণ রেখেছেন ; আর যিনি রাখতে পারেন নি তিনি ভুলে গেছেন । ( মেশকাত শরীফ ৫০৬)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫১

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: ৪।
মেশকাত শরিফের আল-ফিতনা অধ্যায়ে বুখারী ও মুসলিম শরীফ বরাত দিয়ে হযরত হুয়াইফা রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্নিত হয়েছে
অনুবাদ : রাসুল সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহিস সালাম সে স্থানে কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে সব কিছুর খবর দিয়েছেন । কোন কিছুই বাদ দেন নাই । যারা মনে রাখার তারা মনে রেখেছেন, আর যারা ভুলে যাওয়ার তারা ভুলে গেছেন ।( মিশকাত)
এ সমস্ত হাদীস শরীফের মাধ্যমে জানা গেল রাসুল সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহিস সালাম সৃষ্তির শুরু থেকে কেয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে উহা জানতেন এবং উহার সংবাদ সাহাবাদের দিয়েছেন ।

১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৬

শিকদার বলেছেন: হা হা হা। আল্লাহ যখন গায়েব জানালেন তখন তো তা আর গায়েব থাকল না।

আপনি কেন ইল্‌মে মারেফত কে গায়েব বলছেন। বুঝলাম না।

"আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদিগকে গায়বের সংবাদ দেবেন। কিন্তু আল্লাহ স্বীয় রসূল গণের মধ্যে যাকে ইচ্ছা বাছাই করে নিয়েছেন।"

এই খানে (ব্রেকেটে) আবার আপনি গায়েব লাগালেন কেন? আল্লাহ কি আপনাকে ওহি দিয়েছেন।

কি বুঝা্টাই না আপনি বুঝলেন।

আসলেই এখানে কথা বলা মানে উলুবনে মুক্তা ছড়ানো।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৭

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনার কাছে মনে হওয়া সাভাবিক ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৩

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: হাসছেন কেন হীনমন্য ?


ইলম গায়েব দু'ই প্রকার ১। ইলমে গায়েব জাতি
২। ইলমে গায়েব আতাই ।

ইলমে গায়েব আল্লাহর ব্যাপারে "ইলমে গায়েব জাতি "এবং রাসুলের ব্যাপারে "ইলমে গায়েব আতাই"

আপনি তো সব বুঝে ফেলেন মাশা আল্লাহ ! তাহলে আর টেনশন কি নিয়া ?

১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৮

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: :) B-) B-)) :D বুঝতাম পারছি। এখন তাফসির থেকে একটু বলেন তো নিচের আয়াতে আল্লাহ কোন গায়েবের কথা বলেছেন?
কোরআন, সুরা ৭ আয়াত ১৮৮
আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে কোন অনিষ্ঠ আমাকে স্পর্শ করতে পারত না। আমি তো একজন সতর্ককারী বই নই আর ঈমানদারদের জন্য সুসংবাদদাতা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৪

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: যদি উপরে উল্লেখিত আয়াতের তাফসির বুঝেছেন তবেই চলবে ,

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:০৬

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনার এই আয়াত কি কোরআনে ঐ আয়াত কে রদ করছে বলতে চাইছেন ?

আল্লাহ বলেন " আললাহ তোমাদের কাউকে গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন না কিন্তূ রাসুলদের মধ্যে যাকে নির্বাচিত করেন তাঁকে ( গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন ) সুরা আলইমরান ১৭৯

আল্লাহ ইরশাদ করেন ; তিনি স্বীয় গায়েবের বিষয়ে কাউকে ক্ষমতা বান করেন না । কিন্তূ রাসুলদের মধ্য যার উপর তিনি সন্তষ্ট হন ( তাকেই ক্ষমতাবান করেন ) সুরা জিন আয়াত ২৬/২৭ ।

উপরে আয়াত গুলে তে আল্লাহ পরিস্কার বলেছেন ইলমে গায়েব তিনি ব্যাতিত কেউ জানে না কিন্তূ আল্লার তাঁর প্রিয় ড়াসুল কে সে বিষয়ে ক্ষমতা দিয়ে থাকেন । একে বারে পরিস্কার আয়াত .. আপনার মানতে এতো কষ্ট কেন হচ্ছে দাদা ভাই ? এখানে তো আপনার ক্ষমতা বিষয়ে আলোচনা কড়া হচ্ছে না । মহান আল্লাহর প্রিয় মাহবূব-এর ক্ষমতা বিষয়ে আলোচনা করছি । তিনি আয়াত দুটিতে পরিস্কার করেছেন ইলমে গায়েব সম্পর্কে অথচ আপনি এই আয়াতের বক্তব্য না মেনে অন্য আয়াত দিয়ে এি আয়াত কে অস্বীকার করছেন ? কুফুরি হয়ে যাবে তাহলে । আল্লাহই সকল বিষয়ে ভাল জানেন ।

১৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৮

শিকদার বলেছেন: আমি কখনই বলিনি আমি সব বুঝে ফেলেছি। আমি একজন মৌলবাদী মুসলিম। ইসলামের মৌলিক বিষয়ে জ্ঞান রাখি ও তা মেনে চলি।

টেনশন তো আপনি করছেন। রাসূল গায়ে্ব জানেন নাকি জানেন না তা নিয়া। পৃথিবীর বড় মুহাক্কেক আপনি। আর সবাই ভুয়া। বিশ্বের ওই সব আলেম যাদের সবাই হক্ক বলে মানে তাদের সবাই ভুল বলছে। আর আপনি এখানে এসে হক্ক প্রচার করছেন। আরবের ঐ আলেমরা মিথ্যা বলতেছে।

তাফসির ইবনে কাছিরের ব্যাখ্যা গুলো পড়ুন। মুসলিম জাতি বিভক্ত হওয়ার দায়বার অনেক আংশেই আপনাদের মত মানুষের।

দয়া করে পোস্টটি মুছে ফেলুন। আর আপনার পীরত্বের সনদ দিন পারলে। দেখি কত হক্ব আপনি।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০২

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: হীনমন্য মানুষ যখন কোন বিষয়ে যুক্তি খুজে পায় না তখন অপ্রসংঙ্গিক বিষয়ে খুব জোরা জোড়ি করে । আপনি ও তাই করছেন ।


সৌদিআরবে ইসলামের কোন চর্চা হয় না । ওখান কার প্রায় সকল মুহাদ্দিস বা মুফাস্ষির গন রাজত্রের পক্ষে ইসলাম কে সাজাচ্ছে মাত্র । সোজা কথা চামচ রাজাদের যা ইসলামে একে বারেই গ্রহন যোগ্য নয় ।
ঐ সকল আলেম গন যারা রাজত্রন্তের দালালি করছে তাদের কাছ থেকে ইসলাম শিক্ষা করলে আসলে আপনি দালালি শিকছেন । ইসলাম নয় ।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে এবং স হীহ ওলামায়ে দ্বীন যারা কোন রাজার দালাল নয় নিশ্চিত হয়ে জানূন সব পরিস্কার হয়ে যাবে । আপনার ভিতরটাও পরিস্কার হয়ে যাবে ইনষহা আল্লাহ ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৪

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আমি কি কোথাও কখন পীর বলে দাবী করেছি ? আপনি কাকে গোমরাহ করছেন( ! ) আপনার নিজেকে ! অন্য কেউই আপনার সাথে নয় ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৬

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনি একজন ওসামা বিন লদেন । আমরা জানি । ইসলামের বাটা বাজাইয়া ছাইরা দিছেন আপনারা ।

১৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০১

শিকদার বলেছেন: আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: :) B-) B-)) :D বুঝতাম পারছি। এখন তাফসির থেকে একটু বলেন তো নিচের আয়াতে আল্লাহ কোন গায়েবের কথা বলেছেন?
কোরআন, সুরা ৭ আয়াত ১৮৮ আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে কোন অনিষ্ঠ আমাকে স্পর্শ করতে পারত না। আমি তো একজন সতর্ককারী বই নই আর ঈমানদারদের জন্য সুসংবাদদাতা।


আবির ভাই তার খাজাগীরি এখনই ছোটবে। :-B :-B :#) :#) :#) :#) B-) B-) B-)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:০৭

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনার এই আয়াত কি কোরআনে ঐ আয়াত কে রদ করছে বলতে চাইছেন ?

আল্লাহ বলেন " আললাহ তোমাদের কাউকে গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন না কিন্তূ রাসুলদের মধ্যে যাকে নির্বাচিত করেন তাঁকে ( গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন ) সুরা আলইমরান ১৭৯

আল্লাহ ইরশাদ করেন ; তিনি স্বীয় গায়েবের বিষয়ে কাউকে ক্ষমতা বান করেন না । কিন্তূ রাসুলদের মধ্য যার উপর তিনি সন্তষ্ট হন ( তাকেই ক্ষমতাবান করেন ) সুরা জিন আয়াত ২৬/২৭ ।

উপরে আয়াত গুলে তে আল্লাহ পরিস্কার বলেছেন ইলমে গায়েব তিনি ব্যাতিত কেউ জানে না কিন্তূ আল্লার তাঁর প্রিয় ড়াসুল কে সে বিষয়ে ক্ষমতা দিয়ে থাকেন । একে বারে পরিস্কার আয়াত .. আপনার মানতে এতো কষ্ট কেন হচ্ছে দাদা ভাই ? এখানে তো আপনার ক্ষমতা বিষয়ে আলোচনা কড়া হচ্ছে না । মহান আল্লাহর প্রিয় মাহবূব-এর ক্ষমতা বিষয়ে আলোচনা করছি । তিনি আয়াত দুটিতে পরিস্কার করেছেন ইলমে গায়েব সম্পর্কে অথচ আপনি এই আয়াতের বক্তব্য না মেনে অন্য আয়াত দিয়ে এি আয়াত কে অস্বীকার করছেন ? কুফুরি হয়ে যাবে তাহলে । আল্লাহই সকল বিষয়ে ভাল জানেন ।

১৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৩

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: সকলেই খুব মনোযোগ দিয়ে পড়বেন ।
পবিত্র কোরআন থেকে কোড করছি ;

আল্লাহ বলেন " আললাহ তোমাদের কাউকে গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন না কিন্তূ রাসুলদের মধ্যে যাকে নির্বাচিত করেন তাঁকে ( গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন ) সুরা আলইমরান ১৭৯

আল্লাহ ইরশাদ করেন ; তিনি স্বীয় গায়েবের বিষয়ে কাউকে ক্ষমতা বান করেন না । কিন্তূ রাসুলদের মধ্য যার উপর তিনি সন্তষ্ট হন ( তাকেই ক্ষমতাবান করেন )

কোরআন থেকে দলিল দিলাম হাদীস থেকে দলিল দিলাম তার পরও জানি যারা মানবে না তাদের কে কোন দিন ও মানান যাবে না । চির হতভাগা সম্প্রদায় কে করার আছে ?

আপনার কি ধারনা আল্লাহ্ কেবলী মুহাম্মাদ (সাঃ) কে গায়েব বিষয়ে জানাতেন আর অন্য সব নবীগুলোকে তেমন কিছু জানাতেন না? আমি "আবিরে রাঙ্গানো"র সাথে একমত। সোলায়মান,মুসা ও ঈসা (আঃ) এর মত মজেজা মুহাম্মাদের নেই। থাকলে কোরআনে উনাদের মত উল্লেখ থাকতো। কোরআনে আল্লাহ বলছেন সে পৃথিবীতে সারাসরি মুসার সাথে দেখা করে কথপোকথন করেছেন। তাকে কোন বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে যায়নি। অনেকই বলে থাকেন যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) কে আল্লাহ্ নাকি বোরাকে করে নিয়ে গেছেন! কেন মুসাকে আল্লাহ্ বোরাকে না নিয়ে তাকে সম্মান দেখিয়ে আল্লাহ পৃথিবীতে নেমে আসলেন? মুহাম্মাদ (সাঃ) কে বোরাকে নেয়া হয়েছে এটা হাদীস বলে কিন্তু কোরআন তা বলেনা। কোরআন মেরাজ সম্পর্কে সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:১ আয়াত আল্লাহ বলছেনঃ
سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ البَصِيرُ
অর্থঃ পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।

তাহলে মেরাজ বুঝলেন আল্লাহ নবীকে মক্কা থেকে বায়তুল মোকাদ্দাস পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে ছিলেন এটা আমার কথা নয় এটা খোদ কোরআনের কথা। তাহলে বোরাকের কথা আসলো কোথথেকে? আপমি আরও বলেছেনঃ

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম সকল আলমের জন্য নবী , অন্যান্য রা ছিল তাঁদের কওমের জন্য আর মহা নবী ছিলেল দো-জাহানের জন্য নবী ও রহমত সরুপ।


আপনার এই কথারও কোন ভিত্তি নাই। এবার আমি আপনাকে কোরআন দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি।

হাদীস মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর নবী, কোরআন মতে নয়

তর্কটি অতি পুরনো। তবে অবশ্যই মৌলিক। কোরআন ও শরিয়ার সাথে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে মতনৈক্য রয়েছে তবুও প্রকৃত আসল তথ্য উদঘাটনের চেষ্ট কেউ করেননী তানয়, তবে এই তথ্য সন্ধানে কেউ বেশী অগ্রসর হয়নি নানান কারনে। এই প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে গোড়াহ্ মৌলবাদী জ্ঞানহীন আলেম ওলামাদের ভয় করেছে বেশীর ভাগ মানুষ, গবেষক, লেখক, কলামিষ্ট। এই ধরনের প্রশ্ন করার জন্য কিংবা লেখার জন্য যখন'ই কেউ এগিয়েছে একটু সাহসে ঠিক সেই কারনে অনেকেই লাঞ্চিত হয়েছেন, আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। কারো কারো বাড়ী লাইব্রেরী পুড়ানো হয়েছে। অনেকের জীবনের অভিশাপ হয়েছে এসব ধরনের প্রশ্ন করার জন্য। যে যেই ধর্মের হোকনা কেন ধর্ম বিষয় নিয়ে জানতে ইচ্ছা হতেই পারে সেইটাকে খর্ব না করে বিষয়টি কে খারাপ অর্থে না দেখে গণতন্ত্রের চর্চায় মৌলিক অর্থে দাড় করিয়ে প্রকৃত সদুত্তর দেয়াই হচ্ছে স্ব স্ব ধর্মের আলেম ওলামাদের কাজ। অনেক আলেম ওলামাদের বলতে শুনেছি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সকল নবীর নবী, জানিনা কোরআন বাদ দিয়ে তারা এটা কিসের ভিত্তিতে এত জোর দিয়ে বলেন। তবে যারা ধর্মের মূল হোতা, ধারক বাহক তারা দু’ একটি কথা বলে থাকেন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে হাদীস থেকে। অবশ্য কোরআনের পরেই সারা পৃথিবী জুড়ে মুসলিমদের কাছে স্থান করে নিয়েছে মানুষের লেখা শরীয়া সুন্নাহ্ নামে খ্যাত হাদীস গ্রন্থ গুলি। হাদীস রাইটাররা যে কোন দরবেশ, অলি, গাউসুল আযম কিংবা পীর ছিলেন না, তাদের উপর কোন আল্লাহ্ প্রদত্ত অহি হতনা তা সকলেরী জানা; সেই কারনে হাদীস সংগ্রহে ভুল হতেই পারে; আর মানুষ কোনক্রমেই ভুলের উর্দ্ধে নয়। কোরআন কেবলী অন্য আর রাসুলের মত রাসুল হিসাবে এবং সতর্ককারী হিসাবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। একটু জানার চেষ্টা করি কোরআনের আলোতে।
সূরা ইমরান ৩:১৪৪ আয়াত
وَمَا مُحَمَّدٌ إِلاَّ رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِن مَّاتَ أَوْ قُتِلَ انقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَن
يَنقَلِبْ عَلَىَ عَقِبَيْهِ فَلَن يَضُرَّ اللّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللّهُ الشَّاكِرِينَ
অর্থঃ আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো নয়! তাঁর পূর্বেও বহু রসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। তাহলে কি তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা নিহত হন, তবে তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে? বস্তুতঃ কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে, তবে তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাদের সওয়াব দান করবেন।
সূলা কাহফ্ ১৮:৫৬ আয়াতঃ
وَمَا نُرْسِلُ الْمُرْسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ وَيُجَادِلُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوا بِهِ الْحَقَّ وَاتَّخَذُوا آيَاتِي وَمَا أُنذِرُوا هُزُوًا
অর্থঃ আমি রাসূলগনকে সুসংবাদ দাতা ও ভয় প্রদর্শন কারীরূপেই প্রেরণ করি এবং কাফেররাই মিথ্যা অবলম্বনে বিতর্ক করে, তা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে দেয়ার উদ্দেশে এবং তারা আমার নিদর্শনাবলীও যদ্বারা তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করা হয়, সেগুলোকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করেছে।
সূরা কাহফ। ১৮:১১০ আয়াতঃ
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاء رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
অর্থঃবলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।
সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:১০৫ আয়াতঃ
وَبِالْحَقِّ أَنزَلْنَاهُ وَبِالْحَقِّ نَزَلَ وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلاَّ مُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
অর্থঃআমি সত্যসহ এ কোরআন নাযিল করেছি এবং সত্য সহ এটা নাযিল হয়েছে। আমি তো আপনাকে শুধু সুসংবাদাতা ও ভয়প্রদর্শক করেই প্রেরণ করেছি।
সূরা হাজ্জ্ব ২২:৪৯ আয়অতঃ
قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ বলুনঃ হে লোক সকল! আমি তো তোমাদের জন্যে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ককারী।
সূরা আল আনকাবুত ২৯:৫০ আয়াতঃ
الْآيَاتُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ বলুন, নিদর্শন তো আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আমি তো একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।
সূরা আল আহযাব ৩৩:৪০-৪৫ আয়াত
مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অর্থঃমুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল, নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
অর্থঃ হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি।
সূরা ফাতির ৩৫:২৩-২৪
إِنْ أَنتَ إِلَّا نَذِيرٌ
অর্থঃ আপনি তো কেবল একজন সতর্ককারী।
إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَإِن مِّنْ أُمَّةٍ إِلَّا خلَا فِيهَا نَذِيرٌ
অর্থঃআমি আপনাকে সত্যধর্মসহ পাঠিয়েছি সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। এমন কোন সম্প্রদায় নেই যাতে সতর্ককারী আসেনি।
সূরা ইয়াসীন ৩৬:৩৬ আয়াতঃ
لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ
অর্থঃ যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল।
সূরা ছোয়াদ ৩৮:৪ আয়াতঃ
وَعَجِبُوا أَن جَاءهُم مُّنذِرٌ مِّنْهُمْ وَقَالَ الْكَافِرُونَ هَذَا سَاحِرٌ كَذَّابٌ
অর্থঃ তারা বিস্ময়বোধ করে যে, তাদেরই কাছে তাদের মধ্যে থেকে একজন সতর্ককারী আগমন করেছেন। আর কাফেররা বলে এ-তো এক মিথ্যাচারী যাদুকর।
সূরা ক্বাফ ৫০:২আয়াতঃ
بَلْ عَجِبُوا أَن جَاءهُمْ مُنذِرٌ مِّنْهُمْ فَقَالَ الْكَافِرُونَ هَذَا شَيْءٌ عَجِيبٌ
অর্থঃ বরং তারা তাদের মধ্য থেকেই একজন ভয় প্রদর্শনকারী আগমন করেছে দেখে বিস্ময় বোধ করে। অতঃপর কাফেররা বলেঃ এটা আশ্চর্যের ব্যাপার।
সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫১ আয়াতঃ
وَلَا تَجْعَلُوا مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ إِنِّي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ তোমরা আল্লাহর সাথে কোন উপাস্য সাব্যস্ত করো না। আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
সূরা আল মুলক ৬৭:২৬ আয়াতঃ
قُلْ إِنَّمَا الْعِلْمُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃবলুন, এর জ্ঞান আল্লাহ তা’আলার কাছেই আছে। আমি তো কেবল প্রকাশ্য সতর্ককারী।
সূরা হা-মীম সেজদাহ ৪১:৪৩ আয়াতঃ
مَا يُقَالُ لَكَ إِلَّا مَا قَدْ قِيلَ لِلرُّسُلِ مِن قَبْلِكَ إِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍ وَذُو عِقَابٍ أَلِيمٍ
অর্থঃআপনাকে তো তাই বলা হয়, যা বলা হত পূর্ববর্তী রসূলগনকে। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার কাছে রয়েছে ক্ষমা এবং রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
সূরা আল আহক্বাফ ৪৬:৯ আয়াতঃ
قُلْ مَا كُنتُ بِدْعًا مِّنْ الرُّسُلِ وَمَا أَدْرِي مَا يُفْعَلُ بِي وَلَا بِكُمْ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ وَمَا أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃবলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী বৈ নই।
সূরা নাহল ১৬:৩৫ আয়াতঃ
وَقَالَ الَّذِينَ أَشْرَكُواْ لَوْ شَاء اللّهُ مَا عَبَدْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ نَّحْنُ وَلا آبَاؤُنَا وَلاَ حَرَّمْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ كَذَلِكَ فَعَلَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَهَلْ عَلَى الرُّسُلِ إِلاَّ الْبَلاغُ الْمُبِينُ
অর্থঃমুশরিকরা বললঃ যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে আমরা তাঁকে ছাড়া কারও এবাদত করতাম না এবং আমাদের পিতৃপুরুষেরাও করত না এবং তাঁর নির্দেশ ছাড়া কোন বস্তুই আমরা হারাম করতাম না। তাদের পূর্ববর্তীরা এমনই করেছে। রাসূলের দায়িত্ব তো শুধুমাত্র সুস্পষ্ট বাণী পৌছিয়ে দেয়া।
সূরা আল আনকাবুত ২৯:১৮ আয়াতঃ
وَإِن تُكَذِّبُوا فَقَدْ كَذَّبَ أُمَمٌ مِّن قَبْلِكُمْ وَمَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
অর্থঃতোমরা যদি মিথ্যাবাদী বল, তবে তোমাদের পূর্ববর্তীরাও তো মিথ্যাবাদী বলেছে। স্পষ্টভাবে পয়গাম পৌছে দেয়াই তো রসূলের দায়িত্ব।
সূরা আশ-শুরা ৪২:৭আয়াতঃ
وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ
অর্থঃএমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।

আল্লাহ্ কোরআনে কেবলী সতর্ককারী হিসাবেই মুহাম্মাদ (সাঃ) কে সম্বর্ধন করেছে তা উল্লেখিত সূরা ও আয়অত থেকে জানলাম। এমন অনেক আরও আয়াত আছে এই ধরনের । অনেকই বলবে কোরআনে নাই তবে হাদীসে আছে। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে হাদীস ছাড়া কোরআন অপূর্ণ কিতাব? নিশ্চয় নয়। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা নমল ২৭:৭৫ আয়অতে বলেছেনঃ
وَمَا مِنْ غَائِبَةٍ فِي السَّمَاء وَالْأَرْضِ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
অর্থঃআকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।
মাবুদের এই আয়াত যদি আমরা বিশ্বাস করি তাহলে মানতে হবে মুহাম্মাদ কেবলী অন্য রাসুলের মত একজন সতর্ককারী মাত্র। কিন্তু হাদীস যে ভুল বলে তা উল্লেখিত হাদীস গুলির দিকে চোখ মেইল্লে দখা যায় হাদীসের ভুলের দৌড়।

আল্লাহ্ যেন আপনাকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করেন----আমেন


২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৩

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনার কথা গুলো অপরিপক্কতায় ভরপুর । দাদা ভাই তার পরও আপনার তাসাল্লির জন্য বলি ।
আপনি পোরো বিষয়ে আমার প্রসংঙ্গের সাথে সম্প্রিক্ত নয় তবুও যত টুকু সম্ভব জানাতে চেস্টা করছি ।

প্রথমেই বলি কোরআনের স হীহ তাফশীর জানা চাই ! একটি আয়াত যদি তা সরাসরি শাব্দিক অর্থে জান তবে কোরআনে ভুল মানি দারা বে । কোরআনের আয়াতের চার টি দিক সম্পর্কে আপনাকে াবগত করা হয়েছে ১ । ইবারাত ২। দালালত ৩। ইশারা ৪। ইক্কতিজা ।

চারটি point of view থেকে দেখতে হবেই একটি আয়াত কে ১। ইবারত মানে শব্দের অর্থ কি ।২। ঐ বিষয়টি কি দলিল দিচ্ছে ? ৩। এই আয়াত দ্বারা কি ইশারা হচ্ছে কি বোঝাতে চেয়েছেন ? ৪ । ইক্কতিজা সে সময়ে পরিস্থিতি কি । আরো আনেক বিষয় আছে যা না জেনে কেউ এই কাজ খানা করতে গেলে মহা বিপদ বৈ কিছুই হবে না।

১৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৩

হিতৈষী বলেছেন: প্রিয় পাঠক, আশা করিছি আপনাদের কাছে আমাদের খাজা বাবার ভন্ডামী পরিস্কার। উনি কিন্তু আমার একটা পয়েন্টের ও জবাব দেননি। উনি চড়ুই পাখির মত ফুড়ত ফূড়ত করছেন। এক দরজা বন্ধ করলে আরেক দরজা দিয়ে ফুড়ত করে বেরিয়ে যাবার চেস্টা করছেন। এই পর্যন্ত উনি যত গূলো দলীল এনেছেন তার কোথাও এ কথা নাই যে, রাসূল (সাঃ) অতীত ভবিষ্যত সব গায়েব জানতেন। বরং শুধু এতটুকুই প্রমান হয়েছে যে , আল্লাহর হাবীব (সাঃ)গায়েব এর কিছু কিছু বিষয় যেগুলো আল্লাহ উনাকে জানিয়েছেন সেগুলো জানতেন। আর উনি আমাকে আদব শিখার কথা বলেছেন। কিন্তু আল্লাহর কুরআনের অপব্যাখ্যা যে করে তার সাথে আমি এর চেয়ে বেশী আদব দেখাতে পারছিনা বলে দুঃখিত।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৯

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: এতো পরিস্কার করে দেবার পরেও আপনি গোল গোলাই রয়ে গেলেন ! যে পাঠকই আমাকে আর আপনাকে পড়বে টারা সকলেই বুঝে গেছে আপনি কত অযোক্তিক কথা বলেন কোরআন হাদিসের স হীহ ব্যাখ্যা গ্রহন করেন না , বরং এমন কেউ যে আপ্রান চেষ্টা করছে তাঁকে এমন কিছু বিষয়ে বিরক্ত তৈরি করছেন যা অবান্ঞনীয় , অমার্জিত । অসভ্যতার সামীল । আপনার নিজস্য মতামতের জন্য আপনার বল্গ আছে সে খানে গিয়ে আপনার কোরআনের আয়াত এর কি মানে খুইজেন এবং মানুষের কাছে জানবেন । আমার বল্গে এসে আপনি কেবল বলেন আমার কোড করা কোরআনের আয়াত কি ভুল আছে ? হাদিসে কি ভুল পেয়ে ছেন এর পর কেন মানবেন না ?
বেশী পাকামো করবেন না ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:০৮

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনার এই আয়াত কি কোরআনে ঐ আয়াত কে রদ করছে বলতে চাইছেন ?

আল্লাহ বলেন " আললাহ তোমাদের কাউকে গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন না কিন্তূ রাসুলদের মধ্যে যাকে নির্বাচিত করেন তাঁকে ( গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন ) সুরা আলইমরান ১৭৯

আল্লাহ ইরশাদ করেন ; তিনি স্বীয় গায়েবের বিষয়ে কাউকে ক্ষমতা বান করেন না । কিন্তূ রাসুলদের মধ্য যার উপর তিনি সন্তষ্ট হন ( তাকেই ক্ষমতাবান করেন ) সুরা জিন আয়াত ২৬/২৭ ।

উপরে আয়াত গুলে তে আল্লাহ পরিস্কার বলেছেন ইলমে গায়েব তিনি ব্যাতিত কেউ জানে না কিন্তূ আল্লার তাঁর প্রিয় ড়াসুল কে সে বিষয়ে ক্ষমতা দিয়ে থাকেন । একে বারে পরিস্কার আয়াত .. আপনার মানতে এতো কষ্ট কেন হচ্ছে দাদা ভাই ? এখানে তো আপনার ক্ষমতা বিষয়ে আলোচনা কড়া হচ্ছে না । মহান আল্লাহর প্রিয় মাহবূব-এর ক্ষমতা বিষয়ে আলোচনা করছি । তিনি আয়াত দুটিতে পরিস্কার করেছেন ইলমে গায়েব সম্পর্কে অথচ আপনি এই আয়াতের বক্তব্য না মেনে অন্য আয়াত দিয়ে এি আয়াত কে অস্বীকার করছেন ? কুফুরি হয়ে যাবে তাহলে । আল্লাহই সকল বিষয়ে ভাল জানেন ।

১৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৬

শিকদার বলেছেন: যে কোর'আন বাদ দিয়ে হাদিস পড়ল সে গোমড়া ও যে হাদিস বাদ দিয়ে শুধু কোর'আন অনুসরন করল সে ও গোমড়াহ্‌।

আতিওল্লাহ্‌ ওয়া আতিওর রসূল।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩০

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: মাশা আল্লাহ ।ভাল বলছেন ।

১৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২১

শিকদার বলেছেন: @হিতৈষী, আপনার সাথে সহমত।

সে আমাকে বলছে, আমার সাথে নাকি কেউ নেই :(

নাস্তিক বিধর্মিদের আমরা যত সম্মান করি, এইসব অপব্যখ্যাকারী দের তার চেয়ে বেশি ঘৃনা করি।

কারন নাস্তিকের দ্বারা যত ক্ষতি হয় তা চেয়ে কোটি গুন বেশি ক্ষতি হয় এই সমস্ত খাজা বাবা দের দিয়ে। X(

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৪

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনি নিজের কথা বলুন ? অন্যকে কপি করা ছাড়ুন । আত্বউপলব্ধি উপে কিছু নাই । নিজে আগে উপলব্ধি করেন সত্যকে নিজ মাথা দিয়ে খুজেন নিজ বিবেচনাবোধ জাগ্রত করুন অন্যকে অনুসরণ আপনার জন্য বিপদও হতে পারে । কে জানে আপনার মনে হতে পারে আপনার হীনমন্যতার সাথে সকলেই আছে কিন্তূ কবরে গিয়ে দেখলেন সব অন্ধকার কেউ সাহায্যকারি নেই তখন কিছু করার থাকবে না । সাবধান ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১০

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনি নাস্তিক তাই নাস্তিকদের সম্মান করেন আর সত্য যারা বলে কোরআন ও স হীহ হাদিস দ্বারা যাহারা আলোচনা কড়ে তাদের ঘৃনা করেন এটাই তো নির্বোধের কাজ । আপনি তো তাই করছেন ।

২০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫০

শিকদার বলেছেন: খাজা বাবা, আমার গায়েবী খবার জেনে ফেলেছেন। :!> :!> B:-)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১৪

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: অপদর্থের মত খাজা বাবা খাজা বাবা বলছেন কেন ? আমার নাম খাজা মুহাম্মদ মাসুম । আত্বসম্মানবোধহীন মানুষ কখন অন্যকে সম্মান করতে জানে না । আর যে সম্মান করতে জানে না সে ধর্ম কিছুই জানে না । আচরণে প্রমান করে আপনি গুমরহিতে নিমজ্জিত অসভ্য মানুষ ।

২১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০১

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: পিছলানি কারে কয় দেখেছি B-))
আমি আমার প্রশ্নের উত্তর পাইনি B-))
যেভাবে উত্তর পাননি এই পোস্তে মন্তব্যকারী একজনও B-))

কেউ ফেরে না খালি হাতে :P
খাজা বাবার দরবার হতে:P
খাজা বাবার মুরিদ যারা :P
আল্লাহর জিকির করে তারা।:P
খাজা হইয়া তোমরা কেন আল্লাহর জিকির করো না:P
B-)) B-))

সবশেষে আপনাদের জন্য একটি খাজা বাবার কবিতা। :P
শেষ পর্যন্ত শুনতে হবে কিন্তুক।:P
http://www.youtube.com/watch?v=F0rrqToy8c8

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:৫০

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনার কাছে কি কিছু শিখার আছে বলে আপনি মনে করেন ? এত হীন আচরণ যার তার কাছে সুন্দর কিছু নাই । যে সুন্দর না সে সুন্দর কিছু জানেও না জানাতে ক্ষমতা রাখে না । অসভ্যতায় ভরপুর আপনি ও আপনার জ্ঞান । আপনার মত হীন মানুষের পক্ষে রাসুল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহিস সালাম এর জ্ঞান সম্পর্কে সামান্যতম জ্ঞান থাকার কথা নয় । আল্লাহ আপনার থেকে আমাদের হেফাযত করুক ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১৫

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আত্বসম্মানবোধহীন মানুষ কখন অন্যকে সম্মান করতে জানে না । আর যে সম্মান করতে জানে না সে ধর্ম কিছুই জানে না । আচরণে প্রমান করে আপনি গুমরহিতে নিমজ্জিত অসভ্য মানুষ ।

২২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৩

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কোরআনের তাপসির বলতে আপনি কি বোঝেন? আমার মনে হয় কিছু আলেমদের মনগড়া কথা! কেন? এটা বিশ্ব কবি রবিন্দ্রনাথের মত কঠিন ভাষায় রচিত নয়। যেমন যখনো গগনো ছিলেম মগনো---এমন কঠিন শব্দ দিয়ে কোরআন লিখা নয়। আল্লাহ্ কোরআনেই অনেক জায়গায় বলেছে যে, আমি আরবি ভাষায় কোরআন নাজিল করেছি যেন মানুষ তা সহজে বুঝতে পারে। কোরআন খুব সহজ সরল ও প্রানউজ্জল একটি গ্রন্থ। এটি আরবের মাতৃভাষা। স্ব-স্ব দেশের মাতৃভাষা তাদের কাছে সহজ ও সরল। কিন্তু আপনাদের মত আলেমরা আবার আয়াতের অন্য মানে তৈরী করেন। ম্যাঙ্গো মানে আম এটা সবার জানা। কিন্তু তাপসিরে কি ম্যাঙ্গোকে আপেল বানাবেন নাকি? তাপসির মুল জায়গা থেকে কখনো অন্য জায়গায় যাবেনা। বরং আলেমরা,তাপসির কারকরাই ভুল বলেছে অনেক জায়গায়্ যেমনঃ ইউসুব নবীকে যে মেয়েটি কুপ্রস্তাব দিয়েছিলো সেই মেয়েটির নাম কোরআনের কোথাও নাই। কিন্তু তাপসির কারকরা সেই মেয়ের নাম দিয়েছে জুলেখা! এখন কথা হতেই পারে যে, এই মেয়েটির নাম জুলেখা তারা পেলেন কোথায়। কোন আলিফ কিংবা লাম-মিম এর ভেরতে লুকিয়ে ছিলো? অবশ্য এই সব আলেমরা আন্দা ও অনুমানের ওপর চলে কিন্তু
অনুমান গুনাহ্ র কাজ এই অনুমান সম্বন্ধে
সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে আল্লাহ্ বলে
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে,
অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না।

আবার বলেছেঃ
সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।

সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।

আপনি বুঝবেন না কেবল তর্ক করবেন। এই জন্য বলি ভালো করে কোরআন পড়ুন। কেবল হাদীস পড়লেই হবে না। কারন হাদীস সংগ্রহের ইতিহাস পড়লেই বুঝবেন। আপনাকে নিম্নে দুটি হাদীস দিলাম পড়ে কিতাবের সাথে মিরিয়ে নিবেন।

১। হযরত আবু ছাইদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কোরআন ব্যতীত আমার কোন কথাই লিখিও না। আর কোরআন ব্যতীত আমার নিকট থেকে অন্য কিছু লিখে থাকলে, তা যেন মুছে ফেলা হয়।” [ দ্র: সহিহ্ মুসলিম, আ. ফা. ভুইয়া, ১ম খ. ১ম সংস্করণ, পৃ: ৫১]
শরীয়তি আলেমরা কি সব মুছে ফেলেছে?

২। আমার কাছ থেকে তোমরা কোরান ছাড়া আর কিছুই লিখবেনা। যদি কেউ লিখে থাকে তবে অবশ্যই তা নষ্ট করে ফেল।'' -সহিহ মুসলিম, ভলিউম১, পৃষ্ঠা ২১১, হাদীস নং ৫৯৪, প্রিন্টার-মতকবে আদনান, বৈরুত,১৯৬৭।

আল্লাহ কোরআনের সূরা আন আম ৬: ১৪৮ আয়াবে বলেছেনঃ
سَيَقُولُ الَّذِينَ أَشْرَكُواْ لَوْ شَاء اللّهُ مَا أَشْرَكْنَا وَلاَ آبَاؤُنَا وَلاَ حَرَّمْنَا مِن شَيْءٍ كَذَلِكَ كَذَّبَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِم حَتَّى ذَاقُواْ بَأْسَنَا قُلْ هَلْ عِندَكُم مِّنْ عِلْمٍ فَتُخْرِجُوهُ لَنَا إِن تَتَّبِعُونَ إِلاَّ الظَّنَّ وَإِنْ أَنتُمْ إَلاَّ تَخْرُصُونَ
অর্থঃ এখন মুশরেকরা বলবেঃ যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন, তবে না আমরা শিরক করতাম, না আমাদের বাপ দাদারা এবং না আমরা কোন বস্তুকে হারাম করতাম। এমনিভাবে তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছে, এমন কি তারা আমার শাস্তি আস্বাদন করেছে। আপনি বলুনঃ তোমাদের কাছে কি কোন প্রমাণ আছে যা আমাদেরকে দেখাতে পার। তোমরা শুধুমাত্র আন্দাজের অনুসরণ কর এবং তোমরা শুধু অনুমান করে কথা বল।
অনুমানের চর্চা না করে কোরআনের সঠিক চর্চা করুন। আল্লাহ্ যেন সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করেন---আমেন

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:৫৯

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: শুধু কোরআন দিয়ে আপনি ইসলামের কলেমা থেকে নিয়ে নামায রোজা হজ জাকাত কিছুই উদ্ধার করতে পারবেন না । কোরআন যেমনি আল্লাহর বানী ঠিক হাদীস ও তাই । দু"টারই মুলে আল্লাহ ।

একটা কথা বার বার বললে ভাল লাগে না । কোরআন পড়েন ভাল করে পরেন পড়ার নিয়ম মেনে পড়েন । প্রত্যকটি আল্লাহর কালাম আর রবিন্দ্রনাথ -এর কালাম এক করে ফেলছেন ।

যদি শুধু কোরআন মানেন কি সমস্যা হবে ? ১ । লা ইলাহা ইল্লাল লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ।আমাদের এই মুল মন্ত্র কোরআনে কোথাও খুজে পাবেন না ইহা হাদীসে কিতাবেই আছে । নামায পড়বেন নিয়ত করবেন কয় রাকাত পড়বেন কিভাবে পড়েন কোরআনের কোথাও খুজে পাবেন না । হাদীস লাগবে । হাদীস কোরআন শরীফ একে আরেকের পরিপুরক । হাদিস বাদ দিলে কোরআনের মুল উৎস পাওয়া যাবে না । তাই হাদিস পড়া অনেক জরূরি । কোরআন পুর্নাঙ্গ কিতাব । যাহা বুঝতে হাদিস লাগে ।

২৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৩

হিতৈষী বলেছেন: এই পর্যন্ত খাজা বাবা যত গূলো দলীল এনেছেন তার কোথাও এ কথা নাই যে, রাসূল (সাঃ) অতীত ভবিষ্যত সব গায়েব জানতেন। বরং শুধু এতটুকুই প্রমান হয়েছে যে , আল্লাহর হাবীব (সাঃ)গায়েব এর কিছু কিছু বিষয় যেগুলো আল্লাহ উনাকে জানিয়েছেন সেগুলো জানতেন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:০৬

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: পরিস্কার কোরআনের দলিল ও স হীহ হাদিস থেকে একটি বিষয়ে এর চেয়ে পরিস্কার করা কারো পক্ষে সম্ভব নয় । আপনি মানবেন না । এটা আপনার ব্যাপার । কোন জোড়া জুড়ি নাই কিন্তু মানুষকে বিভ্রান্ত করা থেকে আপনাদের হুজুরদের মানা করবেন । এ গুলোই গুমরাহি ।

যে খানে পরিস্কার কোরআনে পাকে বলা হয়েছে

আল্লাহ বলেন " আললাহ তোমাদের কাউকে গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন না কিন্তূ রাসুলদের মধ্যে যাকে নির্বাচিত করেন তাঁকে ( গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন ) সুরা আলইমরান ১৭৯

আল্লাহ ইরশাদ করেন ; তিনি স্বীয় গায়েবের বিষয়ে কাউকে ক্ষমতা বান করেন না । কিন্তূ রাসুলদের মধ্য যার উপর তিনি সন্তষ্ট হন ( তাকেই ক্ষমতাবান করেন )

সে খানে কেন বিতর্ক করছেন ? কোরআনের বিপক্ষে কথা বলার শাস্তি জানেন ? আপনার মুনাফিক হুজুর রা তো কবরে , কিয়ামতে , ফুলসিরাতে পাবেন না । তখন এই বে-আদবির কি হবে । হাদিস সব গুলো রেফারেনস সহীহ । কিন্তু মানবেন না ।

২৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৪

হিতৈষী বলেছেন: পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ "" হে নবী আপনি বলে দিন,আমি আমার নিজের কোন উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতা রাখি না,তবে আল্লাহ যা চান।
আর আমি যদি গায়েব জানতাম তাহলে অধিক কল্যাণ লাভ করতাম এবং আমাকে কোন ক্ষতি স্পর্শ করত না। আমিতো শুধুমাত্র একজন সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য।" ( সুরা আ'রাফ/ ১৮৮)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:১২

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: এই আয়াত খানা কি ঐ আয়াত কে অস্বিকার করে ?

আল্লাহ বলেন " আললাহ তোমাদের কাউকে গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন না কিন্তূ রাসুলদের মধ্যে যাকে নির্বাচিত করেন তাঁকে ( গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন ) সুরা আলইমরান ১৭৯

আল্লাহ ইরশাদ করেন ; তিনি স্বীয় গায়েবের বিষয়ে কাউকে ক্ষমতা বান করেন না । কিন্তূ রাসুলদের মধ্য যার উপর তিনি সন্তষ্ট হন ( তাকেই ক্ষমতাবান করেন )


আপনি কি কোরআন কে কোরআনের বিরুদ্ধে ব্যাভার করছেন না ?
তিন টি আয়াতের এই আয়াত খানা আপনার এত পছন্দ কেন । নবী কে ছোট করা হয়েছে মনে হ্য তাই ? এই আয়াত আপনার এতো ভাল লাগে তাহলে এই আয়াত নিয়া থাকেন কোরআনের এক অংশ মানবেন অন্য অংশ মানবেন না তাহলে তো ঈমান ই থাকবে না । সব কটি আয়াত মেনে নেন । হাদিস গুলো দেখেন তার পর মনে যা চায় তাই করূন কেউ আপনাকে কিছু বলবেনা । আমি কেবল সত্য কোরআন ও সহীহ হাদীস থেকে উক্ত বিষয়ে আলোকপাত করেছি মাত্র । মানা না মানা আপনার ব্যাপার ।

২৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:০২

হিতৈষী বলেছেন: পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ "আপনি বলুন,‘তোমাদেরকে আমি বলি না,আমার কাছে আল্লাহর ভাণ্ডারসমূহ রয়েছে , আর আমিতো গায়েব জানি না এবং তোমাদেরকে বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি কেবল তাই অনুসরণ করি যা আমার কাছে ওহী প্রেরণ করা হয়’। বল,‘অন্ধ আর চক্ষুষ্মান কি সমান হতে পারে? অতএব তোমরা কি চিন্তা করবে না? '(সুরা আনআম /৫০)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:১৮

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: শেখ আব্দুল হক মোহাদ্দেসে দেহলভি (রা) তাঁর মাদারেজুন নবুয়ত কিতাবে ১ম খন্ডে বলেন ; " হযরত আদম (আঃ) ঠেকে সিঙ্গায় ফুক দেয়া পর্যন্ত সব কিছুই হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম-এর কাছে প্রতিভাত করা হয়েছে । যাতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছুর অবস্থাদি সম্পর্কে তিনি জ্ঞাত হন । তিনি এ ধরনের কিছু কিছু বিষয়ের সংবাদ সাহাবায়ে কেরামদের ও দিয়েছেন "
(মাদারেজুন নবুয়ত)

২৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:২৬

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: হাদীস শরীফে আছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম ইরশাদ করেছেন
" উতিতু ইলমা আল আওয়ালিনা ওয়াল আখেরিন "
অর্থাৎ আমাকে পুর্বেকার ও পরবর্তীদের সম্পর্কে সমস্ত জ্ঞান দেওয়া হয়েছে । এ হাদীসের কথা আকাইদে ইলমাইদ দেওবনদি নামক কিতাবে ১৫ পৃষ্ঠায় স্বীকার ও করা হয়েছে ।


রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর শানে লিখিত বিশ্ব কাসিদা যা সমস্ত নবী প্রমিক দের মুখস্ত ও আনেক মাদ্রাসায় পড়ানো হয় । কাসিদায়ে বুরদায় তে আল্লামা শরফুদ্দীন বুসরী (রাঃ) বলেন
আনুবাদ ;" হে রাসুল ! আপনার বদান্যতাুই দুনিয়া ও আখেরাতের অস্তিত্ব । লওহে মাহফুজ ও কলমের জ্ঞান আপনার জ্ঞান ভান্ডারের সামান্য অংশ মাত্র "

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৩৬

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: পসিদ্ধ মুহাদ্দিস হযরত মোল্লা আলী কারী (রাঃ) তাঁর রচিত কাসিদায়ে বুরদার ব্যাখ্যা গ্রন্থ
"হাল্লুল উকদাতে শারহিল কাসিদাতে বুরদা " নামক কিতাবে উপর বর্ণিত কথার ব্যাখ্যা বলেন
আনুবাদ ; লওহে মাহফুজ ও কলমের এলেম রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ষাল্লাম এর জ্ঞান সমুদ্রের একটি নদীতুল্য কিংবা তাঁর জ্ঞানের দপ্তরের একটি অক্ষরের ন্যায় । ( শহরে কাসিদাহ বুরদা )

সুতরং এখন আমরা বলবো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম -এর জ্ঞানের তুলনায় লওহে মাহফুজ ও কলমের জ্ঞান ( যেখানে সম্স্ত বিষয়ের জ্ঞান রয়েছে ) যদি একটিঅক্ষর তুল্য হয় তাহলে আপনারই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া ষাল্লাম এর জ্ঞানের পরিধি সম্পর্কে বলুন । এখন কি ওয়াহাবি মৌদুদিরা বলবেন - আল্লাহর রাসুল গায়েব জাতেন না ?

২৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:০২

সুফি বলেছেন: ইসলাম নিয়ে ব্লগে পোস্ট করা মানেই যেন একটা বিতর্ক সৃষ্টি করা । না জানা আর বেশি বোঝা লোকদের কমেন্ট পড়তে পড়তে বিতৃষ্ণা এসে গেল ( তাদের প্রতি) । একজন বললেন যে সব নবী নাকি সমান। উনি কি জানেন নূর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম আল্লাহর সবচে প্রিয় বন্ধু ? তাঁর সম্মান সব সৃষ্টির উর্ধে । তাই সবার কাছে অনুরোধ ব্লগ থেকে কিছু জানার পর টা নিজে যাচাই করে বিশ্বাস করবেন । কারও পোস্ট বা কমেন্ট দেখে নিজের ঈমানকে হাল্কা করবেন না। 8-|

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১৮

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: বাহ! মাশা আল্লাহ !

জাজাক আল্লাহু খাইর ।
আপনার দিন টি সুন্দর হোক ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:১১

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: ●▬▬▬▬▬▬▬▬▬ஜ۩۩۩۩ஜ▬▬▬▬▬▬▬▬▬● ────█───────█───█─────────────── ──█─█─█─────────█─────────────── ███─█─█─█──█──█─█─████──█──█─█─█ █─█─█─█─█──█──█─█────█──█──█─█─█ ███████─█──████─████████████████ ──────────────────────────────── ────────────────────────█─────...── ●▬▬▬▬▬▬▬▬▬ஜ۩۩۩۩ஜ▬▬▬▬▬▬▬▬▬● ────█──────────────────────────█ ──█─█─█──────────────────────█─█ ███─█─█────███───███───████──█─█ █─█─█─█──────...

২৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩৬

নোটার্হম বলেছেন: রাসুল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহেচ্ছালাম গায়েব জানতেন কি জানতেননা সে বিতর্কে যাবার আগে,"গায়েব'' বলতে কি বুঝায় সেটি কোরান-হাদীসে আলোকে আগে ঠিক করুন । এখানে দেখছি "অন্ধের হাতী দেখার" মত একজন একরকম ভাবে গায়েবের ব্যখ্যা/সংজ্ঞা দিচ্ছেন।

তবে রাসুল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহেচ্ছালাম "গায়েব'' জানুন কিংবা না জানুন, তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ।আসুন তার সাথে আমরা ভালবাসার সম্পর্ক রচনা করি এবং তার সম্পর্কে কোন ভূল ধারণা থেকে আল্লাহ আমাদের যেন হেফাজত করেন, সর্বদা এ প্রার্থনা আল্লাহের কাছে করি।

আমি আপনাদের সকলের চাইতে জ্ঞানে, গুণে ও সর্বদিক দিয়ে নগণ্য হয়েও আপনাদের একটি আবেদন সবার কাছে রাখছি:-
"আমরা সবাই যদি নিজেকে মহানবী(দ) এর উম্মৎ বলে দাবী করি, তাহলে এখন থেকে পরস্পরের প্রতি খারাপ ধারনা পোষণ থেকে বিরত থাকি,এবং পরস্পরের প্রতি অশালীন ভাষা প্রয়োগ থেকে বিরত থাকি।" এবং একটি বিষয় অনুধাবন করার জন্য অনুরোধ করি, আর তা হল:-

"যার প্রতি অশালীন ভাষা প্রয়োগ করা হয়, যার প্রতি খারাপ ধারণা পোষন করা হয়, যাকে ঘৃণা করা হয়, তার উপর এর কোন প্রভাব ই তেমন পড়েনা, বরং নিশ্চিতভাবে এর খারাপ প্রভাবটি পড়ে তার উপর ,যিনি অশালীন ভাষাটি উচ্চারন ( বা লিখলেন ) করলেন,বা যার মনের মধ্যে কোন লোকের জন্য কোন খারাপ ধারণা বা ঘৃনা থাকে।"]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে রহমত করুন

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫৪

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: বাহ ! খুব উন্নত মানুষের পরিচয় দিলেন । ধন্যবাদ ।

গায়্‌ব মানে অদৃশ্য । ইলমে গয়ব মানে অদৃশ্য জ্ঞান ।
মহা নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম আল্লাহ সম্পর্কে অতিত সম্পর্কে ভবিষ্যত সম্পর্কে সৃষ্টির প্রথম থেকে নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে সকল বিষয়ে সম্পুর্ন জ্ঞান থাকার কারনেই তিনি ঐ বিষয় গুলো আমাদের কে জানাতে পেরেছিলেন । শুধু কি তাই কোরআনে মজিদে আল্লাহ বলেন " আললাহ তোমাদের কাউকে গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন না কিন্তূ রাসুলদের মধ্যে যাকে নির্বাচিত করেন তাঁকে ( গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন ) সুরা আলইমরান ১৭৯

আল্লাহ ইরশাদ করেন ; তিনি স্বীয় গায়েবের বিষয়ে কাউকে ক্ষমতা বান করেন না । কিন্তূ রাসুলদের মধ্য যার উপর তিনি সন্তষ্ট হন ( তাকেই ক্ষমতাবান করেন ) সুরা জিন আয়াত ২৬/২৭ ।

বিখ্যাত হাদীস গ্রন্থ বুখরী শরিফ থেকে হাদীস......।হযরত আমর ইবনে আখতাব রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্নিত , তিনি বলেন , আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহয় তা'আলা আলাইহিস সালাম একদিন আমাদেরকে নিয়ে ফজরের নামাজ পড়লেন । অতঃপর মিম্বরে আরোহন করলেন এবং আমাদের উদ্দেশে দীর্ঘ বক্তব্য প্রদান করলেন ; এমন কি যোহরের নামায পড়ালেন ।অতঃপর আবারো আরোহন করলেন মিম্বরে , আর বক্তব্য দেওয়া শুরু করলেন ,এমন কি আসরের নামাযের সময় উপস্থিত হল । অতঃপর মিম্বরে হতে নেমে আসরও পড়লেন । পুনরায় মিম্বরে আরোহন করে বক্তব্য দিতে দিতএ সুর্য অস্তমিত হয়ে গেল । সে দিন নবী করীম অতীতে যা কিছু এবং ভবিষ্যতে যা কিছু হবে সকল বিষয়ে আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন । আমাদের মধ্যে যাঁদের স্মরণশক্তি অধিক তাঁরা সেসব (অদৃশ্য) সংবাদ বেশী মনে রাখতে পেরেছেন ।

( সুত্র : বুখারী শরীফ হাদিস নম্বর ৬২৩০ কিতাবুল কদর , মুসলিম শরিফ হাদিস নম্বর ২৮৯১ কিতাবুল ফিতান , তোরমিযী শরীফ হাদিস নম্বর ২১৯১ কিতাবুল ফিতান , আবু দাউদ শরীফ হাদিস নম্বর ৪২৮ কিতাবুল ফিতাম , মিসকাতুল মাসাবিহ : কিটাবুল ফিটাম ৪৬১ পৃষ্ঠা )


এর পর ও তাদের বুঝে আসে না । সত্য কি ? নবী কি ? রাসুল কি ? কোরআন কি? হাদীস কি ?
টর্ক করা এক জিনিস আর জানা বা জ্ঞানার্জন আরেক জিনিষ । এত গুরুত্ব পুর্ন বিষয়ে আর কি করে বুঝানো যায় বলুন ?
আপনার মতামত খানা ভাল লেগেছে । আপনার দিন সুন্ডর হোক ।সালাম ।

২৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫০

বাতাসের রূপকথা বলেছেন: এখানে বিষয়টি নিয়ে অন্যকে প্রতিপক্ষ ভাবার দরকার আছে কি ? শুধু আলোচনা করা ছাড়া আর কি-ইবা করার আছে? ভুল বুঝে থাকলে আরো পড়ে অথবা যারা আরো বেশী জানে তাদের সাথে আলোচনা করা যেতে পারে। আর না বুঝলে ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে থাকলে-ই হয়। শুধু শুধু বিভ্রান্তিতে যাওয়ার দরকার আছে কি। ইসলামের সুন্দর জীবন ব্যবস্থাপনা নিয়ে লিখুন যাতে দেশে ঘুষখোর আর অবিচারকারী লোকের সংখ্যা কমে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০৯

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: ইসলামের সবচেয়ে সুন্দর বিষয় হচ্ছে মহা নবী সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম । তাঁর ব্যাপারে যখনই আলোচনা করবেন ইসলামের দুশমন রা তখন মথা চাড়া দিয়ে উঠবেই । ইসলামেল মূল যিনি সে মহানবীকে না জানলে তাঁর প্রতি ভালবাসা না থাকলে ইসলামকে কি ভাবে বুঝবেন । তাই এই বিষয় গুলো পরিস্কার করা অতিজরূরী হয়ে গেছে ।

৩০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫৩

রাকি২০১১ বলেছেন: @লেখক,
নবিজী আল্লাহর নির্দেশের বাইরে কিছু বলতেন না।
অর্থাত, নবিজী ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু বলতেননা, যতক্ষণ পর্যন্ত তার কাছে আল্লাহ তায়ালার নিকট হতে ওহী না আসত (অথবা পুর্বে নাজীলকৃত ওহীর অনুগামী না হত)।

যেটা নবিজীকে জানানো হ্য় সেটা আবার গায়েব হ্য় কি করে রে বলদ!!!!!!!!!!!!!

শিরক হতে মুক্ত হোন, অন্যকে শিরকের দিকে আহবান করা হতে বিরত হোন।

নবিজী শুধুমাত্র তা-ই জানেন যা তাকে জানানো হয়; এর বেশি একবিন্দুও নয়।

আল্লাহ তায়ালাতো নিজেকে "আলিমুল গায়ীব" বলেছেন; নবিজী যদি গায়েব জানতেন তাহলে তাকে কেন "আলিমুল গায়ীব" বলা হয়নি??





২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০৩

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: অবশ্যই নবী জি আল্লাহর নির্দেশের বাইরে চলতেন না । অবশ্যই আল্লাহ তাকে সৃষ্টির প্রথম থেকে নিয়ে সৃষ্টি শেষ অবধি সকল বিষয়ে সম্পুর্ন জ্ঞান দিয়েছেন । অদৃশ্য জ্ঞান তার মধ্যে অন্যতম ।

নিজের মতামত আর কোরআন হাদীসের আলোচনা এক নয় উপরে উল্লেখিত কোরআনের আয়াতে আল্লাহ কি বলেছেন । উপরে উল্লেখইত হাদীসে কি বিষয়ে বোঝান হয়েছে ?
অসভ্য আচরন থেকেই বুঝা যায় আপনার ধর্ম জ্ঞান কতটুকু আছে । হীনমন্য মানুষ যুক্তি খুজে না পেলে অসলীল বাক্য বিনিময় করে । আপনি সে রকম একজন ।

৩১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০২

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: অবশ্যই নবী জি আল্লাহর নির্দেশের বাইরে চলতেন না । অবশ্যই আল্লাহ তাকে সৃষ্টির প্রথম থেকে নিয়ে সৃষ্টি শেষ অবধি সকল বিষয়ে সম্পুর্ন জ্ঞান দিয়েছেন । অদৃশ্য জ্ঞান তার মধ্যে অন্যতম ।

নিজের মতামত আর কোরআন হাদীসের আলোচনা এক নয় উপরে উল্লেখিত কোরআনের আয়াতে আল্লাহ কি বলেছেন । উপরে উল্লেখইত হাদীসে কি বিষয়ে বোঝান হয়েছে ?
অসভ্য আচরন থেকেই বুঝা যায় আপনার ধর্ম জ্ঞান কতটুকু আছে । হীনমন্য মানুষ যুক্তি খুজে না পেলে অসলীল বাক্য বিনিময় করে । আপনি সে রকম একজন ।

৩২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০৩

িজিবিজিমিয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন "ইলমে গায়েব কোন কোন সময় কুকুর ও জানে ।"

যে জিনিষ কুকুরের মধ্যে অল্প বিস্তর আছে তা নবিদের মধ্যে একটু বেশী থাকবেই। ভাইজান ধর্ম নিয়ে লেখেন অসুবিধা নাই কিন্তু বেশি কইতে যাইয়া কুরান হাদিস রে আর পচায়েন না। আল্লাতালা এম্নিতে একটু অসুবিধায় আছে। যে ভাবে মানুষজন আল্লাকে অস্বীকার করতাছে তাতে চিন্তার বিষয় আছে । আর এদিকে নবি আসারও সম্ভাবনা নাই যে কুরানের ভুল ভ্রান্তি ঠিক কইরা দিব । ইমাম মেহেদি কবে আসব কে জানে। আবার স্বপ্নেও কেউ কোন আলামত পাইতেছে না। তাই ভাইবা, চিন্তা কইরা কুরানের কথা কইয়েন। কারন এখন জ্ঞানী মানুষের সংখ্যা বেশি আর কুরানে জ্ঞানীদের জন্য অনেক ইঙ্গিত আছে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:১৩

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আমার আলোচনার এই দিকটা ছিল একজন কে বিঝাতে ব্যাভার করেছি মাত্র ।


আপনার জন্য তো ছিল পবিত্র কোরআন যাকে পচাবার কোন ক্ষমতা কারো নেই ।
কিন্তূ বিষয়টা বুঝবে না কেন ? কোরআন ও হাদিস দ্বারা যা সন্দেহাতিত ভাবে প্রমানিত ।

৩৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:১৯

হিতৈষী বলেছেন: খাজা সাহেব, আপনি যে সুরা আলে ইমরানের ১৭৯ নং আয়াতের কিছুটা উল্লেখ করে বারবার দলীল দিচ্ছেন দয়া করে সেই আয়াত টা পুরা পড়ুন, তখন বুঝতে পারবেন সেখানে কোন গায়েব এর কথা বুঝানো হয়েছে। তাফসীরে দেখেন সেখানে গায়েব এর ব্যাখ্যায় কি বলা হয়েছে।

আর আমার উল্লেখিত কোনো আয়াতের ই আপনি জবাব দিতে পারেননি। বুঝা ই যাচ্ছে আপনি কত বড় গন্ড মুর্খ।

আপনি নিজে কুরআনের অপব্যাখ্যা করে আরেকজনকে শাস্তির ভয় দেখান। ভন্ড আর কাকে বলে!

যাই হোক , এমন মুর্খের সাথে আমি আর সময় নষ্ট করতে চাচ্ছিনা।

আমার আসল উদ্দেশ্য ছিল, পাঠকদেরকে যেন আপনি বিভ্রান্ত করতে না পারেন।

আশা করছি ,পাঠকদের কাছে এতক্ষনে আপনার ভন্ডামী স্পস্ট হয়ে গেছে।

পরিশেষে দোয়া করছি ,আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দিন। আর দয়া করে এভাবে উলটা পালটা লিখে , বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ঈমানদারদের সহীহ আকীদা নষ্ট করার চেষ্টা চালাবেননা। আল্লাহ হাফেয।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১৮

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনকে উক্ট আয়াতে কারীমার পুর্ন তাফসীর আগে ও দেওয়া হয়েছে আবার ও দিচ্ছি ।
আপনার মেনে না নেওয়ার প্রবনতা আপনাকে অস্থীর করে তুলছে । কোন ভাবেই বুঝবেন না শ্রেনীর মানুষ আপনি ।

এ আয়াতে ব্যাখা করতে গিয়ে প্রসিদ্ধ গ্রন্থ জালালাইন শরীফে বলা হয়েছে " আউযয়ু মিনাল আহকামে ওয়াল গাইব '' অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহিস সালাম কে শরীয়তের যাবতিয় হূকুম ও গায়েব সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছেন ।
উপরে বর্নিত আয়াত এবনহ জালালাইন শরীফের ব্যাখ্যা দ্বারা বুঝা গেল
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনন তানন হাবীব সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম কে ইলমে গায়েব জানাইয়াছেন । তাই আমরা বলি রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম ইলমে গায়েব জানেন । অসংখ্য হাদিসে মাধ্যমে জানা যায় যে রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম স্পস্ট বলে দিয়েছেন -কে কখন মৃত্যুবরন করবে ? কোন জায়গায় কে মারা যাবে এবং কার গর্ভে ছেলে সন্তান অথবা মেয়ে সন্তান রয়েছে ইত্যাদি।
যদি রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম এ সব বিষয়ে গয়েব না জানতেন , তাহলে সম্স্ত গয়েবের সংবাদ কি ভাবে দিলেন ?
তাফসীরে সাভার ৪র্থ খন্ডে ২৭৫ পৃষ্টা রয়েছে
"ইনণাহু সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম লাম ইয়াখ রুজু মিনাদ দুনিয়া হাত্বা আ'লামাহু ল্লাহু বি জামইহি মুগি বাতিদ দুনিয়া ওয়াল আখেরাহ "
অর্থাৎ আল্লাহর দুনিয়া এবং আখেরাতের সমস্ত গায়েব না জানানো পর্যন্ত রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম দুনিয়া থেকে ইনতেকাল করেন নি ।
তাফসিরে খায়েন ৪র্থ পারায় রয়েছে ;
" মা কানা ল্লাহু লি ইয়াজ রাল মুক মিনিনা আলা মা ানতুম আলাইকুম "
উক্ত আয়াতের ব্যখ্যাু উল্লেখ করা হয়েছে - রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম এরশাদ করেন , আমার কাছে আমর উম্মতকে তাদের নিজ নিজ মাটীর আকৃতিতে পেশ করা হয়েছে যেমন ভাবে আদম আলািহিস সালাম এর কাছে পেশ করা হয়েছিল । আমাকে জানানো হয়েছে , কে আমার উপর ঈমান আনবে ? কে আমাকে অস্বিকার করবে ? যখন এ খবর মুনাফিকদের কাছে পোছলো তখন তারা ঠাট্টা করে বললো -কে তাঁর উপর ঈমান আনবে আর কে তাকে অস্বিকার করবে তাদের কে তাদের জন্মের পুর্বেই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম জানতেন বলে বলেন । অথচ আমরা তাঁর সাথেই আছি - কিন্তু আমাদেরকে চিন্তে পারেন নি । এ খবর যখন রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম -এর নিকট পৌছলো । তখন তিনি মিম্বরের উপরে দাড়ালেন এবং আল্লাহর প্রসংসা করে ইরশাদ করলেন
(" কালা মা বালআকওয়ামে তায়ানু ফি ইলমি লা তাসআলু নি আন শাঈন ফিমা বাইনাকুম ওয়া বাইনাস সাআতি ইল্লা আনবাইতুকুম বিহ্‌")
অর্থাৎ " এসব লোকেদের ( মুনাফিকদের) কি যে হলো আমার জ্ঞান নি্যে তারা বিরূপ সমালোচনা করছে । তোমরা এখন থেকে কেয়ামত পর্যন্ত যে কোন বিষয় সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসা করো আমি াবশ্যই উহা তোমাদের কে বলে দিবো"
(তাফসীরে খয়েন )

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৫

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: হীনমন্য মানুষ যুক্তি খুজে না পেলে গালা গালি আস্রয় নেয় বা অসলীল কথা বলে আপনিও সে জাতের ।

৩৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৫

ছাদিক তাল বলেছেন: ভাল করে পোরেন আর বুঝেন

আমি লেখকের চিন্তা ভাবনা দেখে অবাক হচ্ছি। আজ আলেম না হয়েই অনেকে বলে থাকে শুধু কোরান আর কিছু হাদীস এর বই পড়লেই তাফসীর থেকে নিয়ে যত ব্যাখ্যা বিশ্লেষন সবই করা যাই। এত কিছুর দরকার কি!
সুরা আল ইমরানের এই আয়াত এর তাফসীর এ মা'আরেফুল কোরয়ানে স্পষ্ট লেখা আছে যে কোরানের সব জাগায় শুধু কিছু গায়েবের বিষয়ে অবহিত করা বা গায়েবের সংবাদ এই কথা লেখা আছে।
গায়েব জানার মানে হল আদি থেকে অন্ত আগে পরে অনু পরমানু সামনে পিছনে এমন কিছু নেই যা জানা নাই। আর এই ক্ষমতা শুধু আল্লাহর। আর অন্য কারও এই রকম কিছু ক্ষমতা আছে বলা বা বিশ্বাস করা আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক করা।
গায়েব জানানো আর গায়েব জানা এক কথা নয়। হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্ব হতে কিছুই জানতেন না যদি তা আল্লাহর পক্ষ হতে না জানানো হত।

আপনি আয়াতে ভাল করে লক্ষ করে দেখুন বলা হয়েছে আল্লাহ সবাইকে গায়েব জানান না কিন্তু আল্লা তায়ালা নবী-রাসুল কে পছন্দ করে তাদের কে গায়েবের খবর জানিয়েছেন।

আর কোরান বোঝা বুঝি নিয়া কথা বলতাছেন। আরে ভাই এইটা কি মামুলী কাম নাকি। বড় বড় আলেম নিজের সারা জীবন এর পিছনে লাগায়দিতাছে যাদের জীবন পাক পবিত্র। আর আমরা গান বাজনা গীবত এর মাঝে থাইকা কোরানের মর্ম উদ্ধার করতেছি।

কোরানের মর্ম আল্লাহ চাইলে সবাই বুঝতে পারে কিন্তু এর জন্য যে আখলাক আমল আর আল্লাহ ভয় দরকার আর আরবী ভাষা ও ব্যাকরণে যে জ্ঞান দরকার সেটা মনে হয় আমাদের মাঝে নাই।

আর কি বলব। আসলে এই টপিক গুলি নিয়ে না লেখাই ভাল। কারণ আজকাল এ নিইয়ে বহুত বাড়া বাড়ি হইতেছে। আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২২

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: লিখার দরকার হত না যদি এই বিষয়ে সঠিক ধারনা থাকতো আপনাদের । আপনারা যদি এই বিষয়ের প্রতি সামান্য স্রর্ধাবোধ থাকতো বিষটি এটো বারা বাড়ি হতো না ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪২

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আর সত্যকে অস্বীকার করার দরকার কি ? সত্যের বিষয়ে সত্যের পক্ষে কথা না বলে বিপক্ষে বলছেন কেন ? কোরআন হাদিসের দলিল এর চেয়ে আর কি অধিকতর মুল্যবান হতে পারে আমার জানা নাই । কোরআন হাদীস যাকে হিদায়াত করে না তাকে কে হিদায়েত করবে । কারও কোন দায়িত্বও নেই ।
চেষ্টা করেছি বুঝেন না বুঝেন আপনার বিষয় ।

আল্লাহ তাঁকে সকল বিষয়ে জানিয়েছেন বিধায় তিনি সর্বশ্রেষ্ট রাসুল । ইহাই দলিল যথেষ্ট ।

নবীর দুঃশমন ছারা নবীর ক্ষমতাকে বা যোগ্যতাকে ছোট করে কেউ দেখে না । সাহাবায়ে কেরামদের সুন্নত কি শুনেন তাঁরা হুজুর যখন যা কিছুই বলতো বা জানতে চাইতো তারা সকলই একটি কথাই বলতো আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভাল জানেন । কোথাও শুধু আল্লাহই ভাল ঝানেন বলেন নাই । অবশ্যই আল্লাহ ভাল জানেন রাসুলের চেয়ে বেশি জানেন কিন্তূ রাসুল সম্মান বলে একটা বিসয় আছে সে দিকে সাহাবাই রাসুল গন ছিলেন খুবই সচেতন । আপনাদের কি হয়েছে বুঝলাম না । নবীর প্রসংঙ্গে কোন ভাল কথা বললেই আল্লাহর পক্ষ হইয়া লাইগা যান । আরে আল্লাহকে জানলেন তো ভাই নবীর মাধ্যমে ! কোরআন পাইলেন তো এই নবীর মাধ্যমে । শরিয়ত পাইলেন তো এই নবীর মাধ্যমে । নবী এতো অপছন্ড কেন আপনাদের ? কি অন্যায় করেছেন তিনি যে আপনারা আজ তাঁর দিকে ফিরাতে চান না ?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৫

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আমি কোথাও বলি নাই রাসুল আল্লাহর চেয়ে বেশি জানেন ! যা বলছি টা পুনরায় বলি ..
প্রিয়তম রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম সৃষ্টির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকল দৃশ্য অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান মহান আল্লাহ আমাদের প্রিয় নবীকে দয়া করে দিয়েছেন । তিনি এ ব্যাপারে সকল বিষয়েই জানেন । কারন আল্লাহ তাঁকে জানিয়েছেন । এখন আল্লাহর সাথে কি করে শিরিক হল বলেন তো । আমি তো বলছি না যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম সকল বিষয়ে আল্লাহকে জানিয়েছেন আল্লাহ জানতেন না ?

আজাইরা কনফ্লিক্ট করেন । বেকুব মাওলানাদের প্রিপিলাইজ দেন । আজগুবি এক সিচুয়েশন ।

আরে তিনি যদি অদৃশ্য না জানবেন তবে আল্লাহ কে জানলেন কেমনে ? যে টা উনি জানবেন না সে আবার আরেক জন কে জানাবেন কেমনে ?
আপনি যদি গড়ি চালনা না জানেন তবে আপনি কি কাউ কে শিখাতে পারবেন ? মুসলমান রা আসমান যমিন কিয়ামত হাসর জান্নাত দোজখ সকল ইলম ই ইলমে গায়ব এই জ্ঞান কে জানাল ? আল্লাহ না আল্লাহর রাসুল ?
আপনার মা আগে না আপনার বাপ আগে ?

৩৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৩৭

তানভীরসজিব বলেছেন: তর্ক না করে নিজের বিস্বাষে স্থির থাকার চেষ্টা করেন । আজকাল অনেকেই নবী প্রেম সহ্য করতে পারেনা । তারা কিন্তু মুসলিম !! ইয়াজিদ এর বংশধর কই গেলো ?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৯

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আজকে যদি এই বিতর্ক বিধর্মীদের সাথে করতাম ঠিক ছিল । উহুদী নাছারার সাথে করতাম ঠিক ছিল । হিন্ডুর সাথে করতাম ঠিক ছিল কিন্তু তর্ক করছেন উম্মতে মুহামমদীর সাথে ! এরা ই নবীর উম্মত যারা নবীর বিন্দু মাত্র প্রশংসা মেনে নিতে পারে না ।হজমই হয় না ডাইরিয়া হয়ে যায় নবীর নাম নিলে এরা কারা ? মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা'আলার উম্মত ? উম্মত মানে কি দুঃশমন ? তাইলে এরা তাই । আমি এদের দল ভুক্ত নই । আমি প্রতিবাদ করছি এই সকল উম্মত বেসী মুনাফিকদের যারা অতি ভক্তি (চোরের লক্ষন) করে আল্লাহ আল্লাহ করছেন নবীকে মুর্খ সামান্য মনে করছেন । যার কোন সামান্য ক্ষমতা থাকলেও থাকতে পারে কিন্তু সন্ডেহ আছে । ছি ! লানত এই বান্দেগির । অকৃতজ্ঞ এই উম্মত কে আল্লাহ কি খুব ভালবেশে কুলে তুলে নিবেন মনে করছেন । কোন দিন ও না । আল্লাহ ইবলিসের ইবাদত গ্রহন করেন নাই । সে বিতারিত চিরকালের । এদের আল্লাহর প্রতি একোত্ববাদ দেখলে ইবলিসের একোত্ববাদের কথাই স্বরণ হ্য় । যা আল্লাহ কোন দিন ও মেনে নেন নি নিবেন ও না । যার নবীর প্রতি ভালবাসায় সমস্যা আছে সে আল্লাহর ও বান্দা নয় ।

৩৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১০

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: ৩০ নং কমেন্টের উত্তরে লেখক বলেছেন: অসভ্য আচরন থেকেই বুঝা যায় আপনার ধর্ম জ্ঞান কতটুকু আছে । হীনমন্য মানুষ যুক্তি খুজে না পেলে অসলীল বাক্য বিনিময় করে । আপনি সে রকম একজন ।

হীনমন্য মানুষ, আত্বসম্মানবোধহীন মানুষ, অসভ্য মানুষ । এর চেয়ে বড় গালি তো আমার জানা নেই ভাই, এর চেয়ে অসালীন বাক্য তো বাংলা ডিকশনারীতে আছে বলে আমার মনে হয় না। একটি মানুষকে হীনমন্য, আত্বসম্মানবোধহীন কিম্বা অসভ্য বলার চেয়ে অসালীন কোন বাক্য কি বাংলা ভাষায় আছে? হীনমন্য মানুষ যুক্তি খুজে না পেলে অসলীল বাক্য বিনিময় করে । আপনি সে রকম একজন । আপনার কথা দিয়েই আপনাকে উত্তর দিলাম। কারণ এমন অশালীন শব্দ অন্য কেউ বলেনি এই পোস্টে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৩

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনার পুর্বের জবাবে লক্ষ্য করুন ভাষা গত কারণে ঐ সকল শব্দ ব্যাভার করা হয়েছে । আলোচনার জন্য সুন্দর শব্দ ব্যাবহার বান্চনীয় ।ধন্যবাদ ।

৩৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২১

ঢাকা থেকে বলেছেন: @ খাজা মুহাম্মদ মাসুম,
দলীল ভিত্তিক আলোচনা করার জন্য শুকরিয়া।
নির্বোধ লোকদের কখনও বোধ দেয়া যায় না।
যে লোকগুলো হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে সঠিক আক্বীদা পোষন করে না , তারা আসলে "উলায়ে কা আনআম বালহুম আদাল" এ আয়াতের মিছদাক্ব।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৩

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: মেহেরবানী আপনার ।

৩৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৭

রাকি২০১১ বলেছেন: ভাইসকল, এই বে-অকুফের সাথে প্যাচাল পাইরা লাভ নাই; ওকে প্রশ্ন করায় কোন উত্তর দেয় নাই ;
শুধু নিজেকে পন্ডিত মনে করে। এতগুলা লোক তাকে ডজন ডজন রেফারেন্স দিলেও তালগাছ সে ঠিকই অধিকারা রাখছে।

গায়েব কি জিনিশ সেটাই বোঝে নাই। আমি ক্ষ্যান্ত দিলাম।

আলিমুল গায়িব একমাত্র আল্লাহ তায়ালা; অন্য কেউ নয়। মহান আল্লাহ তায়ালা কেবল সময়ের প্রয়োজনে কিছু জিনিস নবিজী (স.)কে জানিয়ে দিয়েছেন।

আল্লাহ তায়ালাতো নিজেকে "আলিমুল গায়ীব" বলেছেন; নবিজী যদি গায়েব জানতেন তাহলে তাকে কেন "আলিমুল গায়ীব" বলা হয়নি??
এই প্রশ্নের জবাবে সে কিছুই বলে নাই।



২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫০

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: কে কোন দজন খানেক রেফারেনছ দিছে ?

আচার আচরন কথা বার্তার আদব লে-হাজ নাই আসছেন ইসলাম-এর গুরুত্ব পুর্ন বিষয়ে জ্ঞান দিতে । আগে কয়দা পরেন কায়দা মানে হচ্চে নিয়ম জানেন ? তার পর আমারা তার পর কোরআন ! তার পর হাদিস তারপর তর্ক বিতর্ক । ঠিক আছে দাদা ।

আলেমুল গায়েব ' মানে অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞানী ' অবশ্যই ইহা আল্লাহর একটি নামও । ইলমে গায়েব দই প্রকার ১ । ইলমে গায়েব জাতি ২। ইলমে গায়েব আতায়ী ।
আল্লাহর বেলায় ইলমে গায়েব জাতি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহিস সালামের বেলায় আতায়ি ।
শিরিক এর কিছু নাই । আমাদের আল্লাহ নির্বোধ নয় । তিনি প্রজ্ঞাবান । হিংষুট ও নন ।

৩৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৩

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: আপনার দেয়া ২টি রিফারেন্স।
"আললাহ তোমাদের কাউকে গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন না কিন্তূ রাসুলদের মধ্যে যাকে নির্বাচিত করেন তাঁকে। সুরা আলইমরান ১৭৯
আল্লাহ ইরশাদ করেন ; তিনি স্বীয় গায়েবের বিষয়ে কাউকে ক্ষমতা বান করেন না । কিন্তূ রাসুলদের মধ্য যার উপর তিনি সন্তষ্ট হন। সুরা জিন আয়াত ২৬/২৭ ।

আল্লাহ নবীজি সাঃ কে কিছু গায়েবের জ্ঞান দিয়েছেন, সেটি কেউ অস্বিকার করছে না। অন্যের মনের মাঝে কি ঘটছে সেটি আগে থেকে জানা গায়েবী জ্ঞান, এই কাজটি করলে কি হবে সেটি আগে থেকে জানা গায়েবী জ্ঞান, সেসব ক্ষেত্র বিশেষে আল্লাহ দিয়েছেন নবীজি সাঃ কে।

কিন্তু আপনি যেভাবে অতীত থেকে ভবিষ্যত জানাকে গায়েবী জ্ঞান দিয়েছেন বলছেন সেটি ঠিক না। নবীজি সাঃ জানতেন পুর্বেকার নবীগন আঃ কি কি করেছেন, ঈমাম মেহেদি আসবেন, ইসা আঃ আবার আসবেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে, কিভাবে হাসরের মাঠে কিভাবে বিচার হবে, বেহেসত কেমন হবে, দোযখের আযাব কতটা ভয়াবহ, এগুলি গায়েবী জ্ঞান না, এগুলি আল্লাহ নবীজি সাঃ কে জানিয়েছেন।

এবার বলি নিচের আয়াত দিয়ে আল্লাহ কি বুঝিয়েছেন।
সুরা ৭ আয়াত ১৮৮ আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে কোন অনিষ্ঠ আমাকে স্পর্শ করতে পারত না। আমি তো একজন সতর্ককারী বই নই আর ঈমানদারদের জন্য সুসংবাদদাতা।
ক্ষেত্র বিশেষে, যেখানে দরকার, আল্লাহ গায়েবী জ্ঞান দিয়েছেন নবীজি সাঃ কে আগেই বলেছি। কিন্তু উনি সব গায়েবী জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন না, আল্লাহ সেটি দেননি মুহাম্মাদ সাঃ কে। সেটি যদি থাকতো তাহলে তায়েফের ময়দানে পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত হতেন না, কে কে ইসলাম গ্রহন করবেন তাদের আগে থেকেই বুঝে ফেলতেন এবং সেভাবে দাওয়াত দিতেন। কে ইসলাম কোনদিন গ্রহন করবে না সেটিও তিনি জানতেন। নবীজির চাচা আবু তালিবকে তাহলে নবীজি কখনো অনুরোধ করতেন না কলেমা পড়ার জন্য।

আশা করি এখন বুঝতে পেরেছেন। আপনার উল্লেখ করা আয়াত ২ টি যেমন সত্যি, ৭:১৮৮ আয়াতটিও তেমনি সত্য। আপনি কিন্তু এই আয়াতের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি, আমি চেয়েছিলাম আপনি নিজেই চিন্তা করলে বুঝবেন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৬

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: যাক আপনাকে ধন্যবাদ কিছু অংশতো মেনে নিলে । আমার জন্য এই অনেক কিছু ।

৪০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৫

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: মানে কি আপনার কি মনে হয় আপনি আমাকে বুঝিয়েছেন তারপরে আমি মেনে নিয়েছি? আমার জন্য এই অনেক কিছু । মানে কি? আপনি আমাকে কিছু দিতে পেরেছেন? আপনার এতো গর্বিত হওয়ার কিছুই নেই। প্রথম কমেন্টেই আমি বলেছি গায়েব তো ভিন্ন জিনিষ। নবী রসুলদের ক্ষেত্র বিশেষে (আল্লাহ যেখানে দরকার মনে করেছেন সেখানে) ইলমে গায়েব থাকবে সেটি অস্বাভাবিক কিছু না, কিন্তু কোরআনের এই আয়াত তো ইলমে গায়েব ব্যাখ্যা করে না। আপনি বরং উল্টো ঠেলেছেন, সাধারণ জ্ঞানকে গায়েবী জ্ঞান বলে তর্ক করেছেন সবার সাথে। সবাই একই কথা বলেছে, সাধারণ জ্ঞান আর গায়েবী জ্ঞান ভিন্ন জিনিষ। আপনি সেটা বুঝেননি একটিবারও।

আপনি বরং বলেন এখন বুঝতে পেরেছেন কিনা। হ্যা বুঝেছেন বললে আপনার জাত যাবে না। এতোক্ষণ তো বারবার ৭:১৮৮ এড়িয়ে গেছিলেন, ব্যাপারটি এমন যে কোরআনের অর্ধেক ঠিক অর্ধেক ভুল।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৪

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: জি বুঝতে পেরেছি ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৩

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ইলমুর গয়েব জানতেন । সৃষ্টির সেই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকল বিষয়ে আল্লাহ তাঁকে সে জ্ঞান দিয়েছেন ।

এখন কেউ কেউ বলে হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে মুনাফিকরা তুহমত দিলে নবীও তা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলায় দিশেহারা হলেন কেনো যদি গায়েবই জানতেন?
আবার আপনি বলছেন
সেটি যদি থাকতো তাহলে তায়েফের ময়দানে পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত হতেন না,
কে কে ইসলাম গ্রহন করবেন তাদের আগে থেকেই বুঝে ফেলতেন এবং সেভাবে দাওয়াত দিতেন। কে ইসলাম কোনদিন গ্রহন করবে না সেটিও তিনি জানতেন।
নবীজির চাচা আবু তালিবকে তাহলে নবীজি কখনো অনুরোধ করতেন না কলেমা পড়ার জন্য।

প্রথমত আল্লাহ প্রিয় মাহবুব সব বিষয়ে ভাল ভাবেই জানতেন কিন্তু আল্লাহ ও তার প্রিয় মাহবূবের বিষয় বুঝবার কোন জ্ঞান আমাদের নেই । সে আয়েশার বিষয়ে নবী জী জানতেন কিন্তু তিনি চেয়ে ছেন আল্লাহ তাঁর ফয়সালা জানাক । অতঃপর আল্লাহ হযরত আয়েশার পাঁক হওয়া প্রসংঙ্গ কোন সন্দেহ নেই বলে আয়াত নাজিল করলেন আর আল্লাহর নবীর স্ত্রীদের ব্যাপারে শরিয়তের হুকুম জারি হল ।
তেমনি তায়েফ -এর ঘটনা ও তাই আর অন্যান্য বিষয়ে ও তাই ।
আল্লাহ তার পবিত্র কালামে পাক-ইরশাদ করেন । আল্লাহ কাউকেই গায়েবের খবর দেন না কিন্তূ তাঁর বিশেষ রাসুল ব্যাতিত । রাসুল দের মধ্যে সব চেয়ে বিশেষ হচ্চেন রাসুলে আকরাম হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

আর আল্লাহ ৭ সুরার ১৮৮ নং আয়াতে হুজুর কে যে ইলমে গায়েব জ্ঞান দিয়েছেন এবং অন্যান্য আয়াতে যা তিনি প্রকাশ করেছেন ঐ আয়াতের পক্ষেই এই আয়াত খানা ।
কোরআনের প্রথম থেকে নিয়ে শেষ অবধি আল্লাহ তাঁর প্রিয় মাহবয়বকে কত শত বিষয়ে প্রসংসা করেছেন কত বিষয়ে সাবধান করেছেন কত বিষয়ে সুসংবাদ দিয়েছেন কত বিষয়ে তাকে দলিল হিসেবে বলেছেন , এর কোন সীমা নেই । সকল আয়াত এই প্রমান কড়ে মহা নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাললাম সৃষ্টির শ্রেষ্ট তিনি রহমাতুল্লিল আলামিন । তিনি সত্য তাঁর উপর স্বয়ং আল্লাহ ও তাঁর ফেরেস্তাকুল দরুদ পড়ে তিনি অন্য নবীদের মত হতে পারেন ? অন্য কোন নবীর জন্য আল্লাহ কোন দরূদ পড়েন নাই । কেবল আমাদের আকা আমাদের মাওলা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরেই মহান আল্লাহ দরুদ পড়েন । তাঁর টাঁর সীমা হীন বৈশিষ্টের আরেক টি হলো ইলমে গায়েব । তিনি কোন জাতির জন্য নয় তিনি নবী ছিলেন মানুষ ও জিন দের সকলের আসমান ও জমিনের সকল মাখলুকের তিনি নবী তাকে সকল ইলম জানা তাঁর খুব সাধারন বৈশিষ্ট ।

৪১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৮

জুবাইর রেযা বলেছেন: মাসুম ভাই,
দলীল ভিত্তিক আলোচনা করার জন্য শুকরিয়া।
নির্বোধ লোকদের কখনও বোধোদয় হবে না।
তাদের তো আললাহ মোহর মেরে দিয়েছেন।
যে লোকগুলো হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে সঠিক আক্বীদা পোষন করে না , তারা আসলে "উলায়ে কা আনআম বালহুম আদাল" এ আয়াতের মিছদাক্ব।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৮

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: উলায়ে কা আনআম বালহুম আদাল । ভাল বলছেন ।

৪২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৯

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: তোমরা যে কথায় বলো তাতে কোন অসুবিধা নাই, তবে তালগাছ আমার। এই নিতিতে চললে লেকককে কোন যুক্তি দিয়ে কেউ বোঝাতে পাবে না। আরে বাপু যে কথা কোরআনে নাই তা আপনাকে কে মানতে বলেছে?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৭

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনি তো দাদা বিপদে ফেলবেন । কি কোরআনে নাই । ভালকরে পড়ে নিন কোরআনে কয়েক জায়গায় আছে যে আল্লাহ তাঁর প্রিয় রাসুল কে ইলমে গায়েব জানাইয়াছেন ?
হাদিসেও আছে । আপনি কোরআন মানবেন হাদিস মানবেন না এটা ইসলাম সম্মত নয় । হাডীস মানতেই হবে কোন উপায় নাই । আপনাকে বোঝান হয়েছে কিন্তু আপনি বুজবেন না ।
তাল গাছ বিষয়ক উক্তিটি আপনার সাথে ভিষন মেচ করে ।

৪৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩০

ছাদিক তাল বলেছেন: আরে কি কও? গায়েব তাকে বলে যা কারো মাধ্যমে অবগত হতে হয় না। যদি কারো মাধ্যমে কেউ কোন কিছু যানে তা আর গেয়াব নয়। আর হুজুর সাঃ কে সর্ব প্রকার গায়েব দেয়া হয় নি।

এর অসংখ্য প্রমাণ আছে। কিন্তু দিয়া লাভা নাই। গায়েবের খবর দেয়া আর গায়েব জানা কি কইরা এক হতে পারে।

গায়েব জানা এক জিনিস আর রসুল সাঃ কে গায়েবের খবর জানানো হয়েছে। একে কখনও গায়েব জানা বলে না। তাকে জানানো হয়েছে।

শবে কদর কবে তা তো তার ভুলে যাবার কথা না। কারণ যে গায়েব জানে তিনি কখনও কিছুই ভুলবেন না। কেননা ভুলে যাওয়া জিনিস যে গায়েব জানে সেই বলতে পারে। উম্মতের প্রতি যার এত দরদ তিনি কেন গায়েব জানলেও এই মহান রাত্রির কথা বলবেন না।

কিন্তু হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। যদি তিনি গায়েব জেনেও বলে থাকেন তিনি ভুলে গেছেন তাহলে তিনি মিথ্যা বলেছে।(নাউযুবিল্লাহ) যা তার শানের খেলাপ।

এরকম তো আরও ঘটনা আছে। কেয়ামত কবে হবে। যদি তাকে সব গায়েবের খবর জানানো হত তবে তিনি বলতেন। কিন্তু তিনি এর আলামত বলেছেন কিন্তু নির্দিষ্ট সময় বলেন নি। তি যে এ ব্যাপারে জানেন না তা বলেছেন।

যদি তিনি সব খবর জানেন তবে তো তিনি এ ক্ষেত্রেও মিথ্যা বলেছে।(নাউযুবিল্লাহ) যা তার শানের খেলাপ।

আরও এরকম আরো ঘটনা আছে যা তার গায়েব না জানার প্রমাণ করে। হা তবে প্রয়োজন এর ক্ষেত্রে আল্লাহ রব্বুল ইজ্জজত উনাকে গায়েবের খবর জানিয়েছেন।

কি বলেন তাল গাছ আমার?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:০৪

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: রাসুল সাল্লাল্লাহয় তাআলা আলাইহিস সালাম গায়রব জনতেন , কোরআনে আল্লাহই টকে গয়েবের জ্ঞান জানিয়ে দিয়েছেন তবে উম্মত যাতে খুজে না্য এবং বেশি বেশি নামাজ পড়ে এই কারনেই সকল বিষয় সবার জন্য উন্মক্ত করেন নাই । সব গায়েব যদি জানাইদিত তাহলে আোনেক সমস্যাও হতে পারতো । অবশ্যই আল্লাহ তাঁকে এই মহা জ্ঞান ইলমুল গায়েজানিয়েছেন এবং তিনি সৃষ্টির পথম থেকে ইছরাফীলে শেষ ফুঙ্কার পর্যন্ত নয় শুধু কিটামত ফুলসিরাত সকল বিষয়ে যা গায়েব তিনি জানিয়েছেন সকল গায়ের মুল আল্লাহ তাঁর সাথে তিনি মিটিং কড়ে আসছেন তিনি যাহা কিছু জানাবার সকল বিষয় নবী মুহাম্মাদুর রাসুল লুল্লাহ জানতেন ঝানতেন ঝানতেন কোরআন হাদীস থেকে এর প্রমান দুতে ও মুফাসিরিনে কেরাম গনের মতামত শ পেশ করছি । আর বিশ্ব সুন্নি সমাজ ইহা জানেন ,

৪৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩০

শাহ আলম৬৭ বলেছেন: আপনি অযথাই নবীকে গায়েব জানার ব্যাপারে আল্লাহর সমকক্ষ বানানোর চেষ্টা করছেন---আর মনগড়া দলীলবিহীন সব ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। মা আয়েশার ক্ষেত্রে আমি যা প্রশ্ন করেছি তার জবাবেও মনগড়া গাল গল্প ফেঁদেছেন । কোরান -হাদীসের কোথাও নেই যে, নবী গায়েব জানতেন বরং আল্লাহ বলেছেন--নবীকে তিনি অজানা অনেক কিছুই জানিয়েছেন যা তিনি জানতেন না। মানে তিনি নিরক্ষর হলেও কেবল আল্লাহই তাকে বর্তমান অতীত ও ভবিষ্যতের অজানা তথ্য জানান অন্য কেউ নয়। মানে তার শিক্ষক স্বয়ং আল্লাহই।

আপনি যদি জ্ঞান আর গায়েবের ব্যাপারকে গুলিয়ে ফেলে নবীকে আল্লাহর পর্যায়ে নিয়ে যান; তবে আপনার জন্য করুনা করা ছাড়া আর কিছু নেই। নবীত্ব আল্লাহ কর্তৃক আরোপিত একটা বিশেষ মর্যষেষ-যা তাকে দেয়া হলেও তিনি আমাদের মতই সাধারন মানুষ ছিলেন, আমাদের মতই মানবিক দুর্বলতায় ভূগেছেন। তাই তিনি অতিমানব ছিলেন না। তাইতো কাফেররা বলত যে, এ কেমন নবী যে আমাদের মত খায়, বাজারে যায় ইত্যাদি। আল্লাহ কাউকে গায়েবের অংশীদারিত্ব দেননি।

তাই নবীকে যা তিনি নন তা-ই তার ওপর আরোপ করে মহাপাপী হবেন না। ক্ষ্যান্ত দিন আবু জেহেলী পন্ডিতি থেকে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:০৭

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: বাংলায় লিখি ছি কেন পড়তে পাড়েন না পুরা নোট টা দয়াকরে পড়ে নেন ।তার পর ও আপনার জন্য আবার ও দিচ্ছি ।

আল্লাহ বলেন " আললাহ তোমাদের কাউকে গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন না কিন্তূ রাসুলদের মধ্যে যাকে নির্বাচিত করেন তাঁকে ( গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন ) সুরা আলইমরান ১৭৯

আল্লাহ ইরশাদ করেন ; তিনি স্বীয় গায়েবের বিষয়ে কাউকে ক্ষমতা বান করেন না । কিন্তূ রাসুলদের মধ্য যার উপর তিনি সন্তষ্ট হন ( তাকেই ক্ষমতাবান করেন )

কোরআন থেকে দলিল দিলাম হাদীস থেকে দলিল দিলাম তার পরও জানি যারা মানবে না তাদের কে কোন দিন ও মানান যাবে না । চির হতভাগা সম্প্রদায় এদের মত আর কে আছে ? কিছুই করার নাই ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:০৯

খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আল্লাহর হুকুন নবী গায়েব আল্লাহ জানিয়েছেন ।


জিবনে তৌবা করেন কেউ যদই বলে নবীর ইলমে গায়ব জানেন তখন হাঁ তিনি অবশ্যই জানে বলবেল,
ঐ উল্লা মুলবিদের কথার কোন দলিল না ।

৪৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:১৪

রাকি২০১১ বলেছেন: @আবিরে রাঙ্গানো, ভাই , আমি লেখককে শুরুতেই বলেছিলাম যে, গায়েব কি জিনিশ তা তিনি বুঝেন নাই, কিন্তু তিনি স্বীয় বিশ্বাসের উপর অবিচল। সময়ের স্বল্পতার কারনে ব্যখ্যা করতে পারি নাই; এখনও নয়।

@লেখক, আমি দু:খিত আমার ব্যবহারের জন্য।

নবিজী সবকিছু তখনই জানতেন, যখন মহান রাব্বুল আলামিন উনাকে জানাতেন। এই জানা বিষয়সমুহ বাকি মাখলুকের নিকট অজানা থাকলেও তাকে গায়েব বলা যায় না- কারন এটাতো আল্লাহ তায়ালাই উনাকে জানিয়েছেন। গায়েবের একমাত্র মালিক আল্লাহ তায়ালা।

আশা করি নিজের আক্বীদা ঠিক করে নিবেন।





৪৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৪২

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: গায়েব কাকে বলে সেটা আগে ভালো করে জানুন। গায়েব তাকে বলে, যা কারো মাধ্যমে ছাড়া অবগত হওয়া যায়। যদি ফেরেস্তা মারফত কেউ কোন কিছু জেনে থাকে সেটা আর গায়েব থাকে না।
যাহোক তাল গাছেটি আপনার স্বীকৃতি দিলাম--------আল্লাহ আপনাকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করুন----আমেন

৪৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:১৬

ফুচকা বলেছেন: নওমুসলিমদের জন্য উৎসাহ যোগান পোস্ট হিসেবে অবিলম্বে নিচের পোস্ট স্টিকি করা হোক।
Click This Link

৪৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৩

বুলবুল আহ্‌মেদ বলেছেন: ভন্ড খাজা , খাইছে ধরা। রাসুল (সাঃ) কে নিয়ে ব্যবসা না করলে খাবে কী? মিলাদ আর চল্লিশা করে পাবলিকের পকেট কাটতে হবে। আর এই জন্য দরকার সাহাবী, আল্লার ওলীদের বিবর্জিত বিদআতি বেরেলভী কনসেপ্ট।

ধন্যবাদ নিম্নের ভাইদেরকে বাতিলের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য।

শাহ আলম৬৭, হিতৈষী, সেলিম জাহাঙ্গীর, আবিরে রাঙানো, শিকদার, নোটার্হম, রাকি২০১১, জিবিজিমিয়া ও ছাদিক তাল প্রমুখ ভাইদেরকে।

৪৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২

শাহ আলম৬৭ বলেছেন: গায়েব বা অদৃশ্যের খবর একমাত্র আল্লাহ্‌-ই জানেন
* “ তিনি ( আল্লাহ্) বলেন, হে আদম ওদের (ফেরেশতাদের) এদের (এ সকলের) নাম বলে দাও। যখন সে (আদম আঃ) তাদেরকে নামসমূহ বলে দিল,তিনি বললেন,আমি কি বলিনি যে, সমগ্র আসমান ও যমিনের অদৃশ্য বস্তু সম্বন্ধে আমি অবহিত এবং তোমরা যা ব্যক্ত কর বা গোপন রাখ নিশ্চিতভাবে আমি তাও জানি ” - সূরা-বাক্বারাহ্‌ : ৩৩

* “ আল্লাহ্‌ আরও যখন বলবেন, 'হে মরিয়ম তনয় ঈসা! তুমি কি লোকদের বলেছিলে যে, তোমরা আল্লাহ্‌ ব্যতীত আমাকে ও আমার মাতাকে মান্য কর ?'
সে বলবে, " তুমিই মহিমান্বিত! যা বলার অধিকার আমার নেই তা বলা আমার পক্ষে শোভন নয়। যদি আমি তা বলতাম তবে তুমি তো তা জানতে। আমার অন্তরের কথা তো তুমি অবগত আছ, কিন্তু তোমার অন্তরের কথা আমি অবগত নই,নিশ্চই তুমি অদৃশ্য সম্বন্ধে পরিজ্ঞাত”। -সূরা-মায়িদাহ্‌ :১১৬

* “ তাঁরই কাছে অদৃশ্যের চাবি রয়েছে, তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তা জানে না। পানিতে- স'লে যা কিছু আছে তা তা তিনিই জানেন,তাঁর অজ্ঞাতসারে একটি পাতা ও পড়ে না, মৃত্তিকার অন্ধকারে এমন কোন বীজ হয় না বা রসযুক্ত কিংবা শুষ্ক কোন বস্তু নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে (কোরআনে) নেই ”। সূরা-আন’আম : ৫৯

* “ ওরা কি জানত না যে, ওদের অনত্মরের গোপন কথা ও ওদের গোপন পরামর্শ আল্লাহ জানেন এবং যা অদৃশ্য তা তিনি বিশেষভাবে জানেন ” ?
-সূরা-আত্‌ তাওবাহ্‌ : ৭৮

* “ তোমরা ওদের নিকট ফিরে এলে ওরা অজুহাত পেশ করবে । বল, "অজুহাত পেশ করো না, আমরা বিশ্বাস করবোনা, আল্লাহ্‌ তোমাদের সংবাদ আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন এবং আল্লাহ্‌ ও তার রাসূল তোমাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করবেন। পরে, অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতার নিকট তোমাদের প্রত্যাবর্তিত করবেন এবং তোমাদের কৃতকর্ম জানিয়ে দিবেন ।" -সূরা-আত্‌ তাওবাহ্‌ : ৯৪

" ওরা বলে, ’তাঁর (মুহাম্মাদ সা: এর) রবের নিকট থেকে তার কাছে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হয় না কেন? বলুন, ”গায়েবের বা অদৃশ্যের খবর তো একমাত্র আল্লাহ্‌ই জানেন। সুতরাং তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষা করছি।" - সূরা-ইউনুস : ২০

“আকাশ ও পৃথিবীর অদৃশ্যের জ্ঞান আল্লাহ্‌রই ও তাঁরই নিকট সমস্ত কিছু প্রত্যানীত হবে। তাই তাঁর উপাসনা কর এবং তাঁর উপর নির্ভর কর। তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে তোমাদের রব অনবহিত নন ” । সূরা-হূদঃ ১২৩

“তুমি বল, "তারা কতকাল ছিল তা আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন, আকাশও পৃথিবীর অজ্ঞাত বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই। তিনি কত সুন্দর দ্রষ্টা ও শ্রোতা। তিনি ব্যতীত ওদের কোন অভিভাবক নেই।তিনি কাকেও নিজ কর্তৃত্বের অংশীদার করেন না”।
-(কাহ্‌ফ : ২৬)

“আল্লাহ্‌ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয়ে অবগত আছেন। অন্তরে যা রয়েছে সে সম্বন্ধে তিনি সবিশেষ অবহিত”
-ফা-ত্বির৩৮

“নিশ্চয়, আল্লাহ্‌ আকাশ ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জানেন। তোমরা যা কর আল্লাহ্‌ তা দেখেন ”। - সূরা হুজুরাত : ১৮


" ওহীর মাধ্যমে এ কোরআন নাযিল করে আমি তোমার নিকট উত্তম কাহিনী বর্ণনা করছি। এর পূর্বে তুমি ছিলে অনবহিতদের অন্তর্ভূক্ত। " জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
সূরা ইউসূফ : ০৩

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.