![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বুড়ো শালিক। মধুসূদন সাহেব অনেক আগেই ঘাড়ে রোঁ পরিয়ে রেখেছেন। তাঁকে ধন্যবাদ... :-)
ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে লেখা আগের দুটো ব্লগে আমি ‘বিশ্বাস’ ও ‘মানুষ’ শব্দদুটো নিয়ে আলোচনা করেছিলাম| আরো একটি শব্দ বাকি আছে| চলুন, আজ তাহলে ‘ঈশ্বর’ নিয়ে কথা বলা যাক|
৩. ঈশ্বর:
এবার সবচেয়ে কঠিন প্রসংগ| ‘ঈশ্বর’ কে বা কী? তার আগে চলুন দেখি, ঈশ্বর (যদি থেকে থাকে) নিজেকে কি বলে দাবি করেন? ঈশ্বর বলেন তিনি সর্বস্থানব্যাপী, তিনি ছিলেন, আছেন, থাকবেন ইত্যাদি ইত্যাদি| তাঁর এই কথা কিন্তু বড় ধর্মগুলোর সবগুলোতেই পাওয়া যায়| এই কথাগুলো প্রমাণ করে, যদি ঈশ্বর থেকে থাকেন, তাহলে তিনি অবশ্যই ত্রিমাত্রিক নন, বরং অনেক বেশি মাত্রা সম্পন্ন কেউ| প্রকৃতপক্ষে, তিনি দাবি করেন, তাঁর কোনো সীমা নেই, অর্থাৎ তাঁর কোনো মাত্রা নেই| কাজেই মাত্রার ধারনাগুলোও তার জন্য খাটবে না| তাঁর কথা অনুযায়ী তিনি অসীম, স্থান-কাল-পাত্রের ধারনাটাই তাঁর জন্য প্রযোজ্য নয়| কাজেই, তাঁর কাছে সব কিছুই বর্তমান|
এবার আসি যদি ঈশ্বর থেকে থাকেন, তাহলে তিনি কীভাবে মানুষকে জানাবেন যে তিনি আছেন? বা কীভাবে মানুষকে জানাবেন যে তাঁর উপাসনা করতে হবে? চিন্তা করুন তো, আপনি আপনার সেই দ্বিমাত্রিক বন্ধুদের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করবেন? আপনি কি সরাসরি তাদের সাথে কথা বলতে পারবেন? প্রশ্নই উঠে না| কারণ তারা আপনার ঐ ত্রিমাত্রিক কথাবার্তা বুঝতেই পারবে না| দ্বিমাত্রিকের প্রসঙ্গে পরে আসেন| ত্রিমাত্রিক একটা পিপড়ার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন তো দেখি| তবে হ্যা, আপনি যেটা করার চেষ্টা করতে পারেন, তা হলো একটা পিপড়াকে ধরে তাকে অনেক সময় ধরে আপনার কথা বুঝাতে পারেন, যাতে সে তার প্রজাতিকে আপনার কথা পৌঁছে দিতে পারে| আর এটা একটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার| এবার মনে করেন, আপনার কিছু অলৌকিক ক্ষমতা আছে| আপনি চাইলে পিপড়ার (কিংবা সেই দ্বিমাত্রিক প্রাণীটির) বুদ্ধিমত্তাকে বাড়িয়ে দিতে পারেন, যাতে আপনার কথা তারা বুঝতে পারে| আপনার তখন ইচ্ছা হলো যে আপনি তা করবেন না| বরং একটি মাত্র পিপড়ার বুদ্ধি বাড়িয়ে তাকে কথাগুলো বুঝাবেন, যাতে সে সেই কথাগুলো অন্য পিপড়ার মাঝে বলতে পারে| কারণ আপনি দেখতে চান যে বাকিরা তার কথা মেনে নেয় কিনা| আপনি তাকে বুঝালেন এবং বললেন, অন্যদের মাঝে আপনার কথাগুলো গিয়ে বলতে| সে তাই করলো| অন্য পিপড়াগুলো তখন কী করবে? এক বাক্যে তার কথা মানে নিবে? অবশ্যই না| কারণ বাকি পিপড়াগুলোর বুদ্ধি তো আপনি বাড়িয়ে দেননি| আপনি দেখতে চাইছেন, বাকিরা তার তথা আপনার কথা মেনে নেয় কিনা| কেউ মানবে কেন? কাজেই আপনি তখন কী করবেন? কিছু Indication রাখবেন| প্রমাণ না| যদি প্রমাণই রেখে দেন যে আপনার কথাগুলো সত্য, তাহলে তো আপনার মূল ইচ্ছাটাই মাটি হবে| যদি পিপড়াদের উপযোগী করে সুস্পষ্ট প্রমাণ দিয়েই দেন, তাহলে তো তারা সবাই আপনার কথা মেনে নিবে, আর আপনি তাদের আর পরীক্ষা করতে পারবেন না|
যদি ঈশ্বর থেকে থাকেন, তাহলে তিনিও ঠিক একই কাজটা করেছেন| তিনি চান আমাদের পরীক্ষা করতে, যে তাঁকে না দেখেই, তিনি আছেন এটার সুস্পষ্ট প্রমাণ না পেয়েই মানুষ তাঁকে ‘বিশ্বাস’ করতে পারে কিনা| খেয়াল করুন, (সব ধর্মেই) তাঁকে বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে| কারণ তিনি আছেন এটার সপক্ষে অত্যন্ত সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ (যেমন ২ + ২ = ৪ কিংবা সূর্য পূর্বদিকে উঠে) তিনি নিজেই দেননি| যা দিয়েছেন, তা কিছু তত্ত্ব, কিছু ধারণা, কিছু Indication, কিছু যুক্তি| কার বা কাদের মাধ্যমে দিয়েছেন? কয়েকজন মানুষের মাধ্যমে, যাদের আমরা নবী, অবতার ইত্যাদি বিভিন্ন নামে চিনি| তাদের বুদ্ধিমত্তাকে তিনি বাড়িয়ে দিয়েছেন, যাতে তাঁরা ঈশ্বরের কথা বুঝতে পারেন| আর যখন তাঁরা আমাদের বুঝিয়েছেন, তখন আমরা শুনিনি| তাই ঈশ্বর তাঁদের দিয়েছেন কিছু অলৌকিক ক্ষমতা, যা তাঁদের সাহায্য করেছে, মানুষকে ঈশ্বরের পক্ষে ডাকতে|
ব্যাপারটা এরকম, ঈশ্বর (যদি থেকে থাকেন) তিনি সকল মাত্রার উর্ধ্বে (তাঁর নিজের ভাষ্য অনুযায়ী)| তিনি মাত্রাহীন (সীমাহীন তথা অসীম), তিনি সময়ের বন্ধনে আবদ্ধ নন| তাঁর কাছে সব দৃশ্যমান, সব বর্তমান| তিনি মানুষের কাছে যুগে যুগে মানুষেরই মধ্য থেকে কাউকে নির্বাচন করে তাঁর কথা প্রচারের জন্য নিয়োজিত করেছেন, যাতে মানুষ তাঁর সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে| কারণ তিনি জানতে চান, মানুষ তাঁর স্রষ্টাকে সুস্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া, কিছু তত্ত্ব বা ধারণা বা Indication থেকে মেনে নিতে পারে কিনা, বা ‘বিশ্বাস’ করতে পারে কিনা| যদি তিনি সব প্রমাণ দিয়েই দিতেন, তাহলে তিনি তো আর এটা দেখতেই চাইতেন না যে মানুষ তাঁকে বিশ্বাস করে কিনা, তাইনা? এজন্য অবশ্য তিনি কিছু ভালো জিনিসের লোভ আর খারাপ জিনিসের ভয় দেখিয়েছেন, যাতে মানুষ এসব লোভ বা ভয়ের কারণে হলেও তাঁকে বিশ্বাস করে আর তাঁর কথা মেনে চলে|
আমার কথা শেষ| আবারও বলছি, এগুলো সবই আমার নিজের চিন্তাভাবনা| মেনে নেয়া বা দ্বিমত পোষণ করা একান্তই পাঠকের উপর| তবে যদি কেউ মন্তব্য করেন, তাঁকে অনুরোধ করবো, দয়া করে শালীনতা বজায় রাখতে|
পরিশেষে কথা রাখছি| নিজের বিশ্বাসের ব্যাপারটা দিয়েই শেষ করি| আমি আস্তিক| কিন্তু কোন ধর্মে বিশ্বাস করি, তা বলছিনা| কারণ আমার এই পোস্টটা কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম নিয়ে না, তা আগেই বলেছি| এটা ছিলো ঈশ্বরের ধারণা নিয়ে আমার কিছু চিন্তাভাবনা| যদি কখনো সময় পাই, তাহলে বিভিন্ন ধর্ম নিয়েও আলোচনা করবো| অবশ্য তার আগে অনেক পড়াশোনা করে নিতে হবে, কারণ সাম্যুর ব্লগাররা (যারা এই জাতীয় ব্লগ লিখেন বা পড়েন) মনে হয় আমার চেয়ে ধর্ম সম্পর্কে অনেক বেশি গবেষণা করেছেন| এবার আসি কেন আমি আস্তিক, এই প্রসঙ্গে| ছোট একটা যুক্তি| পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত আমি এমন কিছুই পাইনি, দেখিনি, শুনিনি যা নিজে নিজে তৈরি হয়ে গেছে| কাজেই এই বিশাল সৃষ্টিজগৎ নিজে নিজে তৈরি হয়ে গেছে, এমনটা আমার মনে হয় না| আর হ্যা, প্রমাণ কোথায় পেলাম যে ঈশ্বর আছেন? অত্যন্ত সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ পাইনি, পেয়েছি কিছু Indication, যা ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে স্রষ্টার উপর বিশ্বাস আনার জন্য যথেষ্ট| নাস্তিকতার পক্ষের যুক্তিগুলো এসব Indication এর কাছে বড়ই ঠুনকো মনে হয়| তার একটা উদাহরণ এই মাত্রই দিলাম| আমি সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ জানার চেষ্টাও করিনা, কারণ সেটা আমি পাবো না বলেই মনে হয়| আমার ক্ষুদ্র ত্রিমাত্রিক জ্ঞান দিয়ে আমি সীমাহীন ঈশ্বরের প্রমাণ বের করতে পারবো না, এটাই কি স্বাভাবিক না? ব্যাপারটা একটা প্যারাডক্সের মতো| আপনি কীভাবে প্রমাণ করবেন, স্রষ্টা বা ঈশ্বর আছেন? অনেকেই সেটা করেন বা করতে চান ধর্মগ্রন্থের সাহায্যে, যেটা আসলে প্রমাণের মূল শর্তকেই ব্যাহত করে, কারণ আপনি যদি ঈশ্বরেই বিশ্বাস না করেন, তাহলে ধর্মগ্রন্থ আসলো কোত্থেকে? আবার অন্য কোনোভাবে প্রমাণ করাও প্রায় অসম্ভব, তার কারণ একটু আগেই বলেছি| যদি ঈশ্বর প্রমাণ দিয়েই দিতেন, তাহলে (তাঁর মতে) তিনি আমাদের পরীক্ষা করার জন্য তাঁকে মানতে বলতেন না| আর যদি আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস নাই করেন, তাহলে সৃষ্টিজগতের ব্যাখ্যা কিভাবে দিবেন? বিবর্তনবাদ, বিগ ব্যাং থিওরি কোনো কিছুই এত সুন্দর ও ভারসাম্যপূর্ণ একটা সিস্টেম ব্যাখ্যা করার জন্য যথেষ্ট না (আমার মতে)| কাজেই, “বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদুর|” সেটা অবশ্য আরেক বিশাল আলোচনা হতে পারে| আরেকদিন করবো না হয়...
ধৈর্য্য ধরে যারা পরেছেন বা যারা পড়েননি বা যারা মাঝখানে ধৈর্য্য হারিয়ে পড়া বাদ দিয়েছেন, তাদের সবাইকেই ধন্যবাদ| ভালো থাকবেন|
২৯ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:০৭
বুড়ো শালিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া| আমার মনে হয় সব আস্তিকেরই চিন্তা ভাবনা এরকম হওয়া উচিত| খুব বেশি যুক্তি তর্কের ভিতরে গেলে যুক্তির ভিড়েই হারিয়ে যেতে হয়...
২| ২৯ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫৫
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: সাদাতভাই, আমিও সেই কথা বলতে যাচ্ছিলাম।
২৯ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:০৮
বুড়ো শালিক বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২৯ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:১০
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাই, আপনার লেখার হাত সত্যিই বেশ ভাল- লেখার ব্যাপারে পুরানো পাপীই মনে হচ্ছে-
তবে একটি বিষয় বুঝিয়ে বলবেন কি?
আপনি বলেছেন-
অনেকেই সেটা করেন বা করতে চান ধর্মগ্রন্থের সাহায্যে, যেটা আসলে প্রমাণের মূল শর্তকেই ব্যাহত করে-
ধর্মগ্রন্থ ছাড়া ইশ্বর বা স্রষ্টাকে জানবেন কেমনে?
কাজেই যারা আশা করে আছেন যে আমি শরীয়তের পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলব, তারা হতাশ হবেন|
ভাই, এবার দয়া করে শরীয়তের পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু একটা বলেন-
“বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদুর|”
এই বিশাল আলোচনার অপেক্ষায় রইলাম-
ধন্যবাদ-
২৯ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩১
বুড়ো শালিক বলেছেন: ধর্মগ্রন্থ ছাড়া ইশ্বর বা স্রষ্টাকে জানবেন কেমনে?
অবশ্যই ধর্মগ্রন্থ ছাড়া ঈশ্বরকে জানা সম্ভব নয়| আমি কিন্তু আমার পোস্টে একবারও বলিনি এটা সম্ভব| আমি শুধু বলেছি ধর্মগ্রন্থের সাহায্যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণের কোনো মানে হয়না| কারণ আপনি যদি ধরেই নেন ধর্মগ্রন্থের বাণী সত্য, তাহলে আপনি প্রকারান্তরে ঈশ্বরকেই স্বীকার করে নিলেন, কাজেই আপনার জন্য তাঁর অস্তিত্ব প্রমাণের দরকার নেই|
ভাই, এবার দয়া করে শরীয়তের পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু একটা বলেন-
ভাই, শরীয়তের পক্ষে বা বিপক্ষে বলার জন্য এই পোস্ট টা লিখিনি| খুবই ইচ্ছা করছে, আমার মতামত টা জানাই, কিন্তু যেহেতু আগেই বলেছি এই পোস্ট টা কোনো ধর্মের পক্ষে বা বিপক্ষে না, কাজেই এ যাত্রা ক্ষমা প্রার্থনা করছি|
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদুর|
সময় পেলে লেখা যাবে...
মতামতের জন্য ধন্যবাদ|
৪| ২৯ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৩০
এস. এম. রায়হান বলেছেন: আপনার লিখার হাত চমৎকার। যুক্তিবোধও তীক্ষ্ণ। তবে সেফ হওয়ার আগেই মনে হয় পোস্টগুলো দিয়েছিলেন। ফলে পাঠক সংখ্যা খুবই কম। আপনি মাঝে মাঝে সাময়িক পোস্ট হিসেবে লেখাগুলোর লিঙ্ক রি-পোস্ট করতে পারেন যাতে করে আরো পাঠক আপনার লেখাগুলো পড়তে পারে।
২৯ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৪
বুড়ো শালিক বলেছেন: সেফ হওয়ার আগেই পোস্টগুলো দিয়েছিলাম| আর এখনো ওয়াচেই আছি| জেনারেল হওয়ার পরে রিপোস্ট দেওয়ার আশা রাখি|
মতামতের জন্য ধন্যবাদ|
৫| ২৯ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সরোয়ার হোসেন বলেছেন: আমি আপনার ভক্ত হয়ে গেছি!
২৯ শে মে, ২০১১ রাত ৮:০৫
বুড়ো শালিক বলেছেন: হা হা হা!
প্রথম লেখাতেই ভক্ত পেয়ে যাবো আশা করিনি| সম্মানিত বোধ করছি|
লেখায় ভুল বা অসংগতি পেলে ধরিয়ে দেবেন|
ধন্যবাদ|
৬| ২৯ শে মে, ২০১১ রাত ৮:২৭
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধর্মগ্রন্থের সাহায্যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণের কোনো মানে হয়না| কারণ আপনি যদি ধরেই নেন ধর্মগ্রন্থের বাণী সত্য, তাহলে আপনি প্রকারান্তরে ঈশ্বরকেই স্বীকার করে নিলেন, কাজেই আপনার জন্য তাঁর অস্তিত্ব প্রমাণের দরকার নেই|
কেন ভাই, আমার ধর্মগ্রন্থের জীবন বিধান, বিজ্ঞান ও খুটিনাটি সকল বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি বাণী যদি চরম সত্য হিসেবে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়। তাহলে সেটাই তো স্রষ্টার অস্তিত্বের সবচেয়ে বড় প্রমাণ যেমন হতে পারে। তেমনি আমার পক্ষে তখন সেই ধর্মের ভিতও ততো পোক্ত ও নিখাত হিসেবে মেনে নিতে আর কোন দ্বিধা থাকতে পারে না।
আপনার সুন্দর লেখনিতে শরীয়তের পক্ষে বা বিপক্ষের বিষয় নিয়ে পরের পোষ্টে কিছু বলবেন কি?
অযথা বিরক্ত করলাম বোধ হয়- কিছু মনে করবেন না
৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:১৫
বুড়ো শালিক বলেছেন: আমার মতে ধর্মগ্রন্থের জীবন বিধান, বিজ্ঞান ও খুটিনাটি সকল বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি বাণী যদি চরম সত্য হিসেবে আপনার কাছে তখনই প্রতীয়মান হবে, যখন আপনি ঐ ধর্মের প্রতি আগে থেকেই অনুরক্ত থাকবেন বা ঐ ধর্মের অনুসারী হবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি শুরু থেকেই কিছুটা biased থাকবেন বলে আমার ধারণা। কিন্তু আপনি যদি আসলেই প্রমাণ করতে চান, তখন কিন্তু আপনাকে শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। আপনি ধরে নেবেন কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা, ঈশ্বর আছেন কি নেই, আপনি কিছুই জানেন না। তারপর আপনি একটি নিরপেক্ষ গবেষনার মাধ্যমে আপনি একটা সিদ্ধান্তে পৌছুতে পারেন।
আর কথায় কথায় ধর্মের সাথে বিজ্ঞানকে জড়ানো ব্যক্তিগতভাবে আমি পছন্দ করি না। একটা অনবরত পরিবর্তনশীল জিনিসের (বিজ্ঞান) সাথে একটা শাশ্বত (বিশ্বাসীদের মতে) জিনিসের (ধর্ম) তুলনা চলে না। আজ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এসেছে, কাল অন্য কিছু আসবে। আজ ধর্মকে অনেকেই অনেক বড় বড় বিজ্ঞানীর তত্তের সাহায্যে সত্য প্রমাণ করতে চায়। কাল যদি ঐ বিজ্ঞানীর তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হয়, সে কি ধর্মকে ভুল বলে মেনে নেবে? আমার তো মনে হয় না। হ্যাঁ, আপনি বলতে পারেন, এই ধর্মের আচার ব্যবহার বিজ্ঞানসম্মত, বা ইত্যাদি। কিন্তু আপনি যদি একেবারে basic থেকে বিজ্ঞানের সাহায্যে ধর্মকে বা ঈশ্বরকে প্রমাণ করতে চান (যেটা আজকাল অনেকেই করেন), তাহলেই সমস্যা। আশা করি clear করতে পারলাম।
আপনার সুন্দর লেখনিতে শরীয়তের পক্ষে বা বিপক্ষের বিষয় নিয়ে পরের পোষ্টে কিছু বলবেন কি?
ভাই, শরীয়তের পক্ষে বিপক্ষে লেখার জন্য শুধু সুন্দর লেখনীই যথেষ্ট না। এর জন্য দরকার অগাধ জ্ঞান ও পড়াশুনা, যা আমার একেবারেই নেই। যেহেতু আমি ফিকাহ শাস্ত্রের কোনো বিশেষজ্ঞ নই, কাজেই এ ব্যাপারে মনে হয় আপাতত কিছু লিখবো না।
অযথা বিরক্ত করলাম বোধ হয়- কিছু মনে করবেন না
মোটেই বিরক্ত হইনি। খুব ভালো লাগলো...
৭| ২৯ শে মে, ২০১১ রাত ১০:১৬
মহি আহমেদ বলেছেন:
লেখকে বলছি শরীয়তের পক্ষে বা বিপক্ষের বিষয় নিয়ে কথা বললে কিন্তু খবর আছে !
কোন বিশেষ ধর্মের প্রতি ইংগিত না দিয়ে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসের যুক্তি দিয়ে শুরু করাটা ভাল হয়েছে।
সম্ভব হলে ধর্মই কি পৃথিবীর সকল সমস্যার মূল কারন সে ব্যপারে যুক্তি দিয়ে আপনার পরবর্তি পোষ্টে কিছু বলবেন কি?
আপনার লিখার হাত চমৎকার। যুক্তিবোধও তীক্ষ্ণ। চেষ্টা করলে আপনি এবিষয়ে লিখতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস হয়।
৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:২৩
বুড়ো শালিক বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার মতে ধর্ম অবশ্যই পৃথিবীর সকল সমস্যার মূল কারণ না। বরং উল্টোটাই, ধর্ম না আসলে মানুষ মূল্যবোধের কোনো শিক্ষাই পেত না। এ ব্যাপারে লিখতে পারি, তবে আমি আসলে কাউকে কিছু বোঝানোর জন্য লিখি না। আমি নিজের চিন্তা ভাবনা প্রকাশের জন্য লিখি। যদি মনে হয় যে ধর্ম ও পৃথিবীর সমস্যা নিয়ে আমার চিন্তা ভাবনা লেখার মতো পর্যায়ে পৌঁছেছে, তখন অবশ্যই লিখবো...
৮| ৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:৫১
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনার আলোচনা থেকে যা বুঝলাম:- আপনি স্রষ্টায় বিশ্বাসী অর্থাৎ অস্তিক। তবে কোন ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে আপনার বক্তব্য থেকে এখনও পরিষ্কার হতে পারি নাই।
আর কথায় কথায় ধর্মের সাথে বিজ্ঞানকে জড়ানো ব্যক্তিগতভাবে আমি পছন্দ করি না। একটা অনবরত পরিবর্তনশীল জিনিসের (বিজ্ঞান) সাথে একটা শাশ্বত (বিশ্বাসীদের মতে) জিনিসের (ধর্ম) তুলনা চলে না।
কথায় কথায় সদা পরিবর্তনশীল তত্ত্বের সাথে কোন বুদ্ধিমান ও বিবেক সম্পন্ন মানুষ ঢালাওভাবে ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থকে তুলনা করতে পারেনা- ঠিক
কিন্তু বিভিন্ন তত্ত্বের মধ্যেও কিছু মৌলিক বৈজ্ঞানিক তথ্য থাকে। এগুলো সম্পর্কে ধর্মীয় ঐশী বাণীর সামঞ্জস্যতা ও অসামঞ্জস্যতা তুলে ধরাও কি একদমই ঠিক নয়? যদি তাই হয়, তাহলে তো সেই ধর্ম মানেই অহেতুক পাপের ভয়ে বিবেক, বিবেচনা, জ্ঞানের প্রসারতাকে আবদ্ধ করে রাখা ছাড়া আর কিছুই না। যদি কোন ধার্মিক এই ধরনের ঘোরের মধ্যে সারা জীবন হাবুডুবু খেতেই থাকে, তাহলে তো সেটা ধর্মান্ধতার সামিল।
ব্যাপারটা এরকম, ঈশ্বর (যদি থেকে থাকেন) তিনি সকল মাত্রার উর্ধ্বে (তাঁর নিজের ভাষ্য অনুযায়ী)| তিনি মাত্রাহীন (সীমাহীন তথা অসীম), তিনি সময়ের বন্ধনে আবদ্ধ নন| তাঁর কাছে সব দৃশ্যমান, সব বর্তমান|
'মাত্রা বা ডাইমেন্শন' সম্পর্কে আপনার ধারনা আছে বলেই তো আপনার আলোচনায় ঠিক আপনি যেমন 'ঈশ্বর সকল মাত্রার ঊর্ধ্বে'- বলে বিজ্ঞানকে টেনে আনলেন এবং এইরূপ টেনে আনাকে আমি কখনই অনধিকার চর্চা মনে করি না। কারন প্রকৃত অর্থে এটিকে টেনে আনা বললে ভুল হবে, বরং আপনার জ্ঞানই আপনাকে এভাবে বুঝতে ও বলতে বাধ্য করেছে।
তেমনি বিজ্ঞানের অন্যান্য ফ্যাক্টস্ গুলোকে তো আর অস্বীকার করার উপায় নেই। ধর্মগ্রন্থ যেহেতু কোন বিজ্ঞানের পুস্তক নয়। তাই কোন ধর্মগ্রন্থে সকল বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্টস্ সম্পর্কে হুবহু বলা থাকতেই হবে, আমি কখনই এমনটি দাবি করছি না। কিন্তু যদি দেখা যায় যে, বিজ্ঞান বিষয়ক যে বানীগুলো সম্পর্কে কোন ধর্মগ্রন্থে অনেক আগেই আলোচনা করা হয়েছে, সেগুলোর বেশীর ভাগের সাথেই বিজ্ঞানের ফ্যাক্টস্ গুলো হুবহু মিলে যায়, আবার সামান্য কিছু বিষয় আছে যেগুলো পুরোপুরি না মিললেও অন্তত সাংঘর্ষিক নয়। তাহলে সেই ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে আপনার অপিনিয়ন কি হবে?
এমনও তো হতে পারে, মহান স্রষ্টা তাঁর বান্দাদের পরীক্ষা করার জন্য এসব বৈজ্ঞানকি তথ্য সমৃদ্ধ বাণী তাঁর প্রেরিত ধর্মগ্রন্থে সংযোজন করে রেখেছেন-
৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫৮
বুড়ো শালিক বলেছেন: কিন্তু বিভিন্ন তত্ত্বের মধ্যেও কিছু মৌলিক বৈজ্ঞানিক তথ্য থাকে। এগুলো সম্পর্কে ধর্মীয় ঐশী বাণীর সামঞ্জস্যতা ও অসামঞ্জস্যতা তুলে ধরাও কি একদমই ঠিক নয়? যদি তাই হয়, তাহলে তো সেই ধর্ম মানেই অহেতুক পাপের ভয়ে বিবেক, বিবেচনা, জ্ঞানের প্রসারতাকে আবদ্ধ করে রাখা ছাড়া আর কিছুই না। যদি কোন ধার্মিক এই ধরনের ঘোরের মধ্যে সারা জীবন হাবুডুবু খেতেই থাকে, তাহলে তো সেটা ধর্মান্ধতার সামিল।
অবশ্যই| আমি আপনার সাথে শতভাগ একমত| এই বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলিকেই আমি আমার লেখায় Indication বলেছি| কিছু বৈজ্ঞানিক চিন্তা তো অবশ্যই করতে হবে| তা না হলে তো আপনি কোনটা ঠিক, কোনটা ঠিক না, সেটা বুঝবেন না| যেমন ইসলাম ধর্মের একটা বিধান হলো ওজু| আমি অনেক সার্জনদের বলতে শুনেছি, অপারেশনের ঠিক আগে হাত পা ধুতে হয়, আর মেডিকেল সাইন্স সবচেয়ে বৈজ্ঞানিক ও কার্যকর উপায়ে হাত পা ধোয়ার যে পদ্ধতি বের করেছে, তা আসলে প্রকারান্তরে অজুই| কারণ অজুর সময় আপনি সেসব জায়গা পরিষ্কার করেন, যেসব জায়গায় সাধারণত ময়লা লাগার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে| কাজেই আপনি দাবি করতেই পারেন, এই অজুর বিধান ইসলামকে অন্যান্য অনেক ধর্মের চেয়ে বৈজ্ঞানিক হিসাবে প্রমাণ করে| কিন্তু এই ধর্ম ও বিজ্ঞানের সাদৃশ্যতার ব্যাপারগুলো আচার ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত, ঈশ্বরে বিশ্বাসের সাথে না|
এখানে একটা ব্যাপার পরিষ্কার করা দরকার| আমার লেখাটা ছিলো শুধুই ঈশ্বরের অস্তিত্বের উপর| কাজেই কোন ধর্ম সঠিক, এ ব্যাপারে আলোচনায় যেতে চাচ্ছিনা| আলোচনাটা “ঈশ্বর আছেন কি নেই” এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুক| আর ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য অনেকে বিজ্ঞানের আশ্রয় নেন, যেটা আমার কাছে ঠিক উপায় বলে মনে হয় না| আমার উপরের বাঁকা লেখাগুলো এই লেখার জন্য অপ্রাসঙ্গিক| তারপরও লিখলাম, আপনার প্রশ্নের জন্য| আপনার প্রশ্নগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক ও সুন্দর, কিন্তু মনে হয় এই লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক না| আমি আসলে ঈশ্বরে বিশ্বাস নিয়ে কথা চালাতে বেশি আগ্রহী| কিছু মনে করবেন না|
ধরেন এক লোক আমাজনের গহীন জঙ্গলে জন্ম নিলো আর জন্মের পরপরই তার বাবা মা কে হিংস্র কোনো পশু মেরে ফেললো| সে কোনভাবে প্রাণে বেঁচে গেলো| এখন তার জন্য কি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, কিংবা রবিবার গির্জায় যাওয়া, কিংবা পূজা করা, কোনটাই প্রযোজ্য হওয়া উচিত? আমার তো মনে হয়, ঈশ্বর এতটা নিষ্ঠুর নন যে এই মানুষটাকে তিনি আচার পালন না করার জন্য শাস্তি দেবেন| সে তো বিজ্ঞানেরও কিছুই জানে না| কিন্তু তার পরেও, তাকে ঈশ্বরে বিশ্বাস অবশ্যই করতে হবে, কারণ এটা মানুষের বিবেকের ন্যূনতম দাবি| আর মজার ব্যাপার কি জানেন? আমার মনে হয় আমাজনের ঐ লোকটার বিশ্বাস (যদি সে বিশ্বাসী হয়) আমার আপনার বিশ্বাসের চেয়ে অনেক বেশি দৃঢ় আর ঈশ্বরের কাছেও অনেক বেশি গ্রহনযোগ্য, যদিও সে কোনো আচার ব্যবহার পালন করে না| কারণ এটা সে কোনো বিজ্ঞান, কোনো ধর্মগ্রন্থ, কোনো আস্তিক-নাস্তিক বিতর্ক, কোনো বিজ্ঞানসম্মত ধর্মীয় আচার ব্যবহার ছাড়াই নিজের চিন্তা থেকে পেয়েছে|
কিন্তু যদি দেখা যায় যে, বিজ্ঞান বিষয়ক যে বানীগুলো সম্পর্কে কোন ধর্মগ্রন্থে অনেক আগেই আলোচনা করা হয়েছে, সেগুলোর বেশীর ভাগের সাথেই বিজ্ঞানের ফ্যাক্টস্ গুলো হুবহু মিলে যায়, আবার সামান্য কিছু বিষয় আছে যেগুলো পুরোপুরি না মিললেও অন্তত সাংঘর্ষিক নয়। তাহলে সেই ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে আপনার অপিনিয়ন কি হবে?
আবারও অপ্রাসঙ্গিক ব্যাপার| তবে প্রশ্ন যেহেতু করেই ফেললেন, তাহলে বলি| আমার লেখা দেখে বুঝতেই পারছেন, আমি বিজ্ঞানের ছাত্র| আর একজন বিজ্ঞানের ছাত্রের কাছে তো বিজ্ঞানসম্মত ধর্মগ্রন্থ ভালো লাগারই কথা, তাই না?
বিঃদ্রঃ এই মন্তব্যের অপ্রাসঙ্গিক (যেগুলোর প্রসঙ্গ মূল লেখার সাথে সম্পর্কিত না) অংশগুলো বাঁকা করে দেওয়া হয়েছে|
৯| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৫৪
মাহফুজশান্ত বলেছেন: বিরক্ত করার পার্মিশন যেহেতু দিয়েই দিয়েছেন, তাই আবারও-
জী ভাই, সেই আমাজনের গহীন জঙ্গলে জন্ম নেয়া এতিম আল্লাহর বান্দার বিশ্বাসের প্রতিদান সম্পর্কে ইসলাম কি বলে তা আমরা নিচের হাদিছটি থেকে সহজেই বুঝে নিতে পারি-
'The Book of Faith (Kitab Al-Iman)' of Sahih Muslim.
0039: It is narrated on the authority of 'Uthman that the Messenger of Allah (may peace be upon him) said. He who died knowing (fully well) that there is no god but Allah entered Paradise.
আল্লাহর বান্দা কে কেমন অবস্থায়, কিরূপ জ্ঞান, বোধ ও বিশ্বাস নিয়ে জীবন কাটাল ও মৃত্যুবরণ করল তার চুলচেরা হিসেবের জন্য স্রষ্টাই যথেষ্ট।
কিন্তু ভাই, আমি বা আপনি এবং আমরা যারা আমাজান জঙ্গলের বাসিন্দা নই, তাদের ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থ মানা বা না মানা সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?
ইশ্বর বা আল্লাহতায়ালার উপর বিশ্বাস বলেন বা ইমান বলেন, সেই বিশ্বাস তো থাকতেই হবে। কিন্তু আমাদের জন্য কোন ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থ নয়, বরং শুধু বিশ্বাসের উপর ভর করে থাকলে কতটুকু প্রাপ্তি মিলবে বলে আপনি মনে করেন?
আপনি বিজ্ঞানের ছাত্র। যদি কোন ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থে বিশ্বাসী হয়ে থাকেন এবং সেই ধর্মগ্রন্থের বাণী-গুলো স্রষ্টা কর্তৃক প্রেরিত বলে বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই ধর্মগ্রন্থের অন্তত বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কযুক্ত বাণীকে বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্টস্গুলোর দ্বারা টেস্টিফাই করাকে কি আপনি অযৌক্তিক মনে করেন? করলে কেন?
৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:১০
বুড়ো শালিক বলেছেন: আল্লাহর বান্দা কে কেমন অবস্থায়, কিরূপ জ্ঞান, বোধ ও বিশ্বাস নিয়ে জীবন কাটাল ও মৃত্যুবরণ করল তার চুলচেরা হিসেবের জন্য স্রষ্টাই যথেষ্ট।
অত্যন্ত সত্য কথা। স্রষ্টার নিজের দাবি অনুযায়ী এবং আস্তিকদের বিশ্বাস অনুযায়ী স্রষ্টা তা জানেন| (অপ্রাসঙ্গিক)
কিন্তু ভাই, আমি বা আপনি এবং আমরা যারা আমাজান জঙ্গলের বাসিন্দা নই, তাদের ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থ মানা বা না মানা সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?
তাদের তো অবশ্যই ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থ মানা উচিত| (অপ্রাসঙ্গিক)
ইশ্বর বা আল্লাহতায়ালার উপর বিশ্বাস বলেন বা ইমান বলেন, সেই বিশ্বাস তো থাকতেই হবে। কিন্তু আমাদের জন্য কোন ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থ নয়, বরং শুধু বিশ্বাসের উপর ভর করে থাকলে কতটুকু প্রাপ্তি মিলবে বলে আপনি মনে করেন?
প্রাপ্তি মিলবে না| ধর্ম মানতে হবে| (অপ্রাসঙ্গিক)
আপনি বিজ্ঞানের ছাত্র। যদি কোন ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থে বিশ্বাসী হয়ে থাকেন এবং সেই ধর্মগ্রন্থের বাণী-গুলো স্রষ্টা কর্তৃক প্রেরিত বলে বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই ধর্মগ্রন্থের অন্তত বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কযুক্ত বাণীকে বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্টস্গুলোর দ্বারা টেস্টিফাই করাকে কি আপনি অযৌক্তিক মনে করেন? করলে কেন?
সবসময় অযৌক্তিক না, আবার সবসময় যৌক্তিকও না| নির্ভর করবে আপনি কী টেস্টিফাই করতে চান তার উপর| আমার মতে স্রষ্টার প্রেরিত প্রত্যেকটি বাক্য, শব্দ, ধ্বনি বিজ্ঞানসম্মত| প্রত্যেকটি বাক্যের মধ্যে বিজ্ঞানের একেকটি সূত্র লুকিয়ে আছে, আমরা বুঝি বা না বুঝি| আমরা আসলে প্রথমেই ভুল করি, কারণ আমরা বিজ্ঞান বলতে আমাদের আবিষ্কৃত বিজ্ঞানকে বুঝি, কিন্তু আমাদের আবিষ্কৃত বিজ্ঞানের বাইরেও যে আরেক পরম বিজ্ঞান আছে, তা আমরা ভুলে যাই, যে বিজ্ঞানের একমাত্র বিজ্ঞানী হলেন ঈশ্বর| আমাদের বানানো বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে আমরা কতটুকুই বা তাঁকে জানতে পারবো? যখন বিজ্ঞানের সাথে কুরআনের কোনো সাদৃশ্য পাওয়া যায়, তখন মুসলমানরা আনন্দিত হয়| আর যখন সাংঘর্ষিক কিছু পাওয়া যায়, তখন? আপনি হয়তো বলবেন তেমন সাংঘর্ষিক কিছু পাওয়া যায়নি| ঠিক আছে, ফিরে যান ১০০০ বছর আগে| যখন মানুষ মনে করতো পৃথিবী স্থির আর সূর্য তার চারিদিকে ঘুরছে| তখন কিন্তু কুরআন তখনকার বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক তথ্য দিয়েছিলো| কাজেই, কোন বিজ্ঞানকে আপনি standard ধরবেন? এজন্যই আমি বলেছি যে পবির্তনশীল ও প্রমানসাপেক্ষ জিনিসের সাথে শাশ্বত জিনিসের তুলনা না করাই ভালো| যদি করতেই চান, তাহলে বরং শাশ্বত জিনিসটাকে প্রামাণ্য ধরে পরিবর্তনশীল জিনিসটায় পরিবর্তন করে নিন| (অপ্রাসঙ্গিক)
ভাই, আপনি মনে হয় আমার লেখাটা বুঝেননি| আমি এখানে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছিনা| আমি শুধুই ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলতে চেয়েছি| একবার ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করার পর কোন ধর্ম মানবেন, তার জন্য তো অবশ্যই আপনাকে ধর্মগ্রন্থের সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক খুঁজে বের করতে হবে| তা না হলে তো আপনি অনেকগুলো ধর্মগ্রন্থের ভিড়ে হারিয়ে যাবেন| আর সেটা আচার ব্যবহারের সাথেই মূলত সম্পর্কিত (মন্তব্য ৮ এর উত্তরে অজুর উদাহরণ দ্রষ্টব্য)| কিন্তু আপনি যদি ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিজ্ঞানের সাহায্যে প্রমাণ করতে চান, তাহলেই সমস্যা হবে, কারণ আপনি মানবনির্মিত বিজ্ঞান দিয়ে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানীকে বুঝতে পারবেন না|
ধন্যবাদ
১০| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৪৬
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিজ্ঞানের সাহায্যে প্রমাণ করতে চান, তাহলেই সমস্যা হবে, কারণ আপনি মানবনির্মিত বিজ্ঞান দিয়ে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানীকে বুঝতে পারবেন না|
ইশ্বর অদৃশ্য, তাঁকে দেখা যায না, কিন্তু সেই পরম সত্তাকে যে বুঝতে চায় সে ঠিকই বুঝতে পারে। সেই বোঝার বিষয়টি হয়ত একেক জনের কাছে একেক রকম হতে পারে। যেমন কেউ আধ্যাত্মিক সাধনার দ্বারা বোঝেন, আবার কেউ জ্ঞান-বিজ্ঞান সাধনার দ্বারা, আবার কেউ বা এই দুটোর দ্বারাই-
কিন্তু যারা স্রষ্টাকে অস্বীকার করার জন্য মনে মনে পণ করে নিয়েছে- তারা এসব কোন কিছুর দ্বারাই সেই পরম স্রষ্টাকে বুঝতে অক্ষম-
৩১ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:০৬
বুড়ো শালিক বলেছেন: ইশ্বর অদৃশ্য, তাঁকে দেখা যায না, কিন্তু সেই পরম সত্তাকে যে বুঝতে চায় সে ঠিকই বুঝতে পারে। সেই বোঝার বিষয়টি হয়ত একেক জনের কাছে একেক রকম হতে পারে। যেমন কেউ আধ্যাত্মিক সাধনার দ্বারা বোঝেন, আবার কেউ জ্ঞান-বিজ্ঞান সাধনার দ্বারা, আবার কেউ বা এই দুটোর দ্বারাই-
প্রাসংগিক আলোচনায় ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ। অবশ্যই, সেই পরম সত্তাকে যে বুঝতে চায় সে ঠিকই বুঝতে পারে। এবং এক্ষত্রে তাকে কিছু Indication সাহায্য করে। আমি এই কথাটাই আমার লেখায় বলতে চেয়েছি। ঈশ্বরকে বোঝা সম্ভব, প্রমাণ করা (গাণিতিক সমীকরণ বা বিজ্ঞানের সূত্রের মতো করে) সম্ভব না। চেষ্টা বৃথা হবে।
কিন্তু যারা স্রষ্টাকে অস্বীকার করার জন্য মনে মনে পণ করে নিয়েছে- তারা এসব কোন কিছুর দ্বারাই সেই পরম স্রষ্টাকে বুঝতে অক্ষম-
সহমত
১১| ১০ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ-
মন্তব্য আশা করছি-
মহাজাগতিক বিস্ময়গুলো সম্পর্কে আল-কোরআনের নির্ভুল তথ্যগুলো সত্যিই বিস্ময়কর!
১২ ই জুন, ২০১১ রাত ২:৩৭
বুড়ো শালিক বলেছেন: এখনো সেফ হইনি।
হলে মন্তব্য করব।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:২৯
সাদাত. বলেছেন: পড়তে পড়তে মনে হয়েছে কেউ হয়ত আমার মনের কথাগুলো তার নিজের হাত দিয়ে লিখেছে।