নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুহম্মদ মাসুদ। ১৯৯৫ সালের ১৪ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুর থানার চৌবাড়ীয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।পিতা মোঃ লাল মিয়া, মাতা মোছাঃ জাহানারা খাতুন। কাব্যগ্রন্থঃ মুক্তচিন্তা ও নীলপদ্ম (যৌথভাবে)। গল্পগ্রন্থঃ হুমায়ূন হিমু (২০২০)।

নৃ মাসুদ রানা

নবীন লেখক। সাদাসিধা সাদামাটা মানুষ।

নৃ মাসুদ রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন হিমুর দুটো পাগলামি

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬


১।
হিমু আমি তখন চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র। একদিন সন্ধ্যায় হিমু দোকান থেকে কলম আর খাতা কিনে বাড়ি ফিরছে। হঠাৎ বাড়ীতে যাওয়ার পথে হিমুর দুই টাকার একটি কয়েন হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও যখন সে পেল না তখন সে পাঁচ টাকা দিয়ে একটি মোমবাতি কিনে (জ্বালিয়ে) খোঁজাখুঁজি করছে। ইতিমধ্যে আমিও সেখানে গিয়ে হাজির। হিমুকে দেখেই বললাম, "কি খুঁজছিস?
হিমু বলল, "দুই টাকার একটা কয়েন হারিয়ে গেছে। দোকান থেকে ৫ টাকা দিয়ে মোমবাতি কিনে (জ্বালিয়ে) খোঁজাখুঁজি করেও পাচ্ছি না। এদিকে মোমবাতিটাও জ্বলে জ্বলে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
২।
হিমুর বাবা বিড়ির পাগল ছিলো। আমি যতবার হিমুর বাবাকে দেখেছি ততবারই দেখতাম তিনি বিড়ি টানছে। একদিন দুপুরে আমি হিমুদের ঘরে বসে ছবি আঁকছি। হঠাৎ হিমুর বাবার ডাক, "হিমু..ঘরে আছিস নাকি?"
"হ আব্বা। আমি ঘরেই আছি"
"কাছে আয়তো বাপ আমার"
হাতে পাঁচ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলল, "দোকান থেকে একটা ম্যাচ (দিয়াশলাই) নিয়ে আয়। তবে দেখে লইবি সব কাঠি জ্বলে কিনা।
হিমু আমাকে বলল, " তুই থাক, আমি দৌড় দিয়ে...।"
বেশকিছু ক্ষণ পরে হিমু ম্যাচ (দিয়াশলাই) নিয়ে আসলো। চাচার হাতে দিতেই বেশ কয়েকটি কাঠি জ্বালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন। তারপর হিমুকে জিজ্ঞেস করল, "কিরে তোকে না বলেছি দেখে নিয়ে আসতে"
হিমু আমতাআমতা করে বলল, "আমিতো সব কাঠি একটি করে জ্বালিয়েই নিয়ে এসেছি। এখন আমার কি দোষ?"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.