প্রানপ্রিয় পরান পাখির পলায়ন

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪

দ্বিতীয় তলায় কোন আলো নেই। ডান হাত দিয়ে পায়ের জুতো আর বাম হাত দিয়ে সুইচে টিপ দিলাম। ভেবেছিলাম নিমাই রুমে নেই। কিন্তু দরজার বাইরে জুতো দেখে বুঝলাম রুমেই আছে। কিন্তু আলোকরশ্মি...।
সন্দেহের বেড়াজালে পেঁচিয়ে ঘোলাটে মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষের সারবস্তু হওয়ার আগেই কয়েকবার কলিং বেল বাজালাম। কলিং বেল বেজেই চললো। কিন্তু ভেতর থেকে কোন সাড়াশব্দ পেলাম না।
পশ্চাৎ পিষ্ট রোগা-সোগা, ক্ষত-বিক্ষত মানিব্যাগ থেকে চাবি বের করে রুমে ঢুকলাম। উমা! পুরোপুরি নির্জন নির্জীব। কোন রকম গানের শব্দও নেই।
হুঁ হুঁ করে কান্নার শব্দ। বুকটা সিঁধ কাটা মাটির মতো নড়বড়ে হয়ে গেলো। ভাবলাম ভুতপ্রেত...?
ভয়ে ভয়ে সুইচ টিপ দিলাম। না, কান্নার শব্দ আর কারও না। নিমাই থেমে থেমে, ঢোক গিলে গিলে কাঁদছে। এরকম বেসুরে কণ্ঠ অনেক দিন হলো শুনিনি।
- কি হয়েছে? কাঁদছিস কেন?
নিমাই - (কোন কথা নেই)।
- কি হলো? কিছু তো একটা বল।
নিমাই - (কোন কথা নেই)।
- কিছু যদি না বলিস তাহলে বোকার মতো মরাকান্না করছিস কেন?
নিমাই - ও ও (হুঁ হুঁ করে...)।
- আবার থেমে গেলি কেন?
নিমাই - দেহুড়ী আমাকে ছেড়ে অন্য একজনকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
- ও আচ্ছা। এই ব্যাপার। তাই বলে কাঁদতে হবে।
নিমাই - কাঁদবো নাতো কি করবো?
- শোন, প্রেম ভালোবাসা হলো সর্দি কাশির মতো। শীতেও আসে গরমেও আসে। যখন তখন আসে। আবার যখন তখন চলে যায়।

ছবিঃ সংগৃহীত (জায়া)।

৪ টি +০/-০