নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উত্তুরে হাওয়া

শ্রদ্ধা আর মমতাই তোমাকে জয়ী করতে পারে; তুমি তোমার জ্ঞান প্রয়োগ কর।

ম্যাভেরিক

প্রাচীন সভ্যতা, পুরাণ, সংখ্যাতত্ত্ব, শব্দের ইতিহাস ভালো লাগা একজন মানুষ

ম্যাভেরিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রমিত বাংলা বানান রীতি (১): ণত্ব বিধান!

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৪৪



মূল নিয়ম

ণত্ব বিধান বা মূর্ধন্য-ণ এর নিয়ম কেবলমাত্র তৎসম শব্দের (যে সকল শব্দ সংস্কৃত থেকে অবিকৃত অবস্থায় এসেছে) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

অ-তৎসম তথা অর্ধ-তৎসম, তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দের ক্ষেত্রে সর্বদাই দন্ত-ন ব্যবহৃত হবে।

___________________________________________

১. তৎসম শব্দের ক্ষেত্রে ণ-এর নিয়ম



১.১ যুক্তব্যঞ্জনে ট-বর্গের বর্ণগুলির (ট ঠ ড ঢ ণ) পূর্বে মূর্ধন্য-ণ

ণ্ট (ণ+ট) ঘণ্টা, নিষ্কণ্টক, বণ্টন

ণ্ঠ (ণ+ঠ) অবগুণ্ঠন, উৎকণ্ঠা, লুণ্ঠন

ণ্ড (ণ+ড) কলকুণ্ডলি, ঠাণ্ডা, লণ্ডভণ্ড

ণ্ঢ (ণ+ঢ) ঢুণ্ঢি, ঢেণ্ঢন (তেমন প্রচলিত নয় এই শব্দগুলি)

ণ্ণ (ণ্ণ) অক্ষুণ্ণ, ক্ষুণ্ণ, বিষণ্ণ



দ্রষ্টব্য

(১) ক্ষুন্নিবৃত্তি (ক্ষুৎ+নিবৃত্তি) এবং ক্ষুণ্ণি শব্দের উৎস এক নয়। প্রথমটি সাধিত (উপসর্গ, সন্ধি বা সমাসযোগে গঠিত) শব্দ, যেখানে ৎ+ন=ন্ন, ন এর দ্বিত্ব হয়েছে।

(২) ওয়ারেন্ট, কমান্ডার, পান্ডা যেহেতু বিদেশি শব্দ, এদের বানানে মূর্ধন্য-ণ হবে না।



১.২ ঋ, র, ষ এর পর মূর্ধন্য-ণ

ঋ বা ঋ-কারের পর

ঋণ, ঘৃণা, মৃণাল



র, র-ফলা, রেফ এর পর

অরণ্য, আহরণ, উদাহরণ

ভ্রূণ, মিশ্রণ, স্ত্রৈণ

অর্ণব, পূর্ণিমা, বিশীর্ণ

দ্রষ্টব্য

এই নিয়মানুসারে রেফ এর পর মূর্ধন্য-ণ হয় বলে তৎসম শব্দে রেফ-যুক্ত দন্ত-ন সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু সাধিত শব্দে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়:

অহর্নিশ (অহ+নিশ), দুর্নীতি (দুর্+নীতি), দুর্নাম (দুর্+নাম)।



ষ এর পর

অন্বেষণ, নিষ্পেষণ, ভাষণ

দ্রষ্টব্য

ষ এর সাথে ণ যুক্ত হলে, যুক্তবর্ণের চেহারা হবে ষ্ণ: কবোষ্ণ, বৈষ্ণব, উষ্ণীষ।



ক্ষ=ক+ষ, সুতরাং ক্ষ এবং ষ এর নিয়ম একই:

ঈক্ষণ, তীক্ষ্ণ, সমীক্ষণ।



১.৩ একই শব্দে ঋ/র, র-ফলা, রেফ/ষ, ক্ষ/

এদের যে-কোনোটির পরে যদি স্বরবর্ণ, ক-বর্গের বর্ণ (ক খ গ ঘ ঙ), প-বর্গের বর্ণ (প ফ ব ভ ম), য য় হ ং এই সব বর্ণের এক বা একাধিক থাকে, তবে তার পরে মূর্ধন্য-ণ হবে। এই নিয়মটি আসলে ১.২ এর বিস্তৃত নিয়ম।

রোপণ (র+ও+প+ন্), শ্রাবণ (শ+র+আ+ব+ন্)



দ্রষ্টব্য

ঋ/র, র-ফলা, রেফ/ষ, ক্ষ/ এর পরে অন্য বর্গের বর্ণ থাকলে মূর্ধন্য-ণ হবে না:

দর্শন, প্রার্থনা।

সন্ধিজাত বা সাধিত শব্দের ক্ষেত্রেও ১.৩ প্রযোজ্য নয় [১.১ দ্রষ্টব্যের মতো] :

নিষ্পন্ন (নি:+পন্ন)।

শব্দের শেষ বর্ণটিতে হসন্ত-উচ্চারণ থাকলেও এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়:

শ্রীমান্।



১.৪ সাধিত শব্দে মূর্ধন্য-ণ

সাধিত শব্দে ঋ, র ষ ক্ষ এর পর সাধারণত মূর্ধন্য-ণ হয় না। তবে বিশেষ নিয়মে মূর্ধন্য-ণ হতে পারে।



১.৪.১ পরি-, প্র-, নির- এই ৩টি উপসর্গের পর ণ হয়:

পরিণয়, প্রণাম, নির্ণয়। [এটি আসলে ১.২ এবং ১.৩ কে অনুসরণ করছে]।

ব্যতিক্রম: পরিনির্বাণ, নির্নিমেষ।



১.৪.২ র বা র-ফলা'র পরপদে -অয়ন থাকলে এর ন মূর্ধন্য-ণ হবে: উত্তরায়ণ, চান্দ্রায়ণ, রবীন্দ্রায়ণ। [এটি ১.৩ কে অনুসরণ করছে: র+স্বরবর্ণ আ+য়]।



১.৪.৩ সাধিত কিছু শব্দে এর প্রভাবে ন মূর্ধন্য-ণ'তে পরিণত হয়: অগ্রণী, গ্রামীণ।

ব্যতিক্রম: অগ্রনেতা।



১.৪.৪ সাধিত শব্দ কোনো কিছুর নাম বুঝাতে এক শব্দ বিবেচিত হলে ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য:

শূর্পণখা (শূর্প+নখা), অগ্রহায়ণ।

দ্রষ্টব্য

গণ ধাতু সহযোগে গঠিত শব্দ সমূহে ণ হবে: গণিত, গণনা, গণ্য; গণৎকার; গণশক্তি, জনগণ, গণসংগীত।



১.৫ নিত্য মূর্ধণ্য-ণ

অণু, কণা, কোণ,ফণা, বেণী, শাণ, কঙ্কণ, বাণ, ভণিতা, শোণিত, ঘুণ, বীণাপাণি, লাবণ্য, বিপণি, মাণিক্য, চাণক্য, গণেশ প্রভৃতি।



[সিরিজটি ড. মাহবুবুল হকের "বাংলা বানানের নিয়ম" গ্রন্থের উপর মূলত ভিত্তি করে]

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:২১

আইরিন সুলতানা বলেছেন: ঋ/র, র-ফলা, রেফ/ষ, ক্ষ/ এর পরে অন্য বর্গের বর্ণ থাকলে মূর্ধন্য-ণ হবে না:
দর্শন, প্রার্থনা।
=========

অর্পণ শব্দটির সঠিক বানান কি তাহলে ?

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৪০

ম্যাভেরিক বলেছেন: অন্য বর্গের বর্ণ, মানে ক-বর্গ/প-বর্গ/য য় হ ং এগুলি ছাড়া, হলে ন হবে। কিন্তু এগুলি থাকলে ণ হবে। এক্ষেত্রে

অ+"র"+"প"+ণ

সুতরাং অর্পণ, তর্পণ, দর্পণ, প্রত্যর্পণ, সমর্পণ :)

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:০৬

আকাশচুরি বলেছেন: +

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:১১

ম্যাভেরিক বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ কামনা।

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৪১

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো একটা কাজ করেছেন। শুভেচ্ছা।

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩৪

ম্যাভেরিক বলেছেন: ধন্যবাদ। বানানের আমাদের উৎকর্ষতা আসুক, এই প্রত্যাশা। ভালো থাকবেন।

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: :( ..... ণ, ন এর মধ্যে উচ্চারনের পার্থক্য কোথায় ........ এই দুইটারে এক করে শুধু "ন" - করে ফেললে হয় না ? এত প্যাঁচায় লাভটা কি হইছে :( ........

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪১

ম্যাভেরিক বলেছেন: তৎসম ছাড়া অন্য শব্দের উচ্চারণে পার্থক্য নেই, তাই অতৎসম শব্দে শুধু ন ব্যবহার করা হয়।

কিন্তু মুশকিল হল, তৎসম অতৎসম শব্দ চেনা। সুতরাং বড় কোন সমস্যা না থাকলে, আমারও অভিমত, সব ন করে ফেলা। ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫০

মানুষ বলেছেন: বহু কষ্টে বাংলা দ্বিতীয় পত্রে পাশ দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম বেঁচে গেছি আর ব্যাকরণ পড়তে হবে। কিন্তু না .... :(

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫৯

ম্যাভেরিক বলেছেন: হা, হা, হা। আমারও একই অনুভূতি। :)

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫২

অনিশ্চিত বলেছেন: ণ ও ন-কে একমত করার পক্ষে নই। সন্দেহ নেই, দুটো এক করলে মানুষের ভাষা শেখাটা সহজ হতো। কিন্তু প্রত্যেকটি ভাষার নিজস্ব সৌন্দর্য আছে, আছে কিছু নিয়মকানুনও। এ পর্যায়ে সব ণ তুলে দিলে ব্যাকরণগত আরেক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।

শুধু বাংলাতেই নয়, অনেক ভাষাতেই একই শব্দের একাধিক উচ্চারণ আছে এবং একাধিক শব্দের একই উচ্চারণ আছে। সুতরাং ণ ও ন কোনো সমস্যা নয়। বরং দুটোর সৌন্দর্য দুরকম।

আপনাকে ধন্যবাদ এইরকম বিষয় নিয়ে পোস্ট দেওয়ার জন্য।

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১০

ম্যাভেরিক বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

ণ/ন, শ/ষ/স এবং কিছু যুক্তবর্ণের উপর বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের আরো আলোচনা হওয়া দরকার। ভাষার সৌন্দর্য অবশ্যই একটি বড় ব্যাপার। আমি ভাবছিলাম মূল লিখিত বর্ণসংখ্যা কম থেকেও যদি উচ্চারণগত লিপি আলাদা আলাদা বেশি থাকত, তাহলে লিখন-পদ্ধতিতে আরো অনেক সুবিধা হত। যেমন, ইংরেজিতে বর্ণমালার বর্ণ ২৬টি কিন্তু এতে phonetic symbol আরো বেশি, উচ্চারণের জন্য। আমাদের বর্ণমালার উপর গবেষণাধর্মী পর্যালোচনা দরকার, কারণ কোন বর্ণ বাদ দিলে যেমন একটি বর্গ ভেঙে যেতে পারে, তেমনি বানান নীতির ব্যতিক্রম কিভাবে নিয়মের মধ্যে এনে কমানো যায়, এটিও বড় বিবেচ্য বিষয় হতে পারে।

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০৫

আইরিন সুলতানা বলেছেন: দন্ত-ন না মধ্যণ-ণ, কোন আসল নঅঅঅ....:( :( :(

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১৬

ম্যাভেরিক বলেছেন: আরে আপনি কথাশিল্পী জানি, গানেরও কি? তাহলে কিন্তু কিছু দাবি ছিল। :)

৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২১

অনিশ্চিত বলেছেন: @আইরিন, আসল বা নকল বলে কিছু নেই। উচ্চারণ একই, পার্থক্য কেবল প্রয়োগে।

@ম্যাভেরিক, আপনার শেষ বাক্যটির সাথে একমত। নির্দিষ্ট নীতির বাইরেও ব্যতিক্রম হিসেবে এতো বানান রয়েছে যে, মাঝে মাঝে সেগুলোকে ব্যতিক্রম ভাবতে কষ্ট হয়। ব্যতিক্রমের সংখ্যা যদি মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তখন সেটি আর ব্যতিক্রম থাকে না। বিশেষ করে তৎসম বা অর্ধতৎসম শব্দ হলে সেগুলোকে একটু মডিফাই করার কথা কেউ চিন্তাও করতে পারে না। কিছু সংস্কৃত শব্দকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মডিফাই করে আমাদের আত্তীকরণ করা দরকার।

সমস্যা হলো আমাদের বানান বিশেষজ্ঞদের নিয়ে। আমি একজনকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম - কিভাবে এবং কীভাবে-এর মধ্যে পার্থক্য কী? তিনি যা বুঝালেন আমি বুঝি নি। পরে জানলাম, তিনি নিজেও জানেন না। কিন্তু তিনি বানান নিয়ে লেকচার দেন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩০

ম্যাভেরিক বলেছেন: বানান বিশেষজ্ঞদের ব্যাপারে আসলেই আস্থা রাখা দায়, এত বছরেও তাঁরা একটি গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন নি।

আমিও চাই শব্দ বেশি বেশি আত্তীকরণ হোক। মাঝে মাঝে মনে হয়, এদিকে কাজ করতে পারলে ভালো হত, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মত ভারী ভারী ডিগ্রী নেই যে! অবশ্য কিভাবে এবং কীভাবে যদি গুলিয়ে ফেলেন একজন বিশেষজ্ঞ, তাহলে ঘটনাটি বোধ হয় বিশেষ অজ্ঞ!

৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৫

দুরের পাখি বলেছেন: শোকেইসড ।

ষত্ব বিধান এবং বানানের অন্যান্য বিষয়গুলা নিয়াও পোস্টের আশায় রইলাম । বানান নিয়া প্রায়ই ঝামেলায় পড়ি । হাতের কাছে কোনো বাংলা ব্যকরণ নাই বৈলা দেখতে পারি না ।

অনেক ধন্যবাদ ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৬

ম্যাভেরিক বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যাঁ, পর্ব বেশ কয়েকটিই হবে আশা করি। ষত্ব বিধান আসবে দ্রুত।

১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৩

ল্যাম্পুমাষ্টর বলেছেন:
বুলবুলিতে ধান খইছে খাজনা দেবে কিসে ???

আহা কারক বিভক্তি.... সে মাইর আজো ভুলিনাইরে

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৮

ম্যাভেরিক বলেছেন: আহ, হা, মনে করিয়ে দিলেন! ব্যাকরণের মাইর বাদ দিলে জীবনটা কিন্তু সহজ সুন্দরই ছিল।

১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৩৮

লিপিকার বলেছেন:

বাংলা ব্যাকরণে কেমনে যে পাশ করতাম ভাবতেই আতঙ্কে হাত পা........!!!

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩০

ম্যাভেরিক বলেছেন: হা, হা, দিন গিয়েছিল বটে সেগুলি! কিন্তু এখন পড়তে খুব ভালো লাগছে।

১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:২৬

পারভেজ রবিন বলেছেন: স্কুল জীবনের বেশির ভাগ সময় ণত্ব ও ষত্ব বিধানকে ভয় পেলেও ক্লাস টেন'এ এসে আবিষ্কার করি যে এটি নাম্বারের খনি। কলেজেও এ ধারা বজায় ছিল। সব সময় পাঁচে অন্তত‍ঃ চার নিশ্চিৎ থাকতাম।

২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৩০

ম্যাভেরিক বলেছেন: বাংলায় ৮০% মার্কস! কী বলেন? নি:সন্দেহে ভালো আবিষ্কার।

১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৩৫

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এই মহান কাজের জন্য। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আছি।

২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৩৮

ম্যাভেরিক বলেছেন: ধন্যবাদ, আশরাফ ভাই। পরের পর্ব দিচ্ছি।

১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২৩

পারভেজ রবিন বলেছেন: বাংলায় ৮০% মার্কস!

বাংলার অন্য কোন ক্ষেত্রে না। প্রশ্ন থাকত পাঁচটি ণত্ব/ষত্ব বিধান লিখ। নির্ভুল ভাবে পাঁচটি লিখতে পারলে চার না দেয়াইতো অন্যায়। শুধু এই ক্ষেতে। অন্য সব বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন সমূহে ৫০% নাম্বার পাওয়াইতো বিড়াট যুদ্ধ। তাছাড়া সন্ধি বিচ্ছেদ কর, ব্যাসবাক্য নির্ণয় কর, কারক বিভক্তি নির্ণয় কর ইত্যাদী প্রশ্নে পাঁচে পাঁচ পাওয়া সম্ভব।

২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২৬

ম্যাভেরিক বলেছেন: ঠিক।
আর সব খবর কী?

১৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৫৪

পারভেজ রবিন বলেছেন: আর সব খবর? নিদারুন করুণ। এসএসসিতে প্রশ্নকর্তারা আমার নাম্বারের গুদামে বোমা মেরেছিল। এই সব ছাক্কা নাম্বারের প্রশ্নগুলো বাদ দিয়ে বিশ্লেষণমূলক সব প্রশ্ন এসেছিল তাই কিছু নিশ্চৎ নাম্বার হতে বঞ্চিত হয়েছিলাম।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ম্যাভেরিক বলেছেন: হা হা হা, বোমা প্রশ্নকর্তার কবলে পড়েছিলেন তাহলে!

১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০৬

পারভেজ রবিন বলেছেন: নিদারুন=নিদারুণ

১৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১২

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন:
পোস্টের জন্যে অনেক ধন্যবাদ
------------------------------


এইখানেও সেই
দুইটা বানান সমস্যাই আছে। আশা রাখি ঠিক করবেন:
"মত" হবে না, হবে "মতো(তুল্য)" (যেহেতু "মত" একটা শব্দ আছে, মত= অভিমত)।

"কোন" হবে না হবে "কোনো"। যেহেতু "কোন (কী/কে)" শব্দে এখন আর হলন্ত/ হসন্ত ব্যবহৃত হয় না।
(১৯৯৬ সনের সর্বশেষ নিয়ম অনুযায়ী)
ড. আহমদ শরীফ সম্পাদিত বাংলা একাডেমীর বাংলা অভিধানে দেখতে পারেন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৪৭

ম্যাভেরিক বলেছেন: ধন্যবাদ। একটি বই দেখে কিছু দ্বিধা ছিল, কিন্তু আপনার বক্তব্য যুক্তিযুক্ত। তাই আপাতত বইটি হাতের কাছে না থাকলেও বানান দুটি পরিবর্তন করে দিচ্ছি। যদিও একাডেমী অনেক বানানের ক্ষেত্রে একমত নয় এবং এর নীতিমালাটি অনেকটা সুপারিশ, আমাদের উচিত সুপারিশকেই বাস্তবায়ন করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

ভালো থাকবেন।

১৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১৬

রাগ ইমন বলেছেন: শুভ্র দেব ছাড়া দন্ত ন তো এখন আর কেউ উচ্চারন করে না । ওহ না , আরেকটা মানুষ করে । আমার ডাক্তার বন্ধু বাদল ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৫০

ম্যাভেরিক বলেছেন: হা, হা, হা। বেশ মজার কথা।
আপনার ও বন্ধুর জন্য শুভ কামনা।

১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:২৭

অনিশ্চিত বলেছেন: @নির্ঝর নৈঃশব্দ, আমি যতদূর জানি কোন শব্দ হসন্ত এখনো পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয় নি। বলা হয়, যদি কোন্ শব্দটি হসন্ত দিয়ে লেখা হয়, তাহলে কোনো লিখতে হবে হসন্ত ছাড়া অর্থাৎ কোন।

আর হসন্ত ছাড়া কোন লেখা হলে কোনো হবো ও-কার দিয়ে।

আপনার তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।

২০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:২২

'লেনিন' বলেছেন: সুন্দর পোস্ট অনেক বিরতিতে।

বাংলা ব্যাকরণ আমার প্রিয় ছিল বিশেষ করে এই নিয়মগুলোর জন্য। সংস্কৃত বা সাধু শব্দ বেশি বেশি জানার গর্ববোধ করতাম। আর সে কারণেই ণ-ত্ব এবং ষ-ত্ব বিধানের অনুরাগী। :)

অনেক অঞ্চলের মানুষ কিন্তু স্বভাবতাই ণ, ষ, শ, ড় উচ্চারণ করে। বিশেষ করে কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের উচ্চারণ লক্ষণীয়।

আর 'কোন' কে 'কোনো' করেই লেখা উচিৎ যাতে দ্ব্যর্থক না হয়, আর পাঠ সহজ হয়।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৪৩

ম্যাভেরিক বলেছেন: ণত্ব ষত্ব অনুরাগীকে ধন্যবাদ। খবর সব ভালো তো?

২১| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৩৬

প্রিয়সখা বলেছেন: অনেক ভাললেখা, ভাল লাগলো।

০৮ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৩:৪৫

ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। দেরিতে উত্তরে দুঃখিত খুব। অনেক দিন আসা হয়নি পোস্টে। আশা করি, চমৎকার কাটছে দিন আপনার।

২২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:৫০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: বাহ! কাজের পোষ্ট তো।
বানান নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হয়। আপনার পোষ্টটা বেশ হয়েছে। আমি কপি করে প্রিন্ট করে নিলাম। আমার তো বটেই, বাসায় পড়ুয়াদেরও বেশ উপকারে লাগবে। এ ধরনের আরও পোষ্ট চাই।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.