![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাচীন সভ্যতা, পুরাণ, সংখ্যাতত্ত্ব, শব্দের ইতিহাস ভালো লাগা একজন মানুষ
১ম পর্ব: Click This Link
২য় পর্ব: Click This Link
আপেক্ষিকতার আলোচনায় আমাদের তৃতীয় দিন:
আবি বলল, "বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এত পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে প্রমাণিত হয়েছে যে কেবলমাত্র তথাকথিত শৌখিন গবেষকরাই মাঝেমাঝে এর ভুল ধরে থাকে। আইনস্টাইন সময়কে যেভাবে বুঝেছিলেন, তুমি যদি সেরকম উপলব্ধি করতে, তাহলে সময় প্রসারণ, টুইন প্যারাডক্স এ বিষয়গুলো নিয়ে তোমার মনে কোনো সন্দেহ জাগত না।"
"বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব আসলেই পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে প্রমাণিত হয়েছে কিনা, সে ব্যাপারেও রয়েছে আমার প্রশ্ন," বলল সারাকা। "তবে পরে আলোচনা করব বিষয়টি। আপাতত আইনস্টাইনের সময়টি বুঝতে চাই আমি।"
"মনে করো, বিস্তীর্ণ মাঠের ভেতর দিয়ে সোজা চলে গেছে সুদীর্ঘ রেলপথ। রেলপথের উপর পরস্পর থেকে বহু দূরে দুটি স্থান A ও B। বর্ষণমুখর এক দিনে হঠাৎ বাজ পড়ল স্থান দুটিতে, দেখা গেল বিজলির চমক। এখন আমি যদি বলি, স্থান দুটিতে বিজলি চমকেছিল যুগপৎভাবে (simultaneously), অর্থাৎ একই সময়ে – আমার এ কথাটির কোনো অর্থ হয় কী?"
"অর্থ তো হয়," দ্রুত উত্তর দিল সারাকা। "একাধিক ঘটনা ঘটলে, আমরা তাদের সংঘটনের সময় নিরূপণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারি, সেগুলো একই সঙ্গে নাকি আগে-পরে ঘটেছিল।"
"বিষয়টি আসলে প্রথম দেখায় যত সরল মনে হয়, ততটা সরল নয় আদৌ," মৃদুহাস্যে বলল আবি। "কারণ সুদক্ষ কোনো আবহাওয়াবিদ অভিনব কোনো উপায়েও যদি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, চমক দুটো A ও B-তে আসলেই যুগপৎ দেখা গিয়েছিল, তারপরও আমাদের পরীক্ষা করে দেখতে হবে, তার এ যুক্তি বা তত্ত্বীয় ধারণা বাস্তবতার সঙ্গে মেলে কিনা। ঠিক বলেছি?"
"জ্বি, ঠিক," মাথা নেড়ে সায় দেয় সারাকা। "কোনো ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক পরীক্ষণ অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ বটে।"
"আসলে একজন পদার্থবিদের কাছে যুগপৎ ধারণাটির কোনো অস্তিত্ব নেই যতক্ষণ না পর্যন্ত ব্যাপারটি বাস্তবে ঘটেছে কি না তা নির্ণয় করার কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখতে পান," গম্ভীরভাবে বলল আবি। "সুতরাং যুগপত্তার এমন একটি সংজ্ঞা আমাদের প্রয়োজন যা আমাদের সে উপায়ও বাতলে দিবে যেভাবে পরীক্ষা করে পদার্থবিদ বুঝতে পারবেন বিজলিচমক একই সঙ্গে ঘটেছিল কি না। আর এ প্রয়োজনটি না মেটা পর্যন্ত একজন পদার্থবিদ হিসেবে যুগপত্তার ব্যাপারে কোনো অর্থ দাঁড় করাতে পারব না আমি, তাতে নিজেকেই ধোঁকা দেয়া হবে কেবল। এমনকি আমি পদার্থবিদ না হলেও একই কথা খাটে।"
"বিজলিচমকের ঘটনা যদি আমরা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করি, তাহলে চোখ দিয়ে আলোর ঝলকানি দেখে আমরা বলতে পারব, বিজলির চমক A ও B-তে যুগপৎ নাকি পরম্পর হয়েছিল। আর ঘটনাটি যারা চাক্ষুষ করতে পারবেন না, উদাহরণস্বরূপ অন্ধ মানুষ, তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বিজলিচমক দুটি যারা প্রত্যক্ষ করেছেন তাদের কাছ থেকে শুনে। অন্যদিকে অন্ধ মানুষ যদি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি অবস্থান করেন, তাহলে বজ্রপাতের শব্দ শুনেও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তারা, কারণ যৌক্তিকভাবে বলা যায় বিজলির আলো ও শব্দ একই সময়ে উৎপন্ন হয়েছিল।"
"কিন্তু মানুষের ইন্দ্রিয় তো প্রতারণাও করতে পারে," আপত্তি জানাল আবি।
"তা অবশ্যই পারে, এছাড়া বিভিন্ন মানুষের ইন্দ্রিয়ের ক্ষমতায়ও রয়েছে পার্থক্য," উত্তর দিল সারাকা। "তবে এ কথা স্বীকার করতে হবে, উপরে বিজলি দর্শন কিংবা বজ্রধ্বনি শ্রবণের যে পদ্ধতির কথা বললাম, আলোচ্য ঘটনায় যুগপত্তা নিরূপণের জন্য সেগুলোও পরীক্ষণ বটে, হয়তো তাতে ভুলের হার বেশি কেবল। ভুলের হার আমরা কমাতে পারি সূক্ষ্ম ঘড়ি ব্যবহার করে। যেমন, কোনো স্থানে বিজলি চমকের সঙ্গেসঙ্গে যদি সেখানে সূক্ষ্ম কোনো ঘড়ি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিজলির চমকের সময়টি লিপিবদ্ধ করতে পারে, তাহলে পরে A ও B-এর ঘড়ি দুটো পাশাপাশি মিলিয়ে আমরা দেখতে পারব, চমক দুটো যুগপৎ ঘটেছিল কি না। ব্যবহারিক দিক দিয়ে এ ধরণের ঘড়ি নির্মাণ হয়তো কিছুটা দুরূহ হবে। কারণ প্রথমতঃ, ঘড়ি দুটোকে শুরু থেকে সূচারুভাবে এবং পরস্পরের সঙ্গে সমসঙ্কালিক (synchronized) হয়ে সময় মাপতে হবে; দ্বিতীয়তঃ, বিজলী চমকের সঙ্গেসঙ্গে সময়টি রেকর্ড করে ফেলতে হবে। তবে কোনো যন্ত্রই যেহেতু ১০০ ভাগ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়, যুগপত্তার ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্তেও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হলেও ভুলের সম্ভাবনা থাকবে। সুতরাং এক্ষেত্রে বিষয়টি পরীক্ষণসংক্রান্ত ও মানবীয় সীমাবদ্ধতামাত্র, তাতে যুগপত্তার চূড়ান্ত বাস্তবতায়, হওয়া বা না হওয়ায়, কোনো ব্যত্যয় ঘটে না। কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে, এর চেয়েও অধিকতর কার্যকর, অভিনব কোনো ঘড়ির কথা ভাবছেন আপনি।"
"ঠিক ধরেছ," বলল আবি। "আমার প্রস্তাব হচ্ছে, রেলপথ বরাবর চিন্তা করলে, A ও B-এর সংযোগকারী AB রেখাংশটি পাওয়া যাবে। মনে করি, AB-এর মধ্যবিন্দু M। এখন M-তে পর্যবেক্ষক হিসেবে একজন মানুষ থাকবেন, ধরা যাক, তোমার বাবা। তার কাছে এমন বন্দোবস্ত থাকবে (পরস্পর ৯০ ডিগ্রি কোণে রাখা দুটো আয়না) যার সাহায্যে তিনি একইসঙ্গে A ও B স্থান দুটো পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এখন তোমার বাবা যদি বিজলির চমকদুটি একইসঙ্গে দেখতে পান, তাহলে তারা যুগপৎ ঘটেছে বলতে হবে। আশা করি, পদ্ধতিটি খুব সরল ও কার্যকরী মনে হবে সবার কাছে।"
"পদ্ধতিটি সরল বলতেই হবে, চক্ষুষ্মানের আলো দেখা কিংবা অন্ধের শব্দ শোনার মতোই, যা আমি ইতোমধ্যেই বলেছি। চূড়ান্তভাবে এখানেও পর্যবেক্ষকের মানবীয় ভুলটি এড়াতে পারছি না আমরা, কিন্তু আমরা শুনছি আপনার বক্তব্য," বলল সারাকা।
"আমার প্রস্তাবে অবশ্য আমি নিজেই একটি আপত্তি জানাতে বাধ্য হচ্ছি," আবি বলল। "এখানে যুগপত্তার সংজ্ঞা তখনই সঠিক হবে কেবল যদি আমরা নিশ্চিত জানতে পারতাম, বিজলির আলো A থেকে তোমার বাবার নিকট পৌঁছতে যে সময় নেয়, B থেকে তোমার বাবার নিকট পৌঁছতেও একই সময় নেয়।"
"M যেহেতু AB-এর মধ্যবিন্দু, এ বিষয়টি যৌক্তিকভাবে ধরে নিতে সমস্যা কোথায়? এছাড়া A, B ও M-এ তিনটে সমসঙ্কালিক ঘড়ি রেখে, পর্যায়ক্রমে A ও B থেকে M-এ আলো পাঠিয়ে পরীক্ষণের মাধ্যমে আগেই বিষয়টি ফয়সালা করে ফেলা যায়, আলো একই সময়ে বাবার কাছে পৌঁছে কি না।"
"না, একটি বড় সমস্যা আছে। দুটো স্থানের মধ্যে আলোক তরঙ্গ বিনিময় করে সেখানকার ঘড়িকে সমসঙ্কালিক করার পক্ষে আমি, কারণ আলোর গতির বিশেষত্বের কারণে এটিই একমাত্র আদর্শ ব্যবস্থা। কিন্তু আলোর গতি ধ্রুব বিবেচনা করেই এরূপ তরঙ্গ বিনিময় পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হয়। সুতরাং A ও B-এর ঘড়িকে এভাবে সমসঙ্কালিক করা মানেই হচ্ছে, A→B দূরত্ব অতিক্রমে আলোর যে সময় লাগে, B→A পথেও আলোর একই সময় লাগে, ধরে নেয়া। ফলে এরূপ সমসঙ্কালিক স্বভাবতই ঘড়ি A→M এবং B→M পথে আলোর একই সময় পরিমাপ করবে। কাজেই দেখা যাচ্ছে, চক্রাকার যুক্তিতেই আমরা ঘুরপাক খাচ্ছি কেবল।"
"না, চাচা," হাসতে হাসতে বলে সারাকা। "চক্রাকার যুক্তিতে ঘুরপাক খাচ্ছেন কেবল আপনি, আর খেয়েছেন আইনস্টাইন। কারণ আলোর গতি ধ্রুব বিবেচনা করে যদি আপনি ঘড়ির সময় ঠিক করেন, আর সে ঘড়ির উপর ভিত্তি করেই যদি আবার আলোর গতি নির্ধারণ করতে যান, তাহলে গতি বা সময় বিষয়ক চক্র তো কখনোই কাটবে না! এবং কী প্রহসন দেখুন, পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণ না করেই একজন পদার্থবিদ হিসেবে এবার আপনি স্বীকার্য হিসেবে ধরে নিচ্ছেন, সমদূরত্ব অতিক্রমে আলোর সমান সময় লাগে। অন্যদিকে আমরা স্বতন্ত্র ঘড়ি নিয়ে, সেগুলো রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সময় নিয়ন্ত্রণ সংস্থার আদর্শ কোনো ঘড়ির সঙ্গে সমসঙ্কালিক করে, তারপর বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে ঠিকই প্রমাণ করতে পরি, বিভিন্ন পথে সমদূরত্বে আলোর একই সময় লাগে কিনা। যা-হোক পরস্পরের সাপেক্ষে স্থির পর্যবেক্ষকের নিকট আলোর গতি ধ্রুব এবং A ও B তে বিজলিচমক যুগপৎ হলে M বিন্দুতে অবস্থিত পর্যবেক্ষকের নিকট তাদের আলো একই সঙ্গে পৌঁছবে, এ বিষয় দুটি ধরে নিতে আমার আপত্তি নেই। সুতরাং আমরা অগ্রসর হতে পারি।" 'একজন পদার্থবিদ' শব্দদুটির উপর জোর দিল সারাকা।
"এতক্ষণ যাবৎ একটি প্রসঙ্গ কাঠামোর সাপেক্ষেই আলোচনা চালিয়ে এসেছি আমরা, অর্থাৎ রেলপথের সাপেক্ষে। এবার মনে কর, বেশ লম্বা একটি ট্রেন রেলপথের উপর দিয়ে v বেগে ডানদিকে অগ্রসর হচ্ছে। ট্রেনের ভেতর বসে আছেন সান্তা ক্লজ। ট্রেনটি সান্তার প্রসঙ্গ কাঠামো, তার পর্যবেক্ষণকৃত যাবতীয় ঘটনাবলী ট্রেনের সাপেক্ষেই বিবেচনা করবেন সান্তা। তাহলে রেলপথের উপর সংঘটিত প্রতিটি ঘটনা ট্রেনের সাপেক্ষেও কোনো একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে ঘটবে, এ কথা কি আমরা বলতে পারি?" প্রশ্ন করে আবি।
"হ্যাঁ, বলতে পারি," জবাব দেয় সারাকা।
"আবার রেলপথের সাপেক্ষে যুগপত্তাকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, ঠিক সেভাবে ট্রেনের সাপেক্ষেও যুগপত্তাকে সংজ্ঞায়িত করা যায়?" প্রশ্ন করে আবি।
"পুরো বিষয়টি না শুনে এ অংশটির উপর মন্তব্য করতে পারছি না," এবার বলল সারাকা।
"রেলপথের সাপেক্ষে দুটি ঘটনা যদি যুগপৎ ঘটে (উদাহরণস্বরূপ, A ও B-তে বিজলিচমকের ঘটনাদ্বয়), তাহলে ট্রেনের সাপেক্ষেও উক্ত ঘটনা দুটি যুগপৎ ঘটবে, এ কথা কি বলা যায়?
"হ্যাঁ।"
"না, উত্তরটি হবে নেতিবাচক!" কণ্ঠে রহস্য এনে আমাদের চমকে দেয়ার চেষ্টা করে আবি, "যখন আমরা বলছি যে রেলপথের সাপেক্ষে বিজলিচমক A ও বিজলিচমক B যুগপৎ, তখন আমরা যা বুঝি তা হচ্ছে: A ও B স্থানে উৎপন্ন চমক দুটি থেকে নির্গত আলোকরশ্মি AB-এর মধ্যবিন্দু M-এ অবস্থানরত তোমার বাবার নিকট ঠিক একই সময়ে এসে পৌঁছে।"
খানিকটা থামল আবি, তারপর বলতে লাগল, "এখন রেলপথের A ও B-এর ঘটনা দুটি ট্রেনের উপরস্থ দুটি বিন্দু A ও B-এর সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট। ধরা যাক, গতিশীল ট্রেনের উপরস্থ A→B দূরত্বের মধ্যবিন্দু M′ (M-প্রাইম)। ঠিক যখনই বিজলি চমকেছিল, তখন স্বাভাবিকভাবেই M′ বিন্দুটি M বিন্দুর উপর সমাপতিত ছিল, কিন্তু পরে ট্রেনের সঙ্গে v গতিতে এটি ডানদিকে চলমান হলো। যদি M′ বিন্দুতে অবস্থিত একজন পর্যবেক্ষক, ধর সান্তা, ট্রেনের সঙ্গে এ গতি প্রাপ্ত না হতেন, তাহলে তিনি M বিন্দুতেই স্থির হয়ে থাকতেন। সেক্ষেত্রে A ও B-এর আলোকরশ্মি দুটি তাঁর কাছে যুগপৎ পৌঁছত, অর্থাৎ তিনি যেখানে স্থির থাকতেন (মধ্যবিন্দুতে) সেখানে রশ্মিদুটি পরস্পরের সঙ্গে মিলত।
কিন্তু ট্রেনের গতির দরূন, B থেকে আগত আলোর দিকে ছুটে যাচ্ছেন সান্তা, আর A থেকে আগত আলোর সামনে দিয়ে দূরে সরছেন। ফলে B-থেকে নির্গত আলোকরশ্মিটি প্রথমে দেখবেন সান্তা, তার একটু পর দেখবেন A থেকে নির্গত আলোকরশ্মি। সুতরাং সান্তা, যার প্রসঙ্গকাঠামো হচ্ছে ট্রেন, এ সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন যে, বিজলিচমক B বিজলিচমক A-এর পূর্বে সংঘটিত হয়েছে।"
একটু থামল আবি। তারপর নাটকীয়ভাবে বলল, "ট্রেন ও বজ্রপাতের এই সরল অথচ অনন্য মানসপরীক্ষার মাধ্যমে বিস্ময়কর এক ফলাফল আবিষ্কার করেন আইনস্টাইন, যা পূর্বে কেউ চিন্তাও করতে পারেনি:
'যেসব ঘটনাবলী রেলপথের সাপেক্ষে যুগপৎ, সেসব ঘটনাবলী ট্রেনের সাপেক্ষে যুগপৎ নয়, যা বিপরীতক্রমেও সত্যি। আর এ বিষয়টি হচ্ছে যুগপত্তার আপেক্ষিকতা। প্রত্যেক প্রসঙ্গ-বস্তুর (যেমন, স্থির রেলপথ, চলমান ট্রেন) রয়েছে নিজস্ব সময়; সময়সংক্রান্ত আলোচনার কোনো অর্থ নেই, যতক্ষণ না পর্যন্ত বলা হচ্ছে, কোন বস্তুর সাপেক্ষে এ সময়।'
০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫১
ম্যাভেরিক বলেছেন: রেলপথ, সময় সবই তো সোজা জিনিস, চোখে পড়ে প্রতিদিন, মনে থাকে তাই। আর এ পোস্টের পুরো আলোচনা আইনস্টাইনের ট্রেন মানসপরীক্ষার উপর, আপেক্ষিকতা তত্ত্বে যা বেশ সুপরিচিত।
আমি ভালো আছি। আশা করি, ব্যালেরিনা ও তাদের ম্যামও আছেন চমৎকার।
২| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ৮:০০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আগের গুলার চেয়ে ভালো মনে হলো ! খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছেন !
০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ২:২৯
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। এখানে আইনস্টাইনের নিজের বর্ণনাও স্থান পেয়েছে, সুতরাং তাঁরও কৃতিত্ব রয়েছে এ পোস্টে।
ধারাবাহিক শেষ হলে সবগুলোর উপর আরেক দফা সম্পাদনা করা হবে। আশা করি, তখন আরও সহজ সুন্দর হবে পুরো ধারাবাহিক।
ভালো কাটুক সময়।
৩| ০২ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
নস্টালজিক বলেছেন: প্রিয় ম্যাভেরিক,
আমি বোধহয় ক্লাসের ব্যাক বেঞ্চার! হোম ওয়ার্ক করে আসিনি আজ! :-(
শুভেচ্ছা জানবেন!
০২ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা, প্রিয় নস্টালজিক। আপনার উপস্থিতিই আলোচনায় বড় প্রেরণা, সুতরাং সমস্যা নেই।
ভালো থাকুন।
৪| ০২ রা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
জেনো বলেছেন: ''প্রত্যেক প্রসঙ্গ-বস্তুর (যেমন, স্থির রেলপথ, চলমান ট্রেন) রয়েছে নিজস্ব সময়; সময়সংক্রান্ত আলোচনার কোনও অর্থ নেই, যতক্ষণ না পর্যন্ত বলা হচ্ছে, কোন বস্তুর সাপেক্ষে এ সময়।''
এটাই তো মূল বিষয় নাকি আমিই বুঝিনি......
এদিকে উদাসী ভাই তো বল স্টেডিয়াম পার করে দিচ্ছে।
আবার ঘটি বাটি চালান দিতে কয়।
আপনারা আছেন বলেই এইসব জানতে পারতেছি।
অনেক অনেক দিন বেঁচে থাকুন।
০২ রা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা, জেনো। ঠিক ধরেছেন, এটিই মূল বিষয়, এরকমই বলেছিলেন আইনস্টাইন।
তবে আইনস্টাইনের যুক্তির সঙ্গে আমি একমত নই। আগামী পর্বে আলোচনা করা হবে, সময়ের operational definition দিতে গিয়ে মানসপরীক্ষাটিতে কী মৌলিক ভুল করেছিলেন তিনি।
পড়া ও মন্তব্যের প্রেরণা লেখার শ্রমকে সম্মানিত করে। ধন্যবাদ অনেক, ভালো কাটুক সময়।
৫| ০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অপেক্ষায় ছিলাম। এখন পড়ব। ধন্যবাদ।
০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৪
ম্যাভেরিক বলেছেন: অপেক্ষা সম্মানিত করে লেখার প্রচেষ্টা। ধন্যবাদ, প্রোফেসর শঙ্কু।
৬| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৪
বোকামন বলেছেন:
হূম ! বিভ্রম শেষ পর্যন্ত আর রইলো কোথায় !
লেখাটি পড়ে গেলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকবেন।
০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ২:১৮
ম্যাভেরিক বলেছেন: বিভ্রম কেটে যাওয়াটাই ব্যাপার। পড়া ও মন্তব্যে ভালো লাগল খুব। সতত সুন্দর কাটুক সময়।
৭| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
ভারসাম্য বলেছেন: ভাল লেগেছে তবে নতুন কিছু নাই এই পর্বে। বুঝতেই পারছেন। আবি'র কথার পরে সারাকার একটা কথা দিয়ে শেষ করলে ভাল লাগত আরো বেশি। পরের পর্বের জন্য অধীর অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকুন।
০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৩:৫৭
ম্যাভেরিক বলেছেন: হ্যাঁ, একেবার নতুন নয়, তবে বিশেষ আপেক্ষিকতায় আইনস্টাইনের চিন্তা-প্রক্রিয়া ও যুক্তি বুঝার জন্য ট্রেনের এই পরীক্ষাটি ঐতিহাসিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সরল হলেও এতে আইনস্টাইনের যুক্তি বিভ্রাটের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এছাড়া লরেন্টজ রূপান্তর, সময় প্রসারণ বোঝার জন্য অনেকে যুগপত্তার উপর জোর দিয়ে থাকেন। এজন্য বিষয়টির অবতারণা।
পর্ব লেখার সময় ধারাবাহিক পর্বের মাঝেও নতুন পর্ব মাথায় আসছে। সব মিলিয়ে পরে সূতোয় গাঁথতে হবে। সঙ্গে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ।
৮| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১:২৫
কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: আজকে আবার সেই প্রথম পর্ব থেকে টানা তিনটা পর্ব পড়লাম । আপনি পোস্ট দিলে লগিন করার লোভ আর সামলাতে পারি না ।
১১ তম ভালো লাগা
০৪ ঠা জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৩৫
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুনে সম্মানিত বোধ করছি, স্বপ্ন। আপনাকে ইদানিং দেখা যায় কম। আশা করি, ভালো আছেন।
৯| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৪
রমিত বলেছেন: আরো একটি সুন্দর লেখা উফার দিলেন ম্যাভেরিক।
০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:২৪
ম্যাভেরিক বলেছেন: আগমনে মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো লাগল দেখে।
১০| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৭
রমিত বলেছেন: আমিও সামান্য লিখেছিলাম এই বিষয়ে
Click This Link
Click This Link
Click This Link
০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৭
ম্যাভেরিক বলেছেন: পড়লাম, বেশ সুন্দর ও পরিশ্রমী। বই আকারে প্রকাশ করলে খুব ভালো হবে। ভেবে দেখবেন।
১১| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০২
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমি কিচ্ছু বুঝি নাই!
আমি কিচ্ছু পারি না
০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
ম্যাভেরিক বলেছেন: সোজা তো, একই সঙ্গে দুটি ঘটনা ঘটেছে কি না, তা কীভাবে বুঝব আমরা।
১২| ১০ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
আরজু পনি বলেছেন:
প্রথম পর্ব থেকে পড়তে হবে।
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
ম্যাভেরিক বলেছেন: অবসরে সময় করে পড়লেই হবে।
১৩| ১০ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
যাযাবরমন বলেছেন: টাইম মেশিন যে কেন আবিষ্কার হয় না! সামনে আগায়া যায়ে লেখাটার সব প্রব পড়ে আসতাম!
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
ম্যাভেরিক বলেছেন: আবিষ্কার হলে বিস্ময়করই হতো, তবে যৌক্তিক গাণিতিক বৈজ্ঞানিক কোনো উপায়েই পদার্থবিদ্যার টাইম মেশিনের পক্ষে সমর্থন পাই না আমি। আর আমার ভুল না হলে আপনার আশা ভঙ্গ হবে।
১৪| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০২
যাযাবরমন বলেছেন: সময় বিষয়ে আমার সর্বশেষ ধারনা হচ্ছে,
স্থান আর কাল হচ্ছে কারেন্টের আ্যাম্পিয়ার আর ভোল্টেজের মত। মানে, স্থান হচ্ছে অবস্থা আর কাল হচ্ছে সেই অবস্থা মাপার একক। আর আমরা যেটাকে স্থান বলি সেটা আসলে বস্তুর অবস্থান, স্থান নয়। স্থান হচ্ছে সময়ের সাথে সাথে বস্তুর অবস্থান পরিবর্তনের প্লাটফর্ম।
১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:২০
ম্যাভেরিক বলেছেন: সুতরাং আপনার মতে, বস্তুর অবস্থান (স্থান) মাপার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হচ্ছে সময়। যৌক্তিক মতই বলতে হবে, কারণ বিভিন্ন বস্তুর অবস্থান পরিবর্তন/পুনর্বিন্যাসের সঙ্গে সময়ের ধারণা কিংবা হিসেবনিকেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত
"তবে যেটাকে স্থান বলি সেটা আসলে বস্তুর অবস্থান, স্থান নয়।" এখানে আমার একটু বুঝতে সমস্যা হয়েছে, বাক্যটিতে 'স্থান' শব্দদুটি কী কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
১৫| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৪
যাযাবরমন বলেছেন: স্থান উলম্ব বরাবর সময়ের দিকে সরছে।
১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:৪৯
ম্যাভেরিক বলেছেন: এ কথাটি খুব কঠিন লেগেছে। সময় যদি স্থান পরির্তনেরই একটি পরিমাপ হয়, তাহলে স্থান আলাদা করে কীভাবে সময়ের দিকে সরতে পারে আর উলম্ব দিকটিই বা কী বোঝাচ্ছে।
ভালো কাটুক সময়।
১৬| ১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
যাযাবরমন বলেছেন: ১- বাক্যটিতে 'স্থান' শব্দ দুটি আমিও আসলে বোঝাতে পারছি না। অভ্যাসগত কারনে ২ টাকেই আমি স্থান বলেছি। আমি আসলে স্থানকে ১টা প্লেটের মত ভাবছি, পুরো মহাবিশ্ব এই প্লেটে আছে। আর এই প্লেট তার উলম্ব বরাবর সময়ের দিকে সরছে। ট -সময়ে প্লেটে মহাবিশ্বে উপাদান সমুহের অবস্থান আর ট+১ -সময়ে প্লেটে মহাবিশ্বে উপাদান সমুহের অবস্থান ভিন্ন। প্লেটে মহাবিশ্বে উপাদান সমুহের অবস্থান/সরন পদার্থবিদ্যার নিয়মে পরিচালিত হবে। এখন যেসব উপাদান স্থানের প্লাটে আবদ্ধ তারা প্লেট থেকে সরবে না। কিন্তু কোন উপাদান এই প্লেট থেকে বন্ধনচুত্ত হলে তা সময়ের ভেতর দিয়েও চলতে পারবে। আর কিছু উপকরন থাকবে যারা স্থানের প্লেটে কোন ভাবেই যুক্ত না, তারা সময় নিরপেক্ষ হবে বা সময় ভ্রমন করতে পারবে বা তাদের জন্য সময় স্থির থাকতে পারবে।
২-
১ মাত্রিক জগতের সাপেক্ষে ৩ মাত্রিক জগত চিন্তা করা খুবই কঠিন। যেমন: ২ মাত্রিক জগতের কোন বাসিন্দা ১ মাত্রিক তলে অবস্থান করবে যেখানে শুধু দৈর্ঘ থাকে, তাকে বুদ্ধি খাটিয়ে ২য় মাত্রা বুঝতে হবে। সে ১ মাত্রা তথা দৈর্ঘ এর উলম্ব বরাবর প্রস্থ পাবে। এখন ২ মাত্রার জগতের বাসিন্দা ১ মাত্রা তথা দৈর্ঘ এর সাপেক্ষে ১ টি ই উলম্ব প্রস্থ পাবে, সে আরেকটি উলম্ব (উচ্চতা) কখনওই বুঝতে পারবে না।
আমাদের অবস্থান ২মাত্রিক তলে, আমাদের অনুভুতিও ২ মাত্রিক যেমন ত্বক, চোখের রেটিনা, কানের পর্দা। আমরা বুদ্ধি প্রয়োগ করে অনুভুতি তলের উলম্ব বরাবর উপরে বা নিচে ৩য় আরেকটি মাত্রা ও তার গভিরতা বুঝতে পারি। আমাদের পক্ষে আরেকটি উলম্ব বা ৪থ মাত্রা বোঝা অসম্ভব।
এখন- ১ মাত্রা সাপেক্ষে উপম্ব যেকোন দিকেই হতে পারে, যেকোন দিকে ১ টা উলম্ব। ২ মাত্রা সাপেক্ষে ২ টি উপম্ব ২ দিকে হতে পারে। ৩ মাত্রা সাপেক্ষে সম্ভবত ৩ টিই উলম্ব হবে তবে তাদের দিক হবে ১ টি।
এখানে আরও অনেক কিছু ব্যাক্ষা করার আছে যেমন স্থানের উপর ইচ্ছাশক্তির প্রভাব।
যেমন আমি মনে করি স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি হচ্ছে স্রষ্টার সবচেয়ে বড়/মুল্যবান সৃস্টি। যেমনটা আমি এই লেখা "তাকওয়া" -এ বলার চেষ্টা করেছি।
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:১৪
ম্যাভেরিক বলেছেন: ধন্যবাদ, যাযাবর মন, আপনার সুগভীর চিন্তার জন্য। আপনার চিন্তার সঙ্গে অনেকটিই একমত।
"ট -সময়ে প্লেটে মহাবিশ্বে উপাদান সমুহের অবস্থান আর ট+১ -সময়ে প্লেটে মহাবিশ্বে উপাদান সমুহের অবস্থান ভিন্ন।"
এখানে আপনি সময়কে বস্তুর (স্থানিক) অবস্থানের মাধ্যমে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনি স্থান ও কাল বা সময়কে দুটি মাত্রায় রেখেছেন, আধুনিক পদার্থবিদ্যার বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বেও স্পেস-টাইমকে এভাবেই দেখা হয়। আমি অবশ্য আধুনিক পদার্থবিদ্যার এই স্পেস-টাইম ধারণার সঙ্গে একমত নই, আপেক্ষিক সময়ে আস্থা নেই আমার, কারণ মানুষের পক্ষে মহাবিশ্বের সামগ্রিক বস্তুকণার নিরন্তর পরিবর্তন রোধ করা সম্ভব নয়।
তাহলে সময় নিরপেক্ষতা বা সময় ভ্রমণ ব্যাপারগুলো কী অসম্ভব! হ্যাঁ, যদি না বিশ্বজগতের নিয়ন্তা কারও মন ও দেহকে সাময়িকভাবে পরিবর্তনের ঊর্ধ্বে রাখেন।
১৭| ১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭
ব্যান্ড পার্টি বলেছেন: আপনার অধিকাংশ পোস্ট মাথার উপ্রে দিয়া যায়
১৫ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৪
ম্যাভেরিক বলেছেন: অধিকাংশ পোস্ট! তাহলে তো চিন্তার বিষয়। তবে সময় পেলে এ ধরণের কোনো পোস্ট বা পোস্টের অংশবিশেষ চিহ্নিত করে দিলে ভালো লাগবে, পরিমার্জিত করা যাবে।
ভালো কাটুক সময়।
১৮| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬
যাযাবরমন বলেছেন: আধুনিক পদার্থবিদ্যা সম্পর্কে আমার ধারনা খুব কম, আপনাদের কয়েকজনের লেখা পরে যা যানতে পারি তা ছারা।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি স্পেস-টাইম ইসুতা পদার্থবিদ্যা শুরু থেকেই ভুলের উপর আছে। সৃষ্টিতত্ব ব্যাক্ষ্যায় স্থানের উপর প্রাধান্য দিয়েছে, যার ফলে সময় দূর্বোদ্ধ হয়ে গেছে।
আমি মনে করি স্থান বলে কিছু নেই। আমরা যেটাকে স্থান বলি তা আসলে সময়েরই একটা অংশ, সময়ের বিস্তার যা একটি প্লাটফর্মের মত। এই প্লাটফর্ম মহাবিশ্বের সকল উপাদান ধারন করছে। স্থান বা সময়ের বিস্তার মিনিমাম তৃমাত্রিক, মাত্রা আরও বেশি হতে পারে যা গানিতিক বিশ্লেষন ছারা বলা কঠিন। আর আমরা যাকে সময় বলি তা সময় পথের দৈর্ঘ্য/সরণ। আমরা বলি ১ সেকেন্ড আগের/পরের সময়, এখানে আগে পরে বলে কিছু নাই, পুরোটা মিলিয়েই সময়।
ইলেক্ট্রিক কারেন্টের সাথে তুলনা করলে আমরা যেটাকে স্থান বলি তা অ্যাম্পিয়ারের ন্যায় আর যাকে সময় বলি তা ভোল্টেজের সাথে তুলনা যোগ্য।
মহাবিশ্বের উপাদান সমুহ সময়ের বিস্তারের সাথে বাধা পরে আছে। বলবিদ্যার নিয়ম মেনে তারা পরষ্পর আন্তক্রিয়া করছে। আমাদের দেখা মহাবিশ্ব-কাঠামো এই পারষ্পরিক আন্তক্রিয়ার ফল। সময়ের বিস্তারের সাথে মহাবিশ্বের উপাদান সমুহের বন্ধন অমোচনিয় নয়। গতিবেগ এই বন্ধন থাকে উত্তরনের ১টি বা সহজতম উপায়। উচ্চতর গতিবেগে সময়ের বিস্তারের সাথে মহাবিশ্বের উপাদান সমুহের বন্ধন দুর্বল হতে থাকে। আপেক্ষিক তত্বে যেকমনটা বলা হয়েছে। আর একটি মুক্ত বেগও নিশ্চই আছে। আইনস্টাইনের মতের মত আমারও মত হল মুক্ত বেগ হচ্ছে আলোর বেগ।
কয়েক দিন আগেও আমি ভাবতাম আলোর বেগ সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে না। কারন তখনও আমি চিরায়ত বিঞ্জানের ন্যায় স্থান কে বিবেচনা করে মহাবিশ্ব ব্যাক্ষ্যা করার চেষ্টা করতাম। এখন যখন সময়কে বিবেচনা করছি তখন দেখা যাচ্ছে গতিবেগ কত তা গুরুত্বপূর্ন নয়, মুক্তবেগ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ন। আর আলোক-বেগ কে মুক্তবেগ বলার কারন হচ্ছে কোরআন শরিফ। বলা হয়েছে প্রভু আল্লাহ তায়ালা মহাবিশ্ব পরিচালনার কাজে কিছু ফেরেস্তা নিয়োগ করে রেখেছেন, আর ফেরেস্তারা নুর বা আলোর তৈরি।
আর আমি মনে করি স্বাধিন মন/ চিন্তা শক্তিও সময়ের বিস্তারের বন্ধ থেকে মুক্ত।
তাহলে আলোর বেগে চলতে পারলে বা মনকে সঠিক ভাবে প্রশিক্ষন দিতে পারলে সময় ভ্রমন সম্ভব। এই বিষয়ে হয়তো কখনও বিস্তারিত পোষ্ট দেব। আর যদি তা না দেই, এই আশংকা থেকে আমার ভাবনা আপনাকে যানিয়ে রাখলাম। আমি গনিত জানি না, আপনি হয়তো এই ভাবনার গানিতিক গ্রহনযোগ্যতা নির্ণয় করতে পারবেন। আপনি যেমন মাছের বৃদ্ধির একটা উদাহরন দিয়েছেন, বিজ্ঞান এখনও ঐরকন ভুলের মাঝে থাকলেও আমি গানিতিক বিশ্লেষন কে গুরুত্ব দেই। আমি মনে করি গনিত করেই প্রভু আল্লাহ তায়ালা এই মহাবিশ্ব তৈরি করেছেন।
১৮ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৩৮
ম্যাভেরিক বলেছেন: চমৎকার সুগভীর কিছু চিন্তামালা তুলে ধরেছেন, বিশেষ করে আপনার সময়ভাবনা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। আপনি যেহেতু কয়েকটি সুন্দর মন্তব্য করেছেন, আপনার কাছে অনুরোধ, সবগুলো মিলিয়ে একটি পোস্ট দিয়ে ফেলুন। তাহলে সে পোস্টে এ আলোচনাটি চালিয়ে যেতে পারব আমরা। বিষয়টি নিয়ে আপনার সঙ্গে আরও আলোচনা করতে ইচ্ছুক আমি। গাণিতক বিষয়গুলোতে আমি সাহায্য করার চেষ্টা করব।
১৯| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:০৬
যাযাবরমন বলেছেন: ব্যান্ড পার্টি বলেছেন: আপনার অধিকাংশ পোস্ট মাথার উপ্রে দিয়া যায়
ম্যাভেরিক ভাই আমার ধারনা কোলকাতা স্টাইলে সম্পুর্ন বাংলায় লেখার কারনে অনেকেরই আপনার লেখা বুঝতে কষ্ট হয়। আমি অবশ্য এই ধরনের লেখাতেও অভ্যস্ত।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা, যাযাবর মন। আপনার এ ধরণের লেখা ভালো লাগায় খুশি হলাম। হ্যাঁ, খুব দরকার না হলে ভাষায় বিদেশি শব্দ প্রয়োগের পক্ষে নই আমি।
২০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন: এই পর্বটা পড়ে কিছুটা হলেও ধুয়াশা কেটেছে! ২য় পর্বের চেয়ে এই পর্বটা তুলনামূলকভাবে সহজ লেগেছে। যাই হোক, একটা জিনিস ক্লিয়ার, সময়/আলো এই দুটা জিনিস মোটেও সহজ কিছু না! ভয়াবহ রকমের প্যাচগি।
Synchronized এর বাংলা তো দেখছি একেবারেই দাঁত ভাঙা! সব শব্দের কি বঙ্গানুবাদ দরকার আছে?
২য় পর্বের একটা জিনিস খুব মজা পেয়েছিলাম, বারবার ভুলে যাই সেটার কথা লিখতে, এখানেই বলে দিচ্ছি। "চুলের সাথে মাছের বৃদ্ধির যে ম্যাথমেটিক্যাল রিলেসন দেখিয়েছেন, পুরাই হাসতে হাসতে শেষ। এটা কিন্তু রীতিমত জটিল একটা কৌতুক হতে পারে। হা হা হা।"
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
ম্যাভেরিক বলেছেন: ধোঁয়াশা খানিকটে কাটার কথা শুনে ভালো লাগল। তবে ভাষা বাদ দিলে, এ পর্বের বিষয়বস্তুতেও খানিকটে ধোঁয়াশা আছে। সময়/আলো আসলেই প্যাঁচালো।
সব শব্দের বঙ্গানুবাদ দরকার নেই। বিশেষ আপেক্ষিকতায় যেহেতু সিনক্রোনাইজড বহুল ব্যবহৃত শব্দ, মূল বইয়ের লেখায় এটিই রাখব। মাঝেমাঝে শব্দ নিয়ে একটু পরীক্ষা করতে ইচ্ছে হয় আর কি।
চুলের সঙ্গে মাছের সম্পর্কটি মনে পড়লে আমারও হাসি পায়। সমীকরণটি প্রথমে শুধু অনুপাতের সাহায্যে তৈরি করতে চেয়েছিলাম। পরে দেখলাম, ক্যালকুলাস না আনলে ঠিক ভারী হয় না।
২১| ২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫
ছায়াপাখির অরণ্য বলেছেন: এইচএসসির বইপত্রের কথা মনে পড়ে গেল!
কি কঠিন ছিল থিওরি ওফ রিলেটিভিটি অংশটুকু!
পরে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের থিওরি ওফ রিলেটিভিটি আমাকে উদ্ধার করসিল!
অনেক শুভেচ্ছা, ম্যাভেরিক!
২২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৮
অতিক্ষুদ্র বলেছেন: ভাই আপনি আর লিখেন না কেন?
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া
রেলপথ , সময় এত কঠিন কঠিন বিষয় নিয়ে কেমনে এতকিছু মনে রাখো!!!
যাইহোক কেমন আছো ভাইয়া?