নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ম্যাক্সমিরস্লাভ

আমি খুবি সাধারণ পেন্সিলে আঁকা সহজ স্বপ্ন আমার । স্বপ্ন দেখতে ভুল হলে ইরেজার দিয়ে সহজে মুছে ফেলা যায় । আমার স্বপ্ন ।

ম্যাক্সমিরস্লাভ

আমি সম্ভ্রান্ত পরিবারের খানদানি সন্তান । আমার নামটা আমি রাশিয়ান ঘরওয়ানায় রেখেছি । যদিও আমার আব্বা হুজুর আমার নামটা খাসী জবেহও করিয়া রেখেছেন ।তাই আমি সবিশেষ বলিতে চাই যে,আমি অত্তান্ত্য ভদ্র, সুন্দর , অতীতচারি এক চিন্তিত স্বভাবের উদার দেশপ্রেমিক, মানব প্রেমিক,মানবাধিকারের প্রতিস্রদ্ধাশীল ,আব্বা আম্মার বাধ্য সন্তান ,প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয় যাই..।উদিচী শিল্প গোষ্ঠী 'র আবৃতি চর্চার সাথে জড়িত। সাংস্কৃতিক মনা , ফোনে ভাল কথা আগে বলতে পারতাম এখন STUDY NIA BUSY প্রেম করার TIME NAI .আমার অনেক না বোলা কথা আছে,আমি এতদিন এরকম একটা MEDIA খুঁজেছিলাম আমার লূক্কাঈত প্রতিভা কে উন্মুক্ত কোরে তুলবার জন্য কত বার যে আমি আমার লেখা প্রথম আলো তে দিলাম ,আমার এক আত্মীয় যদিও প্রথম আলো তে জব করেন তাকে দিলাম ভাই একটু ছেপে দিবেন,কোন কাজ হল না । আমিও বসে নেই .........।আমার ভিতর থেক্কে যেমনে হউক প্রতিভা বাইর করুম ইনশাল্লাহ।যদিও আমি সম্ভ্রান্ত কবি বংশের নাতি ।৭১' এ আমার দাদা 'র অগ্নি ঝলসানো কবিতা প্রকাশিত হয়েছে আমার আব্বাও একজন মুক্তিযোদ্ধা আর আমার স্বপ্ন একজন কলম যোদ্ধা হওয়ার । আমি সব প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করি কিন্তু বার বার অকৃতকার্য হই । '"" হেরে যাব বলে স্বপ্ন দেখি নি """

ম্যাক্সমিরস্লাভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব বাজার ও বাংলাদেশের শ্রমবাজার

০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৫২

বাংলাদেশ একসময়ের কৃষিনির্ভর দেশ হলেও বর্তমানে শিল্পনির্ভর দেশ। এ দেশটি বর্তমানে পোশাক শিল্পপ্রধান দেশ। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি মূল দিক হলো দেশটির বিশাল জনসংখ্যা। বিশাল জনসংখ্যা একদিকে যেমন শ্রমিকের জোগান দিচ্ছে আবার এটি দেশের বিশাল বাজার গঠনেও ভূমিকা রাখছে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রাহমান এর আমলে এ দেশে পোশাক শিল্প শুভ সূচনা হয় বলে জানা যায়। তাই ১৯৮০-এর দশক থেকে সস্তা শ্রমের জন্য বিশ্বের অন্য দেশের নজর পড়ে এ দেশটি ২০১০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৬৪১ মার্কিন ডলার। যেখানে বিশ্বের গড় মাথাপিছু আয় ৮ হাজার ৯৮৫ মার্কিন ডলার। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী যদি ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পরিমাপ করা হয় তবে দেখা যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের ৪৪তম বৃহৎ অর্থনীতি। ২০১০ সালের এপ্রিলে আমেরিকার একটি রেটিং এজেন্সি স্টান্ডার্ড অ্যান্ড পুরসের (এস অ্যান্ড পি) ক্রেডিট রেটিংয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশের অবস্থান ভারতের পরে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তান ও শ্রীলংকার ওপরে। ২০১০ সালে বাংলাদেশের মোট জিডিপি (মোট দেশীয় উৎপাদন) হলো ২৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৮ শতাংশ, শিল্পের অবদান ২৮ শতাংশ। আর সেবা খাতের অবদান প্রায় ৫৩ শতাংশ। দেশের মূল্যস্ফীতির হার সাধারণত ৫ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে থাকে। তবে বর্তমানে এটি প্রায় ১০ শতাংশ। ২০০৮ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশের প্রায় ৩৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। ২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট শ্রমিকের সংখ্যা ৭২ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন। আর বেকারত্বের হার ৫ দশমিক ১ শতাংশ।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশাল জনসংখ্যা একটি বড় ধরনের বিষয়। বাংলাদেশের জন্যসংখ্যা এখন ১৫ কোটির ওপরে। জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় দেশে শ্রমের মজুরি কম। তাই দেশে উৎপাদন খরচও কম পড়ে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এ দেশকে তাদের বিনিয়োগের জন্য বেছে নেয়। তাছাড়া বহুল জনসংখ্যার কারণেই দেশে পোশাক শিল্পে উন্নতি করতে পেরেছে। তবে জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় দেশে বেকারত্বের হারও বেশি।

বাংলাদেশে দুটি সমুদ্রবন্দর রয়েছে। এক হলো চট্টগ্রাম, অন্যটি হলো মংলা সমুদ্রবন্দর। সমুদ্রবন্দর থাকায় বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দেশ সুবিধা পাচ্ছে। তাছাড়া বন্দর থেকে মাল খালাসীকরণেও বর্তমানে অনেক দ্রুততা দেখা যাচ্ছে। যা দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যকে প্রসারিত করতে সাহায্য করছে।

দেশের বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা ধীরে ধীরে হ্রাস করছে বাংলাদেশ। ১৯৮৮ সালে ঋণ থেকে বাংলাদেশের বাজেটে অর্থায়ন হয়েছিল প্রায় ৮৫ শতাংশ। যা ২০১০ সালে মাত্র ২ শতাংশে এসে দাঁড়ায়।

একসময় বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি ছিল পাট। তখন বাংলাদেশের অর্থনীতি মানেই ছিল পাট ও পাটজাত দ্রব্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিশ্বে পাট রফতানিতে সর্বোচ্চতে পৌঁছায় বাংলাদেশ। তাছাড়া ১৯৪০ সালের পর রফতানি আয়ের মোট ৭০ শতাংশ আসে পাট রফতানি থেকে। তারপর ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী পাটের পরিবর্তে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার শুরু হওয়ায় পাট ও পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা হ্রাস পায়। ফলে বাংলাদেশের পাটশিল্পও মার খায়। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ধান, চা, আলু, আম, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করতে শুরু করে। বর্তমানে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৪র্থ, আলু উৎপাদনে বিশ্বে ১১তম, আম উৎপাদনে বিশ্বে ৯ম, আনারস উৎপাদনে বিশ্বে ১৬তম, গ্রীষ্মকালীন ফল উৎপাদনে বিশ্বে ৫ম, পেঁয়াজ উৎপাদনে ১৬তম, কলা উৎপাদনে ১৭তম, পাট উৎপাদনে ২য়, এবং চা উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ১১তম।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের গুরুত্ব অনেক। কারণ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার একটি সিংহভাগ আসে রেমিট্যান্স থেকে। তাছাড়া শ্রমিক প্রাচুর্যতার কারণে দেশে মজুরি কম হওয়ায় অনেক শ্রমিকই দেশের বাইরে গিয়ে তাদের শ্রম বিক্রি করছে। যা একদিকে দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে। অন্যদিকে এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

২০০২ সালে দেশটির শিল্পে উৎপাদিত পণ্যের রপ্তানির আর্থিক পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০১০ আর্থিক বছরে এসে ১২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের রপ্তানিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে- তৈরি পোশাক, হিমায়িত মাছ, সিরামিক পণ্য, চা, পশুর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত দ্রব্যসহ আরো অনেক কিছু। বাংলাদেশ মূলত জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, নেদারল্যান্ড, কুয়েত ও জাপানে তাদের পণ্য রফতানি করে থাকে।

দেশের আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে- মূলধনী দ্রব্য, জ্বালানি তেল, সুতা, লোহা, ওষুধ, খাদ্য, রাসায়নিক দ্রব্যসহ আরো অনেক কিছু। ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশের মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর, হংকং ও জাপানসহ আরো অনেক দেশ থেকেই বাংলাদেশ পণ্য আমাদানি করে থাকে।

দেশটির বহিঃঋণের পরিমাণ ২০০৮ সালের হিসাব অনুযায়ী ১৯ দশমিক ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বর্তমানে বাংলাদেশের রফতানি আয়ের তিন চতুর্থাংশেরও বেশি আসে পোশাক খাত থেকে। তাই দুই-তৃতীয়াংশ কৃষকের দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখন পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্বের পোশাক রফতানিতে ৪র্থ স্থানকারী দেশ হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ঘোষণা দেয়। পোশাক শিল্পে বর্তমানে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ কাজ করছে। যার মধ্যে ৯০ শতাংশই নারী। তাছাড়া বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার জোগানের দিক থেকে পোশাক শিল্পের অবদান অনেক।

দেশের একটি বৃহৎ নদী যমুনার ওপর দিয়ে গড়া যমুনা নদী দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কারণ এ সেতুটির মাধ্যমে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রতিবন্ধকতা হলো- সাইক্লোন, বন্যা, অদক্ষ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, অব্যবস্থনাময়ী বন্দর ব্যবস্থা, অকর্মক জনসংখ্যার বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ জ্বালানির অদক্ষ ব্যবহার, বিদ্যুতের স্বল্পতা, অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ধীরগতির বাস-বায়ন, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সর্বোপরি দুর্নীতি। বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল প্রতিবন্ধকতা হলো দুর্বল সরকারি ব্যবস্থাপনা ও অদক্ষ সরকারি প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশে মধ্যম শ্রেণীর (মিডল ক্লাস) জনগণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বে মধ্যম শ্রেণীর জনগণের দিক থেকে বাংলাদেশ ৫৪ তম। তবে দেশটির অভ্যন-রীণ ভোক্তার পরিমাণ বাড়ছে বলেই দেশটির অর্থনীতি ভালোভাবে চলছেও বটে।

তাছাড়া দেশটির বিদেশি বিনিয়োগ বেশ ভালো পরিমাণেই বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি ও বেশ কিছু বড় বড় দেশি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, আকিজ গ্রশুপ, ইস্পাহানি, নাভানা গ্রশুপ, হাবিব গ্রশুপ, ড্রাগন গ্রশুপ। তাছাড়া বহুজাতিক কোম্পানির মধ্যে ইউনোকল করপোরেশন ও শেভরন দেশের প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্রে বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে। ২০০৫ মালে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ করে, যাতে দেশের অর্থনীতি আরো প্রসারিত হয়। সরকার দেশে রপ্তানি প্রক্রিয়াককরণ অঞ্চল গড়ে তুলে রফতানিমুখী শিল্পের প্রসারের জন্য। যে অঞ্চলগুলো বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হয়।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ১৯৯০ সাল থেকে দেশটি গড়ে ৫ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি করে আসছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব বাংলাদেশে খুব একটা পড়েনি। তবে মন্দা অনেক স্থায়ী হলে তার প্রভাব এ দেশেও পড়ত বলে দেশের অর্থনীতিবিদরা মনে করেন। আর অর্থনীতির মেরুদণ্ড সোজা নাহ হলে যেমন জিডিপি বারবে নাহ তেমনি আমাদের উন্নতি ও হবে নাহ । আমাদের নেতারা ব্যাক্তিগত ঝাল ঝেরে তারা রাজনিতির মাঠ করে উত্যক্ত ।এসব বিষয় বাংলাদেশ থেকে কখনও পরিত্রাণ পাবে নাহ।তবুও স্বপ্ন দেখি দিন বদলের নয় নুতন দিনের নুতন আলর।কারন দিন বদলের পাপ যেন খামছে ধরেছে জাতির বেঁচে থাকার অস্তিত্ব ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৭

অলস পোলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । এমন তথ্যবহুল একটা পোষ্ট দেওয়ার জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.