নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মাঝে মিশে থাকতে চাই, তবে কিভাবে শুরু করব তা ভাবতেই অনেক সময় পেরিয়ে যায়। তাই, গান কবিতা এগুলোর আশ্রয় নিয়ে চলি নিজেকে আড়াল করে।

মায়াস্পর্শ

মনের বিপরীতে পার করে এসেছি সহস্রকাল, হঠাৎ এক উদ্ভ্রান্ত অবয়বে বেঁচে থাকি এপার ওপার।

মায়াস্পর্শ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ মুজিব কে সমালোচনার ঊর্ধ্বে না রাখা মানেই কি মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করা বা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি?

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:০৬

এই কথার কি আসলেই কোনো ভিত্তি আছে নাকি এটা শুধু মুজিব সমালোচকদের বিরুদ্ধে একটা নিকৃষ্ট অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় এ কে ৪৭ এর মতো? ইতিহাস জোর করে গেলানোর কোনো বস্তু নয় তা জানা সত্ত্বেও যখন জোর করে মুখে গুজিয়ে দিবেন তখন তা বের হয়ে আসবে একসময় এটা চিরন্তন সত্য. যারা শেখ মুজিব কে বাংলাদেশের স্বাধীনতার একক স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া হয়ে পড়েছিল তারা ফিরতিতে কি পেলো? একবুক ঘৃনা ছাড়া তাদের থলিতে আর কিছু জুটেনি, উল্টো যদি তাদের কে সে সময়কার নৌবাহিনীর লেফটেনেন্ট মোয়াজ্জেমের নাম বলি সবাই হা করে চেয়ে থাকবে এবং সেটাই সাভাবিক।
আমি ইতিহাস আলোচনা করতে আসিনি শুধু বলতে এসেছি শুধুমাত্র মুজিব কে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিচার করতে আসবেন না এতে আপনারা আরো তলানিতে যেয়ে পৌঁছাবেন। এক মুজিবকে জেনে যদি বাংলাদেশ কে জানা যেত তবে কি আপনারা জাতির অন্যান্য সূর্য সন্তানদের সাথে চরম বিশ্বাস ঘাতকতা করে নিজেদের পেট চালিয়েছেন এতদিন? যেই মুক্তিযুদ্ধের সাথে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের সর্বাত্মক চেষ্টা জড়িয়ে রয়েছে তাদের অবদানগুলো সামনে আসার সুযোগ পায়নি একক মুজিবকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করার জন্য।

শেষমেশ একটা চরম সত্য তিতা কথা বলি, দেশ রক্ষার জন্য শেখ মুজিব জীবন দেয়নি, দেশ রক্ষার তাগিদে তার জীবন নেওয়া হয়েছিল এবং তা ছাড়া কোন উপায় ছিলো না। তার জীবন যুদ্ধের ৯ মাস একদম সুরক্ষিত ছিল পাকিস্তানে। দেশে ফিরে তার প্রথম আবদার ছিল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার, এটা আমার কথা নয় তাজউদ্দীনের কথা। এমন কি তিনি শুনতেও চায়নি এই নয়মাস কি করে কি হলো, ক্ষমতা চেয়েছিলেন এবং পেয়েও ছিলেন, হয়ে উঠেছিলেন ভয়ংকর স্বৈরাচার এবং এর পরিণতিতে পেয়েছিলেন মৃত্যু।
মানুষ একবার স্বাধীনতার সাধ পেয়ে গেলে তাকে আবার পরাধীন করা বেশ কষ্টকর, তাই হয়তো মুজিবের মৃত্যু হয়েছিল।
মুজিবকে মুজিবের জায়গায় রাখেন মুক্তিযুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধের মতো থাকতে দেন, মুক্তিযুদ্ধের হাজার উপাদানগুলোর মধ্যে মুজিব একটি উপাদান মাত্র।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৫:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেয়ালে একটা পেরেক লাগাতে গেলে বেশ কয়েকটা হাতুড়ির বাড়ির দরকার পড়ে। পেরেককে জায়গামতো ঢুকাতে প্রতিটা বাড়িরই অবদান থাকে। কিন্তু আম্লীগরে লোকজনের ধারনা সব অবদান একমাত্র শেষের বাড়িটার!!!! =p~

অ্যা বাঞ্চ অফ ইডিয়েটস!!!

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৩৬

মায়াস্পর্শ বলেছেন: এতকালের মিথ্যা চেষ্টা অবশেষে প্রসাব দিয়ে ধুয়ে দিল।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:১০

প্রহররাজা বলেছেন: রাজাকার শব্দটাকে কৌশলে মহিমান্বিত করা হয়েছে।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

মায়াস্পর্শ বলেছেন: তাই নাকি? এই তত্ত্ব /তথ্য কই পেলেন, সাবেক হাসাও মাহমুদের কাছে?

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মায়াস্পর্শ,



মন্তব্য প্রকাশ করার পর দেখছি " বেশি " শব্দটি পাল্টে " এসি" হয়ে গেছে। তাই অনুগ্রহ করে আগের মন্তব্যটি মুছে দিন।
হবে এই মন্তব্যটির মতোন-

জোর করে বেশি বেশি গেলাতে গেলে যেমন বমি করে দেয় সবাই, তেমনি আওয়ামী চেতনা জোর করে বেশি বেশি গেলাতে গিয়ে পুরো দেশটার জনগণ এখন বমি করে ভাসিয়ে দিচ্ছে আওয়ামী তখত!!!!!!!

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৪০

মায়াস্পর্শ বলেছেন: আমিতো দেখলাম প্রসাব করে দিচ্ছে কেউ কেউ।

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৩১

ধুলো মেঘ বলেছেন: পিনাকি ভট্টাচার্যের লেটেস্ট ভিডিও যেটা গতকাল আপডেট হয়েছে, সেটা দেখার পর আমি স্তম্ভিত। শেখ মুজিব দেশে এসে জানতেও পারেননি যে গেল দশ মাস এই দেশমাতা কি অসহ্য প্রসব যন্ত্রণা ভোগ করেছে। এমনকি তিনি জানতেও চাননি। তাঁর চারপাশ অন্ধকার করে থাকা ঘেঁটুরা প্রকৃত ম্মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কাছেও ঘেঁষতে দেয়নি। তাই মুক্তিযোদ্ধাদেরকে দেশের কাজে লাগানোর চেয়ে তিনি বরং তাদের বিনাশ সাধনেই বেশি মনযোগী ছিলেন। এরকম পিশাচ চরিত্রের একটা বর্বর লোককে এতদিন আমাদেরকে জোর করে শ্রদ্ধা করতে হতো।

শেখ মুজিবের মূর্তি জুতা দিয়ে পেটানো অথবা মাথায় পেশাব করে দেওয়া দেখে মনে হচ্ছিল যে এটা অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তারা কমই করেছে। শেখ মুজিব দেশের যত ক্ষতি করেছে, তার প্রতিকার হবে যদি তাঁর প্রতিটি ভক্তকে ৩২ নং বাড়ির সামনে ন্যাংটা করে কানে ধরে উঠবস করানো যায়।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৪৭

মায়াস্পর্শ বলেছেন: পিনাকি আলাদা একটা মাল। উনার এনালাইসিস করার ক্ষমতা ভিন্ন লেভেলের। ব্লগের কিছু বাচ্চারা কয়েকদিন উনাকে নিয়ে কি কি জানি বলাবলি করল। বুঝলাম এরা মতিভ্রম হয়ে এরকম করছে।

শেখ মুজিব দেশের যত ক্ষতি করেছে, তার প্রতিকার হবে যদি তাঁর প্রতিটি ভক্তকে ৩২ নং বাড়ির সামনে ন্যাংটা করে কানে ধরে উঠবস করানো যায়।
এরা সারাজীবন অমানুষ এ থেকে যাবে, ইতিহাস এখন এদের সামনে উন্মুক্ত, এরা শুধু নিজের অহমিকার কারনে সত্য স্বীকার করে না।

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি দল আওয়ামীলীগের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি। উনি ছিলেন শুধু দলের নেতা। অথচ ওনার উচিত ছিল দলের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জাতির নেতা হওয়া। যে কারণে সব দল বন্ধ করে একদল বাকশাল (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগ) গঠন করে উনি এক নায়ক হওয়ার চেষ্টা করেন। অথচ ঐ সময় আওয়ামীলীগ এবং সরকারী আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীগুলি সবচেয়ে বেশী হত্যা, নির্যাতন, লুটপাট করেছে। উনি নিজেই বলেছেন যে তার চার পাশে শুধু চাটার দল। সবাই পায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি। ওনার চার পাশে তো আওয়ামীলীগের নেতারাই ছিল। প্রায় ৩০ হাজার জাসদ কর্মীকে হত্যা করেছিল রক্ষীবাহিনী।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৫১

মায়াস্পর্শ বলেছেন: সবাই পায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি।
উনি চোরের সাথেই বেশি কম্ফোর্ট ফিল করতেন সম্ভবত, তাই চোরের খনি পেয়েছিলেন।

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩

স্বাধীন বাংলার পরাধীনতা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে, মুজিব আর আওয়ামী লীগের যা অর্জন ছিল, হাসিনা আর হাসিনার আওয়ামী লীগ সম্মিলিত ভাবে তাতে কালিমা লেপন করেছে।

সেই কালি এতটাই কালো যে, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট মুজিব হত্যকেও বিপ্লব হিসেবে আমরা বিনা বাক্য ব্যায়ে মেনে নিচ্ছি আসলে মেনে না নিয়ে কিছু বলার সুযোগ হাসিনা রেখে যায় নি। জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা ও হয়তো কারো কারো কাছে বিপ্লব হতে পারে। হাসিনা মুজিব কে অপব্যবহার করেছে বিধায় শেখ মুজিবকে নতুন ভাবে বর্ননা করা অপ্রয়োজনীয় ও প্রতিহিংসামূলক মনে হয়েছে আমার কাছে।

শেখ মুজিব যেমন ই থাক, খন্দকার মোশতাক কিংবা মেজর ডালিম রা কখনোই হিরো ছিল না। মেজর ডালিম কে যদি কারো হিরো মনে হয়, তাহলে তার অন্য কোনো ইস্যু আছে।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৫৯

মায়াস্পর্শ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে, মুজিব আর আওয়ামী লীগের যা অর্জন ছিল, হাসিনা আর হাসিনার আওয়ামী লীগ সম্মিলিত ভাবে তাতে কালিমা লেপন করেছে।
মুজিব নিজেই নিজের মৃত্যুকে সপরিবারে দাওয়াত দিয়েছিলেন তার বাকশালের মাধ্যমে। ১৫ এর পর মানুষ মিস্টি বিতরন করেছিল কোন দুঃখে?

খন্দকার মোশতাক কিংবা মেজর ডালিম রা কখনোই হিরো ছিল না
কেউ বলেওনি যে তারা হিরো, তবে মানুষ তাদের জন্য মন থেকে যে পরিমান দোয়া করেছিল তা মুজিবের উরশের ল্যাটকা খিচুরি খেয়েও কেউ কোনদিন করে নি।

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাজউদ্দীনের মত নির্লোভ এবং মেধাবীকে ওনার পছন্দ হয় নাই। তাকে দায়িত্ব থেকে দূরে সরিয়ে দেন। ওনার পছন্দ হয়েছিল খন্দকার মুস্তাককে। ফলও পেয়েছিলেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০৫

মায়াস্পর্শ বলেছেন: তাজউদ্দীনের মত নির্লোভ এবং মেধাবীকে ওনার পছন্দ হয় নাই। তাকে দায়িত্ব থেকে দূরে সরিয়ে দেন। ওনার পছন্দ হয়েছিল খন্দকার মুস্তাককে। ফলও পেয়েছিলেন।
কস্ট লাগে তাজঊদ্দীন সাহেবের এমন পরিনতির জন্য। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদৌস দান করুন।

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:১২

করুণাধারা বলেছেন: আপনার চরম তিতা কথাটা অনেকেরই ভালো লাগবে না, কারণ এটা ভাঙিয়ে অনেক কিছু লাভ করেছেন তারা। কিন্তু এটাই পরম সত্য। তিনি শুধু একটা ডাক দিয়ে নিজের জান বাঁচাতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এদেশের স্বাধীনতা এনেছে দেশের সাধারন জনগণ।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:২৫

মায়াস্পর্শ বলেছেন: যাদের ভালো লাগবে না তারা নিশ্চয় কোন যুক্তি দিতে চাইবেন। তাদের ওসব যুক্তি এখন কেউ গ্রাহ্য করে না এবং করবেও না।
আবারও প্রমান হল জনতার জয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.