![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এনিমের ভক্ত, টিভি সিরিজ দেখি, মুভিও দেখি। আর ক্রিকেটের পাগল ভক্ত। ভাল লাগে ঘুরাঘুরি করতেও।
"Are you enjoying the time of eve?"
কিছু গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। হলিউড মুভির গল্প না; একেবারে নিখাদ বাস্তব জীবনে ঘটতে থাকা কিছু গল্প। জাপানের চুকিও ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক কিছু বাচ্চাকাচ্চা রোবট বানিয়েছেন। এই রোবটগুলো একেবারে মানুষের বাচ্চার মতন; হাসে, কাঁদে ঘুমায়ে যায়। ওল্ড হোমে থাকা নিঃসঙ্গ মানুষগুলোকে একটু সময় কাটানোর সুযোগ করে দিতেই এই প্রজেক্টের উদ্ভব। ওদিকে টেরাসেম মুভমেন্ট নামে একটা সংগঠন মানুষের স্মৃতি, ব্যাক্তিত্ত, আবেগ - এগুলো রোবটের মধ্যে জমায়ে রাখার কাজ শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। আবার হোন্ডা বানাচ্ছে হাটতে চলতে সিড়ি বাইতে পারে এমন রোবট।
এতো গেল গায়ে গতরে খাটানো যায় এমন রোবট নিয়ে প্যাচাল। টেক্সাস অস্টিন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা রীতিমত কম্পিউটারকে স্কিতজোফ্রেনিকই বানিয়ে ছেড়েছেন। আর জর্জিয়া টেক স্কুলের রোনাল্ড আরকিন তো বানিয়েছেন মিথ্যেবাদী রোবট। এই রোবটে মিথ্যে আগে থেকে প্রোগ্রাম করা থাকে না; সে নিজে নিজেই পরিবেশ দেখে মিথ্যে বলাটা আয়ত্ব করে নেয় !!!
জি হ্যা; এতক্ষণে বোধহয় এতো রোবট আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কচকচানির উদ্দেশ্য বুঝে যাবার কথা। যে মুভিটা নিয়ে লিখতে বসেছি সেটা মানুষ, রোবট আর মনুষ্যত্ব, বুদ্ধিমত্তা - এইসব কনসেপ্টকে নিয়েই বানানো।
দেখলাম "Time of eve". ১০৬ মিনিটের এই মুভির সেটিংস নিকট ভবিষ্যতে; যেখানে মানুষ এবং হিউম্যানয়েড রোবট "এন্ড্রয়েড" এর পাশাপাশি সহাবস্থান। বাস্তবের রোবটরা না করলেও গল্প সিনেমার বেশিরভাগ রোবটই আসিমভ সাহেবের তিনটে সুত্রই মেনে চলে; এখানেও তার ব্যাতিক্রম নয়। তবে সেখানে একটা "কিন্তু" থেকে যায়। আসিমভের ল গুলোতে "রোবট তাকে দেওয়া আদেশের বাইরে কিছু করা যাবে না" কিংবা "রোবট মিথ্যে বলতে পারবে না" এই ধরণের কোন বাইলজ নেই। আমাদের এই গল্পে বেশিরভাগ মানুষই রোবটকে "শুধু মেশিন" হিসেবে দেখে যেভাবে ট্রিট করার কথা - স্বার্থপর, ঠান্ডা এবং নিষ্ঠুর - সেভাবেই ট্রিট করে। কিন্তু এর মাঝেও কিছু কিছু মানুষ থাকে; যারা আসলে "শুধু মেশিন" এর ধারণার বাইরে গিয়ে এন্ড্রয়েডদের আলাদা "সত্ত্বা" হিসেবে দেখার চেষ্টা করে; বোঝার চেষ্টা করে। কিন্তু কেন? রোবটদেরকে অধিক বুদ্ধিমত্তা দিলে সেটা কি মানবজাতির জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে না অভিশাপ? একটা খেলনা গাড়ির প্রতিও কিছুদিন পরে একটা মায়া, একটা ভালোবাসা জন্মে যায়; সেখানে একটা বাচ্চাকে লালন পালনের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোন রোবটের হাতে ছেড়ে দিলে সম্পর্কটা কি হতে পারে? মানবিক আবেগ কি শুধু মানুষের করায়ত্ত থাকবে? মানুষ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটা সত্ত্বার সাথে মানবিক আবেগের সম্পর্কের মাত্রাটা কি হবে? এ ধরণের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে মুভিটিতে।
মুভিটা দেখার সময় আমার বার বার যে কথাটা মনে হয়েছে সেটা হল "স্নিগ্ধ"। মুভিটার সেটিং সিম্পল, আমাদের বর্তমান পৃথিবীর সাথে সমান্তরাল, কিন্তু তার মাঝেও খুব সূক্ষ্ম একটা পার্থক্য আছে; যেটা মুভির অদেখা কিন্তু সম্ভাব্য ভবিষ্যতে প্লট সাজাতে সাহায্য করে। চরিত্র রুপায়ন, তাদের চলাফেরা, চারপাশের পরিবেশ এতটাই বাস্তবের সাথে মিল যে খুব সহজেই নিজের চেনাজানা জগতের সাথে মিলিয়ে ফেলতে পারবেন। কিন্তু তার মাঝেই, এই এত শত বাস্তবতার ভীড়েও ফুটপাথের বিষণ্ণ ছায়ায় কি যেন লুকনো রহস্য কিংবা উজ্জ্বল সূর্যালোকে ঝলমলে কিন্তু প্রাণহীন শহরের পথ অথবা ধূসর বাদামী আবহ অনিশ্চিত এক ভবিষ্যতেরই ইঙ্গিত দেয় যেন !!
চরিত্র, গল্প অথবা সাউন্ডট্র্যাক - কোন কিছুই নিয়েই আর আলাদা করে তেমন কিছু একটা বলার নেই আসলে। শুধু এইটুকু প্রমিজ করতে পারি মুভিটা দেখা শুরু করলে সবকিছু ভুলে গিয়ে কোন দিক দিয়ে সময়টা পার হয়ে যাবে টেরই পাবেন না !
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:১৭
মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: হুম দেখে ফেলুন। পস্তাবেন না আশা করি !
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৪০
ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা" বলে কিছু নাই, পুরাপুরি romantic একটা বিষয়, এইটা বাস্তবে কন্দিন হবে না , সুতারং আশীর্বাদ না অভিশাপ , এই ধরনের আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক,মুভি উপভোগ করুন!!
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:১৯
মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা ঠিক বুঝতে পারলাম না। আরেকটু ব্যাখ্যা করে বলবেন কি?
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৩৩
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: গল্পে অভিশাপ হইতে পারে বাস্তবে আশীর্বাদই হবে
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩
মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: দেখা যাক ! লেখায় যে মিথ্যেবাদী রোবটের কথা বলেছি; সেই গবেষণায় ফান্ডিং করতেসে যে অনুমান করুন তো?
- জি হ্যা; আমেরিকান আর্মি (খুব সম্ভবত নেভি); এবং এর টার্গেটই হবে শত্রুপক্ষকে ডিসিভ করা।
সুতরাং; কতটুকু আশীর্বাদ বয়ে আনবে সেটা হয়ত সময়েই বলে দেবে !
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০২
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার রিভিউ হয়েছে। দেখার ইচ্ছে হল।
কিন্তু ইংরেজি হলে ভাল হতো। ভিন্নদেশী ছবিগুলো দেখতে সময় বেশী লাগে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হয়ত হতে পারে; কিন্তু একবার দেখে কিছুটা অভ্যাস করে ফেললে আর তেমন সমস্যা হবে না আশা করি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হুম দেখব। ইদানিং দেখলাম 'এক্স মেশিনা'- এই মুভিটাও বেশ।