নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল লাগে এনিম দেখতে। আর তা নিয়ে লেখালেখি করতে।

মোঃ আসিফুল হক

এনিমের ভক্ত, টিভি সিরিজ দেখি, মুভিও দেখি। আর ক্রিকেটের পাগল ভক্ত। ভাল লাগে ঘুরাঘুরি করতেও।

মোঃ আসিফুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিভাবে "বুদ্ধিজীবী" ভেক ধরবেন...

০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৩০

বন্ধুরা যখন নিহিলিজম আর আন্থনি হপকিন্স এর মতন টপিকস নিয়া আলাপ করতে থাকে; তখন ইতিউতি চাইতে চাইতে ক্লান্ত? বন্ধুরা যখন "শক্তির বিকেন্দ্রীকরন" নিয়া আলাপ করে তখন কি আপনার মনে শুধু "শক্তিমান" এর চেহারা ভাইসা উঠে? সিরিয়াস কিছু নিয়া আলাপের মাঝে চৈদ্দবার টপিক্স বদলাইতে বদলাইতে কি আপনি বিরক্ত?

ওকে; আর চিন্তা নাই। আপনার জন্য আজকে থাকতেছে সিম্পল কিছু স্টেপ; যেগুলা ফলো কইরা আপ্নিও হইয়া যাইতে পারেন বুদ্ধিজীবী !! :D



১) রিমেম্বার দা ম্যাজিক ওয়ার্ড - "ডিপেন্ডস"।

যখনই কোন অজানা বিষয়ে কেউ আপ্নারে প্রশ্ন করবে; চোখ মুখ কুঁচকাইয়া জবাব দিবেন - "আসলে ব্যাপারটা অনেক কিছুর উপরে ডিপেন্ড করে"।

"ডিপেন্ডস" বলার অর্থ হইল আপনি আসলে বিষয়টা নানা এঙ্গেলে নানানভাবে বিবেচনা করতেসেন। তবে ভুলেও এঙ্গেলগুলা আবার বলতে যাইয়েন না। মনে রাখবেন; বুদ্ধিজীবীরা প্রেশার না দিলে তাদের বুদ্ধি মাগ্না বিলায় না। খালি ডিপেন্ডস কইয়া অন্য দিকে চাইয়া থাকবেন।



২) "অসারাসা" ফর্মুলাঃ

আলোচনায় দৃষ্টিকোণ খুইজা না পাইলে চাইরটা ভারী ভারী শব্দ মাথায় রাখবেন - (অ)র্থনৈতিক, (সা)মাজিক, (রা)জনৈতিকএবং (সা)ংস্কৃতিক। মনে রাখবেন, যেই কোন টপিকসই এই চাইর ধরণের দৃষ্টিকোণ থেইকা দেখা যায়। আর এদের দুইটা বা তিনটা কইরা পারমুটেশন কম্বিনেশন নিতারলে আরও ভাল; যেমন - আর্থ-সামাজিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক। তবে সিম্পলের মধ্যেই রাইখেন; বেশি প্যাচাইয়েন না।

বাক্যে প্রয়োগে উদাহরণঃ

"আসলে ব্যাপারটা অনেকগুলা আর্থ-সামাজিক সুচক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর ডিপেন্ড করে"



- দেখসেন? কি সুন্দর মেধা ঠিকরায় ঠিকরায় বাইরাইতেসে? সহজ না? :D



৩) মার্ক্স ভাঙ্গানিঃ নেটে সার্চ দিলে কার্ল মার্কস এর মেলা উক্তি পাইবেন; দাড়ি কমা শুদ্ধা মুখস্ত কইরা ফেলবেন। তারপর সময় সুযোগ মতন খালি ডেলিভারি দিবেন। মার্ক্সের উক্তি কোট করা মানে আপনি আল্টিমেট বুদ্ধিজীবী। তবে একটু সাবধানে থাইকেন, সার্চ দিতে গিয়া কার্ল মারক্সের উক্তির জায়গায় গ্রাউচো মার্ক্স এর উক্তি বাইর কইরেন না; তাইলে আপনার আর্থ- বুদ্ধিজীবি অবস্থান ভাল বিপদে পইড়া যাইতে পারে ! (পারমুটেশনটা খেয়াল করসেন? :D )



৪) হাসিঃ বিশাল গুরুত্বপূর্ণ। যখন কোণ একটা তর্কাতর্কির মইদ্ধে আছেন এবং অপনেন্টের কথার উত্তর দিতে পারতেসেন না; হাসি দেন একটা সুইট করে। যখন আপনার অপজিশন পাগলের মতন তার যুক্তি ব্যাক্ষা করতেসে তখন তখন খালি তার দিকে তাকায় হাসেন আর মাথা এইপাশ ওইপাশে নাড়তে থাকেন। এর দ্বারা আসলে প্রমাণ হয় আপনি আগে থেকেই জানেন আপনার অপনেন্ট কি বলতে চাইতেসে এবং তার যুক্তি আসলে ভুল; আপনি তার অজ্ঞানতা নিয়া হাসতেসেন ! হাসির ক্ষেত্রে প্রথম চয়েস হইতারে শারুক্ষানের "আমি জানি আমি দ্যাখতে ভুদাইয়ের মতন; কিন্তু আমি কিউট" হাসি।







৫) ইমার্জেন্সি এক্সিটঃ যদি কোন কিছুতেই কাজ না হয়; তাইলে ইমার্জেন্সি এক্সিট ইউজ করেন। অপনেন্টরে তার বক্তব্য শেষ করতে দেন। একটু চুপ কইরা থাকেন। তারপরে লম্বা কইরা একটা শ্বাস নিয়া বলেন, "আপনি যদি এই একমুখী চিন্তা নিয়াই পইড়া থাকতে চান; তাইলে তো আর আমার কিছু বইলা লাভ নাই; তাই না?" তারপর দাড়ায়ে হাত ঝাড়তে ঝাড়তে হাইটা চইলা যান। খবরদার পিছনে ফিরা তাকাইবেন না।

আরেকটা বন্ধু গ্রুপ খুইজা বাইর করেন, তারপর এই প্রসেসগুলা রিপিট করেন।



ব্যাস, আজকের ক্লাস এইখানেই কমপ্লিট ! তো এই সিম্পল রুলগুলা ফলো করা শুরু করেন আর হইয়া যান বুদ্ধিজীবী !! :D :D

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা চমৎকার উপদেশ =p~ =p~

২৮ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.