নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল লাগে এনিম দেখতে। আর তা নিয়ে লেখালেখি করতে।

মোঃ আসিফুল হক

এনিমের ভক্ত, টিভি সিরিজ দেখি, মুভিও দেখি। আর ক্রিকেটের পাগল ভক্ত। ভাল লাগে ঘুরাঘুরি করতেও।

মোঃ আসিফুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

Working! - এনিম রিয়েকশন

২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭



প্রথমেই দুইটা জোক্সঃ

১) There are two types of people in this world:… Those who can extrapolate from incomplete data.
২) A Roman walks into a bar, holds up two fingers, and says: "Five beers, please."

কি বললেন? একটুও হাসি আসে নাই? জানেন, আমারও না। কিন্তু আমার এক বন্ধু আছে; সে এই জোকসগুলায় হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাইসে। :/
কথা হইল; সেই আজাইরা প্যাচাল এইখানে ক্যান? কারণ হইল কমেডি ট্যাগওয়ালা একখান সিরিজ দেখসি। আর হাসি জিনিসটা বড়ই অদ্ভুত; কার যে কিসে হাসি আসবে বোঝা বড় মুশকিল !! যেই যেই এলিমেন্টে হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে আসার কথা; বেশিরভাগ জায়গায় উলটা ক্যান জানি বরং মেজাজ খারাপ হইসে। চোখ মুখ কুচকায়ে স্ক্রিনের দিকে তাকায় মনে মনে ভাবসি, "huai man, huai?" -_-

সিরিজটার নাম ওয়ার্কিং। উপরের বর্ণনা শুইনা মনে হইতে পারে আমি বুঝি সিরিজটায় মহা বিরক্ত; ব্যাপারটা আসলে তেমন না। ঘটনা ভাইঙ্গা বলি তাইলে। নায়ক তাকানাশি আর নায়িকা ইনামি। সমস্যা হইল এই ইনামিরে নিয়া। এতো বৈচিত্র্যহীন আর মনোটোনাস ক্যারেকটার !! অথচ স্ক্রিনটাইম পাইসে সে-ই সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে সাতৌ বা ইয়ামাদার মতন ইন্টারেস্টিং ক্যারেকটার অর্ধেক জায়গাও পায় নাই।

সিরিজের সেটিং একটা ফ্যামিলি রেস্টুরেন্টে কাজ করা কিছু মানুষ এর ডে-টু-ডে লাইফ নিয়া। এদের একেকজনের একেক রকম উদ্ভট সমস্যা আছে; ভাললাগা আছে। সেইগুলা নিয়াই কমেডি দিয়া চালানো সিরিজ। কোন এনিমেরই কাহিনী সংক্ষেপ বলতেও ভাল লাগে না; শুনতেও মনে হয় না কারো ভাল লাগার কথা। দেখলেই কাহিনী বুইঝা যাবেন; অথবা না-ও যাইতে পারেন; কারণ কাহিনী থাকলে তো বুঝবেন !!





এইবার চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রথম রিয়েকশনঃ নায়িকাডা এতো এনয়িং না হইলেই হইত। ওভারঅল - মজাই আছে। হাল্কা ধরণের জিনিস। মাঝখানে রোমান্টিক কিছু পার্ট ঢুকানোর চেষ্টা করসে; বেহুদা। কিছুই হয় নাই। ১৩ পর্ব শেষ কইরা সেই রোমান্স ঘুইরা ফিরা সেইম জায়গাতেই ফেরত আসছে। -_-
ক্যারেকটার ডিজাইন ভাল; এটলিস্ট একজন থেইকা আরকজনরে আলাদা করতে পেইন হয় না।
এনিমেশন ভাল; সাউন্ডট্র্যাক চলে।
ক্যারেকটার এর ব্যাকগ্রাউন্ড স্টোরি মোর ওর লেস ব্যাখ্যা করার ট্রাই করসে; সো ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টে ভাল মার্ক্স। :D
কিছু কিছু জোকস মাঝে মাঝেই ওভারইউজড; ভ্যারিয়েশন কম। এক টপিকস নিয়ে চাইলে অনেক রকম জোকসই করা যাইত, সেইদিকে কিছু মার্ক্স কাটা। :/
ভয়েস এক্টিং এর ব্যাপারে আমার আইডিয়া খুবই কম; তবে শুনে মনে হইল ভাল পাবলিকরাই ভয়েস দিসে। শুইনা ভাল লাগে। :D

তো ইন শর্ট; ইনামির পেইনগুলা বাদ দিলে এঞ্জয়েবল। স্লাইস অফ লাইফ কমেডি ঘরানার সিরিজ পছন্দ করা লোকজনের জন্য অবশ্যই রিকমেন্ডেড; আর বাকিদের জন্য "দেখতে ইচ্ছে হইলে দেখেন, না হইলে থাকুক।"


মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভালো লিখছেন। রেকমেন্ডেড

২৮ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.