নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কেবলই ফুরিয়ে যায়।

মোঃ মাইদুল সরকার

একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............

মোঃ মাইদুল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নভোনীল (পর্ব-১২)

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৮



নভোনীল-১

রিম সাবরিনা জাহান সরকারের অসম্পূর্ণ গল্প নভোনীল এর দ্বিতীয় পর্ব
নভোনীল (তৃতীয় পর্ব)

নভোনীল এর চতুর্থ পর্ব ....

নভোনীল-৫
নভোনীল-৬
নভোনীল পর্ব - ৭
নভোনীল পর্ব- ৮ ( রিম সাবরিনা জাহান সরকারের অসম্পূর্ণ গল্পের ধারাবাহিকতায়)
নভোনীল নবম পর্ব
নভোনীল পর্ব-১০ ( রিম সাবরিনা জাহান সরকারের অসম্পূর্ণ গল্পের ধারাবাহিকতায়)
নভোনীল-১১ (রিম সাবরিনা জাহান সরকারের অসম্পূর্ণ গল্পের ধারাবাহিকতায়)



শিক্ষা সফর থেকে ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যায় নভো-মৃন্ময়ীদের। বিদায় নিয়ে যে যার বাসায় চলে যায়। নভো যখন বিদায় নিচ্ছে মৃন্ময়ী তখন বনলতা সেনের মত চোখ তুলে বলেছিল-

এত অল্প দিনের আয়ু কেন দিলে তুমি বিধি
লক্ষ যুগের আয়ু আমায় দিতে তুমি যদি
নভোকে আমার আমি বারেবার ভালবেসে যেতাম নিরবধি.......।

নভো তার বেত ফলের মত ম্লান দুটি চোখের দৃষ্টিতে সহজেই পড়ে নিয়েছিল মৃন্ময়ীর চোখের ভাষা। তারপর বড় করে চোখের পলক ফেলে হাত নেড়ে চলে গিয়েছিল আলো-আধারীর পথ ধরে সামনের দিকে।

বাসায় ফিরে দ্রুত জমা-কাপড় বদলে, হাত-মুখ ধুয়ে কিছুটা সতেজ হয়ে সামান্য খেয়ে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিয়েছে ঘুমের আশায়। কিন্তু ঘুমের পরিবর্তে মহাস্থানগড়ের স্মৃতিগুলোই যেন জোনাকির মত বার বার জ্বলে আর নিভে। রাতে শুয়ে শুয়ে এসব এলোমেলো ভাবনার অতলে ডুবে গিয়ে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে তা বলতে পারবেনা। ঘুম ভাঙ্গে সকালে । আজ আর ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার ঝামেলা নেই। শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা নভো কখন ছবিগুলো পাঠাবে।

বিকেলে ছাদে উঠে মরে যাওয়া রোদের আলোয় দূরের আকাশে একটা চিলকে উড়তে দেখে ভাবতে লাগলো জীবনানন্দ দাশের সোনালী ডানার চিল কি এটাই নাকি? ইস! যদি একটা কবিতা লিখা যেত তবে বেশ হতো।

সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে আসে পৃথিবীতে। শিশিরের শব্দের মত চিল তার রোদের গন্ধ মুছে ফেলে ডানা থেকে। কিন্তু নভো যেন মৃন্ময়ীর হৃদয়ের গভীর থেকে গভীরে শিকড় গাড়ছে। পৃথিবীতে অপেক্ষার মত অসয্য কষ্ট মনে হয় আর কিছু নেই। তাইতো এই তরুনীর আজ কোন কিছুই ভাল লাগছেনা।

রাত তার রহস্যের চাঁদরে ধরনীকে মুড়ে দিচ্ছে আর ঠিক তখনই মৃন্ময়ীর কাছে খামটা এলো। কে দিয়ে গেল, কখন দিয়ে গেল এসব ভাবার তার সময় নেই। সে তার ও নভোর ছবি দেখতে অস্থির। নিজের রুমের দড়জা বন্ধ করে বিছায় উপুর হয়ে সিনেমার নায়িকার মত ভাব নিয়ে খাম এর মুখ ছিড়ে ফেললো। মুখে ফুটে উঠেছে লাজের আভা। কিন্তু পরক্ষণেই তা বদলে গিয়ে ক্রোধে হয়ে উঠলো ফণীনির মত। চোখ স্থির হয়ে আছে ছবিগুলোর দিকে, দৃষ্টিতে অবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট।

নভোর সাথে ঘনিষ্ট হয়ে আছে দুটি তরুনী, তথচ সেখানে থাকার কথা চিল মৃন্ময়ীর। সব কিছু ভুলে নভোর জন্য মনে সৃষ্ট হতে লাগলো ঘৃণা। ঝড় উঠেছে, তুমুল ঝড়। বাহিরে দেখে সে ঝড় দেখার উপায় নেই।

এক সপ্তাহ হয়ে গেল নভো দেখা পাচ্ছেনা মৃন্ময়ীর। সে ভেবে পেলনা কি হয়েছে মৃন্ময়ীর। অসুস্থ, দুর্ঘটনা.....। না আর ভাবতে পারছেনা সে। অজানা একটা আতঙ্ক যেন গ্রাস করেছে নভোকে।

নভো গতকাল গিয়েছিল মৃন্ময়ীদের বাসায় কিন্তু বাসায় তখন কেউ ছিলনা। তাই বাধ্য হয়ে কিছু না জেনেই ফিরে আসতে হয়েছে তাকে। মনকে প্রবোধ দিয়েছে এই বলে যে-যা কছিুই ঘটুক মৃন্ময়ী ভাল আছে।

আজকে ইউনিভার্সিতে নভোর সাথে মৃন্ময়ীর দেখা হলো। নভো বেশ উৎফুল্ল নিয়ে মৃন্ময়ীকে জিজ্ঞেস করল- কোথায় ডুব দিয়েছ। ইউনিভার্সিতে নেই, বাসাতে নেই, ছিলে কোথায়?

মৃন্ময়ী নভোকে দেখে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখালো না। শুধু শুখনা মুখে বলল-আছি নিজের মধ্যে।

নভো-মুড অফ কেন ?

মৃন্ময়ী চুপ।

নভো-কথা বলছনা কেন ?

মৃন্ময়ী তবুও চুপ।

নভো-সমস্যাটা কি ?

মৃন্ময়ী যেন এবার ফেটে পড়লো রাগে। বললো-জানোনা সমস্যা কি? লজ্জা করে না বলতে। যাদের সাথে শ্রীকৃষ্ণ সেজে ছবি তুলেছ তারা কোথায়? তাদের নিয়েই থাকো। আমাকে খুঁজছ কেন।

নভো যেন আকাশ থেকে পড়ল। আমি ছবি উঠিয়েছি অন্য মেয়ের সাথে তাও আবার ঘনিষ্ট হয়ে এ কথা তুমি বলতে পারলে ?

মৃন্ময়ী-হ্যা পেরেছি। কারণ চোখে না দেখলে আমিও বিশ্বাস করতাম না। ছবিগুলোইতো প্রমাণ।

নভো-নিশ্চয় কোথাও ঘাপলা আছে ? কি হয়েছে আমি জানিনা। তবে ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবো। আছে তোমার কাছে ওগুলো। বিশ্বাস করো ওখানেতো আমরা ছাড়া আর কারো ছবি তুলিনি। তাহলে....।

মৃন্ময়ী-না এখানে নেই। বাসায় আছে। কাল দেখাতে পারবো।

মৃন্ময়ীর রাগী ভাবটা একটু কমেছে। কোথাও কোন গোলমাল আছে এই বিষয়টা তার মাথায়ও এসেছে। বিকেলে দুজন মিলে ছবি নিয়ে বসলো।

নভো-ছবিগুলো কে দিয়েছে তোমাকে ?

মৃন্ময়ী-কেন, তোমারইতো পাঠানোর কথা ছিল, তুমি পাঠিয়েছো।


নভো-কথা থাকলেও আমি পাঠাইনি। কারণ নিজের হাতে দিবে বলে ব্যাগে রেখে দিয়েছি। এই বলে ব্যাগ থেকে প্যাকেট বের করে ছবি বের করলো।

মৃন্ময়ী-ছবি দেখে তার মনের আকাশে ঘনিয়ে আশা ঘন আধার মেঘ কেটে গেল। তাহলে ঐ মেয়ে দুটির সাথে তোমার ছবি এল কি করে।

নভো-আগের ছবিগুলো খুটিয়ে দেখে বলল-যেমন করে ছবিগুলো তোমার হাতে এলো , তেমনি আমাকে ওখানে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

মৃন্ময়ী-উফ! প্রতারণা। শ্রেফ প্রতারণা।

নভো-ঠিক তাই। দেখো ছবির নভোর মাথার সাথে শরীরের অসামঞ্জতা রয়েছে। শরীর এর গঠন অনেক মোটা আর গলা থেকে মাথাটার দিকটা অন্যরকম। বুঝাই যাচ্ছে আমার ছবি থেকে মাথা কেটে এডিট করে ওই ছেলের শরীরে বসিয়ে দিয়ে নভোকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

মৃন্ময়ী- হ্যা তাইতো। সূক্ষভাবে না দেখলে বুঝাই যায়না, তুমি না অন্য কেউ।

নভো-কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কে করলো, কেন করলো এমন কাজ।

মৃন্ময়ী-আমাদের সম্পর্কের ফাটল ধরাতে করা হয়েছে এসব। অপরাধীকে সনাক্ত করতে হবে।

নভো- শুধু সনাক্ত নয়। অপরাধীকে বের করে মুখোমুখি হবো কেন এই ষড়যন্ত্র...........................




ছবি-নিজের তোলা।

অটঃ চলতে থাকুক এই ধারাবাহিকতা। গল্প শেষে যেন রেকর্ড হয় সামুতে বা বাংলাদেশে যে এক গল্পের লেখক(২০ জন) ।কম বেশি হতে পারে, গল্পের সমাপ্তির উপর নির্ভর করবে লেখক সংখ্যা।

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

ঢুকিচেপা বলেছেন: আপনাকে বলতে না বলতেই দেখি পোস্ট। আপনাকে স্বাগত।
অফিস থেকে ফিরে বিস্তারিত কথা হবে।

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনার ১১তম পর্বটা পড়ার পর সিদ্ধান্ত নিলাম আমিও একটা পর্বের অংশীদার হই।

যেই ভাবা সেই কাজ।

ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

মিরোরডডল বলেছেন:



মাইদুল, দারুণ !!!!

কিন্তু নোভো যেনো মৃন্ময়ীর হৃদয়ের গভীর থেকে গভীরে শিকড় গাড়ছে

খেলাতো সবে শুরু হলো, এ শিকড় যে কোথা থেকে কোথায় যাবে, সে আর বলতে :)

পৃথিবীতে অপেক্ষার মতো অসহ্য কষ্টকর মনে হয় আর কিছু নেই

কি বলে :| প্রিয়জনের জন্য অপেক্ষার মাঝে যে ভয়াবহ অস্থিরতা, এটাইতো ভালো লাগা ।

আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবোনা
আমি তোমার জন্য প্রতিক্ষা করবো

অন্য তরুণী, হা হা হা দারুণ ক্লাইমেক্স !!!

একটু কারেকশন হবে মনে হয়,
প্রতিক্রিয়া দেখালো
প্রতিক্রিয়া দেখালো না ( এটা হবে )

মুখনা এখানে মনে হয় অন্য কিছু হতো, ইফ আই’ম রাইট ।

ওভারল চমৎকার :)


১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপু খুব সুন্দর বলেছেন।

খেলাতো সবে শুরু হলো, এ শিকড় যে কোথা থেকে কোথায় যাবে, সে আর বলতে।

হ্যা ওদের ভালবাসা আরও এগিয়ে যাবে সুখ-দু:খের দিন আসবে পাঠক যেন গল্পে তা পায় তাই কাহিনীতে শুরু হয়েছে ক্লাইমেক্স।

অপেক্ষার প্রহর রড়ই মারাত্মক, যে করে সে বুঝে।

সময় সল্পতায় ভাল করে চেক করতে পারিনি তাই ভুল রয়ে গেছে। ঠিক করেছি।

কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছাত্রছাত্রীর ভালোবাসার মাঝে কে বা কারা ছবি এডিট করে, ব্ল্যাকমেইল করছে, এটা একটা শক্ত প্লট?

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তেমন শক্ত প্লট নয় তবে গল্পে ভিন্নতা ও নাটকীয়তার জন্য প্লট কিছুটা পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল। যাতে করে সামনের পর্বে আরও জমজমা কিছু পাওয়া যায়।
ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: দেখতে দেখতে নভোনীল ১২ তম পর্বে - আর এদিকে নভো-মৃণ এর সম্পর্ক ও এগিয়ে চলছে সমান্তরাল গতিতে ।
অপেক্ষার মুহুর্ত এমনিতেই বড় দীর্ঘ আর করুন।আর সেটা যদি হয় প্রথম প্রেমের তাহলে ত আর কথাই নেই।
সকল প্রকার ষড়যন্ত্র ,উদ্বেগ ,অভিমান অতিবাহিত করে নভো-মৃণ এর সম্পর্ক পরিণতি পাক ,এই আশা ।


পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা ।

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হুম। যর্থাথ বলেছেন ভাই।

অপেক্ষার মুহুর্ত এমনিতেই বড় দীর্ঘ আর করুন।আর সেটা যদি হয় প্রথম প্রেমের তাহলে ত আর কথাই নেই।


প্রথম প্রেমের এমন কিছু মূহুর্ত পাঠককে দিতে চেয়েছি কিন্তু দিতে আর পারলাম কই।

যাক পরের পর্বে আরও কিছু উঠে আসুক রাগ, অভিমান.......চলতে থাকুক মৃন নভোর প্রেম কাহিনী।
ধন্যবাদ।

ভাল থাকবেন।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:



চাঁদগাজী বলেছেন:

ছাত্রছাত্রীর ভালোবাসার মাঝে কে বা কারা ছবি এডিট করে, ব্ল্যাকমেইল করছে, এটা একটা শক্ত প্লট?


শক্ত প্লট কেনো হবে, এতো বোঝাই যাচ্ছে তৃতীয় ব্যক্তি এমন একজন ছেলে বা মেয়ে, যে নভোকে বা মৃন্ময়ীকে লাইক করে, তাই এটা করছে যেন তারা দুজন এক না হয় । পসিবিলিটি এটা একটা মেয়ে করাচ্ছে পথের কাঁটা মৃন্ময়ী যেন সরে যায় নভোকে ভুল বুঝে । মৃন্ময়ী শী ইজ গুড বাট নভো ইজ আ হার্ট-থ্রোব :)






১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
রাইট। নভোর মত সুদর্ষন ছেলেকে পেতে মেয়েরা মরিয়া হয়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক।

আর তাইতো ব্ল্যাকমেইল শুরু হয়েছে। একটা প্রেমে কিছু চেলেঞ্জ না থাকলে সেটা পানসে মনে হবে, অত্যন্ত এই গল্পে।

তাই কাহিনী এগিয়ে যাবে কাহিনীর প্রয়োজনে।

ধন্যবাদ।

ভাল থাকবেন।

আপনার উপস্থিতি অনুপ্রেরণাদায়ক।

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

ঢুকিচেপা বলেছেন: ১১ তম পর্ব এত সুন্দর কভার করে আপনার গল্প শুরু হয়েছে তা অসাধারণ, আমি রীতিমত মুগ্ধ।
আপনার লেখা বা বর্ণনা এতটাই সুন্দর হয়েছে যেন বাস্তবে নাটক দেখছি।

শেষে যে ক্লু দিয়েছেন তা পরবর্তী লেখকের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে মনে হচ্ছে কারণ তাঁকে কয়েকটি চরিত্র নিয়ে এখন ভাবতে হবে।

মুগ্ধতায় শুভেচ্ছা রইল।

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভাই- প্রথম ও ছয় নম্বর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

নিশ্চয় ১৩তম পর্বেও কেউ না কেউ ১২তম পর্বকে কাভার করেই এগিয়ে যাবেন।

হ্যা চ্যালেঞ্জ আছে বটে তবে তা খুব বেশি কঠিন নয়।

এটা একটা পাঠকপ্রিয় ধারাবাহিক গল্প । প্রেমে কিছু চেলেঞ্জ না থাকলে, মান -অভিমান, সুখ-দু:খ না থাকলে সেটা পানসে মনে হবে, অত্যন্ত এই গল্পে।তাই কাহিনী এগিয়ে যাবে কাহিনীর প্রয়োজনে।


এতটা প্রসংশা করেছেন যে মনে হচ্ছে লেখাটা স্বার্থক হতে পেরেছে।


নাটক দেখার মত সুন্দর হয়েছে কিনা জানিনা তবে এই গল্পের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত।

পাশে থাকার জন্য, অনুপ্রেরণার জন্য কৃতজ্ঞতা।

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১

মুক্তা নীল বলেছেন:
মাইদুল ভাই,
প্রেমের মধ্যে দুষ্টু মিষ্টি খুনসুটি এবং তৃতীয় ব্যক্তির অতীত
আগমন মনে হচ্ছে গল্পকে আর জমিয়ে তুলবে ।
আপনার লেখার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে । সন্দেহ
প্রেমকে আরো গভীর করে তুলে ‌।
আপনি অনেক ভালো লিখেছেন এবং আপনাকে ধন্যবাদ। ‌

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হ্যা। ঠিক বলেছেন আপনি।

আরও কয়েকটি চরিত্রের আগমন হবে সামনের পর্বে, গল্প জমজমাট হবে।

প্রশংসা ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: যখন পঞ্চম পর্ব পর্যন্ত এসেছিলো, মনে মনে হাপ ছেড়ে বাঁচার মত একটা অনুভুতি হয়েছিলো; যাক বাবা, মানসম্মান তো বাঁচলো!!
তারপর দেখতে দেখতে এখন ১২ পর্বে এসে ঠেকেছে। এটা একটা সফলতা অবশ্যই। এই সফলতা দেখে এবং আপনাদের সুন্দর সুন্দর পর্বগুলো পড়ে আবারও ব্যাট করতে নামার ইচ্ছে লাগছে... কিন্তু আফসোস, এটাতো আর পাড়ার ক্রিকেট না যে ইচ্ছে করলেই দুইবার ব্যাট করা যাবে...

আপনার শেষের কথাটা ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে রেকর্ডটা হয়েই যাবে। আর তা হয়ে গেলে বাংলার অতি সন্ন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট প্রবচনটা পাল্টানো লাগতেও পারে... :D

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

চলতে থাকুক পর্ব, হোক রেকর্ড। কেউ না কেউ হাল ধরবেই পরের পর্বে।

আপনার শেষের কথাটা ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে রেকর্ডটা হয়েই যাবে। আর তা হয়ে গেলে বাংলার অতি সন্ন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট প্রবচনটা পাল্টানো লাগতেও পারে... :


হ্যা যদি রেকর্ড হয়ই তবে প্রবাদটা সর্বাংশে সত্য নয় প্রমাণিত হবে।

ভাল থাকুন।

৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,




জমতে জমতেও শেষতক জমে উঠলোনা মনে হয়। দু'জনার মনের টানাপোড়েন আরও খানিকটা দীর্ঘায়িত করে একটার পর একটা ঘটনা বানানো গেলে মনে হয় জমতো ভালো।

দেখি এরপরে রহস্যের ঘনঘটা নিয়ে কে আসেন !!!!!!!

আপনার তোলা ছবিটা অপূর্ব হয়েছে ।

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দারুণ মতামত। জমতে জমতে জমলনা এটাও এ গল্পের সুন্দর একটা বৈশিষ্ট্য হয়ে থাকুক। এবং সামনের কোন পর্বে দু'জনার মনের টানাপোড়েন আরও খানিকটা দীর্ঘায়িত করে গল্প জমিয়ে তোলা হোক সেটাই আশা করছি। যাতে পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখা যায়।

ধন্যবাদ জানবেন কবি।

১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহা বেশ বেশ !! যুগের বাতাস ওদের ও স্পর্শ করলো তাহলে ।
শুভেচ্ছা রিলে রেসে অংশগ্রহণের জন্য।

চলুক ব্লগাদের কলমে কলমে।

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ।

যুগের বাতস বলে কথা।

চলুক সামনে সমান গতিতে।

১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জমিয়ে উঠেছে নভোনীল । চলতে থাকুক গল্পের একটা রেকর্ড হবেই

১৪ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:০৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ।

রেকর্ড হোক এটা আমিও চাই।

১২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।

১৪ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ।

পোস্টের সাথে মন্তব্য পড়লে অনেক কিছু জানা যায়।

১৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৩

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: হুট করে আজকে এই পর্ব পড়লাম। মনে হচ্ছে আগের বাকি পর্বগুলিও পড়ে নিতে হবে।
বিরহ যখন দেখালেন, দুই একটা পর্ব ধরে টানলে কেমন হতো?

১৪ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমার ব্লগে স্বাগতম।

এই গল্পের চমক হল। একেক পর্ব একেক জন লেকক লিখবেন। তাই পূর্বের পর্বগুলো পড়লে সুবিধে হবে বুঝতে।

হ্যা বিরহ যখন চলে এসেছে সামনের দু,একটা পর্ব এর ঘনঘটায় কেটে যেতে পারে।

ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।

১৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন গল্প লেখার খেলা :)

মুগ্ধ পাঠ

১৪ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ কবি।

এ খেলা চলতে থাকুক ব্লগে।

১৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লিখেছেন মাইদুল ভাই। ফটোশপ করে ভুল ভুলাইয়া পোস্টটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। পোস্টে লাইক
শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৪ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পদাতিকদা ধন্যবাদ।

নতুন নতুন পর্বে নতুন কোন ঘটনা পাঠককে করবে মুগ্ধ এটাই আশা রাখি।

১৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: ৯ নাম্বার মন্তব্য তে গুরুজী যা বলেছেন, আমিও সেটার সাথে একমত।
একটা গল্পে ঘুরপাক বা ট্যুইস্ট বা ক্লাইমেক্স না থাকলে সেটার প্রতি আগ্রহ কমে আসবে সবার।
আমি কয়েকটা পর্ব পড়লাম। কেউ নতুন কিছু চিন্তা করছে না।
এর পরের পর্বগুলি লেখার সময় লেখকদের কিছু অন্য রকম চিন্তা ভাবনা করার অনুরোধ রইলো।

১৪ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নতুন নতুন পর্বে নতুন কোন ঘটনা পাঠককে করবে মুগ্ধ এটাই আশা রাখি
সেটা না হলে গল্প জমবে না। সুন্দর একটা পরিণতি দিয়ে শেষ হবে গল্প।

ধন্যবাদ।

১৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৪২

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: লেখককে এক রাশ ধন্যবাদ। ঘটনার ঘনঘটা দেখবার আশায় রইলাম। রোমান্সকে রোমাঞ্চে নিয়ে গেলে কেমন হবে, জানতে ইচ্ছে করছে।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:

ধন্যবাদ আপনাকে।

ক্লাইমেক্স থেকে আবারও রোমাঞ্চের দিকে এগিয়ে যাবে গল্প। নিশ্চয় কেউ এগিয়ে নিবে সুন্দরভাবে।

১৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কে সেই নরাধম যে এরকম ঘৃণ্য কাজ করলো। এই পাষণ্ডের ফাসি চাই। নভো আর মৃন্ময়ীর এই অমর প্রেমে কে কাবাব মে হাড্ডি হতে চাচ্ছে। পরবর্তী পর্ব যিনি লিখবেন তাকে এই ব্যাপারে কুশলী হতে হবে। আপনি তো লেখার শেষে একটা প্যাচ মেরে পরের জনকে কঠিন পরীক্ষার মধ্যে ফেলে দিলেন। :)

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

অবশ্যই নতুন পর্বে কিছু নতুন চরিত্র আসবে গল্পের প্রয়োজনে এভাবেই গল্প এগিয়ে যাবে।

১৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মিররডল-

হার্ট থ্রব নায়ক মানে আগে বুঝতাম না। আপনার দেয়া ছবি দেখে বুঝলাম যে হার্টথ্রব নায়ক উহাকেই বলে যার প্যান্টের হাঁটুর কাছে ছেড়া থাকে। :) নায়কের চেহারার চেয়ে মনে হয় হাঁটুর গুরুত্ব বেশী তাই চেহারা দেখানো হয় নাই। :)

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আসলে নভোর বা নায়কের চেহারাটা উহ্য রাখা হয়েছে পাঠক কল্পনা করে নিবে সুদর্শন নায়কের অবয়ব।

তােই মিররডল এই ছবিটা বেছে নিয়েছেন সেই কারনেই।

ভাল থাকবেন।

২০| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৭

মিরোরডডল বলেছেন:



সাচু, ইউনিতে ফার্স্ট ইয়ারে পড়া ছেলে ওরকম একটু আধটু ছেঁড়া প্যান্টের ফ্যাশন করতেই পারে ।
চেহারা কেনো দেইনি মাইদুল বলেই দিলো, পাঠক তার মনের মতো কল্পনা করে নেবে , থ্যাংকস মাইদুল । সাচুর দৃষ্টি শুধু ছেড়া প্যান্ট পর্যন্ত, নভোর ওভারল আউটলুকটা দেখবে না ? কি সুন্দর কালার কম্বিনেশন আর শারীরিক গঠনের কথা আর নাই বা বলি , Isn’t he attractive ? :P

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু আবারও মন্তব্যের জন্য।

হুম। নভো ফ্যাশন সচেতন। আর খুব লাজুক ছেলেরাও দু, একবার নতুন ফ্যাশনেবল পোষাক পড়ে সে অর্থে নভো যথেষ্ট আধুনিক তার এসব জড়তা থাকার কথা নয়।

সাচু হয়তো চেহারা না দেওয়ায় শুধু ছেড়া পেন্ট নিয় রশিকতা করেছে।

কালার কম্বিনেশন ও শারীরিক গঠন বলে দেয় সে হিরো আর যথেষ্ট আকর্ষণীয়।

ধন্যবাদ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপু ১৩ তম পর্ব চলে এসেছে। কল্পদা কথা রেখেছে। পড়ুন এবং মতামত দিন। আর আপনিওতো একটা পর্ব লিখে ফেলতে পারেন।

২১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমি ভ্রাম্যমান পাঠক। সেই হিসাবে কিছু বলা ঠিক না!

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কেন ঠিক না সাহাদাত ভাই। আপনি আপনার মতামত নির্দ্বিধায় বলতে পারেন।

ধন্যবাদ।

২২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

মা.হাসান বলেছেন: ভিলেন না থাকলে গল্প জমবে না। ভালোই হলো। ভিলেন কি ডিপজলের মতো ডায়ালগবাজ, এটিএম শামসুজ্জামানের মতো কুটবুদ্ধিওয়ালা, নাকি খলিলের মতো শক্তিশালি দেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে বসলাম।

প্যান্ট বরং হাটুর নিজের পুরাটাই ছিড়ে ফেলেন, হার্ট থ্রব না, আরো বেশি কিছু হইয়া যাউক।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:

হ্যা ভিলেন ছাড়া গল্প জমবে না, তাই ভিলেনের আগমন।

ভিলেন যথেষ্ট বুদ্ধিমান ও কুটবুদ্ধিওয়ালা।

দেখি পরের পর্বে কি হয় ?

না ভায়া নায়িকা হলে না হয় ছেড়া পোষাক ফ্যাশন বলে চালিয়ে যেতেন। যেহেতু নায়ক তাই হাটুর ওইটুকুই ছেড়া থাক পুরোটা ছেড়ার কাজ নেই। নভো ক্রাশ হয়ে থাক ।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

২৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৭

পুলক ঢালী বলেছেন: বাহ্ ! মাইদুলভাই সুন্দর লিখেছেন গল্পটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। শেষে একটা সাসপেন্স নিয়ে এসেছেন দেখা যাক কে কেমন রহস্য ভেদ করে।
চাঁদগাজী ভাইয়ের মন্তব্যটা ঠিক আছে ভার্সিটির স্মার্ট ছাত্রী এত বোকা হওয়ার কথা নয়।
তবে দুনিয়া জুড়ে মামাতো খালাতো চাচাতো ফুফাত নিদেন পক্ষে পাড়াতুতো বোনের অভাব নেই ওদের একজনকে হাজির করে এক রিক্সায় বসিয়ে বা কোন কফিহাউসে বসে পুরনো কোন কৌতুকময় স্মৃতি রোমন্হনের এক পর্যায়ে হেসে গড়িয়ে পড়ার দৃশ্যটি বান্ধবীদের নিয়ে কফি খেতে আসা মৃ এর চোখে ধরা পড়িয়ে দিলে আরো ভালো হতো :D
ওভার অল খুব সুন্দর ঝরঝরে লেখা হয়েছে।
ভাল থাকুন।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ।

সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

এর পর ২জনকে অনুরোধ করেছি তারা খুব সুন্দরভাবে আরও দুটি পর্ব এগিয়ে নিয়েগেছেন।

দেখা যাক সামনে কি ঘটে।

শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.