![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চুরি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। চোরের লক্ষণ আপনার জানা উচিত।
দিনে দুপুরে, মানুষের ভিড়ভাড়ে প্রতিনিয়ত স্বক্রীয় থাকে একটি মহল যা আপনার পকেটে হাত ঢোকানোর সুযোগ ও সময়ে থাকে।
লোকাল গাড়িতে উঠার সময় কিংবা বাসের ভেতরেই হঠাত অবাক হতে পারেন আপনিও। হোচট খাবেন যখন আপনি জানবেন যে আপনার পকেটে নেই আপনার স্মার্টফোন কিংবা ওয়ালেট(মানিব্যাগ), ক্যাশ টাকাও ছাড় পায়না।
প্রায়শ আপনি অমনযোগি থাকেন যখন অধীর আগ্রহ নিয়ে উত্তেজনাপুর্ন অবস্থায় আপনি লোকাল বাস বা বাহনের অপেক্ষা করছেন। এই সুযোগ ই চোরের দরকার।
আপনি ভদ্রলোক, জিন্স বা টাইট পোশাক পরেন নি, কাধে ব্যাগ এর মানে আপনি চোরের টার্গেট। একটু সতর্ক থাকলে বাচতে পারেন আপনি।
সাধারনত যাতায়াতকালে যে সকল চোর স্বক্রীয় থাকে তারা একজন বরং দুজনও নয়, তারা দু বা ততোধিক জন থাকে। যাকেই পাবে সুবিধার তারাই তাদের টার্গেট।
আপনার পকেটে হাত দেওয়া মাত্রই আপনাকে তাকে ধরতে হবে। যদি ভুল মানুষকে সন্দেহ করেন তাহলে ক্ষতি আছে। আবার চোরকে হাতেনাতে ধরলে আপনি হতবম্ব হয়ে যাবেন যখন তার পক্ষে কয়েকজন সাফাই গাওয়া শুরু করবে। মনে রাখবেন তারাও চর। খুব তাড়াহুড়ো করবে বাসের চালক ও তার এসিস্ট্যান্ট ও মনে রাখবেন তারাও চোর। পুরো এই ঘটনায় ড্রাইভার এসিস্ট্যান্টসহ প্রায় ৬ জনের অধিক চোর একটি বাসে অবস্থান করে।
যদি এদেরকে হাতেনাতে ধরতে পারেন তাহলে আগেই উত্তম মধ্যম সেরে নিন, পুলিশের অপেক্ষায় না থাকাই ভালো। আর যেহেতু ট্রাফিক পুলিশের বদঅভ্যাস হচ্ছে টাকা খাওয়া তাই চোরকে পুলিশে দেওয়ার কথা চিন্তা করলে তা পুলিশেরই আর্থিক লাভ হবে। তবে সৎ পুলিশ হতেও পারে, আপনি সোপর্দ করতে পারেন তবে উত্তম-মধ্যম তা একটু সেরে নিবেন।
ক্রোধ তো এমন থাকে যে মেরেই ফেলা উচিত তবে নিজেকে নিয়ন্ত্রনে রাখবেন হাত ও পায়ে আঘাত করবেন মাথা কিংবা পেটে নয়। হাত ভেঙ্গে দিলেও হয়তো আপনার ক্রোধ রাগ কমবেনা যখন আপনি নিজেই চোরের স্বীকার হবেন।
বিগত কয়েকদিন ধরে চোরের স্বীকার আমিও হচ্ছি, তবে তেমন সুযোগ নিতে পারেনি চোর। পকেটে হাত দেয়ামাত্র টের পেয়ে যাই এবং তা আন্দাজ করে চোর পালায়। তবে তার সঙ্গীরা নয়। বিশেষ করে দেখবেন লোকাল বাসের দরজার পাশেই জটলা বেধে থাকে চোরেরা। উঠার বা নামার সময় চারপাশ দিয়ে একটি চাপ প্রয়োগ করবে এবং বাসে ব্রেক কসবে। এর মাঝেই আপনার কাম খালাস। নেমে দেখবেন আপনার কিছু নেই।
চোর থেকে তাহলে কয়েকটি বাচার উপায় পেয়ে গেলেন তাও আবার বলছি,
১. টাইট ফিট জামা পরিধান করুন।
২. মোবাইল হাতে রাখুন
৩. জমাট বাধা স্থান থেকে সরে দাড়ান
৪. উঠা ও নামার সময় চোরকে স্মরণ করুন।
আর হ্যা মারার সময় যাতে চোরের পেটে কিংবা মাথায় আঘাত যাতে না করেন, পুলিশের কাছে দেওয়া না দেওয়া পাবলিক রিএয়াকশনের উপর নির্ভর করে।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০
মো: রাহাত আলী বলেছেন: কখনো কি চোরের স্বীকার হয়েছেন? হইলে হয়তো কিছুটা বুঝতেন।
আর চোরকে ধরে আপনি কি মেহমানদারি করবেন নাকি? আপনার জরুরি কাগজপত্র সহ ব্যাগ হারালে আপনার ক্রোধ কতটুকু থাকবে তা আন্দাজ করেছেন? চোর ধরে কি করবেন তা আপনার বিষয়। মারতেই হবে এমনটা বলিনি তবে বেশি না মারেন তা আমি উল্লেখ করেছি।
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
মো: রাহাত আলী বলেছেন: শেষে ধর্মীয় অংশের ভিত্তিতে বলা যেতে পারে চোর ধরে হাত কেটে ফেলো।
টাইট জামা কাপড় পরে নামায পড়া যায়, একটু কষ্ট হয় আরকি।
আর নামায পড়তে আপনি মসজিদে গেলে দয়া করে আপনার মুল্যবান জুতাটা একটু বাহিরে রাখিয়েন, পুরো ব্যাপারটাই মাথাত আপনা আপনি ঘোরপাক খাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: প্রথমেই উত্তম-মধ্যম? সেটা কি ঠিক হবে? আইন যখন বানিয়েছে - মানা হোক বা না হোক সচেতন নাগরিক হিসেবে তো আমার দায়িত্ব সেটাকে অনুসরণ করাই। তাই না? দেশ যেমনই হোক - আমার তো দেশের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে।
আর টাইট-ফিট জামা-কাপড় পড়তে বললেন। ওসব পড়ে নামাজ পড়াটা বেশ কষ্টসাধ্য। নাকি নামাজ বাদ দিয়ে শুধু নিজের অর্থই নিরাপদ রাখবো? আমার দায়িত্ব তো নামাজটাকে আগে সম্পন্ন করা, তারপর অন্যান্য কিছু।