নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য আর মিথ্যাকে এক করি না। যারা অসত্য দিয়ে সত্যকে ঢাকতে চায়; তাদের সঙ্গ ধরি না। নতুন যে কোন কিছু শিখতে ভালো লাগে। কেউ কিছু শিখতে চাইলে সম্ভব সাধ্যমতো চেষ্ঠা করি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক জ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে চাই।

মোঃ মঈনুদ্দিন

নিঃসঙ্কোচে গাহিব সত্য ন্যায়ের গান। সত্য আর সুন্দরের সেবক। মা, মাটি আর দেশকে ভালবাসি।

মোঃ মঈনুদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষকদের নিয়ে কেন এই প্রহসন!! পুনশ্চঃ বেসরকারী শিক্ষকগণ কী মানুষ নয়? এ প্রজাতন্ত্রের আইনের চোখে তাঁরা কী আলাদা?

১০ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

(১) X(( মাননীয় অর্থমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক ‍তৃতীয়াংশই ‘খামাখা’ গড়ে ‍উঠেছে, :-<
তিনি বলেছেন-"এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে শিক্ষক ৪ জন আর ছাত্র একজন।"
প্রকৃতপক্ষে নিয়ম হল- "সে সব প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হয়ে থাকে।" তাহলে, সব ক্ষমতার উৎসে থেকে, শীর্ষে থেকে ক্ষমতা প্রয়োগ করে ঐসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে এই রকম হটকারী মন্তব্যের কী প্রয়োজন?
কিন্তু বাস্তবতা হলো এমপিও প্রদানকারী সরকারী প্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও ইএমআইএস সেল শর্তপুরণ না করলে কখনও কোন প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেওয়া হয় না।

(২) নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্থানীয় সাংসদ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে কান ধরে উঠ বস করানোর মত ন্যাক্কারজনক ঘটনায় গোটা জাতি প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু, কি থেকে কী হইলো? একজন সম্মানিত স্যারের অপমানের শোধ খোদ সরকারই নিতে পারেনা!!?? যেখানে ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গেছে দোষী কে, তারপরও সরকারের দায়িত্বশীলগণ বলেন, দেখি তদন্ত করে কী হয়েছিলো? বিচারের জন্যে আর কত প্রমাণ চাই?

(৩) মাস শেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন ভাতার সরকারি অংশ প্রদান নিয়ে যে তামাশা চলে।।
?? ঢাকার মত জায়গায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষণ অফিসে সার্ভার নষ্ট হওয়ার সাথে সাথে তা মেরামত করা সম্ভব হয় না। :-/ মেরামত করার জন্য দুই দিন অপেক্ষা করতে হয়।
অবশেষে ১৫ জুনের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা মে মাসের বেতন তুলতে পারবেন বলে দৈনিক শিক্ষা ডট কমের খবরে জানা গেছে।

বাস্তব তথ্য হলোঃ-
*** এই বেতনের টাকা ১৫ জুন পর্যন্ত ব্যাংকে পৌঁছাবে না।
*** তারপর ১৬ জুন ব্যাংকে পৌঁছালে বেতন সংশ্লিষ্ট দাপ্তরিক কাগজ পত্র জমা হবে।
*** ১৭ ও ১৮ জুন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ব্যাংক বন্ধ থাকবে এবং হয়তবা ১৯ তারিখে শিক্ষকরা বেতন ভাতা তুলতে পারবেন।
সবচেয়ে পরিতাপের বিষয়!! একজন শিক্ষক কখনো নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না যে, তার বেতন মাসের কোন তারিখ হবে।
এতে করে একজন শিক্ষক দোকানদার থেকে শুরু করে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে কতটা হেয় প্রতিপন্ন হয় তা ভোক্তভুগী মাত্রই জানেন।
**স্যালিউট ভূতপূর্ব শিক্ষা সচিব নজরূল ইসলাম খান।
তিনি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কষ্ট লাগবে ইন্টারনেটে ইলেক্ট্রনিক এমপিও সিস্টেম চালু করতে চেয়েছিলেন।
কিন্ত তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অন্য মন্ত্রণালয়ে চলে যাওয়ায় সেটা আর হয়ে উঠেনি।
=p~ হাসবো না কী কাঁদবো? :``>>
সারা বাংলাদেশের ২৬০০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওসিট প্রিন্ট দেওয়ার জন্য তিন রীম কাগজ লাগে এবং দুইদিন সময় লাগে। আর সেই এমপিও ব্যাংকে পৌঁছতে লাগে সাত দিন।
আফসোস! আফসোস! আফসোস! এটা নিয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করেন না।
(৪) নতুন শিক্ষা আইন আসছে। অনেক ভালো কতগুলি পয়েন্ট আছে সেখানে। এর বাইরে আছে শিক্ষকদের টাইট দেয়ার অস্ত্র। কোন শিক্ষক যদি কোন শিক্ষার্থীকে মানসিক বা শারীরিক শাস্তি প্রদান করে তাঁকে ১০হাজার টাকা জরিমানা অথবা ৩ মাসের জেল অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে হবে।

ভালো। তাতে সমস্যা নাই। কিন্তু এই আইনটি এভাবে জনসমক্ষে প্রচার না করে দেশে প্রচলিত অন্যান্য আইনের মতো কী রাখা যেতোনা? একজন শিক্ষক যদি অন্যায়ভাবে কোন শিক্ষার্থীকে প্রহার করে বা অপমান অপদস্ত করে তাঁর বিচার করার জন্যেতো প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আইন রয়েছে। আর, তিনি যদি এর বাইরে গিয়ে আরো জগণ্য ও বড় অন্যায় করে তাকে আইনের হাতে ব্যবস্থা নেয়ার মতো প্রচলিত আইনতো দেশে রয়েইছে। সেখানে তার ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
*** শিক্ষক তাঁর অন্যায়ের জন্যে জেল-জরিমানা লাভ করলেন। মেনে নিলাম। শীরোধার্য! কিন্তু, বেয়াদব, অসভ্য, বেহায়া ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা আশংকা জনক হারে বাড়ছে। এদের ব্যপারে ঐ আইনেতো কিছু বলা নাই। শিক্ষার্থী এসে পথে-ঘাটে-শ্রেণিতে শিক্ষকের প্যান্ট,শাড়ি ধরে টানাটানি করলে তাদের কী ব্যবস্থা হবে? আইন কী এই কথা ভেবেছে? না ভাবলে ভালো!!
(৫) পরীক্ষার হলে নকলের ছয়লাব!
**প্রশাসন নীরব!
**প্রশ্নপত্র ফাঁস!
**অভিভাবকের দীর্ঘশ্বাস!
**পরীক্ষার পর ফলাফলে ভেল্কী! ছাত্র "ডি গ্রেডের" রেজাল্ট "এ প্লাস" এবং ছাত্র "এ প্লাস" রেজাল্ট " বি গ্রেড"! এর বাইরে রেজাল্ট এভারেজ একই রকমের।
প্রশ্ন জাগে খাতা সঠিকভাবে মুল্যায়ন করা হয় কী না?
আর এইসব আজব কান্ডকারখানার ফলে শিক্ষার্থীরা দারুণ মৌজে? পড়ালেখা না করে সোজা শয়তানের ফৌজে!!
আর শিক্ষকরা ক্লাসে যায় আর আসে। ছাত্রছাত্রীরা নাই তাদের পাশে।
কিন্তু দেশের সার্বিক অবস্থা ভালো? ১০০% পাশ!! সাব্বাশ! দেশ এগিয়ে যাচ্ছে? সর্বনাশ! ধ্বংসের দিকে?
(৬) পরীক্ষা শেষ (এসএসসি এবং দাখিল বা সমমান)।
বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় কলেজে ভর্তি! কী মজা! কোন ভর্তি পরীক্ষা নাই, সুতরাং পড়ালেখারও দরকার নাই। মেট্রিক বা দাখিল পরীক্ষা দেয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীরা আর বই ধরতে হয়না। এতে শিক্ষার্থীদের একটা দারুণ অবসর বিনোদনের ব্যবস্থা করে দিয়ে সরকার মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তারপর কলেজে গিয়ে বিশেষ করে সারকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার পর খুব একটা ক্লাসও করতে হয়না। তখন শুধু প্রাইভেট আর কোচিং ! সরকারি স্যারদের ব্যবসার পোয়াবারো!!
কিন্তু বেসরকারী বা বেদরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বারোটা বাজানোর জন্যে আইন কড়া হচ্ছে। জেল-জরিমানা সবই থাকছে পুরষ্কার হিসেবে। বিরাট কন্ট্রিবুশনের বিরাট পুরস্কার। ধন্যবাদ।
বেসরকারী স্যারেরা কোচিং-প্রাইভেট পড়ালে দুইলাখ টাকা জরিমানা আর ৬ মাসের জেল। চমৎকার! মানুষ খুন করলেওতো মনে হয় এত বড় শাস্তির বিধান আমাদের দেশের প্রচলিত আইনে নাই? গাড়িচাপায় মানুষ মারা গেলে ২০হাজার টাকা জরিমানা? অথচ, কোচিং প্রাইভেট পড়ালে এই শাস্তি।
??? কিন্তু শিক্ষা প্রশাসনের বড়কর্তারা কী খবর রাখেন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহের প্রকৃত অবস্থা? শুধু জরিপ নির্ভর আর এসি লাগানো অফিসে বসে গবেষনার ফলাফলের ভিত্তিতে দেশের শিক্ষা নিয়ন্ত্রণ করলেতো আর কিছুদিন পরে দেশের কী হাল হবে তা আর দেখতে হবেনা! এখনো কী খুব ভালো অবস্থানে আছে?

মোদ্দাকথা আইন হচ্ছে বেসরকারী স্যার ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের জন্যে কিন্তু সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের জন্যে নয়!! আহ্‌ সেলুকাস!!
পরিশেষে, যা বলতে গিয়ে এতো কিছু আবোল তাবোল বকলাম তা হলো- আমাদের দেশের ক্ষমতার মসনদে যেই বসুননা কেন তেনারা বেসরকারী শিক্ষকদের একহাত নিয়েই ছাড়েন। অথচ, টোটাল ইডিউক্যাশনের ব্যাক্‌বোন হচ্ছে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশে ৩৫হাজারেরো বেশী বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এমপিও ও নন-এমপিও মিলে। কিন্তু তাদের অবদানকে সব সময়ই অবহেলা করে যাচ্ছে। কোথায় তাদের দেখভাল করবেন। উৎসাহিত করবেন। তা না করে শুধু আনক্লীন ব্যাম্বু দিয়েই যাচ্ছেন। দিয়েই যাচ্ছেন।
জানিনা এই পরিহাসের পরিসমাপ্তি কবে হবে?
বিঃদ্রঃ আমি কিছু সংবাদ শেয়ার করা জন্য সম্মানিত শিক্ষক সুলতান মাহমুদ, পরানপুর, মান্দা, নওগাঁ এর কাছে কৃতজ্ঞ।।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

সত্যবাদী পোলা বলেছেন: গুলি মারেন শিক্ষকদের কথার। দেশের জিপিএ বাড়ছে না? পাশের হার বাড়ছে না? আমরা তো উন্নত রাষ্ট্র তে পরিনত হব শীঘ্রই। কিছু প্রতিষ্ঠান কে এমপিও না দিলে যে উনাদের পকেট হালকাই থাকে ভাই। শিক্ষাব্যাবস্থা নিয়ে চিন্তা করার কিছুই নেই। অন্তত আমরা "আই এম জিপিএ ৫" টাইপ একটা জাতি তো হচ্ছি।

১০ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: গুলিতো মারতে চাই কিন্তু বন্দুকের কুঁদো লাগাবো যে, বুকের পাঁজরে হাড়তো নাই! দেশে জিপিএ বাড়ছে, সে সাথে বাড়ছে পাশের হার আর তার সাথে বাড়ছে আতংক তলিয়ে যাবার। ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্যে।

২| ১০ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

সুব্রত দত্ত বলেছেন: মনে কথা বললেন ভাই। এর ভেতর দিয়ে জোড়াতালির জীবন যাচ্ছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না বলে বেদরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলাই ভালো। অচিরেই দুর্বলরা হারিয়ে যাবে। তারপর সবলে সবলে লড়াই হবে এবং নতুন দুর্বল জন্মাবে।

১০ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্টে শেয়ার করার জন্যে। ঠিকই বেসরকারী শিক্ষকগণ অতীব বেদরকারী এটা এনাদের দাঁতের ফাঁকের চিকন কথা-বার্তাতেই বুঝা যায়। দূর্বল অচিরেই হারিয়ে যাবে এটা সত্য কথন।কিন্তু দুর্বলেরা একত্র হয়না কেন? হতেতো সমস্যা নাই! বিধিবাম! তা হবার নয়। শুধু এই এক জায়গাতেই বেসরকারীরা হেরে বসে আছে। তারা এক হতে জানেনা। ভালো থাকুন।

৩| ১০ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

মাহবুব আলী বলেছেন: অর্থমন্ত্রীর কথা সবটা ফেলে দেয়া যায় না। সুবিধাবাদী মানুষ যেখানে সেখানে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে অযোগ্য লোকজন দিয়ে শিক্ষার ১২টা বাজাচ্ছে। আপনার লেখায় বেশকিছু তথ্য এসেছে। অনেক দুঃখ কষ্টের সত্য কথা এসেছে। কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিষয়ে কিছু লিখেন নাই। অথচ ডিজিটাল বাংলাদেশে এখনো বলা হয় শিক্ষক হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। very silly.

১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: এটা ঠিক যে অর্থমন্ত্রীর কথা সবটাই ফেলে দেয়া যায়না। কিন্তু, তিনি প্রজাতন্ত্রের একজন গুরুত্বপূর্ন পদবীধারী ব্যক্তি। তাঁর বক্তব্যে আদেখলাপনা মেনে নেয়া যায়না। যেখানে সেখানে গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠানগুলো যেগুলোর গ্রহনযোগ্যতা নাই বা কাম্যতা নাই সেসব বন্ধ করে দিতে পারে বা বিহিত ব্যবস্থা নিতে পারে। অথবা, তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে পারে। কিন্তু কই সে রকমতো কিছু দেখিনা। শুধু মাঝে মাঝে হুংকার দিয়ে কোন সমাধান হবেনা। সমাধানে চাই সুষ্ঠু পদক্ষেপ।
হ্যাঁ সত্যিই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কষ্টের কথা আর নাই বললাম। তাঁদের দুঃখতো আসমান থেকে জমিনের দূরত্বের মতো। কত শিক্ষক-কর্মচারী অবসরে গেছে কত বছর হয়ে গেলো অথচ কোন কিছু থেকে কোন কিছুই হলোনা। ওখানে টাকার অভাব চলছে। পর্যাপ্ত পরিমান অর্থ নাই তাই দিতে পারেনা। এসব শুনে মাঝে মধ্যে মনে হয় আমরা আছি কোথায়? আমার এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক অবসরে গেছেন তিন বৎসর আগে কিন্তু অপেক্ষার প্রহর গুণতে গুণতে কবরেই চলে গেলেন। হায়! আফসোস! আল্লাহ এদের হেদায়েত দিন। আমিন।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মতামতের জন্যে।

৪| ১০ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০০

প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: এমন হালেই চলবে। কারন "আই এম জিপিএ ৫"

১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ। কিন্তু এমন হালে চললে কপালে খারাবী আছে। যেভাবে যে গতিতে শিক্ষার নাও চলছে ভবিষ্যতে "আই এম জিপিএ ৫" বলতেই অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।

৫| ১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: অনেক কথা বলছেন, অনেক কথাই সত্য। আবার এত এত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাইকে এমপিও ভুক্ত করবার সামর্থ্যও সরকারের তেমন নাই, সদিচ্ছারও অভাব দেখা যায়। আবার দেখা যায় যে এই পেশায় অনেকেই আসেন যারা আর কিছু করতে পারেন না। কিন্তু এ পেশায় আশা উচিত সবচেয়ে দক্ষ, শিক্ষিতদের। সবমিলিয়ে দেশের মত এই সেক্টরের অবস্থাও তথৈবচ।

১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: প্রথমেই আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্যে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই।
এটা সত্যি এতগুলো প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেয়া কঠিন।সরকারের আর্থিক আনুকুল্য হয়তো নাই। কিন্তু আপনি ভেবে দেখেন আমাদের দেশে অনেক সরকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে কার্যত সেগুলো শুধু রাষ্ট্রের কোষাগার খালী করছে বিনিময়ে তেমন কিছুই দিতে পারছেনা। অথচ শিক্ষার বিকল্প কি কিছু আছে? আগে দেশের জনগোষ্টীকে শিক্ষিত করতে হবে। তার জন্যে প্রয়োজন যথেষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর, আমাদের দেশে গুনগত মানের ভালো প্রতিষ্ঠান নেই। যেসব আছে সেগুলোরই বেহাল দশা। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সময় মতো বেতন-ভাতা পায়না। অনেকেই আছেন এমপিও প্রতিক্ষায় অথচ, তারা এমপিও পায়না। বছরের পর বছর মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সরকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই করে এমপিও দিয়ে দিলেইতো ল্যাঠা চুকে যায়। তাছাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিও দিতে পারে শর্ত সাপেক্ষে। যেমন আয়ের টাকাটার সিংহ ভাগ রাজস্বে ফিরিয়ে দেয়া। আপাতত এমপিওভুক্ত ২৬হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি প্রতি বৎসর একটা এমাউন্ট দেয় তবে এই ঝামেলা আর থাকেনা।
"আবার দেখা যায় যে এই পেশায় অনেকেই আসেন যারা আর কিছু করতে পারেন না। কিন্তু এ পেশায় আশা উচিত সবচেয়ে দক্ষ, শিক্ষিতদের।" হ্যাঁ ধ্রুব সত্য কথা। কিন্তু শিক্ষিতজন কেন আসবে যদি দৈন্যদশায় চলতে হয়। মেধাবীদের আনতে গেলে তার মানসম্মত জীবিকা ও মান সম্মান দিতে হবে। আর, এটা আমাদের দেশে মনে হয় অসম্ভব!!

৬| ১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

বিজন রয় বলেছেন: দেশতো জনগণের হাতে নেই। এখন কতকিছুই তো দেখবো।

১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: জ্বী ভাইজান! যথার্থই বলেছেন। ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১০

প্রবাসী একজন বলেছেন: এ এক আজব রাজার দেশ, রাজা মন্ত্রী আছেন বেশ..........আহা বেশ বেশ ....
ভাই মাথার ভিতরে গোবর থাকা সরকার বাহাদুর থেকে ভাল কিছু আশার করা বেকাামী

১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩২

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: তিক্ত কিন্তু সত্য। তবে, এদেশে সত্য বলতে মানা। দয়া করে বিতর্কিত হবেন না।আমাদের সরকার, বিরোধীদল সহ সকল জনসাধারণকে আল্লাহ সুমতি দান করুন।আমিন। ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.