নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য আর মিথ্যাকে এক করি না। যারা অসত্য দিয়ে সত্যকে ঢাকতে চায়; তাদের সঙ্গ ধরি না। নতুন যে কোন কিছু শিখতে ভালো লাগে। কেউ কিছু শিখতে চাইলে সম্ভব সাধ্যমতো চেষ্ঠা করি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক জ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে চাই।

মোঃ মঈনুদ্দিন

নিঃসঙ্কোচে গাহিব সত্য ন্যায়ের গান। সত্য আর সুন্দরের সেবক। মা, মাটি আর দেশকে ভালবাসি।

মোঃ মঈনুদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেলিউট ডক্টর জাকির নায়েক! কিন্তু, কেন?

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

শুধু পেটের জন্য খেটে মরছি জন্ম থেকেই আজ অবধি। কিন্তু, সময় পাইনি আল-কোরআন, আল-হাদিস এবং কম্প্যারিটিভ আদার রিলিজিয়ন নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার। প্রশ্ন আসতে পারে-
কেন অন্যান্য ধর্মকে বুঝতে শিখতে হবে, যেখানে নিজের ধর্মকেই বুঝার সময় পাইনা!
অন্ধের মতো চোখ বুঝে নিজ ধর্ম শ্রেষ্ট এটা বলার আগে অবশ্যই অন্যান্য ধর্মকে তূলনামুলক অধ্যয়ন করতে হবে। আর, অন্য ধর্মের অনুসারী বা অন্য জাতের, ভিন্ন মতের কেউ যেন আমার কথা এবং কাজে কষ্ট না পায় তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতেই হবে
অথচ, আমরা কিছু মানুষ আছি; এই কিছু কিন্তু সংখায় অধিক, আমরা মনগড়া মন্তব্য করা এবং না বুঝে আবেগের বশবর্তী হয়ে অন্য ধর্ম, অন্য মত, অন্য পথ, নিজ ভিন্ন অন্য জাত-পাত নিয়ে অশালীন অশ্রাব্য মত ব্যক্ত করি। কিন্তু, তার পরিণতি বা ফলাফল নিয়ে ভাবিনা।

এই ধরণের কাজ কারবার অর্থাৎ কাউকে রাস্তায় নামানো বা ইজ্জত-আব্রু ছিন্নভিন্ন করে দেবার জন্য বাঙ্গালীরা ১ম স্থান অধিকার করবে আর ২য় স্থান অধিকার করবে বাংঙ্গালী মুসলমানরা।
আসলে এই ধরণের হঠকারি পথ পরিহার করা আমাদের সকলের মঙ্গলের জন্য খুবই দরকার।


এবারে আমি শিরোনামে লিখা প্রসঙ্গে আসিঃ- সেলিউট ডক্টর জাকির নায়েক! কিন্তু, কেন?

** কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে আমি ডক্টর জাকির নায়েকের একজন ভক্ত; অবশ্যই অন্ধ ভক্ত নই-

(১) ডক্টর জাকির নায়েক একজন আধুনিক ও বিজ্ঞান মনস্ক ব্যক্তি। কোন সংকীর্ণতা, কুসংস্কার বা কুপমুন্ডকতায় আক্রান্ত নহেন।
(২) ধৈর্যশীল, মেধাবী এবং অধ্যাবসায়ী।
(৩) মাদরাসায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ না করেও কোরআন ও হাদিস সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন। (যদিও আলেম ওলামাদের সমান নহে)
(৪) মাজার পূজারী বা পীর পূজারী নহেন।
(৫) কে কোন মাজহাবের অনুসারী এইসব ভেবে ভেবে সময় নষ্ট না করে ইসলামিক জ্ঞান চর্চা করে প্রচার ও প্রসারে ব্যস্ত। অথচ আমাদের দেশীয় আলেম ওলামা সবাই ৭৩ দলে বিভক্ত হয়ে মারামারি কাটাকাটি নিয়ে ব্যস্ত।
(৬) বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার এ যুগে শুধু মিলাদ-মাহফিল-চাঁদা কালেকশন-দান-সদকা,সংগ্রহে বা পরস্পর বিরোধী মতামত ব্যক্ত করে সময় ব্যয় না করে "পীস টিভি" প্রতিষ্ঠা করে "পাওয়ার অব মিডিয়া" দিয়ে ইসলামের প্রচার এবং প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
(৭) "পীস মোবাইল" নামে আধুনিক ফিচার ফোনের দ্বারা ইসলামের প্রচার ও প্রসারে কাজ করা।
Key Features of Islamic Smart phone by Dr Zakir Naik
** 4.63 inch LED screen
**Slimmer body
** Premium finish
** Stylish design
** Dual SIM
** 32 GB SD card + 4GB Internal Memory
** Dual Core Processor
** 5 mega pixel auto focus camera
** Live Peace TV English, Urdu & Bangla
** Over 80 Hrs. of Dr Zakir Naik's Videos
** Over 50 Authentic Islamic Applications
** Over 100 Islamic Wall Papers
** Over 100 Islamic Ring Tones
** Islamic Nasheeds
** Books on Islam & Comparative Religion of Dr Zakir Naik
(৮) কম্প্যারিটিভ ইসলাম ও আদার রিলিজিয়নঃ এ বিষয়ে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।পৃথিবীর প্রধান প্রধান ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখা এবং রিগুলার চর্চা করা।
(৯) ইসলামের অপব্যাখ্যার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিচ্ছেন। যখন আমাদের দেশের এবং উপমহাদেশের বেশীরভাগ আলেম তাঁদের ওয়াজ মাহফিলে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারে ব্যস্ত এবং বিভিন্ন ধরণের অপশক্তির বৃদ্ধির বিষয়ে কলম না ধরে জোরালো ভূমিকা না রেখে মত পালটা মত এবং বিভিন্ন ধরণের প্যাঁচাল নিয়ে ব্যস্ত তখন ডক্টর জাকির নায়েক সকল ধর্ম, সকল ধর্মগ্রন্থের সাথে মিল অমিল বিষয়ে নানন ধোঁয়াশার জবাব দিয়ে যাচ্ছেন উম্মুক্ত মঞ্চে, বিশ্ব মিডিয়াকে সামনে রেখে। নিশ্চয়ই এটা সাহসীকতার কাজ।
(১০) বিভিন্ন শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং দাওয়াহ এর কাজ করছেন।
(১১) ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করে ইংরেজিতে লেকচার দিচ্ছেন যাতে করে দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে পশ্চিমা বিশ্বের যে ভুল ধারণা রয়েছে তার অনেকটাই দুরিভূত হয়েছে। যেখানে আমাদের দেশের আলেম ওলামা ইংরেজি ভাষায় খুব একটা দক্ষতা আজো অর্জন করতে পারেনি। অথচ, মহাগ্রন্থ আল কোরআনের এবং আল হাদিসের বিরুদ্ধে অপব্যাখ্যার জবাব দিতে সহজ হতো যদি আলেম ওলামা ইংরেজি ভাষা চর্চা করত।
(১২) ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউব এসবে উনার লেকচার, ভিডিও এবং আলোচনা মতামত প্রকাশিত হচ্ছে যাতে করে ইসলাম সম্পর্কে বিশ্বময় একটা নতুন ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। আধুনিক এসব সামাজিক যোগাযোগ সাইটে আমাদের দেশের আলেমরা এখনো নবিশ।
(১৩) ইসলাম ও আমাদের ধর্মের সাথে যে অন্য কোন ধর্মের কোন বৈরিতা নাই তা ডক্টর জাকির নায়েক বুঝিয়ে দিয়েছেন তার অনুষ্ঠানে সব ধর্মের, মতের লোকেদের আসার সুযোগ করে দিয়ে। সবাইকে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন। নানান প্রশ্নের নানান যুগ জিজ্ঞাসার জবাব এখানে অনেকেই খুঁজে পাচ্ছেন। যা অত্যন্ত প্রশংসার দাবীদার। আর, আমরা মুসলমানদের সাথে অন্যান্য ধর্মের লোকেদের সম্পর্ক কেমন হবে তার সম্পর্কে ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিয়েছেন তিনি। অথচ, এক্ষেত্রে আমাদের দেশে গ্রামে গঞ্জে ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য দেয়া অনেক বক্তাই ঘৃণা ছড়িয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন ধর্মের লোকেদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে। যা মোটেই কোরআন এবং সুন্নার মতের নয়।
(১৪) আরো অনেক অনেক কারণে এবং সরাসরি চাঁছাছোলা জবাব দেয়ার পছন্দের কারনে আমি ব্যক্তিগত ভাবে ডক্টর জাকির নায়েককে পছন্দ করি।
আমি উনাকে হকের পথেই আছে বলে মনে করি। এটা আমার মতামত। কারো ভালো না লাগলে এটা তার ব্যক্তিগত মত। মনে রাখতে হবে ডক্টর জাকির নায়েক একজন মানুষ।আর, "NO MAN IS ABOVE CRITICISM" তাঁর ভুল আছে থাকবেও এটাইতো স্বাভাবিক।তাই, তাঁর যেসব ভুল আছে যা শরিয়তের সাথে সাংঘর্ষিক সেসব শুধরে তাঁকে লাইনে আনার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
"মনে রাখতে হবে সংশোধনই শ্রেষ্ঠ মাধ্যম ধ্বংস নয়।"
সবাই ভালো থাকবেন।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: আমি প্রিয় সুবিজ্ঞ ব্লগার গণের মতামত আশা করেছি। যদিও আমার পোস্টটি ব্যক্তিগত মতামত ধর্মী তারপরেও কিছু কথা বলার বা পরামর্শ দেয়ার থাকতে পারে। আমরা ব্লগে লিখলেই ডক্টর জাকির নায়েকের কোন উপকার বা অপকার হবেনা। তবে, এই যে ঢালাও ভাবে অপবাদ দেয়ার প্রক্রিয়া তা কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে। ধন্যবাদ সবাইকে।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

প্রামানিক বলেছেন: আপনার ফেসবুকের আইডি বলেন

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ফেইসবুকে আমি তেমন একটিভ না। গড়পড়তা ইউজার বলতে পারেন। শুধুমাত্র বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ আর দেশের খবরাখবর দেখা সেই সাথে পাবলিকের প্রতিক্রিয়াগুলো চেক করি।
ধন্যবাদ।
https://web.facebook.com/ovijatrimoin

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

প্রামানিক বলেছেন: গঠনমূলক লেখা। ধন্যবাদ

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও সময় করে পড়ার ও মতামত ব্যক্ত করার জন্য। ভালো থাকুন। কিন্তু, যে উদ্দেশ্যে লিখেছিলাম তা ব্যর্থ হলো মনে হয়। যাদের সামনে পড়ছে মনে হচ্ছে সবাই জাস্ট বার্ডস আই ভিউ করে পাস কাটাচ্ছে।

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

পবন সরকার বলেছেন: মন্তব্য না করলেও একশ'র উপরে পঠিত হয়েছে। এটাই বা কম কি।

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার উৎব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য। অনেক সাহস পাইলাম। লেখা যেমনই হোক যদি ওই বিষয়ের উপর পাঠকের প্রতিক্রিয়া থাকে তাতে লেখকের অনেক উপকার হয়।সুখে ও সমৃদ্ধিতে নিরাপদে থাকুন।

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪২

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: অসাধারণ, আপনার লিখাটা প্রিয়তি নিলাম। ভাই।

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার মন্তব্যে ধন্য ও উৎসাহিত হ্লাম। ভালো থাকুন।

৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২১

আল্লার বান্দা বলেছেন: মনে রাখতে হবে সংশোধনই শ্রেষ্ঠ মাধ্যম ধ্বংস নয়।
ভালো লেগেছে আপনাকে ধন্যবাদ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:১৯

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার মন্তব্যে আপনাকেও ভালো লেগেছে। দীর্ঘস্থায়ী হোক আমার আপনার আমাদের সকলের এই ভাললাগা ভালবাসা। আমিন।

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সেল্যুট

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২৮

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ সহমতের জন্য। সুখে সমৃদ্ধিতে নিরাপদে থাকুন।আমিন।

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

আহলান বলেছেন: আপনার লেখার শুরুতেই চরম একটি বাস্তবতা উঠে এসেছে। সেটা হলো ইসলাম নিয়ে যাদের গবেষনা বা পড়াশোনা করার সময় সুযোগ কম হয়েছে, উপরোন্ত মাজহাবের মাসয়ালা মাসায়েল মেনে ইসলাম পালনকে ঝামেলা মনে করেন, শর্ট কাট ওয়েতেই সহিহ শুদ্ধ ইসলাম পালনের রাস্তা তাদের কাছে খুব ভালো মনে হয়। যেমন ৮ রাকাত তারাবি পড়া, নারী পুরুষের একই নিয়মে নামাজ আদায় করা, অযু ছাড়াই কোরান শরীফ ধরা, যেখানে এতো সুস্তায় ইসলাম পালনের ব্যবস্থা করা হয়, তাও সহিহ হাদিসের আলোকে, সেখানে কেনো কষ্ট করে ২০ রাকাত তারাবিহ পড়তে যাবে, ওযু করে কোরান ধরতে যাব ... এই কারনেই মিঃ জাকির এতোটা জনপ্রিয় ঐ লেভেলের জনগনের কাছে। কিন্তু যারা ঐ লেভেলের না, যারা ইসলামের আরো গভীরে ঢুকতে চান, আরো সহিহ শুদ্ধ ভাবে তাক্বওয়াধারী হতে চান, তারা জাকিরের এই শর্টকাট ওয়েকে মোটেও পছন্দ করেন না ...তাছাড়া জাকির সৌদি মদদপুষ্ট ওহাবী পন্থী ... যাদের সাথে অনেক আগে থেকেই মাজহাবপন্থীদের বিভেদ রয়েছে। সুতরাং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় তিনি আধুনিকভাবে সফল হলেও বাস্তবে তার অবস্থান সাংঘর্ষিক ...

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য। ডক্টর জাকির নায়েক বিতর্ক আজকের নয়, বহু পুরণো। আমি আপনি বা কয়েকজন মিলে পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নিলেই অবস্থা পালটে যাবেনা।আসুন প্রসঙ্গে আসা যাক,
আমি এই পোস্টের শুরুতে যা বলেছি তা হলো আমাদের নিজেদের ধর্ম নিয়েই গবেষণা করার সময় নেই কীভাবে অপরাপর অন্যান্য ধর্ম নিয়ে গবেষণা করবো? সেই সময় কই? আসলেই কী সময় আছে? কিন্তু, যারা এইসব বিষয় নিয়ে গবেষণা করে তাদেরকে অগ্রগামী মানতেই হবে। সেই দৃষ্টি কোণ থেকে ডক্টর নায়েক এগিয়ে থাকবেন। তিনি মিডিয়া দিয়ে আমাদের ইসলামের প্রচার ও প্রসারে কাজ করে যাচ্ছেন। এই আধুনিক সময়ে ইংরেজি ভাষায় উম্মুক্ত আলোচনা বা বিতর্ক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনেক অপবাদ আর অপব্যাখ্যার জবাব তিনি দিয়েছেন। যেসব বিষয়ে অনেক কুলাঙ্গার ইসলামের অপব্যাখা দিয়ে ইসলামের গায়ে কালিমা লাগিয়েছেন তার প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন। আমাদের দেশের অনেক আলেম উলামা আছেন এখনো ভালো করে মোবাইল ইউজ করতে পারেননা। ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বলতে গেলে বিলো দ্য মার্ক! ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনের জন্য অবশ্যই আপনার ইংরেজি ভাষা জানা আবশ্যক। এদিকেও জাকির নায়েক সাহেব এগিয়ে আছেন। উনার সর্ব ধরণের কমিউনিকেটিভ স্কিল ভালো মানের। কিন্তু, আমরা কোথায়? আমার প্রশ্ন এখানেই। আর এটাই বার্ণিং কোশ্চেন, কি বলেন? আমার আলোচনার মূলসুর এখানেই। আমি অন্য ধরণের বিতর্ক করার জন্য এই পোস্ট লিখিনি।
এবার আসা যাক, আপনার মাজহাব মানা বা না মানার ব্যপারে, আমি হানাফি মাজহাবের অনুসারী এবং আমার মনে হয় (আমার অনুমান) বাংলাদেশের ৭৫% বা আরো বেশী সংখ্যক মুসলমান হানাফি মাজহাবের অনুসারী। এর বাইরে ২য় সংখ্যাগরিষ্ঠ হলো শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী। অন্যানা মাজহাব এবং মাজহাব না মানার দলে কিছু সংখ্যক রয়েছে। আপনার একিউরেইট হিসাব জানা থাকলে জানাবেন।
আমার প্রশ্ন হলো এই যে বিপুল সংখ্যক লোক মাজহাব মানে তা কিসের ভিত্তিতে? নিশ্চয়ই আলেম ওলামাগণ যে যেই মাজহাবের উপর আছেন তাদের অনুসারী হিসেবে আমরা মাজহাব ফলো করি। সত্য করে বলুনতো কত পার্সেন্ট মানুষ জেনে বুঝে তা পালন করে? আমরা শুধু মুখেই বলি মাজহাব মানি কিন্তু কেউ যদি বলে হানাফি মাজহাব ফলো করার কী কী জানা আছে? উত্তর অসম্ভব নিশ্চয়ই। আমি সারা জীবনভর আলেম ওলামাদের আশপাশেই আছি আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে আপনি কেন হানাফি মাজহাব ফলো করেন? আমি কিন্তু বলব বংশ পরম্পরায় দেখে দেখে শুনে শুনে। ঠিক বলিনি? আলেমরাই পৃথিবীর মাঝে বিভেদ আর ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে ইসলাম ও মুসলমানদের পৃথক করে রেখেছে। অথচ, মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত বলেছেন, "তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে আঁকড়ে ধর, আর পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা।" বিচ্ছিন্ন হননাই? ৭৩ দলে?-
http://www.peaceinislam.com/sahriar/3010/
*** ১৭ কোটি বাংলাদেশীর মধ্যে ধরুন ১৪ কোটি মুসলমান, সেখানে রমজান মাসে ৩লক্ষ মসজিদে এভারেজ ১০০ মুসল্লী প্রতিটি মসজিদে উপস্থিত হলে কতজন তারাবী পড়েন? ৩কোটি। আর মহিলা আছে ধরুন আরো ৩কোটি। এই ৩কোটি মুসল্লী যারা জামাতে নামাজ পড়বে সবাই ২০ রাকাতই পড়ে।কেউ জামাতে ৮ রাকাত পড়েছে বলেতো কোথাও দেখিনি বা শুনিনি। এটা গেল যারা নামাজ পড়ে তাদের কথা। যদিও এতগুলো মানুষ নামাজ পড়ে বলে আমার মনে হয়না। প্রথম কয়েকদিন যায়, এরপর আবার মসজিদগুলো খালী হয়ে যায়। এর বাইরে বাকী কত সংখ্যক লোকজন যে কয় ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তাদের হিসাব জানেন? বেনামাজিদের জন্য তারাবী কয় রাকাত হলো বা না হোল তাতে কিছুই এসে যায়না। যারা নামাজ পড়ে তারা ২০ রাকাতই পড়ে। সুতরাং কে কী মতবাদ দিল তাতে নামাজিদের কিছুই আসে যায়না। আর, ৮ রাকাত তারাবী জায়েজ সেটাতে কোন সন্দেহ আছে?
*** যে ব্যক্তি পবিত্র কোরআন পড়ে সে অবশ্যই অজু অবস্থায়ই ধরে ও পড়ে।অজু ছাড়া কোরআন ধরা যাবে না? রেফারেন্স দেন। যার এই পবিত্র গ্রন্থের প্রতি শ্রদ্ধা আছে সে অবশ্যই তা মান্য করবে। সে মানতে বাধ্য।
পরিশেষঃ মানার নামই ধর্ম, আপনি আমি অনেক জানি কিন্তু মানিনা সেটা ধর্ম নয়।ধর্মের রীতিনীতি পদ্ধতি শরয়ী বিধান কে বা কারা জানে? যারা পরেছে শরিয়ত তারাইতো, না কী? সবাই শরিয়ত জানে? জ্ঞানের বা গবেষণার গভীরে কয়জন যাইতে পারে? হাতে গূনে বের করা যাবে। সেই সামান্য কয়জনকে দিয়ে সমগ্র সাধারণকে মাপতে পারবেননা।
ডক্টর জাকির নায়েক মানুষ। তার ভুল আছে। ভুল শুধরিয়ে সঠিক পথে আনা যাবে। একশ্রেণির আলেমরা আছে শুধু বিরুদ্ধাচারন নিয়ে সমন্বয় বা সংহতি সাধনের ইচ্ছা নাই। শুধুই ত্যানা প্যাঁচায় কিন্তু জট ছড়ায়না। আমি ঐসব ত্যানা প্যাচাইন্যা আলেমদের ব্যাপারে বলেছি, "ডক্টর জাকির ইজ বেটার দ্যান হেটার।"

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

আপনার আপন বলেছেন: @ AHLAN.......... thanks excellent writing.

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৩

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ব্রাদার আপনার আপন@ আই অলসৌ সেলিউট টু ডক্টর জাকির নায়েক। আই হোপ, ইউ ক্যান গো থ্রু দ্য রাইটিং এভাব এগেইন দেন ইউ ক্যান রিপ্লাই মী। আই ডোন্ট হ্যাভ এনি ইন্টেনশন টু মেইক এনি আর্গুমেন্ট উইথ ইউ। থ্যাংকস টু কমেন্টস ফর দ্য ফেভার অব ব্রাদার আহ্লান। উইশ ইয়্যু বেস্ট অব লাক।

১০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৫

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: http://www.peaceinislam.com/sahriar/3010
ভাই আহলান@ আপনি উপরের এই লিংকটি ব্রাউজ করে দেখতে পারেন ধন্যবাদ।

১১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

আহলান বলেছেন: জনাব মঈনুদ্দিন , দেখলাম। তবে অনলাইন ঘাটলে মাজহাবের পক্ষে লিখিত এমন অনেক লিঙ্ক কিন্তু আপনিও পাবেন। আমি সেই পথে যাচ্ছি না। একটা জিনিষ শুধু বলি, দেশের সবাই কিন্তু একই সিলেবাসে লেখা পড়া করে। তারপরেও আপনি আদমজীর ছাত্র হয়ে শাহীনের ড্রেস পরে কিন্তু আদমজীতে ক্লাস করতে অনুমতি পাবেন না। পড়েন কিন্তু একই বই, ফলো করেন একই সিলেবাস। মাজহাব কিন্তু এক ইসলামকে ভেঙে খন্ড খন্ড করেনি। বরং ইসলাম পালনকে পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী সহজ করেছে। আপনি যে কোন একটি পালন করতে পারেন। বা হাদিস কোরআন ঘেটে যদি আপনি মাসলা মাসায়েল বের করে নিতে পারেন, তবে আপনার নিজের এলেমই যথেষ্ট, আর কারোর মাজহারব আপনার মানার দরকার নাই। তবে সেই এলেম কি আমাদের আছে কিনা, সেই জ্ঞ্যান দিয়ে আরেকজনকে চালিত করতে পারি কিনা, সেটাও বিবেচ্য বিষয়। আপনি সুরা ফাতেহার পর আমিন জোরেও বলতে পারেন, আস্তেও বলতে পারেন, দুটির ব্যপারেই হাদিস আছে। তবে আপনি যে কোন একটি ফলো করলে সমাজে শৃঙ্খলা বজায়ে তাকে। কোন কোন মাজহাবে কাকড়াও খাওয়া জায়েজ আছে, আপনি ইচ্ছা করলে সেই মাজহাবও ফলো করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে সেই মাজহাবের অনুসারীই হতে হবে। আপনি হানাফী মাজহাবের অনুসারী হয়ে কাকড়া খেলে সেটা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
পরিশেষে বলি মাজহাব ইসলামকে বিভক্ত করেনি, পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী সমাজে সুশৃঙ্খলভাবে ইসলামকে পালনের রাস্তা বের করে দিয়েছে। এটা আমার নিজস্ব মত। আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুন। আমিন!

১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০৪

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ আহলান ভাই আপনার সুন্দর সুচিন্তিত মতামতের জন্য। আমি কোন মাজহাবের বিরোধীও না আবার মাজহাব মানিও কিন্তু না বুঝে ঐ যে বললাম দেখেছি শুনেছি কিন্তু কতটুকু বুঝেছি তাইনা? আমরা আলেমদের ফলো করি তাঁরা আমাদের যাই বলেন আমরা তাই ফলো করি। সুতরাং আলেমদের ভিতর কেন মতভেদ? এই ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে সাম্যের মিছিলে এক হইতে হবে। আর, আমার শ্লোগান ও এখানেই। সারা জিন্দেগী ভর ইমাম আবু হানিফা (র) এর অনুসারী হিসেবেই নিজেকে দেখেছি এখনো তাই আছি। কিন্তু এর মানে এই নয় যে আমি সব বুঝে শুনে করছি।
এই নিয়ে বিতর্কে যেতে চাইনা,কারণ-"বিশ্বাসে মুক্তি তর্কে বহুদূর।" আসুন বিশ্বাস ঠিক রাখি। পাশাপাশি ছোটখাট সংকীর্ণতা ভুলে সবাই এক কাতারে শামিল হই। অন্যের ভুল শুধরিয়ে দিয়ে তাঁকে আমাদের দলভুক্ত করি। কাউকে দূরে সরিয়ে দিয়ে সমাধান হয়নারে ভাই। তদ্রুপ, আমরা ডক্টর জাকির নায়েকের আকিদা ও মতভেদ জাতীয় যত বিতর্কিত বিষয় আছে সেগুলোকে সংশোধনের পাল্লায় রেখে উনার শক্তি, ইমেজ, মেধা, বুদ্ধি, প্রযুক্তি, জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার সাথে ইসলামের বড় বুযুর্গ যাঁরা রয়েছেন সবার ঐক্যমতকে কাজে আগিয়ে দ্বীন ইসলামের শক্তিকে আরো সুসংহত করি।
ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

১২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪০

আহলান বলেছেন: ভাই লেখক, আপনি অজু ছাড়া কোরআন ধরা যাবে না? রেফারেন্স চেয়েছেন। আপনি নিজেই তো অজুর পক্ষে অনেক বড় যুক্তি দিয়েছেন। আবার রেফারেন্স কেন? কোরআন পড়া মানে আল্লাহর সাথে কথা বলা। আল হাদিস। বিনা অজুতে আল্লাহর সাথে কথা বলবেন? হযরত উমরের (রাঃ) এর ইসলাম গ্রহণের কাহিনীটা পড়লে বুঝতে পারবেন পবিত্রতা ছাড়া এই কোরআন ধরা যায় কিনা। আমার একটি পোষ্ট আছে। ভালো লাগলে পড়বেন।

১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৫

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: সিচুয়েশনের উপর ডিপেন্ড করবে অজুর প্রয়োজনীয়তা। অবশ্যই অজু দিয়েই কোরআন হাদিস অধ্যয়ন করতে হবে। কিন্তু, প্রশ্ন ছিল ধরতে পারবে কী না? উমর রাঃ ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পূর্বে তাঁর নাপাকি অবস্থার জন্য তাঁকে ধরতে নিষেধ করা হয়েছিল। শরীর যদি পাক থাকে এবং কোরআন শরীফের উপর গীলাব বা কভার থাকে তবে তা স্পর্ষ করা যাবে। এবং স্পর্ষ না করে পড়াও যাবে। বিভিন্ন আলেম ওলামাদের মূখে এভাবেই শুনে আসছি বহু বহু বছর যাবৎ। যদি পানি থাকে অজু করার ব্যবস্থা থাকে তবে অবশ্যই অজু করেই কোরআন ধরবে। কিন্তু, পানি না থাকলে তায়াম্মুম করে হোলেও পারবে। এরকমই শুনেছি। অজু বিহীন ধরলে শরিয়তের তেমন কিছু ক্ষতি হয়না তবে, আদবের বরখেলাপ হয়। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

আহলান বলেছেন: জ্বি জনাব, অজুর/কোরআন ধরার ব্যপারে যা বল্লেন আমিও এমনটাই জানি। তবে জাকির নায়েক এভাবে ব্যাখ্যা করে কিন্তু লেকচারে বলেন না। এটাই সমস্যা। উনি ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে মুসলমানদেরকেই বিভক্ত করে ফেলছেন। উনি বলেন সিচুয়েশন ডিম্যান্ড আত্মহত্যাও জায়েজ। হয়তো এই কারণেই নিব্রাসদের মতো ছেলে প্রেমে ছ্যাকা খেয়ে জঙগি বনে আত্মাহুতি দেয়! কোন হাদিসের আলোকে তিনি সুইসাইড এ্যাটককে জাইজ করলেন, সেটাই বোধগম্য হয় না। উনি ইসলামের কথা বলতে পারেন, কিন্তু মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়া দেয়া বা চার মাজহাবের চার ইমাম যে ফতোয়া দিয়ে গেছেন, তার ভুল ধরার মতো ধৃষ্টতাকে কোনভাবেই সমর্থণ করা যায় না। সদ্য প্রয়াত ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, যিনি জন্মগত ভাবে হানাফী ও আদর্শগত ভাবে আহলে হাদিস ছিলেন, তিনিও বলেছেন জাকিরের সব কথা মেনে নেয়ার মতো নয়। তাক্বলিদ করার মধ্যেই মুক্তি। নিজে নিজে কিছু করা খুবই কঠিন। ইজতিহাদ করা এতো সহজ কাজ নয়। যাযাকাল্লাহু খাইরান ....

১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৬

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ভাই আহলান, আপনার কথা আমি অক্ষরে অক্ষরে বুঝেছি। কিন্তু, আপনাকে একটা ডিসিসানে আসতে হবে, সেটা হলো-ডক্টর জাকির নায়েকের জন্য আপনার কী ফরমান? উনাকে কী ডেমুলিশ করে দিবেন না কী শুধরানর সুযোগ দিবেন? যদি তাকে শুধরানো যায় এবং তাঁর মেধা, প্রযুক্তি ও মিডিয়াকে দ্বীনের খাতিরে ব্যবহার করা যায় তবে প্রকারান্তরে ইসলামেরই উপকার হবে। এতে আপনি দ্বিমত পোষণ করলে আমার কিছু বলার নাই। আর, যদি মনে করেন না উনার সকল আচরণ আর কাজ অন্যায়, শরিয়ত বিরোধী তবে পৃথিবীতে সৃষ্ট ৭৩ ফিরকার ব্যপারে একটা সিদ্ধান্ত জানাবেন।পারবেন সব ফিরকার ফিতনা শেষ করে এক ও অভিন্ন হতে? সব শ্রেণির আলেম ওলামা এক হতে পারবেন? যদি না পারেন তবে আর তর্ক করার প্রয়োজন নেই। কারণ, আপনারা আলেমরাই সেই ৭৩ ফিরকা তৈরি করে ইজতিহাদ করার ক্ষমতা সম্পন্ন ২% এর দায় ৯৮% এর ঘাড়ে চাপাচ্ছেন!
ডক্টর জাকির নায়েক ফতওয়া দেয়ার কে? উনি উনার মতো বলে যাচ্ছেন যতটুকু রিসার্চ করে বুঝেছেন তাঁর উপর। কিন্তু, আপনারা কী দায়মুক্ত হয়ে গেলেন শুধু তাঁর বিরোধিতা করে, বিষোদ্গার করে? এটা সম্পুর্ণ ভুল থিউরি। আপনাদের সবার দায়িত্ব হলো জাকির নায়েকের সাথে এই বিষয়গুলো নিয়ে বসা এবং তাঁর ভুল ধরিয়ে দিয়ে একটা গাইডলাইন দেয়া। যদি তা না পারেন আমি বলবো আপনাদের নৈতিক যোগ্যতা নেই তাঁর বিষয়ে কিছু বলার।
আমি আবারো বলছি আল্লাহর ওয়াস্তে সব ধরণের মতবাদ ভুলে এক কাতারে আসেন।আমরা যারা ডক্টর জাকির নায়েকের ভক্ত দাবী করছি উনার বিষয়ে জ্ঞাতসারেই করছি। অন্ধ বিশ্বাস বা ভক্তি নয়। আমরা চাই ডক্টর জাকির নায়েক তাঁর আইআরএফ এবং এই উদ্যোগ দ্বীন ইসলামের জন্য কোরবান হোক।আমিন। জাযাকাল্লাহু খাইরান।

১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

আহলান বলেছেন: ভাই আপনি অজু ছাড়া কোরআন স্পর্শ না করার ব্যপারে রেফারেন্স চেয়েছিলেন। হাদিস গ্রন্থের অন্যতম বিশুদ্ধ গ্রন্থ ইমাম মালিক (রাঃ) কর্তৃক সংকলিত মুয়াত্তা শরীফের প্রথম খন্ডের ২৬০ নং পৃষ্ঠাটি আপনি দেখে নিতে পারেন। তথ্য শেয়ার করার জন্য বল্লাম। কোন আর্গুমেন্ট বা তর্ক বিতর্কের জন্য নয়। ধন্যবাদ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:১৬

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: জাজাকাল্লাহু খাইর। ধন্যবাদ আপনার রেফারেন্সের জন্য। আমি জানি এবং তা মানি। বিতর্ক আমিও চাইনা। বিশ্বাসে মুক্তি তর্কে বহুদূর। ইনশা-আল্লাহ্‌, দেখে নেব। ভালো থাকুন।

১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৯

সম্রাট৯০ বলেছেন: আমার ভালো লাগে এটা ভেবে যে - যারা মেধা শূন্য তারা জাকির নায়েকের বিরোধ করে,

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্য ও সহমতের জন্য। ডক্টর জাকির নায়েকের বিরোধীতা করার অনেকগুলো মূল কারণের মধ্যে এটাও একটা কারণ বটে। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.