নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য আর মিথ্যাকে এক করি না। যারা অসত্য দিয়ে সত্যকে ঢাকতে চায়; তাদের সঙ্গ ধরি না। নতুন যে কোন কিছু শিখতে ভালো লাগে। কেউ কিছু শিখতে চাইলে সম্ভব সাধ্যমতো চেষ্ঠা করি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক জ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে চাই।

মোঃ মঈনুদ্দিন

নিঃসঙ্কোচে গাহিব সত্য ন্যায়ের গান। সত্য আর সুন্দরের সেবক। মা, মাটি আর দেশকে ভালবাসি।

মোঃ মঈনুদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেসরকারী বলেই কী বেদরকারী?

১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:০২

:( আমরা ৫ লক্ষ বেদরকারী X((
মোঃ মাঈনউদ্দিন


প্রিয় ব্লগ সহকর্মীবৃন্দ সবাইকে সালাম/আদাব আর উষ্ণ শুভেচ্ছা।আজ আমি যে বিষয়টি এখানে শিরোনামে উল্লেখ করেছি তা নিয়ে হয়তো ব্লগে অনেকের কাছে অর্থহীন, গুরুত্বহীন মনে হতে পারে। আবার অনেকের মনে খচ্‌ খচ্‌ করে বিঁধতে থাকা অসংখ্য প্রশ্নগুলোর মধ্যে একটি অমীমাংসিত প্রশ্নও হতে পারে। তবে এটা আমি এবং আমার মতো বাংলাদেশের আনাচে কানাচে যুগ যুগ ধরে বৈষম্য আর বঞ্চনার কষ্ট সয়ে যাওয়া হাজারো লাখো বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাণের দাবী বলেই এর অবতারণা করেছি। জানি এতে হয়তো কোন লাভ হবে না তবুও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি হাজারো ব্লগারের প্রিয় ব্লগে শেয়ার করছি যদি প্রতিকারের কোন ধারণা পাই কারো কাছ হতে। প্রিয় সকলে, সামহয়্যারইনব্লগের মতো এত বিশাল প্ল্যাটফর্মে আমি নগণ্য সাধারণ একজন সদস্য। কোন কিছু সুন্দর আর গুছিয়ে লেখার মত দক্ষতা আমার নেই। যদি লেখায়, তথ্যে বা দাবীতে কোন ভুল থাকে তা শুধরিয়ে একটা ভালো বুদ্ধি বা পরামর্শ দিবেন এ প্রত্যাশা রইলো।

***এই ব্যানবেইস জরিপ প্রমাণ করবে বাংলাদেশে শিক্ষা বিভাগে অবদান কার বেশী? সরকারী না কী বেসরকারী?



ছবিগুলোর অরিজিনাল ক্রেডিটঃ বে-শিক্ষক আন্দোলন পেজের সদস্য সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ।

(১) শিক্ষার মানোন্নয়নে জাতীয়করণই একমাত্র স্থায়ী ও টেকসই সমাধানঃ


(২) সব এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একসাথে এমপিও চাইঃ


(৩)


(৪) আর এটা?


(৫) এই আহাজারীটাও তো কিছু বলছে----


(৬) কবিতায় আক্ষেপ!!


(৭) এরকম নিষ্ফল আন্দোলন চলতেই থাকবে?


(৮) আর শিক্ষক নেতারা আর তাদের আখের গোছানোর সব সংগঠনগুলোর কার্যক্রম এভাবে চলতেই থাকবে? শুধু নিজেদের স্বার্থই দেখবে?


উপরে প্রদর্শিত ছবি ও এসবের বিষয়গুলো প্রমাণ করে বাংলাদেশে বেসরকারী শিক্ষকবৃন্দ অবহেলিত, নির্যাতিত আর নিষ্পেষিত। যদি তাই না হবে তাহলে দেশের ১৭ কোটি মানুষের শিক্ষার উন্নয়নে যে সকল শিক্ষক-কর্মচারি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন; যাদের ৯০% ই বেসরকারী, তাদের বেতন-ভাতা, পেনশন, ইনক্রিমেন্ট, প্রমোশন, টাইমস্কেল, উৎসবভাতা সবকিছুতেই কেন এতো বৈষম্য? এর জবাব কে দেবে?

** শিক্ষামন্ত্রী?


** শিক্ষা সচিব?


** অর্থমন্ত্রী?


*** না কী সরকার?


আর এসবে যদি কিছুই না হয় তাহলে বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ সংবাদ কে পৌছাবে?


নিশ্চয়ই আমাদের প্রিয় দেশের প্রধান আইকন প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সম্পুর্ণ অজ্ঞাত!!!

*** দেখুন দৈনিক যুগান্তরে এক শিক্ষকের রিপোর্টঃ

বেসরকারি শিক্ষকদের জাতীয়করণ করুন
এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। শতকরা নব্বই ভাগ শিক্ষক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরলসভাবে পাঠদান করছেন। বর্তমানে সরকারি বেতন স্কেল দ্বিগুণ হয়েছে। এতে শিক্ষকরা খুশি; কিন্তু অন্যান্য ভাতা যৎসামান্য। ইনক্রিমেন্টও নেই।
এমতাবস্থায় যদি শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষার্থীদের বেতন নির্ধারণ করা হয় এবং টাকাটা সরকারি কোষাগারে নেয়া হয়, তাহলে শিক্ষকদের জাতীয়করণের আওতায় আনা কোনো সমস্যাই হবে না। বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জাতীয়করণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
পরবর্তীকালে তারই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জাতীয়করণ করেন। সরকারের এ পদক্ষেপ যুগান্তকারী। এরই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জাতীয়করণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর শুভদৃষ্টি কামনা করছি।
বাসুদেব বসু
বাশুড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়, মুকসুদপুর, ফরিদপুর


নীচের এ বিষয়গুলো বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য কতটুকু হীতকর বা অহিতকর আপনারাই ঠিক করুন-
*** প্রতি মাসে প্রাপ্ত ভাতা প্রদানে বিলম্ব আর গড়িমসি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
*** এমপিও নিয়ে তামাশা।
*** চরম অবমাননাকর আর হাস্যকর ইনক্রিমেন্ট যা ৩০ বছর চাকুরী করলেও বৃদ্ধি হয় না।স্কেল স্টার্টিং আর ফিনিশিং একই থাকে ইনক্রিমেন্ট দ্বারা কোনই চ্যাঞ্জ হয় না।
*** ঈদ বোনাস নিয়ে চরম অপমান আর অবজ্ঞা প্রদর্শন।
*** বেসিক ভাতার সাথে অন্যান্য আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি না হওয়া।
*** উচ্চততর ডিগ্রীধারীদের কোন সম্মাননার সুযোগ না রাখা।

কেন এই বৈষম্য? কেন এই অপমান? কেন এই বঞ্চনা? জবাব কী আপনার বা আমার কাছে আছে?
আমি সবটা বললাম না!! আপনারাও কিছু বলবেন??

নোটঃ ছবি কার্টিসি-ফেইসবুক ও ইন্টারনেট। দৈনিক যুগান্তর। ধন্যবাদ বে-সরকারী শিক্ষক জাতীয়করণ আন্দোলনের সকল শিক্ষক।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

সাহিদা সুলতানা শাহী বলেছেন: একজন বেসরকারী কলেজের প্রভাষক দুঃখ করে বেসরকারী কলেজকে বেদরকারী কলেজ বলেছিলেন!

১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৬

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: যথার্থই বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। মাথা ঠিক মতো কাজ করছিলোনা তাই গুছিয়ে পোস্টটি তৈরি করতে পারিনি। আসলে এসব বাকোয়াজ পোস্ট দিয়ে কিছুই হবে না। কেহই এতে কান দিবে না। কারণ, দেশ এখন চরম উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে আর উন্নয়ন ফিভারে অনেকেই কাঁপছে। কী আর বলব? কিছুতেই কিছু হবে বলে মনে হয় না। ভালো থাকুন।

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১২

সাহিদা সুলতানা শাহী বলেছেন: অথচ জাতীয় উন্নয়নে সবার আগে শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া দরকার। যা সরকারের লোকদের মাথায় ঢুকেনা। উন্নতরাষ্ট্রে শিক্ষকদের অনেক কদর।

১২ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৭

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ১০০% সত্যি! সুইটজারল্যান্ডে শিক্ষকের বেতন ঐ দেশের প্রেসিডেন্টের চেয়েও বেশী। চীনে সর্বোচ্চ সম্মানিত ব্যক্তি শিক্ষক। তেলআবিবে ১০০০ জনকে জিজ্ঞাসা করে জবাব পাওয়া গেছে সবাই শিক্ষক হতে চায়। আর আমাদের দেশের শিক্ষা আর শিক্ষক দুই সর্বনিম্ন দামের জিনিস।হায়! আফসোস! ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
কেন এই বৈষম্য? কেন এই অপমান? কেন এই বঞ্চনা? জবাব কী আপনার বা আমার কাছে আছে?
আমি সবটা বললাম না!! আপনারাও কিছু বলবেন??


আশা করি, সরকার আপনাদের সব দাবী মেনে নিবেন ।

১২ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার আশাবাদ ব্যক্ত করে মনব্যের জন্য। তবে মনে হয় সব আশার গুঁড়ে বালি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.