নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য আর মিথ্যাকে এক করি না। যারা অসত্য দিয়ে সত্যকে ঢাকতে চায়; তাদের সঙ্গ ধরি না। নতুন যে কোন কিছু শিখতে ভালো লাগে। কেউ কিছু শিখতে চাইলে সম্ভব সাধ্যমতো চেষ্ঠা করি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক জ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে চাই।

মোঃ মঈনুদ্দিন

নিঃসঙ্কোচে গাহিব সত্য ন্যায়ের গান। সত্য আর সুন্দরের সেবক। মা, মাটি আর দেশকে ভালবাসি।

মোঃ মঈনুদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

OVERCROWDED CLASS ROOM\'\' এ দায় কার?

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১২

OVERCROWDED CLASS ROOM'' কীভাবে একজন শিক্ষক শ্রেণিতে সফলভাবে পাঠ দান করেন!!


[

১। স্কুলে ছাত্র ছাত্রী ৩০০০ প্লাস।
২। বিদ্যালয়ের মোট কক্ষ সংখ্যা ২২/২৩ [অফিস, শিক্ষক মিলনায়তন, বিজ্ঞানাগার [যদিও এটা নামে মাত্র কার্যক্ষেত্রে এটার অস্তিত্ব নাই বললেই চলে], প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, লাইব্রেরী ইত্যাদি সহ।]
৩। শ্রেণিকক্ষ ১৭/১৮টি।
৪। এমপিও ভুক্ত শিক্ষক ১২ জন।
৫। প্রাতিষ্ঠানিক বেতনে শিক্ষক ১১/১২ জন।
৬। অপরিসর শ্রেণিকক্ষ। [শ্রেণি ছাত্রছাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৬০/৭০ জন]
৭। ক্লাস ডিউরেশন- ৩৫ মিনিট
৮। প্রতি ক্লাসে ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহণ ১৫০-১৬০ জন। কোন কোন শ্রেণিতে আরো বেশী সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি।
৯। শাখা অনুমোদন নেই অর্থাৎ শাখা শিক্ষক বিহীন এমন প্রতিষ্ঠান।
১০। কোন ধরণের প্রশিক্ষণ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বেতনে কাজ করা শিক্ষকের প্রাধান্য।
১১। প্রচলিত 'চক-ডাস্টার' শিক্ষা উপকরণ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।
১২। বিদ্যালয়ে সাংবাৎসরিক নানা কর্মকান্ডের ভিড়ে সীমিত সংখ্যক ক্লাস কার্যক্রম।
১৩। পাবলিক পরীক্ষা কেন্দ্র! [ দুই মাস ক্লাস পন্ড]
১৪। অবৈজ্ঞানিক সিলেবাস!! শিক্ষার্থীর বয়স ও গ্রহণ ক্ষমতা বিবেচনায় না রেখে প্রচলিত বৃহৎ সিলেবাস।
১৫। ১৫-১৬ টি পাঠ্য বই। [সাথে সহপাঠ]
১৬। আরো নাম না জানা নানা সমস্যা।

এসবের বাইরে অপেশাদার মনোভাবের অশিক্ষক শিক্ষকের অনুপ্রবেশ, ক্লাসে পাঠদানে অবহেলা, ক্লাস টাইমের বাইরে পাঠদানের সুযোগ স্থলে নিজে খুব মেধাবী এবং চৌকশ শিক্ষক এরুপ সক্ষমতার প্রকাশ।
সব মিলিয়ে এ অবস্থার শিকার বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীরা কীভাবে শিক্ষা গ্রহণ করছে? আর কতটুকুই বা উপকৃত হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা শিক্ষা বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তি বা সরকারের এ বিভাগের চৌকশ নজরদারীর প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।

"শিক্ষক-ছাত্র-অবিভাবক" এ ত্রয়ীর মিলনে কীভাবে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো বেশি বেশি লাভ ঘরে তুলতে পারে তার দিকে সংশ্লিষ্ট সকলের গভীর মনোযোগ দেয়া দরকার।
কিন্তু,
৩৫ মিনিটের ক্লাসে ১৫০ প্লাস ছাত্র ছাত্রীদের কোন পদ্ধতিতে পড়িয়ে খুব বেশী শিক্ষিত করে গড়ে তুলছি? আমার এ অবলা সন্তান কীভাবে কোন উপযুক্ত পরিবেশ পাচ্ছে এরকম ক্রাউডেড ক্লাস থেকে কেউ জানলে বলবেন?

নোটঃ বাংলাদেশে অধিকাংশ বিদ্যালয় গুলোতে এ চিত্র বিদ্যমান গুটিকয়েক বাদে।
সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসিয়ালরা ট্রাডিশনাল রুটিন চেক ছাড়া ভালোভাবে কোনরূপ তদারকি করছেন তা উপরের পয়েন্টগুলো থেকে সহজেই অনুমানযোগ্য।

এখন বিচার আপনারাই করুন।
নোটঃ ছবি ইন্টারনেট।
লেখাটি আমার ফেইসবুক পোস্ট থেকে নেয়া।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৫

প্রামানিক বলেছেন: ১৪। অবৈজ্ঞানিক সিলেবাস!! শিক্ষার্থীর বয়স ও গ্রহণ ক্ষমতা বিবেচনায় না রেখে প্রচলিত বৃহৎ সিলেবাস।

এই সমস্যাটির কারণে ছেলেরা পড়াশোনায় কোণঠাসা হচ্ছে। মাথায় ধরে না তারপরেও পরীক্ষায় পাশের জন্য অন্ধের মত পড়তে বাধ্য হয়।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন? বহুদিন পর ব্লগে ফিরলাম। লিখেছিলাম ফেইসবুকের পোস্ট পরে ভাবলাম প্রিয় ব্লগেই দিয়ে দিই। পোস্ট পাবলিশ করার পর ঘুমিয়ে পড়েছি আর সারাদিন নানা রকমের কর্ম ব্যস্ততার মাঝে প্রতিউত্তরের সময় পাইনি। অনিচ্ছাকৃত বিলম্বের জন্য ক্ষমা চাইছি।।
আপনার কথা শতভাগ সত্য। শিক্ষার্থী এতগুলো পাঠ্যবই কয়দিনে পড়ে শেষ করবে? বৎসরে কয়টি ক্লাসদিবস আছে তা যেমন আমাদের শিক্ষাবিদদের জানা নেই তেমনি অপ্রয়োজনীয় বই দিয়ে ম্যারাথন আর অগোছালো সিলেবাস দিয়ে কোমলমতি বাচ্চাগুলোকে পাগল বানিয়ে দিচ্ছে।। অথচ আফসোস এর থেকে কোন পরিত্রাণ আমাদের কারোরই জানা নেই।।
ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ধন্যবাদ। এমন একটি বিষয় তুলে আনার জন্যে।

এখানে শিক্ষকদের মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। আমাদের দেশে দেখা যায়, ব্যাচেলর পাশ করেই একজন ছাত্র শিক্ষকের মর্যাদা পেয়ে যান। অথচ, শিক্ষার্থী পড়াতে যে প্র্যাক্টিক্যাল জ্ঞানের প্রয়োজন হয়, তা শিক্ষকদের থাকে না। ফলে, উনারা নিজেরা বই থেকে পড়ে এসেছিলেন, তা'ই আবার ছাত্রদের মাঝে ছড়িয়ে দেন। নতুন কিছু দিতে পারেন না। ফলে, জ্ঞান একই আবর্তে থেকে যাচ্ছে। বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণামূলক কোন কিছু হচ্ছে না যাতে শিক্ষকদের মান বৃদ্ধি পায়।

আরেকটি বিষয় আপনি বলেছেন- ১৫-১৬ টি পাঠ্য বই।

এটার সাথে একটু যোগ করি। যে বইগুলো নেওয়া হয়, তা সবই বাইরের লেখকদের লেখা। ফলে, বাংলাদেশের আঙ্গিকে খুঁজে পাওয়া যায় না কোন উদাহরণগুলো।

একটা উদাহরণ দেই।

আমরা যখন বিবিএ, পড়তাম, আমাদের কোটলারের বই পড়তে দেওয়া্লেছেন-তাতে, সব উদাহরণই ছিলো বাইরের দেশের। আমাদের দেশের কোন কিছুই পাওয়া যেতো না তাতে। শিক্ষকরাও আমাদের উদাহরণ দিতেন শুধুই বই থেকে। ফলাফল? মূখস্থ বিদ্যা।

অথচ, বাইরের দেশে উচ্চ শিক্ষা নিতে গিয়ে দেখেছি পড়াশোনাকে কত মজার করে তোলা যায়।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৪

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: দেরিতে উত্তরের জন্য আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চাইছি।
ধন্যবাদ আমার পোস্টে আপনার সুন্দর আর যুক্তিযুক্ত আরো কিছু বিষয় তুলে আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য। আপনার কথা সঠিক। মাত্র ইন্টার বা বিএ পাশ করলো আর সাথে সাথেই দেশে শিক্ষক সংকটে ধুঁকতে থাকা প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক বেতনে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে নিজের ধ্যান-জ্ঞান বিতরণে ব্যস্ত হয়ে গেলো। কিন্তু সদ্য পাশ করা একজন লোক শিক্ষকতার মতো জঠিল কাজে সহসাই প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের যা দিচ্ছে তা কতটুকু মানসম্মত তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
১৫-১৬টি পাঠ্যবই থেকে শুধু উত্তর মুখস্থ করার অসুস্থ্য প্রতিযোগীতা।
পাঠ্য টপিকস বিদেশী ঘটনায় পূর্ণ।
ইংরেজি ভাষা চর্চা করতে গিয়ে মাতৃভাষা বাংলাকে পাশ কাটানো।
ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র মিলে ৯০ নম্বরের রাইটিং আইটেম যা শিক্ষার্থীরা সব সময় গলধঃকরণেই ব্যস্ত থাকে। এমনকি সৃজনশীল পদ্ধতিতে সাজানো পাঠ্যসংস্লিষ্ট বিষয়গুলো নিজে না বুঝে শুধু মুখস্থ করার তালে থাকে। ফলাফল? জিরো। আর এ অখাদ্য গিলিয়ে বোকা দেশবাসীর কাছে উনারা হিরো!!
উন্নত বিশ্বে বাস্তব জ্ঞান যা আয় রোজগারে কাজে আসবে তাই শিখানো পড়ানো হয়। আর আমাদের দেশে একগাট্টি সার্টিফিকেট ধারী বেকার তৈরি করা হয়। বইয়ের বিষয় জ্ঞান কদাচিৎ কাজে লাগাতে পারে এখানে।

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৩২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: স্কুলের উপর কয়জনই বা নির্ভর করে। সবাই তো বাসায় শিক্ষক না হয় কোচিং-এর উপর...

১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৪

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ আমার পোস্টে আপনার সুন্দর যুক্তিযুক্ত এবং বাস্তব সত্য মন্তব্যের জন্য। একজন শিক্ষার্থী ক্লাসে কিছু পাচ্ছে এরকম পরিবেশ দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই বললেই চলে। ১৫০-১৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস। এখানে কোন কৌশল অবলম্বন করে ৩৫-৪০ মিনিটের ক্লাসে কোন একটা পাঠ্য সংলিষ্ট বিষয়ের অজানা অংশের মোড়ক উম্মোচন করবেন? ফলাফল? ক্লাস নয় কোচিং। বর্তমানে চালু হওয়া এ ট্রেন্ড থেকে নিস্তার আপাতত নাই বলেই মনে হয়।।
ক্লাস থেকে একজন শিক্ষার্থী তার হিডেন গিফট গুলো পাচ্ছেনা বলেইতো শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মাঝে বন্ডেজ হচ্ছেনা গুরুশিষ্যের।
ভালো থাকুন।

৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মৃত্যূর দ্বারপ্রান্তে | এতে কারো বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা আছে বলেও মনে হয় না, কারণ প্রাইভেট শিক্ষক, কোচিং সেন্টার তো আছেই | শিক্ষা খাত খুবই অবহেলার শিকার | মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা প্রদান করতে পারলে বাংলাদেশ ভারতের মতোই দক্ষ জনশক্তি রপ্তানিতে অনেক এগিয়ে থাকতে পারতো তা বোঝার ক্ষমতা রাজনীতিবিদদের আছে বলে মনে হয় না |

১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৩

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।। প্রাইভেট কোচিংতো মহামারী আকার ধারণ করেছে। একটা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র অনুপাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক না থাকার কারণে অনুপ্রবেশ ঘটছে প্যারাটিচারদের। প্রাতিষ্ঠানিক বেতনের ঐসব শিক্ষক স্বল্পবেতনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নিয়ে থাকেন। আর ক্লাস টাইমের বাইরে আরম্ভ করে দেন প্রাইভেট-কোচিং বাণিজ্য। স্থায়ী শিক্ষকদের চেয়ে অস্থায়ী এসব শিক্ষকরাই কোচিং বাণিজ্যে জড়িত বেশী। সরকার এ দিকে কোন মনোযোগই দিচ্ছেনা। একটা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী অনুপাতে শিক্ষক থাকতে হবে কিন্তু জনবল কাঠামোর অবৈজ্ঞানিক আর অসুস্থ্য নীতির কারণে দেশের তাবৎ শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে; মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ দায় কার?
ভারত থেকে বাংলাদেশ শিক্ষা নেয়ার তালে নেই। না হলে আমাদের এ দৈন্যদশা বহু আগেই বিলীন হয়ে যেতো।

৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২১

করুণাধারা বলেছেন: ক্লাস স্কুল এসব নিয়মরক্ষা করার জন্য। লেখাপড়া হয় কোচিংয়ে। তাছাড়া প্রশ্ন তো ফাঁস করাই হচ্ছে- সুতরাং ওভার ক্রাউডেড ক্লাসরুম হলে অসুবিধা নাই।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৫

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ তিক্ত কিন্তু ১০০% সত্য মন্তব্যের জন্য। ক্লাস শুধু নিয়ম রক্ষার জন্যই রয়েছে বর্তমানে। কোচিং এ গিয়েই ক্লাসের পাঠ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্যাঁচ খোলা হয়। প্রশ্নফাঁস এটা ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত নকল প্রবণতার কারণে এখন আর ওভারক্রাউডেড ক্লাসরুম কোন বিশ্রী প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না।।
তবে, কোন প্রতিষ্ঠানে সব শিক্ষক কোচিং এর সাথে জড়িত থাকেন না। সীমিত সংখ্যক শিক্ষকরাই এতে ইনভল্ভড। কিন্তু দেশের এ করুণ অবস্থার জন্য আমাদের শাসক শ্রেণিদের অবহেলা অন্যতম বড় সমস্যা। একটা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক নাই। নাই পর্যাপ্ত ক্লাসরুম। নাই যথেষ্ট ক্লাসস্পেস। এর বাইরে তদারকির অভাব। দেশের ৯০% বিদ্যালয় বেসরকারি। শিক্ষকদের মানবেতর জীবন-যাপন। সবে মিলে অবস্থা তথৈবচ।

৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা বলি-
আমি মনে করি, আমাদের সরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন দরকার।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৫

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। দুঃখিত বিলম্বে উত্তরের জন্য। আপনার সাথে সহমত।

৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

আল ইফরান বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। যে সমস্যাগুলোকে আপনি লেখায় তুলে ধরেছেন সেটা অনেক দিন ধরে চলতে চলতে এই পর্যায়ে এসেছে। এদের সমাধানের জন্য যে ধরনের সদিচ্ছা, সামর্থ্য ও পরিকল্পনা প্রয়োজন সেই জায়গাতেও আমাদের ঘাটতি রয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে?

১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫১

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য। নিতান্তই দুঃখ আর পরিতাপের বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জায়গা অর্থাৎ শিক্ষাঙ্গন, শিক্ষার্থী আর শিক্ষক যা দেশের উন্নয়ণে অগ্রণী ভূমিকা পালনে সহায়ক হবে। তা দেখভাল করার লোকের আজ বড়ই অভাব। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বসে দেশের বাস্তব পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, পরিবীক্ষণ আর পর্যালোচনা না করে গ্রাউন্ড লেভেলের প্রতিষ্ঠান ও এসবের অবস্থা না জেনে না বুঝেই নির্মাণ করা হচ্ছে এ দেশের শিক্ষাপরিকল্পনা। তাতে যে ভালো কিছু হচ্ছেনা তা দৃশ্যমাণ।
হ্যাঁ। কে বাঁধবে ঘন্টা?

৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মঈনুদ্দিন ,



দায়টা আমাদের । যেমন আমরা তেমনি আমাদের হাল । শিক্ষা ব্যবস্থায় যে ধ্বস নেমেছে গত ১০/১৫ বছরে তাতে আমাদের কারও টনক নড়েনি । নড়ছেনা এখনও ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৬

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: সবার আগে ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। এ দায় অবশ্যই আমাদের। এ দায় থেকে আমি আপনি বা কেউই মুক্ত নয়। বিগত ১০-১৫ বছরে শিক্ষা ব্যবস্থার যে হেনস্থা করা হয়েছে বা এটাকে যে নিম্নে নামানো হয়েছে এতে আমাদের সবার ভূমিকাই সমান। আমরা অসচেতন বলেইতো যে যেমন ইচ্ছা করে যাচ্ছে। যাচ্ছেতাই প্রচার আর প্রসারে ব্যস্ত আছে। বাস্তবে যেখানে আমাদের সুচিন্তিত বা বুদ্ধিদীপ্ত দৃষ্টিভঙ্গি দরকার সেখানে শুধুই আদেখলাপনা আর ছেলেমি। তাহলে এর থেকে পরিত্রাণের উপায়? কারো কী জানা আছে?
থাকলেও কিছুই করার নাই ;শুধু আফসোস করা ছাড়া!!

৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৩

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: *** উন্নত বিশ্বে যেখানে শিক্ষক হলো সবচেয়ে সম্মানিত সেখানে আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশী অবহেলিত ও অপদস্থ।
*** উন্নত দেশে বেতন-ভাতায় শিক্ষকরাই এগিয়ে আর আমাদের বাংলাদেশে সবচেয়ে নিম্নস্তরের বেতন-ভাতা পেয়ে থাকে দেশের ৯০% শিক্ষকরা।
*** শ্রেণি অনুপাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত যেখানে ১ঃ ১৬-১৭, সেখানে এদেশে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে এ অনুপাত ১ঃ ২০০ প্লাস।
*** উন্নত দেশগুলোতে ক্লাসের স্পেস যেখানে এনোরমাস সেখানে আমাদের দেশ যেন মুরগীর খামার; ৪০ জনের স্থানে ২০০ জন!!
*** প্যারাটিচারদের স্থান নেই উন্নত দেশে, আর এ দেশে প্যারাটিচাররাই বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠানে মূল চালিকা শক্তি। এর প্রধান কারণ, এ দেশের জনবল কাঠামো- যা বৃটিশ বা মুঘল আমলে যথেষ্ট থাকলেও এখনের জন্য সমীচীন নয়।
*** বিদেশে আইন হয় মানার জন্য আর এদেশে আইন তৈরি হয় ভাঙ্গার জন্য।
*** বিদেশে শিক্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাসন করতে হয় না-ওখানের পরিবেশই হলো মানার জন্য আর এখানে শিক্ষককে পশ্চাৎদেশে বেত্রাঘাত করে যথার্থ সম্মান দেয়া হয়।
*** দেশে শিক্ষার্থী অনুপাতে বিদ্যালয় ও শিক্ষক না বৃদ্ধি করে কেবল আবোল-তাবোল আইন করা আর হুমকি-ধামকিতে ব্যস্ত যা উন্নত দেশে কল্লপনাই করা যাবেনা।
*** উন্নত বিশ্বে শিক্ষা হলো আয়-রোজগার আর সমৃদ্ধি কেন্দ্রিক আর এখানে শিক্ষার টোটাল ফিলোসোফিটাই হলো বইয়ের বোঝা বহনকারী গর্দভ বানানো!!
আফসোস!!

১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আফনেরে তিন মাসের জেল দিলুম!! অফরাধ প্রায় সত্য কথা বলেছেন!!:)


বুঝলেন তো এটাই হলো আমার বিচার!!:)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩১

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: যথা আজ্ঞা জাঁহাপনা!
ইয়োর এক্সেলেন্সি, আপনার দন্ড আমি মাথা পেতে নিলুম। =p~
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.