নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য আর মিথ্যাকে এক করি না। যারা অসত্য দিয়ে সত্যকে ঢাকতে চায়; তাদের সঙ্গ ধরি না। নতুন যে কোন কিছু শিখতে ভালো লাগে। কেউ কিছু শিখতে চাইলে সম্ভব সাধ্যমতো চেষ্ঠা করি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক জ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে চাই।

মোঃ মঈনুদ্দিন

নিঃসঙ্কোচে গাহিব সত্য ন্যায়ের গান। সত্য আর সুন্দরের সেবক। মা, মাটি আর দেশকে ভালবাসি।

মোঃ মঈনুদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্যাডার সমস্যা! আমিও ক্যাডারের মর্যাদা চাই----কিন্তু কেন?

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৮

ক্যাডার সমস্যা ভার্সাস পদমার্যাদা সমস্যা


চলমান ২০১৭ সালে ১৯৯ টি বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণার পর সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন জঠিলতা। এরমধ্যে অন্যতম একটা বড় সমস্যা হলো সরকারী কলেজে বিসিএস পাশ ক্যাডার শিক্ষকদের সমমর্যাদা বা বেতন-ভাতার সমান ভাগীদার হয়ে যাওয়া নতুন ঘোষিত সরকারী কলেজের শিক্ষকদের মর্যাদা আর বেতন-ভাতা সমস্যার সমাধান না হওয়া। এটা সত্য যে, সরকারী কলেজে যাঁরা বিসিএস পাশ করে শিক্ষকতা করছেন তাঁদের সাথে বেতন সমকক্ষতা বা গ্যাজেটেড মর্যাদায় বেসরকারি কলেজ থেকে আগতদের সমান মর্যাদা কোন ভাবেই এক হওয়া এক নয়। বিসিএস পাশ করা যে কোন পেশায় প্রবেশিকা টেস্ট থেকে কঠিন ও জঠিল। অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে অনেক মেধা আর কৃতিত্বের অধিকারী একজন এ যোগ্যতা লাভ করেন। সেখানে অনেকটাই সহজে বেসরকারি কলেজের নিয়োগ পাওয়া যায়। যদিও বর্তমানে নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে বেসরকারি কলেজে নিয়োগ পাচ্ছেন। তবে, বিসিএস পরীক্ষার সমকক্ষ হতে পারবেনা এনটিআরসিএ থেকে নিবন্ধন পরীক্ষা। যদিও এটাও অনেক কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং একটা অধ্যায় চাকুরী প্রার্থীদের জন্য। আর আগে থেকেই বেসরকারি কলেজে চাকুরী করে আসা বহু শিক্ষক যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকলেও বিসিএস পাশ করে চাকুরীতে আসাদের সমকক্ষতায় নিয়ে আসা বোধহয় সমীচীন হবেনা। এই সমস্যার সমাধান হওয়া খুবই জরুরী। শিক্ষাবিদগণ এ নিয়ে চিন্তা করছেন কিন্তু গতকাল সময় টিভিতে সান্ধ্যকালীন টকশোতে দেখলাম এ নিয়ে বিতর্ক এবং এর জন্য কিছু সুন্দর পরামর্শ।

*** এক্ষেত্রে নতুন সরকারী কলেজের শিক্ষকগণ যদি আবার আন্দোলন শুরু করে না আমাদের ও বিসিএস মর্যাদা অর্থাৎ গ্যাজেটেড অফিসারের মর্যাদা দিতে হবে তবেতো গ্যাঞ্জাম নতুন মাত্রা লাভ করবে।।

*** তবে এর জন্য একটা কাজ করতে পারে তা হলো- চাকুরী বহাল রেখে নতুন সরকারী কলেজের শিক্ষকদের বিসিএস মানের পরীক্ষার মুখোমুখি করা। যারা এটাতে পাশ করবে তাঁদের বিসিএস মর্যাদা দেয়া আর না পারলে তাঁদের আগের অবস্থানে রাখা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: সমস্যায় জর্জরিত একটি দেশ- বাংলাদেশ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: জ্বী ভাই আকন্ঠ সমস্যায় জর্জরিত একটি দেশ। কিন্তু সমাধানের নেই কোন কোশেশ! ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

একে৪৭ বলেছেন: পরীক্ষার সিস্টেম বা নিয়োগ প্রক্রিয়া কঠিন।
কিন্তু প্রক্রিয়া কঠিন বলে, অন্যকথায় মুখস্তবিদ্যা যোগ্যতার পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ পেয়ে তারা যে জিনিয়াস কেউ হয়ে যাচ্ছেন, এটা ভাবা হয়তো ঠিক হবেনা।

(অন্তত টেকনিক্যাল লাইনে)
পারসোনালি আমি অনেক জিনিয়াস দেখেছি, যারা দেশের ওই সেক্টরে নিয়োগ পেলে দেশের অনেক উন্নতি করতে পারতো। কিন্তু আমি শিওর তারা বিসিএস প্রিলি পার হতে পারবেনা। সত্যি বলতে তারা এ পদ্ধতির করনে বিসিএস এর চেষ্টাও করেনি। তারা কিন্তু পিছিয়ে থাকেনি, তারা গিয়েছে একজন বিসিএস কর্মকর্তার চেয়ে অনেক উপরে। কেবল তাদের গ্যাজেটেড পাওয়ারটা নেই।

আর যাদের দেখেছি বিসিএস হয়ে গিয়েছে, তাদের কখনো মনে হয়নি ওরা এই সেক্টরে শাইন করবে। তাদের নিজের সেক্টরের উপর কনফিডেন্সের অভাব থেকেই অনার্সের শুরু থেকেই বিসিএস প্রস্তুতি হিসেবে মুখস্ত করা শুরু করে দিয়েছে। কারও কারও হয়েও গিয়েছে!
কিন্তু সে কখনোই মেধায় প্রথমজনের ধারে কাছেও নেই, কখনো ছিলও না।

আমাদের এই সিষ্টেমের কারনেই আমাধের মেধাগুলো পায় গুগল, মাইক্রোসফট, এ্যাপল, নাসা...
আর আমরা বা আমাদের সরকার বসে বসে পরের বিসিএস এর প্রশ্ন হিসেবে "সমিচিন না সমীচীন" দেয়া যায় তা খুজে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার জ্ঞানগর্ভ সুন্দর মতামতের জন্য। আপনার কথা আপাদমস্তক সত্য। এতে প্রতিবাদ করার বা পাল্টা যুক্তি দিতে যাচ্ছি না। কিন্তু যারা বিসিএস দিয়ে একটা প্রক্রিয়াতে শিক্ষাবিভাগে চাকুরী নিয়েছে তাঁদেরকে প্রায়োরিটি দেয়ার কথাটাই আসলে বলছিলাম। এদেশেতো বিসিএস একটা ফ্যাক্টর যদিও মেধা দেখানোর অনেক সেক্টর। যাঁরা মেধাবী তাঁদের অবস্থান তাঁরা নিজেরাই গড়ে নিয়েছে আপন শক্তিতে। সেখানে কারো পৌঁছা দুরূহ বৈকি। যেহেতু শিক্ষার জন্য সরকারী এবং বেসরকারি দুটো লাইন ছিল এবং এখনো বিদ্যমান আর এতে শিক্ষকতা করার জন্য একটা মানদন্ড দেয়া আছে এর নিরিখে অবশ্যই মন্দ-ভালো এ দুয়ের পুরস্কার ভিন্ন হওয়া উচিৎ।। ভালো থাকুন।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

শামচুল হক বলেছেন: শেষের যুক্তিটি যুক্তিযুক্ত।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সহমতের জন্য। চাকুরীতে পদোন্নতির জন্য অভিজ্ঞতা একটা বড় মানদন্ড তাঁর সাথে সম্মানী বাড়াতে পরীক্ষার ব্যবস্থগা করলে ভালো হয়। অবশ্য আজকাল যে প্রতিটি পরীক্ষাই দূর্ণিতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.