নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য আর মিথ্যাকে এক করি না। যারা অসত্য দিয়ে সত্যকে ঢাকতে চায়; তাদের সঙ্গ ধরি না। নতুন যে কোন কিছু শিখতে ভালো লাগে। কেউ কিছু শিখতে চাইলে সম্ভব সাধ্যমতো চেষ্ঠা করি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক জ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে চাই।

মোঃ মঈনুদ্দিন

নিঃসঙ্কোচে গাহিব সত্য ন্যায়ের গান। সত্য আর সুন্দরের সেবক। মা, মাটি আর দেশকে ভালবাসি।

মোঃ মঈনুদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার শান্তি আর বিশ্রাম কেড়ে নিও না হে অবলা মন্ত্রণালয়ের চিঠি!!

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

শুভ বাংলা নববর্ষ



খুব শৈশব থেকেই যেকোন উৎসব, পার্বণের প্রতি রয়েছে আমার অমোঘ আকর্ষণ। সকল নতুন কিছুই আমাকে প্রচন্ড ভাবে টানে। মোহিত করে। তাইতো প্রাণের টানে ছুটেছি উৎসব প্রাঙ্গণে। ভালো লাগে তাই, আনন্দে প্লাবিত হই। কিন্তু এই আনন্দ এখন আর আমার মতো সাধারণ কিছু মানুষের জন্য আর আনন্দের বিষয় নয়। এটা বিষাদের হয়ে গেছে। কারণ, এ বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন যতটুকু না আন্তরিক তারচেয়ে বেশী যান্তরিক (যান্ত্রীক) হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। আবহমান কাল ধরে বাঙালী জীবনে এই নববর্ষের নানা আচার অনুষ্ঠান চলে আসছে যা একটা ঐতিহ্যকে ভর করেই। এদেশে বাংলা ভাষাভাষিক জাতিগোষ্ঠীর আধিক্যতাহেতু বাংলা নববর্ষ বরণে চিরন্তন বাঙ্গালীয়ানা থাকবে এতে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু বিজাতীয় আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তা করতে হবে কেন?
আমার এ ভালবাসা আর ভালোলাগার অনুভূতি ফিরিয়ে দাও।


শিক্ষা প্রতিষ্ঠাঙ্গুলোতে এখন মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি আসে মঙ্গল শোভাযাত্রা করতে হবে। কেন করতে হবে? বাঙ্গালীর উৎসবের দিন। সরকারী ছুটির দিন। সবাই উৎসবে আনন্দে তার পরিবারের সাথে। আর, আমাদেরকে সরকারী পরোয়ানা দিয়ে আবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হাজির করেই তবে শেষ হলো সাচিবিক ভন্ডামীর। আচ্ছা, এ মঙ্গলশোভাযাত্রার কারণে দেশে মঙ্গল আসবে তাই? কীভাবে মঙ্গল আসে? যতসব অমঙ্গলের প্রতিক মাথায় বুকে পেটে প্ল্যাকার্ডে, ফেস্টুনে নিয়ে স্লোগান দিয়ে দিয়ে পথ প্রদক্ষিণ করলেই বুঝি দেশে মঙ্গল চলে আসবে? এই ধারণা আর যাই হোক আমাদের সংস্কৃতি নয়। এটা অপসংস্কৃতি। এই বিশ্বাস নিয়ে চলছি বলেই আমাদের দেশে এত অশান্তি, এত অনাচার আর এত কষ্ট।
চিঠি আসবেই। আসতেই থাকবে। কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত। কিন্তু, তুমি আস আর আমার সুখ কেড়ে নিওনা। কারণ, তোমার জ্বালায় যে ঘরে থাকতে পারি না।
মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি এসেছিল!!
১লা বৈশাখে বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা করতে হবে, এই মর্মে চিঠি এসেছিল। পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছিল। এবার থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এইটা পালন করতেই হবে।
২৫ হাজার এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৩০০ এর অধিক মাদরাসা, যেসব ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যাদের উদ্দেশ্য ইসলামী শিক্ষা-দীক্ষা দেয়া। কিন্তু সেখানে কী করতে হবে? মঙ্গল শোভাযাত্রা করব। কেন করতে হবে?
আর সেটা না করে পারা যেতোনা? চিঠিটা পাঠানো হয়েছিল; পাঠানো হোক তবে এর বিষয়বস্তু এমন হলে হতোনা; সবাই যার যার প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রার্থণার আয়োজন করলে। প্রত্যেকে মসজিদে, মন্দিরে, গির্জায়, প্যাগোডায় সব জায়গায় নববর্ষের এই অনাগত দিনগুলি যেন নির্ঝঞ্ঝাট হয়, আনন্দের হয়, সুখের-সমৃদ্ধির হয় তার জন্যে দোয়া করবেন।।
দোয়া করা যেতো। এই দোয়াঅনুষ্ঠান যেন হয়, তার জন্যে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দিতে পারতো যাতে তা শতভাগ পালিত হয়। তবে, তা হয় নাই। আর, আমরাও তা চাইনাই।।


দেশের উপর যেন আজাব গজব না আসে তার জন্য মসজিদ, মন্দির আর ধর্মিয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বড় ভূমিকা নিতে পারতো।। কিন্তু তা হবে কেন? ওখানে যে পাপ ঢুকেছে! শয়তান ঢুকেছে!
এ জন্য নিন্দা জানাই।

বড় লোকেদের মতো তো এ দিন অতিবাহিত করতে পারেনি দেশের ৯০%জনগোষ্ঠী; যাদের কথা দেশের সেবকদেরও মনে নেই। তাদের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

নোটঃ পোস্টটির নাম ও কিছু ছবি বাদ দিয়ে রিপোস্ট।
ছবি ক্যাপশনঃ অন্তর্জাল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.