নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য আর মিথ্যাকে এক করি না। যারা অসত্য দিয়ে সত্যকে ঢাকতে চায়; তাদের সঙ্গ ধরি না। নতুন যে কোন কিছু শিখতে ভালো লাগে। কেউ কিছু শিখতে চাইলে সম্ভব সাধ্যমতো চেষ্ঠা করি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক জ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে চাই।

মোঃ মঈনুদ্দিন

নিঃসঙ্কোচে গাহিব সত্য ন্যায়ের গান। সত্য আর সুন্দরের সেবক। মা, মাটি আর দেশকে ভালবাসি।

মোঃ মঈনুদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

১০০ এর অধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপনঃ এ উদযাপন আর ব্যয় কতটুকু যৌক্তিক?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

১০০ এর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপনঃ এ উদযাপন ব্যয় কতটুকু যৌক্তিক?

সমগ্র পৃথিবী জুড়েই রয়েছে সাংবাৎসরিক নানান দিবস। জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বা দিবসগুলোকে চির স্মরণীয় করে রাখতে বছর জুড়েই চলে নানা আচার অনুষ্ঠান। এসব ছিল একটা নির্দিষ্ট পরিমন্ডলে, সীমিত আঙ্গিকে কিন্তু আজ তা হয়ে গেছে জাতীয় জীবনে এক বিরাট গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। মানলাম এই উদযাপনে ব্যপক উপকার হচ্ছে আমাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে যদিও এতে রয়েছে বিপুল অর্থব্যয়। এই অর্থব্যয়ে অর্জন কতটুকু হয় বা হচ্ছে? উদযাপনে রাষ্ট্রীয় ব্যয় কমিয়ে অন্য কোনভাবে এটাকে বাস্তবায়ন করা কী যায় না?
আরেকটি বিষয়, এই সাংবাৎসরিক দিবস উদযাপনে একটা কমন ভিক্টিম এখন দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। রেগুলার ক্লাস বর্জন করে বিশেষ দিবসগুলো আবশ্যিকভাবে পালন করতে হয়। এমন কিছু স্পেশাল দিবস রয়েছে যেগুলো অবশ্যই পালন করতে হবে। সেসব বাদ দিয়ে অন্যন্য কিছু সাধারণ দিবস রয়েছে যেগুলো উদযাপন অন্যভাবেও করা যায়। সেটা কেউ ভাববে কী? আর, উদযাপন ব্যয় কমিয়ে পালন করা যায় কী না এটা ভাবার দরকার আছে কী না?



** বাংলাদেশ দিবস।
কেবলমাত্র বাংলাদেশের নিজস্ব দিবসগুলোকে "বাংলাদেশ দিবস" বলা হয়। নিচে এরকম গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাংলাদেশ দিবস এর নাম এবং এর উদযাপন তারিখ উল্লেখ করলাম।
জানুয়ারীঃ
১। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসঃ ১০ জানুয়ারি
২। জাতীয় শিক্ষক দিবসঃ ১৯ জানুয়ারি
৩। শহীদ আসাদ দিবসঃ ২০ জানুয়ারি
৪। গণঅভ্যুত্থান দিবসঃ ২৪ জানুয়ারি
৫। কম্পিউটারে বাংলা প্রচলন দিবসঃ ২৫ জানুয়ারি
৬। সলঙ্গা দিবসঃ ২৮ জানুয়ারি
এছাড়াঃ শ্রী শ্রী স্বরস্বতী পূজাঃ ২২ জানুয়ারি, মাঘী পূর্ণিমাঃ ৩১ জানুয়ারি (শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পালিত হয়)।

ফেব্রুয়ারিঃ
৭। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসঃ ০৫ ফেব্রুয়ারি
৮। সুন্দরবন দিবসঃ ১৪ ফেব্রুয়ার
৯। শহীদ দিবস/আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস/বাংলা ভাষা দিবসঃ ২১ ফেব্রুয়ারি
১০। জাতীয় ডায়াবেটিক সচেতনতা দিবসঃ ২৮ ফেব্রুয়ারি
(শ্রী শ্রী শিব্রাত্রী ব্রতঃ ১৪ ফেব্রুয়ারি)
মার্চঃ
১১। জাতীয় পতাকা দিবসঃ ২ মার্চ
১২। জাতীয় পাট দিবসঃ ৬ মার্চ
১৩। জাতীয় শিশু দিবসঃ ১৭ মার্চ
১৪।পতাকা উত্তোলন দিবসঃ ২৩ মার্চ
১৫। স্বাধীনতা দিবসঃ ২৬ মার্চ
১৬। জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসঃ ৩১ মার্চ
(শুভ দোলযাত্রাঃ ১ মার্চ, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাবঃ ১৫ মার্চ,)

এপ্রিলঃ
১৭। জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবসঃ ২ এপ্রিল
১৮। পহেলা বৈশাখঃ ১৪ এপ্রিল
১৯। মুজিবনগর দিবসঃ ১৭ এপ্রিল
(ঈস্টার সানডেঃ ১ এপ্রিল, চৈত্র সংক্রান্তি, শব-ই-মেরাজ)
২০। বুদ্ধ পূর্ণিমাঃ ২৯ এপ্রিল)

মেঃ
২১। মহান মে দিবসঃ ১ মে
২২। ফারাক্কা লং মার্চ দিবস/ফারাক্কা দিবসঃ ১৬ মে
২৩। জাতীয় নৌ নিরাপত্তা দিবসঃ ২৩ মে
২৪। জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকিঃ ২৫ মে
২৫। নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসঃ ২৮ মে
[পবিত্র রমজান, জুমাতুল বিদা, শব-ই-ক্বদর, ঈদ উল ফিতরঃ ১৭ মে-১৮ জুন। (২৮ দিন) ]
জুনঃ
২৬। ৬ দফা দিবসঃ ৭ জুন
২৭। নারী উত্তক্ত্যকরণ প্রতিরোধ দিবসঃ ৩ জুন
২৮। পলাশী দিবসঃ ২৩ জুন।
[পবিত্র রমজান, জুমাতুল বিদা, শব-ই-ক্বদর, ঈদ উল ফিতরঃ ১৭ মে-১৮ জুন। (২৮ দিন) ]

জুলাইঃ
২৯। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসঃ ১ জুলাই
৩০। জন্মনিবন্ধন দিবসঃ ৩ জুলাই

আগস্টঃ
৩২। জাতীয় শোকদিবসঃ ১৫ আগস্ট
৩৩। দিঘলিয়ার দেয়াড়া গণহত্যা দিবসঃ ২৭ আগস্ট

সেপ্টেম্বরঃ
৩৪। জাতীয় আয়কর দিবসঃ ১৫ সেপ্টেম্বর
৩৫। মহান শিক্ষা দিবসঃ ১৭ সেপ্টেম্বর
৩৬। কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবসঃ ১৮ সেপ্টেম্বর
৩৭। প্রিতিলতার আত্মহুতি দিবসঃ ২৩ সেপ্টেবর
৩৮। মাহমুদপুর গণহত্যা দিবসঃ ২৯ সেপ্টেবর

অক্টোবরঃ
৩৯। পথশিশু দিবসঃ ২ অক্টোবর

নভেম্বরঃ
৪০। জাতীয় যুব দিবসঃ ১ নভেম্বর
৪১। জাতীয় সমবায় দিবসঃ ১ম শনিবার
৪২। জেলহত্যা দিবসঃ ৩ নভেম্বর
৪৩। সংবিধান দিবসঃ ৪ নভেম্বর
৪৪। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসঃ ৭ নভেম্বর
৪৫। নূর হসেন দিবস বা স্বৈরাচার বিরোধী দিবসঃ ১০ নভেম্বর
৪৬। সশস্ত্রবাহিনী দিবসঃ ২১ নভেম্বর

ডিসেম্বরঃ
৪৭। জাতীয় যুব দিবসঃ ৮ ডিসেম্বর
৪৮। রোকেয়া দিবসঃ ৯ ডিসেম্বর
৪৯। শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসঃ ১৪ ডিসেম্বর
৫০। বিজয় দিবসঃ ১৬ ডিসেম্বর
৫১। বাংলা ব্লগ দিবসঃ ১৯ ডিসেম্বর।

উপরোক্ত দিবসগুলোর সাথে রয়েছে আরো নানান নামের নানান দিবস। এ যাবত যতগুলো জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে, হবে তার প্রায়গুলোই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পালন করা বাধ্যতামূলক। জানি না অদূর ভবিষ্যতে হয়তো সব দিবসই প্রতিষ্ঠানে পালন করা লাগবে।

নিচে আন্তর্জাতিক দিবসগুলোর কিছু ইমেজ শটঃ



পরিশেষে,
উপরের চিত্রগুলো থেকে এই ব্যাখ্যা আসে যে বিশ্বে দিবসের কোন শেষ নেই। এই অতশত দিবস যদি পালন করতেই হয়। তাহলে আর ভিন্ন কোন কাজ করতে হবে না। আসলে বলতে চাইছি বর্তমানে বাংলাদেশে যে ট্রেন্ড চালু হয়েছে তা হলো দিবস উদযাপন। এই উদযাপন সবচেয়ে বেশী প্রভাবিত করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। যখন দেশের অন্যন্য সবাই আরামসে ঘুরে বেড়ায়, আনন্দ করে বেড়ায়। ছুটি পালন করে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যস্ত থাকে বিভিন্ন দিবস বাস্তবায়ন নিয়ে। জানিনা এর থেকে কোন্দিন পরিত্রাণ পাওয়া যাবে কী না? এটা অবশ্য সাম্প্রতিক কিছু বছর যাবৎ সচল হয়েছে। আগে মনে হয় এতসব দিবস স্কুল-কলেজ বা মাদরাসাগুলোতে পালন হতো না!!
ভয়াবহ ব্যপার হচ্ছে এই দিবস উদযাপন করতে গিয়ে দেশের কোষাগার থেকে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়। যার থেকে কোন আয় আসে কী?

তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, ও ইন্টারনেট।
ছবিঃ পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড ইমেজ, ক্রেডিট-ইটস মী।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪১

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আজকাল দিবস পালন করে অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩১

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ সহমত প্রকাশের জন্য। শ্রেণিতে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলো ছাত্র-ছাত্রীদের অবহিত করা যায়। তবে , তা হবার নয়। এটা এখন ফ্যাশনে রুপান্তর হয়েছে।উদযাপন না করলে প্রতিষ্ঠানকে কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে।।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: নতুন হিসেবে আমার ব্লগে ঘুরে আসার জন্য আপনাকে অনুরোধ জানাবো।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:২৬

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: জ্বী ভাই অবশ্যই। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.