নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র,এখানে আন্দোলনের অধিকার আছে। আন্দোলনকারীদের দাবি যৌক্তিক বা অযৌক্তিক সেটা যাই হোক না কেন, পুলিশের গুলিতে যদি আন্দোলনকারীরা মারা যায় তার দায়িত্ব অবশ্যই সরকারের, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আপনি যতই আমেরিকার দোষ চাপান, ভারতের দোষ চাপান কিংবা বিএনপি-জামাত-শিবির-পাকিস্তানের-রাজাকারের দোষ চাপান না কেন দায়িত্ব আপনার। রাজপথে ১০০ র উপরে লোক মারা গেল দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে।
এবার আসি জামাত জিতলো কিভাবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সংরক্ষণ ৪৬% থেকে কমে ৭% হলো। ৫% মুক্তিযুদ্ধের কোঠা, ১% প্রতিবন্ধী কোঠা, ১% শতাংশ ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী কোঠা। অর্থাৎ কোটা সংস্কার হলো, আন্দোলনকারী ছাত্রদের জয় হল।
ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর কোঠা ৫% থেকে কমে ১% হওয়ায় জামাতিরা খুশি হল। কারণ জামাতি আদর্শ অনুসারে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর লোকেরা অধিকাংশই খ্রিষ্টান বৌদ্ধ বা হিন্দু, মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে এরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক, এদের থাকার অধিকারই নাই। নারীদের কোঠা ১০% থেকে শূন্য হয়েছে, এটাও জামাতিদের জন্য আনন্দের। কারণ জামাতীরা নারীদের লেখাপড়া বা স্বাবলম্বী হওয়ার বিরোধী ফলে নারীদের কোঠার কি দরকার। বাংলাদেশের আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরাও কি মনে করে ক্ষুদ্র গোষ্ঠী এবং নারীদের কোঠার দরকার নেই ?
২| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৩
কামাল১৮ বলেছেন: উঁচ্চ আদালত বলে দেয়নাই এটাই চুড়ান্ত।আন্দোলন শান্ত হলে আবার বিন্যাস হবে।নারীদের কোটা থাকতেই হবে।
৩| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৮
নব অভিযান বলেছেন: শিরোনাম ঠিক আছে পাঠক পাবেন। ধন্যবাদ।
৪| ২২ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:৪৭
আলচুদুরওয়ালবুদুর বলেছেন: কোটা কমিয়ে/বাড়িয়ে কোন লাভ নাই। যে ৯৭% মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হওয়ার কথা, সেটা কখনই হবে না। দলীয় নিয়োগ হবেই। কারণ সরকারি নিয়োগে অনেক অনিয়ম হয় যা দেখার কেউ নাই। যেমন পাশ মার্ক পাওয়ার পরো প্রার্থী বাছাই এর আগে, পুলিশ ব্যাকগ্রাউন্ড ভেরিফিকেশন হয়। সে ভেরিফিকেশনে উল্লেখ থাকে কোন প্রার্থী কোন দল করে, তার ফ্যামিলি কোন দল করত, ইত্যাদি। সেটা দেখে ভাইভা বোর্ডে প্রার্থী নিয়োগ দেওয়া হয়। পুলিশ ভেরিফিকেশনের উদ্দেশ্য হলো কারো কোন অপরাধ্মূলক কর্মকান্ডের ইতিহাস আছে কিনা সেটা দেখা, যেটা সম্পূর্ণরূপে লিগ্যাল (এবং প্রয়োজনীয়), কিন্তু প্রার্থীর রাজনৈতিক বিশ্বাসের তথ্য টুকে রাখা বেআইনী। আগে মুক্তিযোদ্ধা কোটার কারণে ব্যপারটা অনেক সহজ ছিল, এখন একটু কঠিন হয়ে যাবে, এইই যা পার্থক্য। আর এই কোটা সিস্টেম শুধু আওয়ামীলিগই যে অপব্যবহার করেনি তানা, বি.এন.পি. আমলেও হয়েছে, কিংবা বি.এন.পি. আসলেও একই ভাবে চলতে থাকবে।
সবার আগে নিয়োগে যে এই দূর্নীতি আর অনিয়ম হয়, সেটা বন্ধ করতে হবে। কিন্তু সেটা করবে কে?
আর বাংলাদেশ বি.সি.এস. পুরাই একটা ফাউল পরীক্ষা, এখানে মেধা যাচাই-এর কিচ্ছু হয় না। প্রার্থীরা গাদা গাদা সাধারণ জ্ঞান মুখস্ত করে যায়, যে যত মুখস্ত করতে পারে এবং হড়হড় করে সেই মুখস্ত বমি করতে পারে সেইই টিকে, বিশেষ করে প্রিলিমিনারিতে। আর রিটেনে ২০০ মার্কের বাংলা আর ইংরাজী, ১০০ মার্কের বাংলদেশ এফেয়ার্স এবং ১০০ মার্কের আন্তর্জাতিক এফেয়ার্স, এই পুরা ৬০০ মার্ক সেটাও পুরাটাই মুখস্ত ভিত্তিক। এটা কেমন ধরণের পরীক্ষারে ভাই? কোন টেকনিক্যাল কিছুই নাই। দেশের মানুষের সমস্যা কি? পৃথিবীর সব দেশেই এরকম বি.সি.এস. পরীক্ষার মত সরকারী নিয়োগের পরীক্ষা আছে, নিজেরা পরীক্ষা ডিজাইন করতে না পারুক, সেখান থেকে নকল করতে সমস্যা কি?
৫| ২২ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪
রাসেল বলেছেন: মন্তব্যে আলচুদুরওয়ালবুদুর বলেছেন: দলীয় নিয়োগ হবেই।
বাস্তবিক পক্ষে অবৈধ দলীয় নিয়োগ স্বজনপ্রীতির নিয়োগ, এবং অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বড় ভূমিকা রাখে। আমার মন্তব্যের লক্ষ্য দুর্নীতি দুর করার এজেন্ডা নিতে হবে।
৬| ২২ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫৫
মেঘনা বলেছেন: সুপ্রিম কোর্টের রায়েও শান্তি ফিরল না বাংলাদেশে, সংরক্ষণ সম্পূর্ণ তোলার দাবি বিক্ষোভকারীদের
৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবে আমি কোটা বিরোধী। স্বাধীনতার এত বছর পরে এসেও কেন কোটা থাকবে? একমাত্র প্রতিবন্ধী ছাড়া কারো কোন কোটা থাকা উচিত না। মুক্তিযোদ্ধা হোক, হোক নারী বা ক্ষুদ্রগোষ্ঠীর মানুষ, সবারই যোগ্যতা দিয়ে আসা উচিত। নারী হওয়া কিংবা ক্ষুদ্রগোষ্ঠীর মানুষ হওয়া কোন যোগ্যতা/অযোগ্যতা নয়। মেধা না থাকলে মেডিওকার লোকজন দিয়ে দেশ চালানোর কোন প্রয়োজন দেখি না। এসব মাথা থেকে ঝেরে ফেলা উচিত। সংসদেরও নারীদের সংরক্ষিত কোন আসনও থাকা উচিত নয়। মমতাজের মত লোক (এম.পি.) দিয়ে দেশ কি অর্জন করেছে তা জাতির সামনে তুলে ধরা উচিত। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার সমান অধিকার থাকতে হবে, কোটা দিয়ে কাউকে অন্যের চেয়ে বেশী সুযোগ দেয়া মানে অন্যের অধিকার খর্ব করা। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৫৬
নতুন বলেছেন: ৫% মুক্তিযুদ্ধের কোঠা, ১% প্রতিবন্ধী কোঠা, ১% শতাংশ ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী কোঠা। অর্থাৎ কোটা সংস্কার হলো, আন্দোলনকারী ছাত্রদের জয় হল।
মুক্তিযুদ্ধাদের নাতীদের জন্য ৫% ঠিক আছে।
কিন্তু আরো ১০-১৫ % দরকার আছে।
সব মিলিয়ে ৮০%-২০% করলে ঠিক হতো। ৮৫-১৫% এর কম অবশ্যই না।