![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকা ছেড়েছেন বলে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে। এর কতটা সত্য আর কতটুকু মিথ্যা তা বুঝা যাচ্ছেনা আপাতত। তবে আমাদের আওয়ামী সরকার যে হেফাজতের সাথে কিছু একটা করেছে তা অনুভব করা যাচ্ছে হাড়ে হাড়ে।
লংমার্চ চলাকালে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা হেফাজতের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন। সরকার থেকে আশ্বাস পেয়ে শনিবার হেফাজত লংমার্চ ও সমাবেশের পর ঢাকায় দীর্ঘমেয়াদি অবস্থান কর্মসূচির সিদ্ধান্ত থেকে সরে যায় বলে ধারনা করা হচ্ছে।
সরকার যেসব দাবি পূরণ করার ওয়াদা করেছে:
১। ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে আইনের সংস্কার
২। কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি
৩। গণজাগরণ মঞ্চ উঠিয়ে দেওয়া বা আরো সংকুচিত করা
৪। গ্রেপ্তারকৃত আলেম-ওলামা ও মাদ্রাসাছাত্রদের মুক্তিদান এবং মামলা প্রত্যাহার করা
কয়েকজন সরকারী মন্ত্রীরা বলেছেন যে হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলোর মধ্যে অনেকগুলো পূরণ হয়েছে, বাকিগুলো পূরণের পথে। এক মাস পরে যে ঢাকা অবরোধ - তার আগেই দাবীগুলার সমাধান করা হবে।
সামনে নির্বাচন, তাই ভোটের রাজনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ওলামা-মাশায়েখদের বিক্ষুব্ধ না করতেই দাবি মেনে নেওয়ার কৌশল অবলম্বন করেছে আমাদের আওয়ামী সরকার।
হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াত যাতে কোনো ফায়দা না নিতে না পারে, সে জন্যে আপাতত এ পথে হাঁটতে চায় আওয়ামী লীগ।
খবর থেকে বুঝা যাচ্ছে যে আমাদের আওয়মী সরকার আগামী নির্বাচন নিয়ে নিজেদেরকে বিপাকে ফেলেছে। ঘাদানী আর বামপন্হিদের কারনে অনেক ভোট লুখশান যাবে আমাদের। আমাদের সরকার এখন উভয় সংকটে - ঘাদানীদেরকে সার্পোট করলে দেশের অধিকাংশ মানুষের ভোট পাওয়া যাবেনা। আর হেফাজতের সব দাবী মানলে তৃর্ণমূলের আওয়ামী কর্মীরা হতাশ হয়ে যাবে।
এবারের সংগ্রাম - সমঝোতার সংগ্রাম!
আর জনগণের ভোটের জন্য নৌকাকে হেফাজত করেই ছাড়ব - ইনশাআল্লাহ!
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৩
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৪
অতিক্ষুদ্র বলেছেন: ভাই কি বললেন। নৌকা উল্টালেতো টুপি হয়।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৯
আমি মেহমান বলেছেন: তাইতো!
নতুন কিছু শিখা হয় প্রত্যেহ - আপনাকে ধন্যবাদ!
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৮
নষ্ট ছেলে বলেছেন: এইবার জামাত-শিবির শফির বিরোধীতা করব তাদের খুব একটা জুইত লাগব না।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১২
আমি মেহমান বলেছেন: তা ঠিক। তবে এই ভাবে যদি সামান্য ধাক্কায় এই হয় তাহলে তুফানে যে আমাদের নৌকা একেবারে ডুবে যাবে!
৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২২
নষ্ট ছেলে বলেছেন: হে হে ডুবার ভয় থাকলে তীরের মানুষদের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখেন যাতে সাহায্যে এগিয়ে আসে
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৯
আমি মেহমান বলেছেন: আপনার ভালো পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার মত যদি সবাই 'নস্ট ছেলে' হইয়া সবাইকে সৎ উপদেশ দিত - তাইলে কতইনা শান্তি হইত!
৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৬
নরাধম বলেছেন:
ভোটের হিসেবে ঘাদানিক-এড় শাহরিয়ার কবীরের চেয়ে হেফাজতের গুরুত্ব অনেক বেশি, সেটা আম্লীগ ভালই বুঝে।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৬
আমি মেহমান বলেছেন: হু।
ভাই, এখন আমরা আওয়ামীলিগরা মহা মুছেবতে।
দুই দিগ দ্যা টানতাছে - একদিকে ভোটের সংগ্রাম; আর আরেকগ্রুপের প্রতিশোধের নেশা। আমরা সাধারণ আওয়ামীরা যাই কোন দিকে?
৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৪
মিঠাপুর বলেছেন: সমস্যা কি ?
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৭
আমি মেহমান বলেছেন: ভাই, সমস্যা উপরে!
৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৭
নষ্ট ছেলে বলেছেন: নরাধম বলেছেন:
ভোটের হিসেবে ঘাদানিক-এড় শাহরিয়ার কবীরের চেয়ে হেফাজতের গুরুত্ব অনেক বেশি, সেটা আম্লীগ ভালই বুঝে।
বুঝলেও স্বীকার করবে না। বামের চাদরে মোড়ানো আওয়ামী লীগ থেকে এত সহজে ইসলাম বিদ্বেষী চেতনা যাবে না।
আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ও বাম মিডিয়া গুলো যেভাবে শফিকে জামাতের সাথে মিশিয়ে ফেলছে তাদের আল্টিমেট লাভবান জামাতই হবে।
বামদের মুখ তো আর ভোটের কাজ করবে না।
৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪৪
নাইট রিডার বলেছেন: ভাই হেফাজতের এই আন্দোলনে কে কে লাভবান হবে তা নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম ।
আমাদের দেশে রাজনীতির সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হচ্ছে এই ভোট। এই ভোটের কাছে সকল প্রকার আদর্শ এর পরাজয় আমরা দেখেছি বার বার।
তাই যা ঘটেছে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ধর্ম আমাদের ভোট রাজনীতিতে বেশ বড় নিয়ামক। তাই তো আমরা ভোটের আগে হাতে তসবীহ আর মাথায় স্কার্ফ দেখি। জামাতের সাথে জোট করতেও কেউ কখনও পিছপা হয় নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০২
রোকসানা খাতুন লিজা বলেছেন: ৭২ এ বঙ্গবন্ধু বামদের পাল্লায় পড়ে যে ভুল করেছে, বর্তমান আওয়ামীলীগ তা করবে না। সেনাবাহিনী ও ধর্মকে তোয়াজ করে চলবে।
শফিদের পাওয়ার বাড়লে জামাতিরা মাঠে মারা যাবে। শফি সাহেবের দোস্ত রুহুল আমিন অলরেডী জামাত নিষিদ্বও মওদুদীর সকল বই নিষিদ্ব ও বাজয়েয়াপ্তের আহবান জানিয়েছে।
১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০৮
রোকসানা খাতুন লিজা বলেছেন: শফিদের উত্থানে সবচেয়ে বেশী চিন্তিত হবে জামাত। গত বিএনপি-জামাতের আমলে জামাত অনেক ষড়যন্ত্র করেছে কওমী মাদ্রাসা বন্ধ করতে। দেওবন্দী আলেম মাওলানা ওলীপুরীর তার ওয়াজে বিস্তারিত বলেছেন এটা নিয়ে। কওমী মাদ্রাসায় জামাতের সমর্থক তৈরী হয়না বরং বিরুধীতা কারি বাড়ে, তাই জামাত বন্ধ করতে চেয়েছে। তাছাড়া কওমীদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে বিএনপি সরকারকে বাধাও দিয়েছে এই জামাত।
এই জামাতকে ঠেকাতে শায়খুল হাদীস আজিজুল হক পর্যন্ত জোট গঠন করেছিলেন আওয়ামীলীগের সাথে২০০৬ এ।
জামাত একটা ভয়ংকর সাপ।
১২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১০
কাঠুরে বলেছেন: রোকসানা খাতুন লিজা বলেছেন: শফিদের উত্থানে সবচেয়ে বেশী চিন্তিত হবে জামাত। গত বিএনপি-জামাতের আমলে জামাত অনেক ষড়যন্ত্র করেছে কওমী মাদ্রাসা বন্ধ করতে। দেওবন্দী আলেম মাওলানা ওলীপুরীর তার ওয়াজে বিস্তারিত বলেছেন এটা নিয়ে। কওমী মাদ্রাসায় জামাতের সমর্থক তৈরী হয়না বরং বিরুধীতা কারি বাড়ে, তাই জামাত বন্ধ করতে চেয়েছে। তাছাড়া কওমীদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে বিএনপি সরকারকে বাধাও দিয়েছে এই জামাত।
এই জামাতকে ঠেকাতে শায়খুল হাদীস আজিজুল হক পর্যন্ত জোট গঠন করেছিলেন আওয়ামীলীগের সাথে২০০৬ এ।
জামাত একটা ভয়ংকর সাপ।
১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১৯
নীল জানালা বলেছেন: @রোকসানা খাতুন লিজা,,,একি বস্তুর দুইজন ব্যাবসায়ী থাকলে সমস্যা দুই ব্যাবসায়ীরই। তারা হয় একে অন্যরে হঠাইতে চাইবে অথবা একে অন্যের সাথে মিশে ব্যাবসা করবে। জামাত আর হেফাজত দুইটাই ধর্ম ব্যাবসায়ী। জনগন জামাতরে বাতিল ঘোষনা করসে। ধর্ম ব্যাবসায়ী হিসাবে জামাত এখন বেকায়দায়। এমতাবস্থায় ঐ একি প্রডাক্টের নতুন বিক্রেতার আবির্ভাব। অবস্থাটা বুঝেন! জামাত যদি ডিলিট খায় তাইলে জামাতিরা হেফাজতিতে কনভার্টেড হৈব কিনা বলেন?! নয়া বোতলে পুরানা মদ এলো বলে!!!
১৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:২৫
নষ্ট ছেলে বলেছেন: @নীল জানালা,
গাঞ্জা জিনিসটা ভাল না।
১৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:২৬
রোকসানা খাতুন লিজা বলেছেন: ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্বে গনহত্যা ও গনধর্ষন নিয়ে জামাতিদের কোন লেখালিখি বা বইতে পাবেন না। যা পাবেন তা শুধু আওয়ামী বিরুধীতা।
কিন্তু এই কওমীদের লেখায় আমি অনুশুচনা দেখেছি গনহত্যা নিয়ে, এরাই ঘোষনা দিয়ে আমরা মজলুম আর পাকিস্তানিরা জালিম।
১৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:২৭
নীল জানালা বলেছেন: @নস্ট ছেলে,,, এতো দিনে যখন বুঝতেই পারলা তাইলে ঐ জিনিষ আর খায়োনা।
১৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৩০
রোকসানা খাতুন লিজা বলেছেন: আরেকটা কথা এরা কিন্তু ভারতের উত্তর প্রদেশ দেওবন্দের অনুসারী। ১৯৪৭ সালের দ্বিজাতি তত্বের বা পাকিস্তান সৃষ্টির বিরুধীতা করেছে ৯০% দেওবন্দের আলেমরা। শাইখুল ইসলাম মাওলানা হুসাইন আহমেদ মাদানি হতে আতাউল্লাহ বোখারী। ওরা এখনো পাকিস্টানের বিরুধীতা করে। কায়েদ এ আজম আলি জিন্নাহকে ডাকতো কাফের এ আজম নামে।
ওরা যে সঠিক ছিলো এটা এখন পাকিস্টানকে দেখলে অনুভব করি।
১৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৩৫
নষ্ট ছেলে বলেছেন: @নীল জানালা,
বুঝি বলেই আপনাকে ভাল পরামর্শ দিলাম। নিজেও দূরে থাকি।
১৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৫৯
নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: টুট.....
২০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৮
পিয়ার আহসান বলেছেন: post theke ontoto etuku bujha gelo j edeshe bam communist ra jotoi mukhe mukhe raja ujir maruk, edesher manush tader biswas kore na, gonay dhore na. manush dhormopran bolei Awami sorkar voter rajniti bibechona kore Hefajote Islam er dabi gulo mene nicchhe.
Roksana Khatun Liza ke bishleshon mulok montobber jonno dhonnobad.
২১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৪
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: হেফাজতে ইসলামের তের দাবী মধ্যে হয়তো তিন দাবী সরকার মেনে নিবে । বাকী ইন্স আল্লা
২২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫৮
দিগন্তের পথিক বলেছেন: @রোকসানা খাতুন লিজা: খুব সম্ভবত আপনি সুকৌশলে ‘অখণ্ড ভারতবাদী’ প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন। দেওবন্দীদের যে দুটো প্রধান বিভাজন আছে সেটা আপনি এড়িয়ে গেলেন কেন?
দেওবন্দীদের প্রধান দুটো সেকশন আছে যেটা দেওবন্দী পাকিস্তান ও দেওবন্দী ভারত নামে পরিচিত। দেওবন্দী ভারত ও দেওবন্দী পাকিস্তান স্বতন্ত্রভাবে/পৃথকভাবে নিজেদের কার্যক্রম, দীক্ষা ও প্রতিষ্ঠান চালায়। এই দুই দেশের দুই দেওবন্দীদের মধ্যে পারস্পরিক ঐকতান রক্ষামূলক কোন সম্বন্ধ ও সম্পর্ক নেই।
দেওবন্দীদের সূচনাকারী পীঠস্থল দারুল উলুম দেওবন্দ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ইন্ডিয়ার উত্তর প্রদেশে স্থাপিত হয়েছিলো ১৯৪৭ এ ভারত-পাকিস্তান ভাগের বহু আগে, যেখানে দেওবন্দী আন্দোলনের সূচনা হয়েছিলো ভারত-পাকিস্তান বিতর্কের উত্পত্তির বহু পূর্বে সেখানে দেওবন্দী হলেই যে পাকিস্তানের বিরোধিতা করতেই হবে সেই রকম কোন আবশ্যিকতা আছে কোথাও? আর দুনিয়ার সব দেওবন্দীদেরকে যে অমুসলিমপ্রধান ভারতে অন্তরীণ দেওবন্দীদের সাথে প্রতিটা বিষয়ে প্রতিটা প্রশ্নে প্রতিটা বিতর্কে অভিন্ন মতাবলম্বী হতেই হবে সেই রকম কোন বাধ্যকতা ও শর্ত আছে? অবশ্যই নেই।
ভারত-পাকিস্তান বিতর্ক যখন উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে সামনে আসে তখন এই দেওবন্দীদের একটা অংশ পাকিস্তান আন্দোলনের পক্ষে কাজ করেন এবং আরেকটা অংশ পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করে। দারুল উলুম দেওবন্দের গ্র্যান্ড মুফতি মুহাম্মদ শাফি উসমানী থেকে শুরু করে প্রসিদ্ধ দেওবন্দী আলেম আশরাফ আলী থানভী, শাব্বির আহমেদ উসমানী প্রমুখ দেওবন্দী নেতৃবৃন্দগণ মুসলিম লীগ ও পাকিস্তান আন্দোলনের পক্ষে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেন। সেই সাথে তারা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর অনুসারী ও দ্বিজাতি তত্ত্বের একনিষ্ঠ সমর্থকও ছিলেন। পাকিস্তান আন্দোলনের একনিষ্ঠ সমর্থক এই দেওবন্দীদেরকে নিয়েই ১৯৪৫ সালে গঠিত হয়েছিলো জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম।
এখন এই দেওবন্দীদেরই আরেকটা অংশ তখন পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং বর্তমানে ভারতের দেওবন্দীদের অনেকেই পাকিস্তানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনা করে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে বিষোদাগার করেন। এর পিছনে কারণটা কি? এর কারণ মূলত দুইটা।
প্রথমত, যেসব দেওবন্দী পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন তাদের বিরোধিতার প্রধান কারণ ছিলো মূলত একটি। তারা চেয়েছিলেন এই উপমহাদেশের প্রতিটা কোণে কোণে যেন ইসলামী দাওয়াত পৌঁছে দিয়ে গোটা উপমহাদেশকে কালক্রমে ইসলামের আলোয় আলোকিত করতে পারেন। কিন্তু এর মধ্যেই যদি মুসলিম-অমুসলিমের ভিত্তিতে উপমহাদেশ ভাগ হয়ে যায় তাহলে বিভাজনের তিক্ততা হেতু উপমহাদেশের অমুসলিম জনগোষ্ঠীর নিকট ইসলামের দাওয়াত নিয়ে যাওয়াটা কঠিন ও প্রতিকূল হবে। সেই কারণেই তারা পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং অখণ্ড পরিমন্ডলেই সামগ্রিকভাবে চারদিকে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
দ্বিতীয়ত, বর্তমানে ভারতের যেসব দেওবন্দী বিভিন্ন প্রসঙ্গ টেনে প্রকাশ্যে পাকিস্তানের বিষোদাগার করেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরোধিতা করেন বা জিন্নাহকে কটূক্তি করেন তারা মূলত অমুসলিমপ্রধান ভারতে নিজেদের উপর অমুসলিম জনগোষ্ঠীর সুনজর/সন্তুষ্টতা ও বড় বড় দলগুলোর রাজনৈতিক ছত্রছায়া ধরে রাখার স্বার্থেই এমনটা করে থাকেন। “নিজেদের বার্ষিক দেওবন্দী সভায় হিন্দু ধর্মগুরুকে প্রধান অতিথি হিসেবে ডেকে আনানো”, “রাম দেবের কাছ থেকে যোগবিদ্যায় দীক্ষা নিতে যাওয়া”, “২০০২ গুজরাট দাঙ্গার কথা ভারতের মুসলিম জনসাধারণকে ভুলে যাওয়ার আহবান জানানো ও নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করা”, “হিন্দুদের দেবতা হেতু গরুকে কুরবানী না দিতে ভারতের মুসলিমদের প্রতি আহবান জানানো”, “রাশিয়ায় ভগবত গীতা নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে হিন্দু মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানানো” এর মতো ঘটনাগুলো প্রমাণ করে যে ভারতের দেওবন্দীরা আদর্শিকভাবে কতোটা দেউলিয়া অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। মূলত, ভারতের অমুসলিম জনগোষ্ঠীর নিকট নিজেদেরকে ভাবমূর্তিকে সফেদ রাখা (যেন মুসলিম টেররিস্ট বলে ট্যাগিং না দেয়) এবং ভারতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর আশীর্বাদপুষ্ট থাকার বাসনা থেকেই ভারতের দেওবন্দীদের যে আপোষকামী দুর্বল ও দেউলিয়া অবস্থা তাতে ভারতীয় পক্ষের মন পাওয়ার জন্য পাকিস্তান কেন, দুইদিন পর বাংলাদেশকে গালাগাল করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বর্তমানে পাকিস্তানের সুন্নী মুসলিমদের প্রায় ১৫% নিজেদেরকে দেওবন্দী বলে মনে করেন এবং পাকিস্তানের ৬৫% মাদ্রাসা পরিচালিত হয় পাকিস্তানি দেওবন্দীদের দ্বারা, পাকিস্তানের যে দেওবন্দীদের সাথে ভারতের দেওবন্দীদের কোন ঐকতান বা সমন্বয় নেই। দুই দেশের দুই দেওবন্দী পৃথক ও স্বতন্ত্র।
এখন বাংলাদেশের হেফাজতে ইসলাম কি ভারতের দেওবন্দীদের অনুসারী, নাকি পাকিস্তানি দেওবন্দীদের অনুসারী, নাকি ভারতীয়-পাকিস্তানি কোন দেওবন্দীদেরকেই কট্টরভাবে অনুসরণ না করে স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের মতো করে নিজেদের জন্য নিজেদের আদর্শ সংস্কার করে সাজিয়ে নিয়েছেন সেটা অস্পষ্ট, অনুসন্ধানযোগ্য ও বিতর্কযোগ্য একটা বিষয়। এই বিষয়টা নিয়ে ভালো মতো না জেনে অধিক কথা বলাটাকে পরিহার করা সবার জন্যই উত্তম হবে বলে আমি মনে করি।
তবে দেওবন্দী মাত্রই যে পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতাকারী বা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ইন্ডিয়া ভাগের বিরোধিতাকারী এবং সেই সূত্রে বাংলাদেশে কোন দেওবন্দী থাকলে তারাও যে ব্রিটিশ ইন্ডিয়া ভাগের বিরোধিতাকারী, এই দাবিটার তীব্র বিরোধিতা করছি আমি। কেননা আজকে বাংলাদেশের যে স্বাধীন সার্বভৌম অস্তিত্ব ও মানচিত্র সেটার একটা মূল ভিত্তি এবং অপরিহার্য ধাপ হলো ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, কেউ যদি ১৯৪৭ এর দেশভাগকে অস্বীকার করে তাহলে সে আসলে পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে।
২৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০২
হোমারদা বলেছেন: কিছু দাবি ঠিক আছে হেফাজতের। বাকীগুলো মধ্যযুগীয় দাবি। এমনকি আফগানিস্তানেও মানায় না। আর আওয়ামীলীগ মনে হয় আশ্বাস দিয়ে ঠান্ডা করতেছে। পরে আর ফিরেও চাইবে না। আন্দোলন একবার পোতায় গেলে গরম হওয়া কঠিন। আর কথা দিয়ে বরখেলাপ করাইতো একমাত পলিটিকস।
২৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৮
হ্যাপিহ্যাপ০০৭ বলেছেন: হতে পারে ।
আজ অর্থমনত্রী ইইউ রাষ্টদূতদের সাথে বৈঠকের পর বলেছেন এক মাসের মধ্যে সব অবস্থা ঠিক হয়ে যাবে ।
রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৯
কাঠুরে বলেছেন:
খবর যদি সঠিক হয়, একজন জাতীয়তাবাদী ব্লগার হয়েও আওয়ামীলীগকে ধন্যবাদ জানাবো।