![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার মারা গেছেন সোমবারে। The Iron Lady বা ‘লৌহ-মানবী’ হিসেবে খ্যাত, এই নেতাকে কেউ কেউ খুবই ভাল পেতেন আবার করো কাছে তিনি ছিলেন চোক্ষসূল। তবে তার রাজনৈতিক পারদর্শীকতার ব্যাপারে প্রায় সবাই একমত। এই মহিলার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখার আছে আমাদের বাংলাদেশের নেতাদের।
মার্গারেট থ্যাচারের সব গুণাবলীর মধ্যে নীচের গুণগুলো বাংলাদেশের নেতাদের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য বলে মনে করি।
১। এই নেতার কাছে তার দলের চাইতে দেশই ছিল বড়। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি তার দলের নীতিমালার পর্রিবতে দেশের স্বার্থকে প্রধান্য দিতেন বলেই তার রাজনৈতিক পরিসমাপ্তি ঘটে। তিন তিনবার নির্বাচন বিজয়ী এই নেতাকে প্রশাসন ছাড়তে হয় দল থেকে দেশকে অগ্রাধীকার দেয়ার কারনে। নিবার্চনে হারার কারনে নয়। বস্তত তিনি কোন নিবার্চনই হারেননি।
>> আমাদের দেশের নেতাদের কাছে দলই সবচেয়ে বড়। দলের জন্য তারা সবই করতে পারেন - করেনও। কিন্ত দেশের জন্য কিছুই করতে পারেননা। দেশকে ব্যাবহার করেন তাদের হেয় পলিটিক্সের জন্য মাত্র।
২। মন্ত্রীদেরকে তিনি ভাল প্রশিক্ষণ দিতেন। কোন মন্ত্রী-মিনিস্টারকে আবোল-তাবোল বকতে বা আজে-বাজে নীতিমালা গ্রহন করতে বিরত রাখতেন। তার সরকারের সব মন্ত্রীরা এক ভাষার কথা বলতেন - দেশ গড়ার কাজ করতেন একসাথে।
একবার খাবার মন্ত্রীসভায় খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। ওয়েটার লোকটা উনাকে কিছু খাদ্য দিতে দিতে জিজ্ঞাসা করল 'ম্যাডাম, সবজি (নেবেন কি)?'
'সবজিরা (মন্ত্রীদেরকে উদ্দেশ্য করে) কি খাবে তা আমিই নির্ধারণ করবো।'
(উল্লেখ্য যে ইংরেজরা নাকি খুব দূর্বল লোকদেরকে 'সবজি' আখ্যা দেয়)।
>> আমাদের বাংলাদেশে মন্ত্রীরা প্রত্যেকদিন যে কত আজে-বাজে বকেন তা সবাই জানে - জানেন না শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সত্যিই আওয়ামী সরকারের বাংলাদেশে 'সবজির' কোন অভাব নেই! বুঝলেন!
৩। তার দেশকে কখনও কেউ তার সামনে হেয় করতে পারে নাই। বিশ্বের সবার কাছে তার দেশকে উন্নত স্হানে রাখতেন। বিশেষ করে মিত্র-দেশেগুলোর সাথে আদান-প্রদানে সব সময় হুশিয়ার থাকতেন। ফ্রান্স আর আমেরিকার প্রসিডেন্টদের সাথে তার খাতির ছিল খুব বেশী কিন্ত যখনই তারা তার দেশের বিরোদ্ধে কোন কিছু করেছে - তিনি তাদের দাত ভাংঙা জওয়াব দিয়েছেন। তার দলের সবাইকে নাকি এবার কঠাক্ষ করে বলেছিলে 'আপনার ঘুড়বেন তো ঘুড়ুন - অন্যদিকে যান, এই মহিলা ঘুড়াবার বস্তু না!'
>>ভারতের সাথে বাংলাদেশের আদান-প্রদানের যে সর্ম্পক তা আমাদের দেশের মান-মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে না উন্নত করছে তা বুঝতে করো সময় লাগবেনা। আর বিশ্বে আমাদের দেশের সরকারের মর্যাদা নিয়ে না বলাই ভাল।
৪। নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য তিনি তেমন কিছু করেন নাই কিন্ত দেশের জনগনের জন্য করেছেন অনেক কিছু। গরীব জনগণের বাড়ী কিনার ব্যবস্হা, জাতীয় সম্পদে জনগণের সেয়ার সহ আরো অনেক নীতেমালা বাস্তবায়ন তার শাসনামলেই হয়। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অনেক সময় তার নীতিমালা গ্রহন করতে বাধ্য হয়েছে। টনি ব্লেয়ারের অনেক পলিসিই নাকি ছিল থ্যাচারের থেকে নেয়া।
>>আর আমাদের বাংলাদেশে দেশের উন্নতির জন্য প্রতিপক্ষের নীতিমালা নেয়া তো দূরের কথা - সরকার বদলের সাথে সাথে শুরু হয় নাম উল্টানোর পালা।
৫। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্টায় তার ভূমিকা অবিস্মরনীয়। পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম দেশগুলোর মধ্যে যে মহয়-বিবাদ ছিল - তার পরিসমাপ্তিতে থ্যাচারের ভুমিকা ছিল সব চেয়ে বেশী। তার নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক দক্ষতা তার দেশের সন্মান বাড়িয়েছে বিশ্বর সকল দেশে।
>> আমাদের নেতাদের ব্যাপারে কি বলন। যে দেশেই যান সেখানে রেখে আসেন দেশের বিশৃংখলা।
মার্গারেট থ্যাচারের কিছু উক্তি:
On women
"I don't think there will be a woman Prime Minister in my lilfetime" In a BBC television interview, 1973
On money
"Pennies don't fall from heaven, they have to be earned here on earth." At a speech at the Lord Mayor's Banquet, 12th November, 1979
On society
"There is no such thing as society" From an 1987 interview with Women's Own
On socialism
"It is a great night. It is the end of Socialism" On hearing of the Conservative win in the 1992 election
"Socialist governments traditionally do make a financial mess. They always run out of other people's money. It's quite a characteristic of them." In an interview on Thames TV, 1976
On tenacity
"To those waiting with bated breath for that favourite media catchphrase, the U-turn, I have only one thing to say: You turn if you want to. The lady's not for turning." At the Conservative Party Conference, 1980
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৯
আমি মেহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার ভাল লাগার জন্য!
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৪
পোসেইডন বলেছেন: এমেরিকার রাষ্ট্র ব্যবস্থা যদি কোন দেশ ফলো করে রাতারাতী সুপার পাওয়ার হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সলিড গনতন্ত্র বলতে যা বুঝায় তা এক মাত্র এমেরিকাতেই ফলো করে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫৩
শিপন মোল্লা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ।
++++
আহ যদি শিক্ষা নিতেন আমাদের নেতারা।