নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেহরিন চৌধুরাণীর blog এ আপনাকে welcome

মেহরিন চৌধুরানী

আমি খুব সাধারণ একটি মেয়ে। আমি একজন বাঙালি মুসলিম। আমি রাজনীতিতে জড়িত থাকতে পছন্দ করিনা, ঝগড়া পছন্দ করিনা। এক কথায় শান্তিপ্রিয় একজন মানুষ। সবার সাথে মিশে থাকতে ভালোবাসি।

মেহরিন চৌধুরানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"অবশেষে উপসংহার" By Mehrin Chowdhury

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭



-আজ নিশাতের কথা বড্ড মনে পড়ছে। অনেক ভেবে নিশাতের ID টা UNBLOCK করলো রাহাত।

একে একে পুরোনো মেসেজ গুলো পড়তে থাকলো।

(তারপর FRIEND REQUEST না পাঠিয়েই মেসেজ দিলো।)

রাহাত - hi..!

(ONLINE এ'ই ছিলো নিশাত, বাংলাদেশে রাত ১.২৪ বাজে তখন, প্রায় ৪মাস পর রাহাতের মেসেজটা পেয়ে বেশ অবাক হলো)

নিশাত - হুম, এতদিন পর কি মনে করে?

রাহাত - তোমার কথা খুব মনে পড়ছিলো।

নিশাত - তাই?

রাহাত - বাংলাদেশে তো এখন অনেক রাত, জেগে আছো যে!

নিশাত - কেনো জেগে থাকলে কি হবে?

রাহাত - আমার তো কিছুই না, কিন্তু রাত জাগলে যে তোমার চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল পড়ে যাবে!

নিশাত - তাতে আপনার কি?

রাহাত - অসুস্থ হয়ে যাবে, এত রাত জেগে থাকতে নেই। ঘুমিয়ে পড়ো PLEASE.

নিশাত - হুমম, Bye.

রাহাত - TAKE CARE BABY GIRL

নিশাত -

রাহাত - SAD কেনো?

নিশাত - জানিনা।

রাহাত - আমি তোমাকে BABY বলে ক্ষেপালাম তুমি কিছু করলেনা যে?
আগে তো ঝগড়া করতে।

নিশাত - হুমম. . . .

রাহাত - হুম কি?

নিশাত - কিছু না।

রাহাত - আপুর বিয়ের ছবিতে তোমাকে দেখলাম।

নিশাত - ভালো, আপনার GF এর কি খবর?

রাহাত - এসব কথা থাক না নিশু।

নিশাত - নিশু?

রাহাত - তো? নিশু ডাকা যায় না?

নিশাত - জানিনা

রাহাত - কেনো জানোনা?

নিশাত -

রাহাত - খালি SAD থাকা লাগে?

নিশাত - থাকলে আপনার কি?

রাহাত - আমার অনেক কিছু।

নিশাত - মানে?

রাহাত - তোমার নামের সাথে আমার নামটা দারুন মিলে যায়।

নিশাত - তো?

রাহাত - তো কি?

নিশাত - আচ্ছা আপনার এতদিন পর আমার সাথে কথা বলার কি দরকার পড়লো?

রাহাত - তুমি আমাকে FEEL করতে পারো?

নিশাত - জানিনা জান।

রাহাত - কেনো জানোনা জান?

নিশাত - এই কে কার জান?

রাহাত - এই না তুমি আমাকে জান বললে? তাই তো আমিও আদর করে তোমাকে. . . . .

নিশাত - ওইটা তো যেতে বলেছি।
জান ভুলে লিখে ফেলেছি

রাহাত - ভুল করে লেখো আর ঠিক করে লেখো তুমি আমায় জান বলে ডেকেছো নিশি।

নিশাত : রাহি এইবার কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে!

রাহাত : কিসের বাড়াবাড়ি?

নিশাত : অভার কাছে যাও। আমি তোমার COUSIN & BEST FRIEND এ ছাড়া আর কিছু না।

রাহাত - আভা না আমার পৃথিবী শুধু তুমি নিশা। বুঝতে একটু সময় লেগেছে এই যা!

নিশাত -

রাহাত - ৪টা বছর আমার জন্য অপেক্ষা করবে PLEASE?

নিশাত - তুমি কিন্তু আভা কে ঠকাচ্ছো। আর এভাবে আমি পারবোনা।

রাহাত - আভা আমাকে ঠকিয়েছে। এখন ওর NEW BF হয়েছে।

নিশাত - মানে?

রাহাত- ব্রেকআপ . . . . .

নিশাত - জানতাম আগে থেকেই।

রাহাত - কি জানতে?

নিশাত - আভা তোমার জন্য নয়।

রাহাত - কিভাবে জানতে?

নিশাত - জানিনা

রাহাত - ভালো।

নিশাত - মন খারাপ?

রাহাত - একটু খারাপ

নিশাত - কেনো?

রাহাত - জানিনা।

নিশাত - কেনো জানো না?

রাহাত - তুমি কি খেয়াল করেছো, তুমি কিন্তু আমাকে তুমি করে বলতে শুরু করেছো

নিশাত - SORRY, আর বলবোনা।

রাহাত - তুমি করেই বলো না, শুনতে ভালো লাগে।

নিশাত - আভা চলে গেছে বলেই আপনি আমার কাছে এসেছেন তাই না?

রাহাত - মানে?

নিশাত - কিছুনা।

রাহাত - হুমম। তুমি আমার কথা এত ভাবো কেনো?

নিশাত - কই না তো।

রাহাত - তুমি মিথ্যে বলতে পারোনা আমি জানি।

নিশাত - কি জানেন আপনি?

রাহাত - যা তুমি জানাওনি আমাকে।

নিশাত - কি জানাবো?

রাহাত - তুমি জানো।

নিশাত - জানিনা।

রাহাত - তোমার গলায় একটা লকেট আছে তাইনা? ওই লকেটে কারো ছবি আছে আর উপরে NR লিখা

নিশাত - আপনাকে কে বলেছে? আপনি কিভাবে জানেন?

রাহাত - হিহিহিহি, সাফাত ভাই বলেছে।

নিশাত - তো থাকলে কি হয়েছে?

রাহাত - ছবিটা তো আমার হয়ার কথা।

নিশাত - ইশ! যেনো উনি HERO!

রাহাত - হুমম তোমার HERO.

নিশাত -

রাহাত - মুখ ফোটে বলতে পারোনা কেনো?

নিশাত - কি বলবো?

রাহাত - তুমি জানো।

নিশাত - ভোর হয়ে গেছে নামায পড়ে আসি?

রাহাত - ONLINE এ আছি, যাও পড়ে এসো।

(নিশাত নামায পড়তে চলে গেলো)

রাহাত - তুমি জানো নিশা তুমি যেভাবে আমাকে CARE করেছিলে ওভাবে কেউ কোনদিন করেনি আগে। তোমার পাগলামি, জেদ সবকিছু আমার ভালো লাগতো। জানিনা কেনো এত মুগ্ধ হতাম তোমার কথা শুনে।
তোমার দুর্বলতা বুঝতে পেরেও তখন কিছু করতে পারিনি।
কারনটা তুমি জানো।
আভা যখন তোমার আর আমার চ্যাট পড়ে ফেললো তখন বাধ্য হয়ে তোমাকে আমার থেকে দূরে সরাতে হয়েছিল কড়াভাবে।

কিন্তু তোমার থেকে দূরে থেকে বুঝতে পারলাম শুধু তুমি নও আমিও তোমার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়েছি।

এই কারণে আমি আনমনা থাকতাম।
আস্তে আস্তে আভা আমার থেকে দূরে চলে যায়। জানতে পারি ও অন্য কাউকে ভালোবাসে।

তাই তো মুক্ত হয়ে আমি তোমার কাছে চলে এসেছি।

নিশাত তুমি আমার সত্যিকারের ভালোবাসা।

উইল ইউ ম্যারি মি?

(নামায শেষে নিশাত মেসেজ গুলো দেখে একটা শক খেলো। এতদিন থেকে যাকে মনে মনে চেয়ে এসেছে আজ নিজে থেকেই সে এসে বলছে ভালোবাসার কথা!)

নিশাত - রাহি ভাইয়া, আমি জানি আপনি মজা করছেন। দেখুন আমি কিন্তু এসব পছন্দ করিনা।

রাহাত - আমি সিরিয়াস। I LOVE U NISHAT..!

নিশাত - আমি কিছু বলবোনা। যা হবে চার বছর পর।

রাহাত - হুমম যা তুমি চাও তাই হবে।

-----------------------

‪#‎চার_বছর_পর‬. . . . . .

-আজ নিশাত আর রাহাতের বিয়ে।
সারাটা বাড়ি ঝলমল আলোয় সাজানো।

-একটুপর রাহাত আর তার পরিবার নিশাতকে নিতে আসবে।

-লাল শাড়ি পরে বসে আছে নিশাত, বাইরে অনেক চেঁচামেচি তার মানে রাহাত চলে এসেছে

-হঠাত্‍ রাহাতকে নিয়ে ঘরে ঢুকলো সবাই।

-রাহাতকে পাশে বসিয়ে বিয়ে পড়ালেন কাজী সাহেব।

-এবাড়ির সব আচার অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলে নিশাতকে নিয়ে রাহাতদের বাড়ির পথে যাত্রা করলো সবাই।

-বধুবেশে যাত্রা করলো নিশাত রাহাতের পাশে বসে।

আজ নিশাত আর রাহাত তাদের অপূর্ণ স্বপ্নকে পূরণ করতে পেরেছে।
তাদের অসমাপ্ত প্রেমের কাহিনী অবশেষে সমাপ্ত হলো।

এবার এক নতুন জীবন তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

-সমাপ্ত-

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.