নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেহরিন চৌধুরাণীর blog এ আপনাকে welcome

মেহরিন চৌধুরানী

আমি খুব সাধারণ একটি মেয়ে। আমি একজন বাঙালি মুসলিম। আমি রাজনীতিতে জড়িত থাকতে পছন্দ করিনা, ঝগড়া পছন্দ করিনা। এক কথায় শান্তিপ্রিয় একজন মানুষ। সবার সাথে মিশে থাকতে ভালোবাসি।

মেহরিন চৌধুরানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ভালবাসা" লেখিকাঃ Mehrin Chowdhury

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০



_১_

-- একটা বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করে বৃষ্টি। সেই কোম্পানির CEO শাহরিয়ার হামিদ শাওন।
দরকার ছাড়া খুব একটা কথা বলেনা কারো সাথে।

-- তবে কখনওই কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেনা।

-- বৃষ্টি তিনমাস হলো এই অফিসে জয়েন করেছে তখন থেকেই কি যেনো একটা টান অনুভব করে শাওনের প্রতি।

-- কারনে অকারনে শাওনের কেবিনে যাওয়াটা তার একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে এখন।

-- আর কেবিনের বাইরে নিজের টেবিলে থাকলেও বৃষ্টি একমনে শাওনের দিকে তাকিয়ে থাকে।

-- আর এটাও বুঝতে পারে যে শাওন তা দেখেও না দেখার ভান করে।

-- আজ একটা দুঃসাহস দেখিয়েছে বৃষ্টি, সকালে এক তোড়া লাল গোলাপ শাওন স্যারের টেবিলে রেখে এসেছে।

-- এখন ও শাওন স্যার আসেন নি।
তবে এটা দেখে শাওন স্যার কি করবেন এটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

-- সারাটা দিন কেটে গেলো, অথচ শাওনের আসার নাম ই নেই।

-- এদিকে অফিস ছুটি হয়ে গেছে। অভিমানে মুখ গোমরা করে বৃষ্টি আস্তে আস্তে বাড়ির পথ ধরলো।

-- বৃষ্টির বাড়ি যাওয়ার রাস্তায় কাছেই একটা শাড়ির দোকান পড়ে। তাই বৃষ্টি ভাবলো মন ভালো করতে একটু কেনাকাটা করবে।

-- এই ভেবে বৃষ্টি, দোকানে ঢুকতেই একটা লাল টুকটুকে শাড়ি চোখে পড়ে। কাজটা হালকা তবে অসাধারণ সুন্দর।

-- শাড়িটাকে ধরতে যেতেই দেখলো, দোকানের একজন স্টাফ শাড়িটাকে খুলে প্যাক করতে নিয়ে যাচ্ছে।

>> বৃষ্টিঃ এক্সকিউমি, এই শাড়িটাকি বিক্রি হয়ে গেছে?

>> স্টাফঃ ইয়েস ম্যাম।

>> বৃষ্টিঃ আসলে শাড়িটা খুব পছন্দ হয়েছিল আমার। দেখুন না কিছু করা যায় কিনা।

>> স্টাফঃ সরি ম্যাম, এটা ওয়ান পিস ই এসেছিল। এক স্যার অর্ডার দিয়ে আনিয়েছেন। অন্য শাড়ি দেখতে পারেন।

>> বৃষ্টিঃ নো, থ্যাংক্স..

--- খুব রাগ হলো বৃষ্টির। দোকান থেকে বের হয় হাঁটতে হাঁটতে একটা জুয়েলার্সে ঢুকলো সে।

-- ঢুকতেই ধাক্কা খেলো একটা লোকের সাথে।
মুখোমুখি তাকাতেই দেখে শাওন স্যার!!

-- শাওনের হাতের প্যাকেটটা পড়ে গেছে। ওটা তুলে দিতে গিয়ে বৃষ্টি দেখলো এটা সেই শাড়ি যেটা ঐ দোকানে সে পছন্দ করেছিলো।

>> বৃষ্টিঃ স্যার আপনার প্যাকেট।

>> শাওনঃ থ্যাংক্স।

>> বৃষ্টিঃ এখানে কি মনে করে স্যার।

>> শাওনঃ (ভ্রু কুচকে) জুয়েলার্সে মানুষ কেনো আসে?

( একথা বলেই বৃষ্টিকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কাউন্টারে বিল দিতে চলে গেলো শাওন)

-- মন খারাপ করে সেদিনের মত বাসায় চলে আসে বৃষ্টি।
স্যার এভাবে না বললে কি হত? একটু মিস্টি করে কথা বলা যেতনা?
_______________________

-- রাতে বাসায় এসে বৃষ্টি ভাবছিলো ঐ শাড়ি আর গয়না ঠিক কার জন্য?
তবে কি স্যারের জীবনে কেউ আছে? অথবা স্যারের পরিবারের অন্য কারোর জন্যে?

-- ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়লো বৃষ্টি।

-- সকালে এল্যার্ম বেজে উঠতেই ঘুম ভেঙ্গে গেলো, আস্তে আস্তে রেডি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হলো।

-- অফিসের দরজায় পা রাখতেই দেখলো অফিসে একটা উত্‍সবের আমেজ।

-- সবাই খাচ্ছে ঘুরছে। বৃষ্টি তার কলিগ সুমি কে ডাক দিলো।

>> বৃষ্টিঃ এই সুমি!

>> সুমিঃ কিরে কি হয়েছে?

>> বৃষ্টিঃ এত উত্‍সব কিসের জন্য?

>> সুমিঃ জানিনা, এসব শাওন স্যার এর পক্ষ থেকে হচ্ছে।

>> বৃষ্টিঃ স্যার কি কেবিনেই আছেন?

>> সুমিঃ হ্যাঁ আছেন।

-- " নাহ আজ স্যারকে বলেই দেবো যা থাকে কপালে" মনে মনে একথা বলে শাওনের কেবিনে ঢুকলো বৃষ্টি।

>> বৃষ্টিঃ স্যার একটা কথা আপনাকে বলার ছিল।

>> শাওনঃ বলুন

>> বৃষ্টিঃ আপনাকে আমার খুব ভাল লাগে স্যার, (কোন ভনিতা ছাড়াই বলে ফেলল বৃষ্টি)

>> শাওনঃ কি বলছেন এসব?

>> বৃষ্টিঃ সত্যি স্যার, ভয়ে বলিনি এতদিন।
>> শাওনঃ বসুন,

" বৃষ্টি বসল।"

- আপনি জানেন আমি দরকার ছাড়া কথা বলা পছন্দ করিনা। আপনাকে যা বলব তাও দরকারের মধ্যে পড়ে তাই বলছি। আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগের কথা, আমার জিএফ আর আমি, বিয়ে করব বলে ঠিক করি। তখন আমাদের সম্পর্কের ৫বছর চলছিল। আমি সবে hons শেষ করেছি।
তখন আমার চাকরি ছিলনা, ওর ফ্যামিলি কোন ভাবেই মেনে নিচ্ছিল না। ওর বিয়ে ঠিক হয়ে যায়, বাধ্য হয়ে আমরা কাজি অফিসে বিয়ের ডিসিশন নেই।
সেদিন আমরা দুজনে রিকশা করে কাজি অফিসের উদ্যেশে যাচ্ছিলাম।
কিন্তু পথে, একাটা এক্সিডেন্ট হয়। আমার সেন্স ফিরার পর জানতে পারি আমার মিমি কোমায় চলে গেছে।
আমি তখন কোন অবস্থায় ছিলাম আমি আপনাকে বোঝাতে পারব না।
আমি অপেক্ষা করতে থাকি, আর আমার অপেক্ষা আজ সফল হয়েছে। মিমি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। আগামীকাল আমাদের বিয়ে। আপনি আবশ্যই আসবেন। সরি আপনার অনুরোধ রাখতে পারলাম না। মিমি আমার দুনিয়া, তাকে ছাড়া আমি আর কাওকে নিয়ে ভাবার অধিকার রাখিনা। মিমি হসপিটালে আমার জন্য অপেক্ষা করছে, আসি মিস বৃষ্টি।

"শাওন চলে যেতেই বৃষ্টি চোখ মুছে বেরিয়ে এল। মিমি আর শাওন সুখে থাকুক, এই কথাটা অস্পষ্ট বেরিয়ে এল
বৃষ্টির মুখ থেকে।"

____________সত্যিই শাওন আর মিমি আজ বিয়ের ৫বছর পার করেছে। সুখেই আছে তারা আর তাদের জমজ দুই ছোট্ট বেবি নিয়ে। আর বৃষ্টি? সেও নিয়তিকে মেনে নিয়েছে। পারিবারিকভাবে বিয়ে করে এখন সুখেই আছে____________

NB: নিয়তিকে মেনে এগিয়ে চল, হয়তো যা চেয়েছিলে তার থেকে ও বেশি কিছু অপেক্ষা করছে তোমার জন্যে ভবিষ্যতে।
যা তোমার নয় তার জন্য যুদ্ধ করে লাভ কি? ভাল থাক নিজে, অন্যকে ও ভাল থাকতে দাও। ভালবাসা না পেলে ও চেয়ে দেখ তোমার ভালবাসার মানুষ সুখে আছে। তার সুখ কি তোমার সুখ নয়?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: কি?
মন খারাপ ??
কেউ পড়ছে না বুঝি ??
কে বলেছে কেঊ পড়ছে না
এইতো পড়লাম
বেশ ভাল হয়েছে
++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.