নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের কথা বলতে চাই

পাখির চোখে বিশ্ব দেখি

পাখির চোখে বিশ্ব দেখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্তান লালন-পালনের আদর্শ পদ্ধতি

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪


("পিতামাতার সাথে শিশুর সম্পর্ক" বইয়ের ভুমিকা থেকে নেয়া )
একটা সুখি শান্তিপূর্ণ পরিবার- যেখানে সবাই মিলেমিশে বসবাস করছে, একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে, সন্তান-সন্তুতিরা ধর্মের অনুশীলন করছে এবং সর্বোপরি যে পরিবারগুলো সুসমন্বিত - তাদের দেখে অনেকে মনে করেন এসব বুঝি নিজ থেকে এমনি এমনি হয়ে গেছে। আসলে কি তাই? না, এসবের পেছনে রয়েছে কঠিন পরিশ্রম। এটা সন্তানদের সঙ্গে পিতামাতার সুগভীর উন্নত সম্পর্কের ফসল। ভাল প্যারেন্টিং আসলে একটা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের মত। বলা যেতে পারে এটিই সন্তানদের সঠিক আবেগ-অনুভূতি, তাদের মানসিক অথবা মনোদৈহিক বিকাশের মূল চাবিকাঠি।
এক কথায় ভাল প্যারেন্টিং বাচ্চাদের ভালবাসাপূর্ণ একটা উষ্ম পরিবেশ দেয় যেখানে তারা পুরোপুরি বিকশিত হতে পারে। বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানদের মজবুত সম্পর্ক তৈরী হতে একটা ইতিবাচক পরিবেশ দরকার যেখানে পারস্পরিক ভাববিনিময় ও যোগাযোগ সাবলীল হয়। পাশাপাশি সন্তানের কোন বিষয় যেন পিতা-মাতার নিকট গোপন না থাকে। ফলে পিতামাতা ও সন্তান-সন্ততি পরস্পরকে বুঝতে পারে ও একে অন্যের কাছাকাছি আসতে পারে। সফল যোগাযোগের জন্য কি প্রয়োজন? ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও বিবেচনাবোধই সফল যোগাযোগ ও সুগভীর সম্পর্ক তৈরীর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। রুক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি, সার্বক্ষনিক সমালোচনা, বকাঝকা করা কিংবা মারধর করা; পারস্পরিক সম্পর্ক ও যোগাযোগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর মূলত এই ইতিবাচক যোগাযোগ ও পারস্পরিক সম্পর্কই বাচ্চাদেরকে নিজেদের উৎকর্ষ সাধনের কঠোর চেষ্টায় নিয়োজিত করতে উৎসাহিত করে ।
আজকের দিনে মুসলিম পরিবারে প্যারেন্টিং আপাদমস্তক সমস্যা জর্জড়িত। অধিকাংশ পিতামাতা এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় লেখাপড়া করে না (বা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহন করে না) কিংবা এই বিষয়ে তাদের ধর্মীয় জ্ঞান পরিপূর্ণ ভাবে নেই। ফলে তারা প্যারেন্টিং বা শিশু লালন-পালনের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় বেশ আনাড়ী থেকে যান। তারা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করেন নিজেদের বাবা-মা ও আত্মীয়দের অনুশীলন করা রীতি এবং নিজেদের সাধারণ বুদ্ধি বা কমন সেন্সের উপর, যা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই সেকেলে, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত, সময় অনুপযোগী ও গবেষণা ভিত্তিক নয়। আমাদের মনে রাখা জরুরী যে আমাদের পূর্বপুরুষদের প্যারেন্টিং জ্ঞান অনেক ক্ষেত্রেই নির্ভুল ছিল না। এর কারণসরূপ বলা যায় যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের প্রয়োজনীয় জ্ঞানের অভাব, অথবা সেসময় প্যারেন্টিং হয়ত একটা ভিন্ন সাংস্কৃতিক অর্থ বহন করতো। ফলে এই উৎস থেকে আহরিত জ্ঞান বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বর্তমান সময়ের প্যারেন্টিং সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হয়।
অনেক বাবা-মা রয়েছেন যারা উচ্চশিক্ষিত কিন্তু অন্ধভাবে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অনুসরণে সন্তান লালন-পালন করেন। অনেক পিতামাতা আবার অন্য কোনো পিতামাতা অথবা প্রতিবেশিদের অনুসরণ করেন যারা নিজেরাই এ বিষয়ে শুদ্ধ জ্ঞান রাখেন না। আবার অনেকে নিজেদের অপূর্ণ ইচ্ছাগুলো সন্তানের মাধ্যমে পূরণ করার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ আছেন যারা পিতামাতা হিসাবে নিজেদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেন অথবা হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকেন; আর সঠিক উপলব্ধির অভাবে বা সময়ের অভাবে প্যারেন্টিং এর মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরোপুরি ছেড়ে দেন অন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তুর উপরে। ফলে শিশুর অধিকাংশ সময় অতিবাহিত হয় কাজের লোক, স্কুল-শিক্ষিকা, আত্মীয়, নিকটজন, প্রতিবেশী, খেলার সাথী, টেলিভিশন, ইন্টারনেট, কম্পিউটার ইত্যাদির সাথে। এটা বিশেষভাবে কিছু তেল সমৃদ্ধ দেশের বৈশিষ্ট্য। যেখানে কাজের লোক দ্বারা শিশুপালনের অশুভ চর্চা শিশুর চরিত্রের উপরে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে। এই বইয়ে আমাদের লক্ষ্য হলো এসব সমস্যা সংশোধনে পিতামাতাকে সাহায্য করা এবং তাদের নেহাত নির্দোষ ভুলগুলি দূর করা অথবা নিদেনপক্ষে কমানো। বলতে পারেন যে আমরা আপনাদের একটা ভাল বীমা নীতির প্রস্তাব করছি যা প্যারেন্টিং-এর অধিকাংশ সাধারণ ভুল ও চোরা গর্তে পরে যাওয়া থেকে পিতামাতাকে রক্ষা করবে।
দূর্ভাগ্যবশত অনেকসময়ই প্যারেন্টিং এর মত একটা গুরত্বপূর্ণ ও কঠিন বিষয়কে খুব হালকা ভাবে নেয়া হয় এবং এবিষয় নিয়ে খুব কম চিন্তাই করা হয়। অথচ এ বিষয়টি অনেক বেশী চিন্তা ভাবনার দাবী রাখে। প্রকৃত প্রস্তাবে আমাদের মধ্যে কতজন পিতামাতা আছেন যারা এমন একটা আমানতদারীতাপূর্ণ কাজ নিয়ে আগে থেকেই যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে ভেবেছেন? যদি আমরা এমনটা ভাবতে পারতাম তবে তা আমাদের জন্য উপকারীই হত। আমাদের একথা খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে যে প্যারেন্টিং এর জন্য পরিকল্পনা, কৌশল এবং দক্ষতার মিশেল অপরিহার্য।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: শুধুমাত্র ভূমিকা হলো। কোনো ঘরে নিয়ে যাবার মতো তথ্য তো পাওয়া গেল না। আমার মনে হয় বড় বই থেকে সরাসরি এভাবে না তুলে দিয়ে নিজে সারাংশ লিখে পাঠালে ভাল হতো। ভুল বলে থাকলে মার্জনা করবেন। ভাল থাকুন।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: হুম!!

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

পাখির চোখে বিশ্ব দেখি বলেছেন: বইটি এডিটিং এর কাজ চলছে।
....... ভুমিকা-তো বইয়ের সারাংশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.