নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের কথা বলতে চাই

পাখির চোখে বিশ্ব দেখি

পাখির চোখে বিশ্ব দেখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত ব্যক্তি কোনো উপকার করতে সক্ষম নয়

০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:২১

মৃত ব্যক্তি কোনো উপকার করতে সক্ষম নয়, এমনকি তারা কারো আহবানও শুনতে পায় না। মৃতদেরকে আহবান করা শিরকে আকবার, যা একজন মানুষকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়ঃ

দলীল নঃ ১
‘’বল- আল্লাহকে বাদ দিয়ে আমরা কি এমন কিছুকে ডাকবো, যা আমাদের উপকারও করে না, অপকারও করে না? আল্লাহ আমাদেরকে হিদায়াত দানের পর আমরা কি পিছনে ফিরে যাব, তাদের মতো শয়তান যাদেরকে বিভ্রান্ত করে দিয়েছে আর দুনিয়ায় সে ঘুরে মরছে। অথচ তাঁর সঙ্গী সাথীরা তাকে সঠিক পথের দিকে ডাক দিয়ে বলছে, এদিকে এসো। বল- আল্লাহর হিদায়াতই হচ্ছে সত্যিকারের হিদায়াত, বিশ্বজগতের প্রতিপালকের কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে’’ ৬/৭১

দলীল নঃ ২
‘’আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে তোমরা ডাকো, তারা তোমাদের মতই বান্দা। (ঠিক আছে) তাদেরকে ডাকতে থাকো, তোমরা যদি সত্যবাদী হয়ে থাকো, তাহলে তারা তোমাদের ডাকে সাড়া দিক।
তাদের কি পা আছে, যা দিয়ে তারা চলাফেরা করে? তাদের কি হাত আছে, যা ধিয়ে তারা ধরে? তাদের কি চোখ আছে, যা দিয়ে তারা দেখে? তাদের কি কান আছে, যা দিয়ে তারা শোনে?
বল- তোমরা যাদেরকে আল্লাহর শরীক করছ, তাদেরকে আহবান করো, আর আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করো এবং আমাকে অবকাশ দিও না। আল্লাহই আমার অভিভাবক, যিনি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন আর তিনিই সৎকর্মশীলদের অভিভাবকত্ব করে থাকেন।
তাঁকে ছাড়া যাদেরকে তোমরা ডাকো, তারা তোমাদেরকে সাহায্য করার কোনো ক্ষমতা রাখে না, আর পারেনা নিজেদেরকেও সাহায্য করতে’’ আ’রাফ ৭/১৯৪-১৯৭

দলীল নঃ ৩
‘’হে মানুষ! আমার দ্বীন সম্পর্কে যদি তোমাদের কোনো সন্দেহ থাকে, তাহলে জেনে রাখো- তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যার ইবাদত করো, আমি তাদের ইবাদত করি না, বরং আমি আল্লাহর ইবাদত করি, যিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটান, আর আমি আদিষ্ট হয়েছি মু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য। আর আমাকে এও আদেশ দেয়া হয়েছে যে, তুমি তোমার দ্বীনের দিকে তোমার মুখ প্রতিষ্ঠিত করো একনিষ্ঠভাবে, আর তুমি কখনো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে আহবান করো না এমন কিছুকে, যা না পারে তোমার কোনো উপকার করতে, আর না পারে ক্ষতি করতে। যদি তুমি তা করো, তাহলে তুমি যালিমদের মধ্যে শামিল হয়ে হিয়ে যাবে।
আল্লাহ যদি তোমাকে কষ্ট দিতে চান, তাহলে তিনি ছাড়া তা দূর করার কেউ নেই। আর আল্লাহ যদি তোমার কল্যাণ করতে চান, তাহলে তাঁর অনুগ্রহ রদ করার কেউ নেই। তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে চান অনুগ্রহ দিয়ে ধন্য করেন। তিনি বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু’’ ইউনুস ১০/১০৪-১০৭

দলীল নঃ ৪
‘’সত্যিকারের আহবান প্রার্থনা একমাত্র তাঁরই প্রাপ্য। যারা তাঁকে ছাড়া অন্যকে ডাকে, তারা তাদেরকে কোনোই জবাব দেয় না। তারা ঐ লোকের মতো, যে তার মুখে পানি পৌঁছবে ভেবে পানির দিকে হাত প্রসারিত করে দেয়, অথচ সে পানি তার মুখে কক্ষনো পৌঁছবে না। কাফিরদের আহবান নিস্ফল ব্যতীত নয়’’ রা’দ ১৩/১৪

দলীল নঃ ৫
‘’আল্লাহ্‌ ছাড়া তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা কিছুই সৃষ্টি করে না, তারা নিজেরাই সৃষ্ট। তারা প্রানহীন, জীবিত নয়, তাদের কোনই চেতনা নেই কবে তাদেরকে (কিয়ামতের মাঠে পুনর্জীবিত করে) উঠান হবে'' নাহল ১৬/২০-২১

দলীল নঃ ৬
''তোমরা আল্লাহ্‌ ছাড়া যাদেরকে ইলাহ মনে করো তাদেরকে ডাক, (ডাকলেও দেখতে পাবে) তারা তোমাদের দুঃখ-বেদনা দূর করতে সক্ষম নয়।
তারা যাদেরকে ডাকে তারা নিজেরাই তো তাদের প্রতিপালকের নিকট পৌঁছার পথ অনুসন্ধান করে যে, কে তাঁর অধিক নিকটবর্তী হতে পারবে, আর তাঁর দয়া প্রত্যাশা করে এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় করে। তোমার প্রতিপালকের শাস্তি তো ভয় করার মতই’’ ইসরা ১৭/৫৬-৫৭

দলীল নঃ ৭
''আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে (অনেকে) এমন কিছুকে ডাকে, যা না পারে তার কোন ক্ষতি করতে আর না পারে কোন উপকার করতে; এটাই চরম আকারের গুমরাহী। সে এমন কিছুকে ডাকে, যার লাভের চেয়ে ক্ষতিই নিকটবর্তী। কত মন্দই না না এই অভিভাবক, আর কত মন্দই না এই সঙ্গী'' হাজ্জ ২২/১২-১৩
দলীল নঃ ৮
''আল্লাহ্‌- তিনিই সত্য, আর তাঁকে বাদ তারা অন্য যাকে ডাকে তা অলীক, অসত্য; আর আল্লাহ্‌- তিনি তো সর্বচ্চ, সুমহান'' হাজ্জ ২২/৬২

দলীল নঃ ৯
''হে মানুষ! একটা দৃষ্টান্ত পেশ করা হচ্ছে, সেটা মনযোগ দিয়ে শোন। আল্লাহ্‌র পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক তার একটা মাছিও সৃষ্টি করতে পারে না, এজন্য তারা সবাই একত্রিত হলেও। আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়, তারা তার কাছ থেকে তা উদ্ধারও করতে পারে না। প্রার্থনাকারী আর যার কাছে প্রার্থনা করা হয় উভয়ই দুর্বল'' হাজ্জ ২২/৭৩

দলীল নঃ ১০
''বল- আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যারা রয়েছে, আল্লাহ ব্যতীত তাদের কেউই গায়েব সম্পর্কে জানে না। তারা কখন পুনরুথিত হবে তাও জানেনা'' নামল ২৭/৬৫

দলীল নঃ ১১
''আল্লাহ্‌র পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাকো, তারা তো খেজুরের আটি সংলগ্ন (অত্যন্ত পাতলা ও দুর্বল) আবরণেরও মালিক নয়। তোমরা তাদেরকে ডাকলে তারা তোমাদের ডাক শুনবে না, আর যদি শুনেও, তবুও তোমাদের ডাকে সাড়া দিতে পারবে না।
কিয়ামত দিবসে তারা তোমাদের শিরককে অস্বীকার করবে। আল্লাহর মতো সর্বজ্ঞের ন্যায় কেউই তোমাকে সঠিক সংবাদ দিতে পারবে না'' ফাতির ৩৫/১৩-১৪

দলীল নঃ ১১
‘’বল- তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো, তাদের বিষয়ে চিন্তা করে দেখেছ কি? এর আগের কোনো কিতাব অথবা পরম্পরাগত কোনো জ্ঞান আমার কাছে উপস্থিত করো, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
তার চেয়ে অধিক গুমরাহ আর কে, যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে, যা কিয়ামত পর্যন্ত তাকে সাড়া দিবে না, আর তাদের ডাকাডাকি সম্পর্কেও তারা একদম বেখবর। কিয়ামতের দিন মানুষকে যখন একত্রিত করা হবে, তখন ঐগুলো (যাদেরকে ডাকা হয়েছিল) হবে মানুষের শত্রু আর মানুষ তাদের ইবাদত করেছিল তা তারা অস্বীকার করবে’’ ৪৬/৪-৬

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

শরীফ বিন ঈসমাইল বলেছেন: হায়....!! এই কথাটা যদি মাযার পূজারীরা বুঝত :||

২| ০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি হয় জ্ঞানত নয় অজ্ঞানত ভুল বলছেন।

প্রতিটা আয়াতে যে প্রাণহীন বস্তুর কথা বলা হয়েছে তা অলি আউলিযাদের নিয়ে নয়- বরং ঐ সময়কার মানুষের বিশ্বাসের দেবতাদের নিয়ে। লাত মানাত, হুবল হোজ্জা নিয়ে। যাদের কোন সক্ষমতা নেই অথচ মানুষ তাদের কাছেই প্রার্থনা করত।
কোরআনকে নিজের ইচ্ছমত যদি উপস্থান শুরু করেন তাতো ভয়াবহ অন্যায় ভাই।
কারণ আপনার এই আয়াতগুলোর আপনার মনমতো ব্যাখ্যাকে সত্য ধরলে কোরআনের আরো কিছু আয়াতকে আপনি মিথ্যা প্রতিপন্ন করছেন। যেখানে বলা হচ্ছে- অলি, শহীদ এবং আল্লাওয়ালাদের সম্পর্কে- তোমরা তাদের মৃত বলোনা, বরং তারা জীবিত এবং আল্লাহর তরফ থেকে তাদের রিজয় দেয়া হয়।

এখন বলুন কোনটা তবে সত্য?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.