নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের কথা বলতে চাই

পাখির চোখে বিশ্ব দেখি

পাখির চোখে বিশ্ব দেখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইহুদীরা তাদের জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়েই বিশ্বের নেতৃত্ব দিচ্ছে!!

০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

কথায় বলে হিন্দুদের বাড়ি মুসলমানদের ভুড়ি। অর্থাৎ হিন্দুরা অর্থ রোজগার করে বাড়ি তৈরি করার জন্য আর মুসলমানরা রোজগার করে রসনা নিবৃত করার অর্থাৎ খাওয়ার জন্য। অন্যান্য জাতিগোষ্ঠি কি উদ্দেশ্যে অর্থ রোজগার করে সে সম্পর্কে কোন প্রবাদ আমার জানা নেই। তবে ইহুদীরা যা কিছুই করুক না কেন তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য যে জ্ঞানার্জন করা এটা স্পষ্ট। কারণ তারা নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী। আর জ্ঞানই নেতৃত্বে আসীন করে। বিভিন্ন তথ্য এবং বুদ্ধিজীবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণে প্রমাণিত হয়েছে বাহ্যিকভাবে আমেরিকা নেতৃত্বের সামনে থাকলেও সকল নেতৃত্ব নেপথ্যে থেকে ইহুদীরাই পরিচালনা করে থাকে। আর তারা নেতৃত্ব দেবার উপযুক্ততা অর্জন করেছে জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে। যদিও জ্ঞানার্জনের উত্তরাধিকার মুসলমানেরা, কিন্তু তারা ’’ভুড়ি’’ নিয়েই ব্যস্ত, জ্ঞানার্জনের সময় কোথায়! ফেসবুকে পোষ্ট আর লাইক দেখলে বুঝা যায়। আমি কিন্তু মুসলমান বলতে তথাকথিত মুসলমান জাতিকে বুঝাচ্ছি না। কুরআন ঘোষিত মুসলমান দলকে বুঝাচ্ছি। যাই হোক এবার দেখা যাক লেখাপড়া তথা জ্ঞানার্জনের একটা তুলনা:
জনসংখ্যা: ইহুদী- এক কোটি চল্লিশ লাখ।
মুসলমান- ১৬০ কোটি
একজন ইহুদীর বিপরীতে প্রায় ১১৪ জন মুসলমান।
গত ১০৫ বছর ধরে ১ কোটি ৪০ লাখ ইহুদী ১৮০টি নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছে।
আর একশত কোটি মুসলমান জিতেছে মাত্র ৩টি নোবেল। আর ধর্ম পালন কারী অর্থাৎ যে মুসলমান নিয়মিত নামাজ-রোজা সহ ইসলামী আকিদায় জীবন জাপন করে তাদের মধ্যে কতজন জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় সফল হয়েছেন অথবা মানব কল্যানে অবদান রাখতে পেরেছেন ?
সাধারণত খৃষ্টানদের স্কুল-কলেজেই ইহুদীরা লেখাপড়া করে থাকে।
৫৭টি মুসলিম দেশে বিশ্ববিদ্যালয় আছে মাত্র ৫০০টির মতো।
আর একমাত্র আমেরিকাতেই আছে ৫৭৫৮টি বিশ্ববিদ্যালয়। পুরো ভারত জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৭০০ টির মতো। দুনিয়াজুড়ে ইহুদী-খৃষ্টানদের শিক্ষার হার ৯০%, আর মুসলমানদের শিক্ষার হার মাত্র ৪০%।
বেশিরভাগ প্রয়োজনীয় আবিষ্কারগুলি করেছে ইহুদীরা। প্রভাবশালী ব্যবসায়ীও তারা, প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও তারাই।
আর আমরা প্রয়োজনীয় জ্ঞান সমৃদ্ধ কোন লেখাই পড়ছি না, আমরা ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে মত্ত থাকি। নিজেদের মাঝে হিংসা- বিদ্বেষ ছড়াই। সামান্কিন্য একটি জুতা কিনে তার ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করছি, তাতে লাইক দিচ্ছি শত শত। আর শান্তি, সমৃদ্ধি আশা করছি। আমরা অনেকেই ইসলামী বিধান কায়েম করবার সপ্ন দেখি। অথচ পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্‌ বলেছেন,
“আল্লাহ কোনো জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে।” (সূরা আর রাদ : ১১)
"তোমরা যা কিছু মঙ্গল সবই আল্লাহর দেয়া, আর যা কিছু অমঙ্গল তা তোমার নিজেরই কারণে ।" (সূরা-আন নিসা, আয়াত-৭৯)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকৈ কৈসেন।

২| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

সব পারি বলেছেন: পুরোপুরি একমত। যতদিন আমরা জ্ঞান বিজ্ঞান এবং কুরআন হাদিস থেকে দুরে থাকবো ততদিন পর্যন্ত আমাদের কপালে লাঞ্চনা, অপমান, ধ্বংশ লেখা রয়েছে। বাংলাদেশের মাত্র ৫% হিন্দু পুরো সরকারী চাকুরী দখল করে নিচ্ছে। সরকারী বড় বড় পদগুলো এখন ৫% হিন্দুদের দখলে। আর সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানরা বিতাড়িত অবস্থায় আছে।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: শমত। আমি ইহুদীদের থেকে আরবদের অপছন্দ করি। নিজেরা নিজেরা মারামারিতে ব্যস্ত, আর সব দোষ ইহুদীদের হয়। সবচেয়ে উন্নত বুদ্ধির মানুষেরা কর্তৃত্ব গ্রহন করবে এটাই স্বাভাবিক। ইহুদীরা ঠিক তাই। টক্কর দিতে হলে বুদ্ধির চর্চা করুক কেউ, অন্যকিছুতে কাজ হবেনা।

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

রমিত বলেছেন: আপনি গত এক শতাব্দীর পরিসংখ্যান দিলেন মাত্র। এর আগের তেরশত বছরের পরিসংখ্যান কোথায়।
যে বিজ্ঞানের কথা আপনি বলেছেন, তার জনকই তো মুসলমানরা। আল হাইয়াম থেকে শুরু করে আল খাওয়ারিজমী হয়ে ওমার খৈয়াম, ইবনে সিনা পর্যন্ত শত শত মুসলিম মণিষী আপনার চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে কেন?

৫| ০৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

পাখির চোখে বিশ্ব দেখি বলেছেন: @ রমিত: হ্যা। আপনার কথা ঠিক। মুসলমানরা এক সময় সকল দিক থেকে পৃথিবীর নেতৃত্ব দিয়েছিল।
..............................................................................
তবে আমি বর্তমানের কথা বলছি। বর্তমানে মানবতার জন্য মুসলমানদের কি অবদান আছে।
ধরুন এখন আপনি ভিক্ষা করে জীবন জাপন করেন আর মুখে বলেন যে, চারিদিকে যতো জমি দেখছেন এসব কিছু আমার দাদার ছিল!!!

৬| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

রমিত বলেছেন: প্রথমে আপনার বর্তমানের সময়সীমাটা একটু ঠিক করতে হবে। মুসলিম শাসকদের ক্ষমতাচ্যুত হওয়া শুরু হয় ১৭৫৭ সালে ঐতিহাসিক পলাশী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। তারপর একে একে বিভিন্ন মুসলিম নবাবী-সালতানাতের পতন হতে থাকে, এভাবে সর্বশেষ মুসলিম ক্ষমতার পতন হয় উসমানীয় সাম্রাজ্যের ১৯২২ সালে। এই একই সময়কালে কেবল মুসলিম ক্ষমতার নয় পাশাপাশি হিন্দু, বৌদ্ধ ও নেটিভ আমেরিকান ক্ষমতারও পতন হতে থাকে। এরপর বিশ্বব্যাপী মাথা তুলে দাঁড়ায় প্রোটেস্টান্ট ক্ষমতা (বৃটেন, ফ্রান্স, জার্মানী, বেলজিয়াম, ইত্যাদি) এবং কিছু পরিমাণে ক্যাথলিক ক্রিশ্চান (স্পেন ও পর্তুগাল) ও অর্থোডক্স ক্রিশ্চান (রাশিয়া) ক্ষমতা। নানা কৌশলে তারা ক্ষমতা দখল করার পর তাদের অধীনস্থ সাম্রাজ্যে তারা আর কাউকে জ্ঞান চর্চা করতে দেয়নি। (উল্লেখ্য যে মুসলিমরা এক্ষেত্রে করেছিলো ঠিক উল্টাটা, যে দেশই তারা জয় করেছিলো সেখানেই তারা অগনিত সংখ্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মান করেছে ও জ্ঞানের আলো বিতরণ করেছে) বরং ঐ সকল সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের অধীনস্থ সাম্রাজ্যে পুরাতন জ্ঞান চর্চার কেন্দ্রগুলোকে ধ্বংস করেছে। আরো ধ্বংস করেছে কৃষি ও শিল্প উৎপাদন (যেমন বাংলাদেশে মসলিন শিল্প ধ্বংস ও নীল চাষ ইত্যাদি)। এভাবে এই সব দেশে সবকিছু থমকে দাঁড়ায়। তবে আমাদের ভুখন্ডের মানুষ নীরব-নিষ্কর্মা ছিলোনা তারা মুক্তির জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যায়। পরিশেষে সেই মুক্তি আসেও। ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন, চূড়ান্ত পতনের সালটি ১৯২২, আজ ২০১৬ এখনও একশত বছর পার হয়নি কিন্তু, ইতিমধ্যেই মুসলিম ও বৌদ্ধরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকেই স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করা হয়ে গেছে, এখন চলছে উন্নয়ন। আপনি ভালো করে লক্ষ্য করুন পঞ্চাশ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ, পঞ্চাশ বছর আগের আরব আমীরাত আর আজকের আরব আমীরাত, পঞ্চাশ বছর আগের তুরষ্ক আর আজকের তুরষ্ক, পঞ্চাশ বছর আগের চীন আর আজকের চীন, পার্থক্য চোখে পড়ে? এমনকি আপনার-আমার পরিবারেরও তিন পুরুষ আগে ও তিন পুরুষ পরে দেখুনতো! এভাবেই আমরা হারানো দিনকে ফিরিয়ে আনছি। প্রদীপে ঘষা দিলাম আর দৈত্য এসে সব দিয়ে গেলো এমন কেবল রূপকথায়ই হয়, বাস্তবে একটা সামান্য ডিম ভাজি করতেও সময় লাগে। আমাদেরও সবকিছু রিগেইন করতে সময় লাগবে। তবে শত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.