নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের কথা বলতে চাই

পাখির চোখে বিশ্ব দেখি

পাখির চোখে বিশ্ব দেখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাঃ জাকির নায়েক এবং পিস টিভি।

১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮


ইহুদিদের দালাল ডাঃ জাকির নায়েক??? !!!
কাফের ডাঃ জাকির নায়েক??? !!!
হ্যাঁ। এই কথাটি বিগত কয়েক বছর ধরে অনবরত শুনছি। শুনতে শুনতে কান ধরে গেছে। আর এই কথাগুলো বলছেন আমাদের মুসলমান সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ। না তাঁরা সাধারন কোন মানুষ নয় আমরা যাদের আলেম সম্প্রদায় বলে জানি। তাও আবার যেই সেই আলেম নয়; একেবারে কওমী মাদ্রাসায় পড়ুয়া আলেম।
কেন তিনি ইহুদিদের দালাল বা কাফের?
কারন জাকির নায়েক প্যান্ট, শার্ট এবং টাই পড়েন।
কারন জাকির নায়েক মাদ্রাসায় না পরেও ইসলাম বিষয়ে আলোচনা এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
কারন জাকির নায়েক এর অনুস্থানে উপস্থিত মহিলাগণ মুখ ঢেকে হিজাব করেন না।
আবার জাকির নায়েক আলেম নন ........ ইত্যাদি হাজার রকমের অভিযোগ।
এই সকল বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা করলে একটি বই এর সমান হয়ে যাবে; তবে সংক্ষেপে কিছু কথা বলছি।
১৯৯২ সালে আমেরিকার একজন খিষ্টান ডাক্তার উইলিয়াম ক্যাম্পবেল যখন পৃথিবীর বুকে ঘোষণা দিল কুরআন মিথ্যা, ইসলাম মিথ্যা। সাথে তাঁর মনগড়া প্রমাণও দিল। আল- কুরআন থেকে ৩০ টি ভুল বের করল (নাউজুবিল্লাহ)।তখন কোন মুসলিম এলোনা তাঁর জবাব দেওয়ার
জন্য। সৌদি আরব থেকে কোন মুসলিম এলোনা তাঁর জবাব দেওয়ার জন্য। কওমী দেওবন্দী বা হাটহাজারীর আলেমরা এলোনা তাঁর জবাব দেওয়ার জন্য। বা কোন পীর- আউলিয়া- দরবেশ এলেননা তাঁর জবাব দেওয়ার জন্য।অনলাইনে-ও কোন মুসলিমও জবাব দিল না।
এই নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে যখন অনেক বই লেখা শুরু হল এবং সাথে সাথে ইসলাম নিয়ে তামাশা বাড়তেই থাকল। ঠিক তখন সামনে আসলেন চিকন
শামলা বর্ণের একজন মানুষ তিনি পেশায় আবার একজন ডাক্তার।সেই ডাক্তার গেল আমেরিকার শিকাগোতে খ্রিষ্টান ডাক্তার উইলিয়াম ক্যাম্পবেল এর কাছে (২০০০ সালের ১লা এপ্রিল) ৪ ঘন্টা ১৯ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের একটি বিতর্ক। বিশ্বের খাতিমান মিডিয়ার সামনে কুরআনের বিরুদ্ধে সব অপবাদের জবাব তো দিলই সেই সাথে বাইবেল থেকে ৩৮ টিরও বেশি ভুল ধরিয়ে দিল। ডাক্তার উইলিয়াম ক্যাম্পবেল কোন উত্তরই দিতে পারল না।শুরু করলেন নতুন এক নবদিগন্তের অভিযাত্রা। লোকটি আর কেউ নন ডাঃ জাকির নায়েক। আর আজ কিছু মুসলিম ওনার নামে অপবাদ দিচ্ছে।

কোরআন বা সহীহ হাদিস এর কোথাও এমন কথা লেখা নেই যে, মাদ্রাসা বা ইসলামিক ডিগ্রী না থাকলে ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। আর কুরআন হাদিস অধ্যয়ন করলে এবং বুঝলে কেন তাঁকে আলেম ( যার অর্থ জ্ঞানী) বলা যাবে না? তাহলে প্রশ্ন আসে যে, ইমাম আবু হানিফা(রহঃ) কোন মাদ্রাসা থেকে লেখা পড়া করেছেন? কোন ডিগ্রী অর্জন করেছেন? না তিনি কোন মাদ্রাসা এ পড়েছেন না তিনি কোন ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তার পরও ইমাম আবু হানিফা(র) এর তাকলীদ করছে একদল মানুষ। যদি মাদ্রাসা ও ডিগ্রী না থাকার পরও ইমাম আবু হানিফার(র) তাকলীদ করা যায়ে সেখানে কি ডাঃ যাকির নায়েক ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন না? এই দ্বিমুখী নীতি কেন? সকলের অবগতির জন্য বলছি যে, ডাঃ জাকির নায়েক দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে কুরআন হাদিস অধ্যয়ন করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে অনেক সনামধন্য আলেমের সাথে সময় অতিবাহিত করেছেন। তিনি অনেকবার মদিনা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় গিয়েছেন এবং শিক্ষা গ্রহন করেছেন।

ডাঃ জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনে আল্লাহর রহমতে কোটি কোটি বে-নামাজি মুসলমান নামাজ পড়া শুরু করে দিয়েছেন, কুরান-হাদিস পড়া শুরু করে দিয়েছেন, শিরক-বেদাত মুক্ত জীবন যাপন করছেন। অন্যদিকে তাঁর বক্তব্য শুনে হাজার হাজার অমুসলিম (হিন্দু, খ্রিস্টান, ইহুদি) ইসলাম গ্রহন করেছেন। আর সমাজের তথাকথিত নামধারী আলেম বলছেন যে,
ডাঃ জাকির নায়েক কাফের !!!
ডাঃ জাকির নায়েক ইহুদিদের দালাল !!! কি চমৎকার কথা!!!

প্রকৃতপক্ষে কোন মানুষ-ই ভুলের উরধে নয় একমাত্র নবী-রাসুল ছাড়া। তাই ডাঃ জাকির নায়েকের-ও কিছু ভুল থাকতে পারে। কিন্তু তাঁর উদ্দোম, তাঁর সাহসিকতা, তাঁর প্রচেষ্টা, তাঁর পরিশ্রম বর্তমান মুসলিম বিশ্বে বিরল। তাইতো তিনি বর্তমান সময়ের শ্রেষ্ঠ ইসলাম প্রচারক। আর তাঁর অধীনে শত শত আলেম যাদের কেউ দেওবন্দ, কেউ কওমী, কেউ আলিয়া মাদ্রাসার, কেউ মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়, কেউ আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় এর শ্রেষ্ঠ ডিগ্রিধারী মুফতি বা আলেম। তাঁরা সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামের শান্তির বানী এবং শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আর কিছু আলেম নামধারী চুনোপুঁটি, পীর, মাজার পুজারি, ওলামালীগ ডাঃ জাকির নায়েক বিরুধি অপপ্রচারে মেতে উঠেছে। বামপন্থী, সেকুলার (ধর্মনিরপেক্ষ), সুসীল সমাজ, হিন্দু, ইহুদি, খ্রিস্টান সহ সকল ইসলাম বিরোধি সকল অপশক্তি ঠিক যেমন চাচ্ছে যে ডাঃ জাকির নায়েক এবং তাঁর পিস টিভি ভিত্তিক সকল ইসলামী কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাক। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে ইসলামের নাম বা লেবাসধারি মুসলমানগন এবং অমুসলিমদের লক্ষ উদ্দেশ্য একই আর তা হলো ডাঃ জাকির নায়েক এবং তাঁর পিস টিভি বন্ধ হোক।
তাঁরা ডাঃ জাকির নায়েক পরিচালিত পিস টিভি বন্ধের দাবী জানাচ্ছে। অবশেষে ভারতের কট্টর হিন্ধু পন্থী বিজেপি সরকার পিস টিভি বন্ধ করে দিলো। সাথে সাথে কথিত আলেমগন জয়ধ্বনি দিতে লাগলো। বর্তমানে ভারতের হিন্দু সরকার ডাঃ জাকির নায়েকের সকল বক্তব্য খতিয়ে দেখছেন এবং শোনা যাচ্ছে যে, তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
তাহলে তাদের এই কার্যক্রমের মাধ্যমে কি প্রমান হলো? প্রকৃতপক্ষে কারা ইহুদিদের বা হিন্দুদের দালাল? ডাঃ জাকির নায়েক; নাকি যারা তাঁর বিরোধিতা করছে তাঁরা?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

আলগা কপাল বলেছেন: অন্যায়কারীরা অন্যায় করে বেশিদিন টিকতে পারবে না। আর জাকির নায়েককে যে হালায় দালাল বলে সেই হালার জন্ম নিয়ে আমার সন্দেহ হয়। জাকিরের কাছে বহু খ্রিস্টান হিন্দু পণ্ডিত লজ্জাজনকভাবে হেরেছে যা শয়তানের দল মেনে নিতে পারেনি। বহু অমুসলিম জাকিরের কারণে ইসলাম গ্রহণ করেছে, যা শয়তানের দলের মাঝে ভীতি সঞ্চার করেছে। এজন্যই জাকিরকে থামিয়ে দিতে এ ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশের একটা বিশাল অংশ পিস টিভি দেখে। তাদেরকে সত্য পথ থেকে বিরত করতে বাংলাদেশে পিস টিভি বন্ধ করা হয়েছে। কারণ মুসলমানরা জেগে উঠলে শয়তানদের কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যাবে। বাংলার মানুষদের উচিত পিস টিভি বন্ধ করার ঘোষণা যে দিয়েছে তার পুচ্ছদেশে সজোরে পদাঘাত করে ভারতে পাঠিয়ে দেয়া।

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

তট রেখা (১) বলেছেন: সত্য বলেছেন। লেখাটি রিপিট হয়েছে, সংশোধন করে দেবেন।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

আলগা কপাল বলেছেন: খাঁটি বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য দুঃখিত।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

মো: অাজগর আলী বলেছেন:

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যারা ডাক্তার জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে কথা বলছেন আমার মনে হয় এরা সব শুনে মুসলমান।
এদেশের বেশির ভাগ হুজুররা কোন দলীল বা উদৃতি না দিয়েই কথা বলেন।
আর জাকির নায়েক তো প্রমান ছাড়া কোন কথাই বলেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.