![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সকলের মাঝে জাতীয় ঐক্য এবং একটি "Gentleman Agreement'' ভদ্রতা চুক্তি অতীব জরুরী। যেমন চুক্তি হযরত মুহাম্মদ (সঃ) করেছিলেন কাফিরদের সাথে যা "হুদাইবিয়া সন্ধী" নামে পরিচিত। কারন বর্তমানে দেশের যে অবস্থা তাতে এর কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশের ৯০% মানুষের ধর্ম ইসলাম, ৯৯% মানুষের ভাষা বাংলা এবং অধিকাংশ মানুষের নৃতাত্ত্বিক পরিচয় এক হওয়া সত্তেও যেহেতু আমাদের মাঝে নানান বিষয়ে বিরোধ বিদ্যমান তাই আমাদের নিজেদের মাঝে শান্তি চুক্তির বিকল্প নেই। যেহেতু ধর্ম, ভাষা ও বর্ণে মিল থাকা সত্তেও আমাদের চিন্তা বা আদর্শে অমিল রয়েছে, সেহেতু বিরধ-বিবাদ বা রক্তপাত বন্ধে "Gentleman Agreement'' এর কোন বিকল্প নেই। আমাদের দেশে আস্তিক নাস্তিক দন্দ, মাজহাব মাজহাব দন্দ, সেকুলার ইসলামপন্থী দন্দ, পীর পীর দন্দ, কওমী আলীয়া দন্দ, সমাজতন্ত্র গনত্রন্ত দন্দ, বাম্পন্থী ডানপন্থী দন্দ, পীর ভক্ত জাকির নায়েক ভক্ত দন্দ, মাজহাব লা-মাজহাব দন্দ, শাহবাগ শাপলাচত্বর দন্দ, মাজারপন্থী মাজার বিরোধী দন্দ, তাবলীগপন্থী তাবলীগ বিরোধী দন্দ, সরকারী দল বিরোধী দল দন্দ। এই রকম হাজারো দন্দে আমরা জর্জরিত। আর এই দন্দের ফল কখনো ঝগড়া-বিরোধ আবার কথনো খুনো-খুনি।
এই দন্দের ফলে আমরা একদম নীতি-আদর্শহীন জাতিতে পরিনত হয়েছি। তাই খাদ্যে ভেজাল-ফরমালিন, সুদ-ঘুষ, দুর্নীতি-অনিয়ম, রডের বদলে বাঁশ, পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও নকল, সরকারী-বেসরকারি সকল চাকরীতে নিয়োগে দুর্নীতি-অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি, সর্বক্ষেত্রে নির্লজ্জ মিথ্যাচার, কথা দিয়ে না রাখা, প্রতারনা, গুম-খুন, শিশু অপহরন, মাদক, অবৈধ ড্রাগ, অশ্লীলতা, অপসংস্কৃতি, অপচয়-বিলাসিতা, বেঈমানি, বেইনসাফি ইত্যাদি অপকর্মে দেশের অধিকাংশ মানুষ জরিত হয়ে পরেছে। আর এই সুযোগে সকল বিদেশি শক্তি আমাদের সকল বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবার সুযোগ গ্রহন করছে এবং দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রন অন্যকোনো দেশের নিকট চলে যাচ্ছে।
এমতবস্থায় আমাদের সকলের মাঝে জাতীয় ঐক্য এবং "Gentleman Agreement'' বা ভদ্রতা চুক্তি ছাড়া অন্য কোন উপায় নাই। জাতীয় ঐকে যেসকল বিষয় থাকতে পারে তা হলোঃ
১. আমরা যেই মতাদর্শের হই না কেন আমরা সবার আগে দেশের স্বার্থ দেখি। "সবার আগে বাংলাদেশ" এই হোক আমাদের শ্লোগান।
২. রাজনৈতিক দলসমুহ পরস্পর পরস্পরের যেন শ্রদ্ধাশীল হয়। কোন দল যেন অন্য দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা না দেয়।
২. তথ্য প্রমান ছাড়া কেউ যেন কারও প্রতি কোন মন্তব্য না করি এবং ঘৃণা না ছড়াই এবং সবাই সবাইকে সম্মান দিয়ে কথা বলি।
৪. নিজেদের আদর্শ অন্যের সমালোচনা ছাড়া প্রচার করি। সকলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি।
৫. সম্মানিত বিচারকগন যেন সর্বদা নায়বিচার করেন।
৬. পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন অযথা অন্যায় ভাবে কাউকে হয়রানি না করেন।
৭. ক্ষমতাধর ব্যক্তিগন যেন দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহার না করেন।
৮. সরকারী-বেসরকারি সকল প্রচার মাধ্যম যেন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হয়।
৯. সরকার যেন দেশ বিরোধী কোন চুক্তি না করেন এবং বিরোধী দল যেন সরকারের সকল ভালো কাজের প্রশংসা ও সহযোগিতা করেন।
১০. সবাই নিজ নিজ ধর্ম সম্পর্কে ভালভাবে জানি এবং পরিপূর্ণভাবে মান্য করি পাশাপাশি অন্যের ধর্ম পালনে বাধা না দেই বা অন্য ধর্ম নিয়ে কটূক্তি না করি। ১১. ধর্মের নামে চরম্পন্থা (জঙ্গিবাদ) সম্পূর্ণরূপে পরিহার করি।
১২. শিশুদের ধর্মীয় এবং নীতি-আদর্শ শিক্ষা দেই।
১৩. আমরা সবাই সত্য কথা বলি, আমানতের খিয়ানত না করি এবং আমাদের সকল ওয়াদা পালনে সচেষ্ট হই।
১৪. কারও প্রতি জুলুম না করি এবং সকলের প্রতি ইনসাফ করি।
১৫. নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে দেশ ও জাতীর বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষা করি।
১৬. খাদ্যে ভেজাল ও বিষ প্রয়োগ না করি।
১৭. সহ সকল নেশা দ্রব্য পরিহার করি (পান-সিগারেট-মদ-ইয়াবা ইত্যাদি)।
১৮. সকলে শালীন পোশাক পরিধান করি এবং ইভটিজিং পরিহার করি।
১৯. দেশের তিন গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর এর সাথে জড়িতদের(গার্মেন্টসকর্মী, প্রবাসী, কৃষক) যথাযথভাবে মূল্যায়ন করি।
২০. সরকারী কর্মজীবীগন যেন ঘুষ বা দুর্নীতি মুক্ত থেকে সততা, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে তাদের কাজ সম্পাদন করেন।
২১. ব্যবসায়ীগন যেন অযথা সরকার দ্বারা অযথা হয়রানির স্বীকার না হয় এবং তাঁরা যেন আইন মেনে সামিজিক দায়বদ্ধতা পুরন করে ব্যবসা করেন। অধিক মুনাফা বা সিন্ডিকেট বর্জন করে সততার সাথে সেবামুলক মনোভাব নিয়ে ব্যবসা করেন।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: ভাল লিখেছেন
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২০
SwornoLota বলেছেন: দুইবার এসেছে লেখা।
খুব ভালো কিছু কথা। ধন্যবাদ।
"হুহাইবিয়া সন্ধী" নাকি "হুদাইবিয়া" হবে?