নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের কথা বলতে চাই

পাখির চোখে বিশ্ব দেখি

পাখির চোখে বিশ্ব দেখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাস্তার পাশে ফলের গাছ লাগান।

১৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

জুন, জুলাই, অগাস্ট, সেপ্টেম্বর (আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন) এই চার মাস বৃক্ষরোপণের আদর্শ সময়। বৃক্ষরোপণের প্রতি আমাদের দেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে- শহর অথবা গ্রাম, অফিস অথবা বাসাবাড়ি, কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—সবখানেই বনজ বৃক্ষরোপণের প্রতি মানুষের ঝোঁক। আমরা তিন ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে বৃক্ষ রোপণ করি যেমন, ১. কাঠের জন্য, ২. ফলের জন্য, ৩. সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য। আমরা সাধারনত বানিজ্যিক উদ্দেশ্য মাথায় রেখে কাঠের জন্য বৃক্ষ রোপণ করি যেমন: সেগুন, মেহগনি, একাশিয়া, রেইনট্রি ইত্যাদি। কিন্তু এর ইতিবাচক দিকের পাশাপাশি কিছু নেতিবাচক দিক আছে, যা সম্পর্কে অনেকেরই কোনো ধারণা নেই। যেমন, এ ধরনের গাছ লাগানোর ফলে মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয়, অনেক পানি শোষণ করে বলে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হতে হলে দীর্ঘ সময় লাগে। অর্থাৎ ভালো কাঠ পেতে গাছটির বয়স কমপক্ষে ১০-২০ বছর হতে হয়। এসব গাছে পাখি, মৌমাছি, প্রজাপতি বসে না। আমরা এখন ফুল বা ফলের গাছ লাগাতে আগ্রহী হই না। অথচ ফলদ বৃক্ষ আমাদের জন্য কতটা প্রয়োজন, তা বলে শেষ করা যাবে না। যেখানে একটু গাছ লাগানোর মতো জায়গা আছে, সেখানে আমরা যদি ফলের গাছ লাগাই—বিশেষ করে দেশি ফল তাহলে একদিক থেকে যেমন আমাদের পুষ্টি চাহিদা মিটবে ঠিক অন্য দিকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকবে। যেমন- আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আমলকী, পেয়ারা ইত্যাদি; যা অত্যন্ত সুস্বাদু, পুষ্টিকর, ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ।
এখন তো অনেক দেশি ফল পাওয়া যায় না। যাও পাওয়া যায়, তা বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো। ফলের গাছ রোপণের তিন-চার বছরের মধ্যেই ফল ধরে। এতে কেবল মানুষই উপকৃত হয় না, প্রকৃতিকে সুন্দর-সজীব ও ভারসাম্য বজায় রাখতে যেসব প্রাণীর অবদান আছে, তাদেরও উপকার হয়। ফলের গাছে ফুল ধরে, এই ফুল ও ফলের জন্য প্রজাপতি, পাখি, মৌমাছি, কাঠবিড়ালি ইত্যাদি গাছে আসে। তাতে প্রকৃতি ও পরিবেশ সুন্দর থাকে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বাসাবাড়িতে বেশি করে দেশজ ফলের গাছ লাগানোর জন্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আমাদের নিজেদের জমিতে গাছ লাগানোর পাশাপাশি আমরা রাস্তার দুই পাশে ফলের গাছ লাগাতে পারি এবং এটা আমাদের করা উচিৎ। কারন রাস্তার পাশে অনেক জমি খালি পড়ে আছে। আবার রাস্তার পাশে যে সকল গাছ আছে তাঁর প্রায় সবই কাঠ বা সৌন্দর্য বর্ধন বৃক্ষ এবং এই গাছ একটু বড় হলেই বিভিন্ন মহল বিভিন্ন অজুহাতে কেটে নিয়ে যায়। তাই আমরা যদি রাস্তার ধারে ফলের গাছ লাগাই তাহলে আমরা তিন ধরনের উপকার পেতে পারি। প্রথমত- আমাদের দেশে ফলের গাছের প্রচুর সল্পতা রয়েছে এবং ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই আখান থেকে আমরা খুব সহজেই সেই চাহিদার একটি অংশ খুব সহজেই মেটাতে পারবো। দ্বিতীয়ত- প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে ফলের গাছ অন্য গাছ থেকে বেশি ভুমিকা পালন করে। কারন ফলের গাছে পাখি বাসা বাধে এবং ফল খেয়ে জীবন ধারন করে। তৃতীয়ত- বৃক্ষ নিধন কমিটি ফলের গাছ সহজে কাটতে তেমন উৎসাহিত হবে না। কারন কাঠের জন্য ফলের গাছ তেমন আদর্শের নয়। সাধারনত ৪০-৫০ বছর পর ফলের গাছ কাঠের জন্য আদর্শ হয়। তাই একটি ফলের গাছ লাগালে আমরা অন্তত ৫০ বছর সুফল ভোগ করতে পারবো।
আমারা রাস্তার পাশে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, নারকেল, খেজুর, আমড়া, আমলকী, পেয়ারা, কদবেল, ছফেদা, তেতুল ইত্যাদি ফলের গাছ লাগাতে পারি। পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব নিমগাছ ও বটগাছ লাগাতে পারি। তাই আসুন আমরা নিজেদের জমিতে ফলের গাছ লাগানোর পাশাপাশি ছোট-বড় সকল রাস্তার পাশে ফলের গাছ লাগাই।
ফলের অভাব পুরন করি।
প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করি।
সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: গাছ হিসেবে ফলের গাছটাই আমার কাছে ভাল লাগে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ফলের গাছ লাগাতে অনেককে উৎসাহিত করি।
ভাল লাগল আপনার লেখাটি।
শুভকামনা রইল।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় পশু-পাখিদের একটা অভয়াশ্রম গড়ে তোলা যেতে পারে।সেখানে কিছু বারোমাসি ফলের গাছ থাকবে কিন্তু কেউ সেখান থেকে কোন ফল সংগ্রহ করতে পারবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.