![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. The Qur'an is the Most Influential, Most Powerful, Most Memorized, and Most Followed Book on the planet Earth।Find out why @ LinguisticMiracle.com ২: I believe A little science leads one away from God, a great deal of science leads one back to Him ৩: I will make the most of everything in life, because life is no rehersal... So if i love someone, i will tell them, if im upset with someone, i will forgive them and if anyone chooses to love me in return, i will be most certainly grateful, and show them everyday for as long as i am capable to do so, how much it means to me
ইদে মিলাদুন্নবী সর্ম্পকে আমার রাজারবাগী ব্লগার ভাইয়েরা যেই যুক্তি দিয়েছেন তা পর্যালোচনা করে দেখি যদিও পোস্ট টা একটু বড় তবে সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য সব দিকে আলোচনা করা হয়েছে যা পাঠকের বিরক্তির কারন হবেনা বলে আশা করছি।
আমরা এখানে যৈক্তিক ভাবে আলোচনার মাধ্যমে তাদের এই পোস্টের Click This Link যুক্তি প্রমান সমুহ আবার পর্যবেক্ষন করবো
প্রথমত ওনারা এই আয়াতের কথা বলেন : আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ সূরা মারইয়াম-এর ১৫ নম্বর আয়াত -এ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার শানে ইরশাদ ফরমান " তার প্রতি শান্তি-যেদিন সে জন্মগ্রহণ করে এবং যেদিন মৃত্যুবরণ করবে এবং যেদিন জীবিতাবস্থায় পুনরুত্থিত হবে।"
এবং অনুরূপ হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার নিজের বক্তব্য উল্লেখ করে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে সূরা মারইয়াম-এর 33নং আয়াতে " আমার প্রতি সালাম যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি, যেদিন মৃত্যুবরণ করব এবং যেদিন পুনরুজ্জীবিত হয়ে উত্থিত হব।"
ভালকথা আমরা ইয়াহিয়া (আঃ) এবং ইসা (আঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে পেলাম মোহাম্মদ (সঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে আছে কি?
এরপর ওনারা বলছেন এই আয়াতের কথা :--- আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা ইউনূস-এর ৫৮ নম্বর আয়াত পাক-এ ইরশাদ ফরমান-
قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مما يجمعون .
অর্র্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় অনুগ্রহ ও রহমত হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন। সে কারণে তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।”----- উপরের এই বোল্ড করা অংশটা তাদের নিজের যোগ করা আসল টা দেখে নিন লিংক সহ
সূরা ইউনুস আয়াত 57-58 "হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। বল, আল্লাহর দয়া ও মেহেরবাণীতে। সুতরাং এরই প্রতি তাদের সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। এটিই উত্তম সে সমুদয় থেকে যা সঞ্চয় করছ।" Click This Link
ঈদে মিলাদুননবীর জন্য আরো যে আয়াত দেন ওনারা সেটি হলো
---মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা ফাতহ-এর ৮-৯ নম্বর আয়াত পাক-এ ইরশাদ ফরমান- অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও ভয়প্রদর্শনকারীরূপে। অতএব, তোমরা আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনো এবং উনার খিদমত করো, তা’যীম-তাকরীম করো সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে উনার ছানা-ছিফত প্রশংসা করতে থাকো।”
হে ঈমানদার বান্দা-উম্মাহ! বর্ণিত আয়াত শরীফ-এ পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে আমরা যাতে উনার যথাযথ তা’যীম-তাকরীম, সম্মানসহ সদা-সর্বদা উনারই ছানা-ছিফত বর্ণনা করতে থাকি। এখন এই আয়াত শরীফ-এর আদেশ মুতাবিক যদি উম্মাহরা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে-সম্মানে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করতঃ তা’লীমী মাহফিল মজলিসের আয়োজন করে, সেটা কোন দলীলের ভিত্তিতে নাজায়িয প্রমাণ করা যাবে? আল্লাহ পাক তিনি যা হালাল করেছেন সেটাকে হারাম-বিদয়াত বলে কোনো ঈমানদার কি কখনো খোদাদ্রোহী ফিরআউনের ক্বায়িম-মাক্বাম হতে চায়?
এবার আসল আয়াতের অর্থ দেখুন ৪৮) সূরা আল ফাতহ আয়াত নং 8-9 "আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি অবস্থা ব্যক্তকারীরূপে, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে, যাতে তোমরা আল্লাহ ও রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর এবং তাঁকে সাহায্য ও সম্মান কর এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা কর।" ওনাদের আয়াতের অর্থ দেখুন আর আসল অর্থ দেখুন কেমন পরিবর্তন। Click This Link
নীচে মোহাম্মদ (সঃ) সর্ম্পকে কোরআনের কিছু আয়াত দিলাম দেখেন কোথাও কি ঈদে মিলাদুন্নবীর কথা বলা আছে?
কোথাও কি মোহাম্মদ (সঃ) এর জন্মের কথা বলা আছে? নাই ,আছে শুধু ওনার গুনাবলীর প্রশংসা দেখুন
১। وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا كَافَّةً لِّلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
আমিত তোমাক সমগ্র মানব জাতির প্রতি সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরুপে প্রেরণ করিয়াছি অধিকাংশ মানুষ জানেনা (৩৪ সুরা সাবাঃ২৮)
২।وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا রসুলাল্লাহর ভিতর রয়েছে উত্তম আদর্শ ( সুরা আল-আহযাবঃ২১)
৩।আমতো তোমাকে বিশ্বজগতের প্রতি রহমত স্বরুপ প্রেরন করেছি (সুরা আম্বিয়াঃ১০৭)
৪।“রসুলাল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ(৩৩-২১)
৫।“আমি তো তোমাকে বিশ্বজগতের প্রতি কেবল রহমত স্বরুপ প্রেরন করেছি”(২১-১০৭)
৬।“তুমি অবশ্যই মহৎ চরিত্রের উচ্চতম স্তরে অধিষ্টিত”(৬৮-৪)
৭।“দেখছেন, তারা আপনাকে দেখছে অথচ দেখছে না( অর্থাৎ চিনতে পারছেনা)(৭-১৯৮)
৮।আমিতো তোমাদের মতই একজন সাধারন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদিগের ইলাহ, একমাত্র ইলাহ”(১৮-১১০)
৯। “বল, আমি তো নতুন রসুল নহি। আমি জানি না, আমার ও তোমাদিগের ব্যাপার কি করা হবে। আমি আমার প্রতি যা প্রত্যাদেশ হয় কেবল তারই অনুসরণ করি। আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র” (৪৬-৯)
কোরআনে সুরা মোহাম্মদ নামে একটি সুরাও রয়য়েছে সেখানেও ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পকে কিছু বলা নেই বরং বলা আছে
10. হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রসূলের (সাঃ) আনুগত্য কর এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না। Sura Muhammad Sura number 47- Ayat 33
এখানে আল্লাহর আনুগত্য মানে কোরআনের নিদেশিত পথে এবং রাসুলের আনুগত্য মানে ওনার দেখানো পথে জীবন পরিচালনা করা ওনি যেহেতু এটা পালন করেন নি বা সাহাবারাও করেননি আমরা নিশ্চই সাহাবাদের চেয়ে বেশি ঈমানদার নই আর যদি করেন তবে ঐ আয়াতের শেষে বলা আছে "নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না"
আরো দেখুন মোহাম্মদ (সঃ) জন্মের তারিখ সম্পকে সঠিক তারিখ জানা যায় না তবে দিন যে সোমবার সেটা নিয়ে মোটামুটি অনেক প্রমান আছে
আবু কাতাদা আনসারি বলেন যে মোহাম্মদ (সঃ) বলেছেন " ওনাকে একবার সোমবারে রোজা রাখা সম্পকে জিগ্গেস করলে ওনি বলেন এটি সেই দিন যেদিন আমি জন্মেছিলাম এবং যেদিন আমার প্রতি ওহি নাযিল হয়েছিল" - সহিহ বোখারি- কিতাব আস সাউমে পাবেন
ইসলামিক হিস্টোরিয়ান রা ১২ তারিখ নিয়েএকমত হতে পারেন নি আর গুগুলে “prophet muhammad exact date of birth” দিয়ে সার্চ করুন পেয়ে যাবেন আমি একটি সাইট থেকে কিছু তথ্য যোগ করলাম দেখুন বলাহয়েছে
কারো মতে, তাঁর জন্ম তারিখ অজ্ঞাত, তা জানা যায় নি, এবং তা জানা সম্ভব নয়। তিনি সোমবারে জন্মগ্রহণ করেছেন এটুকুই শুধু জানা যায়, জন্ম মাস বা তারিখ জানা যায় না। এ বিষয়ে কোন আলোচনা তারা অবান্তর মনে করেন।
কারো কারো মতে, তিনি মুহাররম মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন।অন্য মতে, তিনি সফর মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন। কারো মতে, তিনি রবিউল আউআল মাসের ২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় হিজরী শতকের অন্যতম ঐতিহাসিক ও মাগাযী প্রণেতা মুহাদ্দিস আবু মা‘শার নাজীহ ইবন আব্দুর রহমান আস-সিনদী (১৭০হি) এই মতটি গ্রহণ করেছেন।
*অন্য মতে, তাঁর জন্ম তারিখ রবিউল আউআল মাসের ৮ তারিখ। আল্লামা কাসতাল্লানী ও যারকানীর বর্ণনায় এই মতটিই অধিকাংশ মুহাদ্দিস গ্রহণ করেছেন। এই মতটি দুইজন সাহাবী ইবনে আববাস ও জুবাইর ইবন মুতয়িম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। অধিকাংশ ঐতিহাসিক ও সীরাতুন্নবী বিশেষজ্ঞ এই মতটি গ্রহণ করেছেন বলে তারা উল্লেখ করেছেন। প্রখ্যাত তাবেয়ী ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে মুসলিম ইবনে শিহাব আয-যুহরী (১২৫হি) তাঁর উস্তাদ প্রথম শতাব্দীর প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও নসববিদ ঐতিহাসিক তাবেয়ী মুহাম্মাদ ইবনে জুবাইর ইবনে মুতয়িম (১০০হি) থেকে এই মতটি বর্ণনা করেছেন।
* কাসতালানী বলেন: ‘‘মুহাম্মাদ ইবনে জুবাইর আরবদের বংশ পরিচিতি ও আরবদের ইতিহাস সম্পর্কে অভিজ্ঞ ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম তারিখ সম্পর্কিত এই মতটি তিনি তাঁর পিতা সাহাবী জুবাইর ইবন মুতয়িম থেকে গ্রহণ করেছেন। স্পেনের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফকিহ আলী ইবনে আহমদ ইবনে হাযম (৪৫৬হি) ও মুহাম্মাদ ইবনে ফাতুহ আল- হুমাইদী (৪৮৮হি) এই মতটিকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছেন।
*স্পেনের মুহাদ্দিস আল্লামা ইউসূফ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল বার ( ৪৬৩ হি) উল্লেখ করেছেন যে, ঐতিহাসিকগণ এই মতটিই সঠিক বলে মনে করেন। মীলাদের উপর প্রথম গ্রন্থ রচনাকারী আল্লামা আবুল খাত্তাব ইবনে দেহিয়া (৬৩৩ হি) ঈদে মীলাদুন্নবীর উপর লিখিত ‘‘আত-তানবীর ফী মাওলিদিল বাশির আন নাযীর’’ গ্রন্থে এই মতটিকেই গ্রহণ করেছেন।
*অন্য মতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম তারিখ ১০ই রবিউল আউয়াল। এই মতটি ইমাম হুসাইনের পৌত্র মুহাম্মাদ ইবন আলী আল বাকের (১১৪হি) থেকে বর্ণিত। দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আমির ইবন শারাহিল আশ শা‘বী (১০৪হি ) থেকেও এই মতটি বর্ণিত। ঐতিহাসিক মুহাম্মাদ ইবন উমর আল-ওয়াকেদী (২০৭হি ) এই মত গ্রহণ করেছেন। ইবনে সা‘দ তার বিখ্যাত ‘‘আত-তাবাকাতুল কুবরা’’-য় শুধু দুইটি মত উল্লেখ করেছেন, ২ তারিখ ও ১০ তারিখ [8]।
* কারো মতে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম তারিখ ১২ রবিউল আউয়াল। এই মতটি হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রখ্যাত ঐতিহাসিক মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (১৫১হি) গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেছেন: ‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাতীর বছরে রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন” [9]। এখানে লক্ষণীয় যে, ইবনে ইসহাক সীরাতুন্নবীর সকল তথ্য সাধারণত: সনদ সহ বর্ণনা করেছেন, কিন্তু এই তথ্যটির জন্য কোন সনদ উল্লেখ করেন নি। কোথা থেকে তিনি এই তথ্যটি গ্রহণ করেছেন তাও জানান নি বা সনদসহ প্রথম শতাব্দীর কোন সাহাবী বা তাবেয়ী থেকে মতটি বর্ণনা করেন নি। এ জন্য অনেক গবেষক এই মতটিকে দুর্বল বলে উল্লেখ করেছেন [10]।
* অন্য মতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম তারিখ ১৭ই রবিউল আউয়াল।
* অন্য মতে তাঁর জন্ম তারিখ ২২ শে রবিউল আউয়াল।
* অন্য মতে তিনি রবিউস সানী মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন।
* অন্য মতে তিনি রজব জন্মগ্রহণ করেছেন। ।
* অন্য মতে তিনি রমযান মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন। ৩য় হিজরী শতকের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক যুবাইর ইবনে বাক্কার (২৫৬ হি) থেকে এই মতটি বর্ণিত। তাঁর মতের পক্ষে যুক্তি হলো যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বসম্মতভাবে রমযান মাসে নবুয়ত পেয়েছেন। তিনি ৪০ বৎসর পূর্তিতে নবুয়ত পেয়েছেন। তাহলে তাঁর জন্ম অবশ্যই রমযানে হবে [11]। সুত্র: Click This Link
The only way we could have been absolutely sure about it was if Prophet Muhammad would have told us that himself, which he actually didn’t. If we consider this fact we would be forced to leave all bid’aat (innovations) attached with 12th of Rabi ul Awwal. Click This Link
পরিশেষে এক তো আমরা মুহাম্মদ (সঃ) এর জন্মদিন সম্পকে নিশ্চিত জানি না শুধু সোমবার রবিউল আউয়াল মাস জানি। আর ওনার জন্মদিনের যখন সঠিক তারিখই পেলাম না সেখানে কি করে ওনার মৃত্যু দিবসে আমরা ঈদ পালন করবো?
এবং আমরা দেখেছি ইয়াহিয়া (আঃ) এবং ইসা (আঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে পেলাম কিন্তু মুহাম্মদ (সঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে নাই কেন? আল্লাহ যদি এতই গুগুত্বপুর্ন মনে করতেন তবে অন্য নবীদের জন্মদিন সম্পকে কোরআনে নির্দেশ করতে পারলে মহানবী সম্পকে কেন নয়? আর তাদের আয়াতের ভুল ব্যখ্যাও প্রমান করলাম।
এই হাদিসটি একটু দেখুন "হুজুর (সা.) হিজরত করে মদিনায় আসার পর দেখলেন, মদিনার লোকেরা বছরে দু দিন আনন্দ-উৎসবের দিন হিসেবে আমোদফূর্তি এবং খেলাধুলায় লিপ্ত হয়। এটি ছিলো ইসলামপূর্ব জাহিলিয়াত যুগের রীতি। হুজুর (সা.) সাহাবীদেরকে এটি করতে নিষেধ করলেন এবং বললেন যে, আল্লাহ তায়ালা এ দু দিনের পরিবর্তে এর চেয়েও উত্তম দুটি দিন তোমাদিগকে দান করেছেন- ঈদুল আজহার দিন এবং ঈদুল ফিতরের দিন (মেশকাত: আবু দাউদ)" এখানে ঈদে মিলাদুন্নবী বা অন্য কোন ইদের কথা বলা হয় নি।
আর ঈদে মিলাদুন্নবীর ইতিহাস সর্ম্পকে দেখুন : শায়খ আলী মাহফুজ -রাহিমাহুল্লাহ- বলেন : “সর্বপ্রথম এ দিনটি উদযাপন করা হয় মিসরের কায়রোয় : ফাতেমি খলিফারা চতুর্থ শতাব্দীতে এর প্রচলন আরম্ভ করে। তারা ছয়টি মীলাদ বা জন্ম উৎসব প্রবর্তন করে : মীলাদুন্নবী, মীলাদে আলী -রাদিআল্লাহু আনহু-, মীলাদে ফাতেমাতুজ জোহরা- রাদিআল্লাহু আনহা-, মীলাদে হাসান ও হুসাইন- রাদিআল্লাহু আনহুমা- এবং বর্তমান খলিফার মীলাদ। সেই থেকেই তাদের দেশে এ মীলাদগুলো (জন্মানুষ্ঠান) যথারীতি পালন করা হচ্ছিল। অবশেষে এক সময়কার সেনাবাহিনী প্রধান আফজাল এসব মীলাদ রহিত করে দেন। খলিফা আমের বিআহকামিল্লাহ নিজ শাসনকালে পুনরায় এসব মীলাদ চালু করেন, অথচ মানুষ এসব মীলাদ ভুলতে আরম্ভ করেছিল। সপ্তম শতাব্দীতে “ইরবিল” শহরে সর্বপ্রথম এ মীলাদ আরম্ভ করেন বাদশাহ আবু সাঈদ, সেই থেকে আজ পর্যন্ত চলে আসছে তা, বরং তাতে আরও বৃদ্ধি ও সংযোজন ঘটেছে। তাদের রিপু ও প্রবৃত্তির চাহিদা মোতাবেক সব কিছু তারা এতে যোগ করেছে। তাদেরকে এর প্রত্যাদেশ করেছে মানব ও জিন শয়তানেরা”। “আল-ইবদা ফি মাদাররিল ইবতেদা” (পৃষ্ঠা নং: ২৫১)
এবং: শায়খুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ -রাহিমাহুল্লাহ- বলেছেন : “অনুরূপ কতক লোকের (মীলাদুন্নবী) আবিষ্কার, তারা হয়তো নাসারাদের অনুকরণে, অধিকন্তু তার জন্মের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে দ্বিমত তো রয়েছেই। যেমন তারা ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মানুষ্ঠান পালন করে, অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহব্বত ও সম্মানের খাতিরে, আল্লাহ তাদের এ মহব্বত ও সম্মানের প্রতি সাওয়াব দিতেও পারেন, তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিনকে ঈদ হিসেবে পালন করার জন্য নয়,কারণ আমাদের পূর্বসূরি ও আদর্শ মনীষী কেউ এটা পালন করেননি, অথচ তখনো এর দাবি বিদ্যমান ছিল, কোন বাঁধা ছিল না, যদি এটা কল্যাণকর হতো অথবা ভাল হতো, তাহলে আমাদের পূর্বসূরিগণই এর বেশী হকদার ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহব্বত আমাদের চেয়ে তাদের মধ্যে বেশী ছিল। তারা তাকে আমাদের চেয়ে অধিক সম্মান করতেন। আমাদের চেয়ে তারা কল্যাণের ব্যাপারে অগ্রগামী ছিলেন। বস্তুত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিপূর্ণ মহব্বত ও সম্মানের পরিচয় হচ্ছে, তার আনুগত্য ও অনুসরণ করা, তার নির্দেশ পালন করা এবং প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে তার সুন্নত জীবিত করা, তার আনিত দ্বীন প্রচার করা এবং এ জন্য অন্তর-হাত ও মুখ দ্বারা জিহাদ করা, কারণ এটাই আমাদের পূর্বসূরি মুহাজির, আনসার ও তাদের যথাযথ অনুসারীদের নীতি ও আদর্শ ছিল”। ইকতেদাউস সিরাত : (পৃষ্ঠা: ২৯৪-২৯৫)
এবার আসুন জানি কেন তারা পালন করতে চাইছে তার আসল উদ্দেশ্য :
টাকা দিলে বেহেস্তের টিকেট: মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার ক্বওল শরীফ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে তোমরা খরচ করো।’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সখী‘ বা দানশীল হচ্ছে ‘হাবীবুল্লাহ’।’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে যে ব্যক্তি এক দিরহাম খরচ করবে সে ‘হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম’ উনার সাথে জান্নাতে থাকবে, পবিত্র বদর ও পবিত্র হুনাইন জিহাদে শরীক থাকার ফযীলত পাবে, উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করার ফযীলত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করা বা খিদমতের আঞ্জাম দেয়া। দেখুন ওদের ওয়েব সাইটে http://al-ihsan.net/
তার মানে ওরা এই আয়াতকে অস্বীকার করছে না? আমার তো তাই মনে হয় যেখানে সুস্পস্ট বলা আছে :"“বল, আমি তো নতুন রসুল নহি। আমি জানি না, আমার ও তোমাদিগের ব্যাপার কি করা হবে। আমি আমার প্রতি যা প্রত্যাদেশ হয় কেবল তারই অনুসরণ করি। আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র” (৪৬-৯)"
ওদের ঐ পোস্টে জামিল হাসান বলেছেন: উৎসব বা অন্যান্য আনন্দ দিবসে প্রচুর টাকা খরচ করতে হয় টাকা খরচ আসলে হয়ে যায় । আল্লাহ্র রসূল সল্লালহআলাইহিসসালাম এর মৃত্যু দিবসে ঈদ ঘোষণা করা এটা পেট পূজারী ভণ্ড পীরদের টাকা ইনকাম করার একটা উপায় কেননা এটা ত ঈদ ।আর ঈদের দিন বকশিস হাদিয়া দেয়া ত বাংলাদেশে কালচার । ভক্তরা ত ভণ্ড পীরের পায়ে অনেক বকশিশ দিবে আর পীর মাল কামাবে তাই না কি বলেন?
আর রাসুল কে যারা ভালবাসে তারা যদি পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে ওনার দেখানো পথে জীবন চালায় তবেই তিনি বেশি খুশি হবেন কারন নামাজে আপনি দুরুদ পরেন আর ওনার জীবন ফলো করে সৎ ও ভালো থাকবেন সেটাইতো মুল উদ্দেশ্য তাই নয় কি। এর জন্যই তো আমাদের মহানবী (সঃ) এত কস্ট সয়েছিলেন মানুষকে ঠিক পথে রাখান জন্য আর সেই মানুষ যদি ওনার জন্মদিনের নামে টাকা পীরের দরবারে ঢালতে থাকে তবে সবচেয়ে অপমান মোহাম্মদ (সঃ) কেই করা হচ্ছে
পাচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যমে আপনি পাচ বার দুরুদ পরছেন মহান আল্লাহর সাথে মিলিত হচ্ছেন সে হিসেবে প্রতিদিনই তো খুশির দিন তাই না?আফসোস! আমরা তাও নিজেদের ইচ্ছামত আনন্দের দিন বানিয়ে নেই
এবং
আর আমরা সেইকথা কি করে ভুলে যাই যে আবু বকর মোহাম্মদ (সঃ) এর মৃত্যুর পর বলেন ": এখন যারা মোহাম্মদ (সঃ) কে উপাসনা করতে জেনে নাও তিনি মৃত্যু বরন করেছেন আর যারা আল্লাহর উপাসনা করে জেনে রাখ তিনি সদা বিদ্যমান এর পর তিনি সূরা আল ইমরান আয়াত ১৪৪ পাঠ করেন "আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো নয়! তাঁর পূর্বেও বহু রসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। তাহলে কি তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা নিহত হন, তবে তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে? বস্তুতঃ কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে, তবে তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাদের সওয়াব দান করবেন। "
ইদে মীলাদুন্নবী (সঃ) যে ফরজে আইন নয় তার প্রমান হিসেবে ভিডিও
https://www.youtube.com/watch?v=yE9gX1JIKS4
Fighting over Maulid/the Birthday of the Prophet PBUH?
Celebrating Mawlid un Nabi innovation (Eid Milad un Nabi) Prophets Birthday-
Is Celebrating Birthdays or Anniversaries forbidden (HARAM) in Islam Dr Zakir
আমার পোস্টের মুল কথা : ঈদে মিলাদুননবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহব্বত ও সম্মানের খাতিরে পালন করতে সমস্যা দেখিনা , আল্লাহ আমাদের এ মহব্বত ও সম্মানের প্রতি সাওয়াব দিতেও পারেন তবে এটি নিশ্চই নামাজের মত ফরযে আইন নয় সে বিষয়ে আপনারাও একমত হবেন?
আর যখন আমরা পালন করবো তো কি ভাবে পালন করলে সবচেয়ে ভাল হয়, হাদীস অনুযায়ী বলাযায় এই দিনে রোজা রাখা যায় আর আবু লাহাব যেমন করে দাসী কে ছেরে দিয়েছিলেন খুশিতে তেমনি এইদিনে আমরা গরীব দের কে সাহাজ্য করতে পারি সমাজ ও রাস্ট্রের উন্নয়নে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসুচী নিতে পারি বা মসজিদে মুহাম্মদ (সঃ) জীবনী নিয়ে আলোচনা করতে পারি , বাচ্চাদের ওনার সম্পকে জানাতে পারি তাই না। কোন এক নিদ্দিস্ট পীরের কাছে যেতে হবে কেন?
এবং উপরোক্ত কাজ সমুহ করতে আমার কোনই দ্বিমত নাই সমস্যা হলো যখনই এই ব্যপারটাকে ফরজে আইন বলা হচ্ছে যা ঠিক না আর তাদের দরবার শরীফে যেতে তারা ওনার সীরাত করারও বিরোধি তাইলে এইটা সুস্পস্ট ধান্দাবাজি করছে না?
আমি সত্য সবার সামনে তুলে ধরার জন্য যথা সম্ভব চেস্টা করেছি সঠিক তথ্য দিতে তবে আমারও ভুল হতে পারে ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন যাতে শুধরে নিতে পারি তবে যৈক্তিক ভাবে তা তুলে ধরবেন আর ওনাদের জবাব জানতে চাইলে দেখতে পারেন যা নাকি ওনাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব তো যারা জবাব পেয়ে দাত খুয়াইতে চান এখানে গুতা মারেন Click This Link আমার দাত সহিহ সালামতে ঠিক আছে তাই এই পোস্টের অবতারনা
অরো জানতে এখানে দেখুন ইসলামে ঈদে মীলাদুন্নবী পালনের বিধানের উপর কিছু ফাইল http://www.quraneralo.com/miladunnabi-files/ এবং এখানে Click This Link
আল্লাহ সবাইকে বোঝার তৈফিক দিন। আর আমার ভুল গুলো ক্ষমা করুন। আমিন
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৩
মেলবোর্ন বলেছেন: কি বলবো ওদের জালায় ওদের পোস্টের থেকে দেখলাম আয়াত কিভাবে বিকৃত করে ঈদে মিলাদুন নবীর নামে চালিয়ে দিচ্ছে তাই ওরা যেই আয়াত কে অবলম্বন করে লিখেছে সেই আয়াত গুলোর অর্থ সহ সবার সামনে পেশ করলাম। -সত্য কখলো চাপা থাকেনা । ওরা টাকার নেশায় সব যা ইচ্ছা লিখছে সিন্ডিকেট সব
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৮
এইচ এম বিশ্বাস বলেছেন: বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয হওয়ার প্রমাণ
ঊছুলে ফিক্বাহর সমস্ত কিতাবেই উল্লেখ আছে যে, الامر للوجوب অর্থাৎ আদেশসূচক বাক্য দ্বারা সাধারণত ফরয-ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়ে থাকে। যেমন কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, اقيموا الصلوة অর্থাৎ “তোমরা নামায আদায় করো।” কুরআন শরীফ-এর এ নির্দেশসূচক বাক্য দ্বারাই নামায ফরয সাব্যস্ত হয়েছে। অনুরূপ হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, واعفوا للحى অর্থাৎ “তোমরা (পুরুষরা) দাড়ি লম্বা করো।” হাদীছ শরীফ-এর এ নির্দেশসূচক বাক্য দ্বারাই কমপক্ষে এক মুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয-ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়েছে। ঠিক একইভাবে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা অর্থাৎ ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ সোমবার শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদ করা তথা খুশি প্রকাশ করা বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। কেননা এ ব্যাপারেও কুরআন শরীফ-এ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বহু স্থানে আদেশ-নির্দেশ রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, اذكروا نعمة الله عليكم
অর্থাৎ “তোমাদেরকে যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে, তোমরা সে নিয়ামতকে স্মরণ করো।” (সূরা আলে ইমরান : আয়াত শরীফ ১০৩)
এ আয়াত শরীফ দ্বারা মহান আল্লাহ পাক প্রদত্ত নিয়ামত স্মরণ করা, নিয়ামতের আলোচনা করা, নিয়ামত প্রাপ্তি উপলক্ষে নিয়ামত প্রাপ্তির দিন ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা ফরয সাব্যস্ত হয়। অর্থাৎ নিয়ামত প্রাপ্তি উপলক্ষে নিয়ামত প্রাপ্তির দিনে নিয়ামতকে স্মরণ করে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা ফরয। আর সে নিয়ামতকে ভুলে যাওয়া বা খুশি প্রকাশ না করা কঠিন শাস্তির কারণ। এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, শাস্তি থেকে বেঁচে থাকাও বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য ফরয। এ বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা মায়িদাহ -এর ১১৪ নম্বর আয়াত শরীফ-এ আরো স্পষ্টভাবে ইরশাদ করেন-
قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَاء تَكُونُ لَنَا عِيداً لِّأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنكَ وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ. قَالَ اللّهُ إِنِّي مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ فَمَن يَكْفُرْ بَعْدُ مِنكُمْ فَإِنِّي أُعَذِّبُهُ عَذَابًا لاَّ أُعَذِّبُهُ أَحَدًا مِّنَ الْعَالَمِينَ.
অর্র্থ: “আয় আমাদের রব আল্লাহ পাক! আমাদের জন্য আপনি আসমান হতে (বেহেশতী খাদ্যের) খাদ্যসহ একটি খাঞ্চা নাযিল করুন। খাঞ্চা নাযিলের উপলক্ষটি অর্র্থাৎ খাদ্যসহ খাঞ্চাটি যেদিন নাযিল হবে সেদিনটি আমাদের জন্য, আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ (খুশি) স্বরূপ হবে এবং আপনার পক্ষ হতে একটি নিদর্শন হবে। আমাদেরকে রিযিক দান করুন। নিশ্চয় আপনিই উত্তম রিযিকদাতা। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের প্রতি খাদ্যসহ খাঞ্চা নাযিল করবো। অতঃপর যে ব্যক্তি সে খাদ্যসহ খাঞ্চাকে এবং তা নাযিলের দিনটিকে ঈদ তথা খুশির দিন হিসেবে পালন করবে না বরং অস্বীকার করবে আমি তাকে এমন শাস্তি দিবো, যে শাস্তি সারা কায়িনাতের অপর কাউকে দিবো না।” (সূরা মায়িদাহ : আয়াত শরীফ ১১৪)
এ আয়াত শরীফ দ্বারা সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবে প্রমাণিত হল যে, নিয়ামত প্রাপ্তির দিনটি পূর্ববর্তী-পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ বা খুশির দিন। যা কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ দ্বারাই প্রমাণিত। আরো প্রমাণিত হয় যে, নিয়ামত প্রাপ্তি উপলক্ষে নিয়ামত প্রাপ্তির দিনে যারা ঈদ বা খুশি প্রকাশ করবেনা তারা কঠিন আযাব বা শাস্তির সম্মুখীন হবে। অর্থাৎ এ আয়াত শরীফ দ্বারাও মহান আল্লাহ পাক তিনি নিয়ামত প্রাপ্তির উপলক্ষে নিয়ামত প্রাপ্তির দিনে খুশি প্রকাশ করাকে ফরয করে দিয়েছেন।
এখন কথা হলো- সাধারণভাবে কোনো নিয়ামত প্রাপ্তির কারণে নিয়ামত প্রাপ্তির দিন ঈদ বা খুশি করা যদি ফরয হয়, আর হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার উম্মতের জন্য আসমান থেকে খাদ্য বা নিয়ামত নাযিল হওয়ার কারণে সে দিনটি যদি পূর্ববর্তী-পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ বা খুশির দিন হয় এবং সে ঈদকে অস্বীকারকারী বা সে ঈদ না পালনকারী যদি কঠিন আযাব বা শাস্তির উপযুক্ত হয়; তবে যিনি কুল-কায়িনাতের জন্যই সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত অর্থাৎ নিয়ামতে কুবরা আলাল আলামীন তিনি যেদিন যে সময়ে পৃথিবীতে তাশরীফ আনলেন সে দিনটি কেনো পূর্ববর্তী-পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ বা খুশির দিন হবে না? সেদিন যারা ঈদ বা খুশি প্রকাশ করবেনা তারা কেনো কঠিন আযাব বা শাস্তির উপযুক্ত হবে না?
মূলত সেদিন অর্থাৎ ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ সোমবার শরীফ শুধু পূর্ববর্তী-পরবর্তী সকলের জন্যই নয়; কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই সবচেয়ে বড় ঈদ অর্থাৎ সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম ও সাইয়্যিদে ঈদে আকবর। সেদিন ঈদ পালন করা শুধু জিন-ইনসানের জন্যই নয় বরং কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য অবশ্যই ফরয। সেদিন যারা ঈদ পালন করবেনা তারা ফরয তরক করার কারণে, নিয়ামতের না শুকরিয়া বা অবজ্ঞা করার কারণে অবশ্যই কঠিন আযাব বা শাস্তির উপযুক্ত হবে। তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা ইউনূস-এর ৫৮ নম্বর আয়াত শরীফ-এ বান্দা-বান্দী ও উম্মতদেরকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লাভ করার কারণে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করতে সরাসরি নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি ইরশাদ করেন,
قُلْ بِفَضْلِ اللّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُواْ هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ.
অর্র্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, আল্লাহ পাক তিনি ফযল-করম হিসেবে তাদেরকে যে দ্বীন ইসলাম দিয়েছেন এবং রহমত হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সবকিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” (সূরা ইউনুস : আয়াত শরীফ ৫৮)
অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদ, মুদাক্কিক্ব ও মুহাক্কিক্বগণ উনারা এ আয়াত শরীফ দ্বারা ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করাকে ফরয বলে ফতওয়া দেন। কেননা উক্ত আয়াত শরীফ-এ فَلْيَفْرَحُواْ অর্থাৎ “তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে” আদেশসূচক বাক্য ব্যবহৃত হয়েছে। আর আদেশসূচক বাক্য দ্বারা যে ফরয সাব্যস্ত হয় তা উদাহরণ ও দলীলসহ শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে।
কাজেই, প্রত্যেক বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য তো অবশ্যই বরং কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরযের অন্তর্ভুক্ত। এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া। এর বিপরীত মত পোষণকারীরা বাতিল ও গোমরাহ।
মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সর্বপ্রথম ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ উদযাপন করেন
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত, ছানা-ছিফত, প্রশংসা তথা মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ সর্বপ্রথম পালন করেছেন মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন তিনি স্বয়ং নিজে। এ সম্পর্কে হাদীছে কুদসী শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে,
كنت كنزا مخفيا فاحببت ان اعرف فخلقت الخلق لاعرف.
অর্থ: “আমি গুপ্ত ছিলাম। আমার মুহব্বত হলো যে, আমি জাহির হই। তখন আমি আমার (রুবুবিয়্যত) জাহির করার জন্যই সৃষ্টি করলাম মাখলূকাত (আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে)।” (আল মাকাসিদুল হাসানা/ ৮৩৮, কাশফূল খিফা/২০১৩, আসনাল মুত্বালিব/১১১০, তমীযুত তীব/১০৪৫, আসরারুল মারফুআ/৩৩৫, তানযিয়াতুশ শরীয়াহ ১/১৪৮, আদ্দুরারুল মুন্তাছিরা/৩৩০, আত তাযকিরা ফি আহাদীসিল মুশতাহিরা/১৩৬, সিররুল আসরার, কানযুল উম্মাল)
মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ করেন-
لولاك لما اظهرت الربوبية.
অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে সৃষ্টির উদ্দেশ্য না থাকলে আমি আমার রুবুবিয়্যতই প্রকাশ করতাম না।” (কানযুল উম্মাল)
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما انه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اتانى جبريل عليه السلام فقال يا رسول الله صلى الله عليه وسلم لولاك ماخلقت الجنة ولولاك ماخلقت النار.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন: হযরত জিবরীল আমীন আলাইহিস সালাম আমার নিকট আগমন করে বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে এই বলে পাঠিয়েছেন যে, আপনি যদি না হতেন তবে আমি জান্নাত ও জাহান্নাম কিছুই সৃষ্টি করতাম না।” (দায়লামী, কানযুল উম্মাল-৩২০২২)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত মাখলূকাত সৃষ্টি করেছেন তথা মহান আল্লাহ পাক উনার রুবুবিয়্যতই প্রকাশ করেছেন মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ পালন করার উদ্দেশ্যে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আলমে আরওয়াহতেও সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের সাথে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন ও উনাদের থেকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ওয়াদা নিয়েছেন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন-
واذ اخذ الله ميثاق النبين لما اتيتكم من كتاب وحكمة ثم جائكم رسول مصدق لما معكم لتؤمنن به ولتنصرنه قال اأقررتم واخذتم على ذلكم اصرى قالوا اقررنا قال فاشهدوا وانا معكم من الشاهدين. فمن تولى بعد ذلك فاولئك هم الفاسقون.
অর্থ: “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি স্মরণ করুন সেই সময়ের কথা) যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি আলমে আরওয়াহতে সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছ থেকে ওয়াদা নিয়েছিলেন যে, আপনাদেরকে আমি কিতাব ও হিকমত দান করবো। অতঃপর আপনাদেরকে সত্য প্রতিপাদনের জন্য (নুবুওওয়াত ও রিসালতের হাক্বীক্বী ফায়িজ দেয়ার জন্য) আখিরী নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রেরণ করবো। আপনারা উনাকে নবী ও রসূল হিসেবে মেনে নিবেন এবং সর্ব বিষয়ে উনার খিদমত করবেন (উনার মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ পালন করবেন)। আপনারা কি এই ওয়াদার কথা মেনে নিলেন? উত্তরে সকলে বললেন, হ্যাঁ আমরা এই ওয়াদা স্বীকার করলাম (অর্থাৎ আমরা যমীনে গিয়ে আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ পালন করবো)। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন: আপনারা সাক্ষী থাকুন, আমিও আপনাদের সাথে সাক্ষী হয়ে গেলাম। তবে জেনে রাখুন, যারা এই ওয়াদাকৃত বিষয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে (যারা মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ পালন করবে না বা এর বিরোধিতা করবে) তারা চরম পর্যায়ের ফাসিক (ও কাফির) হয়ে যাবে।” (সূরা আলে ইমরান : আয়াত শরীফ ৮১-৮২)
এ আয়াত শরীফ-এ স্বয়ং আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি নিজেই হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন। আবার হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে যমীনে এসে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং যারা যমীনে এসে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবে না বরং এর বিরোধিতা করবে তারাই চরম পর্যায়ের ফাসিক ও কাফির হবে সে সম্পর্কে ঘোষণাও দিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ ফরমান-
انا ارسلناك شاهدا ومبشرا ونذيرا. لتؤمنوا بالله ورسوله وتعزروه وتوقروه وتسبحوه بكرة واصيلا.
অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে। অতএব, তোমরা (উম্মতরা) মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি ঈমান আনো এবং তোমরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত করো, সম্মান করো ও সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ সদা-সর্বদা উনার ছানা-ছিফত বর্ণনা করো।” (সূরা ফাতহ : আয়াত শরীফ ৮-৯)
মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ করেন-
يايها الناس قد جاءتكم موعظة من ربكم وشفاء لما فى الصدور وهدى ورحمة للمؤمنين. قل بفضل الله وبرحمته فبذالك فليفرحوا هو خير مما يجمعون .
অর্থ: “হে মানবজাতি! অবশ্যই তোমাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে এসেছেন মহান নছীহতকারী, তোমাদের অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ দূরকারী, মহান হিদায়েত ও ঈমানদারদের জন্য মহান রহমত (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া, ইহসান ও রহমত (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে) উনার জন্য ঈদ উদযাপন তথা খুশি প্রকাশ করো। তোমরা যতো কিছুই করোনা কেনো তিনিই হচ্ছেন সমগ্র কায়িনাতের জন্য সবচেয়ে বড় ও সর্বোত্তম নিয়ামত।” (সূরা ইউনুস : আয়াত শরীফ ৫৭- ৫৮)
এ আয়াত শরীফ দ্বারা মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত মাখলূকাতের জন্য ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করাকে ফরয করে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, এ সম্পর্কে তিনটি শব্দ রয়েছে। যথা: ميلاد অর্থ: জন্মের সময়, مولد অর্থ: জন্মের স্থান, مولود অর্থ: সদ্য প্রসূত সন্তান। আর ইছতিলাহী বা ব্যবহারিক অর্থ হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ছানা-ছিফত করা ও উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করা; যা মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন,
ان الله وملئكته يصلون على النبى يايها الذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما.
অর্থ: “নিশ্চয় মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত পাঠ করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও উনার প্রতি ছলাত পাঠ করো এবং সালাম দেয়ার মতো সালাম দাও অর্থাৎ যথাযথ আদবসহকারে তথা ক্বিয়াম বা দাঁড়িয়ে সালাম পেশ করো।” (সূরা আহযাব : আয়াত শরীফ ৫৬)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং নিজেই নিজের বিলাদত শরীফ পালন করে খুশি প্রকাশ করেন
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং নিজেও নিজের মীলাদ শরীফ তথা বিলাদত শরীফ, বংশ মর্যাদা ও ছানা-ছিফত বা প্রশংসা করেছেন। হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن العباس رضى الله تعالى عنه انه جاء الى النبى صلى الله عليه و سلم فكانه سمع شيئا فقام النبي صلى الله عليه و سلم على المنبر فقال من انا ؟ فقالوا انت رسول الله فقال انا محمد بن عبد الله بن عبد المطلب عليهما السلام. ان الله خلق الخلق فجعلنى فى خيرهم ثم جعلهم فرقتين فجعلنى فى خيرهم فرقة ثم جعلهم قبائل فجعلنى فى خيرهم قبيلة ثم جعلهم بيوتا فجعلنى فى خيرهم بيتا فانا خيرهم نفسا وخيرهم بيتا.
অর্থ: হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদা আমি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সমীপে উপস্থিত ছিলাম। ইতোপূর্বে কোনো কোনো লোক আমাদের বংশ মর্যাদা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছিলো। সম্ভবত এ সংবাদ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কর্ণগোচর হয়েছিলো। এ সময় উনার দরবার শরীফ-এ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি মিম্বর শরীফ-এ আরোহণ করতঃ উপস্থিত লোকদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কে?” তখন সকলে সমস্বরে উত্তর দিলেন, “আপনি হলেন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল।” অতঃপর তিনি ইরশাদ করলেন, “আমি হচ্ছি হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিনি হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পুত্র, হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার পৌত্র। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে কুল-মাখলূকাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম, মাখলূকাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম গোত্র কুরাইশ খান্দানে এবং কুরাইশ গোত্রের বিভিন্ন শাখার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হাশেমী শাখায় এবং মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে সর্বশ্রেষ্ঠ ঘরে আমাকে প্রেরণ করেছেন।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
আরো বর্ণিত রয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই নিজের মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনার্থে খুশি প্রকাশ করে ইরশাদ করেন-
انى دعوت ابراهيم عليه السلام وبشارة عيسى عليه السلام ورؤيا امى التى رأت حين وضعتنى وقد خرج لها نور اضائت لها منه قصور الشام.
অর্থ: “আমি হলাম হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার দোয়া, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার সুসংবাদ এবং আমার মাতা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার দেখা সুস্বপ্ন ও অলৌকিক ঘটনার বাস্তব প্রতিফলন। আমার মাতা আমার বিলাদত শরীফ-এর সময় দেখেছিলেন যে, এক খ- বরকতময় “নূর” যমীনে তাশরীফ নিলেন এবং সে নূর মুবারক-এর আলোর প্রভাবে শাম দেশের বালাখানাসমূহ উনার দৃষ্টিগোচর হলো।” (শরহুস সুন্নাহ, মুসনাদে আহমদ, মিশকাত)
উপরোক্ত হাদীছ শরীফসমূহ থেকে এটাই ছাবিত হলো যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই নিজের মীলাদ তথা বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন।
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ উদযাপন করেছেন
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে আমরা যেভাবে মজলিস করে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাহফিল করে থাকি তা খোদ মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানা এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের যামানাতেই ছিলো।
যেমন এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما انه كان يحدث ذات يوم فى بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لقوم فيستبشرون ويحمدون الله ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم فاذا جاء النبى صلى الله عليه وسلم قال حلت لكم شفاعتى.
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে উনার নিজগৃহে ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে সমবেত করে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাছবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর (ছলাত ও সালাম তথা) দুরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন। এমন সময় রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হয়ে বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করতে দেখে বললেন, আপনাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব।” (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, ছুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى رضى الله تعالى عنه وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لابنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.
অর্থ: “হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে, একদা তিনি রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে উনার সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলেছেন, এই সেই দিবস এই সেই দিবস (অর্থাৎ এই দিবসে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে তাশরীফ এসেছেন। এই দিবসে ইহা সংঘটিত হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি)। এমন সময় নূরে মুজাসসাম রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উপস্থিত হয়ে বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করতে দেখে বললেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সমস্ত রহমতের দরজা আপনাদের জন্য উন্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতাগণ আপনাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত যে কেউ আপনাদের মতো এরূপ কাজ করবে, আপনাদের মতো তারাও নাজাত (ফযীলত) লাভ করবে।” (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, ছুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
উপরোক্ত হাদীছ শরীফদ্বয় থেকে প্রথমত যে বিষয়টি প্রমাণিত হলো তা হচ্ছে- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিল করেছেন। আর আখিরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তা শুধু সমর্থনই করেননি বরং তিনি ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মজলিস করার জন্যে উম্মতদেরকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন। সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মজলিস করা সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সুন্নতে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম।
এ প্রসঙ্গে আল্লামা হযরত শিহাবুদ্দীন ইবনে হাজার হাইছামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশ্ব সমাদৃত ও সুপ্রসিদ্ধ কিতাব “আন নি’য়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম”-এর মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
قال ابو بكر الصديق رضى الله تعالى عنه من أنفق درهما على قراءة مولد النبى صلى الله عليه وسلم كان رفيقى فى الجنة.
অর্থ: “হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, যে ব্যক্তি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ পাঠ অর্থাৎ মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম ব্যয় করবে সে ব্যক্তি জান্নাতে আমার বন্ধু হয়ে থাকবে।” সুবহানাল্লাহ!
وقال عمر رضى الله تعالى عنه من عظم مولد النبى صلى الله عليه وسلم فقد احيا الاسلام.
অর্থ: “হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিলকে অর্থাৎ বিলাদত শরীফ দিবসকে বিশেষ মর্যাদা দিলো সে মূলত ইসলামকেই পুনরুজ্জীবিত করলো।” সুবহানাল্লাহ!
وقال عثمان رضى الله تعالى عنه من أنفق درهما على قراءة مولد النبى صلى الله عليه وسلم فكانما شهد غزوة بدر وحنين.
অর্থ: “হযরত উছমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম খরচ করলো সে যেনো বদর ও হুনাইন যুদ্ধে শরীক থাকলো।” সুবহানাল্লাহ!
وقال على رضى الله تعالى عنه وكرم الله وجهه من عظم مولد النبى صلى الله عليه وسلم وكان سببا لقرائته لايخرج من الدنيا الا بالايمان ويدخل الجنة بغير حساب.
অর্থ: “হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি বিশেষ মর্যাদা প্রদান করলো সে ব্যক্তি অবশ্যই ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, হযরত আতা ইবনে ইয়াছার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, “একদা আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সমীপে গেলাম এবং আরজু করলাম, হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে না’ত শরীফ তাওরাত কিতাবে আছে তা আমাকে আবৃত্তি করে শুনান। তখন তিনি আমাকে তা আবৃত্তি করে শুনালেন।” (বুখারী শরীফ, দারেমী, মিশকাত)
অর্থাৎ তাওরাত শরীফ-এ বর্ণিত মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে পাঠ করে শুনালেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সকলকে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৪
মেলবোর্ন বলেছেন: আমাকে খালি একটা বুঝায়া কন আপনার কথা মত ইয়াহিয়া (আঃ) এবং ইসা (আঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে পেলাম কিন্তু মুহাম্মদ (সঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে নাই কেন? আল্লাহ যদি এতই গুগুত্বপুর্ন মনে করতেন তবে অন্য নবীদের জন্মদিন সম্পকে কোরআনে নির্দেশ করতে পারলে মহানবী সম্পকে কেন নয়?
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৮
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: বুঝেন না ভাই ১ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ। তাইলে কত ইনকাম করে এই ভণ্ডামি করে একটু চিন্তা করেন।
প্রশ্নের উত্তর তো দেয় না খালি আবালের মত একটার পর একতা পোস্ট করেই যাচ্ছে। বিরক্ত ধরে গেছে।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
মেলবোর্ন বলেছেন: আরে ভাই কইয়েন না টাকার নেশায় এরা সব পারে এত ভাল ব্যবসা ক্যমনে বন্ধ করে ঐ দিনেই তো এদের ব্যবসার দিন
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
মেলবোর্ন বলেছেন: এইচ এম বিশ্বাস আপনার পোস্টের লিংক আমার পোস্টের শুরুর দিকেই দেয়া আছে সেই বিশার পোস্ৎা আবার কমেন্টে রাখার দরকার দেখছিনা তবুও আমার করা প্রশনের উত্তর গুলা দেন আর এই আয়াত টা বিকৃত করলেন কেন তার উত্তর দেন নো হান্কি পাংকি উন্টা পান্টা কমেন্ট না কইরা সোজা প্রশনের উত্তর দেন
আসল আয়াতের অর্থ দেখুন ৪৮) সূরা আল ফাতহ আয়াত নং 8-9 "আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি অবস্থা ব্যক্তকারীরূপে, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে, যাতে তোমরা আল্লাহ ও রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর এবং তাঁকে সাহায্য ও সম্মান কর এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা কর।"
অতএব, তোমরা আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনো এবং উনার খিদমত করো, তা’যীম-তাকরীম করো সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে উনার ছানা-ছিফত প্রশংসা করতে থাকো।”
হে ঈমানদার বান্দা-উম্মাহ! বর্ণিত আয়াত শরীফ-এ পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে আমরা যাতে উনার যথাযথ তা’যীম-তাকরীম, সম্মানসহ সদা-সর্বদা উনারই ছানা-ছিফত বর্ণনা করতে থাকি। এখন এই আয়াত শরীফ-এর আদেশ মুতাবিক যদি উম্মাহরা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে-সম্মানে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করতঃ তা’লীমী মাহফিল মজলিসের আয়োজন করে, সেটা কোন দলীলের ভিত্তিতে নাজায়িয প্রমাণ করা যাবে? আল্লাহ পাক তিনি যা হালাল করেছেন সেটাকে হারাম-বিদয়াত বলে কোনো ঈমানদার কি কখনো খোদাদ্রোহী ফিরআউনের ক্বায়িম-মাক্বাম হতে চায়?
ওনাদের আয়াতের অর্থ দেখুন আর আসল অর্থ দেখুন কেমন পরিবর্তন করেছে আল্লাহয় পবিত্রতা কে পাল্টিয়ে মোহাম্মদ (সঃ) এর দিকে নিয়ে গেছে
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
দি সুফি বলেছেন: আকাশে বাতাসে এক কোটি টাকা দেখতেছি
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
মেলবোর্ন বলেছেন: এলা বুজেন কত্ত কামাইসে? চাইলে আমার পোস্ট দিয়া জিত্তা নিতে পারেন ওদের টাকা আমি নিমু না আপনেই পুরাটা নিয়েন।
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
নতুন বলেছেন: এরা কোরানের আয়াতের মিথ্যা ব্যক্ষা করে... আয়াতে নতুন নতুন লাইন যোগ করে...
রাসুলের জন্মদিন সম্পকে তারা দলিল দিক? দিতে পারবেনা... কারন ইতিহাসে তার কোন পাকা দলিল নাই...
তাহলে মৃত্যু দিবশে ঈদ পালন করা কত অসুস্হ একটা ব্যপার তা এই রাজারবাগীদের মাথায় ঢুকেনা...
এরা যদি টাকা পয়সার জণ্য ব্লগে এইগুলি লেখে তাহলে ঠিক আছে...
কিন্তু যদি বিশ্বাস করে লেখে... তা হলে এদের জন্য করুনা হয়...
আর ১কোটি টাকা দিতে আসছে.... লেখক হালাল এবং সরকারী করদিয়ে ১ কোটি টাকা আয় করেছে????????
যদি না করে থাকে তা হলে সে কি প্রতারনা করছেনা?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪২
মেলবোর্ন বলেছেন: এরা যদি টাকা পয়সার জণ্য ব্লগে এইগুলি লেখে তাহলে ঠিক আছে.. তাও ঠিক নাইরে ভাই কারন ধর্মের এমন ভুল আর উল্টা পাল্টার জন্য আজ আমাদের সবার মাঝে আবিশ্বাস আর জংগি পয়দা হইতাসে , এরা ব্যবসা করছে ইসলাম নিয়ে হাজার মানুষের ইমান কে মুল্যবোধকে নিয়ে ব্যবসা করাটা সবচেয়ে বড় অপরাধ
৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪২
সাগর তীরে বলেছেন: يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ [١٠:٥٧]
হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য।
﴿٥٧﴾
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ [١٠:٥٨]
বল, আল্লাহর দয়া ও মেহেরবাণীতে। সুতরাং এরই প্রতি তাদের সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। এটিই উত্তম সে সমুদয় থেকে যা সঞ্চয় করছ।
﴿٥٨﴾
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৫
মেলবোর্ন বলেছেন: এর থেকে কি বুঝাইতে চান সরাসরি বলেন : ইয়াহিয়া (আঃ) এবং ইসা (আঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে পেলাম কিন্তু মুহাম্মদ (সঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে নাই কেন? আল্লাহ যদি এতই গুগুত্বপুর্ন মনে করতেন তবে অন্য নবীদের জন্মদিন সম্পকে কোরআনে নির্দেশ করতে পারলে মহানবী সম্পকে কেন নয়?
আর সূরা আল ফাতহ আয়াত নং 8-9 এর ভুল ব্যখ্যার কারন কি?
৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
সাগর তীরে বলেছেন: ৮ ,৯ দেখুন
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫২
মেলবোর্ন বলেছেন: এইখানে দেখেন Click This Link
আর আগেরটায় “হে মানবজাতি! অবশ্যই তোমাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে এসেছেন মহান নছীহতকারী, তোমাদের অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ দূরকারী, মহান হিদায়েত ও ঈমানদারদের জন্য মহান রহমত (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া, ইহসান ও রহমত (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে) উনার জন্য ঈদ উদযাপন তথা খুশি প্রকাশ করো। তোমরা যতো কিছুই করোনা কেনো তিনিই হচ্ছেন সমগ্র কায়িনাতের জন্য সবচেয়ে বড় ও সর্বোত্তম নিয়ামত।” (সূরা ইউনুস : আয়াত শরীফ ৫৭- ৫৮)
আয়াতে আছে "আল্লাহর দয়া ও মেহেরবাণীতে। সুতরাং এরই প্রতি তাদের সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ।" সন্তুষ্ট থাকারে ঈদ উজ্জাপন করা বানায়া ফেলছে ক্যমনে কি? কপি পেস্টের আগে পইরাও দেখে নাই এরা, এদের বাবা যা দিসে সেইটারেই কপি পেস্ট (
(
(
(
৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫১
দি সুফি বলেছেন: লেখক বলেছেন: এলা বুজেন কত্ত কামাইসে? চাইলে আমার পোস্ট দিয়া জিত্তা নিতে পারেন ওদের টাকা আমি নিমু না আপনেই পুরাটা নিয়েন।
হুর মিয়া অপমান করেন কেন?
ওগো হারাম টাকা নিয়া আমি করমু কি? :-& :-&
ওরা কি এইটা যানে যে ইসলামে বাজি ধরা নিষেধ??
এগো আগা-গোড়া সবদিকে গন্ডগোল
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
মেলবোর্ন বলেছেন: থাক ওগো টেকা বাদ দেন আমি দেশে আইলে আপনেরে হালাল টাকায় চা খওয়ামুনে
যদি বাইচা থাকি
১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০২
নতুন বলেছেন: এদের তো গদামের উপর রাখতেই হবে...
মিথ্যা প্রচার করে আর কথায় কথায় কাফের ঘোষনা করে...
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৮
মেলবোর্ন বলেছেন: এরা না বুঝেই এসব কাজ করছে গদাম এদের বাবারে দেয়া উচিৎ যে এসবের মুল আর সব মাল পানি যার পকেটে যায়
১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০২
সাগর তীরে বলেছেন: View this link
হে মানবজাতি! অবশ্যই তোমাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে এসেছেন মহান নছীহতকারী, তোমাদের অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ দূরকারী, মহান হিদায়েত ও ঈমানদারদের জন্য মহান রহমত (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া, ইহসান ও রহমত (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে) উনার জন্য ঈদ উদযাপন তথা খুশি প্রকাশ করো। তোমরা যতো কিছুই করোনা কেনো তিনিই হচ্ছেন সমগ্র কায়িনাতের জন্য সবচেয়ে বড় ও সর্বোত্তম নিয়ামত।” (সূরা ইউনুস : আয়াত শরীফ ৫৭- ৫৮)
এই দুইয়ের মাঝে অর্থের পার্থক্য কি ?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২০
মেলবোর্ন বলেছেন: এখানে আল্লাহর রহমতের জন্য আনন্দিত হতে বলা হয়েছে এর জন্য ঈদ উজ্জাপন করতে বলা হয় নি আর ঈদ শব্দটাও নেই
আর বলা হয়েছে আল্লাহর কাছ থেকে যে উপদেশ বানী এসেছে এবং যিনি এনেছেনপ্রচার করেছেন এবং আল্লাহর যে দয়া ও রহমত আমাদের প্রতি (দয়া ও রহমতের মধ্যে আমাদের কে শিক্ষা দান করা ,সর্তক করা, জীবন, আলো ,বাতাস , পানি ইত্যাদি রহমত যে দান করেছেন ) তার জন্য সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ।
এবং শেষে বলা হয়েছে যে "উত্তম সে সমুদয় থেকে যা সঞ্চয় করছ" মানে আপনি আলো , বাতাস, পানি, আপনার প্রতি প্রদত্ত রহমত গুলো সঞ্চয় করুন যাতে বিপদে কাজে আছে বা অপচয় না হয়, এখানে কোন খুশির জণ্য ঈদ করতে বলা হয়েছে বলেন দেখি? আর খুশি উজ্জাপন মানে যদি ঈদ হয় তবে তো নেয়ামতের জন্য প্রতিদিন ঈদ পালন করতে হবে তাই না?
এই দুইয়ের মাঝে অর্থের পার্থক্য কি এবার বুঝেছেন নিশ্চই? এখনো না বুঝলে আপনাদের প্রতি করুনা আর দোয়া এই যে আল্লাহ আপনাদের হেদায়াত দিন
১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৯
সাগর তীরে বলেছেন: নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন আল্লাহ পাক উনার তরফ হতে উম্মতের জন্য শ্রেষ্ঠ নেয়ামত,আর এই নেয়ামত প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে খুশি মানানোর হুকুম কোরানের মধ্যে বিদ্যমান -
১.সুরা ইউনুস ১১ পারা ৫৮ নং আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ-
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ “হে হাবিব (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি বলে দিন,মুসলমানগণ যেন আল্লাহ পাক উনার নেয়ামত ও রহমত পাওয়ার কারনে যেন খুশি মানায়,যা তাদের যাবতীয় বস্তু হতে উত্তম”
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এ আয়াত শরিফের তাফসীরে বলেন এখানে আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ (ফাদ্বলুল্লাহ) দ্বারা ইলমে দ্বীন বুঝানো হয়েছে আর (রহমত) দ্বারা সরকারে দু’আলম নূরে মুজাসসম আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝানো হয়েছে।(সূত্রঃ সূরা আম্বিয়া আয়াত নং- ১০৭, তাফসীরে রুহুল মায়ানী, তাফসীরে কবির ও ইমাম সূয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি কৃত তাফসীরই আদ দুর রুল মুনছুর, ৪র্থ খন্ড- ৩৬ পৃষ্ঠায় ও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন)।
২.সুরা দোহায় আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন وَأَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ “আল্লাহর তরফ হতে প্রাপ্ত নেয়ামতের খুব চর্চা কর”
অতএব , এটা প্রমাণ হল যে, হুযুর পাকের শুভাগমন বান্দাদের জন্য শ্রেষ্ঠ নেয়ামত আর সেই উদ্দ্যেশে খুশি মানানো প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ পাক উনার হুকুম পালন করা,আর এর বিরোধিতা বা অমান্য করা মানে প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ পাক উনার হুকুমের অমান্য করা ।
১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩২
সাগর তীরে বলেছেন: খুশি করা আর ঈদ যে সমার্থক শব্দ ইহা বুঝার জ্ঞান আপনার নাই । ঈদ আরবি শব্দ ।
আলো , বাতাশ সঞ্চয় করা যায় নাকি ?
হাসাইলেন ।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪০
মেলবোর্ন বলেছেন: আলো বাতাস পানি এগুলোকে আমি রহমত স্বরুপ বুঝিয়েছি আর আল্লাহর রহমত পেয়েছেন তার জন্য সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ বলা হয়েছে খুশি মানানো আর সন্তুস্ট থাকা এক , ?
বুঝলাম ঈদ আরবি শব্দ তো আপনার কথা মত রহমতের জন্য খুশি মানান আর আপনার মতে ঈদ মানান তবে সেটা একদিন কেন বাকি দিন কি রহমত পান নাই? আর এখানে রাসুল (সঃ) কে রহমত হিসেবে মানছেন তবে তার জন্মদিন তারিখটা কবে সেটা আগে ঠিক করে বলেন সোমবার রবিউল আুয়াল কত তারিখ ১,১০ না ১২? ,
আর ত্যনা না প্যচাইয়া এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর টা দেন না : ইয়াহিয়া (আঃ) এবং ইসা (আঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে পেলাম কিন্তু মুহাম্মদ (সঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে নাই কেন? আল্লাহ যদি এতই গুগুত্বপুর্ন মনে করতেন তবে অন্য নবীদের জন্মদিন সম্পকে কোরআনে নির্দেশ করতে পারলে মহানবী সম্পকে কেন নয়?
১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৭
পিওর গাধা বলেছেন: উসূলে ফিকহ কি হাদিস?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০০
মেলবোর্ন বলেছেন: শাব্দিকভাবে, ‘আসল’ হলো এমন কিছু যার উপর কিছু নির্মাণ করা যায়, সেই নির্মাণ বস্তুগত হতে পারে, উদাহরনসরূপ, একটি ভবন, অথবা সেই নির্মাণ চিন্তাগতও হতে পারে যেমন, শরয়ী ইল্লাহ (কারণ) এর উপরে মা’লুল (ফলাফল) এর নির্মান কিংবা শরয়ী কোনো দলীলের ভিত্তির উপর একটি সিদ্ধান্ত নির্মাণ বা প্রতিষ্ঠা করা। ‘আসল’ শব্দটির বহুবচন হল ‘উসূল’। আর উসূল আল ফিকহ হল সে সকল নীতিমালা (কাওয়াঈদ) যার উপর ফিকহ প্রতিষ্ঠিত। আর ফিকহ-এর শাব্দিক অর্থ হল, কোনো কিছু বোঝা (ফাহম)।
ফিকহ অর্জনের পদ্ধতির সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন নীতিমালার সমষ্টিকে উসূল আল ফিকহ বলে। ইবন আল হাজিব এর সংজ্ঞায় বলেন, (উসূল আল ফিকহ হচ্ছে) সেইসব নীতিমালা যার মাধ্যমে মুজতাহিদ নির্দিষ্ট প্রমাণাদি হতে শর’য়ী আহকাম আহরন করেন।
উসূল আল ফিকহ-এর আলোচ্য বিষয় হল শরীয়তের উৎস তথা আহকামের বিস্তারিত দলিলাদির ভিত্তি। কাজেই উসূল আল ফিকহে কুরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস কেন শরীয়তের দলীল হবে, হাদীসের কোন বক্তব্য হতে কোন ধরনের হুকুম পাওয়া যাবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। উদাহরনসরূপ বলা যায় আল কোরআন হলো ইসলামী শরীয়তের বিধি-বিধানের প্রথম উৎস। বস্তুত কোরআন মজিদের সব ধরনের বক্তব্য এক ধরনের নয়। বরং তার কোনো কোনো বক্তব্য আদেশ হিসেবে আর কোনো কোনো নিষেধ হিসেবে, আবার কোনো বক্তব্য শর্ত সাপেক্ষ, কোনো বক্তব্য শর্তহীনভাবেও এসেছে। এসকল বিচার-বিশ্লেষনসমূহ মূলত উসূলী আলেমগণ করে থাকেন। উসূল আল ফিকহের লক্ষ্য হল, শরীয়তের বিধি-বিধান জানার জন্য তার তফসিলী দলিলের উপর উসূল আল ফিকহের মূলনীতি সমূহ বাস্তôবায়ন করা। এসব মূলনীতির আলোকে শরীয়তের বিধানসমূহ বোঝার চেষ্ঠা করা।
১৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আমি রাজার বাগিনা মুক্ত মুসল্মান
প্রশ্নের জবাব এবং সটীক আকিদা দলিল মোতাবেক
নবীজীর বেলাদত শরিফ ১২ই রবিউল আওয়াল উদযাপন
ঈদে মিলাদুন্নবি সা যথা যুগ্য মর্যাদায় উদযাপন ও আনন্দ প্রকাশ
ইমানদার মুমিন গনের জন্য অসংখ্য রহমত ও সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ এবাদত ।
তার জুতা মোবারকের ছোঁয়ায় আল্লাহর আরশ মহল্লা সম্মানিত
তিনি যে আমাদের জন্য দুনিয়ায় রহমত স্বরূপ প্রেরন হইয়াছেন
তার জন্য আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করা সর্ব শ্রেষ্ঠ নেয়ামত । বিখ্যাত
সাহাবা কেরাম গন তাবেয়িন তাবে তাবেয়িন গন এবং অলি আউলিয়া পির মাশায়েখ কামেল আলেম গন দিনটি মর্যাদার সহিত উদযাপন করতেন ।
আমরা রহমত হইতে বঞ্ছিত হইব কেন ?
রিবেশ বন্ধু বলেছেন: ফরজের চাইতেও বেশি বললে ভুল হবেনা
আল্লাহ যার নামের সাথে নাম মিশিয়ে দিয়েছেন এবং যার খাতিরে সৃষ্টি
সমুদয় পয়দা করেছেন , হেদায়েতের ভার দিয়েছেন , শাফায়াতের কাণ্ডারি বানিয়েছেন এবং সদা সর্বদা দরুদ ছালাম ভেজে থাকেন
অসংখ্য ফেরেস্তা গনকে নিয়ে সেই দয়াল নবীজীর প্রতি বেলাদত ও
তাজিম ঈমানের শক্ত আকিদা
ঈদে আজম ঈদে মিলাদুন্নবি সব ঈদের সেরা
তার রহমত আদায় কর পড় দরুদ জানাও ছালাম মদিনা মনোয়ারা ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
লেখক বলেছেন: রিবেশ বন্ধু বলেছেন: ঈদ অর্থ খুশি আর মিলাদ অর্থ জীবন বৃত্তান্ত আলোচনা
সাহাবা গন এবং পরবর্তী অনুসারি গন আদর্শের দিক দিয়ে তার মহান
শানে আলোচনা রাখতেন । এবং যথা যোগ্য মর্যাদায় দিনটি উদযাপন
করতেন ।কোরআন অয়ামা আরছালনাকা ইল্লা রাহমাতুল্লিল আলামিন
আল্লাহ বলেন আমি আপনাকে সমগ্র জগতের রহমত স্বরূপ প্রেরন
করেছি ।
আয়াত ইন্নাল্লাহা অয়ামালাইকাতাহু ইউছাল্লুনা আলান্নাবিয়ু ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানু ছাল্লু আলায়হে অছাল্লিমু তাছলিম
আল্লাহ বলেন আমি এবং আমার অসংখ্য ফেরেস্তা গনকে নিয়ে
দরুদ ও ছালাম ভেজি আমার হাবিবের উপর হে ইমানদার গন তোমরাও ব্রশি বেশি পড় ।
আয়াত কুল ইন কুন্তুম তুহিব্বুন আল্লাজি ফাত্তাবিউনি ইবুব কুমুল্লা ইয়াগফিরলাকুম যুনুবাকুম অয়াল্লাহু গাফুরুর রাহিম
আল্লাহ বলেন যদি তোমরা আমাকে লাভ করতে চাও আগে আমার হাবিবের অনুসরন কর আমি তোমাদের ক্ষমা করে দেব ।
হাদিস যারা একবার নবীজীর উপর দরূদ ও ছালাম ভেজে তার শরীর থেকে ১০ গোনাহ ঝরে যায় তার আমল নামায় ১০ নেকি যোগ করে দেওয়া হয় এবং তাকে ১০টি সম্মান বৃদ্ধি করে দেওয়া হয় । মুসলিম ও বোখারিশরিফ
যে এবাদতে দরুদ নাই সে এবাদত আল্লাহর নিকট পউছেনা বরং
৪র্থ আকাশে ঝুলে থাকে আর যে এবাদতে দরূদ আছে সে এবাদত
বিজলির ন্যায় আল্লাহর নিকট পৌঁছে ।
হজরত উমর ফারুক রা
সারা জীবনে একজন মুসমানের জন্য অন্তত একবার দরুদ ও
ছালাম প্রেরন করা ফরজ সমতুল্য
হযরত আলী রা
যে মিলাদ অনুষ্ঠানে ১ দেরহাম বা চার আনা পরিমান খরচ করল
সে আমি আবুবকর রা এর সাথে বেহেস্তে যাবে
হযরত আবুবকর রা
যে ব্যক্তি মিলাদ অনুষ্ঠান করল অতপর নবীজীর উপর তাজিম করল সে যেন আমি উসমান গনি যিন্নুরাইনের সাথে বদরের যুদ্ধে
অংশ গ্রহন করল ।
হযরত উছমান রা
যারা মিলাদ অনুষ্ঠানে দয়াল নবীজীর উপর অধিক দরুদ ছালাম
ভেজে অতপর আল্লাহর দরবারে দুটি রহমতের হাত বাড়িয়ে দেয়
শুকনো বৃক্ষের পাতা যেভাবে ঝরে যায় তেমনি বান্ধার গোনাহ গুলি ঝরে যায় ।
শায়েক ছইয়দ সুলতান আব্দুল কাদির জিলানী রা
যারা নবীজীর ইসলাম কে তার মহান জীবনাদর্শ দ্বারা জিন্দা রাখল
এবং তার শান মান মর্যাদা তুলে ধরল নিঃসন্দেহে তারা জান্নাতি
হযরত শাহ জালাল ইয়েমেনি রা
আসুন আমরা সেই মহান হস্তি মাহবুবে খোদা নুরে খোদা নুরে
মুজাচ্ছাম ছাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছাল্লাম এর প্রতি গভীর তাজিম
এবং শানে বেলায়তে দরুদ ও ছালাম জ্ঞাপন করি ।
আচ্ছালামু আলাইয়েকা ইয়া রাছুলুল্লাহ দুজাহান কা ছুলতান
রহমতে আলম শাফায়াতুল্লাহ তাজদারে মদিনা ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
মেলবোর্ন বলেছেন: পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: "তার জুতা মোবারকের ছোঁয়ায় আল্লাহর আরশ মহল্লা সম্মানিত" কিসের সাথে কার আরশের মহল্লার তুলনা করছেন আর এই কথাটার দলিল কি?
আয়াত ইন্নাল্লাহা অয়ামালাইকাতাহু ইউছাল্লুনা আলান্নাবিয়ু ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানু ছাল্লু আলায়হে অছাল্লিমু তাছলিম
আল্লাহ বলেন আমি এবং আমার অসংখ্য ফেরেস্তা গনকে নিয়ে
দরুদ ও ছালাম ভেজি আমার হাবিবের উপর হে ইমানদার গন তোমরাও ব্রশি বেশি পড় ---- এইটা কোন সুরার কত নাম্বার আয়াত?
আবার বলেছেন: ফরজের চাইতেও বেশি বললে ভুল হবেনা
আর নীচের এই কথার ও কিন সুত্র দেন নাই:
যে এবাদতে দরুদ নাই সে এবাদত আল্লাহর নিকট পউছেনা বরং
৪র্থ আকাশে ঝুলে থাকে আর যে এবাদতে দরূদ আছে সে এবাদত
বিজলির ন্যায় আল্লাহর নিকট পৌঁছে ।
হজরত উমর ফারুক রা:সারা জীবনে একজন মুসমানের জন্য অন্তত একবার দরুদ ওছালাম প্রেরন করা ফরজ সমতুল্য
হযরত আলী রা:যে মিলাদ অনুষ্ঠানে ১ দেরহাম বা চার আনা পরিমান খরচ করল সে আমি আবুবকর রা এর সাথে বেহেস্তে যাবে
হযরত আবুবকর রা:যে ব্যক্তি মিলাদ অনুষ্ঠান করল অতপর নবীজীর উপর তাজিম করল সে যেন আমি উসমান গনি যিন্নুরাইনের সাথে বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহন করল ।
হযরত উছমান রা:যারা মিলাদ অনুষ্ঠানে দয়াল নবীজীর উপর অধিক দরুদ ছালামভেজে অতপর আল্লাহর দরবারে দুটি রহমতের হাত বাড়িয়ে দেয়শুকনো বৃক্ষের পাতা যেভাবে ঝরে যায় তেমনি বান্ধার গোনাহ গুলি ঝরে যায়
উপরের কথা গুলো সত্য ধরলে তো এই আয়াত কে মিথ্যা বলতে হবে তাই নয় কি পরিবেশ বন্ধু?
“বল, আমি তো নতুন রসুল নহি। আমি জানি না, আমার ও তোমাদিগের ব্যাপার কি করা হবে। আমি আমার প্রতি যা প্রত্যাদেশ হয় কেবল তারই অনুসরণ করি। আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র” (৪৬-৯)
১৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৯
সাগর তীরে বলেছেন: ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর দিন। এটাই সবচেয়ে ছহীহ ও মশহূর মত।
যেমন, এ প্রসঙ্গে হাফিয আবূ বকর ইবনে আবী শায়বাহ ছহীহ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন-
عن عفان عن سعيد بن مينا عن جابر وابن عباس رضى الله تعالى عنهما قالا ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الفيل يوم الاثنين الثانى عشر من شهر ربيع الاول.
অর্থ: “হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত। তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফ ‘হস্তি বাহিনী বর্ষের ১২ই রবীউল আউয়াল সোমবার শরীফ হয়েছিল।” (বুলুগুল আমানী শরহিল ফাতহির রব্বানী, আল বিদায়া ওয়ান্ নিহায়া)
উক্ত হাদীছ শরীফ বর্ণনার সনদের মধ্যে প্রথম বর্ণনাকারী হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে মুহাদ্দিছগণ বলেছেন,
“তিনি একজন উচ্চ পর্যায়ের নির্ভরযোগ্য ইমাম, প্রবল স্মরণশক্তি ও দৃঢ়প্রত্যয় সম্পন্ন ব্যক্তি।” (খুলাছাতুত্ তাহযীব)
“দ্বিতীয় বর্ণনাকারী সাঈদ ইবনে মীনা। তিনিও অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।” (খুলাছাহ্,তাক্বরীব)
আর তৃতীয় হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। এ দু’জন উচ্চ পর্যায়ের ফক্বীহ ছাহাবীর বিশুদ্ধ সনদ সহকারে বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হলো যে, “১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার পবিত্র বিলাদত দিবস।” এ ছহীহ ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনার উপরই ইমামগণের ইজ্মা (ঐক্যমত) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (সীরাত-ই-হালবিয়াহ, যুরক্বানী আলাল মাওয়াহিব, মাসাবাতা বিস্ সুন্নাহ )
উপরোক্ত বিশুদ্ধ বর্ণনা মুতাবিক ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফই হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার পবিত্র বিলাদত দিবস। এটাই ছহীহ ও মশহূর মত। এর বিপরীতে যেসব মত ঐতিহাসিকগণ থেকে বর্ণিত রয়েছে তা অনুমান ভিত্তিক ও দুর্বল। অতএব, তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৭
মেলবোর্ন বলেছেন: ঠিক আছে না হয় র্তকের খাতিরে ধরে নিলাম ১২ রবিউল আউয়াল,
এই দিনে তো ওনার ওফাতমৃত্যু দিবস ও তাই খুশি মানাবো না দুঃখ প্রকাশ করবো?
আর খুশি প্রকাশ করলে কি ভাবে বাসায় বসে ওনার জীবনী আলোচনা করবো ওনার সম্পকে বই বা ওনার জীবনী পড়বো না কোরআন তেলাওয়াত করবো না মিলাদ পড়বো?
নাকি রাজার বাগে আসতে হবে পতাকা নিয়ে?
নাকি মসজিদে মসজিদে মুহাম্মদ (সঃ) জীবনী নিয়ে আলোচনা করবো, বাচ্চাদের ওনার সম্পকে জানাবো?
আর খুশি উজ্জাপন মানে যদি ঈদ হয় তবে তো নেয়ামতের জন্য প্রতিদিন ঈদ পালন করতে হবে তাই না? এবং খুশি মানানো আর সন্তুস্ট থাকা এক , ?এইটার উত্তর দেন নাই কিন্তু
আমি কিন্তু ভাই জানার জন্য সোজা প্রশ্ন করছি তাই উত্তর ও সোজা আশা করছি।
১৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৭
সাগর তীরে বলেছেন: রহমত
কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের বিলাদত শরীফ, বিছাল শরীফ, পুনরুত্থান প্রত্যেকটিই রহমত, বরকত ও সাকীনার কারণ এবং ঈদ বা খুশি প্রকাশের কারণ।
যেমন, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার ব্যাপারে কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-وسلم عليه يوم ولد ويوم يموت ويوم يبعث حيا.
অর্থ: ‘উনার প্রতি সালাম (শান্তি) যে দিন তিনি বিলাদত শরীফ লাভ করেছেন এবং যেদিন তিনি বিছাল শরীফ লাভ করবেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন।’ (সূরা মারইয়াম, আয়াত শরীফ ১৫)
অনুরূপ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম সম্পর্কে উনার নিজের বক্তব্য কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-
والسلم على يوم ولدت ومو اموت ويوم ابعث حيا.
অর্থ: ‘আমার প্রতি সালাম যেদিন আমি বিলাদত শরীফ লাভ করি, যে দিন আমি বিছাল শরীফ লাভ করি এবং যেদিন পুনরুত্থিত হবো।’ (সূরা মারইয়াম, আয়াত শরীফ-৩৩)
আর হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে- আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
حياتى خير لكم ومماتى خير لكم.
অর্থ: ‘আমার হায়াত-মউত সব অবস্থাই তোমাদের জন্য কল্যাণ বা খায়ের-বরকতের কারণ।’ (কানযুল উম্মাল)
এছাড়া হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে- আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
ان من افضل ايامكم يوم الجمعة فيه خلق ادم وفيه قبض.
অর্থ: ‘তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে জুমুআর দিন। এ দিনে হযরত আদম আলাইহিস সালাম পয়দা হয়েছেন এবং এ দিনেই তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেছেন।’ (নাসায়ী শরীফ)
অতঃপর আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
ان هذا يوم جعله الله عيدا.
অর্থ: ‘এ জুমুআর দিন হচ্ছে এমন একটি দিন যে দিনকে আল্লাহ পাক ঈদের দিন সাব্যস্ত করেছেন।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমদ)
প্রতিভাত হলো যে, জুমুআর দিনটি আল্লাহ পাক- উনার নবী ও রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম- উনার বিছাল শরীফ-এর দিন হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সে দিনটিকে খুশির দিন হিসেবে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। তাহলে কি আল্লাহ পাক অন্যায় করেছেন? নাঊযুবিল্লাহ!
আর আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই জুমুআর দিনকে খুশির দিন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। তাহলে তিনিও কি এ ঘোষণা দিয়ে অন্যায় করেছেন? নাঊযুবিল্লাহ!
অতএব, উলামায়ে সূ’দের বক্তব্য মুতাবিক যদি নবীগণের বিছাল শরীফ-এর দিন খুশি প্রকাশ করা অন্যায়মূলক কাজ হয় তাহলে তাদের ভাষায় বলতে হয় যে, ‘আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার বিছাল শরীফ-এর দিনকে খুশির দিন হিসেবে নির্দিষ্ট করে এবং আখিরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই দিনকে খুশির দিন ঘোষণা দিয়ে অন্যায় করেছেন।’ নাঊযুবিল্লাহ!
এ আক্বীদা যদি কোন ব্যক্তি বা মুসলমান পোষণ করে তবে সে কাট্টা কাফির হয়ে চিরজাহান্নামী হবে।
উল্লেখ্য, নবীজীর ইন্তিকাল দিবসকে দুঃখের দিন বলে যারা উক্ত দিনে খুশি প্রকাশ না করে শোক পালন করতে চায়, সেটা সম্পূর্ণরূপে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কাজ।
কারণ হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
امرنا ان لا نحد على ميت فوق ثلاث الا لزوج.
অর্থ: ‘আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমরা যেন কারো ইনতিকালে তিন দিনের পর আর শোক প্রকাশ না করি। তবে স্বামীর জন্য স্ত্রী চার মাস দশ দিন শোক পালন করতে পারবে।’ (মুয়াত্তা- ইমাম মালিক, বুখারী, মুসলিম শরীফ, আবূ দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, দারিমী)
অতএব, শরীয়তের দলীল-আদিল্লাহ দ্বারা নবীজীর বিছাল শরীফ-এর দিন ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফকে কারো পক্ষেই শোকের দিন হিসেবে সাব্যস্ত করা সম্ভব নয়। কাজেই, যেদিনটি শোকের দিন নয়, সেদিন কি করে শোক পালন করবে? তাই আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফকে নিয়ামত মনে করে উক্ত দিনে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করাই হচ্ছে প্রত্যেক উম্মতের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আপনি মনগড়া কথা বলতেছেন । দলিলের বিপরিতে দলিল দিতে হয় । আপনি কোন দলিল ই দিলেন না । আপনার মত দলিল বিহিন হাযারো কথা আমিও বলতে পারি কিন্তু একজন মুসল মানের কোরান শরিফ , হাদিস শরিফ , ইয্বমা , ক্বিয়াস হল দলিল । সে অনুযায়ি কথা বলতে হবে । এখানে নিজের মত প্রকাশের কোন সুযোগ ই নাই ।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৫
মেলবোর্ন বলেছেন: সাগর তীরে ধন্যবাদ আমি মন গড়া বললাম কোথায় আমি তো শুধু জানতে চাইলাম এই দিনে আমাদের কি করা কর্তব্য ?
আমার এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানাবেন কি?:
খুশি প্রকাশ করলে কি ভাবে করবো? বাসায় বসে ওনার জীবনী আলোচনা করবো ওনার সম্পকে বই বা ওনার জীবনী পড়বো না কোরআন তেলাওয়াত করবো না মিলাদ পড়বো?
নাকি রাজারবাগে আসতে হবে পতাকা নিয়ে? আপনাদের মাহফিলে যোড দিতে হবে?
নাকি মসজিদে মসজিদে মুহাম্মদ (সঃ) জীবনী নিয়ে আলোচনা করবো, বাচ্চাদের ওনার সম্পকে জানাবো?
আর খুশি উজ্জাপন মানে যদি ঈদ হয় তবে তো নেয়ামতের জন্য প্রতিদিন ঈদ পালন করতে হবে তাই না? এবং খুশি মানানো আর সন্তুস্ট থাকা এক ?
ইয়াহিয়া (আঃ) এবং ইসা (আঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে পেলাম কিন্তু মুহাম্মদ (সঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে নাই কেন? আল্লাহ যদি এতই গুগুত্বপুর্ন মনে করতেন তবে অন্য নবীদের জন্মদিন সম্পকে কোরআনে নির্দেশ করতে পারলে মহানবী সম্পকে কেন নয়?
কেন একটি আয়াত সরাসরী ঈদের মিলাদুন্নবির জন্য নাযিল হয় নি যেখানে অন্য নবীদের জন্য সরাসরী আয়াত রয়েছে?
আমি আমার পোস্টে মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে আয়াত গুলো দিয়েছি আর আপনারা যে আয়াতের বিকৃতি করেছেন তার প্রমান ও দিয়েছি তবুও আর একবার উপরোক্ত প্রাশ্ন সমুহের উত্তর সোজা ভাবে দিলেন না ।
কি আর করা ভাই আল্লাহ আপনাদের মংগল করুন নয়তো আমাকে বোঝার তৈফিক দিন যদি আমি ভুল বুঝে থাকি? আমিন
১৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০১
Rain_in_Sydney বলেছেন: Assalamu-ali-kum..Please take this into consideration if it does make more senses;
Book 006, Number 2606 (Sahih Muslim)
Abu Qatada Ansari (Allah be pleased with him) reported that Allah's Massenger (may peace be upon him) was asked about fasting on Monday, whereupon he said: It is (the day) when I was born and revelation was sent down to me.
This Hadith is also reported in by Imam al-Bahayqi in his “Sunnan ul Kubra” (Vol. 4, pg. 300 Hadith no 8182, 8259), in the “Sunan” of Imam Nisai and the “Musnad” of Imam Ahmad bin Hanbal.
It is clear from this Hadith that the Holy Prophet (Peace be upon him) was very happy about the day of his birth and so fasted out of gratitude. Fasting is a form of worship, so one can celebrate this day by any form of ibada. One can fast or hold gatherings or provide food to the poor, all being acts of worship.
Volume 7, Book 62, Number 38: (Sahih Bukhari)
Narrated 'Ursa; Thuwaiba was the freed slave girl of Abu Lahb whom he had manumitted, and then she suckled the Prophet. When Abu Lahb died, one of his relatives saw him in a dream in a very bad state and asked him, "What have you encountered?" Abu Lahb said, "I have not found any rest since I left you,except that I have been given water to drink in this (the space between his thumb and other fingers) and that is because of my manumitting Thuwaiba."
Abu Lahab freed Thuwaiba on joy at birth of Prophet (salallaho alaihi wasalam), even the worst of Kufaar and greatest of enemies is given relaxation in his Adhaab due to freeing Thawaiba by pointing with his finger, so Imagine the situation of a momin who rejoices on Mawlid, detailed explanation of this hadith shall be given in the last section of Verdicts from classical scholars.
Volume 2, Page No. 147, Hadith No. 1130 (Sahih Muslim, Dar ul Kutab al ILmiyyah)
Ibn Abbas “Allah be pleased with him” reported: The Prophet “Allah’s blessing and peace be upon him” came to Madina and saw the Jews fasting on the tenth day of Muharram. They were asked about that. They replied: “This is the day, on which Allah made Moses and the children of Israel emerge victorious over Pharoah. So, we fast on it “OUT OF GLORIFICATION TO IT”. The Prophet “Allah’s blessing and peace be upin him” said: “We have more claim over Moses than you.” So, he ordered Muslims to fast on it
If Jews glorify their days to venerate Musa (a.s) then we Muslims have more right to venerate and rejoice on day when Prophet (saw) was born, this is an accepted analogy as Ulama have derived this specific ruling from the hadith, which shall be mentioned in the last section with detail.
Imam Jalal ud din Suyuti (Rahimuhullah) answers why celebrating on birth supersedes the sorrow of Prophet (saw) passing away on same date.
The birth of Prophet (salallaho alaihi wasalam) is a great blessing for us and his death is very saddening for us too, however Shariah has ordered us to rejoice and thank Allah on blessings, whereas on calamity it has taught us to have patience while hiding it, this is why Shariah has told us to do Aqiqa on birth which is a form of being happy and thankful to Allah for giving us birth, but on death there is no concept of sacrificing an animal and even lamenting is forbidden. Hence in light of rulings prescribed by shariah one should rejoice in Rabi ul Awwal on birth of our beloved Prophet (salallaho alaihi wasalam) [Husn al-Maqsad fi Amal al-Mawlid Page No. 54-55] Click Here for Scanned Page (61)
[As-Suyuti – Rahimuhullah in Al Hawi lil Fatawi, Volume 1, Page No. 298, Published by Maktaba al Asriya, Beirut, Lebanon]
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
মেলবোর্ন বলেছেন: Dear brother Rain in Sydney : Thank you for your comment i have notice the hadith thats why i have added in to my post before you commented here। আমার পোসস্টে দেখুন
" আবু কাতাদা আনসারি বলেন যে মোহাম্মদ (সঃ) বলেছেন " ওনাকে একবার সোমবারে রোজা রাখা সম্পকে জিগ্গেস করলে ওনি বলেন এটি সেই দিন যেদিন আমি জন্মেছিলাম এবং যেদিন আমার প্রতি ওহি নাযিল হয়েছিল" - সহিহ বোখারি- কিতাব আস সাউমে পাবেন"- Book 006, Number 2606 (Sahih Muslim)
I would like you to consider this things as well : শায়খ আলী মাহফুজ -রাহিমাহুল্লাহ- বলেন : “সর্বপ্রথম এ দিনটি উদযাপন করা হয় মিসরের কায়রোয় : ফাতেমি খলিফারা চতুর্থ শতাব্দীতে এর প্রচলন আরম্ভ করে। তারা ছয়টি মীলাদ বা জন্ম উৎসব প্রবর্তন করে : মীলাদুন্নবী, মীলাদে আলী -রাদিআল্লাহু আনহু-, মীলাদে ফাতেমাতুজ জোহরা- রাদিআল্লাহু আনহা-, মীলাদে হাসান ও হুসাইন- রাদিআল্লাহু আনহুমা- এবং বর্তমান খলিফার মীলাদ। সেই থেকেই তাদের দেশে এ মীলাদগুলো (জন্মানুষ্ঠান) যথারীতি পালন করা হচ্ছিল। অবশেষে এক সময়কার সেনাবাহিনী প্রধান আফজাল এসব মীলাদ রহিত করে দেন। খলিফা আমের বিআহকামিল্লাহ নিজ শাসনকালে পুনরায় এসব মীলাদ চালু করেন, অথচ মানুষ এসব মীলাদ ভুলতে আরম্ভ করেছিল। সপ্তম শতাব্দীতে “ইরবিল” শহরে সর্বপ্রথম এ মীলাদ আরম্ভ করেন বাদশাহ আবু সাঈদ, সেই থেকে আজ পর্যন্ত চলে আসছে তা, বরং তাতে আরও বৃদ্ধি ও সংযোজন ঘটেছে। তাদের রিপু ও প্রবৃত্তির চাহিদা মোতাবেক সব কিছু তারা এতে যোগ করেছে। তাদেরকে এর প্রত্যাদেশ করেছে মানব ও জিন শয়তানেরা”। “আল-ইবদা ফি মাদাররিল ইবতেদা” (পৃষ্ঠা নং: ২৫১)
And this: শায়খুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ -রাহিমাহুল্লাহ- বলেছেন : “অনুরূপ কতক লোকের (মীলাদুন্নবী) আবিষ্কার, তারা হয়তো নাসারাদের অনুকরণে, অধিকন্তু তার জন্মের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে দ্বিমত তো রয়েছেই। যেমন তারা ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মানুষ্ঠান পালন করে, অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহব্বত ও সম্মানের খাতিরে, আল্লাহ তাদের এ মহব্বত ও সম্মানের প্রতি সাওয়াব দিতেও পারেন, তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিনকে ঈদ হিসেবে পালন করার জন্য নয়,কারণ আমাদের পূর্বসূরি ও আদর্শ মনীষী কেউ এটা পালন করেননি, অথচ তখনো এর দাবি বিদ্যমান ছিল, কোন বাঁধা ছিল না, যদি এটা কল্যাণকর হতো অথবা ভাল হতো, তাহলে আমাদের পূর্বসূরিগণই এর বেশী হকদার ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহব্বত আমাদের চেয়ে তাদের মধ্যে বেশী ছিল। তারা তাকে আমাদের চেয়ে অধিক সম্মান করতেন। আমাদের চেয়ে তারা কল্যাণের ব্যাপারে অগ্রগামী ছিলেন। বস্তুত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিপূর্ণ মহব্বত ও সম্মানের পরিচয় হচ্ছে, তার আনুগত্য ও অনুসরণ করা, তার নির্দেশ পালন করা এবং প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে তার সুন্নত জীবিত করা, তার আনিত দ্বীন প্রচার করা এবং এ জন্য অন্তর-হাত ও মুখ দ্বারা জিহাদ করা, কারণ এটাই আমাদের পূর্বসূরি মুহাজির, আনসার ও তাদের যথাযথ অনুসারীদের নীতি ও আদর্শ ছিল”। ইকতেদাউস সিরাত : (পৃষ্ঠা: ২৯৪-২৯৫)
আমার কথা আমার এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর ঐ ভাইয়েরা এখনো জানান নি ?
খুশি প্রকাশ করলে কি ভাবে করবো? বাসায় বসে ওনার জীবনী আলোচনা করবো ওনার সম্পকে বই বা ওনার জীবনী পড়বো না কোরআন তেলাওয়াত করবো না মিলাদ পড়বো?
নাকি রাজারবাগে আসতে হবে পতাকা নিয়ে? আপনাদের মাহফিলে যোগ দিতে হবে?
নাকি মসজিদে মসজিদে মুহাম্মদ (সঃ) জীবনী নিয়ে আলোচনা করবো, বাচ্চাদের ওনার সম্পকে জানাবো?
আর খুশি উজ্জাপন মানে যদি ঈদ হয় তবে তো নেয়ামতের জন্য প্রতিদিন ঈদ পালন করতে হবে তাই না?
ইয়াহিয়া (আঃ) এবং ইসা (আঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে পেলাম কিন্তু মুহাম্মদ (সঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে নাই কেন? আল্লাহ যদি এতই গুগুত্বপুর্ন মনে করতেন তবে অন্য নবীদের জন্মদিন সম্পকে কোরআনে নির্দেশ করতে পারলে মহানবী সম্পকে কেন নয়?
কেন একটি আয়াত সরাসরী ঈদের মিলাদুন্নবির জন্য নাযিল হয় নি যেখানে অন্য নবীদের জন্য সরাসরী আয়াত রয়েছে?
আমি আমার পোস্টে মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে আয়াত গুলো দিয়েছি আর ওনারা যে আয়াতের বিকৃতি করেছেন তার প্রমান ও দিয়েছি
১৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
মেলবোর্ন বলেছেন: @Rain_in_Sydney একটু ক্লারিফাই করে বলি ঈদে মিলাদুননবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহব্বত ও সম্মানের খাতিরে পালন করতে সমস্যা দেখিনা , আল্লাহ আমাদের এ মহব্বত ও সম্মানের প্রতি সাওয়াব দিতেও পারেন তবে এটি নিশ্চই নামাজের মত ফরযে আইন নয় সে বিষয়ে আপনিও একমত হবেন।
আর যখন আমরা পালন করবো তো কি ভাবে পালন করলে সবচেয়ে ভাল হয়, হাদীস অনুযায়ী বলাযায় এই দিনে রোজা রাখা যায় আর আবু লাহাব যেমন করে দাসী কে ছেরে দিয়েছিলেন খুশিতে তেমনি এইদিনে আমরা গরীব দের কে সাহাজ্য করতে পারি সমাজ ও রাস্ট্রের উন্নয়নে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসুচী নিতে পারি বা মসজিদে মুহাম্মদ (সঃ) জীবনী নিয়ে আলোচনা করতে পারি , বাচ্চাদের ওনার সম্পকে জানাতে পারি তাই না। কোন এক নিদ্দিস্ট পীরের কাছে যেতে হবে কেন?
২০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
মেলবোর্ন বলেছেন: Surah Yunus Ayah 57 People, a heart penetrating counsel has come to you from your Master.
Mau’idha is a hyperbolised (the seeghatul mubalaagha) for the mastar, ‘idhatun.
Wa’dhun wa idhatun. Wa’dha ‘idhatun wa’dhan wa ‘idhatan and the mastar ta marbuta for mubalagha, for emphasis, for hyperbole, is mau’idha.
Meaning: a very powerful, deep, heart-penetrating counsel.
Wa’adha actually means advice given at the right moment that affects somebody’s feelings, that goes inside the heart. Advice only benefits if you accept it All the time we listen to advice but it goes in one way and goes out the other. Advice can come from friends, from peers, co-workers, khubtah etc. but there is a time when your heart is open to advice and you hear the words, it doesn’t matter where it comes from, they go deep inside and they stay with you. That kind of advice is called a mau’idha. So Allaah says emotionally charged advice, penetrating advice has come to you from your Master. This is the Qur’aans description of itself in the ayah. You are supposed to have an emotional
attachment to the Qur’aan and look for counsel in it. People seek mau’idha when they have a problem, when there is an issue in life. So we are learning when we have an issue in life
we are supposed to turn to the Qur’aan for counsel.
Now the diseases of the heart, and the counsel has just entered into the heart. Imagine this scene: there is a vessel that has a problem, there is a limb in the body that has a problem and the medicine has just been penetrated inside that limb. Wa hifaa’un. What does it start doing next? It starts healing, curing, it starts taking effect. Wa shifaa’un maa fis-sudoor. But in order for the advice to get in, the heart has to be accepting of it.
We’ve learnt in this surah that there is a group of people, no matter what you say to them, la yu’minoon, they are not going to accept. This advice will never work because they are not allowing it to enter. You must first let it in, and then start taking its cure
shifaa’un maafis –sudoor. Sometimes people wonder ‘I’ve done so many sins how will my heart ever going to be clean?’. Sometimes these ayaat are the answer. You allow Allaah’s counsel in, the diseases that are there, the filth that is there, will start to get cleaned out.
It is interesting that Allaah does not say wa shifaa un maafil quloob. The qalb is less or the sadr is less? Qalb is smaller, the sadr is the real state in which the main centrepiece is the
qalb. When Allaah says it is a cure for the chests, it doesn’t restrict the cure to the heart, it expands the cure to what surrounds the heart. What surrounds the heart is the waswasa of
shaytaan. Aladhi waswisu fi sudoorinnaas (surah naas) it goes round the heart and makes waswasa. Now it is a battle against waswasa too.
Wa hudann wa rahmatun and it’s a guidance and a mercy. Lil mu’mineen for those who believe. Guidance and mercy: first of all you accepted the advice, now it’s started curing you. Then you are ready to take its instruction. For example, when you go to the doctors, he will give you an injection eg pain relief, then you feel something, then he gives you instruction of what medicine to take, this is hudan. Then you feel better, and when you feel better you then feel what a mercy it is.
Surah Yunus Ayah 58 : Qul bi fadlullahi wa rahmatihi : Tell them it is exclusively by the favour of Allaah and by His special Mercy.. that you are getting to enjoy the Qur’aan.
Remember the previous ayah, “Had I wanted I would never have exposed you to the Qur’aan” that you have got it and what a beautiful thing it is you should be over-joyed at its coming. What is fascinating about these ayat is that they are talking to mushrikoon. Allaah is talking about the beauty of the Qur’aan, the counsel of the Qur’aan, the guidance of the qur’aan to a mushrik society whom in the vast majority of the first half of the surah has been scolding. Then he speaks to all of the community yaa ayyuhannaas he didn’t limit it to
ya ayyuhaladhina aamanu- its to all people: advice has come to you from your Master.
Perception of Qur’aan is determined by itself Why is this important? Because the perception of the Qur’aan should be determined by the Qur’aan itself. Let the Qur’aan speak for itself. Let it introduce itself to people. The Qur’aan is demonised in the modern media. Non-Muslims think of the Qur’aan as something covert, hidden, a secret agenda. And this is the exact opposite of what Allaah wants it to be. It should be so widespread that non-Muslims should hear it so often and this is our responsibility.
Now that you know what this message is you should be overjoyed “fa bi dhaalika” and only on account of that, there is ikhtisaas here, and only in this situation should you be over-joyed and fal-yafrahu: faraha is inappropriate, so if you’re going to do it, here is one and only reason you can.
Our love for Collecting “khairumimma yajma’oon” it is better than what they are gathering. There is subtlety in the word ‘gathering’. We all collect things throughout our lives; when we
are young they are something like colouring pens, as we get older, clothes, etc and they gather them and treasure them. It is better than all the things we gather. So every time we learn and memorise a new ayah and every time we understand another ayah we should be over-joyed.
Ustadh Nouman gives the example of when meeting Muslims in the same vicinity was very rare and when this happened we’d be so happy and as the Muslim community grew, the appreciation of meeting another Muslim was lost or lessened. The same can be said with knowledge; when we become so obsessed with the acquisition of knowledge we lose the appreciation of the little things i.e. the ayah itself. Whenever we learn a new surah or an ayah this should be a cause for celebration.
Ustadh Nouman feels the same with parables. Parables in the Qur’aan are like riddles, Allaah wants us to solve them. The ‘ulama have written so much about them, but when you get
exposed to an insight of somebody who had on that parable and you see something beautiful you just want to thank Allaah for the gift that He’s given you.
২১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৭
মেলবোর্ন বলেছেন: ওনারা বলেন ঈদ অর্থ খুশি আর মিলাদ অর্থ জীবন বৃত্তান্ত আলোচনা
সাহাবা গন এবং পরবর্তী অনুসারি গন আদর্শের দিক দিয়ে তার মহান
শানে আলোচনা রাখতেন । এবং যথা যোগ্য মর্যাদায় দিনটি উদযাপন
করতেন
ওরা আরো বলে রবীউল আউয়াল মাস হিসেবে বিশেষভাবে সীরাতুন নবী মাহফিল করা যেতে পারে না দেখুন http://www.shobujbanglablog.net/37133.html
ওরা বলছে মূলত ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত, ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা বর্ণনা করতে হবে এবং উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করতে হবে এবং এ উপলক্ষেই মাহফিল বা মজলিসের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার মুহব্বত ও ইতায়াতের মাধ্যমে উনার শাফায়াত ও সন্তুষ্টি লাভ করা যায়।
সুতরাং, যারা রবীউল আউয়াল শরীফ মাসে সীরাতুন নবী’র মাহফিলের কথা বলে তাদের সে বক্তব্য সম্পূর্ণ গুমরাহীমূলক। কারণ ‘মাহে রবীউল আউয়াল শরীফ’ সীরাতুন নবীর জন্য নির্দিষ্ট মাস নয় যে, এ মাসে বিশেষভাবে সীরাতুন নবীর মাহফিল করতে হবে। কারণ আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীরাত মুবারকের আলোচনা তো বছরের যে কোন সময় যে কোন দিন যে কোন সপ্তাহ ও মাসে করা যেতে পারে এ
উনার ছানা-ছিফত, ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা বর্ণনা আর সীরাতুন নবীর মঝে পার্থক্য কি?
২২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৫
মেলবোর্ন বলেছেন: মিলাদ অর্থ জন্ম বৃত্তান্ত। আর সিরাত অর্থ জীবন চরিত। সিরাত বর্ণনায় মিলাদ অর্থাৎ জন্ম বৃত্তান্তও অন্তর্ভূক্ত থাকে। পবিত্র কুরআন মজিদের বাস্তব রূপই হচ্ছে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নবুওতী জীবন। কুরআন একটি কনসেপ্ট বা দর্শন আর সেই দর্শনের বাস্তবরূপ হলো রাসুল (সা.) এর জীবনাদর্শ ও কর্মকান্ড অর্থাৎ নবীর জীবন কুরআনের বাস্তবায়ন
২৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৫
আলতামাশ বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খাইর
শরিফ ভাইয়ের কমেন্টে ++
২৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
সুলতানা১২ বলেছেন: হাদীসে ৫টি কারণে জুমুয়ার দিনকে দিনের সাইয়্যিদ ও ইয়াওমুল আ’যীম এমনকি কুরবানীর ঈদ ও রোযার ঈদের চেয়েও বেশি মূল্যবান ও মহান বলা হয়েছে। কারণগুলো হলো-
১. *জুমুয়ার দিন হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।(খুশির ইমো হবে)
২. জুমুয়ার দিন হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি জান্নাত হতে যমীনে আসেন।
৩. *জুমুয়ার দিন হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি ইলাহী দীদারে গমন করেন তথা ইন্তেকাল করেন।(কান্নার ইমো হবে)
৪. জুমুয়ার দিন আসর হতে মাগরিবের মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যখন খাছভাবে দোয়া কবুল করা হয়।(খুশির ইমো হবে)
৫. *জুমুয়ার দিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে।(কান্নার ইমো হবে)
উপরোক্ত ৫টি কারণে জুমুয়ার দিনকে দিনের সাইয়্যিদ, ইয়াওমুল আযীম, ঈদের দিন এমনকি দুই ঈদের চেয়েও মহান-মূল্যবান হিসেবে বর্ণনা করা হয় এবং যেখানে দুটি কারণ হলো- হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার জন্মদিন ও ইন্তেকাল দিবস।
.________আসুন আমরা আমাদের আদি পিতা হজরত আদম(আ,)-এর মৃত্যুর দিন ও কিয়ামত দিবস হিসেবে শুক্রবারকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করি.....!!!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৬
মেলবোর্ন বলেছেন: এইটাওকি রাজারবাগের পীর বাবা ঘোষনা দিলেন নাকি? যাক ভালো সামনে গনহারে এই বিষয়ে পোস্ট পাবো তাইলে না কি বলেন?
২৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৬
সবুজ ভীমরুল বলেছেন:
@রাজারবাগী মুরিদানেরাঃ থাবড়াইয়া কানসা ফাডাই ফালামু !! তোরা নিজেরা আল্লাহর হুকুমের চেয়েও বেশি মূল্যবান জিনিষ বানাবি?? তোদের পেটমোটা রাজারবাগী শুয়োরের োগা আর কত চাটবি?? তগো ভন্ড পীরের গোপন ভিডু বাইর হইসে নাকি??
পারলে সরসরি কুরআন হাদিস থেকে রেফারেন্স দে!!
@লেখকঃ ভাই, ব্যাপারটা কি বুঝলাম না, ব্লগে ইদানিং দেখতাসি রাজারবাগীদের ল্যাদানি বাইড়া গেছে!! মডুদের মধ্যে কেউ ঐডার মুরিদ আছে নাকি??
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
মেলবোর্ন বলেছেন: সবুজ ভীমরুল বলেছেন: মডুদের মধ্যে কেউ ঐডার মুরিদ আছে নাকি??
হে হে শর্ষের মধ্যেই ভুত থাকলে কেমনে হবে
২৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
সাগর তীরে বলেছেন: মুসলমানদের খুশি প্রকাশ করার জন্য রয়েছে ১৭৭/১৭৮টি ঈদের দিন।আপনারা অবাক হলেন নাকি?
২৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
Rain_in_Sydney বলেছেন: Borther in Melbourne, Salam...Sorry bhai amar bangla type a subidar nah..as u said ,ঈদে মিলাদুননবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহব্বত ও সম্মানের খাতিরে পালন করতে সমস্যা দেখিনা , আল্লাহ আমাদের এ মহব্বত ও সম্মানের প্রতি সাওয়াব িদেবন ...
আর যখন আমরা পালন করবো তো কি ভাবে পালন করলে সবচেয়ে ভাল হয়, হাদীস অনুযায়ী বলাযায় এই দিনে রোজা রাখা যায় আর আবু লাহাব যেমন করে দাসী কে ছেরে দিয়েছিলেন খুশিতে তেমনি এইদিনে আমরা গরীব দের কে সাহাজ্য করতে পারি সমাজ ও রাস্ট্রের উন্নয়নে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসুচী নিতে পারি বা মসজিদে মুহাম্মদ (সঃ) জীবনী নিয়ে আলোচনা করতে পারি , বাচ্চাদের ওনার সম্পকে জানাতে পারি,darud salat o salam, QURAN Sharif reciting, naat sharif reciting,dua mahfil korte pari...MAY ALLAH give us toufik to understand..Ameen!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩
মেলবোর্ন বলেছেন: নো প্রবলেম ব্রাদার উপরোক্ত কাজ সমুহ করতে আমার কোনই দ্বিমত নাই সমস্যা হলো যখনই এই ব্যপারটাকে ফরজে আইন বলা হচ্ছে যা ঠিক না আর তাদের দরবাড শরীফে যেতে তারা ওনার সীরাত করারও বিরোধি তাইলে এইটা সুন্পস্ট ধান্দা বাজি করছে না। রাজারবাগীদের এই ভ্রান্ত মত ও তাদের গোমরাহী প্রমানের জন্য এটুকুই যথেস্ট:
ওরা বলে, যারা রবীউল আউয়াল শরীফ মাসে সীরাতুন নবী’র মাহফিলের কথা বলে তাদের সে বক্তব্য সম্পূর্ণ গুমরাহীমূলক। কারণ ‘মাহে রবীউল আউয়াল শরীফ’ সীরাতুন নবীর জন্য নির্দিষ্ট মাস নয় যে, এ মাসে বিশেষভাবে সীরাতুন নবীর মাহফিল করতে হবে। কারণ আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীরাত মুবারকের আলোচনা তো বছরের যে কোন সময় যে কোন দিন যে কোন সপ্তাহ ও মাসে করা যেতে পারে
২৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
তারান্নুম বলেছেন: ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে লেথা পড়ে কয়দিন ধরে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল।অবশেষে একটা ভাল লেখার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ।একটা পোস্টের কমেন্ট শুধু দেখেন,আমার কান্না আসছিলো পড়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে..লেখক,এমন চিন্তাধারাও আছে এদেশের মানুষের এটা কি আগে জানতেন?আমি জানতামনা।যে হাদিস উনি উল্লেখ করেছেন,কেবল জানি এটা ভুয়া হাদিস।লিংক দিয়ে দিলাম একটা-
Click This Link
"পরিবেশ বন্ধু বলেছেন:
নবীজীর বেলাদত শরিফ ১২ই রবিউল আওয়াল উদযাপন
ঈদে মিলাদুন্নবি সা যথা যুগ্য মর্যাদায় উদযাপন ও আনন্দ প্রকাশ
ইমানদার মুমিন গনের জন্য অসংখ্য রহমত ও সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ এবাদত ।
তার জুতা মোবারকের ছোঁয়ায় আল্লাহর আরশ মহল্লা সম্মানিত
তিনি যে আমাদের জন্য দুনিয়ায় রহমত স্বরূপ প্রেরন হইয়াছেন
তার জন্য আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করা সর্ব শ্রেষ্ঠ নেয়ামত । বিখ্যাত
সাহাবা কেরাম গন তাবেয়িন তাবে তাবেয়িন গন এবং অলি আউলিয়া পির মাশায়েখ কামেল আলেম গন দিনটি মর্যাদার সহিত উদযাপন করতেন ।
আমরা রহমত হইতে বঞ্ছিত হইব কেন ?
রিবেশ বন্ধু বলেছেন: ফরজের চাইতেও বেশি বললে ভুল হবেনা
আল্লাহ যার নামের সাথে নাম মিশিয়ে দিয়েছেন এবং যার খাতিরে সৃষ্টি
সমুদয় পয়দা করেছেন , হেদায়েতের ভার দিয়েছেন , শাফায়াতের কাণ্ডারি বানিয়েছেন এবং সদা সর্বদা দরুদ ছালাম ভেজে থাকেন
অসংখ্য ফেরেস্তা গনকে নিয়ে সেই দয়াল নবীজীর প্রতি বেলাদত ও
তাজিম ঈমানের শক্ত আকিদা
ঈদে আজম ঈদে মিলাদুন্নবি সব ঈদের সেরা
তার রহমত আদায় কর পড় দরুদ জানাও ছালাম মদিনা মনোয়ারা ।"
২৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫২
তারান্নুম বলেছেন: আল্লাহর আরশ ধন্য হয়েছে নবীর(সাঃ) জুতার পরশে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
নাউজুবিল্লাহ!আল্লাহ আমাদের সঠিক ইসলামীক জ্ঞান দিন।এদের জন্যে দোয়া করা ছাড়া উপায় নাই।তর্ক করার প্রবৃত্তি হয়নি।
৩০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
তারান্নুম বলেছেন: Click This Link
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১৯
মেলবোর্ন বলেছেন:
অরো জানতে এখানে দেখুন ইসলামে ঈদে মীলাদুন্নবী পালনের বিধানের উপর কিছু ফাইল
http://www.quraneralo.com/miladunnabi-files/
৩১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
আরিহা বলেছেন: ভাই এইচ এম বিশ্বাস- হাদিস সম্পর্কে নুন্যতম ধারণা না নিয়ে যখন তখন নিজেদের পীর আউলিয়া ভন্ড বাবাদের কথা হাদিস বলে চালিয়ে দিও না। মিথ্যা বা জাল হাদিস বলার অপরাধ বড় ভয়ংকর মিয়া ভাই।
কোরআনের আয়াতের সাথে নিজেদের কথা জুড়িয়ে দেওয়ার সাহস তোমরা কোথা থেকে পাও শুনি। তোমার সেই গোডাউনটি আল্লাহ ধ্বংস করুন যেখান থেকে তোমরা মনগড়া কথা রচনা করে আল্লাহর কালাম বলে চালিয়ে দাও। তোমার পীর বাবাদের কে বলে দাও এখন যুগ পাল্টে গেছে। মুখের কথায় সব কথাকে কোরআন হাদিস বলে চালানো সম্ভব নয়। এখন একটি মাত্র ক্বিক করে বুঝে নেওয়া যায় কোনটা জাল হাদিস আর কোনটি সহিহ।
তোমাদের এই তথা কথিত মিলাদ বা ঈদ সম্পর্কে চার খলিফারা কি অজ্ঞ ছিল ? আহাম্মকের মতো একজনের পিছনে পিছনে অন্ধের মতো চলার জন্য কি তোদের সামনে কোরআন আর হাদিসের সহিহ কিতাব গুলো রেখে দেওয়া হয়েছে। মিলাদ মাহফিল কোন সালে আবিস্কৃত হয়েছে ? উত্তম তিন যুগের কোথাও কি এমন কোন ঈদের আয়োজন ছিল।
ব্যাটা গাধা ! কোরআনের কোন আয়াতের শানে নযুল না পড়ে কেবল বাহ্যিক আয়াতের দিকে তাকিয়ে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করস কেন ? নেয়ামত পেলে ঈদের উৎসব করতে হবে তোকে কোন পাগলে এমন যুক্তি দেখিয়েছে। প্রতিদিন আমরা এমন সব অসংখ্য নেয়ামত ভোগ করি তা বলে শেষ করা যাবে না। কই তোরা তো প্রতিদিন ঈদের মতো আনন্দ মিছিল করস না। নাকি সেগুলো আল্লাহর নেয়ামত নয়, তোদের পীরের দোয়ায় পাওয়া আজগুবী নেয়ামত।
তোদের মতো কিছু গাধা দুনিয়ায় আসবেন বলেই আল্লাহ পাক তার রাসুলের জবানে অনেক আগে বাগেই বলে দিয়েছেন যে, আগের যুগের উম্মাতেরা গোমরাহ হয়েছিল তাদের নবী এবং নেককার বান্দাদের নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারনে। তোদের অবস্থাও তেমনি। তোরা নবীর সুন্নাতকে বাদ দিয়ে কেবল তার জন্ম দিন নিয়ে ব্যস্ত। ফেরকায়ে নাযিয়ার আলামত হচ্ছে আল্লাহর কালাম, তার রাসুলের (স) সুন্নাহ এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতের ওপর থাকা। খোলাফায়ে রাশেদীন কোন কালে কি সরকারী বা বেসরকারী ভাবে রাসুলুল্লাহর (স) জন্ম নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছে। আমরা এই দিনে খুশি হতে পারি, তার জন্য রোজা রাখতে পারি, কিন্তু ঈদ করতে হবে এমন গাজাখোরী কথা তোরা বলস কি ভাবে। তোরা কি মনে করস যে সাহাবারা নবীর মর্যদা বুঝতে পারেনি তাই তারা মিলাদুন্নবীর ঈদ উদযাপন করেনি। আরো বুঝতে চাইলে এখানে ক্লিক কর ব্যাটা
Click This Link
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
মেলবোর্ন বলেছেন: : @আরিহা ভাই ব্যক্তি আক্রমন না করি, আপনার রাগ হওয়ার যথেস্ট কারন রয়েছে তবুও ওদেরকে এমন ভাবে না বলি, ওদের জন্য দোয়া আল্লাহ যেন ওদের ইসলামকে ভালভাবে বোঝার তৈফিক দিন, কোন পীরের পাল্লায় পরে গোমরাহীর পথে না গিয়ে সরল পথে আসুক,আমার বিশ্বাস আমাদের কাজ তো শুধু মাত্র সত্য পৈছে দেয়া আল্লাহ যদি চাহেন তবে তাদের হেদায়াত হবে নাইলে হবে না আপনার আমার দ্বায়িত্ব সত্য পৈছে দেয়া মাত্র। ভাল থাকবেন সালামুআলাইকুম।
৩২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
টিনের বাড়ী বলেছেন: খইরুল কুরুন উনাদের আমলে পবিত্র ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রচলন কী ছিল?
খইরুল কুরুন হচ্ছে পর্যায়ক্রমে ছাহাবী, তাবিয়ী ও তাবি’ তাবিয়ীনগণের যুগ। আর উক্ত তিন যুগের প্রথম যুগই হচ্ছে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের যুগ এবং সে যুগেই ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لا بنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.
অর্থ: হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তান-সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য রহমতের দরজা উমুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা তোমাদের জন্য মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ তোমাদের মত এরূপ কাজ করবে, তোমাদের মত উনারাও রহমত ও মাগফিরাত লাভ করবে এবং নাজাত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা- ৩৫৫)
হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে-
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما انه كان يحدث ذات يوم فى بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لقوم فيستبشرون ويحمدون الله ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم فاذا جاء النبى صلى الله عليه وسلم قال حلت لكم شفاعتى.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজ গৃহে সমবেত ছাহাবীগণকে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে ছলাত-সালাম (দুরূদ শরীফ) পাঠ করছিলেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব। (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা-৩৫৫)
অতএব প্রমাণিত হলো যে, আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার যামানাতেই অর্থাৎ খইরুল কুরুনের প্রথম যুগেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘ঈদে মীলানদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করেছেন এবং সে মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপস্থিত হয়ে ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপনকারীগণকে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াত লাভের সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, ক্বিয়ামত পর্যন্ত যারা ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করবে উনাদের জন্যেও একই সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, ‘খইরুল কুরুনের মধ্যে কেউ এমন কোন ঈদ, উৎসব পালন করেননি’ উলামায়ে সূ’দের এ কথা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা প্রতিপন্ন হলো এবং সাথে সাথে তাদের জিহালতীও পরিস্ফুটিত হলো।
উল্লেখ্য, কোন আমল খইরুল কুরুনের মধ্যে না থাকলে যে তা পরিত্যাজ্য হবে এ কথা সম্পূর্ণরূপে অশুদ্ধ ও কুরআন-সুন্নাহ’র খিলাফ। বরং কোন আমল গ্রহণীয় কিংবা বর্জনীয় হওয়ার জন্য খইরুল কুরুন শর্ত নয়। শর্ত হচ্ছে সে আমল কুরআন-সুন্নাহ সম্মত কি না? যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত হয় তাহলে তা গ্রহণীয়। আর যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত না হয় তবে তা বর্জনীয় বা পরিত্যাজ্য।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মেলবোর্ন বলেছেন: কোরআনের একটিও সুস্পস্ট আয়াত দিলেন না ঈদে মিলাদুন্নবীর ব্যপারে আর বলছেন কোরআন ও হাদীস সম্মত ?
এটা পড়েন অনেক কিছু পরিস্কার হবে আশা করছি:
http://www.islamhouse.com/p/79054
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০০
লিউনেল মেসি বলেছেন: কয়েক ঘন্টা ধরে রাজারবাগীরা খুব ক্ষেপছে, এই প্রানীগুলো ব্লগিং করে কিভাবে বুঝিনা।
ওরা তো রসূল (সাঃ) কে অসম্মান করছে।