![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. The Qur'an is the Most Influential, Most Powerful, Most Memorized, and Most Followed Book on the planet Earth।Find out why @ LinguisticMiracle.com ২: I believe A little science leads one away from God, a great deal of science leads one back to Him ৩: I will make the most of everything in life, because life is no rehersal... So if i love someone, i will tell them, if im upset with someone, i will forgive them and if anyone chooses to love me in return, i will be most certainly grateful, and show them everyday for as long as i am capable to do so, how much it means to me
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
কোরআনের আরেকটি ইন্টারেস্টিং ভাষাগত সৈন্দর্য বিষয়ে আজ দেখবো।
আপনি কি এই দুটো নাম আগে শুনেছেন মক্কা নগরী সর্ম্পকে মাক্কা এবং বাক্কা ?
এ দুটি নামই কোরআনে আছে, একবার আল্লাহ বলেন মাক্কা আরেক বার অন্য সুরায় বাক্কা নাম ব্যবহার করেন তবে চলুন দেখা যাক কেন দুটি নাম ব্যবহার করেছেন:
ঐতিহাসিক ভাবে বলতে গেলে এ দুটি নাম একটি শহরের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়েছে যাকে আমরা মক্কা বলে জানি। মাক্কা শহরের আরেকটি ডাক নাম হলো বাক্কা। বাক্কা নামটি এসেছে "বাক" بكك – Bakk হতে যা আরবি ক্রিয়া/ শব্দ/verb। এটা বোঝায় ঘনবসতিপূর্ণ/ভিড়/জনাকীর্ণ/মানুষে পরিপুর্ন ইত্যাদি।
আশ্চর্যজনক ও বিস্ময়কর ব্যপার হলো যে আল্লাহ কোরআনে প্রতিটা শব্দ বিজ্ঞতা ও চমকপ্রদতার সাথে ব্যবহার করেছেন
এখন দেখুন যখন বাক্কা ব্যবহৃত হয়েছে কোরআনে সুরা আল ইমরানে যেখানে বাক শব্দটি আছে যা বোঝায় ঘনবসতিপূর্ণ/ভিড়/জনাকীর্ণ/মানুষে পরিপুর্ন আর আল্লাহ কোরআনে বাক্কা ব্যবহার করেছেন হজ্জের প্রসঙ্গে তিনি বলনে "ওয়া লিল্লাহি আলা-ন-নাসি হিজ্জু-ল-বায়াত" আর হজ্জ মানেই তো ঘনবসতিপূর্ণ/ভিড়/ও মানুষে পরিপুর্ন তাই এখানে কোন নামটা বেশি মানানসই হয় বাক বা বাক্কা তাই না? দেখুন:
إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِّلْعَالَمِينَ
নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্যে নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা মক্কায় (বাংলা অনুবাদে মক্কায় বলা আছে হবে বাক্কা) অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়েত ও বরকতময়। সুরা আল ইমরান সুরা নং ৩ আয়াত নং ৯৬
فِيهِ آيَاتٌ بَيِّـنَاتٌ مَّقَامُ إِبْرَاهِيمَ وَمَن دَخَلَهُ كَانَ آمِنًا وَلِلّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ الله غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِينَ
এতে রয়েছে মকামে ইব্রাহীমের মত প্রকৃষ্ট নিদর্শন। আর যে, লোক এর ভেতরে প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। আর এ ঘরের হজ্ব করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থø রয়েছে এ পর্যন্ত পৌছার। আর যে লোক তা মানে না। আল্লাহ সারা বিশ্বের কোন কিছুরই পরোয়া করেন না। -----সুরা আল ইমরান সুরা নং ৩ আয়াত নং ৯৭
কিন্তু যখন আল্লাহ মাক্কা নাম ব্যবহার করেন তখন হজ্জ সম্পর্কে কিছু বলা হয় নি শুধু মক্কা নগরী বিষয়ে বলেছেন দেখুন:
وَهُوَ الَّذِي كَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ عَنْهُم بِبَطْنِ مَكَّةَ مِن بَعْدِ أَنْ أَظْفَرَكُمْ عَلَيْهِمْ وَكَانَ اللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرًا --তিনি মক্কা শহরে তাদের হাত তোমাদের থেকে এবং তোমাদের হাত তাদের থেকে নিবারিত করেছেন তাদের উপর তোমাদেরকে বিজয়ী করার পর। তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ তা দেখেন। --- সুরা আল ফাতাহ সুরা নং ৪৮ আয়াত নং ২৪
এবং كَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ --এমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে। --৪২) সূরা আশ-শুরা আয়াত নং ৭
এই ক্ষুদ্র বিষয় যা আপনি ও আমি হলে বলতাম মাক্কা বা বাক্কা একই জিনিস একটি নাম বললেই হলো, একই অর্থ বহন করে। কিন্তু কোরআনের নির্ভুলত যথাযথতা ও স্পষ্টতার লেভেল অনেক উপরে যা অন্য কোন কিছুর সাথে তুলনা হয় না। আমরা মানুষরা সেই লেভেলে চিন্তা করেতে পারি না আমরা সেই লেভেলের একুরেসি/ যথাযথতা মেইন্টেন করতে পারি না আমাদের স্বীমাবদ্ধতার কারনে।
একটি বিষয় যা আমরা কোরআন হতে শিখতে পারি যে আমাদের কি পরিমান কেয়ারফুল হতে হবে, কথা বলার সময় আমাদের কি পরিমান খেয়াল রাখতে হবে যাতে অবান্চিত ও খারাপ কথা বা ভুল কথা না বলি তাই না? আর যারা দেশের আসনে বসেন বা যারা আমাদের প্রতিনিধি তদের তো কথা বলার সময় আরো বেশি খেয়াল রাখতে হবে , কিন্তু আতিব দুঃখের সাথে বলতে হয় যে আমাদের প্রতিনিধিরা একটি ক্ষমতা পেলেই বেমালুম ভালে যান তাদের কথা শুনলে সাধারন জনগন তাদের মনে মনে গালি দিয়েই বসে। আরেক দল রয়েছে যারা জনগনকে ভুল বুঝিয়া ভুল কথা প্রচার করে তাদেরও কথার লাগাম না দেয়ার কারনে দেশের পরিস্থিতি খারাপ হয়। তাদের জন্য একটি কথাই আল্লাহ আমাদের উপদেশ দেন "
خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ وَأَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِين-----আর ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে সরে থাক।". -সুরা আরাফ সুরা নং , আয়াত.১৯৯
তাই আমাদের সবার উচিৎ আমাদের কথার লাগাম দেয়া এটাই মহানবীর সুন্নাহ এবং আল্লাহ শেখানো ম্যনার। কারন আল্লাহ খুবই সুক্ষ ভাবে সঠিক ভাবে যথাযথ ভাবে কথার ,শব্দের ও নামের প্রয়োগ করেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক ও সরল পথে পরিচালিত করুন---আমিন।
তথ্য সুত্র: Click This Link
৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
মেলবোর্ন বলেছেন: আল্লাহ আমাদের কোরআন বোঝার তৈফিক দিন।
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
আল মামুনুর রশিদ বলেছেন: thanx a lot. want more
৩০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
মেলবোর্ন বলেছেন: কোরআনের ভাষা নিয়ে এটা ৮ম পোস্ট আমার ব্লগে গিয়ে পুববর্তী পর্ব সমুহ পড়তে পারেন শুভেচ্ছা রইলো
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১১
বোকামন বলেছেন:
আমীন
আস সালামু আলাইকুম
আপনার বিশ্লেষন বরাবরে মতই চমৎকার ....
আল্লাহর কাছে আপনার জন্য দোয়া করা ছাড়া আর কিছুই করার নাই....
আমাদের সবার উচিৎ আমাদের কথার লাগাম দেয়া এবং সত্য প্রকাশে ভয়হীন চিত্তে থাকা ....
সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের সকল কে সরল পথে পরিচালিত করুন।
৩০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
মেলবোর্ন বলেছেন: ওয়ালাইকুম সালাম ,আপনাকে আমাকে সবাইকে সরল পথে কবুল করুন। ভাল আছেন নিস্চই সেই কামনা পরম করুনাময়ের দরবারে,
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: প্রিয়তে নেয়ার মত পোস্ট।
৩০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
মেলবোর্ন বলেছেন: নিয়ে নেন আপনাদের জন্যই তো লিখা
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২০
বইয়ের পোকা বলেছেন: ভালো লেগেছে, জানানোর জন্য থ্যাংকস।আগের পোস্ট গুলো ও পড়বো।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
মেলবোর্ন বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২
ফজলে আজিজ রিয়াদ বলেছেন: জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: প্রিয়তে নেয়ার মত পোস্ট।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯
মেলবোর্ন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নিয়ে নেন আপনাদের জন্যই তো লিখা
৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
আমিভূত বলেছেন: বুঝলাম না ,মক্কা আর বাক্কা র মধ্যে পার্থক্য ? বাংলায় বাক্কা কে মক্কা বললে কি ভুল হচ্ছে ?
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৮
মেলবোর্ন বলেছেন: আমাদের সাধারন মানুষের ক্ষেত্র শহরের একটি নাম বললেই হতো কিন্তু কোরআনে পারফেক্টলি যখন হজ্জের কথা বলেছে তখন বাক্কা যা কিনা ঘনবসতিপূর্ণ/ভিড়/ও মানুষে পরিপুর্ন বোঝায় সেটি বলা হয়ছে আর যখন এমনি মক্কা নগরীর কথা বলাহয়ছে সেখানে হজ্জের কথা উল্লেখ করা হয় নি।
কারন হজ্জ মানেই তো মানুষে পরিপুর্ন সেক্ষেত্র মক্কা হতে বাক্কা নামটা সে ক্ষেত্রে পারফেক্ট । আর বাংলায় বা আমরা যে মক্কা বলছি এখানে কোন ভুল হচ্ছেনা বরং এই পোস্টের মধ্যমে দেখাতে চেয়েছি কিভাবে সুক্ষ নাম গুলোও কোরআনে মিস হয় নি যখন কিনা কোরআনে মক্কা বললেও হতো।
৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৭
আমিভূত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ,অনেক সুন্দর করে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য । আল্লাহ্ আপনাকে , আমাদের সবাইকে তার নিয়ামত ,তার বানী বোঝার তৌফিক দিন ।
ভালো থাকবেন ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২১
মেলবোর্ন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ --
৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
মেংগো পিপোল বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই,,,,,, শুভ কামনা রইল। একটু দেরীহলো আসতে। ভালো থাকবেন।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৩
মেলবোর্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনাকে ও আল্লাহ ভাল রাখুন
১০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:১৩
নাজমুল (ডেফোডিল) বলেছেন: আরও কিছু তথ্য জানাতে ইচ্ছা হল তাই লিখলাম। ইবনে ইসহাক (704–767 A.D) একজন বিখ্যাত মুসলিম ইতিহাসবিদ তার সিরাত রসুলাল্লাহ (সাঃ) বইয়ের ৮৫-৮৬ প্রৃষ্ঠাতে উল্লেখ করেছেন 605 A.D তে কুরাইশরা যখন কাবা মেরামত করছিল তখন কাবার কোনে একটা শিলালিপি পাওয়া গিয়েছিল যেখানে syriac ভাষায় যা লেখা ছিল তার ইংরেজী অনুবাদ এই রকম "I am Allah, the Lord of Bakka, I created it on the day that I created heaven and earth and formed the sun and the moon, and I surrounded it by seven pious angels. It will stand while its two mountains stand, a blessing to its people with milk and water.” (Ibn Ishaq, sirat rasul Allah, translated by A. Guillaume, Oxford, Clarendon Press, 2004, p. 85-86)."
এছাড়াও psalm 84 এ বাকা উল্লেখ আছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ