নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রীসে গণতন্ত্রের জয় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের মুখে চপেটাঘাত !

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫


বিশ্বের জ্ঞান বিজ্ঞানের সূতিকাগার এবং গণতন্ত্রের জন্মদায়ক স্থান হিসেবে সুপরিচিত গ্রীস। সেই গ্রীস গণতন্ত্রের আর এক নজির স্থাপন করল গতকাল রোববার। গ্রীসের অর্থনৈতিক সংকটের সুবাদে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কঠোর কৃচ্ছ্রসাধনের শর্তসংবলিত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রস্তাব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে গ্রীসের জনগণ! গ্রীসের জনগণ দ্বারা এটা যেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের মুখে বড় ধরণের চপেটাঘাত !ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা সব সময় হুমকি দিয়ে এসেছেন, গ্রিস যদি ইউরোজোনে থাকতে চায়, তাহলে ‘হ্যাঁ’ ভোটের বিকল্প নেই। কিন্তু গ্রিসের ভোটাররা এই হুমকিকে সরাসরি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন !


ঋণদাতাদের কঠোর শর্তে গ্রিসের রাজনৈতিক দলগুলি দুইভাগ হয়ে পড়ে। বামপন্থী সরকারী দল ঋণ গ্রহনের বিপক্ষে কিন্তু প্রধান বিরোধীদল যারা মাত্র কয়েকমাস আগেও ক্ষমতায় ছিল তারা ঋণ গ্রহনের পক্ষে ! সত্যি আজব ব্যাপার -এ যে আমাদের পরিচিত সেই গণতন্ত্র নয় যে সরকারী দল ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বার্থে বিদেশী ও দাতাগোষ্ঠীদের তুষ্ট করতে যত কঠিন শর্তই হোক ঋণ করবেই ! কিন্তু গ্রীসে ঘটল উল্টোটা ! তীব্র বাদানুবাদের এক পর্যায়ে সরকারী দল ঋণ গ্রহন করবে কি করবে না এ্ সিদ্ধান্ত জনগণের কাছেই ছেড়ে দেয় ও আয়োজন করে গণভোটের! ফলাফল ৬০% এর বেশি ভোটার ’না’ ভোট দিয়েছেন ! সম্ভবত অভিবাসী ভোটাররাই ’হ্যাঁ’ ভোট বেশি দিয়েছেন (অনুমিত) ।এর আগে গত বছর অভিবাসীদের ভোটের কারণে স্কটল্যান্ড ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা পায়নি।

এই গণভোটে ’না’ ভোট জয়ী হওয়ার কারণে ইউ অস্তিত্বের সংকটে পড়ে গেল ! এখন গ্রীসকে সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে অন্যথায় গ্রীস ইউরো পরিত্যাগ করে নিজস্ব কারেন্সি গ্রহন করবে। গ্রীসকে সহজ শর্তে ঋণ দিলে ইউরোপের অন্যান্য দেশ যেমন পর্তুগাল, স্পেন, স্পেনসহ আরো কতিপয় দেশ সহজ শর্তে ঋণ চাইবে যা ইউ এর পক্ষে সম্ভব হবে না !

তবে গ্রীসের সরকার গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়ে মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নকে উল্টো চাপ ও সংকটের মুখে ফেলেছেন । গ্রীসকে বের করে দিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য তা হয়তো ভাল হবে না । যদি গ্রীস সফল হয় তাহলে ভবিষ্যতে গ্রীস একটা মডেল হয়ে থাকবে। সো আমার মনে হয় ঋণ প্রদানের কঠোর শর্ত থেকে সরে আসবে ইউরোপ ! আর সম্ভবত এটাই চেয়েছিল গ্রীসের বর্তমান বামপন্থী সরকার । কারণ বামপন্থী সরকার ফলাফলের পর জানিয়েছে তারা আলোচনায় প্রস্তুত !


যাইহোক, ফলাফল জানার পর পদত্যাগ করেছেন গ্রীসের বিরোধী দলের প্রধান নেতা -এ যেন গণতন্ত্রের আর এক নজির ! অপরদিকে জনগণের ব্যাপক প্রশংসা করেছে সরকারী দল।গণভোটের ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় গ্রিসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পানোস কামেনোস বলেছেন, জনগণ প্রমাণ করেছে, ভয় দেখিয়ে কারও স্বার্থ হাসিলের চেষ্টার কাছে তারা নতি স্বীকার করেনি। গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। জনগণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস ! তিনি বলেছেন, ’ভালভাবে আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার জনগণের ইচ্ছেকে কেউ উপেক্ষা করতে পারবে না ।’ গ্রীসের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউরোপের অন্যান্য বামপন্থী নেতারাও ! হয়তো গ্রীসের হাত ধরেই ইউরোপে উত্থান হতে যাচ্ছে বামপন্থীদের, পতন হবে সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপের । হতভম্ভ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ! গণভোটের ফলাফল ও করণীয় নিয়ে তারা বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ! গ্রীস এখন কিভাবে চলবে, কিভাবে অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পাবে বাইরের কারো হস্তক্ষেপে নয় সিদ্ধান্ত নিবে স্বয়ং গ্রীসের জনগণ !গণতন্ত্রের জয়টা এখানেই । আব্রাহাম লিংকনের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা এখানেই স্বার্থক ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


গ্রীকদের সমস্যা, আয় থেকে ব্যয় বেশী; সেটার সমাধান করার দরকার।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যি আজব ব্যাপার -এ যে আমাদের পরিচিত সেই গণতন্ত্র নয় যে সরকারী দল ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বার্থে বিদেশী ও দাতাগোষ্ঠীদের তুষ্ট করতে যত কঠিন শর্তই হোক ঋণ করবেই ! কিন্তু গ্রীসে ঘটল উল্টোটা !

গ্রিসের ভোটাররা এই হুমকিকে সরাসরি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন !

গ্রীসের জনগণকে অভিনন্দন

++

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: সেখানে আমাদের দলগুলোর মত নিকৃস্ট মানের দেশপ্রেমহীন লোভী দুর্ণীতিবাজ গনতন্ত্রহীন দল নেই!

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

@বিদ্রোহী ভৃগু ,

গ্রীসের সুবিধা হলো ওখানে এখনো সক্রটিস ও এরিটেটলের জেনারেশন জন্ম নিচ্ছে; আপনার গুরু গোলাম আজম বাংলাদেশে মরেছে, সেটাই আপনাদের সমস্যা; উহা গ্রীসে মারা গেলে, গ্রীক ভাষাই থাকতো না, উর্দু বলতো আলেকজান্ডারের ৩০ম জেনারেশন।

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

রামন বলেছেন: গণভোটে আলেক্সি সিপ্রাস জয়লাভ করেছে ঠিকই কিন্তু হেরেছে গ্রিসবাসী। গ্রীস ইউরো জোন থেকে চলে যাওয়ার অর্থ আরও রসাতলে যাওয়া। আজ থেকে ব্যাংক খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে কিন্তু সবাইকে পেনশন দেয়ার মত অর্থ ব্যাংকে নেই। ব্যবসা বানিজ্য সবই স্থবির হয়ে গেছে। সহসা দ্রাগমা চালু হওয়ার পরিকল্পনা নেই যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন জরুরি ভিত্তিতে অর্থ প্রবাহ দিতে রাজি আছে। এরপরও গ্রীসবাসীদের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন ও অন্ধকারচ্ছন্ন ভবিষ্যত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.