![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রমজীবি মানুষের চোখের এক ফোঁটা জল মুছে দেয়া আমার নিরন্তর প্রয়াস....
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট-মহাজোটের বাইরে বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প জোট গঠন করতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে আসছে দেশের প্রধান বামপন্থি দল কমিউনিস্ট পার্টি। এরই মধ্যে বিকল্প জোট গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের মধ্যে। এ ঐক্য ইতিমধ্যে নিজেদের অবস্থান বেশ শক্ত করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জামায়াত-শিবির ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, তাজরিন ফ্যাশনের অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ গার্মেন্টস শ্রমিকের নির্মম প্রাণহানির ঘটনায় মালিকসহ দায়ীদের গ্রেফতার ও বিচার, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ সব ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও শাস্তি দাবিতে সিপিবি-বাসদ সফল কর্মসূচি পালন করে আসছে। সিপিবি-বাসদ ঐক্যের সঙ্গে বামমোর্চা যুগপৎভাবে হরতাল, পদযাত্রা, বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বামপন্থি দলগুলোর মধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে এবং অপরাপর দলগুলোকে আন্দোলনে যুক্ত করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে আলোচনা ও মতবিনিময় করে যাচ্ছেন সিপিবি নেতারা। এ প্রসঙ্গে সিপিবি-বাসদ নেতারা গত ১৬ ফেব্র“য়ারির জাতীয় সমাবেশে বৃহত্তর ঐক্যের জন্য সব বামদলকে আমন্ত্রণ জানায়। এ সময় দলের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের রাষ্ট্র গড়ে তুলতে বৃহত্তর বাম বিকল্প শক্তি গড়ে তুলতে হবে।’ তবে রাজনৈতিক আস্থাহীনতা ও মতাদর্শের পার্থক্যের কারণে অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলো চলছে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে।
বর্তমানে ৮টি দলের সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি পালন করছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (পুনর্গঠিত), বাসদ (মাহবুব), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন ও শ্রমিক-কৃষক সমাজবাদী দল মহাজোটের শরিকদের বাইরে বামদের এ জোটের শরিক। এক্ষেত্রে দল বেশি হলেও তাদের সাংগঠনিক কাঠামো বেশ দুর্বল। এছাড়া বদরুদ্দীন উমরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা ও জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমুক্তি মিলে ঐক্যবদ্ধ বাম বিকল্প জোট গঠনেও সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে।
দেশে বামপন্থি দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো এবং বড় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি গত এক দশক ধরে দ্বিদলীয় বৃত্তের বিপরীতে গণতান্ত্রিক বাম বিকল্পবলয় গড়ে তুলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে সিপিবির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগও নেয়া হয়েছে বলে জানান দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ। সম্প্রতি সিপিবি-বাসদ ঐক্য সে উদ্যোগেরই ধারাবাহিকতা বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এখন যাদের ইচ্ছা তারা আসতে পারে।
এদিকে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটে শরিক হলে দল থেকে বেরিয়ে আসেন হায়দর আকবর খান রনোসহ বেশ কয়েক নেতা।
সে সময় ‘বাংলাদেশের ওয়র্কার্স পার্টি (পুনর্গঠিত) নামে আলাদা দল গঠন করেন রনো। পরে নবগঠিত এ দলটির প্রায় সবাই সিপিবির সঙ্গে একীভূত হন। নব্বইয়ের দশকে কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে যাওয়ার পর বাংলাদেশে দুটি রাজনৈতিক দলের একীভূত হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।
এ প্রসঙ্গে সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, ‘বামদের নেতৃত্বে বিকল্প শক্তি গড়ে তোলা আজ সময়ের দাবি, সে লক্ষ্যেই সিপিবি-বাসদ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।’
চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গির কিছু পার্থক্য থাকলেও প্রত্যেকটি দলেরই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এ উদ্যোগের সঙ্গে মহাজোটের বাম শরিকদেরও সম্পৃক্ত হওয়ারও সুযোগ রয়েছে।’ কারণ মহাজোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম এল), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাপ (মোজাফফর) ও কমিউনিস্ট কেন্দ্রের সংবিধান সংশোধনসহ সরকারের অনেক নীতির সঙ্গেই তাদের দ্বিমত রয়েছে। তাই দ্বিদলীয় মেরুকরণের বাইরে বাম দলগুলোকে এক মঞ্চে আনার লক্ষ্যে সিপিবি এরই মধ্যে বাম চিন্তাশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ বিভিন্ন বামদলের সঙ্গে যৌথ সভা-সমাবেশ ও যুগপৎ আন্দোলনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে তিনি জানান।
দেশে চলমান দ্বি-দলীয় মেরুকেন্দ্রিক আদর্শহীন রাজনীতির বলয়ের বাইরে জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক শক্তিতে বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ে তোলা জরুরি বলে মনে করেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান। তিনি বলেন, বামপন্থি অপরাপর সব শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ এবং যুক্তধারায় চলার চেষ্টা আমাদের অব্যাহত রয়েছে। আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক উভয় প্রক্রিয়াতেই আলোচনা অতীতে যেমন হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে বলেও জানান তিনি।
বিএনপি-জামায়াতসহ চারদলীয় জোটের বিরুদ্ধে যেসব কথা বলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট ক্ষমতায় গেছে, সেই একই কাজ এখন তারাও করছে। এমন অভিযোগ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ
জাতীয় সম্পদ রক্ষার ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্যদিয়ে দেশের বামপন্থিরা জনগণের মাঝে অনেকাংশে জায়গা করে নিয়েছে। তুচ্ছ মতপার্থক্যের সংকীর্ণতা পরিহার করে বামপন্থিদের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার পক্ষেই তিনি মত দেন। তবে বৃহত্তর বাম বিকল্প গড়ে তুলতে সব দলের পক্ষ থেকেই ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করতে হবে। ( দৈনিক মানবকন্ঠ-২৫মার্চ)
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
দন্ডিত বলেছেন: @আশিকুর রহমান পার্লামেন্টারী ডেমোক্র্যাসির জন্ম বাংলাদেশের কোন জেলায় একটু বলে যান।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বাম শুধু কমিনিসট ভাবলে ভুল হবে
ব্রিটিশ দের খরগ থেকে মজলুম নেতা মাওলানা ভাসানিরা
ভারত মুক্ত করেছিল । আর অধিকাংশ যুক্ত ফ্রন্ট নেতাই ছিল
বাম । মজাফফর , মতিলাল , শেরেবাংলা , হোসেন সহরাওয়ারদি প্রমুখেরাও এ আন্দোলনের প্রধান মুখ্য ভুমিকায় ছিল । তখন ভারত
বাংলার রাজধানী ছিল কলকাতা ।
দেশ বিভাগের পর নিস্ক্রিয় হয়ে যাওয়া কেন ? তার কারন যোগ্য
নেতৃত্বের অভাব ।
বামের প্রধান মুল মন্ত্র
একতা শান্তি উন্নয়ন ও সেবা
যার ধর্ম তার দেশ সবার
নর আর নারি
এক হয়ে এস দেশ গড়ি ।
৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২১
আব্দুর রহমান মিল্টন বলেছেন: ধন্যবাদ.@দন্ডিত
৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২২
আব্দুর রহমান মিল্টন বলেছেন: ধন্যবাদ.@পরিবেশ বন্ধু
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
আশিকুর রহমান ১ বলেছেন: বিষধর সাপের মাথায় মনি থাকলেও, মনি লাভের উদ্দেশ্যে সাপের সংস্পর্শ যেমন আত্মঘাতী এবং পরিত্যাজ্য। ঠিক তেমনি নাস্তিক বামদের সমর্থন করাও ততটা আত্মঘাতী। এরা জনগনকে বিভ্রান্ত করছে এদের পঁচা মতবাদ দ্বারা। মাও সেতুং, লেলিন এদেশের মানুষের আদর্শ নয়। কমিউনিজমের জন্মস্থান ইউরোপের মানুষরাই যেখানে এদেরকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে সেখানে আমরা কমিউনিজম সমর্থন করাটা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।