![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রমজীবি মানুষের চোখের এক ফোঁটা জল মুছে দেয়া আমার নিরন্তর প্রয়াস....
এত প্রগতিশীল.. এত বাম.. এত মধ্যপন্থা.. এত নাস্তিক...এত উদার রাজনৈতিক দল... আরো আছে আওয়ামীলীগ....তার পরও দেশের খ্যাতিমান লেখিকা নির্বাসিত...তার কোন আকুতিই গ্রহণ করা হবে না? বলা যায় নষ্টদের দখলে সবকিছু! অথচ সে দেশের বাইরে যুগের পর যুগ। জাত গেল জাত গেল বলে আর কত ভন্ডামী? সে নষ্টা,ভ্রষ্টা হলে আর কার কি? তার লেখা খারাপ হলে লোকে গ্রহণ করবে না, সে পঁচবে...ইতিহাস তাকে ঠাই দিবে না, হয়ে গেল। কেন আপনি আমি জোর করে তাকে দেশের বাইরে রাখব।মত প্রকাশের স্বাধীনতা, তার নাগরিক অধিকার হরণ করব।আর একটা কথা ইসলাম ধর্ম কি এতই ঠুনকো যে তার কথায় সব বর্বাদ হবে? না মোটেও না নয়, তাই ধর্মান্ধতা,মৌলবাদ,মোল্লা-মুসল্লিরা শান্ত থাকলে ভাল হয়। কোন অযুহাত নয় তাকে দেশে চাই....হ্যা আমি তসলিমা নাসরিনের কথাই বলছি....
১৯৯৪ সালের ৯ আগস্ট তারিখ:মৌলবাদের কাছে পরাজিত রাষ্ট্র ও সরকার সেদিন তসলিমা নাসরিনকে বাংলাদেশ থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিল। সেসাথে দেশের পত্রপত্রিকা ও প্রকাশকরা তার কলাম ও বই প্রকাশও বন্ধ করে দিয়েছিল।১৯৯৮ সালে তসলিমা নাসরিন একবার বাংলাদেশে আসার সুযোগ পান এবং মাস তিনেক থাকার পর মৌলবাদীদের চাপে রাষ্ট্র ও সরকার আবার তাকে বাংলাদেশ ত্যাগে বাধ্য করে।
তসলিমা হয়তো একমাত্র দৃষ্টান্ত যিনি পাশাপাশি দুটি দেশের সংখ্যাগুরু মৌলবাদী ও সংখ্যালঘু মৌলবাদীদের হুমকিতে জীবনযাপন করেছেন। মুসলিম মৌলবাদীরা যেমন তাকে বাংলাদেশছাড়া করেছে, ভারতের মুসলিম মৌলবাদীরাও তাকে অজ্ঞাতবাসে নিয়ে যেতে ও ফলশ্রুতিতে ভারত ছাড়তে বাধ্য করতে পেরেছে। নারীবাদীর শত্রু অনেক, কিন্তু তার সবচেয়ে বড় শত্রু মৌলবাদীরাই। এবং এই মৌলবাদীরা সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের হোক বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হোক, তাদের উন্মত্ততার প্রতিক্রিয়াশীলতা সমান ক্ষুরধার। কারণ সরকারের কাছে সংখ্যাগুরুরা স্বাভাবিকভাবেই প্রধান বিবেচ্য বিষয় হলেও সংখ্যালঘুরা আবার ভোটে হারজিতের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। তাই মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দিতে গুরুচাপ লঘুচাপ দুটোই সমান শক্তিশালী – সভ্যতাকে ঘাড় ধরে টেনে নামাতে, লেখক শিল্পীর নির্বাসন নিশ্চিত করতে, তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে ‘মৌলবাদের মুখ, তার ভাষা এবং মতলব’ সমান সক্রিয়।
আত্মপক্ষ সমর্থন করে তসলিমা নাসরিন বলছেন..."সমালোচকরা আমার স্বাধীনতাকে চিহ্নিত করতে চাইছেন স্বেচ্ছাচারিতা বলে। আসলে আমাদের সুরুচি কুরুচি বোধ, পাপ পুণ্য বোধ, সুন্দর অসুন্দর বোধ, সবই যুগ-যুগান্ত ধরে পিতৃতন্ত্রের শিক্ষার পরিণাম। নারীর নম্রতা, নতমস্তকতা, সতীত্ব, সৌন্দর্য, সহিষ্ণুতা সেই শিক্ষার ফলেই নারীর বৈশিষ্ট হিসেবে স্বীকৃত। আমাদের সুনিয়ন্ত্রিত চেতনা কোনো রূঢ় সত্যের মুখোমুখি হতে তাই আতঙ্ক বোধ করে। কোনো নিষ্ঠুর বাক্য শুনলে কানে আঙুল দিতে ইচ্ছে করে, ঘৃণায় ঘিনঘিন করে গা, অনেক সমালোচকেরও বাস্তবে তাই হচ্ছে। আমি লেখক কি না, আমার আত্মজীবনী তাও আবার ধারাবাহিকভাবে লেখার অধিকার আছে কি না, এমন প্রশ্নও তুলেছেন। বস্তুত সবার, যে কোনো মানুষেরই আত্মকথা লেখার অধিকার আছে। এমনকী আত্মম্ভর সেই সাংবাদিকেরও সেই অধিকার আছে যিনি মনে করেন আমার হাতে কলম থাকাই একটি ঘোর অলুক্ষণে ব্যাপার। আমাকে দোষ দেয়া হচ্ছে এই বলে যে, আমি চরম দায়িত্বহীনতার কাজ করেছি। আমি দায়িত্বহীন হতে পারি, যুক্তিহীন হতে পারি, তবু কিন্তু আমার অধিকারটি ত্যাগ করতে আমি রাজি নই। জর্জ বার্নার্ড শ বলেছিলেন, A reasonable man adopts himself to the world. An unreasonable man persists in trying to adopt the world to himself. Therefore, all progress depends upon the unreasonable man. বুদ্ধিমান বা যুক্তিশীল লোকেরা পৃথিবরি সঙ্গে মানিয়ে চলে। নির্বোধ বা যুক্তিহীনরা চেষ্টা করে পৃথিবীকে তার সঙ্গে মানিয়ে চলতে। এতএব সব প্রগতি নির্ভর করে এই যুাক্তহীনদের ওপর। আমি তসলিমা সেই যুক্তিহীনদেরই একজন। আমি তুচ্ছ একজন লেখক, এত বড় দাবি আমি করাছ না যে পৃথিবীর প্রগতি আমার উপর সামান্যতম নির্ভর করে আছে। তবে বিজ্ঞদের বিচারে আমি নির্বোধ বা যুক্তিহীন হতে সানন্দে রাজি। নির্বোধ বলেই তো মুখে কুলুপ আঁটিনি, যে কথা বলতে মানা সে কথা বলেছি, পুরো একটি সমাজ আমাকে থুথু দিচ্ছে দেখেও তো সরে দাঁড়াইনি, নির্বোধ বলেই পিতৃতন্ত্রের রাঘব বোয়ালরা আমাকে পিষে মারতে আসছে দেখেও দৃঢ় দাঁড়িয়ে থেকেছি। আমার মূর্খতাই, আমার নির্বুদ্ধিতাই, আমার যুক্তিহীনতাই সম্ভবত আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ।
ধর্মের কথাও উঠেছে। আমি, যাঁরা আমাকে জানেন, জানেন যে, সব ধরনের ধর্মীয় দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলি। ধর্ম তো আগাগোড়াই পুরুষতান্ত্রিক। ধর্মীয় পুরুষ ও পুঁথির অবমাননা করলে সইবে কেন পুরুষতন্ত্রের ধারক ও বাহকগণ! ওই মহাপুরুষেরাই তো আমাকে দেশছাড়া করেছেন। সত্যের মূল্য আমি আমার জীবন দিয়ে দিয়েছি। আর কত মূল্য আমাকে দিতে হবে।''
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:০১
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: মৌলবাদী সংগঠনের হয়ে, যদি তসলিমা নাসরিন যৌন জেহাদে নিয়োজিত হতো, তখন আর মৌলবাদীদের কোনো ধরনের আপত্তি থাকতো না । সেটা তাদের নিজেস্ব, হাদিসে আছে । একটি মেয়েকে তেড়িপার করে ধর্ম উদ্ধার হবে, আবার সরকারী ভাবে সেটাকে সমর্থন করবেন মানতে পারছি না আসলে আমরা এই কোনও অন্ধকার যোগে আছি ।
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
অকপট পোলা বলেছেন: এই লোকের নাম কিরে ভাই?
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০১
মিনেসোটা বলেছেন: কত শত নাস্তিক ছেলেপুলে দেশে বসে খায়দায় গানবাজনা করে, এমনিক চে গুয়েভারা টি শার্ট পড়ে ঘুড়ে বেড়ায়
ওদের যদি কেউ কিছু না বলে, তসলিমাকে বলার মতো কেউ নেই, উনি নিজেই আসতে চাইছেন না, দূর্মূল্যের বাজারে এখন ওনার বাজারদর কমতির দিকে। সুইডেনে তো আর খাওয়া পড়ার কষ্ট নেই