নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চোখ যেখানে যেমন...

আমার আমি ....

আব্দুর রহমান মিল্টন

শ্রমজীবি মানুষের চোখের এক ফোঁটা জল মুছে দেয়া আমার নিরন্তর প্রয়াস....

আব্দুর রহমান মিল্টন › বিস্তারিত পোস্টঃ

টুংগীপাড়ায় কিছুক্ষন...ভ্রমণ এবং ব্যাথায়

০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ৮:১৯



কখনোই কোথাও ঘুরে বেড়ানো হয় না, কিন্তু এখন ঘুরতে হচ্ছে পেশাগত নানা কারনে । কুমিল্লা, কক্সবাজার এর পর এই মুহুর্তে আছি টুংগীপাড়া, গোপালগঞ্জ । যোগ দিয়েছি ভোরের কাগজ'র জেলা প্রতিনিধি সম্মেলনে । এসেছে ৬৪ জেলার ৬৪জন জেলা প্রতিনিধি, কাগজ প্রতিবেদক, পত্রিকার সম্পাদক, মফ:স্বল সম্পাদক ও ঢাকা অফিসের রিপোর্টার। প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধী, তার বাড়ি ও স্মৃতি বিজড়িত অন্যান্য স্থান ঘুরে দেখলাম । ৭কোটি মানুষ কে স্বাধীনতার চেতনায় মন্ত্রমুগ্ধের মতো এক দাবিতে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিল যে মহানায়ক সেই মহানায়কের বাড়ি টুংগীপাড়া গিয়ে ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়েছি। সেখানে অনেক কিছু আছে আবার অনেক কিছু নাই, যেন চেরাকের গোড়ায় আঁধার! বঙ্গবন্ধু'র সমাধীর আশপাশ বাড়ি কোথাও তার কোন ম্যূরাল, প্রতিক্রিতি বা মূর্তি নাই, কেন নাই জানিনা। সারাদেশে এত ম্যূরাল তার প্রতিক্রিতি অথচ টুংগী পাড়ায় নাই ।

গোপালগঞ্জ'র বুক চিরে বয়ে চলা মধুমতি নদীতে দেখলাম এখনো রঙ্গীন পাল তোলা নৌকা চলে, লঞ্চ-স্টিমার চলে..আছে জোয়ার-ভাটা, খুব ভাল লাগল । টুংগী পাড়ায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এর হোটল মধুমতি তে থেকেছি দু'দিন । এ হোটেলের গাঁ ঘেসে মধুমতির শাখা ৩০-৪০ ফুট চওড়া শরু ভাগিয়া নদী । কি যে সুন্দর লাগছে, না দেখলে বুঝবেন না । গ্রাম প্রধান টুংগীপাড়ায় প্রচুর ধান চাষ হয়, ফলন আশাতীত, কৃষকেরা এ নদী দিয়ে নৌকায় ধান টানছে, দু'কুল ছেপে পানি, শিশু-কিশোরদের উচ্ছল ডুব-সাঁতার, নদীর দু'পাশ দিয়ে হিজল সহ গুল্ম জাতীয় নানা গাছ..খুবই দারুন একটা জায়গা টুংগীপাড়া, সব মিলিয়ে ভ্রমণ এবং ব্যাথায় কাটবে সময়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.