![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রমজীবি মানুষের চোখের এক ফোঁটা জল মুছে দেয়া আমার নিরন্তর প্রয়াস....
ভারতের গুজরাটে ২০০২ সালে তৎকালীন নরেন্দ্র মোদী সরকার সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করে যে বর্বর গণহত্যা ও লুটতরাজ চালায় তা ভারতের গত ৬০ বছরের ইতিহাসে আর একটিও নেই। ১৯৪৬সালের কলকাতা দাঙ্গাকেও ম্লান করে দেয় গুজরাটের দাঙ্গা। প্রশাসনের সহযোগীতায় সহস্রাধীক সংখ্যালঘু মুসলমানদের প্রকাশ্যে নিধন করা হয়। বর্তমান কেন্দ্রীয় মোদী সরকারে বিজেপি-আরএসএস, শিবসেনা-বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জোটের হাত ধরে আরও বহু গুজরাট গণহত্যা হবে না এটা জোর দিয়ে কি বলা যায়?
কোন সরকারের চরিত্র দিয়েই বোঝা যায় তার অভ্যন্তরীন ও পররাষ্ট্রনীতির স্বরুপ। যে সরকার অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে প্রতিক্রিয়াশীল, রথযাত্রার মতো অবাস্তব ও সেকেলে মানসিকতার কর্মসূচিতে বিশ্বাসী, যারা নিজ দেশে গণহত্যায় লজ্জা অনুভব করে না; বরং গৌরব অনুভব করে সেই সরকারের পররাষ্ট্রনীতি প্রগতিশীল হবে, এটা আশা করতে হলে প্রচুর গাঁজা সেবন করা দরকার।
ভারতের বর্তমান প্রতিক্রিয়াশীল সরকার দীর্ঘস্থায়ী হলে অসাম্প্রদায়িক, ধর্ম-নিরপেক্ষ শক্তির উথ্থান না ঘটলে ভারত প্রতিক্রিয়াশীল ও ধর্মান্ধ রথযাত্রী আর করসেবক, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, শিবসেনা আরএসএস-এর রাম রাজ্যেই পরিণত হবে। ভারতের নির্যাতিত প্রগতিশীল গণতন্ত্রকামী অসাম্প্রদায়িক-ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বন্ধুদের নিঃশ্বাস নেয়ার জানালা সেদিন বন্ধ হয়ে যাবে-- ঘনিয়ে আসবে অন্ধকার-রবীন্দ্রনাথের “দুঃসময়”। ভারতের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি কি পারবে ঘনায়মান সেই অন্ধকার রোধ করতে ?
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ২:০৭
উড়োজাহাজ বলেছেন: রামরাজ্য নিয়ে বর্তমানে সবার মাঝে ভুল ধারণা আছে। এই ধর্মাণ্ধরা নিজেরাও জানে না রামরাজ্য কি এবং কেমন।
জেনে নিতে পারেন এইলেখাটি থেকে।