![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রমজীবি মানুষের চোখের এক ফোঁটা জল মুছে দেয়া আমার নিরন্তর প্রয়াস....
বর্তমান বিশ্বে তথ্য প্রবাহের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে গণমাধ্যম। কিন্তু বাস্তবতা হল এই যে, আমাদের দেশে সরকারী ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত কতিপয় রাষ্টীয় গণমাধ্যম রয়েছে; যা কিন্তু নানা বাস্তবতার কারণে জনবান্ধব না হয়ে রাষ্ট্রতন্ত্রের প্রভাবে সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর বিভিন্ন ফিরিস্তি গীত গাইতে গিয়ে জনবান্ধব না হয়ে সরকার বান্ধবে পরিণত হয়েছে।
আর বে-সরকারী ও বানিজ্যিক পর্যায়ে যে সকল গণমাধ্যম রয়েছে, সেটা আরো হতাশা জনক। কথাটা অপ্রিয় হলেও সত্য যে, বাণিজ্যিক ধারায় পরিচালিত হওয়ার কারণে তথ্য প্রযুক্তিকে তারা কতটুকু কাজে লাগাতে পারছে, তা আজ ভাবনার বিষয়। কারণ অধিকাংশ গণমাধ্যমই প্রযুক্তির ব্যবহারগুলিকে সমাজের সংখ্যালঘু উচ্চবৃত্ত শ্রেণীর চিত্তবিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে আর নির্দিষ্ট গন্ডিতে আবদ্ধ কিছু সংখ্যক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করছে। যার ফলাফলও হচ্ছে উল্টো। সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য আরো প্রকট হচ্ছে, রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালনাও আরো জটিল আকার ধারণ করছে।
তাছাড়া আমরা একটু লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবো যে, আমাদের মূলধারার গণমাধ্যমে তৃণমূল মানুষের প্রবেশাধিকার অতিসীমিত। এই সকল ধারার গণমাধ্যমগুলি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক খবরের প্রতি বেশি আগ্রহী। ফলে এই গণমাধ্যম গুলোতে উপকূলীয়, প্রান্তিক কিংবা পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার সাথে জড়িত সংবাদ বা উন্নয়নমূলক প্রচারনার তেমন সাড়া পাওয়া যায় না। এটি অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।
সম্প্রতি সময়ে আমরা একটু লক্ষ করলেই দেখতে পাবো যে, এই জাতীয় গণমাধ্যম গুলো থেকে মানুষ ধীরে ধীরে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে স্বাধীন মতপ্রকাশের মাধ্যম খুঁজতে শুরু করেছে। যার ফল শ্রুতিতেই কিন্তু আজ সমাজে নানা গণমাধ্যম বা সামাজিক মাধ্যম সৃষ্টি হয়েছে এবং হচ্ছে। আর নতুন ধারার মাধ্যমগুলো (যেমন সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক কিংবা বিকল্প গণমাধ্যম কমিউনিটি রেডিও)’র জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে
©somewhere in net ltd.