![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“শিক্ষা সবার মৌলিক অধিকার” এই কথাকে সত্য মেনে নিয়ে ২০১৫ তে অন্যের বাসার উঠোনে পাটি বিছিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবন শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার যে মিশন “আলোকিত পাঠশালা ফাউন্ডেশন” শুরু করেছিল তা দেড় বছর পেরিয়ে আজ নিজেদের স্কুল রুমে ৪০ টি বাচ্চা নিয়ে ২টি ক্লাসে এসে দাঁড়িয়েছে। সিলেটের বালুচর ছরারপার এলাকায় “আলোকিত পাঠশালা” নামের এই কমিউনিটি স্কুলে প্রায় ৪০ টি সুবিধাবঞ্চিত শিশু সুযোগ পাচ্ছে প্রাইভেট স্কুলের মত শিক্ষা সাথে ফ্রি বইখাতা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা যা তাদের নিম্নবিত্ত মা-বাবা তাদের বাচ্চাদের দিতে দশবার চিন্তা করতে হয়।
এইসব নিম্নবিত্ত বাচ্চাদের জীবনে শিক্ষার আলো ছড়ানোর পাশাপাশি আমাদের চেষ্টা থাকে তাদের ভালোমন্দ খাওয়াদাওয়া ঈদে নতুন কাপড় দেওয়া যাতে এইসবেও যেন তারা একটু হলেও নির্মল ভালোবাসার স্পর্শ পায়।
তাই ২০১৫ এর মত আবারো আমরা সাহস করছি এই ৪০টি বাচ্চাকে ঈদের কাপড় ও ঈদের উপহারস্বরূপ সেমাই,দুধ,চিনি সহ অন্যান্য সামগ্রী যাতে ঈদের দিনটিতে বাচ্চারা নতুন পোষাক পড়ার আনন্দ পায়, সারা বছর না হোক এই দিনটিতে যেন সবার মত তাদের ঘরেও সেমাই রান্না হয়।
গত বছর প্রায় পঞ্চাশের মত শিশুকে নতুন ঈদের কাপড় দেওয়ার সময় আমরা দেখেছিলাম একটি নতুন কাপড় এই বাচ্চাদের চেহারা কি অপুর্ব হাসিতে ভরে দিয়েছিল। কারণ এসকল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সারা বছরেও একটা নতুন কাপড় ভাগ্যে জুটে কিনা সন্দেহ। তাই শুধু দেওয়ার জন্য দেওয়া না গতবারের মত সেরা কাপড়ের ভালো পোশাকটিই এই বাচ্চাদের পড়াতে চাই আমরা। আর এজন্যই আপনাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসাটুকু আজ বড় প্রয়োজন।
ঈদের নতুন পোষাক ও উপহার সামগ্রী মিলিয়ে প্রতিটি বাচ্চার পেছনে খরচ হবে ১০০০টাকা থেকে ১৩০০ টাকা। ৪০টি বাচ্চার জন্য প্রয়োজন ৪০ হাজার টাকারো বেশী। আমরা গুটিকয়েক ভলান্টিয়ারদের মাসিক চাঁদা ও শ্রমে যে পাঠশালা চলে সেই আমাদের একার পক্ষে এই ফান্ডের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ একটা দুঃসাহসই বটে! কিন্তু তারপরও আমরা বিশ্বাস করি, আমরা একটুখানি সাহস করে দাঁড়ালে এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য আপনারাও আমাদের সাথে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে দাঁড়াতে কার্পন্য করবেন না।
view this link
আলোকিত পাঠশালা - শুরুটা যেভাবে হয়েছিল
বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে এই বাচ্চাগুলোর ঈদ আনন্দকে বাস্তবে পরিণত করতে আপনিও শরিক হতে পারেন শুধু একটি শিশুর খরচ নিজ দায়িত্বে বহন করে। নিজের পরিবারের যাকাতের টাকাটা দিয়ে কিংবা এই ঈদের শপিং থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে চাইলেই আপনি অন্তত একটি শিশুর মুখে ঈদের হাসি ফুটাতে পারেন। ^_^
(ইভেন্ট থেকে সংগৃহীত লিখা)
আমাদের পেইজঃ https://www.facebook.com/AlokitoPathshala.org
আমাদের ইভেন্টঃ Click This Link
©somewhere in net ltd.