![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা, আহমদ মোজতবা (সাঃ) মানব জাতির মুক্তির জন্য যে ধর্ম প্রবর্তন করে গেছেন তা-ই মোহাম্মদী ইসলাম।
এ সম্পর্কে হযরত রাসুল (সাঃ) হাদিসে ফরমান, ” ইসলামের স্তম্ভ হলো পাঁচটি বিষয়ের উপর (১) আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং নিশ্চয় মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল-এ কথার সাক্ষ্য দান (২) সালাত কায়েম করা (৩) যাকাত দেয়া (৪) হজ্জ করা এবং (৫) রমজানের সিয়াম পালন করা। ” ( বোখারী ও মুসলিম শরিফের সূত্রে মেশকাত পৃষ্ঠা-১২)
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর এ ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ধর্মই হলো মোহাম্মদী ইসলাম। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে ” নিশ্চয় ইসলাম আল্লাহর একমাত্র মনোনীত ধর্ম ( সুরা আলে ইমরান)
ইহাতে পরিস্কার যে, হযরত আদম (আঃ) হতে শুরু করে আখেরী নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) পর্যন্ত আল্লাহর মনোনীত সকল নবীগনের প্রবর্তিত ধর্মই ছিল ইসলাম। সমুস্ত নবী-রাসুলগনের ধর্মের অন্তর্নিহিত দিক অভিন্ন বলেই তারা প্রত্যেক সমকালীন যুগের মানুষের জন্য সময়োপযোগী জীবন বিধান তথা শরিয়তের বিধি বিধান প্রবর্তন করে গেছেন।
এ কারনেই হযরত আদম (আঃ) এর উম্মতের কালেমা ছিল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আদামু সফিউল্লাহ, হযরত নূহু (আঃ) এর উম্মতের কালেমা ছিল- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু নুহুনাবিউল্লাহ, হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর উম্মতের কালেমা ছিল- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ, হযরত ঈসা (আঃ) এর উম্মতের কালেমা ছিল- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ঈসারুহুলুল্লাহ, শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মতের কালেমা হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ।
অর্থাথ সমুস্ত নবী রাসুলের উম্মতগনই তাদের কালেমাতে প্রথমত তাওহীদের স্বীকারোক্তি করেছেন এবং স্বীয় নবীর প্রতি আনুগত্যের সাক্ষ্য হিসেবে নিজ নবীর নাম উল্লেখ করেছেন।
হযরত রাসুল (সাঃ) হলেন, অতিত যুগের নবীগনের প্রবর্তিত ইসলামের সর্বাধুনিকতম সংস্কারক। যার মাধ্যমে ইসলাম পুর্নতা লাভ করেছে। এ মর্মে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে ” আজ আমি তোমাদের ধর্মকে পুর্ন করে দিলাম, তাতে আমার নেয়ামত পরিপুর্ন করে দিলাম, এবং ইসলামকে একমাত্র ধর্ম হিসেবে মনোনীত করলাম ” ( সুরা মায়িদাহ-৩)
আমরা জানি যে, হযরত আদম (আঃ) হতে শুরু করে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) পর্যন্ত আল্লাহর মনোনীত সকল নবীগনের প্রবর্তিত ধর্মই ছিল ইসলাম। সমুস্ত নবী ও রাসুলগনের ধর্মের অন্তর্নিহিত দিক অভিন্ন বলেই তারা প্রত্যেকেই সমকালীন যুগের মানুষের জন্য সময়োপযোগী জীবন বিধান তথা শরিয়তের বিধি বিধান প্রবর্তন করে গেছেন। অনুরূপভাবে আখেরী নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)ও সকল মানব জাতির মুক্তির জন্য যুগোপযোগী ও বিজ্ঞান সম্মত জীবন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে এর নামকরণ করেন মোহাম্মদী ইসলাম।
আমরা যেহেতু পূর্ববর্তি কোন নবীর ধর্ম অনুসরণ না করে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দেয়া ইসলামি বিধান অনুসরণ করি, সেহেতু আমাদের এ ধর্মের নাম ‘মোহাম্মদী ইসলাম’ নামে পরিচিত হওয়া অধিকতর যুক্তিসংগত। এ কারনেই আইন শাস্ত্রে ইসলামি জীবন বিধান Muhamadan Law হিসেবে বিশ্বময় স্বীকৃতি লাভ করেছে। তাছাড়া বিভিন্ন তাফসীর কারকগন তাদের তাফসীরের কিতাবে ইসলাম ধর্মকে ” দ্বীনে মোহাম্মদী ‘ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মুলত উহাই মোহাম্মদী ইসলাম
ইতিহাস থেকে জানা যায়, মোহাম্মদী ইসলামের স্বর্ন যুগ ছিল ৫৩ বছর। হযরত রাসুল (সাঃ) এর নবুয়্যত জীবনের ২৩ বছর এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের ৩০ বছর। এ দীর্ঘ সময়ে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মতগণ মোহাম্মদী ইসলামের অনুসারী হিসেবেপরিচিত ছিল।
কিন্তু উমাইয়াদের শাসনামলে ইসলামি খেলাফতের নাম পরিবর্তন করে উমাইয়া শাসন হিসেবে আখ্যায়িত করা হলো তখন মোহাম্মদী ইসলাম হতে মোহাম্মদ বাদ দিয়ে শুধু ইসলাম রাখা হয়েছে। এভাবে মুসলমানদেরকে সুকৌশলে রাসুল (সাঃ) থেকে বিচ্ছিন্ন করে মুসলিম জাতিকে কান্ডারী বিহীন করা হয়েছে। তাই আজ আমরা আমাদের প্রিয় নবীর নাম সম্বলিত মোহাম্মদী ইসলামের কথা শুনলে চমকে উঠি। অথচ দুনিয়াতে যত ধর্ম, যত মতবাদ, যত আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তার সবই প্রায় প্রবর্তকের নামানুসারেই প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
এমনকি ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন মাযহাব ও তরিকা গুলো ঈমামগনের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনের তাফসীর গ্রন্থ গুলোর নামকরণ করা হয়েছে তাফসীর কারকগনের নামানুসারে। অনুরুপ ভাবে হাদীস সংগ্রহ কারীদের নামানুসারেই হাদীস গ্রন্থ গুলোর নামকরণ করা হয়েছে।
সুতরাং মোহাম্মদী ইসলাম নতুন কোন বিষয় নয়, এটা হলো হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবর্তিত আল্লাহর মনোনীত ইসলাম, যা হেরা গুহায় উৎসারিত
রেফারেন্স:
১। মোহাম্মদী ইসলাম
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৩
মীর সাখওয়াত হোসেন বলেছেন: মোহাম্মদী ইসলামের অনুসারী হিসেবেপরিচিত ছিল না তার পক্ষে দলিল দেখান?
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৩
নতুন বলেছেন: একমাত্র দেওয়ানবাগীই মোহাম্মদী ইসলামের বর্তমানের কান্ডারী।
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্বনবী!!!
বিশ্বনবী???
আচ্ছা, নবীজি কত গুলো দেশ ভ্রমন করেছেন?
৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০২
সোনাগাজী বলেছেন:
নবী (স: ) পারসিক, বায়জান্টাইন ও ইহুদীদের ভালো জীবন দেখার পর, স্ব-জাতি আরবদের জন্য একটা রাজত্ব গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৬
মীর সাখওয়াত হোসেন বলেছেন: বিষয় টা তেমন না। যদি রাজত্ব গঠনে ই তার মনযোগ থাকত তবে এত কষ্ট করা লাগত না।
৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই লেখাটা কপি - পেস্ট লেখা। এই সাইট থেকে কপি- পেস্ট করেছেন shorturl.at/gjzG8।
অথবা এই লিঙ্কে যান;
https://mohammodiislam.com/মোহাম্মদী-ইসলাম-বলতে-কি-ব-2/
এগুলি দেওয়ানবাগীর ভ্রান্ত আকিদা।
১০ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৬
মীর সাখওয়াত হোসেন বলেছেন: ভ্রান্ত আকিদা কিভাবে বললেন? ইসলামের সঠিক ইতিহাস জানুন আগে। কারা ইমাম পরিবারের হত্যাকারী? জানেন? এরপর আরবের শাসন ব্যাবস্থা কেমন চলছিল?
৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৬
নতুন বলেছেন: @মীর সাখওয়াত হোসেন ভাই দেওয়ানবাগীর অর্বতমানে দুনিয়ার ১ নং পীর কে?
তার ছেলেকে তিনি আল্লাহ সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন কি?
বর্তমানে তার ছেলেই কি আল্লার সাথে ডাইরেক্ট যোগাযোগ রাখতেছেন?
১০ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৯
মীর সাখওয়াত হোসেন বলেছেন: তার অবর্তমানে তার দেখানো আদর্শ ই সবাই অনুসরণ করবে। কোন গদিনশীন পীর থাকবে না।
৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫২
নতুন বলেছেন: ভাই তাহলে ওরস,পীরের দরবারের এতো টাকা পয়সা, এই ব্যবসার বর্তমানের সিইও কে হবে?
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪২
মীর সাখওয়াত হোসেন বলেছেন: ও গুলো আগেও দরবারের ভক্ত দের জন্য খরচ হতো এখনো তাই হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ইতিহাস থেকে জানা যায়, মোহাম্মদী ইসলামের স্বর্ন যুগ ছিল ৫৩ বছর। হযরত রাসুল (সাঃ) এর নবুয়্যত জীবনের ২৩ বছর এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের ৩০ বছর। এ দীর্ঘ সময়ে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মতগণ মোহাম্মদী ইসলামের অনুসারী হিসেবেপরিচিত ছিল।
ভাই, এ সংক্রান্ত কোন হাদিস দ্বারা দলীল দিতে পারবেন?