নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর মশাল

মীর সাখওয়াত হোসেন

বিজ্ঞানপ্রেমী মানুষ

মীর সাখওয়াত হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওহাবী বাতিল মতবাদের স্বরূপ উন্মোচন

২৬ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭

নজদী ওহাবীদের সম্পর্কে আলােচনা করার পূর্বে নজদ দেশ সম্পর্কে আলােকপাত করতে চাই। আরবের মক্কা নগরীর সােজা পূর্ব দিকের একটি প্রদেশের নাম নজদ । এখন উক্ত নজদ দেশটি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ নামে পরিচিত। এই এলাকার অধিবাসীরা ঐতিহাসিক ভাবে নানা কারনে অভিশপ্ত হয়ে আসছে। বিশ্ব মানবতার শ্রেষ্ঠতম ও পবিত্রতম ধর্ম ইসলামের আবির্ভাবেও অত্র অঞ্চলবাসী খুব কমই প্রভাবান্বিত হয়েছে। ইসলামের প্রারম্ভিক কাল হতে এরা ধর্মের সঙ্গে শত্রুতা করে আসছে। শেখ নজদী নামক এক ধুরন্ধর ব্যক্তি ঘুমন্ত অবস্থায় মহানবী (দঃ) কে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল। নজদবাসীদের দুষ্কর্মের জন্য মহানবী (দঃ) এর মনে ক্ষোভ প্রকাশ পাওয়ায় তাদের প্রদেশে আজ পর্যন্ত কোন উল্লেখযােগ্য ইমানদার ব্যক্তির জন্ম হয়নি বরং এখান থেকে শয়তানের শিং এর আবির্ভাব ঘটে। এখানে মাটির অভ্যন্তরে আজ পর্যন্ত কোন খনিজ সম্পদের উদ্ভব ঘটেনি। শেখ নজদী, মুসাইলামা, কাজ্জাব ও মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদী ছিলেন এই প্রদেশের অধিবাসী। বীরে মাউনার হৃদয় বিদারক ঘটনা এখানেই ঘটে। এই ঘটনায় নজদীর অনুচরেরা সত্তর জন নিরপরাধ সাহাবীকে নজদবাসীরা শহীদ করে। উক্ত ঘটনার পর সাহাবী সমন্বয়ে মহানবী (দঃ) নামাজান্তে কুনুতে নাজেলার মাধ্যমে নজদবাসীর জন্য বদদোয়া করেন। বর্তমানকালেও এর প্রতিশােধ হিসেবে নজদবাসীগণ হুজুর পাকের শানে কুলু হারাম রুহু বাক্যটি উচ্চারণ করে অর্থাৎ রওজার পাশে সব কিছু হারাম, এই স্থান ত্যাগকর সকল নজদবাসী এই নীতিতে বিশ্বাসী তারা নবীজীর প্রতি ঘৃণা পােষণ করে। নজদের অধিবাসীদের কঠিন দিল শয়তানী আচরণ ও ইসলামে ফেতনা ফেসাদ সৃষ্টির মূল ঘাঁটি হিসেবে বর্ণনা করে আরও বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। বাস্তব জীবনেরও দেখা গেছে এ প্রদেশের অধিবাসীদের অনুরূপ কঠিন আচরণ।
এই নজদ দেশটি সম্পর্কে মিশকাত শরীফের বরাত দিয়ে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত- একদা বিশ্ব নবী (দঃ) আরব ভূখণ্ডের জন্য দোয়া করছিলেন- হে আল্লাহ আমাদের শ্যাম দেশে বরকত প্রদান কর । হে আল্লাহ আমাদের ইয়ামেন দেশে কল্যাণ সাধন কর। এই দুই দেশের জন্য দোয়া করে তিনি হাত নামিয়ে ফেললেন। উপস্থিত শ্রোতাদের মধ্যে জনৈক সাহাবী আরজ করলেন- “হে আল্লাহর রাসূল আমাদের নজদের জন্য দোয়া করুন।
মহানবী দ্বিতীয়বার হাত উঠিয়ে পূর্বের মত দোয়া করে হাত নামিয়ে ফেললেন। জনৈক সাহাবী পূর্বের মতই আরজ করলেন মহানবী (দঃ) তৃতীয়বার দোয়া শেষ করে সাহাবীদের প্রতি লক্ষ করে বললেন- “হে আমার বন্ধুরা তােমরা নজদের জন্য দোয়া করতে বার বার আরজ করছ আমিও নজদের জন্য দোয়া করতে চেষ্টা করছি কিন্তু নজদ ও নজদের অধিবাসীদের জন্য কোন দোয়া আমার অন্ত করণ থেকে আসছেনা। যে অঞ্চল সৃষ্টির আদি থেকে আল্লাহর অনুগ্রহ হতে বঞ্চিত সে ভূখণ্ডের জন্য দোয়া করি কিভাবে? আমার ওফাতের পর এই দেশ হতে ভূমিকম্প স্বরূপ তােলপাড়, ফেতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি হবে এবং এই দেশ হতে শয়তানী দলের আবির্ভাব ঘটবে।” মহানবী (দঃ) এর ওফাতের পর তার এই ভবিষ্যৎবাণী অক্ষরে অক্ষরে বাস্তব রূপ ধারণ করে। বােখারী এবং মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে হযরত আবু হােবায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে-মহানবী এরশাদ করেছেন- “নজদ হতে আমার ওফাতের পর শয়তানের তীক্ষ্ণধার দুটো শিং বেরুবে। মুসাইলামা কাজ্জাব নামের ভণ্ড নবীর দাবীদার সেই শয়তানের প্রথম শিং বলা হয় । সে হযরত আবুবকর (রাঃ) খেলাফতের সময় আবির্ভূত হয়। ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য সে একটি শক্তিশালী বাহিনী গঠন করে। তাকে সমূলে উৎপাটন করার জন্য হযরত আবুবকর হযরত একরামা ও হযরত সারজিল (রাঃ) কে প্রেরণ করেন। পরে তাদের বাহিনীর সাথে খালিদ বিন ওয়ালিদের বাহিনীও যােগদান করেন । এই যুদ্ধে মুসলিম পক্ষের বহু হাফেজে কোরআন ও হাক্কানী আলেম নিহত হন। ওহায়সী যিনি হযরত হামজা (রাঃ) কে ওহুদের যুদ্ধে শহীদ করেছিলেন তার তীরের আঘাতে মুসাইলামা কাজ্জারের ভবলীলা সাঙ্গ হয়। তার তিরােধানের পরও চোরাগুপ্তা নজদী বাসীর ইসলাম বিরােধী তৎপরতা মন্থর গতিতে অব্যাহত থাকে তবে এর পর প্রকাশ্যে এদের দুশমনী ধরা পড়েনি।
মিশকাত শরীফের প্রথম খণ্ডের কিয়াস শীর্ষক আলােচনায় মুরতাদদের (ধর্মদ্রোহীদের হত্যা) অধ্যায়ে নাসাই শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে হযরত আবু দারদা। (রাঃ) হতে বর্ণিত যে- একবার হুজুর (দঃ) কিছু গণিমতের মালবন্টন। করছিলেন, তখন পিছন থেকে একজন লােক বলে উঠল-“হে মুহাম্মদ আপনি। ন্যায়সঙ্গতভাবে বণ্টন করেন নাই।" হুজুর রাগান্বিত হয়ে বললেন- “আমার পর আমার থেকে বেশী কোন ইনসাফকারী ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি পাওয়া যাবে না।” অতঃপর তিনি বললেন- শেষ জমানায় প্রশ্ন উত্থাপনকারীর বংশ হতে একটি গােত্রের উদ্ভব হবে যারা কোরআন পাঠ করবে বটে কিন্তু কোরআন তাদের কণ্ঠদেশের নিচে নামবে না অধিকন্তু তারা ইসলাম থেকে এমনিভাবে দূরে চলে যাবে যেমনি করে তীর ধনুক হতে বের হয়ে যায়। তারপর বললেনমাথা মুড়ানাে হল তাদের বিশেষ চিহ্ন। তাদের দল একের পর এক বের হতে থাকবে শেষ পর্যন্ত তাদের একটি দল দাজ্জালের সাথে মিলিত হবে। যদি তােমরা সাক্ষাৎ পাও তারা হল সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস তারা মূর্তি পূজারীদের ছেড়ে দেবে কিন্তু মুসলমানদের হত্যা করবে। কিতাবুল আম্বিয়া ইয়াজুজ মাজুজ কাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত বর্ণনা মুসলিম ও মিশকাত শরীফে আল মুজমাত অধ্যায় প্রথম পরিচ্ছেদ দেখুন । হাদিস বিশারদগণ বলেন প্রথম শিং দ্বারা ভণ্ড নবী মুসাইলামা কাজ্জাবকে ইঙ্গিত করা হয়েছে সে হিজরী ১১ সনে আবির্ভূত হন। দ্বিতীয় শিং দ্বারা মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এই ব্যক্তি মুসাইলামা কাজ্জাবের আবির্ভাবের প্রায় ১১শত বছর পর আবির্ভূত হন। বহুকালের প্রতিষ্ঠিত ইসলামের মূল কাঠামােতে এই ব্যক্তি এসে প্রবল ঝাঁকুনি দেয় সে সমস্ত আবর ভূখণ্ডে তােলপাড় এবং ফেতনা ফেসাদ সৃষ্টি করে।
মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদী ওহাবী মতবাদের উদ্ভাবক সে ছিল মিথ্যা ভণ্ড নবী দাবীদার মুসাইলামা কাজ্জাবের বংশধর। এই পাপিষ্ঠ ব্যক্তি নজদ প্রদেশের বণি তামিম গােত্রের উযাইনা বস্তিতে ১১২২ হিঃ জন্মগ্রহণ করেন । ১২০৬ হিঃ ৯৭ বৎসর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তার মা শরিয়ত বিরােধী কাজ করলে শরীয়তের বিচারে তাকে নাকে দাগ দেয়া হয়। আব্দুল ওহাব নজদী ছােটবেলায় তার মার কোলে থেকে উক্ত দাগ দেখে এর কারণ। জানার জন্য মাকে বার বার তাগিদ দিল । ফলে তার মা বলল- ইহা মােহাম্মদী শরিয়তের বিচারের চিহ্ন। এ কথা শুনে নজদী তখনই প্রতিজ্ঞা করল আমি মােহাম্মদের ধর্মের বিরােধিতা করব । এই নবীর দ্বীনকে দুনিয়া থেকে মিটাইয়া দেব । নজদীর মা তাকে বার বার নিষেধ করে বলল এসব কথা বল না যদি মুসলমানেরা শুনে তােমাকে কতল করে ফেলবে। বাবা আমার নসীবে যা লিখা ছিল তাই ঘটেছে তােমার প্রতিশােধ নিতে হবে না। ভাগ্যের কি পরিহাস। ছােটবেলায় মনের দাগ মিটলনা। মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদী ক্রমান্বয়ে। বড় হতে লাগল ঐতিহাসিক বলতরণ বলেন- মুহাম্মদ বিন নজদী প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করে শেখ সুলাইমান কুরদি শাফেয়ী ও শেখ মােঃ হায়াত হােসেন সিন্ধী হতে। সে বাল্যশিক্ষার যুগ হতেই নবী করিম (দঃ) এর নবুয়ত ও রেসালাতের ঘাের বিরােধী ছিল । বাল্যকালে সে মুসাইলামা কাজ্জাব আসওয়াদ প্রমুখের বংশধরদের সাথে সংশ্রব ও আনা গােনা রেখে চলত । উক্ত দুজন শিক্ষকের শিক্ষা পরিত্যাগ করে খারেজী ও মৌলবাদীদের ভ্রান্ত কিতাবসমূহ অধ্যয়ন করতে লাগল । অবশেষে ১১৫০ হিঃ প্রথমে সে খারেজী আকিদা প্রচারে লিপ্ত হয় কিন্তু তখন খারেজী মতবাদকে জনগণ ঘৃণার চোখে দেখত তাই সে গােপনে খারেজী মতবাদের আড়ালে নিজস্ব ওহাবী আকিদা, প্রচার করতে থাকে। নজদীর আপন ভাই শেখ সােলাইমান নজদী আব্দুল ওহাব নজদীর প্রথমে বিরােধিতা করেন তার এই ভ্রান্ত মতবাদখানা আরবের কেউ বিশ্বাস করল না তবে একে সর্বপ্রথম মনেপ্রাণে গ্রহণ করলাে দারইয়ার বেদুইন সর্দার ইবনে সউদ।
মােহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর প্রণীত দুখানা কুফরী পুস্তক রয়েছে। প্রথম পুস্তকের নাম কিতাবুত তৌহিদ, দ্বিতীয়টির নাম কাশাফুশ শুবাহাত । উক্ত দু'খানা পুস্তককে মুসলিম উম্মার ইমান ধ্বংসকারী ধর্মনাশক পুস্তকরূপে অভিহিত করেছেন। নজদী সাহেবের কুফরী উক্তিসমূহের মধ্যে রয়েছে সে বলে-হুজুর (দঃ) ক্ষমতাশূন্য লােক ছিলেন। তার ভালমন্দ কিছু করার ক্ষমতা ছিল না । হানাফী, মালেকী, হাম্বলী, সাফিই এই ইমামের অনুসরণ অনুকরণ করা শিরিকতুল্য অপরাধ । আম্বিয়া আউলিয়া কেরামগণকে ঘৃনা না করলে মুশরিক হয়ে যাবে । এরূপ আকিদার বিশ্বাসীদের বিবাহিত স্ত্রী অপহরণ করতঃ উপভােগ করা ভাল। পাপিষ্ঠ ওহাবী তার আরাে বহুসংখ্যক ভ্রান্ত মতবাদকে একত্রিত করে প্রথমে আরব ভূখণ্ডে প্রচার করতে থাকে। কিন্তু তার এই তথাকথিত মতবাদকে শুধু মুসলমান নয় তথাকার প্রত্যেক বিধর্মীগণ পর্যন্ত প্রত্যাখান করেছে । ইবনে সউদ ছিল আব্দুল ওহাব নজদীর ভগ্নিপতি । ওহাব নজদী তার স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বহু প্রলােভন দিয়ে আপন বােনকে বেদুইন সর্দার সউদের নিকট বিবাহ দেন। ওহাব নজদী একদা তার দুজন শিক্ষক গুরুর সামনে মহানবী সম্পর্কে কটুক্তি করে মন্তব্য করে যে মহানবী ছিলেন একজন তারেস (ডাকপিয়ন)। শিক্ষকদ্বয় তার মন্তব্যের প্রতিবাদ করলে সে তাদেরকে চরম অপমান করে শ্রেণী কক্ষ ত্যাগ করে (দারারুস সানিয়া)। একদা ওহাব নজদী দারইয়ার মসজিদে ভাষণে বলেন- যে ব্যক্তি তার প্রবর্তিত
ওহাবী মতবাদ গ্রহণ করবে না সে কাফের হয়ে যাবে । যে ব্যক্তি হযরত। মােহাম্মদ (দঃ) এর নামের ওছিলা করবে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। উক্ত। ভাষনের প্রতিবাদ করেন তার আপন ভাই শেখ সােলাইমান নজদী । মন্তব্যের কারণে ওহাব নজদী আপন ভাইকে হত্যার নির্দেশ দেন। অতঃপর শেখ। সােলায়মান হত্যার ভয়ে মদিনায় গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং ওহাবী মতবাদের বিরুদ্ধে একটি রেসালা লিখে জনগণকে তার চেতনা থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করে দেন।
ওহাব নজদী একবার মদীনা আগমন করে মসজিদুন্নবীর বাইরে সুন্নী উলামায়ে কেরামদের এক বাহাছ অনুষ্ঠানের আহবান করেন এবং তাদের সামনে শােচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে রাতের অন্ধকারে মদীনা ত্যাগ করেন। পরাজয়ের কথা সে যখন ইবনে সউদের কাছে ব্যক্ত করলেন তখন ইবনে সউদ তার শ্যালকের কথা শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল । উভয় প্রতারক একত্রিত হয়ে সুন্নী ইমামগণকে জব্দ করার প্রস্তুতি নিতে লাগল এবং দুজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আরবের মূখ যাযাবর দ্বারা একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করার পর তারা সকলে সংঘবদ্ধ হয়ে মদীনার আশেপাশে চুরি, ডাকাতি, হত্যা লুণ্ঠনের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করল। গুণ্ডা বাহিনী আগ্রাসন পরিচালিত করে আরবের কতক এলাক দখল করে নেয় তথা ওহাবী হুকুমত চালু করল। ১২১৮ খ্রিঃ পর্যন্ত ওহাবীরা আরব ভূখণ্ডে গােপনে এবং প্রকাশ্য একটি ভ্রান্ত মতবাদ প্রতিষ্ঠা করে যার নাম ওহাবী মতবাদ ও ওহাবী ধর্ম। মােহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদী ছিল খারেজীপন্থী তকিউদ্দিন ইবনে তাই মিয়ার অনুসারী । তার দলভুক্তগণ বহু পূর্ব হতে নবী সাহাবী আউলিয়া ও শহীদগণের মাজার শরীফ এর জেয়ারত তার উদ্দেশে সফর সঙ্গী গ্রহণ করা হারাম আকিদা পােষন করে আসছে। ইবনে তাইমিয়া নামের একজন ওহাবী মুরুব্বী দামেস্কে অবস্থান করার ফলে একটি ফতােয়ার মধ্যে ঘােষণা দিয়েছিল যে- হুজুর পাক (দঃ) এর রওজা শরীফ জেয়ারত করার জন্য সফর করা। হারাম । ইবনে তাইমিয়া কটুক্তি করে আরাে বলেছেন যে- হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যে, রাতদিন মুহর্তে মুহুর্তে লক্ষ লক্ষ ফিরিস্তার দল আসমান হতে অবতরণ করে রওজা শরীফ জেয়ারত করেন এই হাদিসটি তাইমিয়ার বিশ্বাসযােগ্য নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করে। ইবনে তাইমিয়ার ধর্মনাশা। ফতােয়াখানা প্রকাশিত হওয়ার পর মিশর, শ্যাম ও দামেস্কের মধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজে হৈ চৈ পড়ে যায় এবং তাইমিয়ার প্রতিবাদে মুসলমানগণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। সুন্নী উলামাগণ তাকে কোন ধরনের সাজা দেবেন এ সম্পর্কে সকল মুসলমান আল্লামা বােরহান বিন ফাবকার নিকট উপস্থিত হন। তিনি ৪০ পূঃ বিস্তত কোরআন সুন্নাহ ভিত্তিক একটি ফতােয়ার মধ্যে বলেন যে-ইবনে তাইমিয়া কাফের এবং ধর্মচ্যুত হয়েছে সে কঠিন শাস্তি পাওয়ার যােগ্য ইবনে। তাইমিয়ার কুফরি ধর্মের শাস্তি নির্ধারণের জন্য জনগণ তখন সাফেয়ী মালেকী, হানাফী প্রমুখ কাজীদের নিকট রক্ষ্ম হন । (১) কাজী বদর বিন জারিরী হানাফি বলেন যে- ইবনে তাই মিয়াকে গ্রেফতার করে গণপিটুনির মাধ্যমে মেরে ফেলা হােক (২) কাজী হানাফি বলেন যে- ইবনে তাইমিয়াকে হত্যা করা হােক, কারণ হুজুর পাকের রওজা শরীফের বিরুদ্ধে ফতােয়া রচনা করা একটি প্রকাশ্য কুফরি কর্ম; দ্বিতীয়ত, যে কুফরী ফতােয়াকে ঘােষণা দেয় ইহা তাে প্রকাশ্য ধর্মচ্যুতির লক্ষণ। অবশেষে ইবনে তাইমিয়াকে মিশরে পলাতক থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় । ৭২৬ হিঃ শাবান মাসে তাকে দামেস্কের কিল্লাতে বন্দী করা হয় । ৭২৮ হিঃ জিলকদ মাসের ২০ তারিখ খারেজী ও ওহাবী ধর্মের বড় মুরুব্বী সাহেব শােচনীয় অবস্থায় সেখানে বন্দী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। (সাইফুস সাকিল-১৫৬পৃঃ)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ওহাবী মতবাদ একটি জঘণ্যমতবাদ।

২| ২৬ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৬

কাঁউটাল বলেছেন: আব্দুল ওহাব নজদির পিছনে ব্রিটিশ মিশনারি গোয়েন্দা হ্যামফার এবং তার সংগি সাথিদের অনেক বিনিয়োগ আছে বলে জানা যায়। ১৭ বছরের কিশোর আব্দুল ওয়াহাব নজদিকে ব্রিটিশ গোয়েন্দা হ্যামফার বসরা শহরে আবিষ্কার করে। ছোটবেলা থেকেই সে খুব মেধাবী কিন্তু বেয়াদব ছিল। তৎকালীন ব্রিটিশ মিনিস্ট্রি অফ কমনওয়েলথ আব্দুল ওয়াহাব নজদিকে মুসলমানদের মধ্যে উপদল সৃষ্টির জন্য ভবিষ্যত বীজ হিসাবে বিবেচনা করে। ব্রিটিশ স্পাইরা মুতা বিবাহের নামে খ্রিষ্টান নারী স্পাইদের সাথে আব্দুল ওহাবকে ব্যাভিচার এবং মদ-এ আসক্ত করে তোলে। শয়তানের উপাসক ফ্রিম্যাসনিক এমপায়ার (ব্রিটিশ সম্রাজ্য) এর মিনিষ্ট্রি অব কমনওয়েলথ ৬ টা মিশন অবজেকটিভ দিয়ে হ্যামফারকে নজদে পাঠায়। প্রথম অবজেকটিভ ছিল কাবা ঘরকে মূর্তি হিসাবে ঘোষনা দিয়ে ধ্বংস করে দিতে হবে, ২য় উদ্দেশ্য ছিল কুরআন শরীফ বিকৃত করতে হবে... তবে এক পর্যায়ে আব্দুল ওয়াহাব হ্যামফারকে বলে যে এই দুই কাজ করতে গেলে ওসমানি সুলতান যেই সেনাবাহিনী পাঠাবে হ্যামফারের ব্রিটিশ কমান্ডোবাহিনী তার মোকাবেলা করতে পারবে না।

সে আক্ষরিক অর্থেই শয়তানের শিং ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে ছালাফি- তথাকথিত আহলে হাদিসরা এই আব্দুল ওয়াহাব নজদির অনুসারি। তথাকথিত শায়খ আহমাদুল্লাহও ওয়াহাব নজদির ভক্ত। সব শালা শয়তানের শিং নেটওয়ার্কের খেলোয়াড়।

এই বিষয়ে একটা বই বাজারে পাওয়া যায়। তুরষ্ক হতে ছাপানো বইটা বাংলা ভাষায় অনুবাদ হয়েছে, দাম মাত্র ৮০-১০০ টাকা। রকমারি থেকে কিনতে পারেন। এই বই না পড়লে বুঝতেই পারবেন ব্রিটিশ-আমেরিকান সম্রাজ্য আসলে কি জিনিস।

বাংলা বই এর রকমারি লিনক
https://www.rokomari.com/book/9351/ek-british-goyendar-diary-islamer-biruddhe-shorojontre-niyojito

মূল তুর্কি ইংরেজি বই এর লিংক
Click This Link



৩| ২৬ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন:

গল্প ভাল হয়েছে!! নজদীর মা ও তাঁর কথপোকথন কিভাবে সংগ্রহিত হলো?

আমি জন্মসুত্রে মুসলমান, জন্মসুত্রে হানাফি, জ্ঞান কম তাই অত বেশি জানার চেষ্টা করি না তবে একটা বিশ্বাস খুব করি মাজার পুজারীর মুসমান নামের আস্ত ভন্ড।

৪| ২৬ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

কামাল১৮ বলেছেন: বাংলাদেশের মুসলমানরা বেশির ভাগ ওহাবী।

৫| ২৬ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


বাংলাদেশের মুসলমানরা বেশির ভাগ ওহাবী মতবাদের না।

বাংলাদেশের একমাত্র 'জামাতে ইসলাম' দলটি ওহাবী মতবাদের।
আর মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম ব্রাদারহুড দলটি ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসী।
এছাড়া আল-কায়েদা, ইসলামিক স্টেট, এরাও ওহাবী ও সালাফী মতবাদে বিশ্বাসী।

ওহাবী মতবাদের মূলমন্ত্র একটিই, তাদের দলে যুক্ত হয়ে তাদের মতবাদে একাত্মতা প্রকাশ না করলে তার মৃত্যুদণ্ড হবে।
অর্থাৎ সবাইকে তাদের মতবাদ মানতেই হবে নতুবা মৃত্যুদণ্ড। নইলে গুপ্তহত্যা।

৬| ২৬ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৪

কামাল১৮ বলেছেন: @হাকা,যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তারা মুসলমান।বাকিরা নামে মুসলমান।আমি তাদের কথা বলেছি।মোট জনসংখ্যার ১৫%বা ২০% হবে।

৭| ২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৪

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: যাক দেখে ভালো লাগছে যে ব্লগাররাও ওহাবী মতবাদ সম্পর্কে জানে। এই মতবাদের মূলে রয়েছে ইবনে তাইমিয়া। ত্কে তার জীবদ্দশায় তৎকালীন আলেমরা ফতোয়া দিয়ে কারারুদ্ধ করে রেখেছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে। আল কায়েদা বেসামরিক লক্ষ্যবস্থুতে হামলা করে বৈধতার যে ফতোয়া জারি করেছিলো সেখানে ইবনে তাইমিয়ার উদ্ধৃতি ছিল। ওহাবী মতবাদ নূতন কোনো মতবাদ নয়। এটা ইবনে তাইমিয়াকেই ঘষামাজা করে নূতনরূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। অনেক বিশুদ্ধ আলেস যাদেরকে আমরা মানি যেমন আল্লামা জালাল উদ্দিন সুয়ুতি রহঃ ইবনে তাইমিয়ার বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে দুই পাতা প্রশংসা করেছেন। তারপর কয়েক লাইন সমালোচনা করেছেন।

যাই হোক এদেশে ওহাবীবাদের উগ্ররূপ প্রকাশের পর তারা সুবিধা করতে পারেনি। বাংলা ভাই শায়খ রহমান এরা ছিল তাদের এক রূপ। বর্তমানে এদের সফট ভারসন মাঠ কাপাচ্ছে। আহমাদুল্লাহ, হাই এরা হলো সফট ভারসন। আর ছুপা রুস্তম হলো নিহত জাহাঙ্গীর। এরা বাথরুম করলেও ভিডিও করে অনলাইনে ছাড়ে। এদের কবল থেকে সুন্নী সুফি মুসলমানদের নিস্তার হবে কী না সন্দেহ। তবে এদের মুখোশ উন্মোচনে লেখালেখি করা উচিত।

৮| ২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



মাজার পুজা তো খারাপ নয়।
খারাপ হলে মদীনায় কেউ এটা করতো না।

৯| ২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫

রানার ব্লগ বলেছেন: রিয়াদে অবস্থিত আর রিদানিয়াহ খনিজ অঞ্চলটি দস্তা ও রৌপ্যসমৃদ্ধ। যার আয়তন প্রায় ৭৫ বর্গকিলোমিটার

সূত্র

১০| ২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬

রানার ব্লগ বলেছেন: সুত্র

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.