![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"দলা পাকানো কাগজ ও চুমোয় ভরা মগজ নিয়ে ঘুমোও, মেঘের বেগে রেগে গিয়ে অসম্ভবের সম্ভাবনা ড্রিমাও, তাও না হলে কাওকে বলে বিষন্নতার ছলে বসে ঝিমাও, বা অন্য কিছু ধন্য করার আশায় মাথায় চিন্তা ঠাসা থামাও।" -- কপিরাইট: মীরার ছোট্ট মগজ
ক্লাস সেভেন ও এইটে ডিসাইন এ্যন্ড টেকনোলজিতে সেলাই শিখতে বাধ্য করেছে আমাদের। এ সাবজেক্টে বিভিন্ন জিনিস শেখায়, যেমন রান্না, কৃষিবিদ্যা, ব্রেসলেট বা কার্ড বানানো, সেলাই... ইত্যাদি, ইত্যাদি। ছেলেদের স্কুলে সেলাইয়ের বদলে শেখায় কাঠের কাজ। অন্য যে কোন বিষয়ের মতই এটাও বছরের শেষে রিপোর্টে যোগ হয়েছে, তাই অংকের মত এ ক্লাসেও মনোযোগ দেওয়া আবশ্যক ছিলো। ডি.টি. থেকে আমি জীবনের জন্য অনেক মূল্যবান শিক্ষা অর্জন করেছি।
সে ডি.টি তে আমি প্রথম সেলাই করেছি। এর আগে ছোট খাটো কাজ করেছি সুতো দিয়ে - ভিকারুননিসার বদৌলতে, কিন্তু ক্লাস সেভেনে প্রথম 'পোশাক' বানিয়েছি। সাদা ও সবুজ পায়জামাটা এখনও ছাড়তে ইচ্ছে করেনা, কি করবো, খু-ব-ই আরামদায়ক জিনিস! ভুল সেলাই করে সেটা আরও বেশি আরামের করে ফেলেছি। প্রাথমিক আইডিয়া ছিলো শোয়ার কাপড় বানানোর, কিন্তু আমার পায়জামা আমি দিন-রাত পরে থাকতে পারি। ওটা সেলাই করার পর পরের বছর আরও বেশি উৎসাহ নিয়ে একটা হ্যান্ডব্যাগ বানালাম ডেনিম কাপড় ও কিছু সাজের সরঞ্জাম দিয়ে।
প্যান্ট ও ব্যাগ বানিয়ে আমার আত্মবিশ্বাস প্রায় আকাশ ছোঁয়া, তাই এতোদিন ধরে ধারণা ছিলো যে কাপড়ই ধরবো, ম্যাজিকেলি সেলাই হয়ে যাবে। সেই ধারণা নিয়ে পরশু দিন কিছু সস্তা-কিন্তু-সুন্দর কাপড় দিয়ে কামিজ বানাতে বসলাম। মা খুব খুশি, কারন পরীক্ষার পর থেকেই আমাকে বলা হচ্ছে অকর্মা হয়ে বসে না থেকে কিছু একটা করতে। আমাকে কাপড় কেটে ও নির্দেশনা দিয়ে বসিয়ে দিলো মেশিনের সামনে। কিছুক্ষন করেই আমার মেজাজ গেলো খারাপ হয়ে - ভুল সেলাই করে ফেলেছি, খুলতে হবে।
পাঁচ মিনিটের কাজে আধঘন্টা লেগে গেলো। ব্রেক-টেক নিয়ে এসে আবার সেলাই করতে বসে দেখি মেশিন চলছে না। অনেক চেষ্টা করেও ঠিক করা গেলো না। ধৈর্যের সীমা ছেড়ে যাওয়ায় কামিজটা শেষ করতে পারলাম না, শেষ করতে হলো বাসার অন্য প্রানীদের।
শিক্ষা: আমার দ্বারা সেলাই সম্ভব নহে। অন্যের ক্ষমতার প্রশংসাতেই থামতে হইবে!
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৮
মুনিয়া বলেছেন: আচ্ছা.... চেষ্টা করতে থাকো, একসময় হয়ে যাবে।
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৩৩
ঝড়ো হাওয়া বলেছেন: শোন!
পরীক্ষাতো শেষ এবার সিলাইয়ে মনোযোগ দাও। প্রথম থেকে মানে কিভাবে সুইয়ের ভিতর সুতা ঢুকাতে হয় সেখান থেকে শুরু করো। আর যখন সেলাই মেশীনের সামনে বসবা অবশ্যই হলুদ বোর্ডে "এল" লেখা সাইনবোর্ড টা সামনে রাখবা।
৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৭:৩৮
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: বাসার অন্য প্রাণী!!!!! বড় বোনকে নিয়ে এসব কি ভাষা! আমিও সেলাই ধরে বুঝিতেছি, ইটস নট আ পিস অফ কেইক!
৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:০৯
এই আমি মীরা বলেছেন: ফ্রুলিক্স: চিন্তা করে দেখা যেতে পারে, সেটা থেকে ইন্টারেস্ট পুরোপুরি উঠে যায় নি এখনও।
মুনিয়া: নাহ, চেষ্টা ছেড়ে দিয়েছি।
ঝ. হা.: হা হা হা।
সন্ধ্যা:
৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:২৩
খুশবু বলেছেন: এটা বললে তো মেয়ে হবে না ।তোমাকে সব পারতে হবে ।না পারলে ........
৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৪৩
বিবেক সত্যি বলেছেন:
সেলাই বিদ্যা ভালো বিদ্যা .. বিশেষ করে মীরা নামের মানুষদের জন্য অর্থাৎ কিনা মেয়েদের জন্য ...
৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:২৫
স্বপ্নময় বলেছেন: এ এমন কি? আলু ভর্তা টাইপ কাজ। তবে ইহার গুরুত্ব আলু ভর্তার চে' কম নহে। ভাবিতে পারা যায়, সেলাই মেশিন না থাকিলে মানুষ কি পরিধান করিতো?
৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:২৬
এই আমি মীরা বলেছেন: খুশবু: ভয় পাইছি!
বিবেক সত্যি:
স্বপ্নময়: হি হি হি।
১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৫২
আড্ডাবাজ আশিক বলেছেন: মীরা নতুন লখা চাই।
১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৫৭
ফারজানা মাহবুবা বলেছেন: সেলাই মেশিন আসলেই একটা চীজ!
তার মর্জি বুঝে কাজ করতে হয়!
দেখা যাবে খুব দরকারে সেলাই হচ্ছে কাকের ঠ্যাং আর বকের ঠ্যাং, কিন্তু যখন দরকার নেই তখন স্মূথলী কাজ করছে!
নিজে সেলাই করলেই আসলে বুঝা যায় সেলাই করা কত কষ্টসাধ্য।
১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:০৯
এবিএম গিয়াসউদ্দিন (শামীম) বলেছেন:
হুমম!! আপনি সেলাই বাদদিয়ে পড়াশুনায় মনোযোগ দেন @ মীরাআপু
১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:২৭
আহমাদ মুজতবা বলেছেন: cheshta korle sobiee shombhob
১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:১৭
এই আমি মীরা বলেছেন: ফারজানা মাহবুবা: মনের কথা বলে দিলেন তো!
সবাইকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৮
উলটা মানুষ বলেছেন: "একবার না পারিলে দেখ শতবার।"
(লাইনটা ঠিক বলতে পারলাম?)
১৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:১৮
বৃত্ত বলেছেন: হা হা হা হা...
বোন রাগ করল যে!
১৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৩৯
কালপুরুষ বলেছেন: সেলাই বিদ্যা মেয়েদের কাজ কিনা জানিনা, তবে বিশ্বের সেরা ফ্যাশন ডিজাইনারদের অধিকাংশই ছেলে। বিখ্যাত সব পোষাকের দর্জি (টেইলর মাষ্টার) তাদের বেশীর ভাগই ছেলে। এমনকি ঢাকার নিউ মার্কেট ও গাওসিয়ার মেয়েদের পোষাক তৈরী করে এমন টেইলর মাষ্টার সবাইকেই দেখি পুরুষ। তবে আমাদের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে যারা সেলাইয়ের কাজ করে বা যারা গার্মেন্টস শ্রমিক নামে পরিচিত তাদের অধিকাংশই কিন্তু নারী। তাদের সেলাই বিদ্যার পর্যায়ে পড়ে কিনা জানিনা তবে তাদের মেশিনে সেলাই করার দক্ষতা ও পারদর্শীতা এদেশের অনেক পরিবারকে খেয়ে পড়ে বাঁচতে শেখাচ্ছে। অথচ এই বিদ্যা অর্জন করতে কারো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন হয়নি, সামান্য প্রশিক্ষণেই তারা আজ দক্ষ শ্রমিক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০০
ফ্রুলিংক্স বলেছেন: সবাইকে দিয়ে কি সবকিছু হয়? রান্নায় মনোযোগ দাও