![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মিরাজ। পুরো নাম মিরাজ-উল-কবির। আমি একজন এইচ.এস.সি পরিক্ষার্থী (২০১৫)।আমি মিরাজ। পুরো নাম মিরাজ-উল-কবির। আমি একজন এইচ.এস.সি পরিক্ষার্থী (২০১৫)।
উপদেশ এক ধরণের অরুচিকর খাবার। ভদ্রতার খাতিরে মানুষকে কিছু লোক দেখানো কাজ করতে হয়। উপদেশ ভক্ষণ'ও এরুপ একটি কাজ।
ব্যক্তি বিশেষ ভদ্রতার খাতিরে হাসিমুখে উপদেশ ভক্ষণ করলেও লোকচক্ষুর আড়ালে ঠিকই পেটে চাপ প্রয়োগ করে উগলে বের করে ফেলে। উপদেশ তার নানাবিধ গুণাগুণ প্রকাশ করার আর কোনরুপ সুযোগ পায় না।
তবে ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টি উপদেশ উগলে বেশ একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।
আমরা উপদেশ দানকারীকে ভীষণ অপছন্দ করি। কারণ, উপদেশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের ইচ্ছার বিরোধিতা করে, আমাদের যথেচ্ছা চালচলনের বিরোধিতা করে। তাই আমরা উপদেশ দানকারীকে শত্রু এবং উপদেশকে শত্রুর হাতের তরবারি ভাবি। আর যারা আমাদের স্বাধীন চালচলনের পক্ষে কথা বলে, বিপদজনক হলেও আমরা তাদের কথাগুলো সানন্দে গ্রহণ করি। তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ও উদারতায় মুগ্ধ হয়ে তার সৌরভ চারিদিকে ছড়িয়ে দেই।
অবশেষে একসময় গিয়ে আমাদের চেতনা ফেরে। জীবনের হিসাব-নিকাশ করতে গিয়ে যখন দেখি লাভের চেয়ে ক্ষতির অনুপাত বেশি তখন আমাদের কপাল চাপড়ানো ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। আর যারা হিসাব-নিকাশ করার ফুসরতটিও পায় না, তারা জীবনের শেষ অবধি বুঝতেই পারে না যে কতটা মূল্যবান সম্পদ তারা হারিয়েছে। যার পিছনে রয়েছে উপদেশ বিমুখতা।
তখন সময় আসে উপদেশ বর্ষণ করার। আপনি তখন আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে উপদেশবর্ষণ শুরু করবেন। স্বাভাবিকভাবে ভক্ষণকারীরা ভদ্রতার খাতিরে তা ভক্ষণ করবে এবং পুরনো ঐতিহ্য অনুযায়ী আপনার আড়ালে তা উগলে বের করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে। এই জগতের নিয়ম, এমনটাই হয়।
আমি আপনার শত্রু হতে চাই না। কিংবা আমার দেওয়া উপদেশ আপনি জোর পূর্বক ভক্ষণ করবেন, তাও আমি চাই না। আপনি বাঁচুন-মরুন আপনার ব্যাপার। আমি বাপু আপনাকে উপদেশ দিতে যাবো না।
©somewhere in net ltd.